গুরুচন্ডালী - ০১৪

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: বুধ, ১০/১২/২০০৮ - ৭:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০.
সেদিন নিবিড়ের চরমপত্র পোস্টে বলেছিলাম অডিও ফাইলের কথা। খুঁজে দেখলাম আমার কাছে যেটা আছে তার দৈর্ঘ্য এক মিনিটেরও কম। সেটাই যোগ করে দিলাম এখানে।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA

১.
অবশেষে তার দেখা মিললো। অনেক অপেক্ষার পরেও যখন দেখা দিচ্ছিলো না। ভাবলাম, এ যাত্রা বুঝি দেখা না দিয়েই পার পেয়ে যাবে। দিন দিন অপেক্ষার প্রহর গুণি। এই বুঝি এলো! উঁহু, আসে না। বেলা বয়ে যায়, গাছের পাতা ঝরে যায়, অমুক-তমুক দেখা পায়, কিন্তু আমি আর পাই না। প্রত্যাশিত দেখা না পেয়ে মন বুঝি একটু উদাসও হয়। কিন্তু আমি তাতে দমে না গিয়ে মুন্না ভাইয়ের মতো লেগে থাকি। দেখি হোলেও হয় কী না! এবং অবশেষে, একটু একটু করে সে তার ঘোমটা খোলে, অবলোকিত হয়, অনুভূত হয়। আমার অপেক্ষার প্রহরও শেষ হয়।

দুদিন আগে থেকে শুরু হয় ভয়ানক শরীর ব্যথা। শরীরের প্রতিটা মাংসকণায় কামড়ানি। দুপুরের পর থেকে শরীর ঝাঁকিয়ে তিনি আসেন, আমার বহুপ্রত্যাশিত 'ডিসেম্বর ফিভার'। সন্ধ্যার দিকে শরীরে জেঁকে বসেন তিনি। আমরা দুজনে আলাপ করি, হাসি ঠাট্টা করি, কে কাকে কতোটা ফস্কাই- তার হিসেব নিকেশ করি। তার সান্নিধ্য উপভোগ করার সর্বান্তকরণ চেষ্টা করি।

আগের রাতে একজন বন্ধু ফোন করে ঘরে থাকতে বারণ করে। একা ঘরে পড়ে থাকলে অবস্থার অবনতি হতে পারে আমার খাইছলতগত অবহেলার কারণে- এই তার বক্তব্য। অতীত ইতিহাস ঘাটলে অবশ্য তার ধারণাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এ অবস্থায় মৌনব্রত পালন করি আমি। ঈদে বেশ কয়েকজন পুলাপাইন এক হওয়ার প্ল্যান করে, আমাকে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানায়। কিন্তু মনে ইচ্ছে থাকলেও শরীরে দুব্বল পাইনা বলে গাঁইগুঁই করি। ফোনকরনেওয়ালা সেখানে যেতে আমাকে গুঁতায়। সবার মাঝে থাকলে কিছুটা ভালো বোধ করবো বলে! যাবো-যাবো না এমন দোটানার ঠিক মাঝখানে বসে টলতে থাকি আমি। এর মাঝে আরও কয়েকবার ফোন টোন আসে, ঠিক হয় আমি সক্কাল সক্কাল উঠেই রওনা হয়ে যাবো।

সক্কালে খানিকটা ভালো বোধ করার কারণেই যাওয়ার তাগিদ পাই। পাক্কা আধাঘন্টা কোষা নাওয়ের মতো ট্রেনের দুলুনিতে ঢুলতে ঢুলতে অবশেষে হাজির হই তাদের ডেড়ায়। উদ্দেশ্য ঈদ উদযাপন। বিছানা পাতা থাকে আমার জন্য। গিয়েই সটান হয়ে অবস্থান নেই সেখানে। সকালের নাশতা, ঈদের তোবারক ওখানেই প্রাপ্তি হয় আমার। গায়ের ব্যথা আসে আবার যায়, জ্বর মহাশয়ও আসি-যাই করেন সারাদিন। সন্ধ্যা নাগাদ পূর্ব পরিচিত এক সিনিয়র ভাই আসেন। এক্স-নটরডেমিয়ান। আমাকে ধরে বসিয়ে দেয়া হয় কলব্রীজে! অনুমতি নিয়ে বিড়ি ধরাই। এই একটা জিনিষ ছাড়া আর কোনো কিছুই মুখে তুলতে রুচি হয় না। নানা কুশলাদি বিনিময়ের মাঝে আলাপ হয় পূর্বাচল প্রকল্প নিয়ে। যতোদূর জানি, তাঁকে জানাই। তিনি তাঁর আশঙ্কার কথা জানান। আমি এসএমএসে মন্দেই।

আজকে বিকেলে নিজের ঘরে ফেরার তাড়া অনুভব করি। এই অবস্থায় না যাওয়ার বারণ কানে না তুলে গুঁড়ি গুঁড়ি তুষারপাত আর হালকা বৃষ্টির ঝাপটা মাথায় করেই ফিরে আসি 'জরুরী কাজের' অজুহাতে। ট্রেনে বসে ভাবি, আমার জরুরী কাজ, সেটা কী! একটু সচলে এরে ওরে খোঁচানো, ফেসবুক খুলে দেখা কে কোথায় কী করছে! আর জি-মেইলে কারো নামের পাশে সবুজ বাত্তি জ্বলছে কীনা।

২.
হিমু'র সঙ্গে কথা হলো চকিৎ। ঝটিকা সফরের একটা অভিপ্রায় জানিয়ে শুরু করে। আমার কেনো জানি মনে হয়, ব্যাটার অন্য মতলব আছে! আমাকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয় না। একটু পরেই তার আসল মতলব বের হয়, আমাকে তার ফ্লিকারের লিংক পাঠায়। তবে রে হাবশী, তলে তলে তাইলে এই ছিলো তোর মনে?

একটা ফোন আসে। শরীরের কুশলাদি বিনিময়ের পর শহরে দেখা করার আমন্ত্রণ পাই। সাথে ফ্রী উপদেশ, "বাইরে আবহাওয়া ভালো না। টাইট করে জামাটামা পরে এসো, এমনিই দৌঁড় দিও না!" আমি দাঁত বের করে হুমম করি। জনগণের মাথা না চিবিয়ে বাইরে থেকে একটু ঘুরে আসাটাই তখন সমীচিন মনে হয়। বেরিয়ে যাই টিম আর নীলস এর সঙ্গে আড্ডা-খুনসুটি করতে।

উলের সোয়েটারের উপর জ্যাকেট চাপিয়ে, মাথায় কানটুপি লাগিয়ে বেরুবার পথে দরোজার বাইরে পজিশন নিয়ে দাঁড়ানো ইয়ান জিজ্ঞেস করে জ্বরের কী অবস্থা! দু'দিন আগের সন্ধ্যায় পিটার আর ইয়ান খুব মাস্তি করছিলো জ্বরের কারণে আমি পটল তুললে খেরেস্তানদের কবরখানা নাকি ময়লার কন্টেইনার হবে আমার আসল ঠিকানা! বেয়াদ্দপ শালারা! তাদের চেয়ে অনেক ভালো ডিয়ান। মেইন দরোজায় তার সাথে দেখা হতেই জানালো দু'সপ্তাহ পর একেবারে চলে যাচ্ছে সে ফ্লোরেন্স। সেই উপলক্ষ্যে একটা বার-আবেণ্ড আছে সতেরো তারিখে। আমি যেনো অবশ্যই আসি তার সেই ফেয়ারওয়েল পার্টিতে! আমি হাসি মুখে মাথা ঝাঁকিয়ে সায় জানাই। যা, যার যেইখানে খুশি যা। দৌঁড়ের উপরে থাক। দৌঁড় দিয়া উষ্টা খাইয়া পড়। পইড়া নাকমুখ ভাঙ!


৩.
জয় বাবা ফেসবুক। সুদূর অতলান্তিকের ঐ পাড় থেকে একটা কল পাই সেদিন। ফেসবুকে সর্বাঙ্গ ব্যথার বার্তা পেয়ে কুশল জিজ্ঞাসায় ট্যাকের পয়সা খাদক জার্মান মোবাইল তার পয়সা খেয়ে ফেলে আশাতীত। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নেবার আগেই বেরসিক ললনা কণ্ঠস্বর আলাপচারিতা থামিয়ে দেয়।

বাড়িতে ফোন করে শুনি ঈদগাহের মাইকে হাউকাউ। জনকের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর জননীকে শুভেচ্ছা জানালে ভদ্রমহিলা বলে ওঠেন, "আর কতো!" আমি বলি, "আর কতো কী!" বলে, "আর কতো ঐখান থেকে শুভেচ্ছা জানাবি!" আমি অবাক হই, "তাহলে তাল গাছের ওপরে উঠে জানাবো?" বলে, "না। উঠানে এসে জানাবি। আমার সামনে এসে জানাবি, এইখানে আমার চুলার সামনে! কতোদিন বাইরের গেটে তোর লাথি শুনি না...।" মনে মনে ভাবি 'কাম সারছে'। "পরে আবার কল দিবো নে, এখন ঘুমাই গিয়া" বলে কোনমতে টেংরা মাছের মতো পিছলা মারি।


৪.
অসুস্থ হলেই আমার কেমন আশ্চর্য অনুভূতি হয়। সারাক্ষণ ধুগোগিরি করা চরিত্রের পেছনের এনটিটি বেরিয়ে আসতে চায়। চারদিকের সযতনে গড়ে তোলা বিশাল শক্ত দেয়ালটা কয়েকটা জায়গায় নড়বড় করে ওঠে। এরশাদের আমলে সরকারী বিল্ডিং বানানোর কন্ট্রাক্টরদের কাজের মতো সেই জায়গা গুলোতে সিমেন্টের পরিমান কম। একটু খোঁচা পড়লেই হুড়মুড়িয়ে বালি ঝরে পরে। জ্বর টর এলে তাই কোনো রকম কনফ্রন্টেশন এড়িয়ে চলি। বলা তো যায়না কে কখন সেইসব নাজুক জায়গা গলে হুট করে ঢুকে পড়ে আমার এতোদিনের গড়ে তোলা নিরাপদ দূর্গে। এসে আমার এতো সাধের নিজের নীল গ্রহটায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে ভেগে যায়! সতর্ক থাকি সবসময় হাতে একটা থ্রী নট থ্রী রাইফেল নিয়ে। বেশ কয়েকবার ধুম ধাম শব্দও পেয়েছি দেয়ালের নাজুক জায়গা গুলোতে! সেগুলো ভেঙে পড়ার আগেই মেরামতে যাওয়া দরকার। তাই এখন আর বেশি গুরুচণ্ডালী বকবকে যাচ্ছি না। ধূমাওঠা চায়ের পেয়ালা হাতে দূর্গে নিরাপদ অবস্থায় পঞ্চদশতম গুরুচণ্ডালীর মতো বালছাল বয়ানের আশা রেখে শেষ করি ঝটপট এখানেই।

Get this widget | Track details | eSnips Social DNA


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

অবশেষে তার দেখা মিললো। অনেক অপেক্ষার পরেও যখন দেখা দিচ্ছিলো না। ভাবলাম, এ যাত্রা বুঝি দেখা না দিয়েই পার পেয়ে যাবে। দিন দিন অপেক্ষার প্রহর গুণি। এই বুঝি এলো! উঁহু, আসে না। বেলা বয়ে যায়, গাছের পাতা ঝরে যায়, অমুক-তমুক দেখা পায়, কিন্তু আমি আর পাই না। প্রত্যাশিত দেখা না পেয়ে মন বুঝি একটু উদাসও হয়। কিন্তু আমি তাতে দমে না গিয়ে মুন্না ভাইয়ের মতো লেগে থাকি। দেখি হোলেও হয় কী না! এবং অবশেষে, একটু একটু করে সে তার ঘোমটা খোলে, অবলোকিত হয়, অনুভূত হয়। আমার অপেক্ষার প্রহরও শেষ হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তিতে রইলো অভিনন্দন। প্রতিবছর এই দিনটি বারে বারে ফিরে আসুক তোর জীবনে। ওঁ মণিপদ্মে হুমমমম!


হাঁটুপানির জলদস্যু

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দিলি তো পোস্টটার তেরোটা বাজায়া ব্যাটা কষারুগী কোথাকার!
খাড়া তোর জন্য ইসবগুলের ভূসি আর এই পোস্টের লাইগা এয়ারফ্রেশনার যোগাড় করি আগে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পতমে দিক্কার জানাই। পরে আবার লিকব

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

তীব্র নিন্দা জানাই

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জনকের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর জননীকে শুভেচ্ছা জানালে

'জনক' শব্দটা ক্যামন যেন কঠিন মনে হয়...।

লেখা ভালো লেগেছে। মন খারাপ কইরেন না। সুদিন ফিরবে...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একটা শব্দ নারে ভাই, পুরা বাক্যটাই কঠিন মনেহয় আমার কাছে।

সুদিনের হয়তো ফিরবে কখনো, আমিও তাই চাই। কিন্তু সব হারিয়ে না...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

"কিন্তু সব হারিয়ে না..."

আপনার এই অসম্পূর্ণ বাক্যটি মিথ্যা প্রমাণিত হোক আগামী ঈদের মধ্যেই।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমিও জ্বরে ভুগলাম কিছুদিন। আগে ফল সিমেস্টারে একবার কাঁপিয়ে জ্বর আসতো, এখন ভেঙে ভেঙে সারা মাস ধরেই জ্বর থাকে। আমার এক বন্ধু সম্প্রতি আমাকে "এইডস রোগী" বলে গালি দিল এই কারণে!

সবুজ বাত্তি আমিও খুঁজি। অসময়ে, বেসময়ে, কুসময়ে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বন্ধুরা কিছু বললে ডাক্তারের দেয়া সাট্টিফিকেট দেখায়া দিবেন। তারপর বলবেন, এইবার পারলে তোরা দেখা ব্যাটা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

কিছুই বুঝলাম না। খালি গানটাই নতুন করে শুনলাম।
এইডস কেমনে বাধল? খাইছে

ধুসর গোধূলি এর ছবি
প্রকৃতিপ্রেমিক (অফলাইনে) এর ছবি

এই চন্ডালীটাই মনে হয় সবচেয়ে ভাল হয়েছে। তবে আপনার ধূগোগিরি থেমে যাবেনা সেটাই কামনা। এই পোস্টেই দেখা যাচ্ছে অনেকেই নানা ভাবে আপনাকে খোঁচাচ্ছে, খুঁচিয়ে আপনার দূর্গে হানা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। খুব খেয়াল করে কিন্তু...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এখানে যেটা হচ্ছে সেটা ফ্রেণ্ডলী ফায়ার, আর ঐদিকে ইয়া বিরাট কামানের গোলার আঘাতে আমার শতছিন্ন দেয়াল পড়ছে ভেঙে! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সৌরভ এর ছবি

যত্ন নেন। তাছাড়া কী আর কবো?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ফাহিম এর ছবি

গুটে বেসারুং

=======================
কোথাও হরিণ আজ হতেছে শিকার;

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এ দেখি জ্বরে কাইত...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
কল্পনা আক্তার এর ছবি

আমি পাক্কা তিন সপ্তা ধরে ভুগতেছি। আশা করি দ্রুত সেরে উঠবেন আর আপনার দুর্গটাকে "এজ শক্ত এজ পসিবল" করেন কারন একবার যদি কেউ ঢুকতে পারে তবে সারা জীবনের সুখকে অসুখ বানিয়ে দিয়ে যাবে...

তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এই কামনা করি।

............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দূর্গের পতন অবশ্যম্ভাবী। মন খারাপ

চিন্তা কর্তাছি, দূর্গের ইট-কাঠ বেইচা সেই টাকা লইয়া হিমালয়ে গিয়া গুহাবসবাস শুরু করুম। যা থাকে কপালে। কাস্টমার দেখেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তানবীরা এর ছবি

দৌঁড়ের উপরে থাক। দৌঁড় দিয়া উষ্টা খাইয়া পড়। পইড়া নাকমুখ ভাঙ!
এইটা হয়ত অনেকেই মনে মনে ভাবে কিন্ত মুখে বলে না ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ধুসর গোধূলি এর ছবি
ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ধুগোদা দেখি জ্বরে কাইত !
আচ্ছা কোন টাইপের জ্বর এইটা ?
প্রতি বছর একই সময়ে আসে ক্যান ? প্রতিরোধ কি নাই ?
ভাল হয়া যান তাড়াতাড়ি, তারপর পূর্ণোদ্যমে আবার লাফালাফি শুরু করবেন।

--------------------------------------------------------

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- এখন ঘটনাই এইটা। ফার্মেসী গুলার সামনে সমানে লাইন লাইগা থাকে লোকের। অষুধ কিনতে চায় সবাই। কম বেশি সবারই এই সময়ে একটা না একটা কিছু হয়। এইটার কোনো প্রতিকার আছে কি না জানি না। স্বয়ং জার্মানরাই ভুগে, আর আমি তো নাদান বাঙ্গাল!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রণদীপম বসু এর ছবি

হুঁম, দেয়ালে তো ভালোই চিড় ধরেছে দেখছি ! মেরামত জরুরি।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- রাজমিস্ত্রি খুঁজতাছি। খোঁজে থাকলে ধুগোর লগে পত্রপাঠ যোগাযোগ করতে বইলেন তো রণ'দা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

একজন [অতিথি] এর ছবি

চমৎকার লেখা । তাড়াতাড়ি ভাল হয়ে উঠুন।

একটা প্রশ্ন সবসময় মনে হয়, সবাই কে ছেড়ে কেন মানুষ প্রবাসে থাকে?

অভ্রনীল এর ছবি

হুমমম... অতিউচ্চমার্গীয় প্রশ্ন...

মনে হয় প্রকৃষ্ট-রূপে-বাঁশ খেতে...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অভ্রনীল এর ছবি

গুরু... চরমপত্রের জন্য আপনাকে উত্তম জাঝা!

য়াপনার শরীর ভালো হওনের জন্য মিলাদ পড়ামু নাকি?? তাইলে শিগগির ২০০ ইউরো পাঠায়া দেন...

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অভ্রনীল এর ছবি

তাইলে ইচ্ছামত কিছুটা বাড়ায়া-টাড়ায়া দিয়েন... দেঁতো হাসি

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

দ্রোহী এর ছবি

জয় বাবা ফেসবুক। সুদূর অতলান্তিকের ঐ পাড় থেকে একটা কল পাই সেদিন। ফেসবুকে সর্বাঙ্গ ব্যথার বার্তা পেয়ে কুশল জিজ্ঞাসায় ট্যাকের পয়সা খাদক জার্মান মোবাইল তার পয়সা খেয়ে ফেলে আশাতীত। ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায় নেবার আগেই বেরসিক ললনা কণ্ঠস্বর আলাপচারিতা থামিয়ে দেয়।

ক্যারা রে!!!!!!!!!!!!!!!!!


কী ব্লগার? ডরাইলা?

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সাইবার' কেইস নাকি?

নাকি স্বপ্নে দেখছে? জ্বরের ঘোরে আবোল তাবোল কি দেখছে ঠিক নাই চোখ টিপি পোস্টে লিখছে, আর ভাবছে লোকজন বিশ্বাস করবে, খিকজ চোখ টিপি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে উঠুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

রায়হান আবীর এর ছবি

গুরু আছেন ক্যাম্বা??

=============================

রায়হান আবীর এর ছবি

ঈদ কাটছে ভালোই। তয় বাড়ি খাইয়া মাথার ঘিলু গোড়ালিতে নাইমা আসছে। দেঁতো হাসি

=============================

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঘিলু গোঁড়ালিতে নামলে সমস্যা নাই। হাঁটু পর্যন্ত নাইমা থাইমা থাকলে দুইটা কথা আছিলো।
ব্যাপার না। মাথায় বাড়ি-বুরি না খাইলে মাথার জট খোলে না। এখন দেখবেন মাথা কেমনে বনবন কইরা কাজ করে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এক্টু আগে কাকভিজা হৈয়া ফিরছি। জ্বরজারির আলাপ কৈরো না। কুফা লাগতারে...



অজ্ঞাতবাস

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আর কুফা! এইত্তা কিছু না বদ্দা। দুই পাত্তর দশোরথোস্য পুত্রস্য মাইরা দিয়া কাইজ হইয়া শুইয়া থাকেন। জ্বরের বাপ শুদ্ধা আপনেরে রাইখা পলাইবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অনিন্দিতা এর ছবি

এসব কিছু না। ধুগো আর জ্বর কি একসাথে চলতে পারে?
কখনোই না।
ঠিক হয়ে যাবে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আশা করি শরীর এখন নিশ্চয়ই ভাল। জ্বর বাবাজী গেছে গা!

লেখাটা খুউব ভাল্লাগসে। তবে মনে হচ্ছিল ফাঁক-ফোঁকড়ে কিছু ধূসর বর্ণের ধূসরতা ঢুকায়া দিতে গিয়েও দেননি! চোখ টিপি
আপনার উপর কিন্তু মিয়া এই বিষয়ে শমণ জারি হইসে, খুব খিয়াল কইরা! দেঁতো হাসি

তা, ফেইসবুকের ললনাটা কে? চিন্তিত


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- শরীর ভালো আছে বিডিআর ভাই।
চামে চিকনে কিছু ধূসরতা ঢুকাইতে চাইছিলাম, কিন্তু জনগণের অসহযোগের ডরে আর সাহসে কুলায় নাই। তবে এই জিনিষটা একটা এডিকশনরে ভাই। খালি খোঁচায়...

ফেইসবুকের ললনা নিয়েই তো এতোসব কারবার! চোখ টিপি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

যাক, ভাল আছেন শুনে ভাল লাগল হাসি

ঠিক! এইটা আসলেই একটা অ্যাডিকশন। আপনি যে নিজেকে বিরত রাখতে পারতেসেন, এইটা জেনেও ভাল লাগল চোখ টিপি

কিন্তু ললনার কথা না বইলা অ্যাম্নে পিছলা মারলেন ক্যান! রেগে টং


A question that sometimes drives me hazy: am I or are the others crazy?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

চরমপত্রের জন্য অজস্র ধন্যবাদ। আর্নাই?

সারাক্ষণ ধুগোগিরি করা চরিত্রের পেছনের এনটিটি বেরিয়ে আসতে চায়।

মানেটা খোলসা কইরা কন্তো! চিন্তিত

সুস্থ হইয়া ওঠেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আর্তোনাইরে ভাই! মন খারাপ

আপনে মিয়া এতোদিনে 'গুটে বেসারুং' কইলেন? এদিকে আমার দূর্গের অবস্থা খানখান...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

আমার পাঠ করা প্রথম আর আপনার বয়ান করা চতুর্দশ গুরুচণ্ডালী ভালো লাগলো। বহুমাত্রিক, অন্দর-অন্তর-অভিযাত্রিক। ধন্যবাদ। হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কী বললেন?!
শুক্রিয়া খাবো?
চোখ টিপি দেঁতো হাসি

------------------------------------
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আমারো জ্বর মন খারাপ তবে এখন কম।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

নিবিড় এর ছবি

হুম...... সুস্থ তাইলে । লেখাটা প্রথমে চোখে পরে নাই তাই কিছু বলা হয় নাই তাই এখন বলি - ধন্যবাদ । হোক না এক মিনিট তাও সবাই চরমপত্রের আসল স্বাদ তো পাবে ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।