Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

নায়িকা : ছো্ট্ট গল্প

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: বুধ, ১০/০৮/২০১৬ - ৩:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একলা। কিছুক্ষনের জন্য কেউ তাকে খুঁজে পাবে না। শুধু একলা। ভাবতেই খুব ভাল লাগে তার। সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে এটুকু সময় বের করতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। শেষ পরযন্ত অবশ্য সব ভালোয় ভালোয় মিটেছে। এখন- এখানে এই নির্জনে এসে তার মনে হলো, অনেক বছর পর একটু নিঃশ্বাস নিতে পারছে।


অবন্তী (শুভানুধ্যায়ীদের পরামর্শ মোতাবেক সম্পাদিত)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৭/২০১৬ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।

ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ, যাকে বলে রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।


অবন্তী (শেষ পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/০৭/২০১৬ - ৭:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাইবান্ধায় দমবন্ধ লাগছিলো, ঈদের ছুটিতে ঢাকায় ফিরে যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। কোন তাড়া নেই, ব্যাস্ততা নেই, প্রগাঢ় আলসেমিতে দুপুর অবধি শুয়ে বসে সময় কাটছে আমার। একদিন খুব ইচ্ছে হল সিনেমা দেখার। গুলিস্তানের তখন রমরমা, শহরে এয়ারকন্ডিশন্ড হল তো ওই একটাই।


বাবুলমুন্সীর মৎস্য শিকার

সোহেল ইমাম এর ছবি
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ১০/০৭/২০১৬ - ১০:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঠিক বাড়ি ফেরবার সময়ই আচমকা বৃষ্টি এসে পড়বে কে জানতো। বাবুলমুন্সী বললো আরেক কাপ চা হোক। হোক তাই হোক, তথাস্তু। চায়ের দোকানে আটকা পড়লে কাপের পর কাপ চা গেলা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে। বাড়ি ফেরা দরকার ছিল, রাতও কম হয়নি। কিন্তু বাবুলমুন্সীকে দেখলে মনে হবে এটাই যেন তার বাড়ি। তার বাড়িতে বৃষ্টিতে আটকা পড়া অতিথিকে চা সেধে আপ্যায়ন করছে। বেশ খুশি খুশি চেহারা নিয়ে বৃষ্টি দেখছে । আচমকা বৃষ্টি নামায় যেন ভারি খুশিই


দুষ্ট কোষ

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৭/০৭/২০১৬ - ১০:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বদরুল ভাইয়ের অনেকদিন ধরেই মাজায় ব্যথা, ঠ্যাঙে ব্যথা। বসা থেকে উঠতে গেলে মাথা ঘুরান দেয়। বর্ণনা শুনে রনি জিজ্ঞেস করে, বমিও কি হয় বদরুল ভাই?
বদরুল ভাই দাঁত মুখ খিচিয়ে বলেন, আমি কি পোয়াতি?


উত্তরণ

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৭/০৬/২০১৬ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.


চোর-পুলিশ খেলা

দেবদ্যুতি এর ছবি
লিখেছেন দেবদ্যুতি [অতিথি] (তারিখ: সোম, ২৭/০৬/২০১৬ - ৩:০১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাথাটা সামনে ঝাঁকুনি খেয়ে আচমকাই পেছনে ছুটে গেল আরেকবার, অতিকষ্টে চোখ খুলে তাকালাম- বাজে অবস্থা সামনে, বাস, মাইক্রো, প্রাইভেট কার, সিএনজি মিলিয়ে রাস্তাটাকে সাক্ষাত নরক লাগছে এখন। তার উপর হর্নের বিকট শব্দে কানও পাতা দায় ঠিকমতো। ড্রাইভারের আর দোষ কী!


অবন্তীঃ প্রথম কিস্তির পর।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৮/০৬/২০১৬ - ৯:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার সমস্যা তো নামে নয়, নাহয় থাকলোই বিদঘুটে একটা নাম। তবে কিনা আনোয়ার খুব চালাক ছেলে। অবন্তীর প্রতি আমার দুর্বলতা তার নজর এড়ায়নি। ছেলেটার একমাত্র উদ্দেশ্য আমাকে খেলো করা। কলেজের দেয়াল পত্রিকায় বেনামে একটা লেখা লিখেছে, লেখার নাম - ঘাঘটের কুলে ধইঞ্চার সারি। পড়ে আমার ব্রহ্মতালু যেন দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো। গল্পের প্রধান চরিত্র নদীর পারে উবু হয়ে বসে কাশের ডগা চিবোয় আর ঢেউ গোনে। শেষের বাক্যটি ব


চাঁদের আলোয় একজন নিরাশ যুবক

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: রবি, ১২/০৬/২০১৬ - ৮:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েটি পিছন থেকে আস্তে আস্তে হেঁটে কাছে এসে ডাক দিল, ভাইজান!

যুবকটি ফিরে না তাকিয়েই মাথা ঝাঁকাল অল্প, মুখে কিছু বলল না। মেয়েটি বসে পড়ল পাশে। কিছু সময় কেটে গেল চুপচাপ। উপরে মেঘমুক্ত আকাশ, হাল্কা বাতাস দিচ্ছে। চকচকে চাঁদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে বাগান। মধ্যরাত পেরিয়ে গেছে সেই কখন! ভোর হবে কিছু পরেই। সাধারণত এই সময় এরকম বাইরে থাকলে আম্মি মানবতী কবর থেকে উঠে এসে বকে ফিরাতে নিয়ে আসেন, কিন্তু আজ এখনো তার সাড়া নেই। ভালই, ভাবে মেয়েটি। তারপর আচমকা সে জিজ্ঞাস করে,

আচ্ছা ভাইজান, আব্বাকে আপনি সত্যই ভাই বলে ডাকতেন?

বিষণ্ণ যুবকটি ফিক করে হেসে ফেলে বলে, হ্যাঁ তো!


খদ্দের

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৬/২০১৬ - ৫:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দুর্গন্ধে মা’র কাছে যাওয়া যায় না। দাঁত মুখ খিঁচে দরজায় দাঁড়িয়ে শফিক জিজ্ঞাস করল, “আমি বাইরে যাইতাছি। তোমার কিছু লাগব?”

সফুরা বেগমের গলার নীচ থেকে পুরো শরীর প্যারালাইজড। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে তার সব কিছু করে দিতে হয়। পেশাপ-পায়খানা তার বিছানাতেই হয়ে যায়। প্রচুর টাকা দিয়ে বয়স্ক মত এক কাজের মহিলা রাখা হয়েছে। সেও একদিন আসেতো দুইদিন আসে না। এ ব্যাপারে তাকে কিছু বলাও যায় না। কিছু বললেই কাজ ছেড়ে দেবার হুমকি দেয়। চেঁচিয়ে বলে,”বুইড়া মাইনষের গু-মুত আমি পরিষ্কার করমু না। আল্লাগো আল্লা কি গন্নের গন্ন…ওয়াক থুঃ!”