দিনের আলো ধরে রাখতে ঘড়ির সময় পাল্টানোর দরকারই পড়ে না আর। শহরের ভূমি থেকে দশ কিলোমিটার উঁচুতে এক বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে শক্তিশালী বাতি সাজানো। সূর্য থেকে শক্তি সঞ্চয় করে প্রতি রাতে জলে ওঠে বাতিগুলো। তাতেই আলোকিত হয় পুরো শহর। শহরের মেয়র বাঘা বাঘা বৈজ্ঞানিক নিয়ে এক কমিটি গঠন করেছেন। তারাই এই বাতিগুলো জ্বালানো বা নিভানোর সময় নির্ধারণ করে শহরের দিন-রাত ঠিক করেন। খুব আরামে আছে শহরের বাসিন্দারা। ছাতা-ব
কবরস্থানে বটগাছ থাকা আবশ্যক কি’না, বিষয়টি সম্পর্কে জানা না থাকলেও এই মুহূর্তে বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে রঞ্জুর মনে হলো- এই ছায়া না পেলে এখন সে মারাই যেত। দীর্ঘদিন পর গোরস্থানে এসে বাবার কবর খুঁজে না পেয়ে মধ্যদুপুরে কড়া রোদের উত্তাপ দ্বিগুণ হয়ে যাবার পর রঞ্জু ছায়া খোঁজে এবং তখন-ই বটগাছটি দেখতে পেয়ে তার নিচে এসে দাঁড়ায় হতবিহবল অবস্থায়। এমন হবার কোনো কথা ছিল না। উদাসীন, ভুলে যাওয়া স্বভাবগত- এই ঋণাত্মক বৈশ
কী বিপদেই না ফেলেছিলেন আমাকে মুহম্মদ জাফর ইকবাল!
(গল্পে বর্ণিত প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে তার মিল অনিচ্ছাকৃত ও কাকতালীয় মাত্র।)
'সিরাজুদ্দৌলা' রোলটা ছেড়ে দেয়ার চাপা কষ্ট শীত শীত দুপুর টা উপভোগ করতে দিলোনা !
মাতব্বরের ছেলের কথায় উচ্চবাচ্চ করে কি করে !
এমনিতেই পানুর দিকে চোখ ছোকরার ।
করুক সিরাজ ।
ডোবাবে , ডোবাক !
আমার কি !
বাড়ির সামনে অলস সময়ে একটা ফিলযফিক্যাল স্বান্তনা খুঁজে রফিক !
পাশের বাড়ির বেড়ার ওপাশে পানুর নড়াচড়া টের পায় !
সামারটা পুরোপুরি শুরু হয়ে যাওয়ার আগেই ভাবলাম যে উইন্টারের কিছু ছবি দিয়ে দেই। এর আগে বরফ দেখেছিলাম লন্ডনে প্রথম। কিন্তু এত বরফ জীবনে প্রথম দেখলাম কানাডায় এসে। লন্ডনের বরফ তো তার তুলনায় নস্যি। প্রথম প্রথম সবাই খুব ভয় দেখাতো যে এখানে অনেক ঠান্ডা পড়ে। যতটা না ভয়, তার চে অনেক বেশী কৌতুহল নিয়ে অপেক্ষা করেছিলাম "অনেক বেশী" ঠান্ডার জন্য। কিন্তু সেবার অত বেশী ঠান্ডা পড়লো না, তবে বরফ পড়লো অনেক। ম
- ও ডাক্তার সাব, পুলার তো উঠলে আর নামেনা।
আমি মনে মনে মকবুলকে দুইটা গালি দিয়ে বিরক্ত মুখে ভদ্রলোকের দিকে তাকালাম। আমি নিশ্চিত মকবুল হারামজাদা ফাজলামো করে এই পেশেন্ট আমার কাছে গছিয়েছে। মকবুল চর্ম যৌন, বদরুল নিউরো, সাদেক হার্ট, নাজমুল হাড় আর আমি মেন্টাল। প্রায় প্রতি শুক্রবারেই আমরা আড্ডায় বসি। গত সপ্তাহের আড্ডার সময় এই পেশেন্ট গছিয়েছে মকবুল। বলে, খানদানি জমিদার ফ্যামিলি। গাজীপুরে বিশাল জায়গা নিয়ে বাংলো বাড়ি। কেসও খুব ইন্টারেস্টিং। ছেলের বাপ তোকে গাড়ি করে এসে নিয়ে যাবে। সারাদিন থাকলি, ঘুরলি, সাথে রোগীও দেখলি। মকবুলকে কয়েকবার চাপাচাপির পরেও পেশেন্টের সমস্যা কি খুলে বলে না। আমি আসার আগে ছেলের বাপকে ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলাম সমস্যা কি। ছেলের বাপও কিছু বলে না। শুধু বলে ডাক্তার সাব আপনি গরীবের বাসায় আগে একটু আসেন। চাইরটা ডাইল ভাত খান। পরে সব খুলে বলবো।
এ ধরণের চিন্তা আমার মাথায় প্রথম আসে ভারতীয় রাজনৈতিক জয়প্রকাশ নারায়ণের একটি বক্তৃতা থেকে। এটি তিনি গুগোলে দিয়েছিলেন। এই যে বক্তৃতাটি।