"এটা অবধারিত হয়, বুদ্ধিজীবীরাই জাগিয়ে রাখেন জাতির বিবেক, জাগিয়ে রাখেন তাদের রচনাবলির মাধ্যমে, সাংবাদিকদের কলমের মাধ্যমে, গানের সুরে, শিক্ষালয়ে পাঠদানে, চিকিৎসা, প্রকৌশল, রাজনীতি ইত্যাদির মাধ্যমে জনগণের সান্নিধ্যে এসে। একটি জাতিকে নিবীর্য করে দেবার প্রথম উপায় বুদ্ধিজীবী শূন্য করে দেয়া। ২৫ মার্চ রাতে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল অতর্কিতে, তারপর ধীরে ধীরে, শেষে পরাজয় অনিবার্য জেনে ডিসেম্বর ১০ তা
[justify]পিচ্চিকালে গাছ থেকে বাদুড় ঝোলা দেখতে যাওয়া আমার অন্যতম পছন্দের কাজ ছিল ।প্রায় সন্ধ্যায় সেজ মামার হাত ধরে পদ্মা নদীর পাড়ে, শাহ্ মখদুম কলেজের ধারে যে বিশাল প্রাচীন বটগাছটা ছিল,সেখানে বাদুড় ঝোলা দেখতে যেতাম। সেইসব সন্ধ্যায় কালো কালো বাদুড়ের উল্টামুখো ঝুলে থাকা দেখে আমি খুব রোমাঞ্চিত হতাম। কি ভীষণ রহস্যময় মনে হত সেইসব সন্ধ্যাগুলো। তারপর একদিন একটা গল্প পড়লাম বাদুড়দের নিয়ে। একটি
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা
সালেক খোকন
এক মুক্তিযোদ্ধার পায়ের ভেতর এখনো গুলি আছে। একচল্লিশ বছর ধরে শরীরের ভেতর বাসা বেঁধেছে সে গুলিটি। জোরে হাঁটতে কিংবা সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে গুলিটি কামড়ে ধরে মাংসের ভেতরটায়। যন্ত্রণায় তখন ছটফট করেন তিনি। পাকিস্তানিদের গুলি মুক্তিযোদ্ধার দেহে। এটা মেনে নেওয়া সত্যি কঠিন। তাই নীরবে নিভৃতে কেটে যাচ্ছে ওই মুক্তিযোদ্ধার জীবন।
আমাদের সকলের প্রিয় সচল মৃদুল ভাইয়ের রাজাকার বিষয়ক একটা ছড়ার আবৃত্তি নিয়ে এলাম আজকে।
ডিসেম্বরের এই মাসে রাজাকারদের আস্ফালন আর উল্লম্ফন দেখে কেবল একটা কথাই মনে আসছে--তবে কী তারা বুঝতে পেরেছে যে তাদের সময় ঘনিয়ে এসেছে??!! তারা কী বাতাসের মাঝে টের পাচ্ছে যে তাদের জন্যে রাখা অক্সিজেনে টান পড়ছে?!! তারা কী শুনতে পারছে মানুষ জাগছে??!! ধর্মের লেবাস পরিয়ে আর তাদের চামড়া ঢাকা যাবে না----
রাজাকার....
গত বুধবার (৫ ডিসেম্বর ২০১২) লণ্ডনের দ্য ইকোনমিস্টের সাংবাদিক আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম'কে ফোন করে ব্ল্যাকমেইলের চেষ্টা করে। সাংবাদিকের ভাষ্যে, বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ ড. আহমেদ জিয়াউদ্দিনের স্কাইপে আলোচনার রেকর্ড তা(দে)র কাছে রয়েছে এবং তারা সেটি প্রকাশ করতে চায়। ট্রাইবুনাল নির্দেশ দিয়েছে চুরি করা কোন তথ্য যেন প্রকাশ করা না হয়, সেটি বিচারকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। একই সঙ্গে আদালতের কাজে হস্তক্ষেপ এবং বিচারকের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করার জন্য কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না সেই মর্মে ইকোনমিস্ট'কে কারণ দর্শানোর নোটিশও দিয়েছেন আদালত। ইকোনমিস্টকে নিয়ে এই ঘটনার মাঝেই আমার দেশ পত্রিকা ড. জিয়াউদ্দিন এবং বিচারপতি হকের কথোপকথনের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রকাশ করেছে। আমার দেশের হ্যাকিং এ অংশগ্রহন খুব অবাক করা কিছু নয়। যে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়ার জন্য নিয়মিত মিলিয়ন ডলার খরচ হচ্ছে, রাজনৈতিক-কূটনৈতিক নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সেই বিচার কার্যে বাধা দিতে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা না করা হলেই সেটা আশ্চর্যজনক হত।
[justify]আমার আম্মা বরাবরই খুব রসিক মানুষ। কথায় কথায় হেসে গড়িয়ে পড়েন। উনাকে দেখলে দুঃখ বা কষ্ট বোধ টের পাওয়া যায়না। অনেক বড় বড় ঘটনাতেও উনাকে খুব শান্ত ভাবে হাসি মুখে ঘটনার মুখোমুখি হতে দেখেছি। ছোট থেকে দেখি আম্মা কখনও খাবার নষ্ট করেননা, সব খাবারই নাকি উনার কাছে খুব সুস্বাদু মনে হয়। আমি মাঝে মাঝে বিরক্ত হতাম। সব খাবারই মজা, তাই কি আর হতে পারে?
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ২০১০ এর মাঝামাঝি সময়ে যা এখনও চলমান। এখন পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করা হয়েছে যাদের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছে এবং বাকি দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের কাজ চলছে। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে ২০০৮ সালে নির্বাচিত বর্তমান মহাজোট সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে উল্লেখিত এই বিচারের প্রতিশ্রুতিই মূলত তার নির্বাচিত হওয়ার কারণ। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট যদি মনে কর
শ্বেতশুভ্র চুল-দাড়ির বর্ষীয়ান মানুষটি তাকিয়ে আছেন জানালার বাইরে। হালকা শীতের সকালে সামনের গাছটায় ছোট্ট দুটো চড়ুই পাখির ঝগড়া। ঠান্ডা বাতাসে একটু একটু করে কাঁপে গাছের শুকনো পাতা। রাস্তা দিয়ে রোজকার মতো আজকেও ব্যতিব্যস্ত মানুষের দল ছুটে চলে অনির্দিষ্ট পথে। এসব কিছুই তাঁর ধ্যানভঙ্গ করতে পারেনা আজকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি শুধু ভাবেন, ভেবে চলেন, মাথার ভেতরে অজস্র স্মৃতিরা যুদ্ধ করে, ফিরে ফিরে আসে। নিজের অজান্তেই একটা হালকা দীর্ঘশ্বাস মিশে যায় যান্ত্রিক জীবনের কোলাহলমুখরতায়।
রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সচলায়তনের ব্যানার করতে গিয়ে স্মৃতি, বই, ইন্টারনেট ঘেঁটেও কুল পাচ্ছিলামনা কি লেখা যায়! স্লোগান, কবিতা, গান খুঁজে খুঁজে হয়রান - এদিকে সময় নেই - হুট করে লেখা হয়ে গেল 'ধর্মান্ধতা নিপাত যাক' - সেই তিন শব্দ লিখতে গিয়ে চোখে পড়ল, মনে পড়ল অনেক কিছু, আর ভাবনায় এল জামাত-শিবির-রাজাকার-স্বৈরাচার-মৌলবাদ- সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী স্লোগান ও কবিতাগুলো সঙ্কলিত করতে পারলে কেমন হয়?!