‘আ ম্যাজিকাল জার্নি’ (৫)

দিহান এর ছবি
লিখেছেন দিহান [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ০৯/০৮/২০১১ - ৯:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি অন্তঃস্বত্তা এটা কাউকে জানানোর পর দুটো প্রশ্ন শুনতে হতো অবধারিতভাবে।

এক- ছেলে নাকি মেয়ে জানো? ছেলে চাও না মেয়ে চাও? আমার উত্তর ছিলো ‘আমার কাছে ছেলে মেয়ে সব সমান। ছেলেও যদি হয় মেয়ের মতো আদর যত্ন দিয়েই বড় করবো’!

দুই- সিজারিয়ান করাবে নাকি নরম্যাল ডেলিভারি?

দুই নম্বর প্রশ্নটা এমন স্বাভাবিক হয়েছে গত এক দশকে। (প্রথম আলো এবিষয়ে একটা রিপোর্ট করেছিলো) নরম্যাল ডেলিভারির কথা শোনাই যায়না। এমনকি গ্রাম গঞ্জে পর্যন্ত সি-সেকশন ডেলিভারি ডালভাত হয়ে গেছে।

ছোটবেলা একটা গল্প পড়েছিলাম। সমুদ্র না দেখা এক মেয়ে বাবাকে জিজ্ঞেস করে বাবা সমুদ্র আমাদের গ্রামের নদীর চেয়ে কতোগুন বড়? বাবাটা হেসেছিল। প্রথম ট্রাইমস্টারে কাবু হয়ে আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম লেবার পেইন এখনকার কষ্টের চেয়ে কতোগুন বেশি। আমার মাও গল্পের বাবার মতো হাসলো...

আমার জেনারেশনের মা হওয়া আপুদের সাথে কথা বললাম। তাদের সবার সিজারিয়ান ডেলিভারি। অনেকের লেবার পেইনের অভিজ্ঞতাই নেই! আমিও সিদ্ধান্ত নিলাম ৩৭/৩৮ সপ্তাহ ক্যারি করার পর সুন্দর দিনক্ষন দেখে পেট কেটে বাচ্চা বের করে নিয়ে আসবো। স্বাভাবিক প্রসব তো একটা অমানুষিক ব্যাপার। বাচ্চাগুলোর ঠিক আছে! সময় অসময় বোঝে? মাঝরাতে অলক্ষুনে কোনো সময়ে বের হয়ে যেতে চাইবে! (ঈশ্বর তখন মুচকি হাসলেন! সে গল্প সবার শেষে...)

আমার এই সিদ্ধান্তে বাদ সাধলো মা। সে বললো ‘এই কবছর আগেও আমাকে তোমাদের বড় বোন মনে করতো তোমাদের বন্ধুরা। আমার মোটা ভুড়ি নেই, আমি এখনো সংসারের সবকাজ নিজের হাতে করি। সব সম্ভব হয়েছে স্বাভাবিকভাবে তোমাদের জন্ম দেবার জন্য’। মা মা বলে আমরা আহা উহু করি ঠিকই কিন্তু মা কিছু বললে প্রথমে উড়িয়ে দেই প্রায় সবাই। আমিও দিলাম, তুমি আগের দিনের মানুষ...

কিন্তু ‘সারা’ যখন বললো ‘How stupid you are! That’s strange, very strange’ আমি আবার ভাবতে বসলাম। সারা আমার ব্রিটিশ বন্ধু, সে একজন ক্লিনিক্যাল সায়েন্টিস্ট। সে আমাকে জানালো যখন স্বাভাবিক প্রসব মা এবং সন্তান কেউ একজনের জন্য বিপদজনক, তাদের স্বাস্থ্য বা জীবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ন শুধুমাত্র তখন সি-সেকশন ডেলিভারি করতে হয়। অনেকে এখন ইচ্ছাকৃত করছে কিন্তু এটা কোনো ভালো ব্যাপার না। সিজারিয়ান একটা মেজর সার্জারী, নরম্যাল ডেলিভারির চেয়ে এখানে রিস্ক ফ্যাক্টর অনেক বেশি। ইনফেকশন, অতিরিক্ত রক্তপাত, রক্ত জমাট বেধে থাকা, এ্যনেস্থেশিয়ার প্রভাব কেটে গেলে ভয়াবহ ব্যাথা, হাসপাতালে বেশিদিন থাকা, সম্পুর্ন সুস্থ হতে বেশি সময় লাগা সেধে সেধে তুমি এইগুলো নিতে চাও? তারচে তুমি হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলো, সময়ে বোঝা যাবে। যদি দরকার হয় অবশ্যই সিজারিয়ান করাতে হবে... ‘সারা’ বললো ‘you do your job’.

আমার ‘জব’ মানে শরীরকে অ্যাক্টিভ রাখা। নেট ঘেঁটে ‘kegel exercise’ সম্পর্কে জেনে নিলাম আর প্র্যাকটিস করা শুরু করলাম। ‘kegel exercise’ পেলভিক মাসলকে শক্তিশালী করে ফলে নরম্যাল ডেলিভারি সহজ হয়ে যায়। প্রতিদিন রাতের খাবার শেষে আধাঘন্টা হাঁটতাম। আমাকে সংগ দিতে আমার বর ও হাঁটতো। আমরা গান গাইতাম। বাচ্চার নাম নিয়ে আলোচনা করতাম। ছাত্রজীবনে ভাবতাম অনেকগুলো বাচ্চা নিতে হবে শুধু সুন্দর সব নাম রাখার জন্যই! অন্তঃস্বত্তা হওয়ার পরে কোনো নামকে যুতসই মনে হয়না! সে এক অপার্থিব আনন্দময় সময়। আমি সব নাম বাচ্চার কাছে অ্যাপ্রুভ করার জন্য পেটে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করতাম ‘ছোট্টসোনা তুংকা ভালো নাকি অর্ঘ্য নাকি নিলাদ্রি?’ বলতে গর্ব বোধ করছি যে আমি ক্যারি করার সময় আমার চারপাশের অনেক তরুনীর মাতৃত্বের জন্য আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিলো। অনেক তরুণ বলেছিলো আমিও ভাইয়ার মতো এমন কেয়ারিং আর রেস্পনসিবল হবো।

শরীর যতো ভারী হয় হাঁটা ততো কষ্টকর হয়ে যায়। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হতো। পেটের চামড়ায় টান পড়তে শুরু হলো ছয়মাস থেকে। অয়েল ম্যাসাজ খুব কাজের জিনিস এই সময়। ম্যাসাজের সময় হাত চক্রাকারে ঘোরালে বাচ্চা সুড়সুড়ি অনুভব করে আর এদিক ওদিক সাঁতরে বেড়ায়। এটা এক মজার খেলা। নিয়মিত ম্যাসাজ করলে চামড়ার স্থিতিস্থাপকতা বেড়ে যায়, স্ট্রেচমার্কস অনেক কম হয়।

বাচ্চা ডেলিভারির কথা ভাবলে মৃত্যুভয় আসতো আমার। বাংলাদেশে প্রসুতি মৃত্যুর হার হাজারে চারজন। পরিসংখ্যান হিসাবে এটা খুব একটা নাড়া দেয়না। কিন্তু আমি উল্টাদিক থেকে চিন্তা করতে শুরু করলাম; মাত্র একহাজার মেয়ের মধ্যে চার চারজন মরে যায়! সেই চারজনের একজন তো আমিও হতে পারি...মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বোধ করতাম। কাউন্সেলিং এর জন্য আমার বর তার বড়বোনের উপর নির্ভর করল। উনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,নিজে দুবার মা হয়েছেন। কাউন্সেলর হিসাবে খুবই নির্ভরযোগ্য সন্দেহ নেই। জাপান থেকে ফোন করে আপা আমাকে বললেন ‘তুমি একটু ও চিন্তা করোনা। তুমি মরে গেলে বাচ্চা তোমার মা’র কাছে দিয়ে দিবো। মা’র পরে নানীর কাছেই বাচ্চারা ভালো থাকে, সবচে আদরে থাকে। আর তোমার জামাইকে বিয়ে করিয়ে দেবো। ব্যাস ওদের দুজন নিয়ে তোমার কোনো দুঃশ্চিন্তা থাকলো না’! কী নিদারুণ কাউন্সেলিং! মজার ব্যাপার হচ্ছে আমার মৃত্যুচিন্তা এরপর কমে এসেছিলো। (নতুন বিয়ে করে স্বামী সুখে থাকবে ভাবলে মৃত্যুচিন্তা পর্যন্ত পালায়!)

ছয়মাস থেকে বাচ্চার মুভমেন্ট মনিটর করতে বললেন ডাক্তার। প্রতি আধাঘন্টায় অন্ততঃ একবার নড়ছে কিনা এটা খেয়াল রাখতে হতো। মনিটর করতে গিয়ে দেখলাম সে কখনো ডিগবাজি দিচ্ছে, কখনো একপাশে গিয়ে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকছে, কখনো উপরে উঠে পাকস্থলীতে ধাক্কা দিচ্ছে, কখনো বেশি নীচে চলে যাচ্ছে,কখনো জোরসে লাথে দিচ্ছে...এক কান্ড আরকি!

একদিন অফিসে কাস্টমারের সাথে ঝগড়া করছি। (কাস্টমার সার্ভিসের অপরিহার্য অঙ্গ হচ্ছে ঝগড়া!) কাস্টমারের দাবী আমার এক জুনিয়রের ভুলের জন্য উনার কাজটা হয়নি। আমি দেখলাম ভুলটা উনি নিজেই করেছিলেন। উনি বললেন তাহলে আপনার অফিসার এটা খেয়াল করেনি কেনো। আমার ভুলটা সে ধরিয়ে দিলেই তো হতো। আপনারা এখানে বসে আছেন কি করতে? অবশ্যম্ভাবি উপসংহার! এই কথাটা শুনলে মেজাজ খারাপ হয় আমার। বললাম ব্যাপারটা ওর চোখে পড়লে, ভুল শুধরে দিলে ভালো হতো কিন্তু ও খেয়াল করেনি দেখে আপনি তাকে দায়ী করতে পারেন না। এমন সময় বাচ্চা পেটের ভিতর জোরে একটা কিক দিলো আমি আহ করে উঠলাম।

কাস্টমার বললেন ম্যাডাম কী হলো?
-বাচ্চা কিক দিলো ভাই।
-দেখলেন তো আপনার বাচ্চাও প্রতিবাদ করেছে। ভুলটা আপনার অফিসারের!

এমন প্রত্যুতপন্নমতি কাস্টমার খুব একটা পাওয়া যায়না। আমি হো হো করে হেসে দিলাম। উনিও হেসে দিলেন।

আমার সোনামনি একটা কিক দিয়ে কী সুন্দর কনফ্লিক্ট রেজোলিউশন করে দিলো!

এই সিরিজের অন্য লেখাগুলো এখানে

http://www.sachalayatan.com/guest_writer/40379
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/40300
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/40249
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/40172


মন্তব্য

সাত্যকি. এর ছবি

ওরে!
সিরিজটা শুরুর সময় ভেবেছিলাম, আরে, এক জিনিস নিয়ে কত আর বকবকানি করা যায়!
আপনি পারেনও আপু।

রু (অতিথি) এর ছবি

হাচলত্বের অভিনন্দন!!

সকাল থেকে মন খুব খারাপ ছিল। সচলে ঢুকেই আপনার লেখা দেখে মন ভালো হয়ে গেলো। লেখা পড়ে এখন ল্যাবে বসে হাসছি। প্রথম থেকেই ভালো লিখতেন, কিন্তু দিন দিন আরও বেশি সাবলীল হয়ে উঠছে।

মন_মাঝি এর ছবি

যেসব পেশায় কনফ্লিক্ট রিজলিউশন বা নেগোসিয়েশনে উচ্চমানের এক্সপার্টিজ দরকার হয়, আপনার বাচ্চা মনে হয় বড় হয়ে সেসব লাইনে খুব শাইন করবে। মর্নিং শোজ দ্য ডে। ও অবশ্য ভোর থাকতেই শুরু করে দিয়েছে। হাসি

তানিম এহসান এর ছবি

প্রশংসা আার না করি, মনোমুগ্ধকর লেখা পড়েই যাচ্ছি ক্রমাগত। আপনি সময় হিসেবে ধরে ধরে আপনার ম্যাজিকাল জার্নির কথা বলছেন, যাদের এখনো এ জার্নি হয়নি তাদের জন্য আরও একটু বুদ্ধি পরামর্শ দিননা আপা! আর আমাদের যাদের এখনো রেসপনসিবল হতে বাকী, তারাও এই ফাকে কিভাবে আরো রেসপনসিবল হওয়া যাবে সেটা শিখে নেই হাসি

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আসলেই ম্যাজিকাল জার্নি..............

এ পর্বে অনেক তথ্য পেলাম। চমৎকার লিখছেন আপু................ চলুক

অটঃ "নতুন বিয়ে করে স্বামী সুখে থাকবে ভাবলে মৃত্যুচিন্তা পর্যন্ত পালায়!" হো হো হো


_____________________
Give Her Freedom!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আহারে আমি লগ-ইন করতে করতেই এতগুলো মন্তব্য হয়ে গেছে! ফার্স্ট হতে পারলাম না! মন খারাপ

খুবই মজা লাগলো পড়ে! হাচলত্বের অভিনন্দন আপু। নরমাল ডেলিভারি খুবই ভালো জিনিস। বাইরে কখনোই সি-সেকশন করে না সহজে। আমরা আবার ফরসেপ ডেলিভারিতে হয়েছি, এইটা নাকি খুবই খারাপ, এবং ডেলিভারিতে অনেক অনেক ক্রিটিকাল অবস্থা সৃষ্টি না হলে একদমই করে না। আমার সময়ে ঠিক আছে, তখন হয়তো সি-সেকশন করার ভালো উপায় বা সেই মুহূর্তে পর্যাপ্ত সময়-সুযোগ ছিল না আমাদের ছোট শহরে, কিন্তু আমার অনেক পরে জন্মানো ছোট ভাইয়ের বেলাতেও সরকারি হাসপাতালে এটা করায় আমার নিজেরই এখন খুব রাগ লাগে। আমার ভাই খুব অসুস্থ ছিল জন্মের পরে, তার মাথার নানান জায়গায় কাটাকুটি ছিল। আর আম্মু খুব বেশি ভুগেছে সে সময়ে। এখন তার হাড়জিরে রুগ্ন শরীর কিন্তু স্বতস্ফূর্ত হাসিওয়ালা ছবিগুলো দেখলে মনে হয় আমরা তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি... অবশ্য এখনো দিয়ে যাচ্ছি... আম্মু বলে জন্মের সময়েই টের পাইয়ে দিয়েছিলাম যে সারা জীবন জ্বালাবো আমরা... খাইছে

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

তাসনীম এর ছবি

চমৎকার। আপনার ঝরঝরে লেখনি নতুন "উড বি" মায়েদের সহায়তা করবে।

প্রেগনেন্সিটা একজন মেয়ের জীবনের সবচেয়ে বড় ঘটনা। মার্কিন দেশে থাকার কারণে স্ত্রীর সাথে সাথে এই পুরো জার্নিটায় থাকতে হয়েছে -একদম লেবার রুম অবদি। আসলেই বিস্ময়কর যাত্রা। বাংলাদেশে বাবাদের এই প্রক্রিয়াতে আরও অংশগ্রহন করা উচিত। মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী পরিবর্তনে এটা সহায়ক হতে পারে।

এই সহযাত্রায় আমার নিজের অভিজ্ঞতা আমি বর্ণনা করেছি শিশুপালনের এই পর্বে

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে এই পর্বটা! খুব খুব ভালো! হাসি পড়তে পড়তে হেসে ফেললাম! আপনার রাজকন্যাদের জন্য দুনিয়ার সকল ভালোবাসা! হাসি আমি আমার বাচ্চাদের ডাকনাম এখনই ঠিক করে রেখেছি! দেঁতো হাসি ভালোনাম যা হয় হোক, ডাক নাম এইগুলোই হবে! দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নীরব পাঠক এর ছবি

হাততালি + হো হো হো

দিগন্ত বাহার () এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

এই সিরিজ এ comment করার জন্য বাংলা টাইপ করা শিখলাম। সচলায়তন পরি ২০০৬ থেকে যদিও। লেখার style আর বর্ণনা খুবই ভাল হাসি । ১-৪ পর্যন্ত পোস্ট গুলাতে generalization ছিল কিছু কিছু ক্ষেত্রে। কিন্তু ৫ম পোস্ট একজন নতুন মা এর নিজের অনুভুতির প্রকাশ...খুব ভাল লেখা হাসি । কজন reader শিখতে চেয়েছেন কিভাবে এই সময় ideal husband হবেন বা মেয়েরা এই সময় কি করবেন। আমার experience বলে যদি বাবা বা মা হবার আকুতি প্রবল হয়, তা হলে নিজেই নিজের to do জেনে জাবেন সময় এর সাথে সাথে। এই সময় সবার জন্য unique...যদি এই সময় এর general information জানতে বা জানাতে চান, তা হলে informative লেখা source সহ পোস্ট দেয়া ভাল। তাহলে শেখা যাবে। কিন্তু নিজের অসাধারন আনন্দের magical journey তে information আশা করলে magic কমে যাবে বলেই আমার মনে হয়। আমার comment বেশ লম্বা হয়ে গেল মনে হয়। অনেক বানান ভুল আছে মন খারাপ । প্রথম টাইপ হিসেবে ক্ষমা করবেন। বাবুর জন্য আদর আর আপনার জন্য শুভেচ্চা।
off topic- লেখকদেরকে খুবই jealous করি। মন খারাপ

নিঘাত তিথি এর ছবি

দিহান, কি যে ভালো লাগছে আপনার এই পোস্ট পড়তে, বুঝাতে পারবো না। হ্যাটস অফ টু ইউ।

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

চলুক

The Reader এর ছবি

আপুউউউউউউউউউউউউউ হাচলত্তের অভিনন্দন । লেখা কেমন হচ্ছে তাতো সবাই বলেই দিয়েছেন । কেবল বলি , আমি পড়ে যাচ্ছি। হাসি গুরু গুরু হাততালি

বন্দনা কবীর এর ছবি

ঠোঁটে একটা মৃদু আনন্দের হাসি ঝুলিয়ে পড়তে পড়তে

"নতুন বিয়ে করে স্বামী সুখে থাকবে ভাবলে মৃত্যুচিন্তা পর্যন্ত পালায়!" এইখানে এসে হো হো করে হেসে দিলাম।
আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভকামনা।

pathok এর ছবি

খুব ভাল লিখা আবারও... ধন্যবাদ, একটি অনুরোধ সিরিজের আগের অংশ গুলোর লিঙ্ক রাখা যায় এই পোষ্ট এ বা তা আগে পরের পোস্টে?

তিথীডোর এর ছবি

হাচলত্বের অভিনন্দন! হাততালি

নতুন বিয়ে করে স্বামী সুখে থাকবে ভাবলে মৃত্যুচিন্তা পর্যন্ত পালায়!

হো হো হো
লেখায় উত্তম জাঝা!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ঝুমন এর ছবি

আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা। আপনি এবং আপানার বাবুটা যেন সুস্থ থাকে স্রস্টার কাছে এই প্রার্থনা।

মিলু এর ছবি

দিহান আপু, মন্তব্য করি বা না করি, আপনার এই সিরিজের প্রতিটা লেখা আসামাত্রই জাস্ট গিলতে বসে যাই। তবে এই পর্বটা এতই অসামান্য হয়েছে যে ঢেঁকুর তোলা থামাতেই পারছি না। গুরু গুরু

স্পর্শ এর ছবি

এই সিরিজটা মুগ্ধ হয়ে পড়ছি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

সাফি এর ছবি

মন দিয়ে পড়ছি এবং স্ত্রীকেও পড়াচ্ছি। আপনার দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য জিজ্ঞাস্য থেকে নিচের অংশ তুলে দিলাম -

অতিথি হিসেবে প্রকাশিত লেখাগুলি আমার ব্লগে আনব কীভাবে?
অতিথি হিসেবে হয়ত আপনাকে বেশ কিছুদিন ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে সচলায়তনে আসতে হয়েছে। সেজন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ব্যাপারে আপনার ধৈর্য্যের প্রশংসা করছি এবং অভিনন্দন জানাচ্ছি। এখন প্রশ্ন হল, সচল হবার আগে অতিথি হিসেবে প্রকাশিত আপনার লেখা এবং মন্তব্যের কী হবে?

লেখাগুলি অবশ্যই আপনার ব্লগে নিয়ে আসা সম্ভব। কিন্তু সেখানে আপনার কাছে থেকে কিছু তথ্য দরকার। প্রথমতঃ অতিথি লেখকের ব্লগে গিয়ে আপনাকে আপনার প্রকাশিত লেখাগুলির লিংক জোগাড় করতে হবে। তারপর এই লিংকগুলি সহ আপনার ব্লগের লিংক আমাদের জানাতে হবে। নীচের উদাহরন দেখুন।

অতিথি হিসেবে আমার প্রকাশিত লেখা
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/12002
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/12019
... (এভাবে আপনার আরও যতগুলো লেখা আছে)
সচল হবার পর আমার বর্তমান ব্লগ
http://www.sachalayatan.com/mahbub
এভাবে তথ্যগুলি দিলে আমরা আপনার ব্লগ পোস্টগুলি সরানোর কাজ শুরু করতে পারি। তবে মনে রাখবেন: এই কাজটা করতে হয় সরাসরি ডাটাবেইজের ভিতরে গিয়ে। তাই কাজটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সময়সাপেক্ষ। আপনাকে অনুরোধ করব সময় নিয়ে অপেক্ষা করে এবং সময়মত আমাদের মনে করিয়ে দেবার জন্য।

সচলায়তনে আপনার সময় সুন্দর কাটুক।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপনার লেখনির গুণে বেশি ভালো লাগছে। চলুক

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

আজ এক বসায়, সিরিজের এ পর্যন্ত সবকটা পড়লাম। সাবলীল লেখা, আর টপিকটাও মনে হল অভিনব।

guest_writer এর ছবি

বাবা হয়েছি ২২ বছর আগে। আপনার জার্নির সহযাত্রী হয়ে ঝাপসা হয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো আবার উজ্জ্বল হয়ে ভেসে উঠছে। ঠিক আপনার স্বামীর মতই স্ত্রীকে সঙ্গ দিয়েছি। পরিবারের মুরুব্বী এবং ডাক্তার এর পরামর্শমত স্ত্রীকে দৈনন্দিন কাজগুলো করতে উজ্জিবিত করাই ছিল একটি বিশেষ কাজ। প্রাত্যহিক কাজগুলো করে যেতে হবে। অলসতা বর্জনিয় কারন এটা ক্ষতিকর। আর পারতপক্ষে সিজারিয়ান করা থেকে বিরত থাকবেন। স্বাভাবিক ডেলিভারি সত্যিকার অর্থেই সন্তান ও মায়ের ভবিষ্যৎ এর জন্য মঙ্গলজনক। আমার স্ত্রীর লেবার পেইন শুরু হবার পর সেটা দীর্ঘক্ষন যাবৎ প্রবল হচ্ছিলনা। তখন ডাক্তার তাকে সিজারিয়ান করতে বলেছিলা ।আমার স্ত্রী তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলেছিল এবং সে প্রচন্ড কষ্ট স্বীকার করেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। এটা লিখলাম আপনাকে উৎসাহিত করবার জন্যে। সবশেষে জানাই লেখাটা খুব ভাল লাগছে। আপনার ও আপনার অনাগত সন্তানের সেই সাথে আপনার পরিবারেরও মঙ্গল কামনা করছি। মন্তব্য : প্রৌঢ়ভাবনা

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চমৎকার সিরিজ। আজকেই সবগুলো পড়লাম। চলতে থাকুক!

যেহেতু হাচল গিয়েছেন, লেখা এডিট করতে পারবেন। একটু কষ্ট করে এই লেখাটায় এবং আগেরগুলোতেও আপনার আগের লেখাগুলোর লিঙ্ক দিয়ে দেবেন। আর ট্যাগে "আ ম্যাজিক্যাল জার্নি" দিলেও বোধহয় আরও ভালো হয় - একবারে খুঁজে পাওয়া যাবে।

তাসনীম এর ছবি

সবগুলো লেখা এই ট্যাগে পাবে। অন্তঃস্বত্তা ক্যাটেগরি শুধু ওনার লেখাগুলোই আছে।

http://www.sachalayatan.com/%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A1/%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%83%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BE

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

তারেক অণু এর ছবি
তারাপ কোয়াস এর ছবি

চলুক


love the life you live. live the life you love.

ফাহিম হাসান এর ছবি

দুর্দান্ত। আপনার হাতের গুণে সহজ গল্পও অসাধারণ লেগেছে।

guest_writer এর ছবি

সকালে ঘুম থেকে উঠে পেপার নিয়ে বসলে মনটাই খারাপ হয়ে যায় । শুধু খারাপ খবর । আজ প্রথমেই আপনার লেখা পড়লাম খুব সুন্দর লেখা আর মনটা ভালো বোধ হয়েই শুরু হল দিন...
nawarid nur saba

কৌস্তুভ এর ছবি

পড়ছি। ভালো লাগছে। চলুক সিরিজ।

আশালতা এর ছবি

আমাদের এক টিচার বলতেন মেয়েদের গল্প হল উলের বস্তার মত, একটু টান দিলেই ভুরভুর করে বেরোতে থাকে। আপনার পোস্ট পড়ে কেবলি সেই কথা মনে পড়ে যায়। কারন আমারও একগাদা গল্প 'সোডার মত ভসভসিয়ে' বেরোতে চায়। নেহাত কপিরাইটের ভয়ে চুপ থাকি। লেখা ভালো লাগছে। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

দিহান এর ছবি

আমি কেমন অভাগা এতো চমৎকার সব মন্তব্যের সাথে সাথে উত্তর দিতে পারছিনা! সাত্যকি, এই জিনিস নিয়ে একজীবন বকবক করা যায়। কেনো আপনার মা বলেন না 'তুই পেটে থাকতেই আমাকে জ্বালিয়েছিস'!
রু, মন_মাঝি, তানিম এহসান,মৃত্যুময় ঈষৎ ধন্যবাদ।
যাযাবর ব্যাকপ্যাকার, আপনার মা'র জন্য মায়া লাগছে।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

দিহান এর ছবি

তাসনীম, আপনি আমার অনেক প্রিয় লেখক। সব লেখাই পড়েছি। আমি কিছুটা নিভৃতচারী, তিন বছর ধরে নিয়মিত সচল পড়ি কিন্তু কোনো ভালোলাগা জানানো হয়নি... স্মৃতির শহর ডাউনলোড করা আছে আমার ল্যাপটপে, আপনার আনুশা-সামারা কে আমি চিনি!
আমার ও মনে হয় বিস্ময়কর এই যাত্রায় ছেলেরা আরো অংশগ্রহন করলে মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে। আর ছেলেরা শুধু হাজব্যান্ড হলেই অংশ নেবে তা না; বোন, বন্ধু, পরিবারের কেউ অন্তঃস্বত্তা হলেও সহযোগী হওয়া যায় নিশ্চয়ই।
ধন্যবাদ আপনাকে।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

তাসনীম এর ছবি

বাহ...কন্যারা বেশ বিখ্যাত হয়ে গেছে দেখছি হাসি

আমার ও মনে হয় বিস্ময়কর এই যাত্রায় ছেলেরা আরো অংশগ্রহন করলে মেয়েদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যাবে। আর ছেলেরা শুধু হাজব্যান্ড হলেই অংশ নেবে তা না; বোন, বন্ধু, পরিবারের কেউ অন্তঃস্বত্তা হলেও সহযোগী হওয়া যায় নিশ্চয়ই।

সহমত।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

দিহান এর ছবি

দুষ্টবালিকা, কতো নাম লাগবে তোমার? প্রেগন্যান্ট হলেই আমাকে জানিও, নাম দিয়ে ভাসিয়ে দেবো!
দিগন্ত বাহার, পাঠক, নিঘাত তিথি, এস এম মাহবুব মুর্শেদ অশেষ ধন্যবাদ।
The Reader, pathok, বন্দনা কবীর,তিথীডোর সাথে থাকলে ভরসা পাই...
ঝুমন, মিলু,স্পর্শ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মন্তব্য দেখি রিফ্রেশ করবার সাথে সাথেই ভসভসিয়ে আবার পোস্ট হয়ে গেলো! দেঁতো হাসি

বাচ্চাদের জন্য আমার ডাক নাম ঠিক করা আছে। ছেলের আর মেয়ের! একডজনের মতো। আমার একগাদা বাচ্চাকাচ্চা অ্যাডপ্ট করার ইচ্ছা। পারলে দুনির কোনও বাচ্চাকেই দুঃখে থাকতে দিতাম না! ক্ষ্যামতা নাই দেখে দত্তক নেবার ইচ্ছা পোষন করি।

আমার অফিসের আপুটাকে আপনার লেখার লিঙ্ক দিয়েছি! হাসি এই রবিবারে জিজ্ঞেস করবো কেমন লাগলো! হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দিহান এর ছবি

সাফি, আমি অনুরোধ পাঠিয়েছি। ধন্যবাদ।
অনার্য সঙ্গীত, আমার লেখনি? আরে আমার মেয়েরা বড় হলে আপনার লেখা পড়িয়ে সায়েন্সের প্রতি আগ্রহ জাগানোর প্ল্যান করেছি আমি।
ধৈবত, ধন্যবাদ।
guest_writer পৌঢ়ভাবনা, আপনার সময়ে আপনার ভুমিকার জন্য বাড়তি ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার জার্নি ও শেষ, দোয়া করবেন আমাদের জন্য।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

অর্ক রায় চৌধুরী এর ছবি

"মেয়েদের গল্প হল উলের বস্তার মত, একটু টান দিলেই ভুরভুর করে বেরোতে থাকে" বেড়ে বলেছেন আপু।
হো হো হো

দিহান এর ছবি

যুধিষ্টির, ধন্যবাদ। আমি লিঙ্ক দিয়ে দেবো।
তারক অণু, লিখতে লিখতে কমেন্ট করার সময় পাওয়া যাচ্ছে?
তারাপ কোয়াস, ফাহিম হাসান ধন্যবাদ।
সাবা, আপনার কমেন্ট পড়ে আমার ও মন ভালো হয়ে গেলো...
কৌস্তুভ, অনেক ধন্যবাদ। আপনি আগাগোড়া সাথে আছেন...
আশালতা, একদম ঠিক। আপনার গল্প লিখুন। আমার বাবা বলে 'বলতে জানলে কোনো গল্প পুরোনো হয়না'।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

ফাহিম হাসান এর ছবি

শুধু কৌস্তুভ নয়, অনেকেই আগাগোড়া আছেন। সবাই দেখি খালি কৌস্তুভ আর কৌস্তুভ রেগে টং

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কথা সইত্য! :|

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

জয়ন্তী এর ছবি

আপু এই দুটো প্রশ্ন আমি ও শুনেছি। সবাই শুধু জিজ্ঞেস করে। লেবার পেইন নিয়ে একটু ভয় এ আছি।
তোমার লেখা পড়ে মনটা হাল্কা লাগে। গুরু গুরু

shabdik এর ছবি

প্রতি টা লেখা আগের চেয়ে আরও ভাল ও mature হচ্ছে।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

এখনকার মেয়েরা কোন কারন ছাড়াই কেবলমাত্র ভীতি থেকে সিজার করায় অথচ এর পরবর্তী প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে কোন ধারনাই রাখেনা। এটা জনপ্রিয় করার জন্য কিছু বানিজ্যিক হাসপাতাল আর ডাক্তারদের মটিভেশনই দায়ি। কোন কোন মেয়ে স্বভাবিক ডেলিভারীর কথা ভালেও এদের কারনে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয়। আর একটা ব্যাপার সিজার করানো, বাচ্চাকে এক্সক্লুসিভ ব্রেষ্টফিডিং (প্রথম ৬ মাস) না করানো এগুলো এখন আমাদের দেশে ফ্যাশন। এমনকি গ্রামেও এর তীব্রতা অনেক। আশাকরি এক্সক্লুসিভ ব্রেষ্টফিডিংয়ের বিষয়টি আপনার পরবর্তী পর্বগুলোতে আসবে।

guest_writer এর ছবি

" আমাদের এক টিচার বলতেন মেয়েদের গল্প হল উলের বস্তার মত, একটু টান দিলেই ভুরভুর করে বেরোতে থাকে। আপনার পোস্ট পড়ে কেবলি সেই কথা মনে পড়ে যায়। কারন আমারও একগাদা গল্প 'সোডার মত ভসভসিয়ে' বেরোতে চায়।"
আশালতা, আপনার উপমাগুলো অসাধারন। খুবই ভাল লেগেছে।
মন্তব্য লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা

আশালতা এর ছবি

ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা। প্রশংসা পেলে ভারী মন ফুরফুরে হয় সত্যি, কিন্তু এদুটো উপমার একটাও যে আমার নিজের তৈরি নয় ! আমি শুধু কোট করেছি বলতে পারেন। হাসি

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এই পর্বে আমার মন্তব্য করার জন্য কোনো স্কোপ রাখেন নাই! মন খারাপ

রুমঝুম এর ছবি

সাইফ ভাই, ডাক্তারদের motivation খুবই জরুরি। স্বভাবিক ডেলিভারী ও এক্সক্লুসিভ ব্রেষ্টফিডিং (প্রথম ৬ মাস) এ ডাক্তাররা অনেক কিছুই করতে পারেন। আবার মানসিকতার পরিবর্তনটা সাথে সাথে দরকার। আমার এক colleague বলছিল উনার মা উনাকে ব্রেষ্টফিডিং করতে দিতেননা। আমার বুয়ার কাছেও শুনলাম বড়লোকরা টিনের দুধ খাওতে পারে বলে তাদের বাচ্চাদের শরীর ভাল হয় মন খারাপ !
আমারত মনে হয় লেবার পেইন অনুভব না করায় আমি অনেক বঞ্ছিত হয়ে রইলাম। কিন্তু অনেকের কাছে শুনি তারা লেবার পেইন অনুভব করাতে চায়না ভয়ে।ডাক্তাররা এই ভয় দূর করতে পারেন সহজেই। পশ্চিমা দেশগুলিতে অনেক সেসন হয় pregnancy র সময়। বাংলাদেশ এও এই রকম সেসন করা যেতে পারে।

বিবর্ন সময় এর ছবি

বরাবরের মতই অসাধারন আপু! কিছু বলার ভাষা নেই!!

বিস্ময়কর এই যাত্রায় অংশগ্রহনের ইচ্ছে জাগছে; হাজবেন্ড, ভাই বা শুভাকাংখী হিসেবে, আপনি যেমন বলেছেন! ঈশ্বর চাইলে কোন একদিন সুযোগ হবে নিশ্চয়ই! হাসি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

খুব ভালো হয়েছে এই পর্বটা! খুব খুব ভালো! হাসি পড়তে পড়তে হেসে ফেললাম! আপনার রাজকন্যাদের জন্য দুনিয়ার সকল ভালোবাসা! হাসি আমি আমার বাচ্চাদের ডাকনাম এখনই ঠিক করে রেখেছি! দেঁতো হাসি ভালোনাম যা হয় হোক, ডাক নাম এইগুলোই হবে! দেঁতো হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

আয়নামতি এর ছবি

দারুণ একটা সিরিজ! হাচলত্বের জন্য অভিনন্দন আপু দেঁতো হাসি আপনার মেয়ের নামটা জানতে ইচ্ছে করছে আপু।
অনেক শুভকামনা।

সজল এর ছবি

দারুণ সিরিজ হচ্ছে। পড়ছি নিয়মিত।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মর্ম এর ছবি

মন্তব্য না করলেই যে পড়া হয় নি এমন মনে করার কারণ নেই!

'ছেলেমানুষ' সিরিজটার পর এই সিরিজটা নিয়ে যেভাবে ফিরে এসেছেন, তা আসলেই প্রশংসা করার মত! হাসি

প্রথম দুই তিন পর্বে মনে হল অনেক কিছু অল্প করে বলে ফেলছেন, এটা থেকেও বেরিয়ে এসেছেন এখন।

আবার কবে কথা হয়, একটা অনুরোধ করে যাই, জার্নিটা যেমন শেষ করেছেন সফলভাবে, লেখাটাও অনেকগুলো পর্বে লিখে শেষ করবেন প্লিজ!

তাসনীম ভাইয়ের অসাধারণ দুটো সিরিজ আছে সচলে, স্মৃতির শহর আর শিশুপালন।

আপনার সিরিজটাও কিন্তু যারা পড়ছে তাদের কাছে অমরত্বের পথে আছে! অনেক দিন মনে থাকবে আপনার এই সিরিজটার কথা।

আর হ্যাঁ, হাচলত্বের অভিনন্দন, আপু দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

দিহান এর ছবি

মর্ম, ধন্যবাদ। শিখতে, নিজেকে শোধরাতে আমার ক্লান্তি নেই। আপনারা সাথে আছেন, আমি অবশ্যই আরো ভালো লেখার তাগাদা অনুভব করি।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

sky_lark37 এর ছবি

আপু নাম কি রাখলেন? তুংকা, অর্ঘ্য নাকি নিলাদ্রি ???
দেঁতো হাসি

দিহান এর ছবি

sky_lark37, বড়টার নাম অরুণিমা, 'তুংকা' ডাকি আমি আর ছোটটা অপরাজিতা,আমি ডাকি 'রাইম'।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

guest_writer এর ছবি

আপু যা লিখে ছিলে সব পড়ে ফেলেছি। এখন বাকীটা জানতে খুব ইচ্ছা করছে। প্লীজ তাড়াতাড়ি লিখে দাও বাকীটা। অনেক অনেক অভিনন্দন নিজের নামে ব্লগিং করতে পারা জন্য (জিনিসটার নাম কি আমি জানি না তাই বলতে পারলাম না। আমি সচলে একদমই নতুন।)।

অনেক অনেক ভালো লাগা জানালাম। ফেসবুকে শেয়ার দিলাম আরো বেশী মানুষ যেন এই ম্যাজিকাল জার্নির পার্ট হতে পারে তার জন্য। ভালো থেকো আপু। তোমার জন্য অনেক শুভেচ্ছা।

-মেঘা

দিহান এর ছবি

মেঘা, তোমার লেখা পড়ে তোমাকে আন্দাজ করা যায়! ছটফটে, প্রানশক্তিতে ভরপুর একটা মেয়ে...লিখবো,আগে ঈদ করে নেই?

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

নীরব পাঠক এর ছবি

হাততালি + দেঁতো হাসি

নীরব পাঠক এর ছবি

চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।