প্রথম পর্ব পড়তে চাইলে এখানে চিপি দিন
নানা দেশের আকাশ পেরিয়ে প্লেন যখন ল্যান্ড করল তখন আমস্টারডামে বিকেল হয়ে গেছে। যেখান থেকে প্লেন টিকেট কেটেছিলাম তারা বলে দিয়েছিল আমস্টারডামে এক রাত থাকতে হবে। টিকেটের সাথেই হোটেল বুকিং দেয়া আছে।
প্রথমেই বলে নেই সে আমলের ছেলে পেলে হিসাবে আমরা বিশাল ভোদাই ছিলাম। অভদ্রসুলভ বাক্য ব্যবহার করতে হল বলে নিজ গুণে ক্ষমা করে দেবেন। ঐ আমলে আমাদের চিন্তার বিস্তৃতি কেমন ছিল তার বিবরণ দিতে গিয়ে "ভোদাই" এর থেকে ভাল কোন শব্দ পেলাম না। সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলে ইন্টারনেটের তেমন চল ছিল না। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লক্স কিংবা যমুনা ফিউচার পার্ক এর মতন অত্যাধুনিক মল ছিল না। ইস্টার্ন প্লাজায় তখন যে শপিং করত তখন তাকে আমরা ভাবতাম মালদার পার্টি। এখনকার ছেলেপেলেদের তুলনায় ঐ আমলে আমরা যার পর নাই বেয়াকুব ছিলাম।
ডিসক্লেইমার:
এই নিউজক্লিপগুলি ত্রিশ লক্ষের পরিসংখ্যান নিয়ে একাডেমিক রিসার্চের বিকল্প নয়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের পরিসংখ্যান নিয়ে এখন পর্যন্ত কোন পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক গবেষণা হয় নি। যতদিন হবে না এটি কি ত্রিশ লক্ষ, নাকি আরো কম, নাকি আরো বেশি এ নিয়ে কখনও জোর গলায় কথা বলা যাবে না।
চৈত্র মাসের এক ভয়াবহ গরম দুপুরে খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পড়ে পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার বাবা অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছেন। পাশ কাটিয়ে পাশের রুমে যাবার সময় আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টি হেনে আমার মা'কে যেয়ে বললেন,"ওরে বল ফালটা দুইটা ঢাইকা রাখতে"। টাংগাইলের ভাষায় ফালটা মানে হল লাঠি। সেই আমলে আমার খুব বডি বিল্ডারের মতন শরীর ছিল। বডি বিল্ডার মানে রবিউল কিংবা টেলি সামাদের মতন বডি আর কি। হাল আমলের ছেলে পেলেরা রবিউল কিংবা টেলি সামাদ সম্পর্কে অবগত কিনা জানি না, তবে আমি নিশ্চিত গুগল করলে উনাদের কিছু ছবি পাওয়া যেতে পারে।
আরো ভাল রেজ্যুলশনে দেখতে হলে কি করতে হবে? রাইট ক্লিক করে ইমগুর লিংকে চলে যেতে হবে।
আগের পর্ব: ইন্টারকনে বিস্ফোরণ : যার ঝাঁকুনি লেগেছিল বিদেশেও -
গত বছর দুয়েক চাকরির সুবাধে নিয়মিত সাপ্তাহ শেষে বাড়ি ফিরতে হয় ট্রেনে। যদিও বাংলাদেশে ট্রেনের সাথে এই নিবিড় সম্পর্ক বহুকালের। তাই মোটামুটি যাত্রাপথের সকল সুযোগ-সুবিধা, হয়রানি, অনিয়ম, এমনকি প্রতিটি স্টেশানের মানুষের আচরণের সাথে বেশ পরিচিত। আর গত নির্বাচনের আগে বুঝেছিলাম বাংলাদেশের গনতন্ত্রের অন্যতম স্তম্ভের একটি হল ট্রেন। তাই সেখানে আক্রমন করে গনতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত ছিলো বাংলাদেশের সবচ
আরো ভাল রেজ্যুলশনে দেখতে হলে কি করতে হবে? রাইট ক্লিক করে ইমগুর লিংকে চলে যেতে হবে।
আপু চলে গেল। এক এক করে চারিদিকের সব আলো নিভিয়ে দিয়ে। ঘর আলো করা ওর সেই উজ্বল হাসি, ক্যান্সারের প্রবল আঘাতেও যেটা এতটুকুও ম্লান হলো না তাকে সঙ্গে করে নিয়ে চলে গেল চিরতরে। অসুস্থ অবস্থায়ও সবার প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পাশে থাকা মানুষটা আমাদেরকে অতল শূন্যতায় ডুবিয়ে নিমিষেই নেই হয়ে গেল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাত্র ২৮ বছর বয়সে ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়ে আপুর। তারপরে সার্জারি-কেমোথেরাপি। কিছুদিন ভালো থাকা
ঠিক আগের মাসে স্কুটি কিনেছিলাম। বেশ বড় অংকের খরচ গেছে তাতে। ইউরোপভ্রমণের সম্ভাবনা ঘুণাক্ষরেও জানা থাকলে এই খরচটা করা হতো না। ভ্রমণের পরিকল্পনার পাশাপাশি খরচের ভাবনাটাও তাই বেশ জেঁকে বসল। সেই সাথে রয়েছে ছুটির দুশ্চিন্তা। অফিসে জনবল কম। চাইলেও ছুটি পাওয়া যায় না প্রায়ই। তার উপর প্রায় কাছাকাছি সময়ে আমার বসও যাচ্ছেন ইউরোপে। পরিস্থিতি দেখে তিনি আমাকে আগে ছুটির দরখাস্ত করতে বললেন। উনার ছুটির গ্যাঁড়াকলে য
আরো ভাল রেজ্যুলশনে দেখতে হলে কি করতে হবে? রাইট ক্লিক করে ইমগুর লিংকে চলে যেতে হবে।
আগের পর্ব: সামনে লাল ট্রাফিকের সিগন্যাল
সামনে তো ৩রা নভেম্বর আসছে। ১৯৭৫ সালের এইদিনে আমাদের জাতীয় চার নেতাকে জেলের মধ্যে গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। আমাদের গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদপত্রগুলোর সম্পাদকীয়তে এ নিয়ে তারপরের কয়েকদিনে কী প্রতিক্রিয়া ছিল?
৪ থেকে ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত পত্রিকাগুলো দেখলে জানা যায় মাত্র একবার একটি পত্রিকায় সুশীল টাইপ একটি সম্পাদকীয় এসেছিল। ৭ই নভেম্বর থেকে যেহেতু আবার দেশের পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয় সেদিন বা এর পরে যদি না এসে সেটা না হয় মাফ করা যায়। কিন্তু তার আগে যে বড় বড় পত্রিকার সম্পাদকরা এটি নিয়ে টুঁ শব্দটিও করলেন না এটি তো দেশের সাংবাদিকতা চর্চার ইতিহাসে একটি বড় কলংক। আজকে যখন প্রথম আলোর মতিউর রহমান বা ডেইলী স্টারের মাহফুজ আনামের দ্বিচারিতা আমরা দেখি তখন কি খুব বেশি অবাক হওয়া উচিৎ? তারা যে উত্তরাধিকার বহন করছেন সেটি কী খুব গৌরবজনক?
নিচে নিউজক্লিপগুলোতে আমি সম্পাদকীয়গুলো দিলাম। যেসব পত্রিকার কথা বলা হচ্ছে তাদের সম্পাদকরা ছিলেন নুরুল ইসলাম পাটোয়ারী (দৈনিক বাংলা), আনোয়ার হোসেন (ইত্তেফাক), ওবায়দুল হক (অবজারভার) ও এনায়েতউল্লাহ খান (বাংলাদেশ টাইমস)।
৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭৫
এদিন কোন পত্রিকার সম্পাদকীয়তেই জেল হত্যাকাণ্ড নিয়ে কিছু বলা হয় নি। সেদিন অবশ্য সংবাদ হিসেবেও এটি পত্রিকাগুলোতে আসেনি।