এই উপকথা আফ্রিকার সোয়াজিল্যান্ডের। আশ্চর্যভাবে আমাদের দেশের উপকথার সাথে কোথায় যেন মিল আছে। বাঙালী নামধাম দিয়ে গল্পটা বলতে চেষ্টা করলাম। আজকে দ্বিতীয়ার্ধ।আগের অংশ এখানে
২। তারপরে দিন যায় দিনের নিয়মে। রাখাল আর মেঘবতীর জীবন চলে আগের মতনই। এখন ইঁদুর আর কাঠঠোকরা তাদের কাছেই থাকে, ব্যর্থমনোরথ গুপ্তচরেরা বিদায় নিয়েছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন- দেশকে এত ভালবাস, দেশের ভাষা নিয়ে কাজ করতে চাও, তাহলে বিদেশ এলে কেন?
- আমিও একটা নৌকা বানাইছি, কী দিয়া - কমু না
(নৌকার প্রসঙ্গ উঠতেই সুশীলরা নড়েচড়ে বসলেন
কথাবার্তা কোনদিক দিয়া কোনদিকে যায় বোঝা চাই
আজকাল টকশোগুলা সব লাইভ, কাট-ফাট বাদ
ঝলসানো আলো;
কী কইতে কী কইয়া পরে আদালত অবমাননার মামলায় পড়া যায়)
- হাজার বছর ধরে আমি খাল খুঁজিতেছি এই বাংলার প্রান্তরে
(খালের প্রসঙ্গ উঠতেই আবার উসখুস চারপাশে
নিরপেক্ষ থাকাটাই আজকাল জ্বালা, ব্যাবাক পক্ষেই কালি
সবাইকে সাধারণত আলোর গুণকীর্তন করতে দেখা যায়। আলোকে সমস্ত সৌভাগ্য ও ভালোর উপমা হিসাবে তুলে ধরা হয়; অন্যদিকে অন্ধকারকে প্রতিকায়িত করা হয় মন্দ, অশুভ বা দুর্ভাগ্যের লক্ষণ হিসাবে। ও হ্যাঁ, অনেক সময় অন্ধকারকে সামান্য দয়া করা হয় বটে- বলা হয় যে, অন্ধকার আছে বলেই আলো এত ভাল লাগে বা অন্ধকার আছে বলেই আলোর সার্থকতা; তাই অন্ধকারকে হিসাবের খাতা থেকে বাদ দেয়া যাবে না। তাহলে কি আলোর করুণা নিয়েই বাঁচতে হবে অন্ধকার