দেবযানী

ধুসর গোধূলি এর ছবি
লিখেছেন ধুসর গোধূলি (তারিখ: শনি, ০১/০৫/২০১০ - ১:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অদ্ভুত ঝলমলে আকাশটা চোখের সামনেই বদলে কালো থেকে কালোতর হয়ে গেলো ধীরে ধীরে। অমন সুন্দর একটা দিনের শেষ বিকেলের মায়াবী আলোটুকু একটু একটু করে হারিয়ে গেলো সেই কালিমায়। এমন হঠাৎ বিনা বার্তায় মেঘলাকাশের আগমন! 'কী মাস এটা'? আজকাল দিন-মাস-ক্ষণের কোনো হিসাব মনে থাকে না। রাখতেও ইচ্ছে করে না। সব দিনই বৈচিত্র্যহীন, সব মাসই এক।

শোবার ঘরের লাগোয়া বারান্দা। অধিকাংশ সময় কেটে যায় এখানেই। সামনের অনেকদূর পর্যন্ত খোলা। দৃষ্টি অনেক দূর চলে যেতে পারে অনায়াসে, বাধাহীনতায়। অনেক দূরে দৃষ্টি মেলে দিয়ে একা থাকতে বেশ লাগে। এক কোনায় বেড়ে ওঠা মানিপ্ল্যান্ট আর তারই পাশে আস্তানা গাড়া কালো রঙের পেটমোটা মাকড়সা, আমার সঙ্গী হয়ে থাকে দিনের বড় একটা সময়। আমি তাদের সঙ্গ উপভোগ করি, তারাও আমার মতো চুপচাপ, একাকী প্রকৃতি দেখে। আমরা তিনজনই দেখি, একই বারান্দা থেকে।

শোবার ঘরে গেলেই ক্যালেন্ডারে আজকের দিন তারিখ সহ মাসের নাড়ি নক্ষত্র বের হয়ে যাবে। কিন্তু ইচ্ছে করছে না যে এখন শোবার ঘরে যেতে। হোক না যেকোনো একটা মাস, ফাল্গুন কি আশ্বিন অথবা জানুয়ারি কি সেপ্টেম্বর! কী আসে যায় তাতে! বরং শেষ বিকেলের আলো নিংড়ে নেওয়া মেঘলা সন্ধ্যাটুকুর উদযাপনই মাসের হিসেব মেলানোর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ এখন। এখনই নামবে বৃষ্টি। বৃষ্টির ছন্দে দূরে দৃষ্টি বিলিয়ে প্রকৃতির একাকিত্ব অবলোকন করবো আমরা তিনজন- বারান্দার কোণের মানিপ্ল্যান্ট, পেটমোটা মাকড়সা আর আমি।

দিন-ক্ষণের পাশাপাশি এখন অনেকের মুখও মনে করতে কষ্ট হয়। যেনো একটা আয়না কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা, অথচ সেই আয়নাতেই পড়ে আছে পরিচিত সব মুখের, সব চেহারার প্রতিবিম্ব। পর্দা সরিয়ে সেই প্রতিবিম্বগুলো আমার দেখা হয় না, আমি দেখতে পারি না। শুধু একটা মুখ কখনোই হারায় না। আয়নার কালো কাপড়ের আড়াল থেকেও দু'টো চোখ নিষ্পলক তাকিয়ে থাকে আমার দিকে। কাজলদেওয়া, টানা, টলটলে, ঘুমঘুম দুটো চোখ।

কিছু চোখে তাকালে অস্বস্তি হয়, কিছু নিয়ে আসে উৎফুল্লতা। আর কিছু চোখ আছে, তাকালে মন শান্ত হয়ে আসে। তাকিয়েই থাকতে সাধ জাগে। আজীবন। অপলক।

এমন দুটো চোখ আমি ভুলতে পারি না, ভুলি না। ভুলিনা চোখের মালিক মানুষটিকেও। লম্বা এক বেণী করা পিঠের ওপর ফেলে রাখা তার চুল। তার লম্বাটে মুখের দিকে তাকালেই মনেহয় এই বুঝি কাঁচা হলুদ মেখে এসেছে! একটা প্রতিমার ছাপ চেহারায়! আর তাতে আছে সেই চোখগুলো। কথা বলতে জানা চোখ। টানাটানা, ঘুমঘুম। প্রশান্তি জাগানো সেই চোখ। যে চোখের দিকে তাকালে পুরো পৃথিবীটাই শান্ত হয়ে থেমে যেতো টুপ করে। গাঢ় নীল জামার ওপর ভি-আকৃতির সাদা ওড়না জড়িয়ে যে একদিন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে চোখ দিয়ে ডেকেছিলো আমায়, "এসো, বৃষ্টিতে ভিজি..."

সেই মেয়েটি হুটহাট চলে আসে সামনে। এখন যেমন। সামনের খোলা বিশাল প্রান্তরের শুরুতে, বারান্দার ঠিক যেখানে শেষ, সেখানে দাঁড়িয়ে সে। গাঢ় নীল রঙের জামা, ভি আকৃতির ওড়না জড়ানো বুকে, কথাবলা সেই চোখ দুটি ডেকে যাচ্ছে, "কই এসো, বৃষ্টিতে ভিজি..."

সেবার, হাত বাড়িয়ে তার হাত মুঠোতে চেপে ধরার পর কেবল একটাই শব্দ করেছিলো, "উঁহ্..."

কাচের চুড়ি, আমার মুঠোর চাপে ভেঙে ওর হাতে ঢুকে গিয়েছিলো। ছাড়তেই দেখি আমার হাতের তালু মাখামাখি। রক্তে। কী এক মিশ্র অনুভূতির কারণে আমি সেই রক্ত ধুয়ে ফেলতে পারি নি। রেখে দিয়েছি ওভাবেই, হাতে। পরদিন, তার পরের দিন পর্যন্ত। যখন দেখা হলো, দূর থেকে হাত উঁচিয়ে তালুটা দেখাতেই একটা হাসি ফুটে উঠেছিলো মুখে। সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম, মেয়েটির চোখও হাসছে তার সাথে। ঘুমঘুম চোখের মেয়েটির নাম দিয়েছিলাম সেদিন থেকে, 'দেবী'! সাক্ষাৎ দেবীর মতোই লাগছিলো যে!

বারান্দার বাইরের বৃষ্টি একটানা হয়েই যাচ্ছে। অন্ধকারও ঘনীভূত হয়েছে আগের চেয়ে। গাঢ় নীল জামার দেবী আগের মতোই হাত বাড়িয়ে বৃষ্টিকে ছুঁয়ে চলেছে, আলিঙ্গন করে চলেছে। আমি মুগ্ধ হয়ে তার কথা বলা চোখের দিকে তাকাই। শান্ত চোখ জোড়া এক, টলটলে, ঘুমঘুম।

কোনো এক পার্বণ প্রত্যুষে, লাল পাড় সাদা শাড়িতে খোঁপায় বেলি ফুল জড়িয়ে দেবী আসে। থেমে যাওয়া চারপাশ নিয়ে শান্ত শান্ত সেই চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতেই দেবী হাত নেড়ে ইশারা করে। কাছে যাই। বেলি ফুলের সুবাস নাকি দেবীর নিঃশ্বাস, ঠিক বুঝে উঠতে পারি না।

"দেবযানী। দেবযানী চক্রবর্তী"— টানা চোখগুলো আরেকটু টেনে, পুতুলের মতো কথা বলে উঠে মেয়েটি। আমার দেবী।

"... মানে পূর্ণেন্দু স্যারের...!"— প্রতিমার সন্মুখে দাঁড়িয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা দেখাতে ইচ্ছে করে না আমার। তার চেয়ে তার রূপ অবলোকন করাই শ্রেয় বলে মনে হয়।

দেবযানীর সাথে আমার থেমে যাওয়া সময় উপভোগ করি। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে কখনো আবৃত্তি করি জীবনানন্দের বনলতা সেন। কখনো বা ডান'র এয়ার এণ্ড এঞ্জেলস

দিন-মাস-ক্ষণের হিসাব রাখি নি। পূর্নেন্দু স্যারের হঠাৎ দেহত্যাগ হলে সন্তানহীন স্যারের মুখাগ্নিতে ডাক পড়ে সন্তানতুল্য আমার। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পুরো সময়ে আমি দেবযানীকে খুঁজে পাই না। শত চোখের মাঝে আমার চোখ চারদিকে কেবল খুঁজে ফেরে মায়াময় এক জোড়া চোখ, টানাটানা, টলটলে।

এরপর থেকে আর কোন অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যাই না আমি। খুব আপনজনেরও না। সেই সময়টায় কাছে কোথাও খোলা জায়গায় চলে যাই। যেখানে অবারিত প্রকৃতি তার নগ্ন কোলে দু'হাত বাড়িয়ে তুলে নেয়। আমার সাথে দেবযানী থাকে। জগৎ সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো হয়েও আমি একা হই না। পুরো জগৎ থামিয়ে রাখি দেবযানীর দিকে অপলক তাকিয়ে। অথবা জগৎ আপনা আপনিই থেমে যায়।

ঘটনাক্রমে আমার বাহুতে স্থান করে নেয় বিখ্যাত তান্ত্রিকের কবজ। দেবযানী আমার থেকে পালিয়ে বেড়াতে শুরু করে। আমার দিকে তাকায় না, অনেক দূর দিয়ে চলে যায়। ভেতরে নরক যন্ত্রণা বোধ হতে থাকে। আমার যে ঐ ঘুমঘুম চোখের দৃষ্টিপথ্য চাই!

হঠাৎ একদিন দেবযানী আমার কাছে আসে। টলটল চোখে গড়িয়ে পড়া জল। "ওরা আমাকে তোমার পৃথিবী থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়..."। চাই না আমি অমন পৃথিবী যেখানে দেবযানী থাকতে পারে না। ছুঁড়ে ফেলি তান্ত্রিকের কবজ। আমার একটাই পৃথিবী, দেবযানীকে ঘিরে সে আবর্তিত হয়। ওর শান্ত-স্নিগ্ধ চোখের দিকে তাকালে ঝলমলে সকাল হয়, ও হাসলে বাতাসে বসন্ত ভেসে আসে। ওকে ঘিরেই আমার ষড়ঋতু নেচে চলে অনবরত। আমি আনন্দে উদ্বেলিত ঋতুদের দেখি, দেবযানীর প্রতিমা প্রতিমা হাসিমুখ দেখি। এর চেয়ে সুখের জন্ম আর কী হতে পারে...!

বারান্দার বাইরের দেবযানীর সাথে বৃষ্টিতে ভিজতে চাওয়ার ভয়ানক ইচ্ছেটা মাথাচারা দিচ্ছে এখন। একটা মুহূর্তও ওর সান্নিধ্য ছাড়া কাটাতে ভালো লাগে না আর। প্রতিটা মুহূর্তেই আমার দেবী, দেবযানীকে যেনো পাশে চাই আমার!

একটু অপেক্ষা করো দেবী। তারপরেই ফিনিক্স পাখির ডানায় ভর করে আমি চলে আসবো তোমার কাছে, চিরতরে। কেউ থাকবে না তখন বাধা দেয়ার। কেউ থাকবে না কবজের দোহাই দেয়ার। তোমার সঙ্গ ছেড়ে যে স্বর্গসুখেও আমার তীব্র আপত্তি আছে...

"অ'রাইট মি. রয়... ইটস গেটিং লেইট... লেটস গেট ইনসাইড"— বৃদ্ধাশ্রমের মেয়েটি আমার চাকাওয়ালা চেয়ার ঘুরিয়ে ঠেলতে ঠেলতে শোবার ঘরের দিকে নিয়ে যেতে শুরু করে... বারান্দার ওপাশে তখনও ঝুম বৃষ্টি। চেয়ারের একদিকে হেলে পড়া মাথার দৃষ্টিতে বারান্দার বাইরে বৃষ্টিস্নানরতা দেবযানীকে সেই মুহূর্তে দেখতে পেলাম কিনা, ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না...


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

খাইছে রে!!!!!!!!!!!!!

এইটা ধুগো!!!!!!!! ধুগো যে এতো গভীরভাবে দেশচিন্তা করে তা জানতাম না!!! একেবারে ঘাবড়ে গেলাম!!!!!!!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- হ মন খারাপ

আসেন মেম্বর ভাই, একটা গান শুনি গলাগলি কৈরা। আইজকা কোনো কাইজ্যা নাই, এইজ কেবল গলাগলির দিন। গলাগলি কৈরা এই গান শোনার দিন আইজ।

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

তিথীডোর এর ছবি

"ইদানিং দিন-মাস-ক্ষণের কোনো হিসাব মনে থাকে না। রাখতেও ইচ্ছে করে না। সব দিনই বৈচিত্রহীন, সব মাসই এক।"

"দিন-ক্ষণের পাশাপাশি এখন অনেকের মুখও মনে করতে করতে কষ্ট হয়। যেনো একটা আয়না কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা, অথচ সেই আয়নাতেই পড়ে আছে পরিচিত সব প্রতিবিম্ব। পর্দা সরিয়ে সেই প্রতিবিম্বগুলো আমার দেখা হয় না, আমি দেখতে পারি না। "

এ লাইনগুলো তো আমি লিখতে চাইছিলাম!!!
চিন্তিত..... চিন্তিত

====================================
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
=====================================

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কাকুল কায়েশ এর ছবি

অসাধারণ, সিম্পলি অসাধারণ! খুব ভাল লাগল লেখাটা!
তাই তো বলছি, কেন আপনি আজকে হঠাৎ এত উদাস ছিলেন! তবে মাঝে মাঝে এরকম উদাস হওয়া তো ভালই, আমরাও কিছু মাস্টারপীস পেয়ে যাব!

তোমার সঙ্গ ছেড়ে যে স্বর্গসুখেও আমার তীব্র আপত্তি আছে...

আহ! আমাকেও উদাস করে দিলেন........

(ক্যাটাগরীগুলো ঠিক করে দিন দাদা! এমন একটা গল্পের সাথে এই টাইপের রসিকতা না করাই ভাল!)

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ওহ্, ক্যাটাগরিগুলো!! হা হা হা , আলাদা একটা মাজেজা আছে না? চোখ টিপি

উদাস? পঙ্কজ উদাসের কথা বলছেন বুঝি! দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ বস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মুস্তাফিজ এর ছবি

ভালো লাগলো, এরকম অনেক স্মৃতি এখনও চোখে আটকে আছে যেগুলোর বয়স কখনো বাড়েনা।

...........................
Every Picture Tells a Story

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- একদম সত্যি কথা মুস্তাফিজ ভাই।
ফিল্মস্ট্রিপের একেবারে শেষ মাথায় পৌঁছে গিয়ে রিওয়াইন্ড বোতামে চাপ দিলে যে দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভেসে আসার কথা, সেগুলো কখনোই পুরাতন হয় না, সেগুলোর বয়স কখনোই বাড়ে না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওসিরিস এর ছবি

চেয়ারের একদিকে কাত হয়ে থাকা মাথার দৃষ্টিতে বারান্দার বাইরে বৃষ্টিস্নানরতা দেবযানীকে দেখতে পেলাম কিনা, বুঝতে পারলাম না...

এভাবেই 'রাজনীতি' 'চাচামিয়া'র চোখে ধুগো থুক্কু ধুলো দ্যায়......

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

ওসিরিস এর ছবি

চেয়ারের একদিকে কাত হয়ে থাকা মাথার দৃষ্টিতে বারান্দার বাইরে বৃষ্টিস্নানরতা দেবযানীকে দেখতে পেলাম কিনা, বুঝতে পারলাম না...

এভাবেই 'রাজনীতি' 'চাচামিয়া'র চোখে ধুগো থুক্কু ধুলো দ্যায়......

...লেখা ভাল্লাগসে।। কিন্তু কেমুঞ্জানি মংখ্রাপকরা।।

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

বোহেমিয়ান এর ছবি

খাইচে! ট্যাগ দেইখা ভাবলাম কী আর পড়লাম কী!

পড়ে খুব আরাম পেলাম , চমৎকার লাগল ।

(বানান পুলিশ কোম্মে? আমি দুইখান বানান/টাইপো ভুল পাইছিলাম ! কিন্তু পালায়া গেল! এখন আর পাইতেছি না! এই কারণে আমারে দিয়া বানান ধরার কাম হয় না! )

_________________________________________

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

ধুসর গোধূলি এর ছবি
নৈষাদ এর ছবি

চমৎকার লাগল লেখাটা।
তবে এটাও স্বীকার করি যে লেখাটা পড়ে কোথায় জনি একটা অস্বস্তি রয়ে গেল… ধুসর গোধূলি। রাজনীতি। দেশচিন্তা। চাচামিয়া…।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- 'গল্প' ট্যাগ দিতে সাহসে কুলায় না যে নৈষাদ'দা! তবে এটাও ঠিক, উল্লিখিত ট্যাগ দিয়ে যে ধাচের লেখা লিখি, এটা ঠিক সে ধাচের না। আসলে ঐ ধাচের একটা লেখা শুরু করেও সরে এসেছি, ট্যাগগুলো আর সরানো হয় নি।

এই লেখা থেকে ট্যাগগুলো সরিয়ে দিতে বলছেন তবে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নৈষাদ এর ছবি

অবশ্যই ট্যাগগুলো সরিয়ে দিতে বলছি না।

'গল্প'ট্যাগ দিতে আমারও সাহসে কুলায় না, তাই অন্য ট্যাগ দেই।

নিবিড় এর ছবি

গুরু, এইটা কোন কাজ করলেন? দেশচিন্তা, চাচামিয়া এই ট্যাগ গুলা সরান তারপর যা উপযুক্ত তাই বসান হাসি
গল্প ভাল লাগছে চলুক
মাঝে মাঝে কাজকাম না থাকলে দুই একটা গল্প লিখা উচিত আপনার হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি
আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মিশ্র অনুভূতি জানিয়ে গেলাম...

ওডিন এর ছবি

ঠিকাছে-
তবে বেশি বেড়ে ওঠার আগেই কেটে ফেলতে হবে বস
শিকড়শুদ্ধু উপড়ে ফেলতে পারলে আরো ভালো।

বিষাদ নামের বিষবৃক্ষের কথা বলতেছিলাম।
______________________________________
যুদ্ধ শেষ হয়নি, যুদ্ধ শেষ হয় না

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ওয়াও !!!!!

তবে হাচা কই ধুগোদা, এইরাম ট্যাগের জন্যে প্রথমে উপভোগই করতারিনাই...

গল্পটাতে হঠাৎ ডালপালা গজাইসে, হঠাৎ শেষ হইসে- ঠিক না এইসব...

_________________________________________

সেরিওজা

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ট্যাগের ব্যাপারে অভিযোগ স্বীকার্য!

ধন্যবাদ সুহান। লেখাটা আরেকটু টানা যেতো হয়তো, কিন্তু ধৈর্য্যে কুলালো না যে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অবাঞ্ছিত এর ছবি

বৃদ্ধাঙ্গুলির সাথে পাঁচটা তারা।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বুঝতে পারলাম না বোধহয়। তবে মুহূর্তগুলোর বর্ণনা দারুণভাবে এসেছে।
...............................
নিসর্গ

ধুসর গোধূলি এর ছবি
রানা মেহের এর ছবি

দেবযানী নামটাই কেমন যেন।
যাদুকরী
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

গোধুলি আমার প্রিয় সময়ের একটি । দিনের আলো যখন ধীরে ধীরে মুছে আসে আঁধারের ছায়ার কাছে, তখন গাছের মধ্যে, প্রকৃতির মধ্যে জমতে থাকা আঁধার দেখা আমার অনেক পুরনো নেশার একটি ।

আপনার এই গভীর, তীব্র গল্পটি আমার খুব ভাল লেগেছে জানিয়ে যাই । হয়তোবা এই গল্পটি আমি আবারো পড়ব । ভাল থাকুন ।

.......................................
তোমারই ইচ্ছা কর হে পূর্ণ ....

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমাকে যদি বলা হয় সবচেয়ে সুন্দর একটা মুহূর্ত বেছে নিতে, আমি গোধূলিবেলাকেই বেছে নেবো। বিশেষ করে অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকের। গ্রামে বড় হয়েছি বলে এই সময়টা হাতি মার্কা ফেভিকন দিয়ে হৃদয়ে আঁটা হয়ে আছে। মুছতেই পারি না। হয়তো সময়টা খানিক বিষাদমাখা বলেও। বিষাদ জিনিসটার জাবর কাটতে খারাপ লাগে না। হাসি

আবার না পড়লেও অসুবিধা নাই। এবেলার জন্যই ধন্যবাদ পাবেন। ভবিষ্যতের জন্য তাহলে অগ্রিম দিয়ে রাখলাম। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সচল জাহিদ এর ছবি

ধুগোর পোষ্টে ঢুকি আনন্দ ফুর্তির লিগা, আইজকা মনটা খারাপ কইরা দিলা মিয়া। লেখা অসাধারণ লেগেছে, এক টানে পড়েছি। কেন জানি ঐরকম একটা বারান্দায় বইসা বৃষ্টি দেখতে ইচ্ছা করতাছে।

----------------------------------------------------------------------------
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি
নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ জাহিদ ভাই।

এরকম বারান্দা আসলে নিজেই বানিয়ে নেয়া যায়, কঠিন কিছু না। মনের চেয়ে বড় কোনো জিনিস নাই। এর ক্ষমতা বিশাল। মনকে দায়িত্ব দিন, দেখবেন এর চেয়েও সুন্দর বারান্দা আর তার ঠিক বাইরে ঝপাৎ বৃষ্টির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

ছেন্টিমেন্টাল হইয়া গেলাম মিয়া। করেসেন কি। আবার রাজনীতি ট্যাগ লাগাইসেন। পুরা হেজিমোনি।

একটা প্রশ্ন - 'তন্ত্রকের' বলতে কি 'তান্ত্রিকের' বলতে চেয়েছেন?

কৌস্তুভ

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ঈশ! 'তন্ত্রক' কাগুর থেকে ঘুষ খেয়ে তারে বাংলায় ঢুকাইতে গিয়া হেজিমোনিতে পড়লাম। অবশেষে 'তান্ত্রিক' বাবাজীকেই নিয়ে আসতে হলো। মন খারাপ

ছেন্টিমেন্টাল, ছেন্টু-মেন্টাল হয়ে গেলে কিন্তু পিরোবলেম আছিলো! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মিঃ না হয়ে মিস হইলে কইতাম এক্কেরে আমার কথাগুলা লিখসেন! হাসি

-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ্যাঁ, নিশ্চয়ই দেবযানীকেই দেখেছেন। দেবী দেখায় ভুল হ'তে পারে না। চলুক

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- দেখেছি তো বটেই, হয়তো মনের আঙিনায়। বাস্তবে চলে আসলে ভুল হওয়ার শঙ্কা বাড়ে। মনের রাজ্যে সেই সম্ভাবনা কম।

অ.টঃ ত্রিধা'য় থাকতে শুরু করবো শীঘ্রই। হাতে নিয়ে ত্রিধা'য় আছি যে! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

কন্কী?! অ্যাঁ
বই জর্মনদেশে গেছে নাকি?! দেঁতো হাসি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

দময়ন্তী এর ছবি

বা:

ইয়ে, তন্ত্রক কি তান্ত্রিক? আর "প্রতীমা' বড্ড চোখে লাগছে, 'প্রতিমা' হবে৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- অনেক ধন্যবাদ দন্তময়ী।

তন্ত্রকই (তান্ত্রিক না; মন্ত্রক --> তন্ত্রক, এই সূত্রে) লিখতে চেয়েছিলাম, ভুল শব্দ বলে শুধরে দিলাম। প্রতিমাকেও ঠিকঠাক বসানো হলো। হাসি

আবারও অনেক ধন্যবাদ জানবেন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

ভাগ্যিস, ট্যাগ দেখে লেখা পড়ি না কখনো। পড়তে পড়তে বুঝে নিই।

লেখাটা ছুঁয়ে গেলো।

প্রত্যুষ, অবলোকন- শব্দগুলোতে কেমন যেন সুর কেটে যাচ্ছিলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রত্যুষ, অবলোকন শব্দগুলো ইচ্ছে করেই বলা। একজন প্রাচীন মানুষের আত্মকথন যে! হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

এইডা কেমনে জানি ছুটসিলো....

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।