Warning: Creating default object from empty value in i18ntaxonomy_term_page() (line 34 of /var/www/sachalayatan/s6/sites/all/modules/i18n/i18ntaxonomy/i18ntaxonomy.pages.inc).

গল্প

দ্বৈরথ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/০৪/২০১৬ - ৮:৪৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তীরটা ছুঁড়েই চন্দ্রনাথ বুঝলেন এটা একেবারে জায়গামত যাবে।হলও তাই, ত্রিশ গজ সামনে থাকা হরিণটার বুকে বিঁধে গেল,হরিণটাও ধপ করে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। জীবনে শিকার তো আর কম করেননি, কিন্তু এবারের মত তৃপ্তি চন্দ্রনাথ আগে পান নি। এরকম বাতাসের মাঝখানে এতদুর থেকে একটা ছুটন্ত হরিণ শিকার কেউ প্রতিদিন করেনা,তারিফের আশায় তিনি তার পারিষদদের দিকে চাইলেন।


উপযোগিতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১০/০৪/২০১৬ - ১:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলা জয়নাল স্যারের কথা মনে আছে তৃণা তোর? কিভাবে তার নাম মরাচড়া স্যার হয়েছিল? প্রাইভেট পড়া শেষে ফিরার পথে লুঙ্গি পড়া স্যারকে সালাম দিতেই উনি আবৃত্তি স্বরে বলে ছিলেন "আরে তোমরা, বাজার বসে গিয়েছে এখনো বাসায় যাওনি?"

[মরাচড়া স্যার ও মাছ ওয়ালা]

-তেলাপিয়ার মূল্য কত ভাই?
-১৩০ টাকা স্যার।
- কি বলছো ! একে তো মরা, তার উপর দাম চড়া ! দেখেছো মেয়েরা।(আবৃত্তি ভঙ্গিমায়)


বৃক্ষসমাজ

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি
লিখেছেন আশরাফ মাহমুদ (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৪/২০১৬ - ১০:৫৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'এইটা কী গাছ?'

প্রশ্ন শুনে আমি মাথা উঁচু করে বাঁ দিকে তাকালাম, গভীর সহজ সবুজ পাতা, লালচে-ধূসর বাকল, আর হলদে-সবুজ অগণন ফুলের মাঝে কচি কচি সবুজাভ হলদে পাকা ফলের বৃক্ষ, লম্বায় প্রায় ১৩ ফুট। থোকা থোকা আপেলের মতো ফল, বিষে সমৃদ্ধ, ধর্মনেতা আর রাজনীতিবিদদের মনের মতো।


ইশকুল

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ৩০/০৩/২০১৬ - ১:৩৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]হয়ত আমিও চাইলে আজ ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হতে পারতাম!

কিংবা ইউনিভার্সিটির বড় প্রফেসর! বড় কোন উকিল! কিংবা দেশ-বিদেশে ঘোরা অনেক বড় বিজনেজম্যান!

কিন্তু সেগুলোর কিছুই আমি হতে পারি নি। হতে পারতাম কিভাবে? ইশকুলের অংকের মোতালেব স্যার বলতেন রাজনের পড়াশোনায় একদম মনোযোগ নেই। কয়েকটা মুহূর্তও স্থির থাকতে পারে না! জিজ্ঞেস করতেন, “উপপাদ্যগুলো পড়েছিস?”


এফ ওয়ার্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৬/০৩/২০১৬ - ১০:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"বাবা তুমি এফ ওয়ার্ড জানো?"

মাত্র খেতে বসেছিল আনজাম। অহনা আজ গরুর মাংশ রান্না করেছে। আকাশ পাতাল ঝাল, কয় চামচ শুকনা মরিচ দিয়েছে কে জানে! প্রথম লোকমা মুখে দিয়েই কাঁপতে কাঁপতে পানির গ্লাসের দিকে হাত বাড়িয়েছে অমনি এই অপ্রত্যাশিত প্রশ্ন। হাত রয়ে গেল হাতের জায়গায়, মুখ থেকে দুই ইঞ্চি দুরে। পানি ভর্তি গ্লাস ততক্ষণে মাটিতে, প্রশ্নের ধাক্কায় খসে পড়েছে হাত থেকে।


মানবাক্রান্ত

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: রবি, ১৩/০৩/২০১৬ - ৪:২৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরেকটু বড় হলেই ছেলে দুটো তাকে ছেড়ে চলে যাবে। এই সত্যটি জেনেও বিলু তাদের খাবার যোগান দিতে কখনো আলসেমি করে নি এবং সেটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীর আর দশটা মা যেমন সন্তানকাতর, বিলুও তেমনি। বিলুর নিজের কোন স্থায়ী ঠিকানা নেই, পরের ঘরেই তার সংসার। সন্তানদের বাবা তাদের জন্ম নেয়ার আগ থেকেই নিখোঁজ। বিলু জানে পুরুষেরা এমনই স্বার্থপর হয়। মেলামেশায় যতটা আগ্রহ, সন্তান পালনে ততটাই অনাসক্তি। সমাজ এবং প্রকৃতি দুট


জামিয়াহ আল-বাংলা কিতাব মাহফিল ২০২০

চরম উদাস এর ছবি
লিখেছেন চরম উদাস (তারিখ: সোম, ২৯/০২/২০১৬ - ৪:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবি হিলফুল ফুজুল বিন উমরের আদি নাম ছিল হিল্লোল ফজল। হিল্লোল নাম শুনে ফজল পর্যন্ত না গিয়েই নাক সিটকাতো প্রকাশকেরা। বাংলা একাডেমির আমীর আল্লামা শামসুর সুস্পষ্ট নির্দেশ আছে লেখকের নামেও যেন কোন ধরণের উস্কানি না থাকে। হিল্লোল নামের মাঝে পরিষ্কার একটা হাসি মস্করা এবং হিন্দুয়ানী গন্ধ আছে। কিন্তু হিল্লোলরা হিন্দু নয়। একদিন হিল্লোল গাল ফুলিয়ে তার বাপ অমর ফজল কে গিয়ে ধরে, আব্বাজান আপনার নামটা ওমর না রেখে অ


অপেক্ষা আর ভয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ২৭/০২/২০১৬ - ১১:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

-ভাবী, আমার ছেলে তো আমাকে মা ডাকছে না।
-ওকে মা ডেকে ডেকে ,ওর সাথে কথা বলেন।

শুরু হল আমার অভিযান। উঠতে ,বসতে তাকে 'মা' ডেকে কথা বলা। "কি মা... ,মা কি হয়ছে...মা তুমি খাবে, মা তুমি যাবে..."। বেশ কিছুদিন পর পরীক্ষার পালা। ছেলেকে বললাম "টুকু ,মা কোথায়?" ছেলে আমার হেসে হেসে নিজেকেই দেখিয়ে দিল।


ফেরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/০২/২০১৬ - ৬:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]গেইটটার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক হলাম। এক অদ্ভুত ভালো লাগা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখলো।

সেই আজিমপুর থেকে হেঁটে আসছি। কত কিছুই বদলে না গেছে! কত দিন পর? কত বছর পর আজ আমি এখানে? আজিমপুর থেকে নিউমার্কেট, নিউমার্কেট থেকে নীলক্ষেত কত ঘুরে ঘুরেই না আসতে হল এখানে! সবকিছু কেমন অচেনা লাগছে আমার। অবাক চোখে সবকিছু দেখতে দেখতে হাঁটছি। হাঁটতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তলপেটের এই ব্যথাটা আবার যেন চেপে ধরেছে। কিন্তু আমি জানতাম আমাকে এখানে কোন একদিন ফিরে আসতেই হত। আর আজ এখানে আসতেই দেখি, ভেতরের অজস্র স্মৃতি আমার দৃষ্টিটাকে ঝাপসা করে দিচ্ছে।


মা

ঈয়াসীন এর ছবি
লিখেছেন ঈয়াসীন [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৮/০২/২০১৬ - ৩:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি: