জামাতের ম্যানিফেস্টো নিয়ে নষ্ট সকাল

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি
লিখেছেন অনিন্দ্য রহমান (তারিখ: শুক্র, ১২/১২/২০০৮ - ৪:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১/
জামাতের নির্বাচনী ইশতাহারে অ্যান্টি-বাসফ্লেমি আইন করার কথা বলা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে ‘কেন [অ্যান্টি] ব্লাসফেমি আইনের প্রয়োজন’ এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে মতিউর রহমান নিজামী বলেছেন দেশে বাসফ্লেমি আইন না থাকায় তসলিমা নাসরিন ও দাউদ হায়দারকে দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে।

আমরা এর তিনরকম অর্থ করতে পারি :

১. দেশে ওই আইন আগে থেকেই থাকলে নাসরিন ও হায়দার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল / ভীত হয়ে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকতেন যাতে ঐ আইনের আওতায় শাস্তি পেতে হত না

২. দেশে ওই আইন থাকলে নাসরিন ও হায়দারকে দেশেই যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া যেত, যা তাদের নির্বাসিত জীবনের চেয়ে বেশি শক্ত/শাস্তিমূলক

৩. দেশে ওই আইন থাকলে নাসরিন ও হায়দারকে দেশেই যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া যেত, যা তাদের নির্বাসিত জীবনের চেয়ে কম শক্ত/শাস্তিমূলক

৩ টিকেই ধর্তব্যের মধ্যে আনলে একথা স্পষ্ট অ্যান্টি-ব্লাসফেমি আইন কোনো না কোনো ধরণের শাস্তি নিশ্চত করে। এই শাস্তি কী প্রকৃতির সেটি আপাতত স্পষ্ট নয়। কিন্তু কওমি দুনিয়ায় শাস্তিটি যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদন্ডের কম নয়। তাই আমরা বুঝে নিতে পারি - জামাত ই ইসলামী নামের দলটি রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে উপরের ‘অভিযুক্ত’ দু্ই ব্যক্তিকে হয় বিরত নয় মৃত অবস্থায় পাওয়া যেত। কিন্ত তা হয় নি। ফস্কে গেছে । এই ‘ফস্কে যাওয়া’র আক্ষেপ এতদিন পরে কেন?

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, জামাতকে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কিছু নিয়ে সরব হতে দেখা যায়নি যা রাষ্ট্রোনুমোদিত আইনকাঠামোর বাইরে পরতে পারে। তবে কি জামাত, একটি কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক দল হিসেবে, আচরণ ও বিচরণে গৃহপালিত হয়ে পড়েছে? অবশ্যই নয়। তাদের একধরণের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন চেঞ্জ হয়েছে মাত্র। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় এ মুহুর্তে যে কয়েকটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী তাদের বিচারে ধর্মদ্রোহীর শাস্তি ঘোষণা করেছে তাদের মধ্যে আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত অন্যতম। এরা শাস্তি ‘দাবি’ করার আগেই ‘ঘোষণা’ করে থাকে। কিন্তু সেটা বিষয় নয়। বিষয় হচ্ছে, এদের মুখপত্র আল-ইহসান নামক পত্রিকায় খুব ঘটা করে রাজাকারদের গালাগালি করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ সময়ই অপ্রাসঙ্গিকভাবে। অতএব আমরা বুঝে নিতে পারি, আল-বাইয়্যিনাতের ‘নৈতিক’ অবস্থান জামাতের বিরুদ্ধে - আমাদেরকে এমনটাই বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই বোঝানোটায় লাভটা আল-বাইয়্যিনাতের নয়, জামাতের। কারণ, রাষ্ট্রোনুমোদিত আইনকাঠামোর বাইরে যেকোনো তৎপরতার সাথে নিজেদের অ-সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ করা এমুহুর্তে জরুরী মনে করছে জামাত। এমনকি শিবিরকেও ‘সচেতন ছাত্র সমাজ’ বা এই জাতীয় অন্য ব্যানারে অ্যান্টি-ব্লাসফেমি ক্যাম্পেইন (যার মধ্যে মিটিং-মিছিল থেকে শুরু করে শারিরীক আক্রমণ বা প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি অন্তর্ভুক্ত) চালাচ্ছে।

সুতরাং অ্যান্টি-ব্লাসফেমি তৎপরতাগুলোকে (যা বেনামে জামাতপোষিত সংগঠনগুলো চালাচ্ছে) রাষ্ট্রোনুমোদিত আইনকাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যেই অ্যান্টি-ব্লাসফ্লেমি আইন প্রয়োজন। নিছক ফস্কে যাওয়ার আক্ষেপ থেকে বোধয় নয়। জামাতের রাজনৈতিক অ্যাপ্রোচে এই পরিবর্তন গত এক দশকের। রগ-কাটা রাজনীতি থেকে জামাত নিজেকে খুবই সাফল্যের সাথে আলাদা করেছে। কিন্তু রগ-কাটা বন্ধ হয়নি। নানা ভাবে নিজের আইনসিদ্ধ অবস্থানকে শক্ত করেছে তারা। সর্বশেষ রাজনৈতিক নিবন্ধনের সময় বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে ‘সমন্বয়’ করে সংশোধন করেছে তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র। এবং তারই ধারাবাহিকতায় এসেছে এই জামাতের ‘নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো’। এখানে এমুহুর্তে বৈধ নয় এমন অন্তত দুটি রাষ্ট্রোনুমোদিত আইনকাঠামোবহির্ভুত কার্যকলাপের বৈধতার কথা বলা হয়েছে। একটি অ্যান্টি-ব্লাসফেমি (অ্যান্ট-ব্লাসফেমির আওতায় শ্রেণীশত্রুবিনাশ, যেমন কবি হায়দার, ঔপন্যাসিক নাসরিন, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী উদীচি), যা নিয়ে এতক্ষণ বলা হলো, অন্যটি আরো বেশি মনযোগের দাবি রাখে - বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশী নাগরিকের বাধ্যতামূলক সামরিক (সমর = জঙ্গ) প্রশিক্ষণ।

জামাতের এই মনুষ্যরচিত আইন অভিমুখি অ্যাপ্রোচের দুটো প্রধান কারণ হতে পারে।

১. বিশ্বজুড়েই জঙ্গিবাদী মাদার অর্গানাইজেশনগুলো তাদের বেনামী স্প্লিন্টার গ্রুপগুলোর মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে যাচ্ছে। এতে লাভ, বিশ্বপুঁজির যে অবকাঠামো তারা ব্যবহার করে থাকে (আফিম কিংবা একে৪৭এর লেনদেন, ব্যাংকিং, এভিয়েশন ইত্যাদি) সেটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়। তারপরও তারা সমস্যায় পড়ছে না তা নয়। দুদিন আগেই পাকিস্তানভিত্তিক জামাত উদ দুআর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও সেফ-সাইডে থাকাটা কোনো একভাবে দরকারি।

২.গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যেই ঘাপটি মেরে থাকা। এই ট্রোজান হর্স স্ট্র্যাটেজি ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্কের মতো দেশেও কাজে দিয়েছে। ফান্ডামেন্টালিজম, ন্যাশনালিজম আর মিলিটারিজমের ‘প্রত্যাশিত’ সমন্বয় কেমন সেটি তুরস্কের এখনকার ‘নির্বাচিত’ প্রধানমন্ত্রী রেসিপ তাঈপ এরদোগানের একটি কবিতা থেকে বোঝা যেতে পারে - (বাহুল্য হলেও এখানে দিয়ে দিলাম)
মসজিদগুলো আমাদের ব্যারাক
গম্বুজগুলো আমাদের হেলমেট
মিনারগুলো আমাদের বেয়োনেট
বিশ্বাসীরা আমাদের সেনা
এই পবিত্র সেনারা আমার ধর্মরক্ষক
সর্বশক্তিমান আমদের পথ আমাদের গন্তব্য
আমাদের পরিণতি শাহাদত

কামাল আতাতুর্কের তুরস্কে আজ এই ব্যক্তিটিই সরকারপ্রধান।

২/
জামাতের ম্যানিফেস্টো নিয়ে এই দুহাজার আট সালে এসে একটা পুরো সকাল আমাকে খরচ করতে হচ্ছে – এই নিয়ে একটা চিনচিনে মনোবেদনা হওয়ার পর লেখাটা থামিয়ে দেয়ার ইচ্ছা হচ্ছে। কিন্তু যে কোনো জায়গায় এটা শেষ করাও যাচ্ছে না । তাই এর একরকম উপসংহার ভেবে রেখেছিলাম। এখন আরেকভাবে শেষ করতে ইচ্ছা হচ্ছে। প্রথমে ভেবে রাখা উপসংহারটি তাড়াহু09ড়ো করে দিয়ে দিচ্ছি। গত কাল টিভিতে দেখলাম জামাতের আমীর মতিউর রহমান নিজামী বলছেন ‘ইংল্যান্ডেও ব্লাসফেমি আইন আছে যেখানে, সেখানে বাংলাদেশে এই বিষয়টি নিয়ে ওভারসেনসিটিভ কেন’? এই মন্তব্যটিকে জামাতের বৈধতামুখী রাজনৈতিক অ্যাপ্রোচের নির্লজ্জ উন্মোচন বলে চিহ্নিত করতে পারি। এখানে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের পক্ষে সাফাই গাইতে নয় বরং জামাতী মিথ্যাচারের নমুনা হিসাবে কয়েকটি তথ্য দিতে চাই।

-এবছরের আট জুলাই ব্রিটেন ও ওয়েলসের কমন ল থেকে ব্লাসফেমি পুরোপুরি বাতিল করা হয়েছে।

-শেষবার এই অভিযোগ আনা হয় বিবিসিতে প্রচারিত একটি শো-এর রচয়িতার বিরুদ্ধে । থিয়েটারস অ্যাক্ট ১৯৬৮ ও ব্রডকাস্ট অ্যাক্ট ১৯৯০ কে প্রাধান্য দিয়ে ঐ অভিযোগে ব্লাসফেমি আইন কার্যকর করা হয়নি।

-১৯৭৭ সালে ব্লাসফেমির অভিযোগে শেষবার সফল শাস্তিপ্রদান হয় ১৯৭৭ সালে। শাস্তি ৫০০ পাউন্ড ।

-শেষবার ব্লাসফেমির অভিযোগে ব্রিটেনে কারাদন্ড হয় ১৯২১ সালে।

-শেষবার ব্লাসফেমির অভিযোগে মৃত্যুদন্ড হয় ১৮৪৩ সালে। সম্ভবত এটিকেই প্রামাণ্য ধরছে জামাত ই ইসলামী ।

১৯৭৪ সালে দৈনিক সংবাদের একটি লেখার ‘প্রেক্ষিতে’ দেশত্যাগ করতে হয় দাউদ হায়দারকে। ১৯৯৩ সালে লজ্জা উপন্যাস রচনার ‘প্রেক্ষিতে’ দেশত্যাগ করেন তসলিমা নাসরিন। ১৯৭৪ সালে দেশে গনতন্ত্র ছিল, ধর্মনিরপেক্ষতাও নাকি ছিল। ১৯৯৩ ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা, কিন্তু গনতন্ত্র নাকি ছিল। আজ ২০০৮ সালে গনতন্ত্র নাই, ধর্মনিরপেক্ষতাও নাই। এই বাস্তবতায় জামাতের ম্যানিফেস্টো নিয়ে একটা সকাল কেন নষ্ট করলাম – আপাতত এটার জবাব খুঁজছি।


মন্তব্য

তারেক এর ছবি

হ্যাটস্‌ অফ টু ইউ! চমৎকার লেখাটার জন্য।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ধন্যবাদ আপনাকে, দরকারী এই দারুন পোস্টটার জন্য।


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

আলমগীর এর ছবি

মহাজোট মিত্র জাতীয় পার্টিও ব্লাসফেমি আইন মেনিফেস্টোতে রেখেছে।
লেখায় বাদ পড়ে গেছে এটা। আলীগ ক্ষমতায় গেলে কী করে দেখার বিষয়।

এনকিদু এর ছবি

১.
ব্লাসফেমী আইন ছাড়াই কিছু লোকজনকে দেশ ছাড়া করেছে । আইন থাকলে মনে হয় আমাদের সবাইকেই দেশ ছাড়া করবে ।

২.
এক কালে এই ভূখন্ডে দুটি দল ছিল । গোঁড়া আর উদার । এখন দেশে একটি মাত্র দল আছে । গোঁড়া । কেউ উদারের মুখোশে গোঁড়া আর কেউ মুখোশ ছাড়াই গোঁড়া । মুখোশ ছাড়াই উদার - এমন কোন দল কি আদৌ এদেশে কোন কালে ছিল ? আমার জ্ঞান হবার পর দেখিনি । বয়োজ্যেষ্ঠ সচলেরা ভাল বলতে পারবেন ।

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

তানবীরা এর ছবি

সব শুয়োরের একই রা। আওয়ামী-বিএনপি।
সুন্দর লেখা।
একটা আইডিয়া মাথায় খেলছে। জামাত ক্ষমতায় গেলে কেমন হয়? অন্তত বোমাবাজী আর রগ কাটার খেলাতো দায়ে পড়ে বন্ধ করতে হবে, নাকি?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

কল্পনা আক্তার এর ছবি

চমৎকার লেখা এবং অবশ্যই তথ্যসমৃদ্ধ!

............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

স্নিগ্ধা এর ছবি

যে কারণেই হোক, জামাতের ম্যানিফেস্টো নিয়ে সকালটা নষ্ট করার জন্য ধন্যবাদ - চমৎকার একটা লেখা!!

বিশ্বজুড়েই জঙ্গিবাদী মাদার অর্গানাইজেশনগুলো তাদের বেনামী স্প্লিন্টার গ্রুপগুলোর মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে যাচ্ছে

জামাতের রাজনৈতিক অ্যাপ্রোচে এই পরিবর্তন গত এক দশকের।

অন্যটি আরো বেশি মনযোগের দাবি রাখে - বিশ থেকে ত্রিশ বছর বয়সী সকল বাংলাদেশী নাগরিকের বাধ্যতামূলক সামরিক (সমর = জঙ্গ) প্রশিক্ষণ।

........................ হায়রে!

প্রকৃতিপ্রেমিক(অফলাইনে) এর ছবি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে যেমন জাতীয় পার্টি ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ণ করতে পারবেনা, তেমনি চারদল ক্ষমতায় গেলেও জামাত সেই আইন করতে পারবেনা--এমনটাই আমার ধারণা।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

জামাতের একমাত্র উদ্দেশ্য ক্ষমতা। ইনফ্যাক্ট, কিছুদিন আগপর্যন্তও এরা পুরা কুত্তাপাগোল অবস্থায় ছিলো। হতে পারে, আর্মি কোনো সাপের পাঁচ পা দেখিয়েছিলো। নির্বাচনের হাওয়া আসার পরে এরা হঠাৎ করেই সেই অবস্থান থেকে অনেকটা ডিফেন্সিভ অবস্থায় চলে গেছে। জামাত প্রচন্ড রকমের অ্যাডাপ্টিভ একটা দল। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভবত এবার হাসিনা বা তার সুযোগ্য পুত্র জয়ও ঠেকাতে পারবেন না।

এ অবস্থায় জামাত কি করবে? তারা বেস্ট পসিবল অপশনের দিকে যাবে। এই অপশন হলো, নিজেদের দিকে পাবলিকের ভোট টানা, পাবলিকের কাছে নিজেদেরকে আরো গ্রহণযোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টা।

জামাত এই করে, সেই করে, কাউরে গালি দেয় না, নামায পড়ে কপালে দাগ করে ফেলে, তারপরেও পাবলিক তাদেরকে পছন্দ করে না। কারণ কি? কারণ প্রধানত মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের বাংলাবিরোধী অবস্থান। এ জিনিসটা মাথায় রেখেই তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিষদ বানায়, মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে। ইন ফ্যাক্ট, এবার বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় গেলে তারা সত্যি সত্যিই চেষ্টা করবে একটা পর্যায় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কাজ করতে।

ব্ল্যাসফেমী আইনটাও এরকমই একটা পরিকল্পনার অংশ। সার্টিফিকেটধারী হোক আর সার্টিফিকেট না থাকুক, এদেশের মানুষের ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান খুবই অল্প। ইসলামকে যারা রাষ্ট্রধর্ম বানানোর চেষ্টা করেছে, এমনকি তারাও প্রকৃত ধর্মশিক্ষার জন্য কিছু করে নাই। ফলে, ধর্মান্ধতা জিনিসটাই অনেকটা আমাদের কাছে ধর্ম। জামাত ঠিক এই যায়গায় সুযোগটা নিতে চাচ্ছে। তসলিমার উদাহরণটাই দেই। অনেক আধুনিক শিক্ষার সার্টিফিকেটধারীও দেখবেন, তসলিমার দেশত্যাগে খুশী। তসলিমার কথার যুক্তি বা সত্যপ্রকাশের দিকের চেয়েও তসলিমা খারাপ কথা কয় অনুভূতি তাদের মাঝে বেশি কাজ করে। কেউ 'মুহম্মদ একটা ভন্ড, আল্লাহ বলে কিছু নাই' বললে, সেটা যে তার আর আল্লাহর ব্যাপার, এই সার্টিফিকেটধারীরা পর্যন্ত সেটা চিন্তা করে দেখে না। এমতাবস্থায় জামাতের টার্গেট এদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া।

আমার মন্তব্যের সারমর্ম হলো, জামাতের অ্যাপ্রোচে কোনো পরিবর্তন হয় নাই, জামাতের অ্যাপ্রোচ সবসময়ই অ্যাডাপ্টিভ এবং জামাতের উদ্দেশ্যেও কোনো পরিবর্তন হয় নাই, তাদের উদ্দেশ্য ওয়ান অ্যান্ড ওনলি 'ক্ষমতা'। ব্ল্যাসফেমি আইন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ - এগুলো তারা যেমন প্রোমোট করার কথা বলছে, একইভাবে ক্ষমতার জন্য আল্লাহ আর নবীর চৌদ্দগুষ্ঠিকে ধর্ষণ করতেও তাদের আটকাবে না।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

আরিফ জেবতিক এর ছবি

আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভবত এবার হাসিনা বা তার সুযোগ্য পুত্র জয়ও ঠেকাতে পারবেন না।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি =))

এখনও চেষ্টা শুরু করেননি , শুরু করলে কী হয় বলা যায় না ।

শিক্ষানবিস এর ছবি

অ্যান্টি-ব্লাসফেমি আইন আর বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ- দুটাই জামাতের নীলনকশার অংশ, সন্দেহ নেই। তবে আশার কথা, তারা এটা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। কারণ, চার দলীয় জোট এবার হারছে।
অছ্যুৎ বলাইয়ের একটা কথা খুব ভাল লাগল: জামাত খুবই অ্যাডাপ্টিভ। এটাই আসল কথা। জামাত যেকোন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেবার মতই ধুরন্ধর। তাই তাদের সবগুলো পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন থাকা জরুরী। সেদিক থেকে চিন্তা করলে, এই পোস্টটা অমূল্য। এই পোস্টের কথাগুলো আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। এটা আমাদের সচেতন থাকতে সাহায্য করবে।
লেখকের প্রতি তাই অশেষ কৃতজ্ঞতা...

হিমু এর ছবি
ফাহিম এর ছবি

অসাধারন একটা পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আমার রাজনীতি-জ্ঞান খুবই কম। একটা প্রশ্ন রাখলাম, কেউ উত্তর দিলে খুব খুশি হবো। বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামাত বা জাতীয় পার্টি কি আসলে কোন বড় ফ্যাক্টর? আমার তো মনে হয় ২০০১ এর নির্বাচনে বিএনপির বড় বিজয়ের কারন লোকজনের অ্যান্টি-আওয়ামী মুড, জামাতের কয়টা ভোট না। আসলে জামাতের বা জাতীয় পার্টির ভোট-ব্যাংক কত বড়? জোটে থাকলে বা জোটের বাইরে থাকলে তাদের ভোট বা আসনে কি ধরনের পরিবর্তন হয়?
(প্রশ্নগুলা মনে হয় খুব নাদানের মতো হয়ে গেল মন খারাপ)

সচলায়তনে অনেকে সাংবাদিকতা বা রাজনীতির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িত বলে মনে হয়, অনেকের চমৎকার বিশ্লেষণী লেখা বা মন্তব্য পড়ে মাঝে মাঝে মুগ্ধ হয়ে যাই। তাদের কারো কাছ থেকে এই বিষয়ে কিছু জানতে পারলে খুশি হতাম। অথবা কেউ যদি দয়া করে পোস্ট আকারে কিছু তথ্য যোগ করতে পারেন, তো চমৎকার হয়।

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চমৎকার একটি লেখা । ধন্যবাদ ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষনাত্মক লেখা আপনার। ধন্যবাদ। আপনি সকালটা নষ্ট না করলে আমরা এত সব কথা জানতে পারতামনা।

তামান্না কাজী

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

দুর্দান্ত লিখেছেন। জাতীয় পার্টিও ব্লাসফেমি আইনের কথা বলেছে, এটা সংযোগ করে দিয়েন লেখায়। অন্যথায় কেউ পরে লেখাটিকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে দাবি করে ক্রেডিবিলিটি কমানোর চেষ্টা করতে পারে।

সকালটা আমারও নষ্ট হয়ে গেল। যাক, দুই খান কথা।

প্রথমত, দেশে রাজাকার আইন নাই, এটা নিয়ে কারো মাথায় ব্যথা নাই।

দ্বিতীয়ত, নবীজী (স) এর আমলে কি ব্লাসফেমি আইন ছিল? ইসলামকে যথেচ্ছ ভাবে হেনস্তা করা হলেও শত্রুদের স্মিত হাসি ছাড়া কিছু দেয়নি ইসলাম। আমি অন্তত পুঁথি-কিতাবে সেই ইসলামের কথা পড়েই বড় হয়েছি। পরবর্তীতে ইসলাম সর্বময় ছড়িয়ে পড়লেও এ-ধরণের কোন আইন করা হয়নি।

বিশ্বাস যাদের ঠুনকো, তাদেরই এই সব আইন লাগে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছাড়া আর কিছু হাসিল হবে না এগুলো দিয়ে।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

ধন্যবাদ।

জাতীয় পার্টি কী ধরণের অ্যান্টি-ব্লাসফেমি ল চেয়েছে এখানে সেটি একটু বিবেচ্য। তারা যেভাবে ঐ আইনটির কথা বলেছে সেটি এরকম : "Amendment to the current anti-Quran and Sunna laws, introduction of laws to punish those who hurt religious sentiment, establishment of an independent Arabic University" ইত্যাদি। এখানে sunna law এবং arabic university এই দুটি প্রসঙ্গ লক্ষ্যণীয়। আমার ধারণা আগামীতে কোনো সম্ভাব্য দুর্বিপাকে (বরাবরের মতো) সৌদি সাহায্য পেতে এইসব বিষয়ের অবতারণা। পতিত স্বৈরশাসকের নির্লজ্জ উঞ্ছবৃত্তির সাথে একটি সুসংগঠিত মৌলবাদী গোষ্ঠীর দুরভিসন্ধিকে মিলিয়ে ফেলা ঠিক হবে না। এবং একইভাবে জাতীয় পার্টি ও জামাতকে সমীকৃত করে আওয়ামীলীগ ও বিএনপকি সমার্থক করে তোলাটাও সম্ভবত যুক্তিযুক্ত হবে না।

আপনার দ্বিতীয় কথাটির প্রেক্ষিতে উদ্ধৃত করতে চাই :"ক্ষমা অবলম্বন কর আর সদয়তার নির্দেশ দাও আর অজ্ঞদের পরিহার কর" (সূরা আল-আ'রাফ, ১৯৯)। কোরআন কতটা ওপেনএন্ডেড টেক্সট সেবিষয়ে আমার ধারণা কম। তবে চাইলে টলারেন্সের আমলগুলো এখান থেকে এক্সট্রাক্ট করাই যায়। সুরা আননিসায় ইহুদিদের ইসলামবিরোধী প্রচারের প্রেক্ষিতে বলা হচ্ছে "যখন তোমরা শোনো আল্লাহর নির্দেশাবলী অবিশ্বাস করা হচ্ছে ও বিদ্রুপ করা হচ্ছে তখন তাদের সঙ্গে বসো না যে পর্যন্ত তারা অন্য কোনো প্রসঙ্গে প্রবেশ করে"।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

তাদের সাথে বসতে মানা করা হয়েছে। লাঠিপেটা করে বের করে দিতে বলা হয়নি, জেল-জুলুম করতে বলা হয়নি, দোররা মারতে বলা হয়নি, ফাঁসিতে ঝুলাতে বলা হয়নি।

ইসলাম অনেক প্রগতিশীল একটা ধর্ম। যেই সময়ে ইসলাম প্রচার হয়েছিল, সেই সময়ের সমাজব্যবস্থার আলোকে ইসলাম অনেক অধিকার দিয়েছিল। ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে এটির। কিয়াস-এর মাধ্যমে ইসলাম যুগে যুগে এই আদর্শের সাথে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে যাওয়ার পথও খোলা রেখেছে।

মোল্লাদের সমস্যা হল, তারা ১৪০০ বছর আগের অক্ষর পালন করে চলে। "Law" এবং "Spirit of the Law" এর মধ্যে তফাৎটুকু এদের মাথায় ঢোকে না। আফ্রিকা সহ অনেক জায়গায় ইসলাম প্রচার পাওয়ার মূল কারণ ছিল সাম্য, অহিংসা, আর সহিষ্ণুতার বাণী। হুজুরেরা শুধু প্রচার করেই খালাস যে ইসলাম সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ধর্ম, কিন্তু কেউ বলে না কোথায় এবং কেন এই প্রচার।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দ্বিতীয়ত, নবীজী (স) এর আমলে কি ব্লাসফেমি আইন ছিল? ইসলামকে যথেচ্ছ ভাবে হেনস্তা করা হলেও শত্রুদের স্মিত হাসি ছাড়া কিছু দেয়নি ইসলাম। আমি অন্তত পুঁথি-কিতাবে সেই ইসলামের কথা পড়েই বড় হয়েছি। পরবর্তীতে ইসলাম সর্বময় ছড়িয়ে পড়লেও এ-ধরণের কোন আইন করা হয়নি।
চলুক

Mahmud এর ছবি

I feel helpless, cause

1. progressive thinking mainly coming from a small part of middle class (here I am defining it in terms of financial ability). compare to the whole mass... we are extremely insignificant by number. One part of this middle class is tryig to move to upper class and in the process, they are compromising with the principle of being "Honest" and put a blind eye on social injustice.

The other part of middle class is barely trying to stay afloat so that they don't fall down... this part can not act on thier intellectual principle..because hey, paying rent, and keeping a steady job is more important than social conscience.

2. So, we have Elites and Poors.... neither of them have any time for thinking... Elites are playing politics in front of vast percentage of poverty stricken population. Poor people are getting manipulated easily because their perception is based on the info presented to them..... so it's hopless.

3. I don't know how long it will take us to get away from the "Feudal System" completely... India and Pakistan has not got over it... in our country, we care more for who is whose wife or whose daughter.. Politician do those things to us bacause they know our mass still has "Feudal mentality"... we tolerate this... thats why people still will vote for Hasina or Khaleda. or being manipulated by Jamaat.

At the end of the day, I think our people suffers bacause they let the get over with murder..

হিমু এর ছবি

কন্ট্রোল + অল্ট + পি চাপুন, ফোনেটিক বাংলায় লিখতে পারবেন (অর্থাৎ কীবোর্ডে ami লিখলে বাংলায় আমি লেখা হবে)।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দিগন্ত এর ছবি

I don't know how long it will take us to get away from the "Feudal System" completely... India and Pakistan has not got over it

ঠিক ধরেছেন, এটাই সবথেকে বড় সমস্যা। এই সমস্যার মূলে আছে কয়েক হাজার বছরের কিছু অভ্যাস - বর্ণবাদ, জমিদারী আর সামন্তপ্রথা। এ থেকে মুক্তি পেতে এখনও কয়েকশো বছর চলে যাবে।


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

পুতুল এর ছবি

১৯৭৪ সালে দৈনিক সংবাদের একটি লেখার ‘প্রেক্ষিতে’ দেশত্যাগ করতে হয় দাউদ হায়দারকে। ১৯৯৩ সালে লজ্জা উপন্যাস রচনার ‘প্রেক্ষিতে’ দেশত্যাগ করেন তসলিমা নাসরিন। ১৯৭৪ সালে দেশে গনতন্ত্র ছিল, ধর্মনিরপেক্ষতাও নাকি ছিল। ১৯৯৩ ধর্মনিরপেক্ষতা ছিলনা, কিন্তু গনতন্ত্র নাকি ছিল। আজ ২০০৮ সালে গনতন্ত্র নাই, ধর্মনিরপেক্ষতাও নাই। এই বাস্তবতায় জামাতের ম্যানিফেস্টো নিয়ে একটা সকাল কেন নষ্ট করলাম – আপাতত এটার জবাব খুঁজছি।

লেখাটা অনেক কষ্ট করে, একটা সকাল নষ্ট করে লিখেছেন; জবাবটা পাইলে দয়া কইরা জানাইয়েন।

**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

লেখাটা যথেস্ট শক্ত একটা লেখা। এটিকে কোনভাবেই সময় নষ্ট করে লেখা বলা ঠিক হচ্ছেনা।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- 'আল বাইয়্যিনাত কেনো জামাতের গোপন (আন্ডারকভার) সংগঠন নয়', সেইটা আগে আমারে কেউ বুঝাক!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

যুবরাজ এর ছবি

অনেক দিন পর সচলায়াতনে এসে খুব সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। ধন্যবাদ সুন্দর লেখা দিয়ে সুন্দর সকাল শুরু করার জন্য.......

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

রায়হান আবীর এর ছবি

অসাধারণ একটা লেখা।

=============================

মামুন [অতিথি] এর ছবি

আমরা জানি মুজিবনগর সরকার একটি সফল সরকার , শেখ মুজিব নেতা হলেও যেহেতু মুকতিযুদদ করে নি ; তাই জেল তেকে বের হয়ে ৩০ লাখ জীবনের নাম ভুলে রাজাকার-আলবদর দের সাদারন মাফ দেন। যদি তাজুউদদিন সরকারের মতামত নিয়ে নতুন বাংলাদেশ চালিত হতো তা হলে হয়তো তাদের এমন করুন মরন হতো না , পাশাপাশি জিয়ার;জামাতওএরশাদএর মতো ফাসিসট সরকারের জনমম হতো না।আর গত ৩৭ বছরের রাজনীতি-তে জামাত ও এরশাদ কে কারা এখন পরযনত বাচিয়ে রেখেছে তা কি বুঝার জন্য্য্ বাংলার মানুষ কে বোকা বানানোর দরকার আছে ???????? সব হলো খমতা,আর এ কারনে সব সততা বাদ দিয়ে নেতারা আমাদের জীবন নিয়ে চিনিমিনি খেলচে। জাগো বাংলা জাগো;আর কতোকাল ??????????????

মামুন [অতিথি] এর ছবি

আমরা সবাই জানি আম্রকাননের মজিব ন গর সরকার বাংলাদেশের জন্‌মের একটি পুর্ন সফল সরকার। েশখ মুজিব নেতা হলে ও যুদ্‌ধকালীন ৯ মাস জেল খেটে এসে মুজিব ন গর সরকারের কথা না শুনে নিজের মতো করে ৩০ লাখ শহীদের রক্‌ত শুকাতে না শুকাতে পট করে খুনী,রাজাকার-আলবদর দের সা্ধারন খমা ঘোষনা দেন । কেন এবং কে ওনাকে ঐ একক খমতা দিয়েছিল ?? জন গন নাকি তাজু উ দ্‌দিন সরকার ?? এখানেই এবং এই সন্‌ধিখন মুহুর্তে বাংলার কোটি কোটি মানুষের জীবনের ভবিৎসত নির্ধারিত হয়ে যায় আগামী দিনের জীবন::::::::::::::যে সুখী জীবন হ োয়ার কথা ছিল তা না হয়ে আজ আমরা কোটি কোটি বাংগালীরা তার কানসারের রুগী হয়ে ধুকে ধুকে মরছি।যদি শেখ মুজিব মুজিব ন গর সরকারের কথা অনুযায়ী দেশ চালাতো তাহলে হয়তো তাদের এমন করুন ম্তুৎ হতো না , হতো না জিয়া, গোলাম আযম ও এরশাদ এর মতো নষ্‌ট-ভষট,ভনডা,ফাসিসট নেতাদের ও তাদের রাজনীতি।
৩৭ বছর আমাদের জীবন থেকে েশষ , একটি মানুষ কতকাল তার জীবনে বাচে ?? এতো বছর গত হয়ে যাবার পর ও আমাদের হুশ হলো না।
জামাত ও জাতীয় পার্টি কে গত ৩৭ বছরে কে এবং কোন সরকার বাছিয়ে রেখেছে তা কি বাংলার মানুষ কে চোখে আংগুল দিয়ে দেখাতে হবে???????আর কতকাল :::::::: জাগো বাংগালী জাগো নতুন জীবনের দিকে , নতুন স্বপনের দিকে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

তানবীরা বলেছেন- সব শুয়োরের একই রা।

দুঃখজনক, লজ্জাজনক, হতাশাজনক। শুয়োরের দেশে আমরা এখনও বেঘোরে বেঁচে আছি নির্লজ্জ নিথর। মন খারাপ
আপনার আমার সকাল দুপুর রাত্রি নষ্ট হবে প্রতিদিন, আর "সবকিছু" "যাবে" "নষ্টদের অধিকারে"। এটা দেখার জন্যই বুঝি জন্ম নিয়েছিলাম "গণতন্ত্র" আর "ধর্মনিরপেক্ষতা"ওয়ালা "স্বাধীন" দেশে! মন খারাপ

-----------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নিঝুম এর ছবি

চমত্‌কার লেখা।
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।