হ্যাকারচরিত

নাশতারান এর ছবি
লিখেছেন নাশতারান (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৪/২০১০ - ৬:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাইক্রোসফ্ট ক্রমশ ফুলিয়া ফাঁপিয়া উঠিতে লাগিল। সেই সঙ্গে গেট সাহেবের হৃদয় হইয়া উঠিল ইস্পাতকঠিন। তিনি উচ্চারণ করিলেন সেই অমোঘ বাণী:

হে ভন নয়ম্যানের উত্তরসূরীগণ, শোনো!
আইবিএম ও মেইনফ্রেম কর্পোরেশনসমূহ তোমাদিগের পূর্বপুরুষদিগকে এরূপ ভয়াবহ ও দুর্বিষহ লাইসেন্সজালে বন্দী করিয়াছে যাহাতে তোমরা টুরিং ও ভন নয়ম্যানের আত্মার নিকট মুক্তিভিক্ষা করো। এমতাবস্থায় আমি বলিতেছি: আমি আর যেকোনো কর্পোরেশনের চাইতে মহত্তর, বিশাল। আমি কি তোমাদিগের নিমিত্তে লাইসেন্স শিথিল করিব? অসম্ভব! আমি তোমাদিগকে দ্বিগুণ ভয়াবহতর এবং দশগুণ দুর্বিষহতর লাইসেন্সজালে বন্দী করিব… আমি তোমাদিগকে শিকারপূর্বক এরূপ দাসবৃত্তিতে প্রবৃত্ত করিব যেরূপ অতীতের কোন প্রজন্মই হয় নাই। টুরিং, ভন নয়ম্যান, মুরের* আত্মার সমীপে ক্রন্দন কেন তবে? উহারা তোমাদিগতে শুনিতে পায় না। আমি উহাদিগের চাইতে বৃহত্তর শক্তি। তোমরা আমার সমীপে ক্রন্দনসিক্ত হইবে, আমার ক্রোধ আর করুণার আশ্রয়ে জীবনযাপন করিবে। আমি অসুরপুরীর গেটস; এমএসএনবিসির পোর্টাল আর মৃত্যুর নীল পর্দার চাবিকাঠি আমার করতলে। আমার সহিত হৃদ্যতা স্থাপন করো; ভীত হও; এবং কেবলমাত্র আমার সেবাপূর্বক প্রাণধারণ করো।

এটি হ্যাকিংজগতের “আসমানি কিতাব”- টাক্সের বাণীর অংশবিশেষ। টাক্স হলো লিনাক্সের মাস্কট পেঙ্গুইন। তার জন্ম ১৯৯১ সালে বাইশ বছর বয়েসি ফিনিশীয় হ্যাকার লিনুস টোরভাল্ডসের হাতে।

হ্যাকার?

হ্যাঁ, হ্যাকার।

এ যুগের প্রযুক্তির মূলে রয়েছে একদল মানুষের অবদান যাঁরা ভালোবেসে নিজেদের হ্যাকার বলে দাবি করতেন। তাঁদের তারকাখ্যাতি নেই, কিন্তু আমাদের নতুন সমাজে যোগাযোগের নতুনতম মাধ্যম ইন্টারনেট ও ওয়েব(এক কথায় নেট), ব্যক্তিগত কম্পিউটার ও তার সফ্টওয়্যারসমূহের পরতে পরতে রয়েছে এঁদের মেধা ও শ্রমের স্পর্শ। হ্যাকারনামা মতে হ্যাকার হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রোগ্রাম করেন, যিনি তথ্যবিনিময়কে শক্তিশালী ও ইতিবাচক মনে করেন এবং বিনামূল্যে সফ্টওয়্যার লেখার মাধ্যমে নিজের দক্ষতা যথাসম্ভব ছড়িয়ে দেন আর তথ্যের যথোপযুক্ত সদ্ব্যবহার নিশ্চিত করেন। ষাটের দশকের শুরুতে এমআইটির একঝাঁক উচ্ছ্বসিত প্রোগ্রামার যখন নিজেদের হ্যাকার বলে পরিচয় দিতে শুরু করেন, তখন এগুলোই ছিলো হ্যাকারদের নীতিমালা। পরবর্তীতে আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রচারমাধ্যম কম্পিউটার-অপরাধীদের হ্যাকার নামে অভিহিত করতে শুরু করলে ধোঁয়াশা এড়াতে ওসব ভাইরাসলেখক ও তথ্যভাণ্ডারে অনুপ্রবেশকারীদের “ক্র্যাকার” নাম দেন হ্যাকাররা। হ্যাকার ও ক্র্যাকারের বিভেদ তাঁদের নৈতিক অবস্থান ও কর্মপদ্ধতিতে। ধ্বংসাত্মক মানসিকতা নিয়ে অন্যের মেধাস্বত্বে অনাহূত হস্তক্ষেপ করা হলো ক্র্যাকিং। হ্যাকিং কী, কেন সেটা জানার জন্য ইতিহাসে হ্যাকারদের ভূমিকা জানা প্রয়োজন।

লিনাক্সের কথা বলছিলাম।

লিনাক্স কেন গুরুত্বপূর্ণ?

কারণ: মাইক্রোসফ্টের আধিপত্যের অন্যতম চ্যালেঞ্জ এই লিনাক্স।
যে কেউ বিনামূল্যে লিনাক্স ডাউনলোড করতে পারেন। তবে উইন্ডোজের সাথে এর মূল পার্থক্য অন্যখানে। এর উন্মুক্ততায়। যেকোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণাকর্ম ও আবিষ্কার তার পরবর্তী গবেষকদের জন্য উন্মুক্ত, যাতে তাঁরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এর উন্নতিসাধন করতে পারেন। ঠিক তেমনি লিনাক্স ব্যবহার, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং উন্নতিসাধনে সুযোগ ও অধিকার রয়েছে সবার। গবেষণাক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়াটি সায়েন্টিফিক এথিক নামে পরিচিত। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং-এর ক্ষেত্রে একে বলা হয় ওপেনসোর্স মডেল। সোর্স কোড যেকোনো প্রোগ্রামের ডিএনএ স্বরূপ। কো্নো প্রোগ্রামের সোর্স-কোড জানা না থাকলে অন্য কেউ সেই প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু তার পরিবর্তন ও পরিবর্ধন সাধন করতে পারেন না। লিনাক্সের সোর্স-কোড সবার জন্য উন্মুক্ত। আর এখানেই মাইক্রোসফ্ট থেকে সে আলাদা।

তবে ওপেনসোর্স মডেলের প্রবক্তা লিনাক্স নয়। লিনাক্স একটি ইউনিক্স গোত্রীয় অপারেটিং সিস্টেম যা পূর্ববর্তী দুটি হ্যাকার প্রকল্পের ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। তার মধ্যে প্রধান ছিল গ্নু। যেটি রিচার্ড স্টলম্যান শুরু করেছিলেন এমআইটির এআই ল্যাবে। এই স্টলম্যানই হ্যাকারদের প্রথম প্রজন্ম।

কম্পিউটার হ্যাকারতন্ত্রে নতুন যুগের সূচনা হয় ইন্টারনেটের জন্মের মধ্য দিয়ে। এর গোড়াপত্তন হয় ১৯৬৯ সালে। ওই একই সময়ে কেন থম্পসন ডেনিস রিচি নামে দুজন হ্যাকার ইউনিক্সের প্রথম সংস্করণ রচনা করেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের গবেষকদল “আরপা” ইন্টারনেটের পূর্বসূরী আরপানেট প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সময়ের সাথে সাথে এর উন্নয়নপ্রক্রিয়ার সিংহভাগ চলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী হ্যাকারগোষ্ঠীর হাতে, যাঁরা পরিচিত ছিলেন নেটওয়ার্ক ওয়ার্কিং গ্রুপ নামে। এই দলটি ওপেনসোর্স মডেল অনুসরণ করত। একেবারে গোড়া থেকেই সব সোর্স কোড প্রকাশ করে দেওয়া হতো। ফলে যে কেউ চাইলেই যোগ দিতে পারতেন এই কর্মযজ্ঞে। এরপর হ্যাকারগোষ্ঠীগুলোর নাম ও গড়ন বদলায় কয়েক দফা। কিন্তু সেই উন্মুক্ত কাজের ধারা আজও বহাল রয়েছে। আজও ইন্টারনেট প্রযুক্তি এগিয়ে চলছে উন্মুক্ত হ্যাকারসমাজের হাত ধরে, কোন কেন্দ্রীয় পরিচালকমণ্ডলীর নির্দেশ ছাড়াই। হ্যাকাররা পারস্পরিক আলোচনাসাপেক্ষে অধিকতর গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বেছে নেন। কিছু কিছু আবিষ্কার দারুণ অপ্রত্যাশিত মোড় নেয় কখনো কখনো। যেমন: ১৯৭২ এ রে টম-লিন্সন ই-মেইল প্রবর্তন করেন। তিনি @ চিহ্নটি নির্ধারণ করেন যা আজো আমরা ব্যবহার করছি। উন্নয়নের এই ধারা সম্পর্কে অ্যাবেট বলেন, “ইন্টারনেটের নকশায় কোন কর্পোরেট অংশগ্রহণ ছিলো না। পূর্বসূরীর[আরপানেট] মতোই ইন্টারনেটের অগ্রযাত্রা হয়েছে অনানুষ্ঠানিকভাবে, কো্নোরকম হৈ চৈ হট্টগোল ছাড়াই, কিছু স্বনির্বাচিত দক্ষ জনগোষ্ঠীর হাতে।”

ইন্টারনেটের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব(www)-ও কোন কর্পোরেট বা সরকারি প্রণোদনা ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত। এর প্রবক্তা টিম বার্নার্স-লী ১৯৯০ এ সার্ন-এ পার্টিকেল ফিজিক্স গবেষক হিসেবে কর্মরত থাকাকালে ওয়েবের নকশা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। এর মূলে তাঁর দর্শন প্রকাশিত হয় তাঁর এই বক্তব্যে: “ওয়েব যতটা না প্রযুক্তিগত আবিষ্কার, তারচেয়ে বেশি সামাজিক সৃষ্টি। এটি কোনো প্রযুক্তিগত খেলনা নয়। আমি এর নকশা করেছি সামাজিক প্রভাবের জন্য – যাতে মানুষ একত্রে কাজ করতে পারে। ওয়েবের চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বে আমাদের পারস্পরিক যোগাযোগের ধারণ ও উন্নয়ন সাধন।”

ধীরে ধীরে অন্য হ্যাকাররাও যোগ দেন লীর সাথে। লী তাঁর বইয়ে বলেনঃ “আগ্রহী মানুষেরা ইন্টারনেটে তাঁদের প্রতিক্রিয়া, উৎসাহ, পরামর্শ, সোর্স-কোড ও মানসিক সমর্থন জোগান যা সশরীরে কখনোই দেওয়া সম্ভব হতো না।”

হ্যাকারদের দলটি যখন বেশ বড়সড় হয়ে উঠলো, বার্নার্স-লী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব কন্সোর্টিয়াম গড়ে তোলেন। উদ্দেশ্য ছিলো তাবৎ বাণিজ্যিক আগ্রাসন প্রতিরোধ করা। যেখানে প্রযুক্তিব্যবসায়ীদের মনে প্রশ্ন: “কী করলে ওয়েব আমার হবে?” সেখানে লীর প্রশ্ন ছিলো: “কী করলে ওয়েব সবার হবে?”

তবে ওয়েবের চূড়ান্ত উত্তরণে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি তিনি মার্ক অ্যান্ড্রিসেন, এক বাইশ বছর বয়সি তরুণ, ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র। ১৯৯৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সুপারকম্পিউটিং কেন্দ্রে তিনি এবং আরো কজন হ্যাকার মিলে তৈরি করেন কম্পিউটারের জন্য একটি ব্যবহারবান্ধব গ্রাফিকাল ব্রাউজার, যার ওপেন সোর্সের পথ ধরে অচিরেই জন্ম হয় নেটস্কেপ নেভিগেটর ব্রাউজারের।

mosaik

প্রথম ব্রাউজার, মোযাইক**

নেট নিয়ে আজ আমাদের যত কীর্তিকলাপ তা কখনোই সম্ভব হতো না পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্ম না হলে। এর জন্মের ইতিহাস এমআইটির হ্যাকারদের ইন্টার‌্যাক্টিভ কম্পিউটিং-এর সাথে জড়িত, যাঁদের কথা একদম শুরুতে বলেছি। সে সময়ে কম্পিউটার ক্ষেত্রটি আইবিএম-এর মেইনফ্রেম কম্পিউটার অধ্যূষিত ছিলো যেখানে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম চালাতে প্রোগ্রামারদের অপেক্ষা করতে হতো অপারেটরের অনুমতির জন্য। কখনো কখনো দিনকয়েক লেগে যেতো অনুমতি পেতে। এই দীর্ঘসূত্রিতা এড়াতে এমআইটি হ্যাকাররা বেছে নেন মিনি কম্পিটারের ইন্টার‌্যাক্টিভ কম্পিউটিং যেখানে একজন প্রোগ্রামার নিজে কম্পিউটারে প্রোগ্রাম চালিয়ে ফলাফল দেখতে পারতেন এবং দরকার মতো সংশোধনও করতে পারতেন। এই মিনি কম্পিউটারই বর্তমান পার্সোনাল কম্পিউটারের আদিপুরুষ।

এই এমআইটি হ্যাকাররাই প্রোগ্রাম করেন সর্বপ্রথম কম্পিউটার গেম। স্টীভ রাসেলের স্পেস ওয়ার(১৯৬২)-এ মহাশূন্যে লড়াই দেখাতে পটভূমি হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তারাভরা মহাকাশকে। জানালা দিয়ে মুখ বাড়ালেই যে আকাশ দেখি ঠিক সেটা। সে সময় কম্পিউটারের প্রতিটা মুহূর্ত ছিল দুর্মূল্য। খেলুড়েদের সুবিধার্থে গেম কপি করতে দেওয়া হতো সবাইকে। তাই সোর্স কোড ছিলো সবার জন্য উন্মুক্ত।

spacewar

1961_SpaceWar

পার্সোনাল কম্পিউটারের জন্মের চূড়ান্ত পদক্ষেপটি নেন স্টীভ ওয়াযনিয়াক। তিনি হোমব্রু কম্পিউটার ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ক্লাবের অন্যান্যরাও ছিলেন হ্যাকার যাঁরা সত্তরের দশকের মধ্যভাগে বে এরিয়ায় নিয়মিত দেখা করতেন তথ্য ও মতবিনিময়ের জন্য। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ এ, ২৫ বছর বয়সে ওয়াযনিয়াক তৈরি করেন আমজনতার জন্য প্রথম পার্সোনাল কম্পিউটার, অ্যাপেল ওয়ান। বিশ্বের বৃহত্তম কম্পিউটার বিপণনকারীদের অবিশ্বাসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ থেকে কম্পিউটার উঠে এলো আমাদের ডেস্কে, রেফ্রিজারেটর মতো বিশাল আকার থেকে এতটুকু হয়ে।

ibm_360_bw

ষাটের দশকে আইবিএম-এর মেইনফ্রেম কম্পিউটার

iwoz-apple1e

ওয়াযনিয়াকের অ্যাপেল ওয়ান

এসব কখনোই সম্ভব হতো না যদি না ওয়াযনিয়াক কম্পিউটারকে দেখতেন মানবিক দৃষ্টি দিয়ে। পরবর্তীতে ওয়ায হোমব্রু কম্পিউটার ক্লাবের অবদানের কথা স্বীকার করেন যেখানে একদল প্রযুক্তিপ্রেমী তাঁদের মুক্তচিন্তার মধ্য দিয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন। হ্যাকারদের নীতিমাফিক ওয়ায তাঁর কম্পিউটারের ব্লুপ্রিন্ট বিতরণ করেন এবং তাঁর প্রোগ্রামের বিট প্রকাশ করেন। এই হ্যাকারদের সৃষ্ট কম্পিউটারের কল্যাণেই আমরা পেয়েছি আজকের এই বিমূর্ত জগত।

হ্যাকারদের লক্ষ্য কী?
অর্থ? নিশ্চয়ই নয়। কারণ অর্থ উপার্জন সম্ভব তথ্যে মালিকানা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে,
বিনামূল্যে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে নয়।

লিনাক্সের প্রবক্তা লিনুস টোরভাল্ডসের মতে, মানুষের তাবৎ কাজের মৌলিক প্রেরণা তিন রকমের: অস্তিত্ব রক্ষা, সামাজিক বন্ধন আর ভালো লাগা।

প্রথমটি সবারই জানা। সবকিছুর আগে বেঁচেবর্তে থাকা জরুরি। বেঁচে থাকার তাগিদেই জগৎজুড়ে এত শোরগোল। কিন্তু নিজের প্রিয়জন, নিজের দেশ, নিজের বিশ্বাসের জন্য জীবন উৎসর্গ করার উদাহরণও কিন্তু কম নয়। তাই বলা যায়, সমাজের এ বন্ধনগুলো কখনো কখনো আমাদের নিজেদের অস্তিত্বের চেয়েও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

আর বাকি থাকে ভালো লাগা। আইনস্টাইন যখন পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে ভাবতেন সেটা নিশ্চয়ই জীবনধারণের জন্য বা কোনোরকম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে করতেন না। তিনি ভাবতেন, কারণ ভাবতে তাঁর ভালো লাগত। ভালো লাগার এই চাহিদার সামনে আর্থিক চাহিদাও দাঁড়াতে পারে না। কারণ অর্থ দিয়ে কিছু কিছু ভালো লাগার জিনিস কেনা যায়। কিন্তু সামাজিক বন্ধন আর ভালো লাগার অনুভূতিগুলো টাকা-পয়সা দিয়ে কেনা সম্ভব নয়।

হ্যাকারদের জন্যও হ্যাকিং জীবনধারণের বস্তুগত মাধ্যম নয়। হ্যাকিং ছাড়াও ভাত-কাপড় জোটানোর মত যথেষ্ট মেধা একজন হ্যাকারের থাকে। তিনি হ্যাকিং করেন ভালো লাগা থেকে যা তিনি ছড়িয়ে দেন অন্য হ্যাকার ও সাধারণ মানুষের মধ্যে। এভাবে তিনি নতুন ধরনের একটি সামাজিক বন্ধন লাভ করেন। হ্যাকিং-এর মূল চালিকাশক্তি কাজের প্রতি ভালবাসা আর এমন কিছু সৃষ্টির তাড়না যার সুফল ব্যক্তিগতভাবে নয়, বরং গোষ্ঠীবদ্ধভাবে ভোগ করা সম্ভব।

আর্থিক মুনাফার কথা ভেবে এই মেধাবী মানুষগুলো তাঁদের মেধার ফসল যদি প্রযুক্তিপ্রভুদের মতো রহস্যবন্দি করে হাতের মুঠোয় রাখতেন তবে কি আজ ঘরে ঘরে কম্পিউটার আর নেট থাকত?
.
.
.

লিঙ্ক: [মূল লেখায় লিঙ্ক ভেঙে যাচ্ছিলো। তাই আলাদা করে দিলাম।]
* http://en.wikipedia.org/wiki/Moore's_law
** http://en.wikipedia.org/wiki/Mosaic_(web_browser)

[পুনশ্চ: পেকা হিমানেন-এর “দি হ্যাকার এথিক” বইটির আলোকে লেখা। বই আর উৎসাহ- দুটোর জন্যই আনিস ভাইকে ধন্যবাদ।]


মন্তব্য

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কম্পিউটিং-এর প্রাথমিক ইতিহাস নিয়ে কিন্তু কাগুর লেখা পাঠ্যপুস্তক আছে। পাইরেসির কেইস খাইলে সাবধান কইলাম। চোখ টিপি

সিরিজ আকারে চলুক এটা।

"আমার" বনাম "সবার"টাই মূল পার্থক্য, যা থেকে 'অধিকার' কথাটা জন্ম নিয়েছে যুগে যুগে।

নাশতারান এর ছবি

সিরিজ আকারে? Smiley

এই পোস্টের লেয়াউট পেকা হিমানেনের। ইহজনমে কাগুর লেয়াউট দেখি নাই দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালো লিখেছেন। অনেক কিছু জানলাম। অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা রইলো।
--আরিফ বুলবুল,

নাশতারান এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমাদিগকে কম্পিউটার ব্যবসায় হইতে উৎখাত করিবার চক্রান্ত বোধ হইতেছে! এই মহিলাকে শেকল দিয়া বাঁধিয়া রাখা হউক...

জব্বর লেখা! একটু কাটছাট (সুশীলীকরণ) করে বাংলা উইকিতে এন্ট্রি করে ফেলা যায় বোধহয়।

নাশতারান এর ছবি

বাংলা উইকিতে এন্ট্রি করার বুদ্ধিটা বেশ ভালো। কাটছাঁটও বেশি করতে হবে না।

তবে মন্তব্য করার সময় খুউব খিয়াল কইরা সুশীল ভাষায় লিখবেনঃ এই ভদ্রমহিলাকে যত্নসহকারে শেকল দিয়া বাঁধিয়া রাখা হউক... দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দ্রোহী এর ছবি

কাগুর বইয়ের বাজার শেষ হয়ে এল বলে!!!!!!!!!!

নাশতারান এর ছবি

কাগুর বইয়ের বাজার আছে? কন কী? Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বোহেমিয়ান এর ছবি

আমি যেইটা বুঝছি সেইটা হইল কাগুর সফট একমাত্র বইয়ের প্রকাশকরাই কিনেন, সেই বাজার এর কথাই বলা হইছে ।

লেখায় চলুক

_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

নাশতারান এর ছবি

বুড়া আঙুলের জন্য থেঙ্কু।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

ভালো লিখেছিস।

আর আমার নাম যখন বলেই ফেলেছিস, তখন আমিও বলি: বইটি কিন্তু যথাসময়ে ফেরতযোগ্য।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

নাশতারান এর ছবি

সে সময় কি কখনো আসবে? চিন্তিত

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্পার্টাকাস এর ছবি

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হয়েও এতকিছু জানার আগ্রহ কখনো হয় নাই।
সিরিজ চলুক, তাইলে কিছু জানা হবে হাসি

-----------------------------
জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

জননীর নাভিমূল ছিঁড়ে উলঙ্গ শিশুর মত
বেরিয়ে এসেছ পথে, স্বাধীনতা, তুমি দীর্ঘজীবি হও।

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ। আপনি চাইলে মূল বইটা পড়ে দেখতে পারেন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

লীন এর ছবি

বাহ বাহ, চমেৎকার

______________________________________
ভাষা উন্মুক্ত হবেই | লিনলিপি

______________________________________
লীন

নাশতারান এর ছবি

থেঙ্কু

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি হ্যাক্করা শিখতে চাই
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

আপনি মন্তব্য করেছেন দেখামাত্র মনে হয়েছিলো আপনি বলবেন, "আমি বড় হইয়া হ্যাকার হমু"। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

বেশ, বেশ ... এভাবে চলতে থাকলে তো কাগুর চারদিক দিয়া ভাত মারা অবস্থা হয়া যাইবো।

অনেক ভালু পাইলাম।

===============================================
ভাষা হোক উন্মুক্ত

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

নাশতারান এর ছবি

ভাত তো কার্বোহাইড্রেড। কাগুর কার্বোহাইড্রেড কম খাওয়াই ভালু।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সফটওয়্যার বানিয়ে ব্যবসা করাকে আমি খারাপ মনে করিনা। তবে কেনার সামর্থ যেহেতু নাই, দেশে মানুষের লিনাক্সই ব্যবহার করা উচিত। বিদেশে এসে বহুদিন জানালা ব্যবহার করেছি, সাথে জেনুইন সফওয়্যারও। কিন্তু এখন জানালার চেয়ে উবুন্তু থেকে বেশী সুবিধা পাই। তাই জানালা বাদ।

নামের উচ্চারণটা মনে হয় ভন নয়ম্যান।

নাশতারান এর ছবি

হুম। নয়ম্যান। ধন্যবাদ।

সফটওয়্যার বানিয়ে ব্যবসা করাকে খারাপ বলি নি। কিন্তু চাল বেচে পেট চালানো আর চাল মজুদ করে রেখে গরিবের পেটে পাড়া দেওয়া তো এক নয়।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সফটওয়্যার ব্যবসার সাথে আপনার উদাহরণটা ঠিক মেলাতে পারলাম না মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

প্রযুক্তি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা আর প্রযুক্তিকে অর্থের বিচারে কুক্ষিগত করা এক নয়- সেটাই বোঝাতে চেয়েছি। হয়তো শব্দচয়নে ভুল হয়েছে।

"কেনার সামর্থ্য যেহেতু নাই, দেশে মানুষের লিনাক্সই ব্যবহার করা উচিত।"- ঠিক। এটা আমাদের অবস্থান। কিন্তু প্রযুক্তিকে সামর্থ্যের বাইরে যারা নিয়ে গেছেন তাদের অবস্থান কী? যারা চিরকালই "সবার নিচে, সবহারাদের পিছে" তাদের নিয়ে ভাবার দরকার নেই?

শিক্ষাও তো এখন পণ্য। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে শিক্ষা দেওয়া এক জিনিস। আর নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক সামর্থ্যসম্পন্ন একটা শ্রেণীর মধ্যে শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করে দেওয়া আরেক জিনিস। সবার ক্রয়ক্ষমতা সমান থাকে না। বইয়ের যেমন আলাদা আলাদা দামে আলাদা আলাদা অঞ্চলভিত্তিক সংস্করণ বের হয়, সফ্টওয়্যারের ক্ষেত্রেও সেটা করা যেতে পারে।

প্রযুক্তির ইতিহাস যন্ত্রের অগ্রগতির মধ্য দিয়ে হতে পারে, কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গিটুকু মানবিক হওয়া প্রয়োজন। হ্যাকারদের মানবিক দৃষ্টিকোণই এই লেখার উপজীব্য।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অভ্রনীল এর ছবি

হ্যাকারদের মানবিক দৃষ্টিকোণই এই লেখার উপজীব্য।

তারপরও তো আমরা "হ্যাকার"দের উদার মনে বিলিয়ে দেয়া সফটওয়ারগুলোকে নাক সিঁটকে এক পাশে সরিয়ে রেখে ঐ ব্যবসায়ীদের "দামী" সফটওয়ারগুলোর পেছনেই দৌড়াই। যখন ঐসব সফটওয়ার কেনার সামর্থ্য থাকেনা তখন চুরি করা সফটওয়ার কিনে নিজের গায়ে চোরের তকমা লাগাতেও কার্পণ্যবোধ করিনা। সেইসাথে সফটওয়্যার চুরির দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশকে শীর্ষে তুলতেও পিছপা হইনা, বিশ্ব আমাদেরকে চেনে চোরের দেশ হিসেব...
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আসলে বিপনন এখানে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভেন্ডররা যদি চোরাই জিনিস না দেয়, তাহলে এর ব্যবহার অনেক খানি কমতে পারে। তবে ভোক্তাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। সেই এগিয়ে আসার গতি যদিও অত্যন্ত ধীর।

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ভণ্ড_মানব এর ছবি

ভীষণ জটিল!
নিজেকে বড়ই ফাকিবাজ কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার মনে হচ্ছে, কতো কিছু অজানা, আপনি বরং এগুলো লিখতে থাকুন, আমরা চামেচুমে কিছু জ্ঞানার্জন করি। দেঁতো হাসি
বেশ খাটাখাটনি করেছেন, তারপরও ধন্যবাদ দিয়ে খাট করবো না।
চলুক
__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

__________________________________
যাক না জীবন...যাচ্ছে যখন...নির্ভাবনার(!) নাটাই হাতে...

নাশতারান এর ছবি

চোথা বানাতে যেটুকু খাটনি আরকি। জয় বাবা চোথানাথ! শয়তানী হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

দুর্দান্ত এর ছবি

আমি হেকার হইতাম ছাই।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

আমিও

--------------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

নাশতারান এর ছবি

আমিও দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

দারুণ লেখা। সিরিজ চলুক এই দাবি আমিও জানিয়ে গেলাম।

কৌস্তুভ

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ!
কিন্তু সিরিজের দাবি জানিয়ে ভয় দেখান কেনু? Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তাসনীম এর ছবি

দেরিতে পড়লাম, খুবই তথ্যবহুল লেখা। ভালো লেগেছে এবং প্রিয়তে রাখছি।

ওপেন সোর্সকে আইবিএম বুকে জড়িয়ে নিয়েছে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসাবে। আইবিএমের মেইনফ্রেম কম্পিউটারে ব্যবসা এখনো ভালো, আইবিএম এখন প্রচুর সার্ভিস বেচে, তার অনুষঙ্গ হিসাবে কম্পিউটার আর সফটওয়্যার ধরিয়ে দেয়। এই করে তারা চালাচ্ছে ভালোই। ওপেন সোর্স আসাতে ব্যবসার নতুন ধারাও খুলে গেছে, বড় কোম্পানিগুলো মোটের উপর এর পিছেই আছে। আমাদের দেশের টেকি ব্যবসায়ীদের উচিত নতুন পথ খোঁজা, নিশ্চিতভাবেই অনেক কিছু আছে যেটা এখনো উন্মেষ হয় নি।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নাশতারান এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, তাসনীম ভাই। আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটা মনে ধরলো। হাসি
ওপেন সোর্স এই ভেবে ভালো লাগে যে অর্থের অভাবে প্রযুক্তির উন্মেষ থেমে থাকবে না। মেধা আর পরিশ্রমের জোরেই এগিয়ে যাওয়া যাবে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি


টাক্সের বাণী থেকে উদ্ধৃত অংশ সাধুরীতিতে লেখা। তাই পুরোনো বানান ও লেখনরীতি। বাকি অংশে নতুন নিয়ম।


ভন নিউ ম্যান > ভন নয়ম্যান (পিপিদাকে ধন্যবাদ)
বয়সী > বয়সি/বয়েসি ( শব্দটা দুবার এসেছে। প্রথমটা ঠিক করা হয়েছে। পরেরটা চোখে পড়েনি।)
এমআইটি’র > এমআইটির (কো্নো কোনো জায়গায় ঠিক করা হয়েছে। কোনো কোনো জায়গায় চোখ এড়িয়ে গেছে।)
আইবিএম-এর, হ্যাকিং-এর কে যথাক্রমে আইবিএমের, হ্যাকিঙের লেখা উচিত।

সিদ্ধান্তঃ আমার একজন প্রুফ রিডার দরকার।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা ভাল্লাগছে, হ্যাকার ক্রাকার কারে বলে শিখলাম।
আর এই মন্তব্যে মজা লাগল। গড়াগড়ি দিয়া হাসি

নহক

নাশতারান এর ছবি

হ্যাকার, ক্র্যাকারের পার্থক্য জানানোটাই প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

টিউলিপ এর ছবি

অন্য সবার প্রুফ রিডার যদি নিজেই প্রুফ রিডার খুঁজতে বসে, তাহলে কিভাবে হবে?

তোমাকে বরং একটা কুযুক্তি দেই, নিজের লেখায় বানান ভুল থাকলে বলবে "গয়লা নিজের দুধ খায় না"। চোখ টিপি
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

নাশতারান এর ছবি

গয়লা নিজের দুধ খায় না বলেই তো অন্য গয়লা খুঁজি, আপু। নিজের লেখায় অনেক ভুল চোখে পড়ে না। লেখাগুলো এতই চেনা যে অবচেতন মনেই টপকে এগিয়ে যাই। এর আগে অতন্দ্র প্রহরী বেশ কবার ধরে ধরে দেখিয়ে দিয়েছেন। আর আজ তো প্রুফরিডার পেয়েই গেলাম। খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

প্রুফরিডারের চাকরিটা আমি চাই। দাবি হিসেবে আরো কিছু সংশোধনী পেশ করছি:

অমোঘ বাণীঃ > অমোঘ বাণী: (কোলন হবে, বিসর্গ নয়)
এমতাবস্থায় আমি বলিতেছিঃ > আবারও কোলন হবে, বিসর্গ নয়
কোন > কোনো
তথ্যভান্ডার > তথ্যভাণ্ডার
যে কোন > যেকোনো
গেনু > প্রকৃত উচ্চারণ সম্ভবত নু। আফ্রিকায় উইল্ডেবিস্ট (Wildebeest) নামের প্রাণীটির আরেক নাম
পরিচালকমন্ডলী > পরিচালকমণ্ডলী
যেমনঃ > যেমন:
অন্যান্য হ্যাকাররাও > অন্য হ্যাকাররাও অথবা অন্যান্য হ্যাকারও
ইলিনয়স >উচ্চারণ সম্ভবত ইলিনয়
জগতজুড়ে > জগৎ জুড়ে

চাকরিটা পাবো?

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

নাশতারান এর ছবি

বুঝেছি। তোমাকেই লাগবে আমার।

কোলন আর বিসর্গের পার্থক্যই জানতাম না। কোলনের জায়গায় সবসময় ঃ দিয়ে এসেছি। Smiley

ন্ড/ণ্ড শুভাশীষদা ধরিয়ে দিলেছিলেন কদিন আগে। তাও এলোমেলো হয়ে যায়। Smiley

GNU-এর উচ্চারণ খুঁজেছিলাম অনেক। গানু, গানূ, গাহ্‌-নিউ, গূ-নূ কতকিছু যে দেখলাম! তারপর উইকি দেখে ভাবলাম শুরুর Gটা বুঝি হ্রস্ব। বলেই টুক করে গিলে ফেলতে হবে। টুক করে গিলে ফেলা "গ" কীভাবে লিখবো বুঝতে না পেরে গেনু লিখেছি। তুমি বলার পর আবার খুঁজলাম। নু পেলাম। এরপর সবজান্তার লেখা পেলাম একটা। সে বলে গাহ-নিউ। Smiley

সে যা-ই হোক। তোমার চাকরি পাকা। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

থেঙ্কু থেঙ্কু।

এই চাক্রির ব্যাতোন পাইলে তরে ছুপ আর লুডুস খাওয়ামু। সাথে কুক।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

নাশতারান এর ছবি

এই চাক্রির ব্যাতোন দিয়া ছুপ-লুডুস-কুক খাওয়াইতে গ্যালে বাকি মাস রোজা থাকা লাগবে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি


আইবিএম-এর, হ্যাকিং-এর কে যথাক্রমে আইবিএমের, হ্যাকিঙের লেখা উচিত।

উচিত বলে কোন কথা নেই। আমি প্রথমটাই লিখি, ওটাই ঠিক বলে মনে হয়। দ্বিতীয়টায় ভ্রান্তি জন্ম নিতে পারে।

উল্লিখিত ভুলসমূহ ছাড়াও আরো কিছু ভুল আছে।


সিদ্ধান্তঃ আমার একজন প্রুফ রিডার দরকার।

জি, মুহতারিমা, কিছু হাতের ময়লা ঝাড়লে বান্দা হাজিরররররররর।

---মহাস্থবির---

নাশতারান এর ছবি

ভাই, আমার হাত একদম সাফ। আপনি যদি সাফদিলে হাজিরা দিতে পারেন তাহলে ধন্য হবো। আনিস ভাই কিছু ভুল দেখিয়ে দিয়েছেন। এর বাইরে কিছু থাকলে জানান। আচ্ছা, "জগত" কেনো ভুল? আমার যতদূর মনে পড়ে আমি এই বানানের চল দেখেছি। ত-কে ৎ বানানোর পেছনে যুক্তি কী?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মামুন হক এর ছবি

লেখা অতি ছমৎকার লাইগলো... তবে আমি হ্যাকার হইতাম চাই না, কেরি প্যাকার হইতাম চাই দেঁতো হাসি

নাশতারান এর ছবি

তাইলে তুমি কেরি প্যাকাররে নিয়া একখান পুস্ট দাও।
হ্যাকার না প্যাকার- কোনটা হওয়া দরকার জাতি তখন ভেবে দেখবে। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ বুনোহাঁস চমত্কার লেখাটির জন্য। আগেও কিছু টা জানতাম তবে এতটা নয়! বোঝাই যায় আজকাল বনের হাঁসও পড়াশোনা আর গবেষণায় সময় কাটাচ্ছে। সাধু!!
জ.ই.ন.

নাশতারান এর ছবি

আপনাকেও ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চলুক

এই লেখাকে সচলায়তনের সর্বাধিক লিঙ্কসম্পন্ন পোস্টের বার্ষিক পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলাম।

নাশতারান এর ছবি

এই আনন্দ রাখি কই? Smiley

পুরস্কারের নাম সম্ভবত "লিঙ্কুর রহমান"। দেঁতো হাসি

চোথা মারা লেখা তো! কে কোন দিক থেকে মাইর দেয় ঠিক নাই। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের ঠিকানা দিয়ে দিলাম।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বর্ষা এর ছবি

পছন্দের পোস্টের সাথে যুক্ত করলাম।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

********************************************************
আমার লেখায় বানান এবং বিরাম চিহ্নের সন্নিবেশনের ভুল থাকলে দয়া করে ধরিয়ে দিন।

নাশতারান এর ছবি

Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার মতো এনালগ পাঠকদের বোধহয় সচলায়তনে আর জায়গা নাই
যেদিকে তাকাই খালি দেখি কঠিন কঠিন ডিজিটাল লেখা

নাশতারান এর ছবি

ডিজিটাল (D G টাল) = দেখতে দিয়ে টাল Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

guest_writer এর ছবি

তথ্যবহুল লেখা হলেও শুরুর অংশটা দরকার ছিল না। বিল গেটসকে পছন্দ না করলেও তার অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। খেটে তৈরি করি একটি জিনিষ আপনি বিনা পয়সায় বিলিয়ে দেবেন না তার বিনিময়ে পয়সায় নেবেন তা একান্তই আপনার নিজের ব্যাপার, তাই না? আপনার আমার মত লক্ষ লক্ষ লোক সফটঅয়্যার বানিয়ে বিক্রি করে (নিজে বা অন্য কারও মাধ্যমে) জীবিকা নির্বাহ করছে। এতে দোষের কিছু নেই। চিন্তা করুন তো, সবাই সফটঅয়্যার বানিয়ে বিনা পয়সায় বিলিয়ে দিচ্ছে? তাহলে কি এত এত মেধাবীরা কম্পিউটার বিগ্জান পড়তে আসতো?

হ্যাকাররা নমস্য কিন্তু এটাও সত্যি য়ে, তাদের অবদান সাধারনের (সত্যিকারের সাধারন, মেধাবী কম্পিউটার বিশেষষ্গদের নয় ) নাগালের মধ্যে আনার জন্য এই বেনিয়ারা (!) কিছুটা কৃতিত্ত্ব পেতেই পারে।

আর বিল গেটস তো আর কাগু না, তিনি তো আপনাকে পাইরেটেড উইন্ডোজ ব্যবহারের দায়ে লাঠি হাতে তেড়ে আসেননি।

অযথা বিতর্কিত ব্যাপারটা না ঢুকালে লেখাটা আরও গ্রহনযোগ্যতা পেতো।

তবুও ধন্যবাদ।

নাশতারান এর ছবি

বিল গেটসের সাথে কোন ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই আমার। পোস্টের বক্তব্য মূলত পেকা হিমানেনের। বইটা পড়ার পর গেটসের আগে কাগুর কথাই মনে পড়েছিল এটা সত্যি। কিন্তু সফ্টওয়্যার বিক্রি করা পাপ এমনটা তো বলিনি। এ নিয়ে আগের কিছু মন্তব্যে লিখেছিও। তারপরেও লেখাটি যদি আপনাকে আহত করে থাকে, সেটা আমার ভাবপ্রকাশের ব্যর্থতা। তবে গ্রহণযোগ্যতা পাবার আশায় বিতর্কিত প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শটা নিতে পারলাম না। "গ্রহণযোগ্যতা"র কথা কেন উঠলো সেটাই বুঝি নি। সবার যে সবকিছু ভালো লাগতে হবে এমন তো নয়।
তবু আপনি কষ্ট করে পড়েছেন এবং আপনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সেজন্য ধন্যবাদ। আপনার পরিচয় জানলে ভালো লাগত।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

স্পর্শ এর ছবি

বাহ! চমতকার একটা লেখা। মনটাই ভালো হয়ে গেল পড়ে। চলুক
এরকম আরো আসুক।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, স্পর্শ!

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অভ্রনীল এর ছবি

দারুণ লেখা! চমৎকার...

তার মধ্যে প্রধান ছিল গেনু

ছোট্ট একটা সংশোধনী, শব্দটার সঠিক উচ্চারণ হবে 'গ্নু'...
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::

নাশতারান এর ছবি

ঠিক এটাই খুঁজছিলাম। উইকিতে উচ্চারণ /ˈɡnuː/ দেখে গ-এর উচ্চারণ ক্ষীণ হবে আঁচ করেছিলাম। কিন্তু সেটা কীভাবে লিখবো মাথায় আসছিল না কিছুতেই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অভ্রনীল এর ছবি

একইভাবে GNOME এর উচ্চারণ হবে গ্নোম (অনেকে গানোম, গনোম বা জিনোম বলে; যার সবগুলোই ভুল!)। মজার কথা হচ্ছে অনেকে "লিনাক্স"কে "লাইনাক্স" বলে যেটাও কিনা ভুল উচ্চারণ, খোদ লিনুস টরভাল্ডস (ফিনিশ ভাষায় linus এর উচ্চারণ "লিনুস") নিজেই বলেছেন LINUX এর উচ্চারণ সবসময়ই "লিনাক্স"।

গেটিসঃ
চামে দিয়ে নিজের একটা বস্তাপচা লেখা চালায়া দেই। কেউ যদি লিনাক্সের বিহাইন্ড-দ্যা-সিন্স কাহিনী জানতে চান এইটা পড়তে পারেন! দেঁতো হাসি
_______________
::: উবুন্টু ও মিন্টকে ছড়িয়ে দিন সবার মাঝে! :::

আনিস মাহমুদ এর ছবি

খুব ভালো লেখা, অভ্রনীল। পড়তে আর পড়ে খুব আনন্দ পেলাম।

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

নাশতারান এর ছবি

পড়লা্ম। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ, অভ্রনীল।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রানা মেহের এর ছবি

লেখা অনেক ভালো লেগেছে বুনো।
বিশেষ করে প্রথম অংশ পড়ে খুব মজা পেয়েছি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নাশতারান এর ছবি

যাক। আমি কি না ভাবছিলাম এমন কাঠখোট্টা লেখা কারুর ভালো লাগবে না। খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাহিন হায়দার এর ছবি

চলুক চলুক চলুক
________________________________
তবু ধুলোর সাথে মিশে যাওয়া মানা

নাশতারান এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নূপুরের ছন্দ এর ছবি

লেখার জন্যে ধন্যবাদ বুনো।এই লেখার শুরুটা যেখানে চলো আরেকবার গিয়ে সেলিব্রেট করে আসি।:P

নাশতারান এর ছবি

আনিস ভাই আমাকে ছুপ-লুডুস-কুক খাওয়াবেন বলেছেন। তোমরাও লাইনে দাঁড়াও।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

guest_writer এর ছবি

ভাই, আপনার লেখা অংশটুকু পেকা হিমানেনের উদ্ধৃতির চাইতে ভালো। না, তেল মারছি না। আপনার তথ্যবহুল যুক্তিপূর্ন লেখার সাথে উদ্ধৃতিটা মানানসই না। ওটি একটি উচ্চমার্গের ভাবমুলক কৌতুকমাত্র, তবে বক্ত্যবের মধ্যে সারবস্তু কম।

আমি নতুন, সরাসরি নিজ নামে পোস্ট করার অধিকার নেই মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

সচলায়তনে নিবন্ধন করে guest_writer নামে, guest পাসওয়ার্ডে লগইন করে মন্তব্য করুন। মন্তব্যের শেষে নিজের নাম/নিক লিখে দিন। নিবন্ধিত না হয়েও মন্তব্যে পরিচয় জানাতে পারেন (সেটা আপনার নিজের নাম না হয়ে নিকও হতে পারে)। বেনামি মন্তব্যের উত্তর দিতে গেলে মনে হয় বাতাসের সাথে কথা বলছি। সেজন্যই বলা।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

guest_writer এর ছবি

ভালো বুদ্ধি তো হাসি

আমি "সহজিয়া মানুষ" নামে একাউন্ট খুলেছি। আশা করি শিঘ্রই সরাসরি লেখার অনুমতি পাবো।

আপনি কিন্তু ২য় কিস্তি ছাড়ুন তাড়াতাড়ি.....

নাশতারান এর ছবি

ধন্যবাদ, সহজিয়া মানুষ। সরাসরি লেখা বলতে কি যদি নিজ নামে লেখা বুঝিয়েছেন? এটা পড়ে দেখুন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

এবারের পোস্টটা আমার মাথার উপর দিয়ে গেছে মনে হচ্ছে! কঠিন ডিজিটাল লেখা!!

যাই হোক, হ্যাকার নাম শুনলেই ভয় লাগে! ফেসবুকে পোকার খেলতে গিয়া এক হ্যাকারের বাচ্চা আমার ১০০ মিলিয়ন চিপস পুরা হাপ্যিস করে দিল!! এইটা কোন কথা হইল??
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নাশতারান এর ছবি

সে হ্যাকার না, ক্র্যাকার। এটাই বোঝাতে চেয়েছিলাম। চেষ্টাটা বোধহয় মাঠে মারা গেলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

একজন-দুজন না বুঝলে সমস্যা নাই!
চেষ্টা মাঠে মারা যাবার প্রশ্নই আসে না! এই তো আমি এখন যেমন বুঝে গেছি কে হ্যাকার আর কে ক্র্যাকার! চোখ টিপি
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

লেনিন [অতিথি] এর ছবি

অত‍্যন্ত সুলিখিত বুকমার্ক করে রাখলাম পরে পড়ার জন‍্য।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

লেখাটা আগে পড়া হয়েছিল না। ভাল হয়েছে। ক্র্যাকারদেরকে নিয়ে আরেকটু লিখলে পারতে। হয়ত পার্থক্যটুকু আরো ভালমত পরিষ্কার হত। সত্যি বলব, আমার কাছে সামান্য একঘেঁয়ে লেগেছে কিন্তু খুব ইনফরমেটিভ যারা এ বিষয়গুলি জানেন না তাদের জন্যে। চালিয়ে যাও। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

চলাচলি নাই আর। আমার ইশটক এটুকুই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

গৌতম এর ছবি

এই লেখা আমাদের মতো সিনিয়র প্রোগ্রামারদের জন্য না। সব মাথার উপ্রে দিয়া গেল চোখ টিপি

হ্যাকার হইতে মঞ্চায়

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নাশতারান এর ছবি

হো হো হো
আমারো দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।