ডিসক্লেইমার: এইটা একটা ফাঁকিবাজি পোস্ট।
নৈতিকতা সম্পর্কিত আগের লেখা এখানে । আগের লেখায় প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটু বলেছিলাম। নৈতিকতা কি বোঝার আশায় কিছু পড়াশোনা শুরু করলাম। এই লেখায় বেন্থাম কপচানো হবে। সময় করতে পারিনা.. ছোটো ছোটো করে লিখতে হবে মনে হচ্ছে।
[justify]তারপর.........
তারপর আর কি! আমার মতো কিছু গোরু হাম্বা হাম্বা করে যায়। আর আলোর চোখে ঠুলি দিয়ে বসে থাকে বিবর্ণ সমাজ। তবুও হঠাৎ কুড়িয়ে পাওয়া জীবন বন্ধনে পথের ধারে লুকিয়ে থাকে কিছু হোতাদের কথকতা। যাদের দেখলে মনে হয় অন্তত মৌলকুত্তারা তাদের পোষ মানাতে পারেনি।
বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে ‘সাদ’ (অথবা কাছাকাছি উচ্চারন) নামে একটা অনুষ্ঠানের চল আছে। প্রেগন্যান্সির সাত মাসে পড়লে অথবা সাত মাস পূর্ন হলে এটা করা হয়। হবু মাকে মজার মজার খাবার খাওয়ানো, উপহার দেয়া,নবজাতকের যত্নআত্নি বিষয়ে পরামর্শ দেয়া ইত্যাদি মিলিয়ে ঘরোয়া সুন্দর একটা অনুষ্ঠান।(আমাদের চিরায়ত রীতিনীতি, আচার অনুষ্ঠানগুলো মেয়েদের গুরুত্ব দেয়, সম্মান দেয়। মোল্লারা ধর্মের নামে আজব কিছু জিনিস আমদানি করে সমাজে মেয়েদের অবস্থান নড়বড়ে করে দিয়েছে...)
চুপটি করে ঘরে বসে,
লেপের নীচেই আরাম লাগে।
চোখ বুঁজে আজ অন্ধকারেই
জগৎটাকে রঙিন লাগে।
দেশে এখন অনলাইনে কেনাকাটা করা যাছে, অনেক তথ্যবহুল ওয়েবসাইট তৈরি হছে, তরুনেরা তথ্যপ্রযুক্তির কল্যানে অর্থনীতির বিকাশে অবদান রাখতে পারছে। মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাচ্ছে দেশের আনাচে-কানাচে। শিক্ষার হার বাড়ছে। মৃত্যুহার কমছে। এটিএম বুথ বসানো হচ্ছে রাস্তার মোড়ে মোড়ে। এগুলো আশার কথা, ভালো লক্ষণ। আমরা কি তবে উন্নতির পথে চলেছি? নাহ, উপরের কয়েকটি আশার কথা ছাড়া বাকি পুরো দৃশ্যপট অন্ধকার! '
পৃথিবীতে আজকাল যে দুটি শব্দের জয়জয়কার তা হল যোগাযোগ আর তথ্যপ্রযুক্তি । প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষ আর আরও হাজার কোটি প্রাণীর একমাত্র আবাসস্থল এই বিশাল পৃথিবীটাকে এই দুটো শব্দ যেন খুব ছোট করে ফেলেছে। এখন আমাদের বেশি অপেক্ষা করতে হয়না, ইন্টারনেট নামক এক মহা জালের সাহায্যে নিমিষেই আমাদের প্রিয়জনদের কণ্ঠ শুনতে পারি , দেখতে পারি তাদের। একবিংশ শতাব্দীতে তাই সবচেয়ে বড় শক্তি তথ্য।
পড়ার বইগুলো কেবল পড়া হয়, মাথায় ঢুকানো হয়না। জটিল জটিল শব্দ আর বিষয়গুলা মাথার উপর দিয়ে উড়াল দিতে থাকে কিন্তু নিউরন নামের জিনিসটাতে আটকাতে পারিনা। খালি কি আমিই এমন? নাকি আমার মত সবাই এমন ভুক্তভোগী!
গণ-আন্দোলন পৃথিবীতে কম হয়নি। সাধারণ মানুষের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে তখনই মানুষ রুখে দাড়িয়েছ। গণ-রোষ হয়েছে মিশরীয় সভ্যতায়, গ্রীক সভ্যতায়, মধ্য যুগে, রেঁনেসার যুগে, আধুনিক সময়ে, উত্তরাধুনিক সময়ে। কে জানে, হয়তো গণ-রোষ হয়েছিল আমাদের আদি মানব সভ্যতাগুলোতেও। কিন্তু প্রতিবারই সেই গণ-জাগরণের সুফল কেড়ে নিয়ে যায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। ধর্মের নামে নিয়ে যায় ধর্মাবতারেরা, বিশুদ্ধ রক্তের নামে নিয়ে যায় রাজারা। সাম্যের নামে নিয়ে যায় সাম্যবাদীরা, বুদ্ধির নামে নিয়ে যায় বুদ্ধিজীবিরা। পুঁজির নামে নিয়ে যায় পুঁজিবাদীরা, আর গণতন্ত্রের নামে নিয়ে যায় নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।
ইন্টারনেট জগতের বিপ্লব সাধনকারী ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের এক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে। ফেসবুকের কল্যাণে বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয়-স্বজন আজ একসাথে।পারস্পরিক যোগাযোগ, মতামত বিনিময়, সম্পর্ক ও জনমত তৈরি, ব্যাবসার প্রসার প্রভৃতি ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান অপরিসীম। ভার্চুয়াল জগতে আপনার পরিধি বৃদ্ধি করলেও বাস্তবিক অর্থে ফেসবুক ব্যাবহারে রয়েছে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া। এসব নিয়েই আজকের এই লেখা।
[justify]আমার ধারনা আজকাল সবাই ভ্রু কুঁচকে জগাখিচুড়ি পড়তে বসে। রসিকতা দেখলে আরও ভুরু কুঁচকে যায়। বুঝে এই ব্যাটা আগের জন্মে নিশ্চয়ই ক্যানভাসার ছিল। প্রথমে আলতু ফালতু কথা বলে লোক হাসানোর চেষ্টা করে। তারপর ঝোলা থেকে জ্ঞানের ট্যাবলেট বের করে। নাহ, আজকে কোন জ্ঞান দিতে বসিনি। তবে কিনা ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। জোর বাতাস দেখলে লুঙ্গিয়লা দুশ্চিন্তায় পড়ে। আটকে যাওয়া শিশু চেইন অলা প্যা