Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

ডোমারের পথে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৭/০২/২০১৬ - ১০:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শীতের সকাল। কুয়াশার আস্তরে ঢাকা পথ-প্রান্তর-জনপদ। দু'দিন ধরে সূর্যের দেখা নাই। উত্তরবঙ্গের সকল জেলাতেই প্রচণ্ড শীত পড়েছে। রাজশাহী থেকে ডোমার যাওয়ার উদ্দেশ্যে তিতুমির এক্সপ্রেস-এ চড়ে বসলাম, গন্তব্য পঞ্চগড় চা-বাগান -- আমার কর্মস্থল। ট্রেনে আমার কামড়ায় আরও চারজন। আমার বাম পাশে দু'জন, মনে হলো রেল-বিভাগে কাজ করে। সামনের সিটে দু'জন। কেউ কথা বলছিল না। ট্রেনের সাথে একটা খাবারের বগি আছে। ট্রেন ছ


স্বপ্নের জীবাশ্ম

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শুক্র, ০৫/০২/২০১৬ - ৭:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ঘুম ছুটে যাবার পর অমিতাভ আবারো ভাবলো। ওটা তো স্বপ্নই ছিলো। ওই চোখ দুটো স্বপ্ন ছাড়া এতটা রং ছড়ায় না কোথাও। যেখানে কেবলি ভয়, যেখানে কেবলি আশংকা, সেখানে এতটা আনন্দ এতখানি আলোর আশ্বাস নিয়ে আসে না। স্টুডিও ছবির নিগেটিভে হাসিকে কান্না কিংবা কান্নাকে হাসি বলে যেখানে ভুল হয়ে যায় নবনীতার চোখে ভাসতে থাকা হাসিটাকেও নির্ঘাত একটা স্বপ্ন বলে ধরে নেয় সে।


নিদাঘনামা (২)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০২/২০১৬ - ৬:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]আগরে পর্ব এখানে : http://www.sachalayatan.com/guest_writer/53893

আমাদের সেই শহরটাও আদতে ছিল একটা গ্রামের প্রতিলিপি। শহর বলতে আমি তখনো একটা ছোট গলিকেই বুঝতাম শুধু। এখানকার পথে সবুজ না থাকলেও মাটি ছিল অঢেল। তখনো পিচতো দূরের কথা সুরকিও দেখিনি আমরা।


আরশিতে অন্যমুখ

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: মঙ্গল, ২৬/০১/২০১৬ - ১২:১১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি খুব আয়নাবিমুখ মানুষ (ছিলাম)। ‘ছিলাম’ শব্দটিকে যে কারণে ব্র্যাকেটবন্দী করতে হলো সেই কারণটি জানতে হলে একটি নাতিদীর্ঘ গল্প শুনতে হবে। ঘটনাটি যুগপৎ বিব্রতকর এবং অবিশ্বাস্য।


একদিন দুপুরে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০১/২০১৬ - ১:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাঁবু থেকে লেক পর্যন্ত সহজ কোন রাস্তা নেই। অনেক খুঁজে পেতে সরু একটা ঢাল মিলেছে কিন্তু এবড়ো থেবড়ো পাথরে বোঝাই সে পথ। পাথরের চাঁই গুলো পেরিয়ে নেমে আসতেই পায়ে ঠেকল নরম বালি। সামনেই ইংরেজি এস এর মতো আঁকাবাঁকা সরু লেক, পরিষ্কার টলটলে পানি, খানিকটা নীলচে সবুজ। লেকের একটা বাঁক ঘিরে রয়েছে এভারগ্রিনের জঙ্গল। উপর থেকে জঙ্গলটা চোখে পড়েনা। আশেপাশের ধূসর বালি, রুক্ষ পাথর আর পাতাঝরা গাছেদের ভিড়ে দারুণ বে


সুযোগ

Sohel Lehos এর ছবি
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০১/২০১৬ - ৫:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

চৈত্রের ভয়াবহ গরমে দাঁড়িয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মত কুলকুল করে ঘামছিল মাহতাবুদ্দিন। কোথাও বাতাসের একফোঁটা গন্ধ নেই। তার বদলে মানুষের ঘাম, পচে যাওয়া ডাবের চোকলা, নর্দমার নোংরা, পেটের গভীর থেকে তুলে আনা কোন কুকুরের উগরানো বমি, বুক চিরে দেয়া গাড়ির বিকট হর্ণ, রিক্সার টুনটুন, হাত-পা কাটা ভিখারির চিৎকার, আর রাস্তায় থ্যাতলে পরে থাকা কাঁঠালের উপর অসভ্য মাছির ভন ভন শব্দে গুলিস্তান পরিণত হয়েছে ছোট্ট এক টুকরা হাবিয়া দোযখে। বাসের দেখা নেই।


ঈশপের গল্প (১২১ - ১২৫)

এক লহমা এর ছবি
লিখেছেন এক লহমা [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১১/০১/২০১৬ - ১২:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।

বারে বারে পড়ার মত গল্পগুলিকে একালের বাংলা ভাষায় আমার নিজের মত করে ধরে রাখার ইচ্ছের ফসল এই লেখা। অনুবাদ ইংরেজী পাঠের অনুসারী, আক্ষরিক নয়।

সাথে আমার দু-এক কথা, হয়ত মজা করে, হয়ত আরও তীব্রতায়, কিংবা কোন ভিন্ন দেখা থেকে। 


গল্পসূত্রঃ R. Worthington (DUKE Classics)-এর বই এবং আন্তর্জাল-এ লভ্য [url=http://www.aesop-fable.com ]http://www.aesop-fable.com [/url]-এ ইংরেজী অনুবাদের ঈশপের গল্পগুলি। গল্পক্রমঃ R. Worthington-এর বইয়ে যেমন আছে।
****************************************


জনৈক কচ্ছপ সাহেব

শামীম রুনা এর ছবি
লিখেছেন শামীম রুনা [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২৭/১১/২০১৫ - ৯:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ভদ্রলোকের একটি চমৎকার নাম আছে, তার স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ নম্বরযুক্ত সনদপত্রগুলিতে সে নাম জ্বলজ্বল করে লেখা রয়েছে।তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবার জন্য তাকে আরো যে ক’টি সনদ দেওয়া হয়েছে সেসব সনদপত্রে বা কর্মক্ষেত্রে তিনি যে ঘরে বসেন সে ঘরের দরজার ওপর নেম প্লেটে সে নাম লেখা রয়েছে, আরো বিভিন্ন জায়গায় স্বর্ণাক্ষরে বা রৌপাক্ষরে নয়তবা সাধারণ কালিতে তার নাম বিভিন্ন ডিজাইনে লেখা রয়েছে।


দুঃস্বপ্ন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/১১/২০১৫ - ৯:১২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইভানের ঘরের জানালাটা বেশ বড় । বাড়ীটা ওর দাদার আমলের, বর্তমানে এরকম জানালাওয়ালা বাড়ি কোথাও দেখাই যায় না । জানালা টা খুললেই দূরের পাহাড় আর বড় বড় গাছের সারি দেখা যায় । যে কারোরই এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভাল লাগবে । তবে ইভান সব সময় জানালাটা বন্ধ করে রাখে এবং পর্দাও নামিয়ে রাখে । এর পেছনে জটিল কোন কারণ নেই, এইসব সৌন্দর্য তার কাছে পুরোপুরি অর্থহীন, এই যা । তবে আজ জানালা খোলা এবং সে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আ


খেলা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/১১/২০১৫ - ১২:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ঘণ্টা বাজছে। ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে চলেছে একটানা……বারো………একুশ……আঠাশ...............উনচল্লিশ......তেতাল্লিশ...... । স্টিভ হার্মিসন স্বপ্নে নিমগ্ন, দারুন একটা স্বপ্নের একেবারে শেষ পর্যায়। তার সামনে টেবিল ভর্তি খাবার। ঝলসানো হাঁস, আস্ত ভেড়ার রোস্ট, সেদ্ধ বিট, তেল মাখানো জলপাই…….। হার্মিসন গুনে শেষ করতে পারেনা। রোস্টের দিকে কেবল হাতটা বাড়িয়েছে - ঘুম ভেঙ্গে গেল তার। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত, আজকাল সয়ে গিয়েছে। কতদিন ধরে এই একটা স্বপ্ন দেখে চলেছে সে! আহা একবার, শুধু একবার যদি স্বপ্নটা শেষ হত! চোখ বুঁজে শুয়ে থাকে হার্মিসন | কিছুক্ষণই, তারপর সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখে পিট পিট করে তাকায়। চোখে পড়ে খোলা আকাশ। আকাশের কোল ঘেষে দাড়িয়ে থাকা কালো গ্রানাইটের চূড়ায় অস্পষ্ট দেখা যায় - একটি রুপোলি ঘন্টা। রুপোলি ঘন্টা দুলছে অবিরাম, ডান থেকে বাঁয়ে আর বাম থেকে ডানে। ঘন্টা বাজছে, ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে চলেছে একটানা......তেষট্টি........সাতাত্তর......উনআশি.........নব্বই...... তিরানব্বই। অবরোধের আজ তিরানব্বই তম দিন।