সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।
ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ - রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।
সকালের বিয়ে।
পাত্রীর খোঁজ চলছে।
কিন্তু কেউই রাজী নয় সকালকে বিয়ে করতে।
শেষমেশ পাত্রী পাওয়া গেলো।
সন্ধ্যা।
সন্ধ্যা বিয়ে করবে সকালকে।
বিয়ে হলো।
কিন্তু বিয়েই সার!
সকালের কখনও দেখা হয়না সন্ধ্যার সাথে।
এদিকে,সূর্য ছিল সকালের মামা।
ভাগ্নের কষ্ট দেখে সূর্য্য মামার বড় কষ্ট হলো। গোটা একটা দিন সে দিলো না কোন আলো।
ব্যস! সেদিন সকাল আর সন্ধ্যা এক হয়ে গেলো। পুরো একটা দিন তারা একসাথে থাকলো।
সোনালী জলধারার নীচে শুয়ে আনিস চোখ মুদল। সুতীব্র উত্তেজনা নিম্নাঙ্গ থেকে তলপেটের উপর দিয়ে পেশীবহুল এক অজগরের মত ধীরালয়ে উপরের দিকে উঠতে লাগল। তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হল। শীর্ষ অনুভূতির চরমে পৌঁছাতেই গোঙাতে লাগল সে। একসময় হাত পা এলিয়ে দিয়ে ফোঁসফোঁস করতে লাগল আনিস।
শুরুটা হয়েছিল তখন, যখন রতনের নিজের সাথে ঘটনাটা ঘটল।
বই মেলার প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে কড়কড়ে নতুন বইয়ের পাতা উল্টেপাল্টে দেখছিল সুমন। একটি মেয়ে এসে দাঁড়াল ওর সামনে। তাকে সুমন আগে কখনো দেখেনি। কিন্তু ফেসবুকের কল্যাণে চেনাজানা আছে দু’জনের।
‘কি সৌভাগ্য আমার! আমার সাথে দেখা করতে এসেছে স্বনামধন্যা শুভ্রা! এ আনন্দ কোথায় রাখি?’ সুমন উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে।
বিছানায় ছড়িয়ে থাকা গোলাপের পাপড়ির উপর গোলাপি কাতান পরে সদ্য ফোঁটা কোন গোলাপের মতন ঘোমটা টেনে বসে আছে গোলাপি। অতি সাধারণ সাজে কি অসাধারণই না তাকে লাগছে। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে জহিরুল। ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে লজ্জা পেয়ে গোলাপি জিজ্ঞাস করে, "কি দেখ?”
এ যেন রাজ্জাক-শাবানা অভিনীত আশির দশকের কোন সিনেমার দৃশ্য। মুচকি হেসে জহিরুল বলে,”তোমাকে দেখি।”
খাঁচায় ভাই-বেরাদরদের সাথে ভালোই ছিলাম। হঠাৎ এক পুঁচকা এসে বিছরাতে বিছরাতে আমার পা ধরে হ্যাঁচকা টান। ডানা টানা ঝাঁপটিয়ে কোনোমতে সিধা হয়ে দাঁড়াই একেবারে ঘরের মধ্যেখানে। চারিদিকে কেমন পেঁয়াজ- আলুর গন্ধ আর চাপাতির রোশনাই। মরণ যে এতো তাড়াতাড়ি চলে আসবে বুঝতে পারি নাই। ভাই-বেরাদরদের দিকে তাকিয়ে দেখি- তারা আড়চোখে দেখেও না দেখার ভান করছে। আরেক পুঁচকা ঘরের দরজা খুলে বেরোতে গেলে জান হাতে নিয়ে দিলা
১।
ঃ তর পুতেরে দিয়ালা। হুদাই জিদ করতাসস। একখান গ্যালে আরও তিনখান অইব, এইলায় আমার টাইন থাওক।
ঃ আফনে কেলা? আমারে রান্দা কারতাসুইন ক্যান?
ঃ আমি কেলা জাইন্যা তর কাম নাই। লইতাম আইসি, দিয়ালা। জামাইরে কইস হিয়ালে লইসে।
ঃ দিতাম না। আমারে ছাইরা দেন।
ঃ আইজ তাইলে উডিরে কইন্যা। কাইল আবার আইবাম, তর পুতেরে দিয়ালাইস। ও কইন্যা, পুতের কফালো এইতান কী লাগাইসোস?
১৫ই বৈশাখ সন্ধ্যা। আগের বছরের মত এবারও বেশীরভাগ মেয়ে শাড়ি পরে এসেছে। সারাদিন কাজ করে সবাই অল্প স্বল্প ক্লান্ত। এসি রুমও টানা কাজ করার ক্লান্তি কমাতে পারে না। জানালা দিয়ে ঠিকই দেখা যায়, বাইরে ঢাকা শহর পুড়ছে।