[justify]পরদিন শুক্রবার হওয়ায় আকরাম সাহেবকে অফিসে যেতে হলনা। এমনিতেও উনি অফিসে যেতে পারতেন না। কারন আঙ্গুল বিশ্রীভাবে ফুলে গেছে, সাথে প্রচন্ড ব্যাথা। মেসের যেই ছেলেটা সকালে চা দিয়ে যায়, তাকে তিনি এক মগ কুসুম গরম পানি আনতে পাঠালেন। কুসুম গরম পানিতে আঙ্গুল ডুবিয়ে রাখলে যদি কিছু উপকার হয়। ছেলেটা কুসুম গরম পানির পরিবর্তে টগবগে গরম পানি দিয়ে গেছে। আকরাম সাহেব বামহাতে ঠান্ডা পানির মগ নিয়ে গরম পানির সাথে
স্মৃতির নক্ষত্র ভিড় করা রংধনু বাতাসে কি জানি কি ঢেউ আছড়ে পড়ে প্রায়শই। ফেলে আসা দিনগুলো কে পাখীর ডিমের মত নীল মনে হয়। মনে হয় কোনকালের থরে থরে জমে থাকা জমাট জলের চাদর, কোনও এক শ্রান্ত গোধুলী বেলা, বিহঙ্গিনীর ভেসে যাওয়া, সাথে তার সঙ্গী বিহঙ্গ, মনে পড়ে প্রকৃতির শব্দে ঘেরা ঝিঁঝিঁ ডাকা, ঘুঘু ডাকা কোনও এক গ্রামের কথা, কুয়োতলায় গাছের মাঝ দিয়ে ঝলমল করা সূর্য, কুয়োর কালো জলে আমার আবক্ষ ছায়া, পানের বরজ আর ত
Its good... Be back home again'
গানটা বাজছে।
শিমুলকে টের পাচ্ছি। ও এসেছে।
ওর ডাকাতদলের বারো জনের সবার মুখ মনে পড়ে গেল।
long long lost friends!
মনে পড়লো সুন্দরবনের নৌকার জীবন,
চিঙড়ি ঘেরের মাচাঙ, জঙ্গলের মাঝখানে গোলপাতার ডেরা।
প্রায় চল্লিশ দিন আমি শিমুলের ডাকাত দলটার সাথে ছিলাম।
মানুষ কত কারণে ভালবাসে।
আমাকে ওরা ভালবেসেছিল,
ভদ্র সমাজের একজন হয়েও আমি ওদের ঘৃণা করিনি দেখে।
এ পৃথিবীতে কিছু কাজ কেন পবিত্র আর কিছু কাজ কেনই বা অপবিত্র?
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে
অপরাধ ও অপরাধের দায় বিষয়ক
দুটো ঘটনা-
আমরা কেমন, আমাদের সমাজটা কেমন,
তা দেখিয়ে দেয়।
কিছুদিন আগে
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা করার জন্য
ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক তরুণ।
রক্তাক্ত জাফর ইকবালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
তিনি নিজের জন্য নন,
যে তাকে হত্যা করতে এসেছিল তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে
বারবার বলছেন-
“ওকে কিছু করো না
ওর কোন দোষ নেই
চিন্তা হচ্ছে
হেঁটে যাওয়া। চলতে থাকা;
সামনে- খোলা। উন্মুক্ত। অবারিত।
চিন্তার জন্ম জীবনে
জীবনও চলা, কিন্তু সেখানে দেয়াল আছে। বাঁধা আছে।
চিন্তা এই দেয়ালকে পাড়ি দিতে চায়।
কল্পনাও সেটা চায়। তবে-
কল্পনা আর চিন্তার একটা পার্থক্য আছে।
কল্পনায় আমরা এই দেয়ালগুলো এড়িয়ে যাই
যেন দেয়ালগুলো নেই।
কিন্তু চিন্তা এই দেয়ালগুলোকে স্বীকার করে
তাকে অতিক্রম করার পথ খোঁজে।
এজন্য চিন্তা বাস্তব।
ইদানিংকালে শব্দগুলো জট পাকিয়ে যায়, বাক্য শেষ হয়ে ওঠে না। সহজ কথাগুলি মুখে এসেও মুখ থেকে প্রক্ষিপ্ত হতে গিয়ে জটিল হয়ে যায়। মনে কত কথাই আসে, কত স্মৃতি, কত দেখা অদেখা উপভব অনুভব এসে এই গৃহের অন্তঃপুরে দানা বাঁধে। মায়ালিসা কতবার বলেছে- মা, এখন তুমি অনেকটা সময় পাও, একটা ডায়েরি কিনে লেখ না কেন?
ইর্মগার্ড ফুর্খনার নামক জার্মানকে দেখে আর দশজন সাধারণ বৃদ্ধ শ্বেতাঙ্গ নারীর থেকে আলাদা কিছু মনে হয় না। কিন্তু ফুর্খনার সাধারণ নন। আজ ৯৭ বছর বয়স্ক ফুর্খনারকে উত্তর জার্মানির এক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
পাখি শিকার এবং জীবিত পাখি সংগ্রহ অনেক বছর ধরেই সারা পৃথিবীতে ধনীদের নেশা ছিল, সেটা মিশরের ফারাও, ইনকা সরদার অথবা শুরুর দিককার আধুনিক ইউরোপিয়ান যেমন Ole Worm বা Francis Willughby, যারা তাদের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তুলতেন কৌতুহল থেকে। ১৮০০ এবং ১৯০০ সালের দিকে এই রীতি আরও ছড়িয়ে পড়ে কারণ সেই সময়ের মধ্যে ইউরোপের অনেকেরই সেই পরিমাণ অর্থ এবং সময় ছিল পাখি সংগ্রহের জন্য এবং শুধু সেই সময় নয় বর্তমানেও এই
[justify](ক)