আঁকটোবর, ২০২২-এর তৃতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকতে, যেটাকে আমি পুষতে অথবা বন্ধু বানাতে চাই। আপাতত মান বাঁচাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আরেকটা ছবি পরে যোগ করার ইচ্ছা আছে।
হিমু দায়িত্ব দিলেন পরের, অর্থাৎ তৃতীয় সপ্তাহের বিষয় আমাকেই ঠিক করতে। দিলাম। এবারের বিষয় হলো এমন একটা জীব যাকে পুষতে অথবা যার সাথে বন্ধুত্ব করতে চান। আমি আমার প্রিয় এমন প্রাণীটা আঁকলাম। একে পুষতে চাওয়া বললে অপরাধ হবে, আমাদের ভাইব্রাদার, বন্ধুত্ব করা চলে। আমি একটা ওরাংওটানের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই।
বিরাধের বগলচিপায় মরতে মরতে সীতার বুদ্ধিতে বাঁইচা গিয়া রাম বুঝে বনে বাহাদুরি সোজা কাম না। একলা এক বনুয়া দুই ভাইর সামনে থাইকা খালি সীতারেই থাবা দিয়া উঠায় নাই; দশরথের দুই বীরপুতেরেও লটকায়া হাঁটা দিছিল দূরে নিয়া কোপাইতে…
বিপদে সীতার মাথা খোলে আর রামের হয় বন্ধ। কথাটা স্বীকার করলেও স্বীকার না যাইয়া রাম কয়- বনটা কঠিন। আমাগো মনে লয় ঋষি শরভঙ্গের আশ্রমেও যাওয়া ভালো…
আঁকাবুকি তে বিশেষ সুবিধার না মোটেই। স্কুল কলেজের বায়োলজি প্রাকটিক্যাল বহু সাধ্য়সাধনা করে আঁকানো শেষে দেখতাম কোথাও না কোথাও প্রপোরশন এ গ্যাঞ্জাম হয়ে গেছে। বোরিং মিটিং এ বসে বসে আঁকাআঁকি শেষে দেখি সে পুরানো স্বভাব পুরোপুরি আয়ত্তে আছে।
আঁকটোবর দ্বিতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো জায়গার ছবি আঁকতে, যেখানে আঁকিয়ে নিজে গিয়েছেন। এ প্রস্তাব মেনে নিচের ছবিখান আঁকলাম।
আমি গরুর ছবি আঁকলে সেটার আশেপাশে 'গরু' লিখে দিতে হয়। কাজেই এই ছবির ওপরেও জানিয়ে যাই, এটা এক তেজোসৃপের ভাস্কর্যের ছবি। ভাস্কর্যের বয়স চারশ বছরের বেশি, পাঁচশর কম। শহরটার নাম, প্রস্তাবে যেমন বলা, একটা ধাঁধা।
পৃথিবীর এমন কোন স্থান যেখানে আমি গিয়েছি, হয়ত আপনিও!
এবারের বিষয় পরিবর্তন আমিই করি। দ্বিতীয় সপ্তাহের আঁকটোবরের বিষয় হলো পৃথিবীর এমন কোন স্থান যেখানে আপনি ভ্রমণ করেছেন। আমি একটা জায়গার ছবি আঁকলাম। দেখুন তো চিনতে পারেন কিনা।
প্রথম সপ্তাহের ছবির বিষয়ের প্রস্তাব (প্রিয় কোনো বইয়ের চরিত্র বা দৃশ্য) এসেছে যে বাঘা শিল্পীর কাছ থেকে, তিনি এখন হপ্তা-পুরোনো কনিষ্ঠ ভাইকে নিয়ে ব্যস্ত। আশা করি শিগগীরই আঁকটোবরে তার ছবির দেখা পাবো। সজীব ওসমান সে প্রস্তাবের ওপর যোগ করেছেন আরেক প্রস্তাব, আঁকা ছবিটা যেন একই সাথে একটা ধাঁধাও হয়। দুটি প্রস্তাবই মেনে নিয়ে কাঁচা হাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আমি ছবি আঁকতে পারি না। ক্লাস সেভেনে পড়ার সময় শেষ ছবিটা এঁকেছিলাম একটা মুরগির ডিমের খোসায়। তারপর থেকে আর কখনো রঙপেন্সিল হাতে নেইনি। গতকাল সরবত খানের ঘটনাটা লেখার পর মনে হলো এটার সাথে একটা ছবি যোগ করে দেয়া যাক। যুগের সাথে ছবি আঁকার পদ্ধতির বিবর্তন ঘটেছে। এবার ডিমের খোসার বদলে মোবাইলের খোসার ওপর আঙুল বুলিয়ে আঁকা। ছবি কিছু না হোক আঁকিবুকি তো হবে। এলোমেলো আঁকিবুকিও আঁকটোবারের উদ্যোগে সামিল হতে পারে। আর কিছু না হলে সরবত খানের বিড়ম্বনার সাথে তো পরিচয় হবে।
উত্তরাধুনিক সাহিত্য সমালোচক শরিফুল মালিকের বাসায় ঢুকেই বাকহীন হয়ে গেলেন রজনীগন্ধা পুরস্কারপ্রাপ্ত ঔপন্যাসিক সরবত খান।