কুফা

সাইফ তাহসিন এর ছবি
লিখেছেন সাইফ তাহসিন (তারিখ: শুক্র, ১৫/০১/২০১০ - ৩:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এককালে শুনিয়াছিলাম কুফা বন্দর দিয়া কুফা নগরীরে একবার প্রবেশ করিলে নাকি আর সেই বন্দর খুঁজিয়া পাওয়া যায় না, তাহা বেমালুম গায়েব হইয়া যায়, আর এর মাঝে যারা বন্দরে আঁটকা পড়িল তাহারা যতই বান্দরের মত বন্দরে নর্তন কূর্দন করুকনা কেন, তাহা অরণ্যে রোদন ব্যতিরেকে আর কিছু হয় না। এরূপ এক কুফা বন্দরে আমি ২ দিন যাবত আটকা পড়িয়া শাখা মৃগের ন্যায় ব্যাপক লম্ফ-ঝম্প করিয়া আশে-পাশের মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করিতেছি, আর তাহারাও পালাইতে পারিয়া ব্যাপক দুঃখের সহিত দ্বীর্ঘশ্বাস ফালাইতেছে আর দিন গুনিতেছে, যদি এইখান হইতে কোনমতে ছুটকারা পাই আরকি।

আমি নিজেও বুঝি নাই কিভাবে আমি এই বন্দর খুজিয়া পাইলাম, গত সোমবার সকালে অ্যালার্ম শুনিয়া ঘুম হইতে উঠিয়ায় তাহার গলা চিপিয়া দিলাম, যথারীতি ২য় পর্বের ঘুমের মাঝেই যেন দৈবিক অ্যালার্ম বাজিয়া উঠিলে আমি চোখ রগড়াইয়া দেখি সকাল ৭.৪৩ বাজে, অথচ আমার আপিস ৮ ঘটিকায়, কাজেই একহাতে দাঁত মাজিতে মাজিতে আর আরেকহাতে পায়জামা পরিধান করিতে করিতে অফিস রওয়ানা করিয়া ৪ মিনিট দেরীতে পৌছাইয়া হাফ ছাড়িয়া বাঁচিলাম, কিন্তু আধাঘন্টা যাইতে না যাইতে আমার বস আসিয়া হাজির হইল, তারও আধাঘন্টা পরে তাহার শ্বাস পাইলাম ঘাড়ে, বুঝিলাম, নিশ্চিত কোন ঘাপলা হইয়াছে। সে আমাকে জানাইল যে আমার বিকালে যাকে দায়িত্ব দিয়া যাবার কথা, তাহার রঙের ডিব্বা খুলিয়াছে, সে আজকে আসিতে পারিবে না। মনে মনে ১০ খানা গালি দিয়া ফেলিলাম, তখন কি বুঝিয়াছিলাম কোন চিপা গলিতে প্রবেশ করিতেছি। মোটামুটি নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে আপিস করিয়া আমি বাহির হইলাম রাত ৮ ঘটিকায়, সারাদিন পেটে আধথালা ভাত আর কয়খানা ব্রকলি ছাড়া আর কিছু পড়ে নাই। অথচ আগামী দিন আমাকে নিউ ইয়র্ক পৌছাইতেই হবে, সকাল ৮ ঘটিকায় ব্রংক্সের এক চিকিৎসালয়ে আমার সাক্ষাৎকার হইবে রেসিডেন্সির জন্যে।

নিউআর্ক থেকে নিউ-ইয়র্ক যাতায়াত তো আমার জন্যে নিতান্তই ছেলেখেলা, তাই গা করিলাম না, বাসায় ফিরিয়া গোসল ধুইয়া জামাকাপড় স্যুট প্যান্ট জুতা মোজা, রেজর, চুলের আঠা, চিরুনী, সুগন্ধ এমন নানাপদের বালছাল দিয়া ব্যাগ ভরিয়া সকল কিছু নিয়া গাড়িতে চরিলাম। তারপর ৯:১৮ নাগাদ রওয়ানা করিলাম নিউ ইয়র্কের পথে, এই পথে এতবার আসিয়াছি যে, কোন চিপায় মামু বসিয়া থাকে, সকলই মুখস্ত, তাই সেইসব স্থানে আসিয়া গতি কমাইয়া ভদ্র-নুক হইয়া যাই । এইভাবে প্রায় ৭০ মাইল রাস্তা আসিয়া পড়িয়াছি, এমন সময় আমার গাড়িতে কাঁপুনি অনুভব করিলাম, আমি পাত্তা দিলাম না, এতো হয়ই অহরহ, কিন্তু ১ মিনিট পরে আর পারিলাম না, রাস্তার পাশে দাড় করাইয়া বনেট খুলিলাম। না আছ্বে কোন পোড়া গন্ধ, না আছে কোন ধোঁয়া, আমি বুঝিতে পারিলাম না, বেহুদা ইঞ্জিনের বাতি লাফাইতেছে কেন?

কি মনে করিয়া রেডিয়েটরের রিজার্ভারের ঢাকনি সরাইয়া দেখি ভিতরে ফকফকা, পুরাই “চান্দের আলো ঝিলিক মারে, গলায় টিনের হার”, যাক মুঠোফোনের আলোয় পানি ঢালিলাম, তারপর গাড়ির ভিতরে আসিয়া বসিলাম, বসিয়া আর গাড়ি স্টার্ট নেয় না, কোন গলা খাকারিও দেয় না, মনে মনে প্রমাদ গুনিয়া আমার কোড-রিডারটা বাহির করিয়া লাগাইলাম, [এহেন আরো কিছু যন্ত্র এখন আমার গাড়িতেই থাকে], কোড দেখিয়া কি হইবে, সরাসরি এরর মেসেজ মুছিয়া দিয়া আবার চাবি ঘুরাইলাম, যদি স্টার্ট নেয়। হালকা একটু কাশি দিয়া গাড়ি আবার চুপ, প্রথমে সুন্দর করিয়া আদর করিয়া কতকিছু বলিলাম গাড়িকে, কিন্তু খাচ্চর গাড়ি কি আমার কথা শুনিবে? সে বড়ই গোস্যা হইয়াছে আমার উপরে, তখন বাপ-মা-চৌদ্দ পুরুষ তুমিয়া গালি দিতে লাগিলাম, সেই সাথে বাহির হইয়া আবার পরখ করিলাম, পানি কি সব নিচে দিয়া পড়িয়া গিয়াছে কিনা? দেখিলাম, না পানি আছে সব। মাথা চুলকাইতে চুলকাইতে আসিয়া আবার চাবি ঘুরাইলাম, হালকা কাশি দেওয়া মাত্র আমি ঠাসিয়া ধরিলাম অ্যাক্সেলারেটর, ব্যাপক ধুয়া ছাড়িয়ে গাড়ি স্টার্ট নিল। আর আর ডাইনে-বায়ে না তাকাইয়া অ্যাক্সেলারেটর ঠাসিয়াই রাখিলাম, কাপিতে কাপিতে গাড়ি আগাইয়া চলিল, তখন আমার মাথায় একমাত্র চিন্তা হইল, যে কোন মূল্যে নিউ ইয়র্ক পৌছাইতেই হইবে, রাস্তার প্বার্শে রাত কাটানো যাইবে না, অনেক কাঠ-খড়-ভুষি পুড়াইয়া এই সাক্ষাতকার যোগাড় করিয়াছি।

আগামী ১০ মাইল যাইতে যেন আমার অনন্তকাল লাগিল, দেখিলাম গাড়ির তাপমাত্রার নির্দেশক আস্তে আস্তে বাড়িতে বাড়িতে লালের কাছে চলিয়া আসিতেছে, মনে মনে বার বার কহিতে লাগিলাম, এর একটু বাছাধ্ন, আসিয়া পড়িয়াছি। দাঁতে দাঁত চাপিয়া একখানা সার্ভিস সেন্টার আছে পথের প্বার্শে, সোজা গিয়া তাহার দরজায় গাড়ি দাড়া করাইয়া ফেলিলাম। এক লোক দাড়াইয়াছিল, তাহাকে বুঝাইয়া বলিলাম, কি নাটকের মাঝের ক্লাইম্যাক্সে আটকা পড়িয়াছি। সে আসিয়া আরেক গ্যালন পানি ঢালিয়া আমার গাড়ি স্টার্ট দিল, কিন্তু এইবার এক কাশি দিয়া তারপর এমনভাবে ধুয়া বাহির হইতে লাগিল যে কি বলিব, কোন উচ্চাবাচ্য না করিয়া আমি ১০ হাত দূরে গিয়া দাড়াইলাম, হাজার হইলেও চাচা আপন পরাণ বাচা। এইদিকে গ্যারেজের ম্যানেজার ছুটিয়া আসিয়া আমাকে আর তাহাকে ইংরেজীতে খাচড়া খাচড়া গালি দিতে লাগিল। ভদ্র বাংলায় বলিলে, “তোমার বিষ্ঠা আমার দরজা হইতে দূরে গিয়া ফেল অথবা ঐ ব্যাটা, তুই দূরে গিয়া মর” আমি নিরূপায় হইয়া সাহায্যরত লোকটার দিকে তাকাইলাম, সে হাসিয়া বলিল, যে ধোঁয়া দেখিয়াছ, তাহা পানি ব্যাতিরেকে আর কিছু না। কিন্তু তাতে ম্যানেজারের কোন ভাবান্তর হইল না, সে বলিল “টো-ট্রাক” ডাকিয়া ইহাকে বিদায় কর। এইদিকে বাইরে এমন ঠান্ডা যে কি বলিব, জ্যাকেটের ভিতর দিয়া থার্মালের সুতা কাটিয়া শত আমার চামড়ায় বেরসিকের ন্যায় কামড়াইতে লাগিল, মশা কামড়াইলে তাহাকে তাড়ানো যায়, শীতে কামড়াইলে কি করিব? এইসব চিন্তা করিতেছি, এর মাঝেই বিকট শব্দে ভিড়িম করিয়া আমার ইঞ্জিন ফাটিয়া গেল।

আমি একটু অনুনয় বিন্য় করিয়া বলিলাম, আজ্ঞে আজকে রাতের মত গাড়িটা এখানে রেখে যাই? কালকে আমার খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে, উহা সারিয়া আসিয়া আমি আমার গাড়ির হেনস্তা করিবনে, সে এমন মুখ করিয়া খিচাইয়া বলিল যে, ২ ঘন্টার বেশি কোন গাড়ি থাকিলে তাহারা ইম্পাউন্ড করিবে। এতদিন শুনিয়াছি, হাতি কাদায় পড়িলে মশাও হাতির ‘ইয়ে’ মারে, আর সেইখানে আমি এমনিতেই আকারে মশার সমান, আমাকে এই ব্যাটা কি করিবে, তা সহজেই অনুমেয়। এই ধরনের ঢং ঢাং এর মাঝে দিয়া ১১:৩০ বাজিয়া গেল, টো ওয়ালা আর আসে না। পৌনে বারোটার দিকে সে আসিয়া ট্রাকের পিছনে আমার গাড়ি তুলিয়া আমাকে ট্রাকে গিয়া বসিতে বলিল। আমিও ভালূ পুলার ন্যায় গিয়া ট্রাকে চড়িয়া বসিলাম। এই ব্যাটা ত্যানা না পেচাইয়া আমাকে বলিল, এই সময়ে কোন গাড়ি ভাড়া পাওয়া যাইবে না, তখন প্রায় ১২ বাজিয়া গেছে, তবে কিছু পাত্তি দিলে সে আমাকে নিয়া ট্রেন স্টেশনে নামাইয়া দিবে, তাতে করিয়া আমার খরচাও কম হইবে আর ট্যাক্সির জন্য্যে অপেক্ষা করিতে হইবে না। ১২:১৫ টা নাগাদ সে আমাকে একখানা ভূতুড়ে রেলস্টেশনে আনিয়া ফেলিল, খুশিমনে তাহাকে কিছু বকশিশ দিয়া আমিও প্ল্যাটফর্মে গিয়া দাড়াইলাম। ভূতুড়ে স্টেশনে জন মনুষ্যের চিহ্ন পর্যন্ত নাই, কিন্তু শীত কাহাকে বলে এইবার টের পাইলাম হাড়ে হাড়ে ছিদ্রে ছিদ্রে। সকল গহবর দিয়া ঠান্ডা ঢুকিয়া আমার অন্তরাত্মা পর্যন্ত কাপাইতে লাগিল, এর মাঝে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মত জোরে বাতাস বহিতে লাগিল। এদিকে হাতের জিনিস নামাইয়া গা হাত পা টিপাটিপি করিব এমন অবস্থা নাই, একহাতে স্যুট, আরেক হাতে জুতার বাক্স, কাঁধে কোল কম্পুর সাথে দুনিয়ার আজাইরা জিনিস দিয়া ভর্তি।

১২:২৪ এর ট্রেন আসিল ১২:৪৫ এ, সব দোষ কিনা হয় আমাদের গরিব দেশের বিয়ার থুক্কু বি-আর ওরফে বাংলাদেশ রেলওয়ের। এদের দেখি সময়ের কোন মা বাপ ভাই বোন নাই। তার মাঝে ট্রেন দেখি আসিয়া দাড়াইল ২ প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে, বলেন দেখি, কেমন লাগে মেজাজটা। রাগে গজগজ করা বাদ দিয়া জান হাতে নিয়া দৌড় দিলাম, এই শীতের রাতে সাত খুন মাফ করতে রাজি আছি, কিন্তু ট্রেনে উঠিতে না পারিলে পরেরটা কবে আসিবে, কে জানে, তাই সেই সুযোগ দিতে চাহিলাম না। ট্রেনে উঠে কুত্তার মত আলা-জিহবা বের করে হ্যা হ্যা করে হাঁপাইতে লাগলাম। যাক, তাও ট্রেনের ভেতরটা গরম ছিল, কিন্তু সেই গরমি বাড়াইতে এক লা-বনিতা আসিয়া হাজির হইল। ব্যবসা মনে হয় খারাপ যাইতেছে, একটু পরপর আসিয়া উপরতালা উম্মুক্ত করিয়া দেখাইতে লাগিল। রাত বিরেতে কত নাটকই না দেখা যায় এইদেশে। আমি এইসব দেখিয়াও না দেখার ভান করিয়া নিউ ইয়র্কে যার বাসায় যাবার কথা, তাহাকে ফুন দিলাম, আপা ফুন ধরিয়াই বলেন, আর কত ধুনফুন করিবা, এতক্ষনে তো বাসায় পৌছাইয়া যাবার কথা, আমি আমার দূর্ভাগ্যের কথা সবিস্তারে বর্ণনা করিয়া সারিলে তিনি ভাইয়াকে ফুন দিতে কহিলেন। কাজেই রাত-বিরেতে লজ্জার মাথা খাইয়া আমি ভাইয়াকে ফুন দিলাম। ভাইয়া রাতে ক্যাব চালান, তাই তিনি বলিলেন, নামিয়ে ফুন করিলেই তিনি আসিয়া আমাকে তুলিয়া নিবেন।

এর মাঝে আমার পত্নীকে জানাইলাম, কি পরিস্থিতিতে পড়িয়াছি, আর উপরওয়ালার কাছে শোকর গুজার করিলাম যে স্ত্রী-কন্যা সাথে ছিল না। থাকিলে এই শীতের রাত্রিতে কি কষ্টই না পাইত। পত্নীর সাথে কথা শেষ হইতে না হইতেই আমার বাবা ফুন করিলেন, জিজ্ঞেস করিলেন, আমি কোথায়, কি করিতেছি। সত্য বেমালুম চাপয়া কহিলাম, আমি নিউ ইয়র্ক যাইতেছি, কালকে সাক্ষাৎকার আছে। গাড়ি চালাইতেছি মনে করিয়া বাবাও ফুন রাখিয়া দিল। আমিও হাঁফ না ফুল ছাড়িয়া বাচিলাম। আমার বাবা এমনিতেই খুব নরম সরম মানুষ, তাহাকে এইসব জানাইলে অহেতুক অনেক দুশ্চিন্তা করিবেন। আমি প্রায় পৌনে ২টার দিকে পেন স্টেশনে আসিয়া নামিলাম, পেন স্টেশনে আসিয়া বুঝিলাম, আগের ঠান্ডা ছিল দুধ-ভাত, এইবারে আসল বাতাস বহিতেছে, আমি সেখানে দাড় কাকের মত দাড়াইয়া ঠকঠক করিয়া কাঁপিতে লাগিলাম, ভাইয়া অবশ্য চলিয়া আসিলেন ২০ মিনিটের মাথায়, তারপর তাহার সাথে করিয়া আমি তাহার বাসায় গেলাম, ততক্ষনে আড়াইটা বাজিয়া গিয়াছে, কালকে কি হইবে চিন্তা করিতে সাহস পাইলাম না, তাই চুপ চাপ ভাত খাইয়া ঘুমাইতে চলিয়া গেলাম। সোয়া ৬টা বাজিতেই বেরসিক অ্যালার্ম আমার কর্ণকুহরে তরল লোহা ঢালিয়া দিল, বাধ্য হইয়া হাচড়াইয়া পাচড়াইয়া উঠিয়া পড়িলাম, আজকে না উঠিলে সারারাতের যুদ্ধ যে বৃথায় পর্যবসিত হইবে। ভাইয়ার হোন্ডা একর্ডের চাবি নিয়া রাস্তায় নামিতেই প্রচন্ড জোরে পেট মোচড়াইয়া উঠিল, বুঝেন তাহলে আমার মনের অবস্থা। এত কিছুর পরেও ৮টার আগেই পৌছাইয়া গেলাম হাসপাতালে। এমন কুফার হাসপাতাল, সকালের নাস্তা পর্যন্ত দিল না, নাস্তা আমি এমনিও খাইনা, কিন্তু ঘুমে চোখ জড়াইয়া আসিতেছিল, তাই এক কাপ কফির জন্যে মন আঁকুপাঁকু করিতে লাগিল।

ভাইবায় বসিলাম বেলা ১টারও পরে, ঐ হাসপাতালের শিশুবিভাগের চেয়ারম্যান আর ডিরেক্টর আমার কাগজপত্রে চিরুনী অভিযান চালাইয়া যাইতে লাগিলেন, আর আমাকে প্রশ্নবানে বিদ্ধ করিতে করিতে ক্ষত-বিক্ষত করিলা ফেলিলেন, আমি মনে মনে বলিতে লাগিলাম, তীরুদা আপনে কোথায়, পালটা ২-১ খানা তীর মারিয়া আমাকে বাঁচান। ৪৫ মিনিট হেনস্তা করিয়া আমাকে তাহারা বাহির করিয়া দিল, আমি এরপরে একটু সুস্থির হইয়া ভাইয়ার গাড়ি নিয়া ফিরতি পথ ধরিলাম। মনে মনে নিজেকে অনেক গালাইলাম নিজের নির্বুদ্ধিতার কারনে। তাহার পরে বাসায় আসিয়া আমার গাড়ি যেখানে আছে, সেখানে ফুন দিলাম, দোকানের মালিক ফুন ধরিয়া যাহা বলিল, তাতে আমার আক্কেল গুড়ুম হইয়া গেল, আমার গাড়ির ইঞ্জিন ভিতরে ফাটিয়া বাতিল হইয়া গিয়াছে, ইহাকে ঠিক করাইতে যা খরচ, বেশ ভালো একখানা গাড়ি খরিদ করা যাইবে। তবে, তারা এই গাড়ি ২৪ ঘন্টার বেশি রাখিবে না তাদের দায়িত্বে। আমি ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করিলাম, তা, আমার করণীয় কি? সে বলিল, ধোলাইখালে পাঠাইয়া দেওয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই। আমি যদি নিজের বাসায় নিইয়া যাইতে চাই, তাহাতেও বেশ খরচ আছে। শুধু টো করাইতে দুই’শতাধিক ডলার খরচা হইবে। আমি কইলাম, তাহলে আমি জাঙ্ক করিবার জন্যে কি করিতে হইবে? সে বলিলে, আমাকে গিয়া গাড়ি খালি করিতে হইবে, নাম্বারপ্লেট খুলিয়া জানবাহন বিভাগে জমা দিতে হইবে আর মালিকানা পত্রে সই করিয়া তাহাদের দিয়া দিতে হইবে।

আমি ভাইয়ার গাড়ি নিয়া নিউ-জার্সি গিয়া হাজির হইলাম, গাড়ি খালি করিয়া তাহাদের বলিলাম, মালিকানার কাগজ পাঠাইয়া দিব। তারপর ফেরার পথে এমন জ্যামে পড়িলাম যে মনে হইল গুলিস্তানের জ্যামে বসিয়া আছি। মড়ার উপরে খাড়ার ঘাঁয়ের মত এক চাঙ্কু মহিলা আমার ঠিক পিছনে আসিয়া গাড়ির উচ্চমস্তিস্কবাতি জ্বালাইয়া বসিয়া রহিল, মনে মনে কয়েকটা গালি দিয়া কয়েকবার ব্রেক প্যাডেল পাম্প করিলাম, কিন্তু তার কোন ভাবান্তর হইতেছে না দেখিয়া ওয়াশার ফ্লুইড মারা শুরু করিলাম, আধা গ্যালন দুর্গন্ধী ফ্লুইড খাইয়া তাহার টনক নড়িল। একেতো রাতে ঘুমিয়েছিলুম মাত্র ৩ ঘন্টা, এদিকে শম্বুক গতিতে গাড়ি চালাইতে চালাইতে ঘুমাইইয়া পড়িতে লাগিলাম, একবার মনে হয় সত্যি ঘুমাইয়া পড়িয়াছিলাম, পিছন হইতে বিকট স্বরে ভেঁপু শুনিয়া ধড়মড়াইয়া বুঝিলাম সামনের গাড়ি আগাইয়া গিয়াছে। ইহার পরে অনেক কাহিনী করিয়া ভাইয়ার গাড়ি ফেরত দিলাম, বাস নিয়া পাতালরেল স্টেশনে আসিলাম, তাহার পরে সেখান হইতে পাতালরেল ধরিয়া আসিয়া পৌছাইলাম পোর্ট অথরিটিতে, সেখান হইলে ছাইরঙা শিয়ালের বাসে চড়ে বসলাম, এমন ফাটা কপাল কি বলিব, আমার যে বাসে ফিরিবার কথা ছিল, সেইখানা পাইলাম না, দেরি হইয়া গেছে বলে অনেক। তাই ফিলাডেলফিয়া অভিমুখে যাত্রা করিলাম, তবে ভাগ্যগুনে সময়মত পৌঁছে গেলাম ফিলাডেলফিয়া, তবে এই ২ ঘণ্টা গ্যাঁট হয়ে বসে থাকতে হল এক চাচামিয়ার পাশে, উনার মনে হয় দাঁতের গোড়ায় সিরিকাস ইনফেকশন, নাহলে ফুসফুসে ইনফেকশন, কারন তার প্রতি শ্বাসের সাথে দুর্গন্ধ আসতে লাগল, মনে হল তার মুখে ইঁদুর মরে পঁচে গেছে। আর আসনগুলো অনেক চাপা, আমাদের ঢাকা-চট্টগ্রামের বাসের আসনের অর্ধেক জায়গা।

ভাবিয়াছিলাম এইখান হইতে ট্রেন নিয়া নিউআর্ক যাইবো, কিন্তু অনিকেতদা জানিতে পারিয়া আমাকে এত রাতে ট্রেনে উঠতে মানা করিয়া দিলেন, তিনি এই প্রচন্ড শীতের মাঝেও আমাকে নিতে আসিবার জন্যে বাসা হইতে বাহির হইয়া গেলেন। ১১:৩০ নাগাদ আমি ফিলাডেলফিয়া পৌছাইলাম, তারপর “ওয়াওয়া” নামের এক কফির দোকানে গিয়া ধুনফুন কিনিয়া খাইতে লাগিলাম, আর অপেক্ষা করিতে লাগিলাম, চোখ পড়িয়া থাকিল অনিকেতদার গাড়ির উদ্দেশ্যে বাহিরে। আর আশায় বুক বাঁধিলাম, এবার মনে হয় কুফা নগরী হইতে বাহির হইবার পথ খুঁজিয়া পাইব!


মন্তব্য

ফাহিম এর ছবি

ঘটনা প্যাচ খাইতে খাইতে তো জিলাপিরেও ছাড়ায় গেসে। ঘটনা কী আরও বাকি, নাকি এইখানেই শেষ??

=======================
যদি আমি চলে যাই নক্ষত্রের পারে —
জানি আমি, তুমি আর আসিবে না খুঁজিতে আমারে!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কিছু ঘটনা বাদ দিয়াছি, কিছু সেন্সর বোর্ডে আটকা পড়িয়াছে, তাই সেগুলার কথা নাহয় বাদই দিলাম, এইসব ক্ষেত্রে সকল ঘটনা না জানাই ভালো। আর জিলাপীতো খাইতে ব্যাপক মজারে ভাই, জীবনে এমন মজা পাইলাম না, খালি জিলাপীর প্যাচই খাইয়া গেলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রাহিন হায়দার এর ছবি

দুনিয়াজুড়া পচুর গিয়ানজাম! তয় লেখা রসালো।
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভাইরে, ঐরসে ডুবিয়া মরিতে নিয়েছিলুম, কানের প্বার্শে দিয়া গুলি গিয়াছে এইবার
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেশনুভা এর ছবি
সাইফ তাহসিন এর ছবি

ঠিক ধরিয়াছেন রেশ্নুভাই, ২৪ ঘন্টার বিভীষিকা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আরো কাহিনী আছে মনে হয়.. ঘটনা কষ্টের হলেও মজার লেখা। কিন্তু রেডিয়েটরে এন্টিফ্রিজ না দিয়ে পানি দিলা কেন সেটা বুঝলাম না। এখানে তো কেউ পানি দেয়না চিন্তিত

সাইফ তাহসিন এর ছবি

পিপিদা, লেখার সুবিধার্থে পানি বলিয়াছিলাম, আর এন্টিফ্রিজের ভালো বাংলা মাথায় আসিতেছিল না, একটা ভালো বাংলা শব্দ দিবেন? তাহলে মডুদাদাকে বলিয়া পাল্টাইয়া দিব 'পানি' শব্দটা। পানি দিলে তো ঠান্ডায় রেডিয়েটর ফাটিয়া যাইবে একরাত্রেই। আর আরো অনেক ঘটনা ছিল, লেখা বড় হইয়া যাইতেছিল, অন্যদিকে খুব কাহিল হইয়া আছি কয়েকদিন যাবত।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দুর্দান্ত এর ছবি

আহারে ভাইডি, দুক্কে আঁর হরান হাঁডি যার্গৈ। কিন্তু এই ঠান্ডায় রেডিয়েটরে খালি পানি ঢাললে তো ইন্জিন গোস্সা কর্বোই। আম্রিকায় কুল্যান্ট নাই?
---
তবে যার শেষ ভাল, তার সব ভাল। দুয়া করি রেসিডেন্সিটা হউক।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

দুর্দান্ত ভাই, আপনার দোয়াতে যেন কাজ হয়, রেসিডেন্সিটা যেন পাইয়া যাই, তাইলে এরকম রোজ একখান কইরা গাড়ির ইঞ্জিন ফুটাইতে পারুম। আর হ, কুল্যান্টই দিসিলাম, ভালো বাংলা শব্দ পাইনাইকা বস, তাই ফাঁকি মারসি, এইটারে পুরাই আমার শব্দভান্ডারের দুর্বলতা কইতে পারেন।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সিরাত এর ছবি

রোজ একখান না ফুটায় আমারে কিছু টাকা পাঠায় দিয়েন... চোখ টিপি

শেখ নজরুল এর ছবি

শেষ পর্যন্ত যে বের হতে পারছেন- এতেই ধন্যবাদ।

শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হ বস, আধাআধি বাইর হইছি, বাকি আদ্ধেক বাইর হবার রাস্তা খুজতাছি, লেখা পড়ার জন্যে ধন্যবাদ বস!
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন এর ছবি

ওরেব্বাস! আপ্নের কুফার কাহিনী পইড়া তো আমার মাথা বনবনাইতেসে! আর লেখা ভালো লাগলেও আপনার দুরবস্থার জন্য সমর্মিতা প্রকাশ করতেছি। প্রার্থনা করি যাতে আর আপনাকে এইসব নিয়া না লিখতে হয় (মানে আরো ঝামেলাতে যাতে আপনার না পড়তে হয়)

আশা করি কুফা কাইটা গেছে ইতোমধ্যে। তো তারপর? হাসি
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আরে বস, কইও না, অই শকে এখনো আমার মাথা বনবনাইতেছে। আমিও এরাম লেখা লেখতাম চাইনা, যতই হাসি ঠাট্টা মারি না কেন, আধাঘন্টা পরপর দীর্ঘশ্বাস বাইর হইয়া আসে। কুফা কাইটা গেলেই হাস্যোজ্বল লেখা দিমু বস, এগুলান কষ্টের পাচালী থুক্কু প্যাঁচালী চোখ টিপি মার্চ মাসের ১৭ তারিখে জানুম, কুফা কাটলো কিনা
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনিকেত এর ছবি

যারা এই লেখা পড়ছেন আর হাসছেন, তাঁদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এই কাহিনীর একটা সুপার-ডুপার র' ভার্সন শোনার 'সৌভাগ্য' আমাদের হয়েছিল (যেটাকে হলিউডি স্টাইলে Uncut version ধরে নিতে পারেন)। এই চরম পরিশীলিত এবং পরিমার্যিত সংস্করণে অনেক 'জ্বালাময়ী' বক্তব্য লেখক সুশীল সমাজের কথা বিবেচনা করে বাদ দিয়েছেন। তবে আমি নিশ্চিত, লেখককে পরিমানমত উৎকোচ প্রদান করলে তিনি ঐ আনকাট ভার্সনও প্রকাশ করতে পারেন যাতে হয়ত সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে লেখা থাকবে "সুশীল ও দূর্বল চিত্তদের জন্যে কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ"।

আমি সেই ভার্সন পড়ার অপেক্ষায় রইলাম---!!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আমিও চোখ টিপি
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওরে দুষ্টু, এরেই বলে, কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দুর্দান্ত এর ছবি

আমিও

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আর মিয়া আনকাট ভার্ষন, জানেন না, মৌসুমি এখন সেন্সর বোর্ডে, তার সেই বিশাল বপু এড়াইয়া আনকাট ভার্ষন রিলিজ হইব কেমনে? তয়, সেইদিন রাইতে হাড় কাপানি শীতে আমারে নিয়া আসার জন্যে ধন্যবাদ দিয়া ছোট করুম না, বড় ভাই হইয়া ছোট ভাইরে নিয়া আসছেন, আপন ভাই হিসাবে আমি নাহয় মুখে ছিপি আইটা রাখলাম।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রাহিন হায়দার এর ছবি

আছি!
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

অতিথি লেখক এর ছবি

আনকাট অংশ শুনতে মঞ্চায়!!! চোখ টিপি
লেখা মজাক হইছে। হাসি

- মুক্ত বয়ান।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কি কইতে চাই তা যদি এতদিনে না জানেন তাইলে আর কমুই না।

কেমন আছেন ভাই?
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, বুঝতাম পারছি রে ভাই, ভালো নাইরে ভাই, তোমার বেহালাটা দিয়া মাথার মাঝখানে জোরে একখান বাড়ি দিবা ভাইডি?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

uncut version টা চাই চোখ টিপি

স্বপ্নদ্রোহ

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ডেলাওয়ার আইয়া পড়েন, রসায় রসায় শুনামু
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

হ বস্‌ হাত তোলাদিলাম, আমিও সুশীল সমাজের বাইরে। ট্রেনের ভেতরে গরমির আনকাট ভার্সনটা পড়াতে মন্চায়।
- বুদ্ধু

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নাউজুবিল্লাহ, কি কন এইসব, ঐগুলান খালি দেখতে হয়, কাউরে কইতে নাই, খুবই লজ্জার কথা কিনা চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নৈষাদ এর ছবি

চরম পরিশীলিত এবং পরিমার্যিত সংস্করণ ভাল লাগল। আনকাট ভার্সন এর জনগনের দাবীর সাথে সহমত। বিশেষ করে ভূতুরে স্টেশন থেকে ট্রেন জার্নির...।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ভাইরে, কোনদিন সামনা সামনি দেখা হইলে বিস্তারিত বলিব, আজকে নাহয় বাদই দিলাম। লেখা পড়িবার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রাকিব রহমান এর ছবি

লেখা অতি রসময়, পড়তে গিয়ে ভিজে একাকার হয়ে গেলাম!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, ধন্যবাদ রাকিব ভাই, সেই রসে আবার কিছু ভিজায়া খান নাই তো?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কালকে (মানে আজকে ভোরে) ঘুমাইতে যাওয়ার আগে এই লেখাটা পড়ছিলাম। তারপর কী হৈলো কৈতে পারবো না। ঘুমের ভেতর খোয়াব দেখলাম একটা গাড়ি করে যাইতেছি, আমরা কে কে জানি! গাড়ি চালাইতাছেন আপনে। হঠাৎ পিছে মামুগো গাড়ির লাইট। পুলিছিয়া, মানে ইটালির পুলিশ। আমি কৈলাম, ভাই খাড়ায়া যান, বৈদেশী পুলিশ কওন যায় না! আপনে আমার কথা না শুইনা দিলেন এক্সেলেটরে খিইচ্যা পাড়া। মামুরাও লাগলো পিছে। পিচঢালা হাইওয়ে থুইয়া নাইমা গেলেন একটা মাটির রাস্তায়। তারপর কোন এক গেরামের চিপায়, বাঁশঝাড়ের কাছে গিয়া গাড়ি গেলো থাইমা। আর চলে না। শেষে মামুরা আইসা পরিষ্কার আংরেজিতে কথা কইতে লাগলো। আমি খাইলাম খাবি। "হালায় আইজকাল দেখি স্বপ্নও আংরেজীতে দেখা ধরছি!"

যাইহোক, একটা একটা কইরা নিয়া বাঁশঝাড়ের বাঁশের লগে হ্যাণ্ডকাপ লাগায়া রাখলো মামুরা। কিন্তু কোনো এক জটিল কারণে আমার হ্যাণ্ডকাপটা আছিলো ঢিলা। বারবার খুইলা যাইতেছিলো। আমি এক মামুরে ডাইকা কৈলাম ঘটনাটা। মামু কয়েকবার টাইট দেয়ার চেষ্টা কৈরা যখন পারলো না, কইলো "ঢলঢল হ্যাণ্ডকাপ লৈয়াই চুপ কৈরা খাড়ায়া থাকো!" আমিও তাই থাকলাম। কিন্তু চুপচাপ না। হাত খুইলা 'রিল্যাক্স' করতাছিলাম একটু পরপরই। এক মামু গিয়া বাইর করলো গাড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ। যেদিক দিয়া পেট্রোল ভরে, ঐদিক দিয়া ফাইট্যা গেছে। ঐখান দিয়া বেবাক তেল ফিনকি দিয়া বাইরাইয়া আইতাছে। ঐদিকে দেখাইয়া কী কী জানি কৈলো, মনে নাই।

হেরপর আবার অন্য খোয়াব দেখা ধরছি।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তারপর কোন এক গেরামের চিপায়, বাঁশঝাড়ের কাছে গিয়া গাড়ি গেলো থাইমা। আর চলে না। শেষে মামুরা আইসা পরিষ্কার আংরেজিতে কথা কইতে লাগলো। আমি খাইলাম খাবি। "হালায় আইজকাল দেখি স্বপ্নও আংরেজীতে দেখা ধরছি!"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি, আপনার আংরেজী স্বপ্নের কাহিনী শুনা পুরাই পেট ব্যাথা হইয়া গেছেগা বস। আমি তাইলে এখন এই পরিমান ভীতির সঞ্চার কইরা ফালাইছি যে মানুষ ভুতের বদলে আমারে স্বপ্নে দেখে চোখ টিপি দেঁতো হাসি, তয়

"ঢলঢল হ্যাণ্ডকাপ লৈয়াই চুপ কৈরা খাড়ায়া থাকো!"

এইরাম মৌলিক চিন্তাভাবনার লাইগা আপনারে উত্তম জাঝা!

যেদিক দিয়া পেট্রোল ভরে, ঐদিক দিয়া ফাইট্যা গেছে। ঐখান দিয়া বেবাক তেল ফিনকি দিয়া বাইরাইয়া আইতাছে।

চোখ টিপি, গুরু, কোন তেল? কেমন জানি মান্ডার তেলের গান্ধা পাইলাম গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আপনার মন্তব্য পইড়া বিয়াফক আনুন্দু পাইলাম বস, লেখা পড়নের লাইগ্যা অনেক ধন্যবাদ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

অনেকদিন পর তোমার লেখা পড়লাম ভাইয়া! ভালো লাগলো!

গল্পের আনকাট ভার্সন শুনার জন্য যদি আমিও ইটা রাখি তাইলে কি দৌড়ানি দিবা?... চিন্তিত

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হা হা হা, গুগুলি টকে কমুনে আনকাট ভার্ষন চোখ টিপি, লেখা কই? আর কতদিন মারবা হে বালিকা, দুষ্টামি-শিষ্টামির পুষ্ট চাই অতিসত্তর
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আমিতো এখন দুঃখু দুঃখু লিখা লিখিরে ভাইজান! আনন্দ কই?

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সবাই আনন্দ-ফুর্তি করলে কষ্ট করব কেডা, আর হেইডা লেখপ কেডা? তাই, তাত্তারি লেখা দাও বিয়াদপ পাজী দুষ্টু বালিকা, নাইলে কইলাম কুত্তা লেলাইইয়া দিমু চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সিরাত এর ছবি

আপনি এত অসাধারণ হিউমার পোস্ট লিখতে পারেন জানতাম না। ব্যাপক আনন্দ পাইসি। শেষটাতো ক্লিফহ্যাঙ্গার করে রাখসেন দেখা যায়। ভাল।

আমার মনে হয় এই লেখাটা আসলে সাইজের কারণে মনে হয় পাত্তা একটু কম পেয়ে গেসে! একেবারে 'টোটালি ডিজার্ভস' এ ৫!! হাসি

সাবাশ!

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ সিরাত, নিজের কষ্টের কথা মানুষকে শুনাইয়া কেন যেন ভালই লাগে, বুকটা হালকা হালকা লাগে, আর আরেকজনের দুর্দশার কথাইয় কেন জানি আমার বিয়াপক ভালুও লাগে :)। হ, অনেক কিছু কাইটা ছোট করছি, তাও বড় হইয়া গেছে, সাইজ দেইখাই সবাই জান লইয়া পলাইছে। পড়নের লাইগা অনেক অনেক ধন্যবাদ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অভ্রনীল এর ছবি

খাইয়াছে! ইহা কি লিখিলেন হে ভ্রাতে! অতি চমৎকার ও সুস্বাদু রসময় হইয়াছে। এক বাক্যে প্রকাশ করিলে বলিতে হইবে যে "ইহা অতিশয় উদ্বাস্তু সৌন্দর্যময় হইয়াছে"। আপনি লিখিতেও পারেন বটে!

পরিশেষে একখান নাদানীয় জিজ্ঞাসাঃ আপনার জীবন কি প্রত্যেহ এইরূপেই যাপিত হইয়া থাকে?

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ অভ্রনীল, তূমার লেখাটা কিন্তু অতিশয় ভালু হইছে, হাতে এত ঝামেলা না থাকলে উবুন্টুর বাংলা অনুবাদের কামে ঝাপায়া পড়তাম।

আমার জীবন কিছুটা মিরকি ব্যারামের রুগীর ন্যায় একটু পরপর খিঁচুনি দিয়াই চলে, অবশ্য এই প্রশ্ন তুমি তোমার বন্ধু শাহানকে করিলে মনে হয় আরো ভালো এবং বিস্তারিত উওর পাইবে হাসি. তবে বেশিরভাগ দিন ভালই যায়, কিন্তু তারপর এমন ভ্যাজাল লাগিয়া সকল কিছুই ব্যারাছ্যাড়া লাগিয়া যায় যে কি বলিব চোখ টিপি
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

কপালের ফের কী আর করা?
আন্ডা বাচ্চাসহ খাইছিলেন ধরা। (থুক্কু আন্ডা বাচ্চাতো সাথে নেন নাই)
যাক কোন প্রকার বড় অঘটনের হাত থেকে বেঁচে গিয়ে অনিকেতদার আশ্রয়ে আছেন জানতে পারে ভালো লাগল। ধন্যবাদ প্যাচ মার্কা লেখার জন্য। ভালোই হলো নতুন একটা গাড়ি কিনতে পারবেন।

সাইফ ভাই, আপনি ইদানিং আমার লেখা পড়েন না। মন্তব্যতো দূরের কথা। আপনার লেখাটা ভালো লাগল। তবে আপনাকে আমার রোগে পাইছে। বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে চাইছি? আশা করি এই ব্যাপারটা খেয়াল করবেন।

আপনাদের সমালোচনা আমার অনেক কাজে লেগেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

কামরুজ্জামান স্বাধীন

সাইফ তাহসিন এর ছবি

কমেন্ট পইড়া খুব মজা পাইলাম, প্রথমত আমার আন্ডা বাচ্চা নাই, আমার মেয়ের বয়স এখন ৪ বছর। আর প্যাচ মারলাম কুনখানে, একটু বিশ্লেষন কইরা বললে বুঝতে পারতাম, আর অনিকেতদার আশ্রয়ে থাকব কেন? সেটাও ঠিক বুঝতে পারলাম না? উনারে কি ভূতে 'ইয়ে' করসে নাকি যে আমারে আশ্রয় দিতে যাবে? এক ঘণ্টার জন্যে আমারে আনতে গিয়া উনারে ৩ ঘণ্টার পেইন খাইতে হইসে।

নতুন গাড়ি কিনুম, আপনে ট্যাকা দিলে, দিবেন?

আপনার লেখা পড়ুম যে, আপনে লেখছেন নাকি? আপনার কোন লেখা তো চোখে পড়ে নাই? লেখন, আইসা মন্তব্য দিয়া যামুনে। আর ইদানিং আমার গরু হারাইইয়া গোপাল ভাড়ের মত অবস্থা হইসে, তাই কি হিন্ট দিলেন, কিছুই বুজতাম পারলাম না। একটু ভাইঙ্গা কন মিয়াভাই।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

নতুন গাড়ি কিনুম, আপনে ট্যাকা দিলে, দিবেন?

এতে চলবে?
auto

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আপনে বাইচা আছেন? আমি তো ভাবছিলাম মারা গেছেন, কইলেন অতি শীঘ্রই লুঙ্গি মাল্কোচা মাইরা লেখা শুরু করবেন। ট্যাকা পার্সেল কইরা দেন বস, এরাম ভার্চুয়াল ট্যাকা নিমু না দেঁতো হাসি

================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

তানবীরা এর ছবি

সেইফব্বাই এর অবস্থা যা দেখতেছি তাতেতো বজ্রপাত ছাড়া তোমার মৃত্যু নাই। গাড়ি যাক, তুমি যে ভালো আছো সেটাই শান্তির। অফিসে ইন্টারনেট ছেড়েছে?
সামারা ফিরে নাই এখনো?

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

সাইফ তাহসিন এর ছবি

তানবীরাপু ঠিক কইছেন, ঠাটা খাইয়া মরন লাগপ, আর অফিসে আন্তর্জাল আছেতার , মাগার ব্যবহার করার উপরে বিশাল নিষেধাজ্ঞা জারি হইছে। সামারা আর তার মা আসবে ২ দিন পর
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হরেকৃষ্ন এর ছবি

আপনের কষ্ট হইল, পইসা গেল, কিন্তু যেমনে কইছেন বড়ই মজা পাইলাম। হ্যার ব্লাডারের প্রব্লেম হয় নাই তো? নাকি পেটের ব্যারাম? একটু কাশির কথা কইছেন, আপনেতো ডাক্তার, ষ্টেথিস্কোপ টা দিয়া বুকে নিমোনিয়া হইছে কিনা দেইখ্যা লইলে হইতো না? যাক ব্যারাম যাই থাক, হে না মরলে তো এই কিচ্ছা হইতো না। ভালা থাইক্যেন, আর চাকরীটা যেন হয়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

হে হে হে, দাদা ভালু কইছেন, যাউকগা আপনার মনে ক্ষনিকের আনন্দ দিতাম পাইরা বিয়াফক ভালু লাগল। আর হ, চারকি না হইলে সচলে লেখালেখিও চাঙ্গে উঠপ, পেটে ভাত না জু্টলে লেখুম কেমতে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।