১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের পর থেকেই যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করা শুরু হয়। এই গ্রেফতারের ঘটনাগুলো নিয়মিত পত্রিকায় আসত। আমি ঠিক করেছি এগুলো যতটুকু পারি একত্র করব। দেখা যাক কতদূর যায়। একটি ব্যাপার মনে রাখতে হবে যতজনের খবর আসবে দালালের সংখ্যা তত নাও হতে পারে। কারণ অনেকের খবরই ইংরেজী ও বাংলা দুই ভাষার পত্রিকাতেই আসতে পারে।
১. বি. আর. মজুমদার - জানুয়ারী ১, ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
এই লেখাটি মূলত: আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণার কিছু দলিলের স্ক্রিনশটের ডকুমেন্টেশন। স্বাধীনতা ঘোষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে এই লেখাগুলো পড়তে হবে।
সান্তাক্লজ কিন্তু আমার শৈশবেও ছিল একজন। বাসায় আসতেন সারাবছর, সপ্তাহে দুইবার। সারাবছর কাঁধে তাঁর অবিকল সান্তাক্লজের মত এক ঝোলা। খয়েরি রঙয়ের ইউনিফর্ম পরেই আসতেন বড়দিনে। কিন্তু সেইদিন থাকত তাঁর মুখে এক মধুর হাসি। দোতালার যে বারান্দায় বসে মন্থর দুপুর পার করতাম ফেরিওয়ালার ডাক শুনে, সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকতাম বড়দিনের বিকেলে সান্তাক্লজের প্রতীক্ষায়।
লেখার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে ভাবতে ভালোলাগে, সেই একজনটা না’হয় হোক আমার অবচেতন মন কিংবা দু’একজন সত্য বন্ধু।
রবিবার গুলো কেটে যায় আলসেমি না করে, রাজকন্যা কঙ্কাবতীর মতো কফিতে আয়েশি চুমুক দেয়া হয় না আজ ক’মাস। তবে মাথার ভেতর লেখা চলে, অবিরাম নতুন ভাবনা উঁকি দেয়।
জাফর ইকবাল স্যারের সাথে দীর্ঘ যাত্রার শুরুটা হয়েছিলো ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে। একদিন স্কুলের ভাঙ্গাচোরা লাইব্রেরি (এক আলমিরা জীর্ণশীর্ণ বই) থেকে পেয়েছিলাম ‘বিজ্ঞানের একশ মজার খেলা’। বইটা দেখে মনে হলো, আরে বিজ্ঞান নিয়ে খেলাও হয় নাকি, নিয়ে দেখিতো জিনিসটা কেমন!
>বাবা! তুমি আবার ঐ পাঁজী গুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছ!<
বিপদ আর কাকে বলে! আঁচলকে নিয়ে গিয়েছিলাম গান শেখাতে। সেখান থেকে ফিরছি। ভেবেছিলাম ছুটির দিনে রাস্তা এত ব্যাস্ত থাকবে না। কিন্তু পথে নেমে দেখি; কাজের দিনের চেয়ে ভীড় কম না। প্রতি দিকের তিনটি করে গাড়ি চলার লাইন। তারপরেও গাড়ি গুলো পথ পাচ্ছে না। কর্পোরেট জীবনে ছুটি বলে কোন কথা নেই। সবাই ছুটছে। কীসের পেছনে?
প্রায় পাঁচ বছর পর ডিসেম্বর মাসটা ঢাকা শহরে কাটাচ্ছি। ৩০ বছরের জীবনের ২৫টা বছরই কেটেছে ঢাকায়। গত পাঁচ বছরের প্রবাস জীবনে এক-দু’বার যা দেশে আসা হয়েছে তা হয় বছরের মাঝামাঝি, অথবা যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিনের পরে। বিজয় দিবসে নগরীর সাজ সাজ রবের ব্যাপারটাই প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। এবার তাই সদ্য কেনা স্মার্টফোন হাতে বেশ তৈরি হয়েই বেড়িয়েছি প্রতিদিন, স্মৃতির খাতা ঝালাই করব বলে। কত কিছু যে পাল্টেছে, কত কিছু আবার ঠিক
১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের প্রথম বিজয় দিবসে পত্রিকায় যেসব বিজ্ঞাপন এসেছিল সেগুলোতে এক নজর চোখ বুলালেই সেই সময় দেশের মানুষের আবেগ, আশা, স্বপ্নের ব্যাপারটি কিছুটা অনুভব করা যায়। আমি এরকম একশোর একটু বেশি বিজ্ঞাপন একত্র করেছি। তার মধ্যে যে আঠারোটি সবচেয়ে ভাল লেগেছি সেগুলো এখানে দিলাম। আপনার যদি অন্যগুলো আরো ভাল লাগে আপনিও আমার সংগ্রহ থেকে সেগুল
গ্রাম্য শীতের সকালের কেমন যেন একটা নিজস্ব গন্ধ থাকে। হালকা কুয়াশায় সেই গন্ধ মিশে থাকে। মিশে থাকে মেঠো রাস্তার উপর পড়ে থাকা হলদেটে সবুজ পাতায় লেগে থাকা শিশিরে। এই গন্ধ ভর করে ফসলের ক্ষেতে কাকতাড়ুয়ার মাথার উপর বসে থাকা দোয়েল অথবা লেজ ঝোলা ফিঙের ডানায়। ভোরের প্রথম আলোতে যে কৃষক পরম মমতায় হাত বুলায় তাঁর সাধের ফসলে, এই গন্ধ মিশে থাকে তাঁর ধূসর রঙের চাদরে। এই গন্ধ বসত গাড়ে বাঁশ ঝাড়ের শিশিরে ভেজা পাতায় আ
কাছাকাছি সময়ে আমাদের জাতীয় জীবনে এমন কোন সময় এসেছে যেদিন সবদিক থেকে শুধু আনন্দের খবর? কিছুদিনের মধ্যে এরকম দুটি ব্যাপার আমার মনে পড়ছে। একটি হল এবার খুব কাছাকাছি সময়ে ঈদ আর পূজা আর আরেকটি হল আরো ২০১৩ আগে এক সপ্তাহের ও কম ব্যবধানে বিজয় দিবস কিংবা কাদের মোল্লার ফাঁসি।