..বরং জেল খেটে আসো আরিফ , এদেশে জন্মানোর প্রায়শ্চিত্ত করো তুমি...

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/১১/২০০৯ - ৯:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কার্টুনিস্ট আরিফের কথা আমি প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। দেশের বড় বড় কার্টুনিস্টদের তুলনায় আরিফ খুবই নস্যি একজন মানুষ। খুব সাধারন ছোটখাটো গড়নের এই ছেলেটিকে আমার খুব আহামরি কিছু মনে হয়নি তার আকাঁআকিঁতে। এরকম শত শত আরিফ শরিফ দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় কন্ট্রিবিউটর হিসেবে আছে, তারা লেখে , আঁকে এবং সে তুলনায় বিলও পায় একটা ছোটখাটো ধরনের। আমি নিজেও পূর্ণ সাংবাদিক হওয়ার আগে এরকম কন্ট্রিবিউটর হিসেবে ছিলাম।

সেই আরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো , সে বেড়ালের ছবি দিয়ে কার্টুন একে মুহম্মদের অবমাননা করেছে। মুহম্মদ, যিনি ১৪শ বছর ধরে কোটী কোটী মুসলমানদের পথপ্রদর্শক , সামান্য কার্টুনে তার ইজ্জত হানি হয়ে যায় সেরকম আমি বিশ্বাস করি না। তবে রাজনীতির নানা ঘোরপ্যাচ থাকে , মতিউর রহমানের প্রথম আলোকে বেকায়দায় ফেলানোর একদল লোক আছে, আবার কিছু আছে সত্যিকার অর্থেই মূর্খ ও ইতর , যারা ধর্মান্ধ ; এইসব লোক মিলে হা হা করে উঠলেন।
অবশেষে ধর্ম বাঁচানোর যুদ্ধে শরিক হলেন প্রথম আলোর সম্পাদক এককালের কমিউনিস্ট মতিউর রহমান, ঝানু ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আর বায়তুল মোকাররমের খতিব। সুমন্ত আসলামের চাকুরি গেল , আর ৬ মাসের জন্য জেলে গেল আরিফ।
এভাবে মুহম্মদের ইজ্জত যদি সুমন্তের চাকুরি আর আরিফের জেলের বিনিময়ে রক্ষা হলো একবার।

সব থিতিয়ে আসার পরে দেখা যাচ্ছে মুহম্মদের ইজ্জত রক্ষার যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। আজকে যশোরের কোর্ট রায় প্রকাশ করেছেন আরিফকে দুইমাস জেল আর পাঁচশ টাকা জরিমানা।
আসুন তালিয়া বাজাই।

একই মামলায় আসামি ছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং প্রথমআলোর তখনকার প্রকাশক মাহফুজ আনামও। প্রকাশিত সকল কনটেন্টের দায় আসলে প্রকাশক আর সম্পাদকেরই বেশি, এটা দুনিয়ার সবাই জানে।

জানেন না শুধু যশোহর কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট মহাশয়। সুতরাং মতিউর রহমান আর মাহফুজ আনামের নামে কোন গ্রেফতারি পরওয়ানা হয়নি। হয়েছিল নাকি আরিফের নামে।
আরিফ জানিয়েছে এই ধরনের কোন মামলার খবর সে জানতো না , কোন সমন কিংবা গ্রেফতারি পরওয়ানা সে পায়নি।

সে না পেলে তো হবে না, মুহম্মদের ইজ্জত রক্ষার জন্য কাউকে না কাউকে তো দায় নিতেই হবে।
মতিউর রহমান আর মাহফুজ আনামের ঘাড়ে সে দায় ফেলবার হ্যাডম নাই আমাদের, তাই তরুণ আরিফকেই আবার বলির পাঠা বানাতে হবে।

আরিফ আমার এক বন্ধু ছোটভাইর কাছে খুব করুণ একটা মেইল করেছে আজকে। ‌" ভাই আমাকে বাঁচান, আমি আর জেলে যেতে চাই না।'
সেই মেইল আমার কাছে ফরোয়ার্ড করেছেন আমার বন্ধু।

আমি ঝিম মেরে কম্পিউটারের সামনে বসে থাকি।
আমার ইচ্ছা করে লাথি মেরে সবকিছু এলেমেলো করে দিতে।


মন্তব্য

আরিফ জেবতিক এর ছবি
হাসান মোরশেদ এর ছবি

একটা বাচ্চা ছেলের রক্ত চুষে আরো পুষ্ট হোক শালার দেশ, ধর্ম, আদালত।
জনক-জননীরা সন্তান উৎপাদন বন্ধ করুন। কার সন্তান কোন অপরাধে জেলে যাবে, খুন হয়ে মরে পড়ে থাকবে রাজার লোকের হাতে- কেউ জানেনা।
মানুষের দরকার নেই। মানচিত্র থাক, আদালত থাক, ধর্ম ঝুলতে থাক বিশ্রী উপহাস হয়ে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুবিনয় মুস্তফী এর ছবি

এর উপর আর কিছু বলার নাই।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

কনফুসিয়াস এর ছবি

মনটা খুবই খারাপ হয়ে গেল এই কথা শুনে। মুখ ভরে গালাগাল চলে আসছে।

----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পার্থ আর আরিফ - রাষ্ট্র আর কতো খেলবে এদের নিয়ে ? আমাদের কি কিছুই করার নেই !!!!!

ফাহিম এর ছবি

কিছুদিন পরে হয়তো বাংলাদেশে আর মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না, সব দু'পেয়ে জন্তু হয়ে যাবে...

=======================
ছায়ার সাথে কুস্তি করে গাত্রে হলো ব্যাথা!

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

যুধিষ্ঠির এর ছবি

ভয়ংকর রাগ আর মন খারাপ হচ্ছে। কিছু বলতে পারছি না আর।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

লজ্জা লাগে, আরিফের সামনে কখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবনা...
ইতরগুলার প্রতি ঘৃণায় গা রি রি করে...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

আহির ভৈরব এর ছবি

কী আর বলি...রাজা আসে রাজা যায় আমাদের ভগ্য ফেরে না।

ভাই আমাকে বাঁচান, আমি আর জেলে যেতে চাই না।

একটা অসহায় ই-মেইল ছাড়া আর কী বা করতে পারে এই মানুষগুলি?
-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

-----------------------------------------------------
আর কিছু না চাই
যেন আকাশখানা পাই
আর পালিয়ে যাবার মাঠ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

সবাই গা বাঁচিয়ে চলতে চায়। মতিউর সাহেবের কি সামান্যতম দায়িত্ববোধ কাজ করলোনা, উনি কি পারতেন না এর প্রতিবাদ করে আদালতে গিয়ে বলতে যে সম্পাদক হিসেবে পত্রিকায় ছাপানো সব খবরের দায়-দায়িত্ব আমার, আরিফকে কেনো আমার বিচার করুন। কয়েকজনকে চাকুরি থেকে বিদায় করে, আলপিন বন্ধ করে, আরিফকে বিনা বাধায় পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে মতিউর সাহেব তার দায়িত্ববোধটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন। সম্পাদক হিসেবে উনার যোগ্যতা তাই আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ। এমন একটা সময় এসেছে যে এখন সবাই ঐ কাঠমোল্লাদের তোয়াজ করে চলে। হিজবুত তাহরিরকে যেদিন ব্যান করা হয় সেদিন প্রথম আলোর ঐ খবরে গিয়ে মন্ত্বব্য করেছিলাম - "এগুলো হলো জামাতী শিয়াল-শকুনের ছানাপুনা। সরকার অনেক দেরীতে হলেও বেশ ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো 'বদলে যাও, বদলে দাও' প্রথম আলো আমার বক্তব্য কাট-ছাঁট করে শুধু "সরকার অনেক দেরীতে হলেও বেশ ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।" এই অংশটুকু প্রকাশ করেছে। আবারও বুঝতে পারলাম - ভাসুরের নাম মুখে নিতে নেই।

আর যশোরের ঐ বিচারকের ব্যাপারে বেশী কিছু বলার নাই। রক্ত পরীক্ষা করালে কাবুল, পেশোয়ার, করাচীর বাতাসের তীব্র দূর্গন্ধ পাওয়া যাবে - এটা নিশ্চিত। আর পাওয়া যাবে মওদুদির বিষাক্ত লালা, যার কারনে আমাদের মহানবী'র মান-সম্মানের দাম তার কাছে মাত্র ৫০০ টাকা।

শেষে শুধু একটা প্রশ্নই করবো - মহানবীর সম্মান নষ্ট করলো কে????

-----------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

অন্ধকারের দেবতা এর ছবি

মতিউর সাহেবের চারিত্রিক সবলতার প্রমাণ তো তখন থেকেই পাওয়া গিয়েছিলো, যখন তিনি তার দীর্ঘদিনের বাম রাজনীতি ত্যাগ করে নিজের বর্ণ লুকানোর জন্য বহু বছর একসাথে কাজ করা সহকর্মীদেরকেও পরবর্তিতে আর কখনো চেনার দরকার মনে করতেন না. আর আরিফ তো কোথাকার কোন তুচ্ছ কার্টুনিস্ট..........

সচল জাহিদ এর ছবি

ধর্ম নিয়ে এই খেলা যে কবে বন্ধ হবে ??

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রায়হান আবীর এর ছবি

যতদিন এই জিনিসটা পৃথিবীতে থাকবে।


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

রাহিন হায়দার এর ছবি

সহমত।
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

চলুক
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

স্বাধীন এর ছবি

সহমত।

নজমুল আলবাব এর ছবি

হায় স্বদেশ তুমি এমন ভয়ঙ্কর বিশ্রি হয়ে যাচ্ছো কেনো?

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

বইখাতা এর ছবি

খুবই দুঃখজনক। সচলায়তন খুলেই এই লেখাটা পড়লাম, মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
মনে আছে, সেই সময়ে এই ঘটনাটা নিয়ে আমাদের অফিসেও সহকর্মীদের মধ্যে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়েছিলো। খারাপ লাগছে খুব।
আরিফের জন্য কি কেউ কিছু করবে ?
হয়তো না ।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

আসুন বসে বসে আঙুল চুষি আর আরও একবার দেখি ধর্মান্ধ সুবিধাবাদী ইতরশ্রেণীর বিজয়উল্লাস আর ওই "তওবা সম্পাদক"এর নিরাপদ-নিশ্চিন্ত দিনরাত্রিযাপন।
" ভাই আমাকে বাঁচান, আমি আর জেলে যেতে চাই না।'
উফ্ , এতোটা অপারগ আমরা?? এত অসহায়???
আর কত........
-------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

মেহদী হাসান খান এর ছবি

কেমন ঘোরের মধ্যে চলে গেলাম, যেন ঘোর ভাঙলেই দেখব সব ঠিক আছে, ছাগলের পায়ের তলায় পড়ে মানুষেরা মরছে না আর...

সুজন চৌধুরী এর ছবি
ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

বিধাতা কখনও অসুরের অস্তিত্বের জন্য বিব্রত হন না।
খোদা কখনও শয়তানের অস্তিত্বের জন্য বিব্রত হন না।

আমাদেরই শুধু বিব্রত হতে হয়, তাদের ছুতায় আহত হতে হয়...

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান আর এর প্রাক্তন প্রকাশক, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে আমি নানা কারণে অনেক, অনেক শ্রদ্ধা করি। দেখা যাক,এই অপেক্ষাকৃত অনুকূল পরিবেশে তাঁরা আমার শ্রদ্ধাটা বাঁচিয়ে রাখতে পারেন কিনা-- তাঁরা আরিফের পাশে যেয়ে দাঁড়ান কিনা।

তানবীরা এর ছবি

মন্তব্যটা গিলে ফেললাম আরিফদা

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

গৌরীশ রায় [অতিথি] এর ছবি

ভেতরটা কেমন জ্বলে আরিফ ভাই ..........

স্বাধীন এর ছবি

আমাদের কি কিছুই করার নেই.............................................?

রেশনুভা এর ছবি

প্রথমে মেজাজ খারাপ হল; আর এখন মন খারাপ। কত ক্ষুদ্র আমরা, ওদের কাছে।

অনিকেত এর ছবি

----------------------------

মৃত্তিকা এর ছবি

মন, মেজাজ দুইটাই খারাপ হইলো!

মামুন হক এর ছবি

ঘটনা হলো আমরা যারা সাধারণ মানুষ, মুক্তবুদ্ধির চর্চা আর মানবিকতাকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মনে করি, আমরা আক্ষরিক অর্থেই অসহায় --রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে স্বাধীন করা আমাদের মুক্তভূমিতে। আমাদের ক্ষমতা নাই, টাকা নাই, আমাদের কথা শোনার কেউ নাই।
লাথি দিয়ে সব চুরমার করার শক্তিও আমাদের নাই। নিজের অসহায়ত্বে লজ্জা পেতে পেতে কেমন জানি বোধশূন্য হয়ে যাচ্ছি দিনকে দিন।

নৈষাদ এর ছবি

কী আর বলার আছে, শুধু অক্ষম আক্ষেপ ছাড়া...।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনারা কি কেউ প্রথম যখন এই ঘটনা ঘটে তখন বায়তুল মোকাররমের খতিবের বক্তব্য শুনেছিলেন? প্রথমে তার কঠোর সিদ্ধান্ত ছিল, প্রথম আলোর সম্পাদক আর প্রকাশক কে ক্ষমা করা যায়না। তাদের দ্বায়িত্ব ছিল কার্টূন প্রকাশ হওয়ার আগেই সেটা দেখা। তারা ভুল করতে পারেনা। ভুল করলে তারা দ্বায়িত্ব কেন নিয়েছে..! আর এর কমবেশি ১২ ঘন্টা পরেই তার বক্তব্য ছিল, ক্ষমা মহানবীর ধর্ম। যেহেতু তারা তওবা করেছে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া যায়...

দুটি বক্তব্যই আমার নিজের কানে শোনা। মুখের হা বন্ধ করতে আমার অনেক সময় লেগেছিল। পরে শুনলাম (অতি বিশ্বস্থ সুত্রে), মোল্লার পকেট রাতের অন্ধকারে ভারী হয়ে উঠেছিল। আর সেই ভারেই তার ক্ষমার দরজার কবাট ধ্বসে পড়ে...

অনেকগুলো গালি গলার কাছে এসে আটকে আছে। সেগুলো উচ্চারণ না করার মতো সভ্য আমি না। কিন্তু আফসোস আমার জানা গালিগুলো এই হারামীগুলার নখের জন্যেও যথেষ্ঠ নয়...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সজীব [অতিথি] এর ছবি

মনটা খারাপ হয়ে গেল খবরটা পড়ে। প্রথম আলো সম্পাদক আরিফকে বাঁচাতে এগিয়ে আসবেন? মনে তো হয় না। মুক্তিযুদ্ধের সেন্টিমেন্ট কাজে লাগিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যটা তিনি ভালোই জানেন, আবার চিপায় পড়লে মোল্লাদের পা চাটতেও কুন্ঠাবোধ করেন না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চিন্তার বিষয়। আরিফ ছেলেটা পঁচা শামুকেই পা কেটে ফেলেছে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

'বারবার দাও তুমি ধর্মের দোহাই
চোঁখ মুদে দেখ তব মাঝে অধর্ম বোঝাই।'
মুক্তবুদ্ধি, মানবতা, প্রেম, পরমত সহিষ্ণুতা, সর্বোপরি শান্তি ভিন্ন ধর্মতো প্রকৃত বা আদর্শ ধর্ম হতে পারে না। যতদূর জানি ইসলাম তো এর বিরোধিতা করে না। তবে কি পৃথিবীর প্রাচীন ধর্মগুলোর স্বার্থান্বেষী ধর্মগুরুদের ন্যায় ইসলামেও নীতি বিকৃতকারীর সৃষ্টি হয়ে গেছে?
'আরিফ জেল খেটে এসেছো
শুকরিয়া আদায় কর! বেচে আছো বলে।
আবার জেলে যাও, এসে
শুকরিয়া আদায় করো! বেচে থাকলে॥
এস হোসাইন

------------------------------
"মোর মনো মাঝে মায়ের মুখ।"

বাবুবাংলা এর ছবি

সাজেদা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা দরকার।
উনার ছেলের মতো যদি “রাষ্ট্রপতির ক্ষমা” ম্যানেজ করা যায়!

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রিয়ক এর ছবি

দীর্ঘশ্বাস-ই কি আমাদের নিজেদের বাঁচিয়ে রাখার একমাত্র প্রতিষেধক হবে ?
''মানুষের দরকার নেই। মানচিত্র থাক, আদালত থাক, ধর্ম ঝুলতে থাক বিশ্রী উপহাস হয়ে।''
এটাই কি তবে সত্যি?
...................................................
আপনারে আমি খুজিঁয়া বেড়াই.....

আপনারে আমি খুজিঁয়া বেড়াই.....

সুমন সুপান্থ এর ছবি


ইচ্ছা করে লাথি মেরে সবকিছু এলেমেলো করে দিতে

সেই পা'য়ে আমাদের শক্তি সঞ্চয় কবে হবে আরিফ ?

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

রাহিন হায়দার এর ছবি

ভাল লাগছে না। মন খারাপ
...............................
অন্ধকারে অন্ধ নদী
ছুটে চলে নিরবধি

চিত্র  এর ছবি

কার্টুন টা যারা দেখেন নি, তাদের জন্য

(একটা ছেলে এবং একটা মোল্লা গোছের লোকের মধ্যে কথোপকথন)
মোল্লা: এই ছেলে, তোমার নাম কি?
ছেলে: করিম
মোল্লা: তোমার বাবার নাম কি?
ছেলে: রহিম
মোল্লা: এভাবে বলতে নেই, নামের আগে মোহাম্মদ বলতে হয়, তোমার হাতে ওটা কি?
(ছেলেটির হাতে একটা বিড়াল ছিলো)
ছেলে: মোহাম্মদ বিড়াল

এতটুকুন ই, এখানে আমি তো অসম্মানের কিছুই দেখি না... বাংলাদেশে যত মোল্লা রা এইটা নিয়া লাফালাফি করলো, তাদের ৯৮% কার্টুন টা দেখেনি বা কার্টুন এর বিষয়বস্তু কি ছিলো তা জানে না, সে বেপারে আমি মোটামুটি নিশ্চিত... বস্তুত যশোরের ওই বিচারক ও দেখেনি বলে আমার ধারণা...

মনজুর এলাহি এর ছবি

আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে,
শকুনেরা উড়ে বেড়ায়- হায়নারা হাসে।

রানা মেহের এর ছবি

কী বলা উচিত জানিনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

যুবরাজ এর ছবি

প্রথম আলো এই বিষয়টা নিয়ে কোন রিপোর্ট করেছে কি? এ ব্যাপারে তাদের বর্তমান অবস্থানটা কি? ---------------------------------------------------------------------------- হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা

হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------

মোশফেকা  এর ছবি

একটা মানুষও কি নাই যারা ধর্মভিত্তিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে দাড়াবার নামে ধর্মবিরোধী বড় বড় কথা না বলে আসলেই মানবতার জন্য কিছু করার সাহস রাখে?ধর্মবিরোরীতার নামে গোড়ামীও তো আর এক ধরণের মৌলবাদ।
এই দুই ধরনের মৌলবাদীদেরই ফাঁকা বুলি শুনতে শুনতে আমরা ক্লান্ত,হতাশ আর বীতশ্রদ্ধ।
আর কত ধর্মান্ধদের কারণে তথাকথিত প্রগতিশীলদের কাছে ধর্মভীরু মানুষের বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ আর লজ্জিত হতে হবে আর অন্য দিকে ধর্মব্যবসায়ীরা মানবতার অবমাননা করে ধর্মকে কলঙ্কিত করবে?
কার্টুনিস্ট সাধারণ একটি রসিকতাই করেছিলেন সে জন্য তার এরকম শাস্তি হবার কোন মানে নেই।আর যদি শাস্তিই হয় তাহলে মতিউর রহমান কিংবা মাহফুজ আনামের কেন হবে না।
মানবতার খাতিরেই আমাদের তার পাশে দাঁড়ানো উচিত,কিছু করা উচিত।আর সেজন্য ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস কোন বাঁধা হতে পারে না।আবার সমবেদনার নামে কোম ধর্মকে দায়ী করাটাও অসমীচীন হবে।

পউট্টাখালি এর ছবি

আমাদের কেউ কি আরিফের ওপর এই একের পর এক অবিচার আর কষ্টের ব্যাপারে কিছু করতে পারি না? অ্যামনেস্টি ইণ্টারন্যাশনালকে জানালে কোন কাজ হবে না?
আরেকটা ব্যাপার, আরিফ তো মনে হয় ঢাকার সুইডিশ দূতাবাসে যোগাযোগ করতে পারে। ওরা তো এর আগেও অনেক বাংলাদেশ বা অন্য অনেক দেশের লেখক-সাংবাদিককে আশ্রয় দিয়েছে।
এটা লিখতেই বেশ কষ্ট হলো। কারণ সুইডিশ দূতাবাসের মাধ্যমে কিছু করার শেষ পরিণতি তো দেশান্তরী হওয়া। সেটা কি জেলের চেয়ে ভালো? সেই দেশ ছেড়ে যাওয়া, যেটার মানুষের মুখে সামান্য হাসি ফোটানোটা আরিফের পেশা ছিলো। শুধু সেইটুকু করেই হয়তো আরিফ সুখী হয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলো।

Zellimm এর ছবি

আরিফ মোটামুটি গর্দভ শ্রেণীর একটি ছেলে! সে নেপালের কার্টুন কনফারেন্সে মদ গিলে মাতলামো করে বিদেশি নামজাদা কার্টুনিস্টদের গালাগাল করে বাংলাদেশের ইজ্জত মেরে এসেছে। এদেশের এক কার্টুনিস্টের গার্লফ্রেন্ডকে ডিস্টার্ব করে একশেষ করেছে।
তাকে জেলে কেন, গুয়ান্তানামো বে তে পাঠানো উচিত!

স্নিগ্ধা এর ছবি

যদি ধরেও নেই যে আরিফ কোথাও মদ খেয়ে মাতলামো করেছে বা কারুর গার্লফ্রেন্ডকে জ্বালিয়েছে, তাতে করে তার 'জেল' হওয়াটা জাস্টিফায়েড হয় কী করে??!!

তার ওপর আবার এই পোস্টে যে বিষয় নিয়ে বা যে কারণে আরিফের জেল হওয়া নিয়ে কথা হচ্ছে, সেই বিষয়টাই তো চরম হিপোক্রেসীতে ভরা! সেটা নিয়ে কিছু না বলে, আরিফ তার ব্যক্তিগত জীবনে কী করেছে না করেছে, সেই অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা কেন?

যুধিষ্ঠির এর ছবি

মদ খেয়ে মাতলামো, গালাগালি, অন্যের গার্লফ্রেণ্ডকে ডিস্টার্ব - এসবের জন্য আরিফের জেল হলে এ লেখাটা যে এখানে আসতো না এটা বোঝার মত জ্ঞান তো আপনার অবশ্যই আছে। তাহলে আপনার পোস্টের মানেটা শুধুই দুরভিসন্ধিমূলক ব্যক্তি আক্রমণ হলো না?

অকুতোভয় বিপ্লবী [অতিথি] এর ছবি

লজ্জা পেতেও লজ্জা লাগছে।
কার্টুন আঁকাই ছেড়ে দেব ভাবছি।
আর কত বঞ্চনা সইতে হবে নিরীহ মানুষদের?

"অকুতোভয় বিপ্লবী"

____________________________________________________________

লড়েই যাব, শেষ শোণিতটুকু বাজি রেখে

সংসপ্তক এর ছবি

আরিফ ব্যক্তিগত জীবনে যা ইচ্ছা তাই হন, সেটা ভিন্ন বিষয়। যে ধরনের জঘন্য হিপোক্রেসির শিকার তাঁকে হতে হচ্ছে.......তার চেয়ে লজ্জার কিছু নেই। সরকারের কথা বাদ দেই....... 'সুশীল' সমাজের প্রতিনিধি প্রথম আলো কিছু বলে না কেন? ভন্ডের জাত সব।

অজ্ঞাতে বিড়াল মোহাম্মদ লিখে ফেললে দোষ, কিন্তু ঘরের কাজের ছেলেকে, "অই রহমত কুত্তার বাচ্চা, আমার গোসলের পানি এখনো গরম হয় নাই কেন?" নাইলে "মোস্তাফার মত হারামী দেখি নাই" দুই বেলা বলতে সমস্যা হয় না। মাঝে মাঝে মনে হয় ভারচুয়াল রিয়েলিটিতে বাস করছি; সত্যিকার মানুষ কেম্নে এতো বেকুব হয়?

.........
আমাদের দূর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

.........
আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা
সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক;
আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌আরিফ ধর্মের কোন সমস্যা ছিল না, রাজনীতির সমস্যা ছিল। কাঠমোল্লাদের জন্য এরকম ইস্যুগুলি খুবই প্রয়োজনীয়। জামায়াত জেনেশুনে এরকম ইস্যুগুলোতে গুড় লাগায়, তারপর মজা দেখে দুরে দাড়িয়ে। এবার মনে হচ্ছে গুড় লাগানোর দায়িত্ব নিয়েছে বসুন্ধরা। কারন কদিন আগে থেকে পোষ্টার দেখছি দেয়ালে দেয়ালে মতিউর আর লতিফুরের ফাঁসির দাবীতে। এই রায়ের সাথে ওই পোষ্টারের যোগসুত্র থাকতে পারে।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দ্রোহী এর ছবি

হায় স্বদেশ! হায় মানুষ!

nira [অতিথি] এর ছবি

আসলে দেশের মোল্লাগুলার কনো কাম কাজ নাই শুধু গন্ডগোল পাকানো ছাড়া। ছোট একটা কাটুনের জন্য এত ভেন ভেন। কিছুদিন আগে করল তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে এখন শুরু হইল আরিফরে নিয়ে। আর গোলাম আযম, নিজামির মতন এত বড় বড় রাঘব বোয়ালদের কিছুই হয়না। খুবই দুঃখ পাই।

নাশতারান এর ছবি

গালি দিতে মন চায়।
তাতে অবশ্য জেল খাটার ভয় থাকে।
মনে মনে অভিশাপ দেয়া যায়।
কিন্তু আমার অভিশাপনামা সরাসরি বিধাতার রিসাইকল বিনে গিয়ে জমা হয়।
তার চেয়ে তালি দিয়ে মজা দেখাই বোধহয় বুদ্ধিমানের কাজ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম [অতিথি] এর ছবি

এই লাইনগুলো মনে পড়ছে...

অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ,
যারা অন্ধ সব চেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা;
যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই
পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।