বিপথগামী ই কোলাই

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
লিখেছেন অনার্য সঙ্গীত (তারিখ: রবি, ০৫/০৬/২০১১ - ১১:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাগজের মতো এরকম চমৎকার একটা জিনিস খাওয়া যায় না কেন? অথবা পলিশ করা কাঠ? নারকেলের ছিবড়ে? পাটের শলা খাওয়া যায় না কেন?

ইট-লোহা খেতে না পারার স্পষ্ট কারণ আছে। ওতে শরীরের প্রয়াজনীয় পুষ্টি উপাদান নেই। কিন্তু কাগজ তো গাছ থেকে তৈরি। নারকেলের ছোবড়াও তো গাছেরই অংশ। এমন কি কাঠও! এই তিনটে জিনিসই শর্করায় একেবারে ঠাসা! তাহলে?

ব্যাপারটা বুঝতে গেলে আগে বুঝতে হবে রেলগাড়ি।

একটা রেলগাড়ি যদি জীবন্ত হয় আর তার নিরন্তর চলার জন্য রাস্তা থাকে তাহলে কী হবে? মনের সুখে সে কুউউউ ঝিক ঝিক করে বগল বাজাতে বাজাতে চলতে থাকবে। আর চলতে চলতে তার খিদেও পেয়ে যাবে ভয়ানক! তখন?

তখন সে আশে পাশে চেয়ে দেখবে পাশের রাস্তা দিয়ে মটরগাড়ি যায়। মোটরগাড়ির ট্যাঙ্কে আছে তেল। ওই তেলটুকু পেলে তার আরো খানিকক্ষণ চলার রসদ হয়। আর তাছাড়া ওই মটরগাড়ি বানানো হয়েছে লোহা দিয়ে। রেলের পুরোনো বগিগুলো কোথাও কোথাও ক্ষয়ে গেছে। মোটরগাড়ির লোহাটুকু হলে বগিগুলো ঠিক ঠাক করে নেয়া যায়। ট্রেন তখন টুপ করে মোটরগাড়িটা ধরে খেয়ে ফেলবে। ঠিক যেমন মানুষ মুরগির ঠ্যাং দিয়ে পোলাও খায়।

মুরগির ঠ্যাঙে থাকে প্রোটিন (আরো অনেক কিছু)। ওই ঠ্যাং মানুষের পেটে গেলে তার দফারফা করে দেয় একটা এনজাইম। প্রোটিনের জন্য এনজাইম বলে নাম প্রোটিয়েজ। এই এনজাইম প্রোটিনকে টুকরো টুকরো করে ফেলে। সেই টুকরো গুলো চলে যায় শরীরের কোষে কোষে। যে কোষের প্রোটিন দরকার সে প্রোটিন পায়। পোলাওয়ের ব্যবস্থাও এরকমই হয়। পোলাওয়ে থাকে শর্করা। শরীরের শক্তি তৈরির জন্য যে জ্বালানি দরকার, শর্করা তাদের মধ্য অন্যতম। শর্করা টুকরো করার প্রোটিন শর্করাকে ভেঙে শরীরের ব্যাবহারের উপযোগী বানিয়ে দেয়।

তো মূল ব্যাপারটা হচ্ছে এই, রাজা প্রসাদ বানাতে চায়। কিন্তু তার ইটের সংস্থান নেই। সে তখন মানুষের বাড়ি দখলে নেয়। দখল নেয়া আস্ত বাড়ি দিয়ে যেহেতু প্রসাদ হয় না। তাই রাজা সেইসব বাড়ি ভেঙে ভেঙে ইটগুলো আলাদা করে নিয়ে তা দিয়ে মনমতো প্রসাদ বানায়। উন্নত প্রাণিদের খাওয়া মানে ব্যাপারটা এই। ধরো, টুকরো করো এবং টুকরোগুলো নিজের কাজে লাগাও।

কাগজ অথবা কাঠ না খেতে পারার কারণ এখানে। কাগজ এবং কাঠে থাকে সেলুলোজ। সেলুলোজ ভেঙে টুকরো করতে যে এনজাইম দরকার সে মানুষের পেটে নেই! জবরদস্তি করে দিস্তে খানেক কাগজ খেয়ে ফেললেও তাই তা শরীরে কোনো কাজে লাগে না!

আমরা যে সবুজ সবজি খাই, তার বেলা? সবাই জানে, গাছের সবুজ পাতায় থাকে ক্লোরোফিল। মানুষের পেটে গিয়ে ক্লোরোফিল কী হয়? মানুষের তো আর পাতা নেই, তাই তার ক্লোরোফিলও নেই, ক্লোরোফিলের প্রয়োজনও তার নেই! (এই হিসেব মতে তার ক্লোরোফিল হজম করার মতো এনজাইমও থাকার কথা নয়!) তাহলে মানুষ কি ক্লোরোফিল হজম করতে পারে? এই প্রশ্নটা অনার্স ক্লাসের প্রথমদিকে একজন ম্যাডামকে করেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, গাছের পাতায় ক্লোরোফিলের সঙ্গে সঙ্গে তো শর্করা, প্রোটিনের মতো উপাদানও থাকে, সেগুলো হজম হয়, শরীরের কাজে লাগে। ক্লোরোফিল হজম হয় না!

হয় না?

উহুঁ! হয়না, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। হতেও পারে। অসংখ্য জিনিস আমরা খাই যা হজম করার মতো এনজাইম আমাদের শরীরে থাকে না। আমরা ওইসব এনজাইম বানাতে পারিনা। সেগুলো হজম করার অন্য উপায় আছে!

উদাহরণ দেই, রাজার প্রসাদ বানাতে ইটের দরকার। যেসব প্রজার ইটের বাড়ি আছে সেসব ভেঙে ইটের ব্যাবস্থা করতে পারেন রাজা। কিন্তু প্রসাদ বানাতে ইটের পাশাপাশি খানিকটা পাথরেরও দরকার হয়। পাথরের বাড়িওয়ালা প্রজা আছে রাজার। সেখান থেকে পাথরের ব্যাবস্থা হতে পারে। সমস্যা হচ্ছে সেই বাড়ি ভাঙার কারিগর রাজার নেই। পাথরের বাড়ি ভাঙতে পারে বুনো-বর্বরেরা। কিন্তু তারা রাজার প্রজা নয়। তারা খাজনা দেয় না। রাজা তখন তাদের সংগে চুক্তিতে আসেন। চুক্তির শর্ত হচ্ছে এই, বুনোরা রাজার জন্য পাথরের বাড়ি ভেঙে দেবে। বিনিময়ে পাবে অল্পকিছু পাথর, ইট আর থাকার জায়গা।

মানুষের পেটে থাকা কিছু ব্যাকটেরিয়া মানুষের জন্য বুনোদের মতো এই কাজটি করে দেয়। মানুষ হজম করতে পারেনা এরকম অনেক কিছুই এরা হজম করতে সাহায্য করে। মানে মানুষের যেসব খাবার হজম করার এনজাইম নেই সেসব জিনিস এরা ভেঙে টুকরো করে দেয় (প্রয়োজনিয় এনজাইম বানিয়ে)। তারপর সেসব কিছু তারা নিজেরা পায় কিছু পায় মানুষ। বিনিময়ে কোনো রোগ না বাধানোর শর্তে তারা মানুষের পেটে থাকতে পায়। মানুষের খাবারে ভাগ বসাতে পায়।

বাসস্থান হিসেবে মানুষের পেট ব্যাকটেরিয়াদের জন্য আদর্শ। সেখানে আছে আরামদায়ক উষ্ণতা। সেখানে রোদে শুকিয়ে মরতে হয়না, ঠান্ডায় জমে মরতে হয় না, নিয়মিত খাবার পাওয়া যায়, আরো কত কী! সমস্যা কেবল একটাই, নিয়ম করে রোজ নিম্নমুখী একটা চাপ আর কিছু আত্মীয়-স্বজনের বিদায়!

অন্যদিকে এরা পেটে থাকলে মানুষের হাজারো সুবিধে। এরা না থাকলে বেশ কিছু অতি অতি অতি প্রয়োজনীয় খাবার পেতো না মানুষ! এরা আছে বলে অনেক ভয়ঙ্কর জীবাণু পেটে আস্তানা গাড়তে পারে না। আপনার বাড়ির গেটের কাছে যদি কিছু ঘরহীন মানুষকে রাতে থাকতে দেন তাহলে তাদের জন্য চোর-ডাকাত যেরকম সুবিধে করতে পারেনা, সেরকম। এরকম কিছু অণুজীব খাবার হজম করা ছাড়াও আরো অনেক কিছু তৈরি করে দিয়ে মানুষের জীবন বাঁচায়। ই কোলাই নামের একটি ব্যাকটেরিয়া অন্য অনেক কিছুর পাশাপাশি মানুষকে ভিটামিন 'কে' বানিয়ে দেয়। কে না জানে, ভিটামিন হচ্ছে মানুষের শরীরের নানা ক্রিয়ার সেই অতি প্রয়োজনীয় উপাদান যা শরীর নিজে বানাতে পারে না!

আজকের গল্প এই ই কোলাইকে নিয়ে।

ই কোলাইয়ের পুরো নাম ইশেরিশিয়া কোলাই (Escherichia coli)। সংক্ষেপে ই. কোলাই (E. coli)। প্রায় সোয়া শতাব্দী আগে জার্মান ডাক্তার থিওডোর এশেরিখ আবিষ্কার করেছিলেন এই অণুজীবকে। তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে এর নাম।

ই. কোলাই দেখতে কোলা-ব্যাঙের মতো নয়। অনেকটা চমচমের মতো। লেজ থাকলে, লেজওয়ালা চমচমের মতো। যাদের লেজ থাকে তারা লেজ ঘুরিয়ে চলতে ফিরতে পারে। এরা হচ্ছে উভজীবি। অন্তত অক্সিজেনের ক্ষেত্রে। কে না জানে, কিছু জীবাণু অক্সিজেন ছাড়া বাঁচতে পারে, কিছু পারে না। কিছু জীবাণু অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসলেই পটল তোলে, কিছু তোলে না! ই কোলাই এক্ষেত্রে সর্বংসহা! অক্সিজেন থাকলেও সে বাঁচতে পারে, অক্সিজেন না থাকলেও তার কিছু এসে যায় না! আমার ধারণা, যারাই অণুজীববিজ্ঞান অথবা কাছাকাছি কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন তাদের ই কোলাইয়ের প্রতি একটা বিশেষ মমতা আছে! এতো দীর্ঘ সময় পাশাপাশি থাকলে এমনিতেই মায়া জন্মে যায়!

ই কোলাই হচ্ছে "মডেল" অণুজীব। কতো হাজারো পরীক্ষা নীরিক্ষা যে ই কোলাইয়ের উপর করা হয় তা কে বলবে! নানা কারণে ই কোলাই ল্যাবরেটরিতে গবেষণার জন্য আদর্শ। এরা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পায় (উপযুক্ত পরিবেশে এমনকি ২০ মিনিটে একটা থেকে দুটো হয়ে যায়), এদেরকে সহজেই অক্সিজেন যুক্ত/মুক্ত পরিবেশে ল্যাবরেটরিতে চাষ করা যায়। এদের জেনেটিক গঠন অত্যাধিক জটিল কিছু নয়। ক্লোনিংয়ের জন্য এরা আদর্শ। এদেরকে নিয়ে যতো গবেষণা করা হয়েছে আর কোনো জীবাণুকে নিয়ে ততো করা হয়নি!

মানুষের জন্মের দিন দুয়েকের মধ্যেই এরা মানুষের পেটে স্থায়ী আবাস গেড়ে ফেলে। স্তন্যপায়ী প্রাণিদের পাকস্থলীতে থাকে বলে কোনো খাবারে (বা অন্য কিছুতে) ই কোলাই পাওয়া গেলে ধরে নেয়া হয় সেই খাবার কোনো না কোনোভাবে মলের সংস্পর্শে এসেছে। এমনিতে মানুষের পেটে এদের স্থায়ী আবাস খুব জরুরী। এরা না থাকলেই বরং মানুষ বিপদে পড়বে। তবে কিনা কখনো কখনো এরা আর উপকারী অথবা নীরিহ থাকে না। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে! কিভাবে?

যে স্বচ্ছ শিশুটি জিহাদের নামে মানুষ মেরে ফেলতে চায় সে যেভাবে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে, সেভাবে।

ই কোলাইয়ের আছে অনেকগুলো স্ট্রেইন। স্ট্রেইন হচ্ছে একই জীবাণুর একটুখানি ভিন্ন রুপ। কলেজ পাস একটি ছেলেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালে সে কলকব্জার ওস্তাদ হয়ে ওঠে, সেই ছেলেটিকেই সঠিক প্রশিক্ষণ দিয়ে উড়োজাহাজের চালক বানিয়ে ফেলা যায়, অথবা সে চাইলে ডাক্তার হয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে পারে, জঙ্গী হয়ে মানুষ মেরেও ফেলতে পারে। ব্যাপারটা প্রশিক্ষণের। একই শিক্ষার্থীর ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার অথবা বিমান চালকের রুপগুলোকে মোটাদাগে স্ট্রেইন বলা যায়।

ব্যাকটেরিয়ারা এভাবে কলেজে গিয়ে প্রশিক্ষণ না পেলেও "হ্যান্ডনোট" পায়। এদের হ্যান্ডনোট হচ্ছে ছোটো ছোটো জিন। এসব "হ্যান্ডনোটে" (অর্থাৎ জিনে) লেখা থাকে কিভাবে মানুষের পেটে শান্তির সাম্যাবস্থা উলটে দিয়ে সব তালগোল পাকিয়ে ফেলতে হবে। অথবা যে ব্যাকটেরিয়াটা নীরিহ ছিল সে হয়তো কোনো হ্যান্ডনোট পেয়ে মারাত্মক বিষ বানাতে শিখে যায়! হ্যান্ডনোট কিভাবে পায় ব্যাকটেরিয়ারা?

অনেকভাবে পেতে পারে। এই ব্যাপারগুলো অনেক বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা ছাড়া বোঝানোর উপায় নেই। সেদিকে আজকে না যাই। আজকে কেবল বলে রাখি, নীরিহ ব্যাকটেরিয়ারাও কোথাও থেকে হ্যান্ডনোট যোগাড় করে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। যে ব্যাকটেরিয়া হ্যান্ডনোট পায় তার ছানাপোনারা সবাই উত্তরাধিকার সূত্রে সেই হ্যান্ডনোট পেয়ে যায় তো বটেই এমনকি অন্যদেরকেও তা বিলিয়ে বেড়াতে পারে। একেক রকমের হ্যান্ডনোট ওয়ালা ব্যাকটেরিয়া একেক রকমের স্ট্রেইন হিসেবে পরিচিতি পায়। সব হ্যান্ডনোটই যে মানুষের সর্বনাশ করার জন্য, তা নয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব হ্যান্ডনোট মানুষের বিপদের কারণ। ই কোলাইয়ের যেসব স্ট্রেইন বিপজ্জনক সেগুলোর আবার তালিকা করা যায়। এই তালিকাকে বলে ভাইরোটাইপ (Virotype)। ভাইরোটাইপ এসেছে ভিরুলেন্স (Virulence = রোগ/সংক্রমণ সৃষ্টির ক্ষমতা) শব্দটি থেকে। নিচে দেখুন,

EHEC = এন্টারো হেমোরেজিক ইশেরিশিয়া কোলাই। এই ভাইরোটাইপের অন্তর্ভুক্ত স্ট্রেইনগুলো রক্তযুক্ত ডায়রিয়ার কারণ। এরা মানুষের কিডনি অকেজো করে দিতে পারে।
ETEC = এন্টারো টক্সিজেনিক ইশেরিশিয়া কোলাই। এরাও ডায়রিয়ার কারণ। এরা বানাতে পারে দুটি বিপজ্জনক বিষ।
EIEC = এন্টারো ইনভেসিভ ইশেরিশিয়া কোলাই। এরা তীব্র জ্বর সহ ডায়রিয়ার কারণ।
EPEC = এন্টারো প্যাথোজেনিক ইশেরিশিয়া কোলাই। এদের সংক্রমণে ডায়রিয়া হতে পারে।
EAEC = এন্টারো এগ্রিগেটিভ ইশেরিশিয়া কোলাই। এরাও ডায়রিয়ার কারণ।

ধারণা করা হয়, এই ভাইরোটাইপগুলোর অনেকগুলোই মানুষের বিপদ বাধানোর "হ্যান্ডনোট" পেয়েছে কলেরার জীবাণু থেকে। কেউ কেউ পেয়েছে শিগেলা নামক অন্য আরেকটি জীবাণু থেকে। এদের মধ্যে অনেকেই হঠাৎ হঠাৎ দূর্ঘটনা/অসাবধানতাবশত ছড়িয়ে পড়ে মানুষকে নাজেহাল করে তোলে। ইউরোপে যেরকম গত কয়েকদিনে অন্তত ১৮ জন মারা গেছে এদের কারণে। নানা জায়গায় নানা খবর পাচ্ছি বলে আমি নিশ্চিত নই ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া ই কোলাই কোন ভাইরোটাইপের অন্তর্ভুক্ত। সম্ভবত এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। শুনেছি এটা EHEC।

তো সব মিলিয়ে ব্যাপারটা এরকম, ই কোলাই এমনিতে খুব লক্ষ্মী একটা জীবাণু। কিন্তু এদের কেউ কেউ বিপথে গিয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। এরা একেকটা স্ট্রেইন। বিপথগামী এসব ই কোলাইয়ের স্ট্রেইন সুযোগ পেলেই মানুষের সর্বনাশ করে ছাড়ছে।

আগে এইসব নচ্ছার ই কোলাই অন্য অনেক জীবাণুর মতো "বিশেষ কিছু গুণের" অধিকারী ছিলনা বলে খুব সহজেই এদেরকে এন্টিবায়োটিক দিয়ে পরাস্ত করা যেতো। কিন্তু মানুষ তার মূর্খামির গুণে এদেরকে এন্টিবায়োটিক সহনশীল করে তুলেছে। পেনিসিলিন গ্রুপের বেশ কিছু এন্টিবায়োটিক এদের বিরুদ্ধে একেবারে অব্যর্থ অস্ত্র ছিলো মানুষের। পেনিসিলিনের থাকে "বিটা ল্যাকটাম" নামক "সুদর্শন চক্র"। এই এন্টিবায়োটিক এদের কোষের চামড়া বানানোর প্রকৃয়ায় বাগড়া দিয়ে এদেরকে নাস্তানাবুদ করে। কিন্তু অনেক বছর হয় এরা পেনিসিলিনকে কাবু করার উপায় বের করেছে। এরা বানাতে শিখেছে "বিটা ল্যাকটামেজ" নামের একপ্রকার এনজাইম যেটা পেনিসিলিনের "বিটা ল্যাকটাম" নামক সুদর্শন চক্রকে ভেঙে ফেলে। (সেই যে বলেছিলাম, "প্রোটিয়েজ" এনজাইম মানুষের পেটে প্রোটিন টুকরো করে ফেলে, তেমনি "বিটা ল্যাকটামেজ" এনজাইম টুকরো করে বিটা ল্যাকটাম'কে)। বিটা ল্যাকটাম ভেঙে গেলে পেনিসিলিন এদের কাছে হয়ে যায় ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দারের মতো।

আজকাল যে ESBL নিয়ে পৃথিবীর নানা গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা খেটে মরছেন সেটা আসলে Extended-spectrum beta-lactamase এনজাইম। এই এনজাইম ব্যাকটেরিয়াকে দারুণভাবে এন্টিবায়োটিক সহনশীল করে তোলে। যে ব্যাকটেরিয়া এই এনজাইম বানানোর হ্যান্ডনোট পায় সে তাই মানুষের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। অনেক ই কোলাই ব্যাকটেরিয়া ESBL হ্যান্ডনোটটি পেয়ে গেছে। আরো আশঙ্কার কথা হচ্ছে ব্যাকটেরিয়ারা এই হ্যান্ডনোট বিলিয়ে বেড়াচ্ছে সবখানে। কার্যকর নতুন এন্টিবায়োটিক না আসলে মানুষ এদের কাছে নিতান্ত অসহায় হয়ে পড়বে! বস্তুত এদের অনেকের কাছেই মানুষ এখনই অসহায়...

এইরে, ফড়ফড় করে লিখতে লিখতে তো সচলায়তনের পাতায় টান ফেলে দিলাম ইয়ে, মানে...

ব্যাক্তিগত ব্লগে প্রকাশিত।

মন্তব্যতে দেয়া কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য জুড়ে দিলাম:

সম্প্রতি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়া ই কোলাইয়ের স্ট্রেইনটি বিপজ্জনক। সতর্কতা হিসেবে কোনো সবজি কাঁচা না খাওয়া উচিত। সবজি ধুয়ে খাওয়াও নিরাপদ নয়। সিদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে।


মন্তব্য

কৌস্তুভ এর ছবি

চলুক

ইউরোপের ইকোলাই-মাফিয়াচক্রের সম্বন্ধে আরেকটু জানতে চাই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। আমি আসলে আপনার প্রশ্নটা বুঝতে পারিনি। মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কৌস্তুভ এর ছবি

দেঁতো হাসি

আসলে ইউরোপে ইকোলাই-এর এই যে নতুন স্ট্রেন গোলমাল পাকাচ্ছে, সেটার সম্পর্কে একটু বিশদ জানতে চাইছিলাম।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি আমি সেটা আন্দাজ করছিলাম কিন্তু এসম্পর্কিত আরো কিছু বিষয় নিয়ে কখনো কখনো আলোচনা হয় বলে নিশ্চিত হতে পারছিলাম না।

ইউরোপে এই সময়ে ছড়িয়ে পড়া ই কোলাই সম্পর্কে আমি নিশ্চিত নই। তাই বলতে পারছি না। যতদূর জানি এটা EHEC, যেটা লেখাতেই বলেছি। পুরোপুরি সম্ভবত নিশ্চিত করা যায় নি। আমি আসলে ১০০ ভাগ গ্রহনযোগ্য নিশ্চিত তথ্য কোথাও পাচ্ছি না। সপ্তাহখানেক পরে আমার দুজন বন্ধু এটার উপর সেমিনার দেবে, তখন হয়তো আরো কিছু জানাতে পারব।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সচলত্বের অভিনন্দন সবার আগে আমিই জানালাম। আমার ঠিকানা মেসেজে পাঠাচ্ছি। তবে খাবারদাবার ১০ কেজির বেশি পাঠায়েন না। আমি একা মানুষ, শেষ করতে পারব না!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

অভিনন্দন কৌস্তুভ ভাই! হাসি এক্ষেত্রে আমি দ্বিতীয় ধরেনিলাম। দেঁতো হাসি

আব্দুর রহমান এর ছবি

অত্যন্ত চমৎকার।

------------------------------------------------------------------
এই জীবনে ভুল না করাই সবচেয়ে বড় ভুল

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পাগল মন এর ছবি

চমৎকার সাবলীল লেখা, আপনার অন্যান্য লেখার মতই।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তুলিরেখা এর ছবি

আপনার এই লেখাগুলোর আমি ভক্ত। বলা হয় না, কিন্তু এই লেখাগুলো পড়ে পড়েই আমার অনেক উপকার হয়েছে। না না মাইক্রোবায়োলজির আমি কিছুই জানি না, কিন্তু উপকার হয়েছে অন্যভাবে। আমার একটা অসুখ ছিলো, সেটা মাইক্রোবদের জন্য না, সেটা অবসেশনের, সেরে গেছে প্রায়। সে মহাভারতে আর না যাই, আপনার সেই " শান্ত লক্ষ্মী উপকারী মাইক্রোবদের নামে কিছু বললে দিলে লাগে" দিনে আমি একবার করে আওড়াই। হাসি
সত্যি তো যদি একেকটা হিউম্যান সেলের জন্য দশটা করে মাইক্রোব থাকে, তাহলে নিজেকে হ্রদ মনে করাই ভালো না? হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।
জার্মোফোবিয়া টাইপের কিছু কি?! যেটাই হোক, স্পষ্ট করে আবারো বলি, এই অণুজীবেরা আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যেসব জীবাণু আপনার কোষগুলোকে খুবলে খেতে চায়, তারা এইসব উপকারী অণুজীবের জন্যেই টিকতে পারে না। একই সঙ্গে এরা আপনাকে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে। আজকে যদি কারো ত্বক থেকে উপকারী জীবাণুদের পুরোপুরি নির্মূল করে ফেলা হয় তাহলে খুব সম্ভাবনা আছে তার সারা শরীর ভরে যাবে বিশ্রী সব রোগে। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তুলিরেখা এর ছবি

আরে আর কইয়েন না, বারে বারে হাত ধোয়া আর আরো নানা বাতিক দেখে ডাক্তার কইলেন OCD. আমি কইতাম CCD. হাসি কিন্তু ওষুধ বিষুধ কিছুতেই কিছু হইতো না, যদি না এক বিজ্ঞানী টক দিতে আইয়া কইতেন ( সেসব আপনের এখানে লেখা শুরুর অনেক আগের কথা) বিলিয়ন বিলিয়ন মাইক্রোব চামড়ার উপরে থাকে, কিছু ঝামেলা করে না, এমনিও জীবাণুরা ইকুইলিব্রিয়ামে থাকলে অসুখ বিসুখ হয় না, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হ্যানো ত্যানো হইলো কোম্পানিদেরর পয়সা করার তাল---লেকচার হল থেকে বেরিয়েই আমার বেশ হালকা হালকা লাগতে থাকলো। তারপর থেকে হাত ধোয়া রিডিউসড হতে হতে একসময় বেশ নর্মাল হয়ে গেল। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাত ধোয়া কিন্তু খুব ভালো একটা ব্যাপার। এই অভ্যাসের কারণে আপনার পেটের অসুখ কম হওয়ার কথা এবং ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনাও আপনার ক্ষেত্রে কম। হাসি
তবে অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

দারুন হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই লেখাটার জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আবারো বুঝলাম হতচছারা অনুজীবদের। আপনার লেখা পড়ে ব্যাকটেরিয়া ভক্ত হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চমৎকার লেখা! ই কোলাই - অশরীরি কোলা ব্যাঙ - তাহলে মগজ ধোলাই হওয়া সন্ত্রাসীর মতো! হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। ক্ষতিকরগুলোর ক্ষেত্রে, হ্যাঁ হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রিসালাত বারী এর ছবি

মানুষের মূর্খামির কারনে কিভাবে এরা এন্টিবায়োটিক সহনশীল হয়ে যায় সে ব্যাপারে জানার আগ্রহ প্রকাশ করে গেলাম। যদি এই সংকট থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়ও, পরবর্তিতে সেই এন্টিবায়োটিকের জন্য হ্যান্ডনোট যে বের হয়ে যাবে না তার নিশ্চয়তা কি?

লেখা অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। ই কোলাইদের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাস যেন চোখের সামনে দেখতে পেলাম হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এন্টিবায়োটিক সহনশীলতা নিয়ে লিখব আশা করি।

যদি এই সংকট থেকে উদ্ধার পাওয়া যায়ও, পরবর্তিতে সেই এন্টিবায়োটিকের জন্য হ্যান্ডনোট যে বের হয়ে যাবে না তার নিশ্চয়তা কি?

নিশ্চয়তা নেই। এটা অনেকটা একটা চলমান প্রকৃয়া। মানুষকে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হবে তার নিজের যোগ্যতায়।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শামীম এর ছবি

ইশ্ এ্যাত চমৎকার করে যদি ক্লাশরুমে পড়াতো।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাফানো মন্তব্য!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শাহনাজ এর ছবি

গভীর আগ্রহ নিয়ে আপনার অণুজীব বিষয়ক লেখাগুলো পড়ি। বরাবরের মতই চমৎকার লেগেছে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আশালতা এর ছবি

লেখা অতি অতি সুপাঠ্য হয়েছে । কিন্তু এইসব বিপথগামীদের জন্য ব্রহ্মাস্ত্র কি নেই ?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

যে ভাইরোটাইপগুলোর কথা বলেছি সেগুলোর জন্য আছে। সবার জন্য এখনো নেই। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্বাধীন এর ছবি

আহারে এভাবে কেউ যদি বাইলোজিটা পড়াতো তবে বাপ/মায়ের সাধের ডাক্তারীটা পড়তে পারতাম।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারানা_শব্দ এর ছবি

দারুণ একটা লেখা, আগেরগুলোর মতই। হাসি

ভাইয়া আপনি কোন ইউনিতে পড়তেসেন?

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ।
আমি পড়ি ফ্রেডরিশ-শিলার-ইউনিভার্সিটি অব ইয়েনা'তে।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

দ্রোহী এর ছবি

অসাধারণ লেখা! আমাদের বিজ্ঞান বইগুলো এভাবে লেখা হলে পড়ালেখার আরেকটু আগ্রহ জন্মাতো।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মর্ম এর ছবি

ব্যবসায় শিক্ষায় আস্তানা গাঁড়ার পেছনের অন্যতম কারণ বিজ্ঞানে ভয়। মাঝে মাঝে সহজ কোন লেখা পেলে পড়ে দেখি, নয়ত এখনো বিজ্ঞান এক দরজা দিয়ে ঢুকলে আমি অন্য দরজা দিয়ে পালাই।

লেখা যদি হয় এ লেখাটার মত তাহলে মনে হয় কখনোই পালাতে হত না আমাকে।

চলুক আপনার লেখা, শুভেচ্ছা চলুক

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কীর্তিনাশা এর ছবি

আহা, এতো চমৎকার লেখাটা হঠাৎ করেই শেষ হয়ে গেলো !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে দেখে আমি আরো জোর করে থামলাম! হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাফানো মন্তব্য।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার স্টাইল এবং লেখা।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফারুক হাসান এর ছবি

দারুণ চমৎকার লেখা! এভাবে কেউ যদি আগে জীববিজ্ঞান বুঝিয়ে দিতো!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাফানো মন্তব্য।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

চমৎকার... চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

rahil_rohan এর ছবি

চমৎকার লেখা!

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুমন চৌধুরী এর ছবি
অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

স্পর্শ এর ছবি

অন্যান্য বিষয়ে যারা এক্সপার্ট তারাও তোমার এই লেখা দেখে অনুপ্রাণিত হোক, সেই আশা রইলো। এমন লেখায় ভরে উঠুক বাংলা ভাষা। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লাফানো মন্তব্য মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

পড়লাম, মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না। বিজ্ঞানভিত্তিক সহজবোধ্য লেখার যে রকম আকাল, সেটা কাটাতে আপনার মতন আরো অনেক লিখিয়ে প্রয়োজন...

ই-কোলাই নিয়ে, যদ্দুর মনে পড়ে, মাধ্যমিকে ছোট্ট একটা অংশ ছিলো। আমাদের জীববিজ্ঞান ম্যাডাম অনেক চমৎকার পড়াতেন, কাজেই মোটামুটি পাঠ্যসূচীর কোন অংশ বুঝতেই বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু যেসব স্কুলে ছাত্রদের আগ্রহ জাগানোর মত শিক্ষক নেই, তাদের কথা বলতে পারিনে। সে কারণেই বিজ্ঞানকে যারা সহজ করে বোঝাতে পারেন- আমাদের দেশে আপনাদের বড় প্রয়োজন।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ সুহান।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধুসর গোধূলি এর ছবি

হৈ ব্যাটা, ই-কোলাই কী জিনিস, ক‌্যামনে কী করে এগুলা দিয়া কী করুম? ই-কোলাই'র হাদুমপাদুম থাইকা বাঁচোন্তিস ক্যামনে- সেইটা না জানলে তো পরের পোস্ট নরকে গিয়াই পড়তে হৈবো দেখি! মন খারাপ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ভালোমতো না ধোয়া হাতের সংস্পর্শে আসা কিছু খাইয়েন না। ঠুস করে একটুখানি পানি দিয়ে হাত ভিজিয়ে নিলে যে ধোয়া হয় তাতে কাজ হবে না! এদের কামড় দিয়ে পড়ে থাকার স্বভাব আছে। ধুলেও যেতে চায় না। সবজির ক্ষেত্রেও ধুয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। যে কোনো কাঁচা/আধকাঁচা সবজি খাওয়া বন্ধ করেন আপাতত। পেঁয়াজ কাঁচামরিচ খেলেও সাবধানে! এরা কিন্তু বিপদটা বাধাবে আচমকা, খুব বেশী সময় দেবেনা! গ্রিলে গেলেও সাবধানে থাইকেন, আচ্ছামতো না পোড়ানো হলে কিছু খাইয়েন না। তয় গ্রীলের সবকিছুতেই আমার সন্দেহ হয়, বিশেষত যখন এরা ছড়িয়ে পড়েছে! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

পাগল মন এর ছবি

এ কথাগুলোই কষ্ট করে পোস্টে সংযুক্ত করে দিলে আমার মনে হয় ভালো হয়। যেহেতু এটা ছড়িয়ে পড়ছে, তাই কিভাবে যতদূর সম্ভব এর থেকে বাঁচা যায় সেটা সবার জানা থাকা ভালো বিশেষ করে যারা বাইরে থাকি।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

কাম সারছে আজকা। দুপুরের খাওয়া হিসাবে একটা বিশাল সাইজের হ্যামবার্গার অর্ডার দিছিলাম, একেবারেই মনে আছিলো না। বার্গারে এক কামড় দেয়ার পরে মনে হইলো, আয়হায়, এইটার মধ্যে তো কাঁচা সব সালাদে ভরা! তখন অনার্য সঙ্গীতের এই সাবধান বাণীর কথা মনে পড়লো। কিন্তু, ড্যামেজ তো অলরেডি ডান। কী আর করা। মনের দুঃখে বাকি বার্গার খেয়ে প্রায়শ্চিত্য করলাম।

এখন আর কী! সবাই আমারে মাফটাফ করে দিয়েন। কোনো দাবী দাওয়া রাইখেন না। এই জীবনে মনেহয় নিজের শালির বইনের লগে দুইটা সুখ-দুঃখের কথা কওয়া আর হইলো না! মন খারাপ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এখন ধুগোনী'র অ্যান্টিসেপটিক ভালুবাসাই আপনার ভরসা! যা করবেন তাত্তাড়ি ইয়ে, মানে...

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

আসলে আমাদের দরকার আপনার মত লেখকের যিনি আমাদের ছত্রাক, অনুজীব, ই-কলাই সুন্দর করে বুঝিয়ে দেবেন। খুব ভালো লেগেছে! ধন্যবাদ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ফালতু পাঠক এর ছবি

চমত্কার লেখা কিন্তু যখনই জমে উঠতে শুরু করেছে তখনি হটাত শেষ হয়ে গেল ৷ আমি এখন ইউরোপে আছি, কযেকদিন থেকেই শুনছি এই রোগটার কথা, আমার এক সিংগাপুরিয়ান বন্ধু বলল শসা আর টমাটো না খেতে কিন্তু বিস্তারিত কিছু জানিনা অজ্ঞতার কারণে৷ লেখাটা একেবারেই বেশি বড় হয়ে গেলে অনুরোধ করব কিস্তিতে লিখতে কিন্তু লেখাটা অসম্পূর্ণ মনে হচ্ছে, চাই সম্পূর্ণ হোক ৷ আমারও একই কথা, ক্লাসে স্যাররা যদি আপনার মত করে পড়াত...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সতর্কতার জন্য উপরে ধুসর গোধূলি'দার মন্তব্যের জবাব দেখুন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

জি.এম.তানিম এর ছবি

আপনি চমৎকার করে পড়ান। চোখের সামনেই ভেসে উঠে বর্ণনা শুনে।

এবারে সেমি অন টপিক মন্তব্য: বিজ্ঞান লেখায় ডায়াগ্রাম (উদাহরণ: এই লেখায় কয়েকটা ই কোলাই'র ছবি) থাকলে সেটা পড়তে আরাম লাগে বেশি। আমি যেটা ভাবছি, সেটা যে ঠিক মিলিয়ে নেওয়া যায়। আশা করি, রঙবেরঙের ছবি দিবেন জীবাণু নিয়ে লেখাগুলোতে। আমার মতো যাদের মনোযোগের সীমা শিশুদের সমান, তারা আরও মজা পাবে লেখাগুলো পড়তে।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ তানিম্ভাই।

ছবির কথাটি অনেকেই বলেছেন। জাফর ইকবাল স্যারও। বিষয়টা যে আমার মাথায় আসে না, তা নয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিজ্ঞানের এসব ছবিগুলোর দস্তুরমতো কপিরাইট থাকে। আমি নিজে যেসব ছবি তুলি সেগুলো এরকম বেসিক পোস্টের জন্য মানানসই নয়। সমাধান হতে পারে কার্টুন এঁকে ফেলা। কিন্তু কম্পিউটারে খুব বেসিক, হালকা পাতলা কার্টুন আঁকা শেখার জন্য টিউটর পাচ্ছি না! কেম্নে কী করতে হয় সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। বেশ ঝামেলা করে পেইন্ট/গিম্প/ফটোশপ দিয়ে হয়তো দূরসম্পর্কের কিছু একটা দাঁড় করানো যায় কিন্তু সেই জঘন্য ছবিগুলো আঁকতেও মারাত্মক সময় লাগে! অতো সময় পাইনা, ব্লগ লেখার তেজ উঠলে ধুপধাপ লিখে পোস্ট দিয়ে ফেলি! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

জি.এম.তানিম এর ছবি

তারপরেও বলবো, কষ্ট করে হলেও কিছু ছবি দেন। দরকার হলে আউটসোর্সার লাগান কিছু। বিজ্ঞান পাঠকের অনেক অভাব, অনেকে শিরোনামে বিজ্ঞান দেখেই এড়িয়ে যান। এসব পাঠক ধরে আনতে ছবির ভূমিকা আছে। বিজ্ঞানমনস্কতা বৃদ্ধিতে এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ছবি নিয়ে ভাবছি, তয় আউটসোর্সার কই পামু মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হাতে এঁকে তা ফটো তুলে বা স্ক্যান করে দিলে? উইকিতে যেসব ছবি, তার সবই কি কপিরাইটেড? আর আউটসোর্সার নেই মানে? সচল আঁকিয়েরাই তো সাহায্য করতে পারেন। চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

মন্তব্য লাফাং

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তাসনীম এর ছবি

অতি দুর্ধষ লেখা। এই রকমের একটা মাস্টার পেলে বায়োলজি ছাড়তাম না।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ তাসনীম ভাই।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সচল জাহিদ এর ছবি

বিজ্ঞান লেখা এত মজাদার হতে পারে সেটা তোমার ব্লগ না পড়লে বোঝা যেতনা।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ জাহিদ ভাই হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

ধারনা খুব স্পষ্ট হয়ে গেল। বায়োলজি বুঝানোর দারুণ ক্ষমতা আপনার। আরো লিখবেন আনুরোধ রইলো। আচ্ছা একটী ই কোলাই আরেকটি ই কোলাই কে এই বিটা-ল্যাক্টামেইজ এর জিন কী প্রক্রিয়ায় আদান প্রদান করে?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এটা নিয়ে আরেকটা পোস্ট দিতে হবে। ততদিন পর্যন্ত সংক্ষেপে বলে রাখি, একটি প্রকৃয়ায় প্রকৃতি থেকেই ব্যাকটেরিয়ারা জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল পেয়ে যেতে পারে (Transformation)। কখনো কখনো ভাইরাসের মাধ্যমে একটা ব্যাকটেরিয়ার জিন অন্য ব্যাকটেরিয়াতে পৌঁছে যেতে পারে (Transduction)। কিছু ব্যাকটেরিয়ার ভাইরাসের মতো একটি উপাদান (GTA=Gene Transfer Agents) কখনো কখনো এই কাজে সাহায্য করে। অথবা ব্যাকটেরিয়ারা একটা চোঙের মতো বানিয়ে (Pilus, বহুবচন Pili) পরস্পরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে জিন আদান প্রদান করতে পারে (Conjugation)।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

কবি-মৃত্যুময় এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। বুঝেছি। হ্যা ভাইয়া এটা নিয়ে আরেকটি পোস্ট দিয়েন। হাসি

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

ঝামেলার বস্তুরে পানির মতো সহজ কইরা লেখার তোর যে ক্ষমতা সেইটা দেইখা খুব ভালো লাগে। তর ব্লগ আসা মাত্রই পড়ার চেষ্টা করি সেই কারনেই। ছুডু ভাই-বেরাদরগো মধ্যে তর আর সুহানের লেখা পড়লে আমার মাথা ঠাঁ ঠাঁ করে ... এতো সুন্দর কইরা লেখস ক্যাম্নে রে ভাই???

কয়ডা ই-কোলাই এর ছবি তুইল্লা পাঠাইস, হালারে ধইরা HDR কইরা দিমু।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সুহানের লেখা পইড়া আমারও মাথা ঠাঁ ঠাঁ করে। তোমার ছবি দেইখাও মাথা ঠাঁ ঠাঁ করে!

ঠিকাছে, কাইলকাই ল্যাবে গিয়া এগোরে পোজ দিতে বলতেছি!!!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তারাপ কোয়াস এর ছবি

চমৎকার লেখা। যতটুকু বুঝতে পারলাম এই ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার বির্বতিত একটা/অনেকগুলা রুপ সমস্যা তৈরি করছে বা যার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা অকার্যকর, আমার প্রশ্ন/কৌতুহল হচ্ছে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাও কেন এর সাথে পাল্লা দিয়ে বিবর্তিত হয় না?


love the life you live. live the life you love.

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।
আপনার প্রশ্নের জবাবটা বুঝিয়ে বলা শক্ত। এক কথায় বললে, আমাদের প্রতিরক্ষা কোষ এবং ব্যাকটেরিয়াদের গঠন/গড়ন এক নয়। এদের বিবর্তন প্রকৃয়াও একরকম নয়। এজন্যই প্রতিরক্ষা কোষেরা ব্যাকটেরিয়া/ভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে না।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

রকিবুল ইসলাম কমল এর ছবি

খুবই সুন্দর লেখা! কিন্তু ই কলাই গুলো ইউরোপের এত সুন্দর সবজি গুলোতে এলো কোথা থেকে? এখানে তো মানুষ আগানে বাগানে খুব একটা ইয়ে করে না!

- ছাইপাঁশ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।
শুধু মানুষের পেটেই ই কোলাই থাকে তা নয়। অন্য স্তন্যপায়ী প্রাণিদের পেটেও থাকে। ইউরোপে এটা কিভাবে ছড়িয়েছে সেটা নিশ্চিত নয় এখনো। খুঁজে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ডুপ্লি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

গ্রেট জব, অনার্য।

নিয়মিত এইরকম জীবাণু-কিলবিল-পোস্ট চাই। দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ শুভাশীষ দা। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

Zabed akbar এর ছবি

Osadahorn

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

Microbes এর ছবি

চলুক

আমার মনে হচ্ছে এই এনডেমিকটা পানির মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। যেই সবজি প্লান্টে পানি ব্যবহার করা হচ্ছে ঐখানেই হয়ত এর উৎপত্তিটা হয়েছে বা সেখানে কোন কর্মচারী হাইজিন মেইনটেইন না করাতে (বাথরুম থেকে এসে হাত ভালমত না ধোয়াতে) এটা ছড়িয়ে গেছে। যেহেতি ই. কলির এই স্ট্রেইনটা HUS করছে সেইটাই সবথেকে চিন্তার কথা। তবে ৩য় প্রজন্মের এন্টিবায়োটিক দিয়ে একে মোকাবেল করতে পারা উচিৎ। দেখা যাক শেষমেষ কি দাড়ায়।

এখন যা যা করনীয়:
১) সব সময় পানি কমপক্ষে ২০ মিনিট ফুটিয়ে খেতে হবে (যদি ঘরের পানি পান করতে হয়)
২) কাচা শাক-সবজী, ফল-মূল বা সালাদ কাটার আগে ভালমত পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে এবং কাটা-কুটি করার ৩০ মিনিটের মধ্যেই খেয়ে ফেলতে হবে।
৩) মাছ, মাংস এবং অন্যান্য খাবার ভালমত রান্না করে (কমপক্ষে ৩০ মিনিট) খেতে হবে।
৪) খাবার আগে ভালমত সাধারণ সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে (এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল সাবান কিনে ব্যাবসায়ীদের পেট ফুলানোর কোন প্রয়োজন নেই)
৫) বাথরুম থেকে এসেও ভালমত সাধারণ সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

না। ই কোলাইয়ের এই স্ট্রেইনটা ইউরোপে পানির মাধ্যমে ছড়াচ্ছে না। কিভাবে ছড়িয়েছে সেটাও খুব নিশ্চিত নয় এখনো।

এটাকে থার্ড জেনারেশন এন্টিবায়োটিক দিয়েও মোকাবেলা করা যাবে না। এখন পর্যন্ত যতটুকু জানি, এটা কমপ্লিমেন্ট মেডিয়েটেড অটোইমিউনিটির জন্য দায়ী। চিকিৎসা এখন পর্যন্ত ইজ্ঞিনিয়ার্ড এন্টিবডি। কিন্তু সেটা মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। এটা পৃথিবীর সবচাইতে দামী ওষুধ/চিকিৎসাগুলোর একটা। সেটার জন্যেও অবম্য খুব বেশি সময় পাওয়া যায় না।

আপনি যেটা বলেছেন সেটা স্বাভাবিক অবস্থার জন্য খুব ভালো পরামর্শ। কিন্তু ই কোলাইয়ের যে স্ট্রেইনটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে সেটার জন্য নয়। এক্ষেত্রে ধুয়েও সবজি খাওয়া যাবে না। সিদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

Microbes এর ছবি

পানির মাধ্যমে ছড়ানোটা আমার ধারণা।

এন্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্ট করা যাবে না সেটা জানা জানা ছিল না অবশ্য। ধন্যবাদ জানানোর জন্য। সেক্ষেত্র অবশ্যই কাচা শাক সবজী এবং ফলমূল পরিহার করা উচিত এই সময়ের জন্য।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

চমৎকার। কলেজে পড়া ই. কোলাই ঝালাই হয়ে গেল।

অ.ট.: 'প্রসাদ' > 'প্রাসাদ' হবে মনে হয়।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ। বানান ঠিক করে নেব।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আয়নামতি1 এর ছবি

কী চমৎকারভাবে গল্পে গল্পে জটিল একটা বিষয় জানা গেলো! অসংখ্যা ধন্যবাদ ভাইয়া।
অফটপিক: তুলিদির মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন, 'হাতধোয়া ভালো একটা ব্যাপার। এতে পেটের অসুখ করেনা আর ঠান্ডা লাগেনা' ঐ অভ্যেসটা(খুববেশি হাতধোয়া) আমারও আছে। যদিও আমার পেটের অসুখ করেই না তেমন। কিন্তু ঠান্ডা লাগাটা কিছুতেই পিছু ছাড়েনা। এটা কেন হয়(এই রে বিনা ফীতে ডাক্তারী পরামর্শ চেয়ে ফেলছি না তো খাইছে )?

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধন্যবাদ।
খুব বেশি হাত ধোয়া ভালো অভ্যেস নয়। আস্তে আস্তে সামলে নিন। অথবা হাত ধুলেও প্রতিবার সাবান ব্যাবহার করবেন না।
ঠান্ডা কেনো লাগে সেটার অনেক রকম ব্যাখ্যা আছে। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ায় ঠান্ডা লাগে তা ঠিক নয়। খুব বেশি ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওডিন এর ছবি

আগেও বলেছি, আবারো বলি, এতো দুর্ধর্ষরকমের সহজ করে কেউ মাইক্রোবায়োলজি যদি বুঝাইতো... আমিও কিছু একটা হইতে পারতাম। মন খারাপ

অন এ সিরিয়াস নোটঃ মন্তব্যে আসা দরকারী কথাবার্তাগুলো লেখার শেষে একটা ফুটনোট হিসেবে দিয়ে দিলে মনে হয় ভালো হয় হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কী বিনয় মানুষের!!! দেখলেই গা জ্বলে!!! রেগে টং

আচ্ছা দিচ্ছি। হাসি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাধারন পাঠক এর ছবি

আচ্ছা, এই ভাইরাল আউটব্রেক গুলা খালি ইউরোপ/আমেরিকা তে অরিগিনেট হয়। এর কারন কি। চীন ইন্ডিয়া আফ্রিকা বা অন্যান্য কৃষিপ্রধান জায়গায় হয়না বললেই চলে।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

এটা যদিও ভাইরাল আউটব্রেক নয়, তারপরও এ জাতিয় আউটব্রেকগুলো ইউরোপ আমেরিকাতেই বেশি হয় সেটা কোন পরিসংখ্যান থেকে বলছেন বুঝতে পারছি না! আমি নিজে যদিও এ জাতিয় পরিসংখ্যানে অন্তত এখনই উৎসাহী নই তারপরও একটা তথ্য দেই, ইউরোপ আমেরিকার দেশগুলোতে রোগের প্রাদুর্ভাব হলে সবাই জানতে পারে, সেটা নিয়ে তোড়জোড় হয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সেরকম হয় না। যেমন ধরুণ বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপের "ই কোলাই" থেকেও বেশী মানুষ মারা গেছে। আশঙ্কা করি আরো যাবে। হইচই সেরকম হয়নি! হবেও না বোধহয়!!!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

The Car এর ছবি

এত চমৎকার করে লিখেছেন ।শেষ হওয়ার পর মনটা খারাফ হয়ে গেল।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।