Archive - ডিস 2017

December 15th

পদার্থবিদ্যার রহস্য রত্নঃ সময়-স্ফটিকের খোঁজে

বাহাউদ্দীন এর ছবি
লিখেছেন বাহাউদ্দীন [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ১৫/১২/২০১৭ - ১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞানবক্তা মিচিও কাকুর একটি বই আছে, নামঃ “ফিজিক্স অব দ্যা ইম্পসিবল”। এই বইয়ে কাকু তিনটি ভাগে “বর্তমান বিজ্ঞানে অসম্ভব” বস্তুর পদার্থবিজ্ঞান ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে বা গবেষণা কোন পর্যায়ে আছে তা নিয়ে কথা বলেছেন। এরকম “অসম্ভবের” প্রথমটি হল – ক্লাস ওয়ান ইম্পসিবিলিটিঃ এখানে আছে স্টার-ট্রেকের মতো শিল্ড বা ফোর্স ফিল্ড, স্টার-ওয়ার্সের মতো বিশাল স্পেসশীপ, কোন কিছুকে অদৃশ্য করে দেয়ার ক্ষমতা, টেলিপোর্টেশন, ভিন্ন গ্রহের বুদ্ধিমান প্রাণের সাথে যোগাযোগ ইত্যাদি। দ্বিতীয়টি হল – ক্লাস টু ইম্পসিবিলিটিঃ আলোর থেকে দ্রুত পরিভ্রমণ করা, সময় পরিভ্রমণ এবং প্যারালাল ইউনিভার্সে যোগাযোগ। শেষটি হল – ক্লাস থ্রি ইম্পসিবিলিটিঃ পার্পেচুয়াল মেশিন এবং ভবিষ্যৎ দেখতে পারা।


ফসল বিলাসী হাওয়া (১.১)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/১২/২০১৭ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

*****শীতনিদ্রা কাটিয়ে আবার লিখতে শুরু করেছি। লেখার শেষে প্রথম কিস্তির লিংক।

সাত।।
সেই রাত্রেই পালিয়ে এসেছি। পেওলার মুখোমুখি হাবার সাহস হয়নি আমার।

প্রথম বিশ্বের কোন দেশে থাকার অনেক সুবিধা। না খেয়ে মরতে হয় না, নিতান্ত অপদার্থ না হলে ঘুমুতে হয়না খোলা আকাশের নিচে, একটা না একটা কাজ জুটেই যায়। ওয়ান টু পিৎজা ছেড়ে পালিয়ে আসার সময় তবুও খুব চিন্তা হচ্ছিলো। কোথায় যাবো, করব কী, জমানো টাকা ফুরিয়ে গেলে কেমন করে চলবে, এই সব। শেষমেশ বুদ্ধি করে একটা ট্রেনে উঠে পড়েছি। টরোন্টো থেকে ভ্যানকুভার, প্রায় সাড়ে চার হাজার কিলোমিটারের পাড়ি। টিকিটের দাম পড়েছে চার’শ ডলার, প্লেনে গেলে দু’শ ডলারেই হয়ে যেতো। কিন্তু আমিতো আর বেড়াতে যাচ্ছি না। আমার দরকার কিছুটা সময়, ভাবনাগুলোকে গুছিয়ে নেবার জন্য। প্লেনে সেই সময় কোথায়! মাত্র তো পাঁচ ঘণ্টার পথ। রেলগাড়ি চলবে চার রাত তিনদিন। থাকা খাওয়ার খরচ ধরলে চার’শ ডলারে চার দিনের জন্য একটা হোটেলও মেলেনা আজকাল।

ভিয়া রেলের কর্তারা রসিক বটে। ইকোনমি ক্লাসের টিকিটে ভাড়ার জায়গায় লিখে রেখেছেন ‘এস্কেপ ফেয়ার’। আমি নাকের উপর একটা বই রেখে আড়ে আড়ে সহযাত্রীদের দিকে তাকাই। পাশের চেয়ারটা খালি। পরের সারিতে প্রথম সিটে যে বসে আছে তার গায়ে হাওয়াই জামা, মাথায় উল্টো করে ঝোলানো বেসবল টুপি, আসার পর থেকেই সে ফোনে বকবক করে চলেছে সদ্য গোঁফ গজানো কিশোরের মতো। সুখী সুখী চেহারার ওই আধবুড়োটা পালিয়ে যাওয়ার মানুষ নয়।


মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে যুক্তরাজ্য-যুক্তরাষ্ট্রের মতদ্বৈততা

নৈষাদ এর ছবি
লিখেছেন নৈষাদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৪/১২/২০১৭ - ৬:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একাত্তরের ১০ ডিসেম্বরের পর থেকেই নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষ যুদ্ধ বন্ধের জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করে দেয়। মার্কিন হস্তক্ষেপের জন্য পাকিস্তানের এই প্রচেষ্টা অবমুক্ত করা মার্কিন নথিতে পাওয়া যায়। ১৪ ডিসেম্বরে (১৯৭১) পাঠানো বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল স্পিভাকের টেলিগ্রামে (নং ৫৬২৭) জানতে পারি তৎকালীণ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মালিক এবং জেনারেল ফরমান আলী স্পিভাকের সাথে যুদ্ধ বন্ধের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।


December 9th

স্বাধীন মানুষ

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: শনি, ০৯/১২/২০১৭ - ১২:২২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মানুষ সবসময় অবাক করে। যদি মানুষের গল্প পড়া যায়, পৃথিবীটা হয়ে ওঠে শেক্সপিয়রের মঞ্চ। এই মঞ্চটা ছিল থানায়। বিকেলবেলায় সেখানে এক হাসিখুশি চেহারার লোক হাজির হলো।
বললো, সে একটা খুন করবে। এখনও না করা খুনটার জন্য অগ্রীম তাকে গ্রেফতার করা হোক। তাকে যদি গ্রেফতার না করা হয়, তাহলে খুনটা হয়ে যাবে।
এমন কথা কেউ কখনও শোনে নি।
থানার অফিসার বুঝতে পারলেন না তিনি কী করবেন।