…
দুর্গ ও দুর্গ প্রাকার:
কেল্লা বা দুর্গ বলতে বোঝায় শক্ত বেষ্টনী প্রাচীরবেষ্টিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। উদ্দেশ্য আক্রমণকারীর হাত থেকে নিজেদের সুরক্ষা। ফলে দুর্গ স্থাপত্যের সাধারণ বৈশিষ্ট্য সব সময়ই প্রায় এক রূপ হতে দেখা যায়। যেমন আভ্যন্তরীণ বৃত্তাকার বেষ্টনী প্রাচীর বহিঃপ্রাচীর দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়, সাথে প্রয়োজন অনুযায়ী পরিখা দ্বারাও পুনঃবেষ্টিত থাকে। আক্রমণ ও প্রতিরক্ষা উভয় ক্ষেত্রেই দুর্গের সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী অঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হতো সাধারণত দুর্গের প্রবেশফটক ও পার্শ্ব-বুরুজ। তাই প্রবেশফটক এবং প্রতিরক্ষা প্রাচীর বা বুরুজ হয়ে থাকে প্রহরা কক্ষ সংবলিত। বেষ্টনী প্রাচীরের উপরিভাগে চলাচলের জন্য চওড়া পথের ব্যবস্থা থাকে যাতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান থেকে আক্রমণকারী শত্রুর আগমন লক্ষ্য করা যায়।
নিকষ কালো আদিম গুহা, পরতে পরতে রহস্য, ইতিহাসের সুলুক সন্ধান, কোন পাথরের স্তরের নিচে কি আছে জানার কোন উপায় নেই, সাঁঝের আঁধারে ডানা মেলে গুহার আশ্রয় থেকে বাহির হয় বাদুড়ের ঝাক, প্রবেশের বিশালাকার মূল প্রবেশ পথটি দেখলে মনে হয় ডাইনোসরদের আস্তানা। হয়ত হবেও বা ! গুহাটি যে ২০ মিলিয়ন বছরের পুরনো!
…
লালবাগ কেল্লা থেকে উত্তর-পশ্চিমে সামান্য দূরে আতিশখানায় এই সুদৃশ্য খান মহম্মদ মির্ধা মসজিদটির (Khan Muhammad Mirdha Mosque) অবস্থান। মূলত এটি চারদিকে দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত একটি আবাসিক মাদ্রাসা-মসজিদ কমপ্লেক্স। কাজী ইবাদুল্লাহর নির্দেশে জনৈক খান মহম্মদ মির্ধা এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয় কাজী ইবাদুল্লাহ ছিলেন ঢাকার প্রধান কাজী। তবে মসজিদটির নির্মাণকাল নিয়ে গবেষক মুনতাসীর মামুনের ‘ঢাকা স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী’ গ্রন্থের তথ্যমতে ফররুখসিয়ার যখন ঢাকার উপ শাসনকর্তা তখন ১৭০৬ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। প্রাচীনত্বের দিক থেকে এর অবস্থান সপ্তদশ। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক সমীক্ষামালা-২’ স্থাপত্য শীর্ষক গ্রন্থে এই কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাল উল্লেখ করা হয়েছে ১৭০৪-০৫ সাল।
১২৮৪ সাল। মধ্যযুগের জার্মানির ছায়া ঘেরা, পাখি ডাকা, শান্তিময় ক্ষুদে এক পাহাড়ি শহর হ্যামিলনে দেখা দিল আচমকা মহা উপদ্রব- ইদুর! হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ সুবিশাল ইদুরের পাল, তাদের অত্যাচারে বেড়াল তো বেড়াল, মানুষের অস্তিত্ব টেকানোই দায় হয়ে পড়ল সেই পাহাড় ঘেরা উপত্যকায়। অবশেষে রূপকথার গল্পের মত দেখা দিলেন মহান ত্রাতা, নানা বর্ণের ডোরাকাটা রঙচঙে নকশাদার পোশাক পরা এক বাঁশিওয়ালা। নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে সে আশ্বাস দিল বিনাশ করে ছাড়বে ইদুরের দলকে।
প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ঝোলা থেকে এক অদ্ভুত বাঁশি বের করে অদ্ভুততর সুর সৃষ্টি করে চলল অবিরত, সেই মোহনীয় সুরেই মাতোয়ারা হয়ে দিকবিদিক ভুলে ইদুরের দল শুরু করল তার পিছু চলা। এক পর্যায়ে খরস্রোতা ভাইজার নদীর কিনারে এসে চতুর বাঁশিওয়ালার চালে সমস্ত ইদুরের পাল লাফিয়ে পড়তে লাগল সেই বহমান হিমশীতল জলে, খড়কুটোর মত ভেসে গেল তারা দূর কোন অঞ্চলে অথবা খরস্রোতা অথৈ জলের নিচে ঘটল সলিল সমাধি। হামিলন হল ইদুর মুক্ত।
হিটলার, মুসোলিনি, স্টালিন – এ্যারা তিনজনেই নাকি নোবেল শান্তি পুরস্কারের লাইগা মনোনয়ন পাইসিলো! এখানে দেখুন
হেদিন কলকাতার এক সিনিয়ার সাংবাদিক কাইতাসিলো সে নাকি মাদার তেরেসা আর মিশনারিস অফ চ্যারিটিস-রে ব্যক্তিগতভাবে পসন্দ করে না। আমি তো হুইনা অবাক – এ্যাদ্দিন তো জানতাম নেলসন ম্যান্ডেলা, মাদার তেরেসা, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়ার, অং সান সু চি – এ্যাগো নোবেল সব তর্কাতর্কির উপরে। সেই সাংবাদিক কয় মিশনারিজ অফ চ্যারিটিস-এর নাকি ঝামেলা আসে।
১.