আমরা মোবাইল ফোনের সাহায্য নিয়মিত আপডেট জানাচ্ছি ঢাকা নিয়ে
আপডেট ১৭. বিডিনিউজ২৪ বলছে ট্যাংকবহর ফিরে গেছে
আপডেট ১৬. ঢাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত ও নিয়ন্ত্রনে।
আপডেট ১৫. বিডিনিউজ২৪.কম জানাচ্ছে,
"প্রায় ৩৩ ঘণ্টার উৎকণ্ঠা-আতঙ্কের অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর পিলখানার বিডিআর সদরদপ্তরের প্রধান ফটক দিয়ে ভেতরে ঢুকেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে থেকে বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। দৃশ্যত এর মধ্য দিয়ে বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের অবসান এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ৬টা ৪০ এ প্রথমে পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে একটি সুসজ্জিত দল প্রধান ফটক খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা পুলিশের একটি ট্রাক ও একটি লরিতে করে ভেতরে ঢোকে। এর সঙ্গে সাদা রঙের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়িও ছিল। তবে তার জানালা কালো কাচের হওয়ায় গাড়ির ভেতরের কাউকে চেনা যায়নি। এর কিছুক্ষণ পরে বিডিআরের এক মেজর কামারুজ্জামানকে বের করে আনেন পুলিশ। ইতিপূর্বে বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানরা বলেছিলেন শুধুমাত্র পুলিশের কাছেই অস্ত্র সমর্পণ করবেন তারা। গণমাধ্যমকর্মীরা ফটকের বাইরে অবস্থান করছেন। তাদের কাউকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না"
আপডেট ১৪. ইউএনবি (সন্ধ্যা ৬:৪৮) জানাচ্ছে, "BDR jawans deserts 24 border outposts in Chuadanga, Meherpur and Jhenidah districts"
আপডেট ১৩. সেনাবাহিনী ঘিরে রেখেছে পিলখানা। জানাচ্ছেন নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:০০)
আপডেট ১২. প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, মুস্তাফিজ ভাই এর সৌজন্যে
আপডেট ১১. অস্ত্র সমর্পণ না করলে কঠোর ব্যবস্থা:প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ফেব্রয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম) - অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিডিআরের বিদ্রোহী সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন, অন্যথায় দেশের স্বার্থে যে কোন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশ্যে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে হাসিনা এক কথা বলেন।
আপডেট ১০. বেলা দুটার মধ্যে আত্মসমর্পন করার কথা থাকলেও তা হয়নি। শেষচেষ্টা হিসেবে সিনিয়র নেতারা আলোচনায় বসেছেন। সম্ভবতঃ ফলাফল খুব খারাপ হতে যাচ্ছে..
আপডেট ৯. গোলাগুলি শুরু, পরিস্থিতি বিরূপ!! জানাচ্ছেন সবজান্তা (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:০০)
আপডেট ৮. পরিস্থিতির উন্নতি, অস্ত্রসমর্পন হবে তাড়াতাড়ি। জানাচ্ছেন নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ সময় রাত ২:০০)
আপডেট ৭. বিরাজ করছে অনাস্থা। জানাচ্ছেন সবজান্তা (বাংলাদেশ সময় রাত ৯:৩০)
আপডেট ৬. এখনও আত্মসমপর্ন করেনি বিদ্রোহীরা। জানাচ্ছেন আনিস মাহমুদ (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭:৩০)
আপডেট ৫. প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। জানাচ্ছেন নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬:৩০)
আপডেট ৪. জানাচ্ছেন নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪:৩০)
আপডেট ৩: বাংলা ভিশন লাইভ ফীড দেখতে নীচের লিংকে যান
http://www.amaderadda.com/component/option,com_wrapper/Itemid,279/
আপডেট ২. জানাচ্ছেন ফারুক ওয়াসিফ (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২:৩০)
আপডেট ১. জানাচ্ছেন নজরুল ইসলাম (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১:৩০)
মন্তব্য
সূত্র
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
- এই মাত্র কথা হলো ঢাকায়। ঘটনাক্রমে বাসা হলো বিডিআর তিন নাম্বার গেটের পাশেই। কথা হলো ছোট বোনের সাথে। তারা উদ্বিগ্ন। কথা যখন বলছিলাম ঠিক তখনই একটা ভারী শব্দ শোনা গেলো। মর্টারের গোলা?
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দল এখনো ঢুকতে পারছে না। হেলিকপ্টার নিচে নামলেই গোলাগুলির শিকার হচ্ছে। কার্ফূ-র খবরটা কি গুজব?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
http://www.amaderadda.com/component/option,com_wrapper/Itemid,279/
এইমাত্র জানতে পারলাম, সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক এইমাত্র সাদা পতাকা নিয়ে আলোচনার জন্য বিডিআর গেটে গেলেন। তাঁর সাথে শুধু দুজন পুলিশ রয়েছেন। বিডিআরের পক্ষ থেকে মিডিয়া পাঠানোর কথা বলা হয়েছিলো এর আগে। কোনো মিডিয়া না পাঠিয়ে প্রতিমন্ত্রী সরাসরিই গেলেন।
অন্য এক সূত্র থেকে জানা গেলো, প্রতিমন্ত্রীর সাথে দুজন সাংবাদিকও রয়েছেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
নানক গুলী থামাতে বলছেন। খুব একটা কাজ হচ্ছেনা তাতে মনে হয়। তার কথার মাঝেই গুলীর শব্দ হোল কবার।
নানক ভিতরে ঢুকেছেন আলোচনা করার জন্যে। দেখা যাক।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
নানক, মীর্জা আজম ভিতরে ঢোকার পর আবার গুলির শব্দ হোল, বলছে এনটিভি। পাঁচ নাম্বার গেটের পাশের দরবার হল তছনছ, ভিতরে নাকি বেশ কয়েকজনের লাশ পড়ে আছে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুন বললেন, প্রধানমন্ত্রী বিডিআরদেরকে সংযত হতে বলেছেন। তাদের দাবী মেনে নেওয়া হবে।
সাহারা খাতুনকে দেখে মায়াই লাগছিল। শী ডাজ নট হ্যাভ এনি আইডিয়া হোয়াট শী শ্যুড ডু।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
banglavision dekha jai na keno? ektu ageo to ok chilo. keo ar kono link dite paren?
- এডিটর ডট নেট-এর খবর
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
চ্যানেল ওয়ান এর খবরে এইমাত্র জানানো হলো যে মিনিট পাঁচেক আগে বিডিআর-এর ১৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়েছেন।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
আনহার্ড ভয়েস এ পিরিওডিকালি কিছু আপডেট পাওয়া যাচ্ছে। দেখতে পারবেন এখানেঃ
http://unheardvoice.net/blog/2009/02/25/bdr-mutiny/
___________________________________
অন্তর্জালিক ঠিকানা
এই মুহূর্তে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সরকারদলীয় হুইপ মির্জা আজম বিডিআরের ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনার জন্য যমুনায় গিয়েছেন। গোলাগুলি আপাতত বন্ধ বলে জানা গেছে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় থাকার সময় একটা এরকম বিদ্রোহ দেখেছিলাম।
তবে আনসারদের কাছে বেশি অস্ত্র-শস্ত্র ছিল না।
শেষমেশ হেলিকপ্টার আক্রমণে আনসাররা সারেন্ডার করে।
ঘটনাটা ৯২-৯৩ সালের।
সেই ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পারি আলোচনা করার বাহানায় এক ধরনের শক্তি প্রয়োগ না করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব না।
ক্যান্টনমেন্ট, বিডিআর হেডকোয়ার্টার্স এগুলো জনপদ থেকে দূরে নিয়ে যা্ওয়া দরকার অচিরেই।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
শোহেইল মতাহির চৌধুরী লিখেছেন "মালিবাগ চৌধুরীপাড়ায় থাকার সময় একটা এরকম বিদ্রোহ দেখেছিলাম।
তবে আনসারদের কাছে বেশি অস্ত্র-শস্ত্র ছিল না। শেষমেশ হেলিকপ্টার আক্রমণে আনসাররা সারেন্ডার করে।
ঘটনাটা ৯২-৯৩ সালের।"
আমিও সে সময় খিলগাও সি ব্লকে থাকতাম এবং ঘটনা দেখেছি । ফরহাদ মাজহারের জেল হয়েছিল সেই বিদ্রোহ নিয়ে কলাম লেখার দায়ে ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
আপনি রামপুরায় থাকতেন না?
আমিও একসময় পল্লীমা সংসদের পাশে থাকতাম।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
১১ বছর ধরে রামপুরাতে আছি ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মুন্নি সাহা স্পেশাল
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
জেলখানার একজন কয়েদি নাকি আহত হয়েছে? কীভাবে? কত বিস্ময়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
প্রিজন ভ্যানে করে নেয়ার সময়। বিডিআরের অস্ত্র স্বাভাবিক কারণেই অনেক দূরত্ব পর্যন্ত কার্যকরী এবং ভারি।
http://www.youtube.com/watch?v=MNPsf5WuTDQ
শেষের ভিডিওটা দেখে খুব খারাপ লাগছে। দেয়ালে পিঠ কতোটা ঠেকে গেলে একদল বোকা মানুষ নিজের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে?
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
সচলরা সবাই ঠিকাছেন কি? যাঁরা ঢাকায় আছেন পরিচিতদের খোঁজ নিন।
বিকাল পর্যন্ত মন্তব্য করে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে টিভিতে বিডিআর জওয়ানদের দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
এ'সব স্বল্প বেতনভোগী জওয়ানরা কতটা বেপরোয়া হলে, কতটা দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এরকম অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনাহীন কাজ করতে পারে। সাধারণ ক্ষমার আওতায় সবাই পরেন কি না সেই প্রশ্নের পাশাপাশি সেনাবাহিনী তাঁদেরকে এ'রকম বিনাবাধায় ছেড়ে দিবে কি না, সে প্রশ্ন আমার মাথার পাশাপাশি নিশ্চয়ই তাঁদের মাথাতেও ছিলো, আর সে'সময় তাদের মলিন মুখ দেখে তাই খারাপই লাগলো।
শেষ খবরঃ সরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বিডিআর সদর দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দাবি অনুযায়ী সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে প্রত্যাহার শুরু হয়ে গিয়েছে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ডেসপারেট ভাবটা আমিও লক্ষ্য করেছি। শো অফ নাই, বাড়তি কোনো চর্বি নাই, সরাসরি কথাগুলো বেরিয়ে আসছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
পরিস্থিতি "স্বাভাবিক" হবার পর সবকিছু নিয়ে তদন্ত হবে নিশ্চয়ই। যদি দুর্নীতি এবং সীমালঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের মধ্যে চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ হোক, এ যেমন কাম্য নয়, তেমনিভাবে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে একটি অস্ত্রধারী বাহিনীর সদস্যদের ভেতরে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হতে দেয়াও কোন সুস্থ কমান্ডের লক্ষণ হতে পারে না। এ কেমন অফিসার যার সৈনিক অস্ত্রহাতে বিক্ষোভ করে?
বিদ্রোহীদের অনেকেই বলছেন বিডিআর এর কমান্ড থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের ব্যাপারে। বিডিআর এর সৈনিক ঠিক করে দেবে কে কমান্ডে থাকবে? বিডিআরের কাঠামোই এমন, যে এর নেতৃত্ব সেনাবাহিনীর অফিসারদের হাতে। কোন অফিসার যদি অদক্ষ হন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর উপায় রাখা উচিত। পাশাপাশি এমন পুঞ্জীভূত ক্ষোভ তৈরি হতে দেখা গেলে সেনা গোয়েন্দা দপ্তরের উচিত তা যথাস্থানে অবহিত করা এবং প্রশমনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া। তারা কেন তা করতে ব্যর্থ হলো, সেটাও তো একটা প্রশ্ন।
টিভিতে এক বিডিআর সৈনিক জানিয়েছে, উচ্চপদস্থ সেনা অফিসার নাকি এক বিডিআর সৈনিককে গুলি করেছে! একজন অফিসারকে কেন গুলি করে সৈনিকের শৃঙ্খলার কথা স্মরণ করিয়ে দিতে হবে?! এ কেমন অফিসার?
যাদের হাতে অস্ত্র আছে, তাদের যারা পরিচালনা করেন, তাদের অদক্ষতা সকলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। ন্যূনতম রক্তপাতে এই পরিস্থিতির অবসান চাই।
সর্বশেষ টিভি আপডেটঃ এই মাত্র নিউজে দেখা গেলো, একজন বিডিআর জওয়ান অস্ত্র জমা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমরা কেন অস্ত্র জনা দিবো ? আমরা কী কোন সাধারণ নাগরিককে মেরেছি ? আমাদের অস্ত্র জমা দেওয়ার কোন কারণ নেই"
স্পষ্টতই এই বিদ্রোহের নেতৃত্ব খুব 'ওয়েল ডিফাইনড' কিছু নয়, কাজেই নানা মতের দেখা পাওয়া যাচ্ছে। এ'দিকে বিডিআর সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর কারো খোঁজই এখনো তাঁদের পরিবারের সদস্যরা পান নি। পরিবারগুলিতে শোকের ছায়া ঘনীভূত হচ্ছে ক্রমশ।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
বিডিআরের সৈনিকরা প্রত্যন্ত সব ফাঁড়িতে পোস্টেড হয়, সেখানে তাদের নেতৃত্বে থাকে একজন ননকমিশন্ড অফিসার। তারা সেই এনসিও-র প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে কাজ করে, এনসিও আদেশ গ্রহণ করে তার সেনা অফিসারের কাছ থেকে। তাদের প্রশিক্ষণে কোথাও এই অফিসারের আদেশ লঙ্ঘন করে কোন কিছু করার উদাহরণ নেই। পিলখানার ভেতরে যে বিডিআর সৈনিকেরা আছে, তারা এমন অনেক এনসিওর প্রত্যক্ষ নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করবে। সেই এনসিওদের মধ্যে এই বিদ্রোহের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে খুব একটা স্পষ্ট ধারণা থাকার কথা না, তার শিক্ষা বা প্রশিক্ষণে সেসব নেই। তাদের ভেতরে এখন বিচ্ছিন্ন মত উপমত দ্বিমত তৈরি হবে, যা মনে হচ্ছে।
কিন্তু বিডিআরের সৈনিকেরা প্রত্যেকেই দুর্ধর্ষ যোদ্ধা। তারা কোন অংশেই সেনাবাহিনীর সৈনিকদের চেয়ে ন্যূন নয়। বরং বছরভর তারা বিভিন্ন দুর্গম এলাকা বা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শত্রুর মুখোমুখি থাকে। এই মূহুর্তে বলিষ্ঠ কমান্ড বাদে বাকি সবই তো মনে হচ্ছে তাদের কাছে আছে।
দেশের সৈনিককে শত্রু বাদে অন্য কারো মুখোমুখি হতে দেখলেই দুঃখ লাগে। এই পরিস্থিতির আশু অবসান হোক, আর কারো রক্তপাত না ঘটুক, এ-ই চাই।
চলমান জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ উপনেতার বক্তব্যে এই আভাষ পাওয়া গেলো যে সমস্যাটার একটা ভালো সমাধান হতে যাচ্ছে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেদিকে ব্যস্ত থাকায় সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন।
তবে একটু আগে চ্যানেলের খবর থেকে জানা গেলো যে আবারো নাকি পিলখানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। বাইরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছেন, কিন্তু পারছেন না। ইতোমধ্যে বিদ্রোহী বিডিআরদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে এলাকা থেকে আর্মি প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তাঁরা অস্ত্রসমর্পণ করবেন না।
আরেকটি বিষয়ে খুব কৌতুহলী রয়েছি। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে যেসব বিডিআর হেডকোয়ার্টার এবং ক্যাণ্টনম্যাণ্টগুলো রয়েছে, সেসবের কী অবস্থা ? কোথাও কি তেমন উল্লেখযোগ্য কোন খবর আছে ? সীমান্তেরই বা কী অবস্থা ? বিষয়গুলো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রাজনৈতিক শুভলক্ষণ গুলো থেকে সেটা আশাও করছি।
ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে কেউ থাকলে লাইভ খবর দিন। তবে, এখান থেকে আপাততঃ যা বুঝলাম, নো স্প্রেডিং, এটা ভাল খবর।
এই মাত্র মুন্নী সাহার রিপোর্ট শুনে যা বুঝলাম, আমার স্পেকুলেশন পুরোপুরি মিলে গিয়েছে। অবিশ্বাস এখন চূড়ান্ত। বিডিআর, আর্মির কাছে অস্ত্র সমর্পণে একদমই রাজি নয়। অবস্থা আবার পুরো দিনের মত হয়ে যাচ্ছে। এতোক্ষণ সাংবাদিকেরা গেটের কাছে যেতে পারছিলো, কিন্তু হঠাৎ করেই এলোপাথারি গুলি শুরু হয়ে গিয়েছে, এখন আবার দূরে সরে যেতে হয়েছে।
অবিশ্বাস খুব ডমিন্যাটিং ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে, সেই সাথে নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্যও আসলে এখানে নেই। সব মিলিয়ে অবস্থা ভীষণভাবে ঘোলাটে।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি সংবিধানের অধ্যাদেশ আকারে অনুমোদন করে গ্যাজেট প্রকাশ ছাড়া বিডিআর আত্মসমপর্ণ করবে না বলে সর্বশেষ দাবি জানিয়েছে। ওরা আসলে নিজেদের নিরাপত্তা চায়। কিন্তু সংবিধানের অধ্যাদেশও কি আসলে ওদের নিরাপত্তা দিতে পারবে? এই বিডিআর জওয়ানদের কেউই আসলে আর দীর্ঘায়ু নয়। সাধারণ ক্ষমা যদি করাও হয়, বড়ো জোর মাসছয়েক, তারপর তাদের বাধ্যতামূলক অবসর হবে। এরপর তাদের কী ভাবে নিকেশ করা হবে সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্যে আছে ডিজিএফআই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
শহীদুল আলম কিছু ভিডিও ক্লিপ এবং ছবি আপলোড করেছেন দেখলাম ব্লগে
এই মুহূর্তে জানা গেলো, বিডিআরের সাথে বৈঠকের পর ব্যরিস্টার ফজলে নূর তাপস সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিডিআর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছেন। আগামী দেড় ঘণ্টার মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে হতাহতের সংখ্যার ব্যাপারে তিনি কিছু বলেন নি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
যারা খবর দিচ্ছেন তারা যদি তাদের মন্তব্যের সাথে ঢাকা সময়টা জুড়ে দেন তাহলে সুবিধা হয় ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অস্ত্র সমর্পন শুরু হয়েছে । সাহারা খাতুনের কাছে অস্ত্র জমা দিচ্ছেন বিদ্রোহী জোয়ানরা । পিলখানা থেকে মাইকিং করে সেনাবাহিনীকে দূরে থাকার জন্য বলছেন জোয়ানরা ।
৩ নং গেট থেকে সেনাসদস্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে । মিরপুর রোড খুলে দেয়া হয়েছে ।
( রাত ২.৪৫ মি:/ঢাকা )
বিডি নিউজের খবরঃ
একটি গাড়ি থেকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামানের ছেলে সৈয়দ ইমামুজ্জামান বলেন, “আমার বাবা এখনও দরবার হলে আটকা আছেন। আমার বাবাকে বাঁচান।” ইমামুজ্জামান বলেন বিডিআর সদস্যরা তাদের বাড়িতে ভাংচুর করেছেন।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সিসিবি থেকে একটা কমেন্টঃ
সানাউল্লাহ (৭৪ - ৮০) বলেছেনঃ
ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০০৯ @ ১:৪০ পূর্বাহ্ন
এই মাত্র সামিয়া ফোন করেছিল। বেশ কিছুক্ষণ আগে ওদের বাসায় জওয়ানরা ঢুকে আলমারি হাতড়ে অলংকার যা পেয়েছে নিয়ে গেছে। কিছুক্ষণ পরপর জওয়ানরা বাসার দরজা ধাক্কাধাক্কি করে। বাইরে থেকে কথা বলে চলে যায়। অরাজকতার চূড়ান্ত।
সামিয়া বাসার বাইরে এক আত্মীয়ের বাসায় আছে। ওদের বাসায় মা, ভাই এবং কাজের বুয়া আছে এই মূহুর্তে। বাবার খবর সামিয়া বা ওর মা কেউই জানেন না। আমি ওকে বললাম সিসিবির সবাই তোমাদের পরিবারকে নিয়ে উদ্বিগ্ন। ও সবার কাছে ওর বাবা-মা-ভাইসহ সবার জন্য দোয়া চেয়েছে।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
সিলেট আখালিয়া বিডিআর ক্যাম্প থেকে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে । রাস্তা ব্লক করা হয়েছে ।
( সূত্র : বিডিআর ক্যাম্পের পাশ থেকে নজমুল আলবাবের বড় ভাই কামরুল আহবাব । সকাল ১০.২৫ /ঢাকা )
সিচুয়েশন ভালোনা মনে হয় ... পড়লাম আরেক জায়গায়... ফেনী, নওগাঁর কথাও শুনছি ...
সরকারের সাথে সমঝোতাও পুরোপুরি শেষ হয়নি সম্ভবতঃ, মতিয়া চৌধুরী, নানকসহ আরো অনেকে এখনও মিটিং করছেন আম্বালায়
সোর্স:
http://www.cadetcollegeblog.com/nondoghosh/4460
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বেলা ২ টার ডেডলাইনের মধ্যে তেমন কোন উন্নতি হবে না, এটা বোঝাই যাচ্ছে। এরপর ক্র্যাকডাউন আসন্ন বলে ধরে নেওয়া যায়। ২ টা নাগাদ সবার নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়া, এবং কাঁচ থেকে দূরে থাকা উচিত। মনে হয় আত্মীয়-স্বজনকে এমনটা উপদেশ দেওয়া উচিত সবার। বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের, যেন তারা কৌতূহলী হয়েও জানালার কাছে না যায়।
গুড পয়েন্ট
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
সেনাবাহিনী এ্যাকশনে যাবার জন্য প্রস্তুত মনে হচ্ছে...বিডিনিউজের খবর...খুব স্লো হওয়ায় অনেক সময় ঢুকা যাচ্ছে না...তাই এখানে দিয়ে দিলাম...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষনে স্পষ্টতই বলে দিলেন অস্ত্র জমা না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সর্বশেষ আরেকটি দল বিডিআর সদর দপ্তরে আলোচনার জন্য গেছেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অনুগ্রহ করে কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের মূলকথাগুলো তুলে দিতেন!
এখনকার পরিস্থিতি কি?
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
পুরো দেশ কষ্টে আছে
নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন
আমরা চেষ্টা করছি উন্নতি ঘটানোর
মাত্র ৫০ দিনে অনেক কিছু করেছি
অনাকাঙ্খিত অনেক কিছু ঘটে গেছে
আমার কাছে এসেছিল, আমি ক্ষমা করে দিয়েছি
গুলি কাকে করবেন?
সবাই নিজের মানুষ
অনেকে অনেক কিছু হারিয়েছেন, বিশেষ করে পরিবারবর্গ
স্বজন হারানোর ব্যাথা আমি বুঝি
দেশের স্বার্থে সামরিক, বেসামরিক, আধা-সামরিক সকলেই ধৈর্য ধরুন
অনেক কিছু ঘটে যাওয়ার পরও ধৈর্য ধরেছি
আত্মঘাতী কিছু করবেন না
এমন কিছু করবেন না যাতে ধৈর্যের বাধ ভেঙে যায়
(এটুকুই ঘুরে-ফিরে)
ভাষনের অডিও অরূপদা কে পাঠালাম, উনি হয়তো আপ্লোড করবেন
...........................
Every Picture Tells a Story
ঢাকা, ফেব্রয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম) - অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিডিআরের বিদ্রোহী সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন, অন্যথায় দেশের স্বার্থে যে কোন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশ্যে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে হাসিনা এক কথা বলেন।
তিনি বলেন, " জনগণের উন্নয়নের জন্য যখন সরকার চেষ্টা াকরছে তখন এ ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।"
হাসিনা বিডিআর, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীকে যে কোন মহলের উসকানি থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
অবস্থা দেখে যা মনে হচ্ছে যে পরিস্থিতি খারাপের দিকেই মোড় নিচ্ছে। এবং সেটি শুধু ঢাকার পিলখানাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ঢাকা, ফেব্রয়ারি ২৬ (বিডিনিউজ ২৪ ডটকম) - অবিলম্বে অস্ত্র সমর্পণের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিডিআরের বিদ্রোহী সদস্যদের সতর্ক করে বলেছেন, অন্যথায় দেশের স্বার্থে যেকোন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। (আরও তথ্যসহ-১)
তিনি বলেন, "এই মুহূর্তে অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যান। অন্যথায় দেশের স্বার্থে যেকোন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবো; আমাকে বাধ্য করবেন না।"
বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় জাতির উদ্দেশে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে হাসিনা এ কথা বলেন।
পিলখানার বিদ্রোহী বিডিআর জওয়ানদের অস্ত্র সমর্পণের জন্য বেধে দেওয়া সময় পার হওয়ার প্রায় আধঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে এ ভাষণ দিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহী বিডিআরদের ধৈর্য্য ধরে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, "প্রতিশোধ নিতে গিয়ে আর কোনো ক্ষতি হোক চাই না।
সংঘাত আরো সংঘাত বাড়ায়; সংযত হোন, আমি আশ্বস্ত করছি আপনাদের কোন ক্ষয়ক্ষতি হবে না।"
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "জনগণের উন্নয়নের জন্য যখন সরকার চেষ্টা করছে তখন এ ধরনের অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।"
হাসিনা পুলিশ, বিডিআর ও সশস্ত্র বাহিনীকে যেকোন মহলের উসকানি থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের আশ্বস্ত করে বলেন, "সংযত হোন, আপনারা অস্ত্র সমর্পণ করুন, আপনাদের কোন ক্ষতি হবে না। এমন কোন আত্মঘাতি পথ বেছে নেবেন না যাতে করে আমাকে দেশবাসীর স্বার্থে কঠোর হতে হয়।"
তিনি বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, "স্বজনহারার ব্যথা কি তা আমার চেয়ে কেউ বেশি জানে না। পিলখানার অনাখাঙ্খিত ঘটনার জন্য আমি অত্যন্ত মর্মাহত।"
আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
হাসিনা জানান, ঘটনা তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, "ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সমাধানের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিডিআরের একটি দল আমার সঙ্গে দেখা করে দাবি দাওয়া তুলে ধরেন এবং সাধারণ ক্ষমার অনুরোধ জানান। আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রী আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, " চেইন অব কমান্ড মানতে হবে; ধৈর্য্য ধারণের অনুরোধ করছি। আমি আশা করবো আপনারা আত্মঘাতি সংঘাতের পথ বেছে নেবেন না।"
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এমএসবি/এমএইচসি/এএল/এসকে/১৪৪৮ ঘ.
আজ রাত ১১ টা থেকেই ( বাংলাদেশ বেলা ১২টা ) অধীর হয়ে অপেক্ষা করছিলাম প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের জন্য।এমনিতেই একের পর এক মৃত্যুর খবর এ মনটা বিক্ষিপ্ত হয়েছিল। এই ভাবি সমস্যা শেষ হয় তো আবার সেটা বেড়ে যায়। তারমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের খবরে বিচলিত হয়ে পড়েছিলাম বার বার।দেশে আসলে কি ঘটছে তা জানার উপায় কেবল ব্লগ আর টিভি চ্যানেলগুলি। যদিও টিভি চ্যানেলগুলির ব্রেকিং নিউজে বার বার বলা হচ্ছিল যে একটু পরেই ভাষণ প্রচার করা হবে কিন্তু দেরি দেখে এটা বুঝতে বাকি ছিলনা যে তিনি তার বেঁধে দেওয়া বাংলাদেশ সময় দুপুর দুই টার পরেই কথা বলবেন।
তার ভাষণের প্রথম দুমিনিট শুনে আমি হতবাক হয়েছি এই পরিস্থিতিতে এই সব নিজেদের কাজের ফিরিস্তি দেখে। সরকার কি করছে, সেটা কতটা ভালনা মন্দ হচ্ছে তা জনগনত নিজ চোখেই দেখতে পাচ্ছে। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি মানুষ যেখানে অধীর হয়ে অপেক্ষা করছে দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পরবর্তী করনীয় শুনতে সেখানে এই সময় ক্ষেপণ আমাদের 'অধিক বচন প্রবনতারই' পরিচয় বহন করে।
যাই হোক দুমিনিট পরে মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসায় সস্তি পেয়েছি। আপাদদৃষ্টিতে মনে হয়েছে পরবর্তীতে কি ঘটতে যাচ্ছে তা সম্পর্কে সবার একটি স্পষ্ট ধারণা হয়ে গেল। হয় আত্মসমর্পন কর না হলে শক্তি প্রয়োগ করা হবে। দেশের এই পরিস্থিতিতে আসলে বলা মুশকিল কোন সিদ্ধান্ত ভাল, তবে কেন জানি মনে হচ্ছে সংঘাতময় একটা সমাধানের (!!) দিকে যাছে দেশ।
আমার সব চেয়ে বড় ভয় , দেশের সীমান্তরক্ষীরা যখন নিজেদের মধ্যে যুদ্ধে লিপ্ত তখন আমার দেশের সীমানা কে পাহাড়া দেবে? এই সুযোগের যদি কেউ স্বদব্যবহার করে তার মুল্য কি এই ১৫ কোটি মানুষকেই দিতে হবেনা ?
_____________________
জাহিদুল ইসলাম
এডমনটন, আলবার্টা, কানাডা
http://www.ualberta.ca/~mdzahidu/
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
একমত হতে পারলাম না। আমার মতে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অনেক হিসেব করে দেয়া। উনি প্রথমেই অ্যাকশনে না গিয়ে আস্তে আস্তে রাস্তা তৈরি করে গিয়েছেন। এতে বিডিআর আর সেনাবাহিনীর ভাষণ শোনার প্রাথমিক উত্তেজনা প্রশমিত হয়েছে। একই কথা খাটে সাধারণ জনগণের জন্য। বিশেষ করে যারা ঢাকার বাইরে আছেন। শুরুতেই বললে উত্তেজনা বাড়তো। মানুষ টেনশন বেশি করতো। তাঁর ভাষণের প্রতিটা কথাই খুব মেপে বলা বলে আমার মনে হয়েছে, একটা শব্দও অহেতুক নয়।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
বিডিআরের ওরা ধরেই নিয়েছে ওরা মরবে ... তাই পাগলের মতো আচরণ করছে ... এদের শুধু হুমকী দিয়ে লাভ হবেনা ... দরকার ছিলো হুমকীর সাথে সাথে পরিস্কার আশাপ্রদান করাও ... যেমন অস্ত্র জমা দিলে এটা এটা করা হবেনা টাইপের কিছু
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর তিন নাম্বার গেট থেকে বিডিআর সদস্যরা ভারী অস্ত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে ভারত সীমান্তে বিএসএফ ভারী অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছে বলে সংবাদে জানা গেছে।
______________________________________
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়
______________________________________
লীন
কোন এক লাইভ চ্যানেলে দেখলাম ধানমন্ডি এলাকায় নাকি এলাকাবাসীকে নিরাপদ স্থানে সরে যাবার আহবান জানিয়ে মাইকিং হচ্ছে...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ভাষণের পর আর কোন গুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। বিডিআর সদস্যরা অস্ত্র ত্যাগ করতে শুরু করেছে। সেই সাথে তারা বলছে যে এর পরেও কোন কিছু ঘটলে প্রধানমন্ত্রী দায়ী হবে।
তারা দাবী মেনে নেওয়ার ব্যাপারেই ইংগিত করেছে।
সূত্রঃ লাইভ রেডিও রিপোর্টস
______________________________________
কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়
______________________________________
লীন
..same thing started at rajshai and commilla bdr camp.
things are going really worse...
এখনি শুয়োরগুলোকে শায়েস্তা করা উচিত। এতো লাশের উপর দাড়িয়ে কোন সমঝোতা হতে পারেনা। আজকে একে প্রশ্যয় দিলে ভবিষ্যতে আরেকদলকে দিতে হবে। অসমর্তিত সুত্রে ১৬৮জন মারা গেছে। অনেক অতিথি ও সাধারণ মানুষকেও খুন করেছে জওয়ানরা।
এতো মৃত্যুর কথা শুনে এদের প্রতি আমার সহানুভূতিটুকু অনেক কমে গিয়েছে; মৃতের সংখ্যা নিয়ে যতটুকু ধারনা করা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয়; সেটা বিডিআরের প্রতি মানুষের যে সহমর্মিতা তৈরী হয়েছিলো, তাকে নষ্ট করে দেবে।
শায়েস্তা মানে যদি সেনা অভিযান হয় তবে দ্বিমত করার যথেষ্ঠ কারণ আছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
সরি, উপরের মন্তব্যটা ধ্রুব হাসানকে করতে চাইছিলাম।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ETV showing dhanmondi residents around pilkhana being evacuated. police are helping, though some may be fleeing of their own accord. Security around PM’s residence suddenly increased. the AL leadership was there all morning
প্রথম আলো জানাচ্ছে, সরকারী প্রতিনিধি দলের পিলখানায় আলোচনার পর তিনটা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে বিডিআর জওয়ানরা অস্ত্রসমর্পণ শুরু করেছে ... ৭০ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ... লুকস লাইক, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটা কাজে দিয়েছে ... আশাবাদী হচ্ছি কিছুটা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
..finally surrender started...
it's from rtv.
কিছু জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। অস্ত্র সমর্পনের প্রকৃয়া চলছে।
এবং
আশেপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে সব সিভিলিয়ান সরিয়ে ফেলার কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে (কেন?)।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আবার গোলাগুলি শুরু হয়েছে। ধানমন্ডি ২৭ এ ট্যাংক। বাসায় যাচ্ছি। দোয়া করবেন।
মূর্তালা রামাত
ঢাকার বাইরে কোথাও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতে পারছিনা। কেউ কি পারছেন? জানান।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হাসিনার ভাষণ
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
"দৃষ্টান্তমূলক" কিছু শুরু হতে যাচ্ছে মনে হয়।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
savar theke tank o sajoa jan dhakar dike rouna diche.
(CHANEL 1, 4.28 pm)
পিলখানা থেকে সাদা পটাকা ওড়ানো হয়েছে শুনলাম
ওদিকে ধানমন্ডি ক্রস করেছে ২৭ টি ট্যাংক আর ৫ টি সাঁজোয়া যান ... খুব ব্রুটাল একটা ইতিহাসের সৃষ্টি যাতে না হয় সেই কামনা করি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ধানমন্ডি এলাকায় কোন সচল থাকলে প্লিজ নিরাপদ জায়গায় চলে যান। আর্মি এ্যাকশনে নামার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশের উপরে।
বিদ্রোহী বিডিআরদের সংখ্যা সম্ভবত চার হাজারের কাছাকাছি।
আমার মনে প্রশ্ন একটাই, বিডিআর সৈনিকদের মধ্যেও আহত ও নিহত রয়েছে। তারা কিভাবে আহত বা নিহত হলো? এ পর্যন্ত পাওয়া বিভিন্ন সূত্র জোড়া লাগালে তো দেখা যাচ্ছে, বিডিআর সেনারা অস্ত্র নিয়ে অফিসারদের হামলা করেছে, এবং সেনাবাহিনী ভেতরে ঢুকতে পারেনি।
নিজেদের মধ্যে অন্তর্কলহে কি নিহত হয়েছে তারা? তাহলে নিজেদের মধ্যে অন্তর্কলহে আহতদের কি বাইরে চিকিৎসায় পাঠানোর কথা?
কিছু একটা মিলছে না হিসাব।
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
অসমর্থিত কিন্তু স্পর্শকাতর তথ্য জানাতে চাইলে রেস্ট্রিক্ট ট্যাগ ব্যবহার করুন। ইংরেজিতে রেস্ট্রিক্ট (restrict) লিখতে হবে এভাবে, , আমি বাংলায় লিখে উদাহরণ দিচ্ছিঃ
[রেস্ট্রিক্ট]
আপনার বক্তব্য ...
[/রেস্ট্রিক্ট]
সরকার বিডিআর এর পক্ষ থেকে উপ সহকারি পরিচালক তৌহিদকে বিডিআরের ডিজি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। [সূত্র]
প্রথম আলো ব্লগের খবরঃ পুলিশের আইজিপির মেয়ের হাসবেন্ড নিহত। [সূত্র]
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
আইজিপির মেয়ের হাসবেন্ডের নাম ক্যাপ্টেন মাজহার। বিডিআরের ডিজি-র এডিসি ছিলেন তিনি, আমাদের কলেজের প্রাক্তন ছাত্র।
ফেইসবুকে গত ডিসেম্বরেই ওনার বিয়ের ছবি দেখলাম ....
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কাল আত্মসমপর্ণের সময় আইজিপির আচরণ বেশ অস্বাভাবিক লাগছিল। তা ছাড়া তাকে বের হয়ে আসতেও দেখিনি। এখন বুঝা গেল কারণটা কী।
সব মৃত্যুই মর্মান্তিক।
মারা গেছেন আমাদের স্কুলের এক বছরের সিনিয়র, ভাইয়ার ক্লাসমেট অতি সজ্জন অতি ভদ্র গুল্লু ভাই। লে. কর্ণেল গুলজার।
এতো মৃত্যু সহ্য করার মত নয়।
তবু কোনো প্রতিহিংসা চাই না।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
লে. কর্ণেল গুলজার এর মতো ব্রিলিয়ান্ট অফিসার আমি খুব কম দেখেছি। উনার জন্য ভীষন খারাপ লাগছে। এইটা কি আরেকটা ৭৫ হতে যাচ্ছে?
শায়খ রহমান কে ধরার মূল নায়ক ছিলেন
কর্নেল গুলজার।
কী অদ্ভুত সব
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ইশশশশ ... ভদ্রলোকের চেহারা এখনও মনে আছে .... ইশশশশ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
পিতার কাঁধে সন্তানের লাশ যেমন ভারি, আমার কাছে আমার কোর্সমেট, আমার সিনিয়ারের লাশ সমান ভারি।আর্মি আমাকে আর কিছু শিখাক বা না শিখাক, সিনিয়রকে প্রানের চেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করতে আমি শিখেছি। সহযোদ্ধাকে নিজের ভাইয়ের চেয়ে বেশি ভালবাসতে শিখেছি। আজ আমার সব চেয়ে বড় কষ্টের দিন। আজ আর কিছু লিখতে পারছি না, আমার আবেগ কষ্ট সব ভেঙ্গে চূরে আসছে। এত দূর থেকে অসহায় এর মত শিউরানো, হৃদয় বিদারক, মর্মান্তিক যে খবর গুলা পাচ্ছি, মনে হছে কেন নিজে মরে গেলাম না তার আগে? এসব কেন শুনতে হচ্ছে আমাকে? ক্যাপ্টেন মাজহার - এডিসি টু ডিজ়ি বিডিআর, কুমিল্রা ক্যাডেট কলেজের এক্স-ক্যাডেট।
মিলিটারী একাডেমীতে কত কত স্মৃতি। আমাকে পানিশমেণ্ট দেওয়ার নাম করে গান শুনতেন। কত দিন স্যার এর রুমের সামনে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনিয়েছি। মাত্র ডিসেম্বরে হল স্যার বিয়ে করেছেন, তার বয়স মাত্র ২৮/২৯। টগবগে, প্রানবন্ত তরুন অফিসার। এই গরিব দেশের কত কষ্টের টাকায় আমরা ট্রেনিং নেই, অফিসার হই, দেশের জন্য প্রাণ দেব বলে হাসি মুখে রাস্ট্রপতির কাছে শপথ নেই, মরে যাব কিন্তু দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব রক্ষা করব। আর আজ লাশ হয়ে বের হয়ে এল এই তাজা প্রাণ সুয়ারেজের লাইন দিয়ে। এই দুঃখ, এই কষ্ট আমি কোথায় রাখি? তাঁর পরিবার, ভাবিকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা আমার নেই, আমার নেই, কারোরই নেই। ঢাকা সিএমএইচ এ আজ লাশের পর লাশ আসছে। শুধু অফিসার কেন, আমার এক সৈনিকের ভাইকে নাকি মেরে ফেলেছে জোয়ানরা তাদের সাথে যোগ না দেওয়ায়। অফিসার, সৈনিক, জোয়ান সবাই এই দেশের সন্তান। কেন এই নিশংসতা? এই প্রশ্নের জবাব আজ কারো কাছে নেই।
স্রষ্টা আমাদের সবাইকে, আমাদের দেশকে এই মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করুন। গরিব দেশটার জন্য বড় মায়া লাগে, বার বার উঠে দাঁড়াতে গিয়ে কে যেন ভেঙ্গে ফেলে কোমড়টা। হোঁচট খেতে খেতে আমরা কি আর দাঁড়াতে পারবনা কখনো?
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
ক্যাপ্টেন মাজহারকে নিয়ে তার কোর্সমেট ক্যাপ্টেন সায়েদ এর লেখা এখানে
=============================
যুবরাজ
আপনার কষ্ট অনুধাবন করার শক্তি আমার নেই।
শুধু প্রার্থনা করি
শোক প্রশমিত হোক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সেনাবাহিনী তার শ্রেষ্টতম অফিসারদের হারিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গীবাদ দূর করার জন্য সবচেয়ে সাহসী, বুদ্ধিদীপ্ত, চৌকস অফিসার ছিলেন কর্নেল গুলজার।তাঁর নাম সেনা বাহিনীতে কিংবদন্তীর মত। ব্রিগেডিয়ার বারি, আরেক জন সাহসী, অসম্ভব সৎ একজন অফিসার, যার গল্প সবার মুখে মুখে, তিনি আজ নেই।আমরা কি হারিয়েছি, তা আমরা জানি।
------------------------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
গুল্লুভাই আমার এক ক্লাশ উপরে পড়তেন। ভাইয়ার বন্ধু। অসম্ভব ভদ্র ও সজ্জন ছিলেন। সেনাবাহিনীতে তার কর্মকান্ড সম্পর্কে আমার ধারণা নাই। তবে তিনি যে একজন চৌকস অফিসার হবেন তা তার সাথে স্কুলের সময় বিবেচনাতেই বুঝি। তার মৃত্যুর খবর ইত্তেফাকে পড়ে অনেকক্ষণ চুপচাপ বসে ছিলাম।
লে. কর্ণেল গুলজার, তোমাকে স্যালুট।
গুল্লুভাই মাত্র বিডিআরে এসেছেন। সুতরাং তার হত্যা অন্য সন্দেহ উসকে দেয়। জেএমবি বিরোধী তার কর্মকান্ডই কি তার হত্যার কারণ?
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
ব্রিগেডিয়ার বারির সড় সন্তান আজ যখন তার বাবার মৃত্যু সম্পর্কে ফোনে নিশ্চিত হলো তখন তার পাশে ছিলাম, ওর মা ফোনে ছেলের কাছে শুধু জানতে চাইছিল, তার স্বামী তো কোনো অপরাধ করে নাই, তাহলে তাকে কেন এভাবে প্রাণ দিতে হলো! ছেলে হয়তো তার বাবার শিক্ষাই পেয়েছে, মাকে বললো, কয়জনের এরকম মৃত্যু ঘটে মা, কালকে দেশ তাকে সম্মানের সাথে কবর দেবে, সবসময় বাবা বলতো সাহসিকতার সাথে এরকম মৃত্যুরই কথা, মা তুমি ভেঙ্গে পোড়ো না।
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
ফারুক, ওনার ছেলেটা কে বলতো? আমি কি চিনি?
পুরো ঘটনাটায় খুবই অস্থির লাগছে।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
*********************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মাশীদ আপু...........সুদীপ্ত.............
হায় রে!
কেন জানি মনে হচ্ছিল চেনা কারো কেউ না কেউ মারা গেছে...খু্ব খারাপ লাগছে...খুব....
ভাল আছি, ভাল থেকো।
ভাল আছি, ভাল থেকো।
যুবরাজ,
আপনার কষ্ট অনুধাবন করার ক্ষমতা আমার নেই, তবে গভীর সমবেদনা জানাই। আপনাদের মত নবীন এবং ন্যায়পরায়ণ সৈনিকেরাই আবার আমাদের সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি সমুন্নত করবেন, এমনটা সবারই কাম্য। দিন শেষে আমরা গর্ব করার মত একটা আর্মড ফোর্সেস দেখতে চাই, যাদের বিরুদ্ধে কখনো লজ্জাকর অভিযোগ উঠবে না, যারা পরিচয় নির্বিশেষে দেশের সেবায় ঐক্যবদ্ধ থাকবে, যাদের মাঝে এত প্রকার উঁচু-নীচু বর্ণ-ভেদাভেদ থাকবে না। আশা করি যে এই ট্র্যাজেডির অন্যপাশে সেই সুদিন অপেক্ষা করছে।
অদূরে আপনার কাছ থেকে এই দুর্যোগের বিষয়ে একটা লেখা আশা করছি, আপনার ব্যক্তিগত চেনা-পরিচয় আর এক্সপেরিয়েন্সের আলোকে।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর
ব্রিগেডিয়ার বারি তো জানতাম ডিজিএফআইয়ের ডেপুটি ছিলেন, ইন্টেলিজেন্সের কিংবদন্তী। ইনি কি সে-ই বারি? উনি ওখানে কেন ছিলেন?
ব্রিগেডিয়ার বারীকে জানতামনা।
কিন্তু কর্নেল গুলজারের মৃত্যু কোনভাবে মেনে নিতে পারছিনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানা মেহের,
আপনার বন্ধুটি আপনাকে ভুল তথ্য দেয়নি, আমরা তার চেয়েও বেশি মর্মান্তিক কিছু জেনেছি।বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর ইতিহাসে ভয়াবহ তম হত্যাযজ্ঞ ঘটে গেছে সবার অগোচরে কাল, আমরা কেউ তখনও জানতে পারিনি।
------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
এটা কি আসলে আর একটা ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ হয়ে গেলো??? সেবার বুদ্ধিজীবী। এবার প্রতিরক্ষাজীবী।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
বন্ধুর করা মেইলটায় আরেকটা অংশ ছিল
যেখানে বলা ছিল
দরবার হলে আর্মিদের সাথে কোন অস্ত্র ছিল না।
প্রয়োজন না হলে তারা ওখনে অস্ত্র সাথে রাখেন না।
এই অংশটা এডিট করাটা ঠিক হয়নি।
আমি দেশে থাকতে কখনো আর্মিকে অস্ত্র বহন করতে দেখিনি।
দেশ ছাড়ার পরের খবর বলতে পারবোনা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
লেঃ কর্ণেল গুলজারের জন্য আমারও খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার কেন জানি মনে হচ্ছে খুবই পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনাটা ঘটানো হয়েছে। দুর্নীতির কিছু বিষয় হয়তো আছে। তবু এতোজন সেনাকর্মকর্তাকে মেরে ফেলার মতো ভয়াবহ একটা ঘটনা যতই জানতে পারছি ততই শিউড়ে উঠছি !
থেকে থেকে সবগুলো চ্যানেলে আইএসপিআর-এর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচারিত হচ্ছে- গতকাল বিডিআর সদর দপ্তরের উপরে পর্যবেক্ষণকারী হেলিকাপ্টার থেকে কোন গুলি ছোঁড়া হয়নি, কিছু লিফলেট ফেলা হয়েছে মাত্র। বরং নীচ থেকে হেলিকাপ্টার লক্ষ্য করে প্রচুর গুলিবর্ষণ করা হয়েছিল।
অথচ গতকাল প্রায় সবগুলো চ্যানেল থেকে এটা বলা হচ্ছিল যে উপর থেকে গুলিবর্ষণ হয়েছে। চ্যানেলের এই সংবাদকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে আইএসপিআর।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
দাদা, আমি সেখানে ছিলাম, খুব কাছে থেকে হেলিকপ্টার উড়ে যেতে দেখেছি, শুধু একবার না, কয়েকবার। ওখান্থেকে গুলি হয়নাই। কথাটা সত্য।
তবে সেখানে ক্যামেরা বসানো ছিলো দেখেছি, মুভি ক্যামেরা.
চ্যানেল গুলোর এরকম অতিরঞ্জিত পরিবেশনার অভ্যাস পুরনো।
...........................
Every Picture Tells a Story
মুস্তাফিজের এই মন্তব্যে জাঝা।
এইরকম নাজুক পরিস্থিতিতেও মিডিয়ার অতিরঞ্জন প্রবণতা মারাত্মক দায়িত্বহীনতা। এ নিয়ে কেউ কথা বলে না। কাকের মাংস কাক খায় না।
মাসকাওয়াথের ওয়েবসাইটে দি-এডিটরস.নেট-এ এরকম একটা উস্কানিমূলক সংবাদ দেখলাম। ধর্ষণ সংক্রান্ত। মাসকাওয়াথের উচিত এটিকে সম্পাদনা করে প্রকাশ করা।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হলে শব্দ শুনতে পাওয়ার কথা কি? হেলিকপ্টারের রোটরের শব্দ গুলির শব্দকে চাপা দিয়ে দেয় অনেকখানি। ছিলোও বেশ উঁচুতে। আমি ভিডিও দেখেছি, মনে হয়েছে গুলির শব্দটা বিডিআর এর ভেতর থেকেই এসেছে।
এই মাত্র এটিএন বাংলায় প্রচার হলো বিডিআর সদর থেকে বেচেঁ ফিরে আসা লে.কর্ণেল কামরুজ্জামানের সাক্ষাৎকার। তিনি বললেন, দরবার হলে কেউ কোনে অস্ত্র নিয়ে যায়নি। কিন্তু সেখানে কিভাবে গুলি শুরু হলো তা তিনি বললেন না। ডিজি শাকিলকে দরবার হলেই মারা হয়েছে বলে তিনি জানালেন। তার লাশ দরবার হলে পড়ে থাকতে দেখেছেন কামরুজ্জামান।
আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে কামরুজ্জামানের গায়ে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে দুটি গুলি লেগেছে বলে দেখালেন তিনি। তারপরও তিনি বেঁচে আছেন! শুধু তাই নয়, খুব কাছ থেকে তাকে নাকি সাত রাউন্ড গুলি করা হয়েছিলো, একটাও তার গায়ে লাগেনি!
এগুলো সব কামরুজ্জামানের কথা। আমার নিজের একটা মন্তব্য ছিলো। কিন্তু সেটা রেস্ট্রিক্ট করার কায়দা জানি না বলে দিলাম না। একটু ভয় পাচ্ছি নিজের মন্তব্যটা বলতে
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
প্রথম আলোতে মেজর জায়েদির দেয়া বক্তব্য অনেক বিশ্বাসযোগ্য। তবে সেখান থেকে অনেক নতুন প্রশ্ন ওঠে। এসবের জবাব জানা দরকার। মিডিয়া ও সাংবাদিকদের উচিত এই সত্যের গভীরে প্রবেশ করা। কীভাবে ঘটেছিল ঘটনাটি।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন
-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না
মেজর জায়েদির বক্তব্য সম্পর্কে প্রথম আলোঃ
মেজর জায়েদি ক্ষুব্ধ বিডিআর সদস্যদের বিদ্রোহের শুরুর মুহুর্তের একটি বর্ণনা দিয়েছেন সাংবাদিকদের। এবিসি রেডিও থেকে প্রাপ্ত তাঁর সে বক্তব্যে মেজর জায়েদি বলেন,
"নিয়মানুযায়ী দরবার হলে সব কর্মকর্তাকে উপস্থিত হতে হয়, আমিও হয়েছিলাম। দরবার শুরুতে মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল স্যার বক্তব্য দেন। একপর্যায়ে তিনি ডাল-ভাত কর্মসুচির কথা বললেন। সঙ্গে সঙ্গে এক সৈনিক এসে স্যারকে চার্জ করে। কথা বলার সময় সে কাঁপছিল এবং নিজেই পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন অফিসার ওকে ধরে ফেলেন। শাকিল স্যার মোটামুটি সেফ হয়ে যান। কিন্তু এক-দুই মিনিটের মধ্যেই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসতে থাকে। তখন শাকিল স্যার সবাইকে বের হয়ে যেতে বলেন। কিন্তু আমি চিৎকার করে সবাইকে বলি, তোমরা কেউ বের হয়ো না। সবাই চলে এসো। তারা শোনেনি। এ অবস্থায় শুনি, দ্বিতীয় ওয়েভ আসছে। তারা আরও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, আরও গুলি করতে করতে আসছে। তখন আমাদের এক অফিসার ওই সৈনিকের অস্ত্র নিয়ে গুলি করতে থাকে। আমরা তাকে থামাই এবং বলি, এটা ঠিক নয়।"
এক বুক নিঃশ্বাস নিয়ে মেজর জায়েদি বলতে থাকেন, ‘এ সময় আমার সাবেক সিও (কমান্ডিং কর্মকর্তা) জেনারেল তারেক স্যারের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলি। উনি প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা। তাঁকে বললাম, স্যার কিছু একটা করুন। না হলে আমরা সবাই মারা যাব। একপর্যায়ে জেনারেল শাকিল বললেন, তুমি মোবাইলটা আমার হাতে দাও। দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাইন কেটে যায়। তারপর জেনারেল শাকিল স্যার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। এদিকে পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। কোনোমতেই যখন পারা যাচ্ছে না, তখন উনাকে বলা হলো, আপনি তাদের আশ্বস্ত করুন। ওরা যেন গুলি না করে। আমরা সমস্ত দাবি-দাওয়া মেনে নেব।’
‘ততক্ষণে তারা (জওয়ানেরা) ভেতরে চলে আসে। আমি স্যারকে বলি, স্যার আমি ওদের জানি, ওদের সঙ্গে আমি কথা বলতে পারব। আমি মাইকে তাদের বলি, আমি তোমাদের একসময় সেফ করেছিলাম। তোমরা গুলি খেয়েছিলে। তোমাদের ওপর আমার দাবি আছে। এখন কি তোমরা আমাকে সাহায্য করবে না? তাদের সামনে গিয়ে বলি, তোমাদের মধ্যে যদি মানবতা না থাকে, তবে আমাকে গুলি করো। তখন তারা বলল, ঠিক আছে, স্যার। কিন্তু একজন এসে আমাকে মারলে আমি পড়ে যাই। সঙ্গে সঙ্গে তাকে সরিয়ে দিয়ে দুইজন জওয়ান আমাকে কোলে করে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা আমাকে গ্লুকোজ খেতে দেয়।’
সৈনিক এসে চার্জ করলো মানে কী? অস্ত্রসহ গুলি করলো? পরবর্তীতে ঐ সৈনিকের অস্ত্র নিয়ে একজন অফিসার প্রতিরোধের চেষ্টা করেছেন বলে বলা হয়েছে।
অ্যামোসহ অস্ত্র নিয়ে সৈনিক কিভাবে দরবারে ঢুকলো?
মেজর জায়েদীর বক্তব্যের ইটালিক অংশের ১০ম লাইনটা বলছে,
তারমানে কি দরবারের ভেতরের সৈনিকের কাছেও অস্ত্র থাকে?
কিছুইতো বুঝছিনা!!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
জায়েদী বিরাট সংশোধনী দিয়েছেন।
জায়েদী আরও জানান, সৈনিকটি যখন স্যারকে গুলি করতে আসে, তখন গুলি বের হয়নি। এক কর্মকর্তা তার রাইফেল নিয়ে নেন। কিন্তু তিনি কাউকে গুলি করেননি।
প্রথম আলোতেই প্রকাশিত খবরঃ
নিজের নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, গতকাল সকাল নয়টায় বার্ষিক দরবার শুরু হয়। এ অনুষ্ঠানে বিডিআর সদস্যরা তাঁদের সব ধরনের অভাব-অভিযোগ কর্মকর্তাদের সামনে প্রকাশ্যে তুলে ধরেন। এসব আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। গতকাল দরবারে বিডিআরের মহাপরিচালক থেকে শুরু করে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও জওয়ানেরা উপস্থিত ছিলেন। দরবার শুরু হওয়ার পরপর মহাপরিচালক বক্তব্য দিতে শুরু করেন। এর মধ্যে হঠাৎ করেই শুরু হয় গোলাগুলি। এর পরই শুরু হয় দৌড়াদৌড়ি। যে যেদিকে পারে পালাতে শুরু করে। তিনি বাইরে এসে দেখেন আরও অনেক জওয়ান অস্ত্র তাক করে দাঁড়িয়ে আছে। এ অবস্থায় তিনি নিজের ব্যাজ খুলে জওয়ানদের সঙ্গে মিশে যান। দেখেন, অনেক জওয়ান দৌড়ে বিভিন্ন দিকে যাচ্ছে। তিনি নিজেও এসব জওয়ানের সঙ্গে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করেন। এরপর এক কর্মচারীর লুঙ্গি ও গেঞ্জি পরে রাইফেলস স্কুলের প্রাচীর টপকে বাইরে আসেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, তিনি লক্ষ করেন যে জওয়ানেরা মহাপরিচালক ও ঢাকা সেক্টর কমান্ডারের উদ্দেশে গালিগালাজ করছিল। তাদের ক্ষোভ ছিল ঢাকা সেক্টরের কর্মকর্তাদের ওপর। তারা ঢাকার বাইরের কর্মকর্তাদের নিয়ে অতটা ব্যস্ত ছিল না।
বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার পক্ষ থেকে কথা বলা হয় একজন বিদ্রোহী জওয়ানের সঙ্গে। তিনি জানান, দরবারে পয়েন্ট (কথা বলার সুযোগ) দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলে মহাপরিচালক বললেন, ‘তোমাদের কোনো পয়েন্ট হবে না। তোমরা সামরিক বাহিনীর লোক না। তোমাদের পয়েন্ট উত্থাপন হবে না।’
দরবার হলের ঘটনার পর গোলাগুলিটা কীভাবে শুরু হলো এবং কোন গ্রাউন্ডে (কিসের ভিত্তিতে) গোলাগুলি শুরু হলো, জানতে চাইলে ওই জওয়ান বলেন, “আমরা যখন বাইরে চলে আসব তখন মহাপরিচালক মহোদয় অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে অর্ডার (নির্দেশ) দিয়েছেন, ‘ওদেরকে ভিতরে ঢুকাও, কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকাও।’ কাউকে কোয়ার্টার গার্ডে ঢুকালে নিশ্চিত তার জীবন শেষ। যাদের জন্য এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা ভিতরের রুমে না গিয়ে হাতিয়ার যেখানে আছে ওই রুমে যায়। কিছুক্ষণ পর গন্ডগোল শুরু হয়।” মৃতের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আনুমানিক ১০-১৫ জন হবে।
এক অফিসারের চিঠি [সূত্র]: এটি পড়ে কষ্ট পাবার সাথে মনে হলো আর্মী সিভিলিয়ানদের মধ্যে ডায়লগটি জরুরী। নাহলে গুজবের ফানুস আমাদেরকে অনেক দুরে সরিয়ে দেবে।
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
কথাগুলো ভেবে দেখার মত। কালকেও মুক্তি পাওয়ার পর এক আত্মীয়া মিডিয়াকে এই প্রশ্ন করেছিলেন। খুব দৃষ্টিকটু লেগেছিল ব্যাপারটা। যেন সেনাবাহিনী ভার্সেস রেস্ট অফ বাংলাদেশ খেলা হচ্ছে জাতীয় স্টেডিয়ামে।
জাতি অনেক বছর ধরে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে তেমন ভাল কিছু না পাওয়ায় একটু একটু করে অনেক দূরে সরে গেছে। এই দূরত্ব একদিকে ঘুচবে না। বিগত দুই বছরের ঝালের ব্যাপারও ছিল। দীর্ঘস্থায়ী মার্শাল ল' না দেওয়া, নির্বাচনের পর শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর, এবং গত দু'দিনে উস্কানির মুখেও ধৈর্য ধরা এই ফাটল ধরা সম্পর্ক জোড়া লাগাতে অনেক কাজে দেবে।
মিডিয়ায় বাড়িয়ে বলা কিংবা মুখের কথায় বাঘ-ভাল্লুক মারার প্রবণতার কথা উভয় পক্ষই জানে। তাদের কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজের পথে থাকলেই এক সময় সময় মিটে যাবে, আশা করি।
আরো অনেক জায়গার মত এলেখাতেও একটা সংখ্যা দেখতে পাচ্ছি আমরা, সংখ্যাটা ১০০এর উপর। অনেকেই সংখ্যাটা জানে, বলছে কিন্তু কোথাও নির্ধারিত এ সংখ্যা কাদের মাথাগুনে জানানো হয়েছে তাদের নাম উল্লেখ নেই।
এটা একটা আশ্চর্যজনক এবং সন্দেহজনক ঘটনা আমার কাছে।
দায়িত্বশীলদের কাছে আশা করবো তারা নিখোজঁদের নাম প্রকাশ করবে কিন্তু সংখ্যা নয়। প্রার্থনা করি সেই নামগুলো যেন কোনভাবেই ধারনাকৃত এ সংখ্যার কাছাকাছিও না যায়।
...........................
Every Picture Tells a Story
আপনজনদের হারিয়ে উনি নিশ্চয়ই শোকে দিশেহারা। এমনটা আমিও দেখেছি আমার এক বন্ধুর সাথে কথা বলে, যার আত্মীয়স্বজন অনেকেই সেনাবাহিনীতে আছেন। প্রচণ্ড শোকের এই সময়ে তাই তাঁদের কথাকে আক্ষরিক অর্থে নিচ্ছি না।
তবে ঠাণ্ডা মাথায়, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যদি কোন ব্যক্তি ( তিনি সামরিক বা বেসামরিক যাই হোন না কেন ) এই কথাগুলি বলে থাকেন, তবে তাঁর প্রত্তুত্যরে বলার মত কথা বোধ করি শুধু আমার একার না, আরো অনেকেরই আছে।
সেই সাথে সেনাবাহিনীর সদস্যরাও আশা করি ভবিষ্যতে লক্ষ্য করবেন যে, তাঁরা সাধারণ মানুষ থেকে কতটা দূরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের এত বড় বিপদেও মানুষ একজোট হয়ে তাঁদের পক্ষে নেই। এ'টা নিশ্চয়ই একটা বড় বিপদ সংকেত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
ভেতর থেকে জিম্মিরা যখন বের হয়ে আসছিলেন
তখন এই ক্লান্ত ভীত মানুষগুলোকে
প্রশ্ন করে করে অস্থির করে দিচ্ছিলো সাংবাদিকেরা।
অনুরোধ তিরস্কার কিছুতেই থামানো যাচ্ছিলো না তাদের।
মিডিয়া মাঝে মাঝে অমানুষ হয়ে যায়
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
বিডিনিউজ সর্বশেষ সংবাদে জানাচ্ছে, পিলখানায় আবার ট্যাংক ঢুকেছে, এবং এর প্রায় চল্লিশ মিনিট পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন সেখানে গেছেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আবার মানে কি? আগেও ঢুকেছে নাকি? সেরকম খবর তো দেখলামনা ... এটা তো এ্যালার্মিং!!
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বিডিনিউজ শিরোনাম এভাবেই দিয়েছে...সম্ভবত গতকালে ট্যাংক বহর ফিরে যাওয়ার কারনে 'আবার' শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।।
সর্বশেষ খবরঃ
সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদ এখন পিলখানায়
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
আপডেট:
পিলখানায় এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও জে. মইনের উপস্থিতিতে সেনা, ড়্যাব ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা লাশ ও গোলা-বারুদ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এই মাত্র বিডিআর দু নম্বর গেটের পাশে আজিমপুর নিউ পল্টন এলকার মাটি খুঁড়ে ১৮ জন বিডিআর-সেনা কর্মকর্তার এবং ম্যানহোলে আর একটি লাশ ও বেশ কিছু পরিত্যাক্ত গোলা-বারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।
সূত্র: শীর্ষ খবর, চ্যানেল আই, বিকেল ৩টা।
---
আমার মনে হয়, এ সময় একই সঙ্গে অতি জরুরী এই প্রশ্নগুলোর কারণ খোঁজা:
১. কেনো এই বিডিআর বিদ্রোহ?
২. এর নেপথ্যে বহিরাগত কোনো শক্তির মদদ আছে কী না, বা তারাই এর উস্কানীদাতা কী না?
৩. একাধীক সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থার কাছে এ সংক্রান্ত কী কোনো আগাম তথ্য ছিলো? তারা কী সরকারকে সতর্ক করেছিলো?
৪. সামরিক-বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আগাম তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে এসব সংস্থার বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নেবে কী না?
৫. এই বিদ্রোহ আরো বড় ধরণের কোনো ঘূর্ণীঝড়ের পূর্বাভাস কী না?
৬. ঘটনার শেষ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একটি দায়সারা গোছের সংবাদ সম্মেলন করেই তার দায়িত্ব পালন করলেন কেনো? তিনি কোনো সুনির্দিষ্ট কোনো বক্তব্য দিলেন না?
এবং
৭. জামাতই বা এতো চুপ কেনো? বিএনপি-জামাত গোষ্ঠি কী আরো বড় ধরণের কোনো বিপর্যয় আশা করেছিলো?
---
ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
প্রথম আলোর খবর,
পিলখানায় তিনটি গণকবেরর সন্ধান, ৩২টি লাশ উদ্ধার।
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
উফ, স্বাধীন দেশে বাস করে ও এইসব কি দেখছি? কি শুনছি? জাতি হিসেবে আমরা এত খারাপ? ঘৃণা জানানোর ভাষা নেই।
বাংলাদেশের ইতিহাসে একদিনে এত বেশী সেনা কর্মকর্তার মৃত্যুর নজির বোধহয় আর নাই। মুক্তিযুদ্ধের সময় কামালপুর অপারেশনে কমান্ডার জিয়াউর রহমানের অবিমৃষ্যকারিতার জন্য প্রচুর অফিসার রণাঙ্গণে শহীদ হয়েছিলেন [সূত্রঃ মেজর জেনারেল মঈনুল হোসেন চৌধুরীর লেখা], পরবর্তীতে তিনিও ক্ষমতায় এসে বিপুল সংখ্যক সেনা অফিসার ও সৈনিককে হত্যা করেছিলেন। কিন্তু একদিনে এত অফিসার বোধহয় আর কখনো নিহত হননি।
ঢাকার বাইরে বিডিআর বিদ্রোহের কী অবস্থা? হালনাগাদ পাওয়া যাবে?
অনেকেই বলছেন ঢাকায় এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে দূরবর্তী কোথাও মানুষের মনোযোগের আড়ালে রাষ্ট্রের স্বার্থবিরোধী কোন একটি বা একাধিক ঘটনা ঘটেছে যা এখনও কারো নজরে আসেনি।
আমি গোটা ঘটনাটিতে চারটি সমস্যা চিহ্নিত করেছিঃ
এর একটিও সরকারের পক্ষে যায় না।
১ নং পয়েন্টের ব্যাপারে একটা তথ্য দরকার ... গতকাল দেখলাম যারা ছাড়া পেয়েছেন তাদের অধিকাংশই মেজর বা কর্নেল, মানে বয়েসে অত সিনিয়র না ... যারা মারা গেছেন তাদের বেলায় এই ডিস্ট্রিবিউশনটা কি? ... যদি জুনিয়ররা বেশী মারা যান, তাহলে আশংকাটার প্রবাবিলিটি কমবে
তবে পুরো বিডিআর বাহিনীর মাথাটাকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে ... নতুন শ'দেড়েক অফিসার নিয়োগ করলেও এদের শুরু করতে হবে একেবারে গোড়া থেকে ... বিডিআর বাহিনীর এই শূন্যতায় সীমান্ত এলাকার অনিয়ম বাড়ার সম্ভাবনাটাই সবচেয়ে বেশী
২,৩,৪ নং পয়েন্টের ব্যাপারে সম্ভাবনা খুবই বেশী
তবে আমার এখন সবচেয়ে বেশী চিন্তা হচ্ছে বিডিআরদের কপালে কি ঘটে সেটা নিয়ে ....আর্মির কাজকর্ম সুবিধের মনে হচ্ছেনা
আমার চিন্তা যে পয়েন্টগুলোতে
১। কাল সেনাবাহিনীকে পিলখানায় ঢুকতে দেয়া হয়নি, আজ দেয়া হলো কেন?
২। আজ যখন সেনা, পুলিশ, রেডক্রস এদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে, মিডিয়াকে আটকানো হচ্ছে কেন?
৩। বিডিআর যুবকদের বিচার কোন আদালতে হবে সেটা নিয়ে ঘোষনায় গড়িমসি চলছে কেন?
৪। সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পিলখানায় যাবার পরপরই সেনাপ্রধান পিলখানায় গেছেন, আবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ দৃশ্যপটে নেই, নানক নাকি সকালে আক্রান্ত হয়েছেন সেনাসদস্য দ্বারা (গুজব হতে পারে) — স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কি ইচ্ছে করে সবকিছু থেকে দূরে রাখা হয়েছে?
৫।গত দুদিনের ফায়ারিংয়ে কি শুধু সেনাসদস্যরাই মারা গেছেন? বিডিআর সদস্যরাও তো মারা গেছে বলে শুনেছি। এদের কোন খবর আসছেনা কেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
নতুন মন্তব্য করুন