এদেরকে নিয়েই আমি, এদেরই একজন

এনকিদু এর ছবি
লিখেছেন এনকিদু (তারিখ: রবি, ০৬/০৭/২০০৮ - ৪:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলত্ব প্রাপ্তির পর এটা আমার প্রথম পোস্ট । একজন মানুষের পরিচয় নাকি তার বন্ধুদের দিয়ে । নিজের পরিচয় না দিয়ে তাই যেই দলটার একজন হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনেকরি সেই দলের পরিচয় দিচ্ছি । আমার পরিচয় দেয়ার মত কিছু নেই । সচলে আমার নিক দেখে অনেকেই হয়তো বুঝে ফেলেছেন প্রাচীন মিথ আমাকে আকর্ষণ করে । এখানে আমার দলটার পরিচয় করিয়ে দিতে সবার ছদ্মনাম ব্যাবহার করেছি, নাম গুলো বিভিন্ন জাতির মিথ থেকে নেয়া । সাদামাটা জীবনে হাল্কা একটু কল্পনার রঙ লাগানোর চেষ্টা আরকি । ঘটনাটি আজকে থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগের একটি দিনের ।


সকালে আমার ঘুম ভাংল যখন আটটা বাজে । কাল রাতে আমরা ঘুমিয়েছিলাম চারটার দিকে । মেঝেতে করা ঢালাও বিছানায় আমি সর্বডানের জন । আমার বাম পাশে মারদুক এখনো ঘুমিয়ে আছে । মারদুক ঘুম থেকে উঠবে আরো একটু পর । তারপর কিছুক্ষন ঝিম মেরে বসে থাকবে । প্রাতঃকালীন ধ্যান । ক্ষীন স্বাস্থ্যের অধিকারী মারদুক চোখে মুখে সারাক্ষন দুষ্টুমি ভাব খেলা করে । কথা বলে বেশ দ্রূত বেগে । যাদের মাথা আস্তে চলে মারদুকের সাথে তাদের কথা বলতে কষ্টই হয়, কারন গড়পড়তা লোকে এত দ্রূত কথা শুনে তার অর্থ অনুধাবন করতে পারে না । সারাদিনের মধ্যে শান্ত শিষ্ট হয়ে বসে থাকবে সে ঘুম থেকে উঠার পর এই কয়েক মিনিট । তারপর নেমে যাবে কাজে । কাজের ফাঁকে ফাঁকে দুষ্টুমি চলতে থাকবে পুরো দমে । কিন্তু তাতে কাজের কোন ক্ষতি হবে না । অবশ্য এই কথা এই ঘরে এখন যারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘুমিয়ে আছে তাদের সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ।

এখানে শুয়েই দেখতে পাচ্ছি ঘরের কোনার দিকে একটা চেয়ারে পিছনের দিকে হেলে রাবন চোখ বুঁজে আছে, সামনে কম্পিউটারের মনিটরে দেখা যাচ্ছে এইমাত্র করা কোন কোড রান করছে । ছোটখাট কিন্তু দৃঢ় গড়নের মানুষ সে । বেশির ভাব সময় খোঁচা খোঁচা দাড়ি আর ঘোলাটে চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়াতে দেখি । চোখ যেদিন ঘোলাটে থাকেনা সেদিন রাবনের চোখ হয়ে উঠে স্বপ্নালু । রাবন আমার চেয়ে দুই বছরের বড় এবং এই দলের পুরাতন লোকদের একজন, সেই সুবাদের দলটার মুরুব্বী সে । বাঁদরের দলে বাচ্চা গুলোকে দেখে শুনে রাখার কাজটা সে ভালই করে বলতে হবে । রাবনকে আগে দেখতাম একটা পুরানো রঙ চটা জিন্সের প্যান্ট আর একটা সাদামাটা টিশার্ট গায়ে দিয়ে পুরা মাস পার করে দিতে । আজকাল দেখি জামা কাপড় পরিষ্কার হয়ে উঠছে । আজকেই দুপুরে নিউমার্কেটে জামাকাপড় কিনতে যাবে বলেছিল । কোন ভদ্রমহিলার প্রভাবে রাবন নিজেকে উপস্থাপন যোগ্য করার চেষ্টায় আছে মনে হয় । ভদ্রমহিলা অত্যন্ত ভাগ্যবান হবেন - এব্যপারে আমার সন্দেহ নেই । ভাগ্যবান ভদ্রমহিলাটি কে হতে পারেন আমরা আন্দাজ করতে পারছি, কিন্তু মুরুব্বী কে সুযোগ দিচ্ছি নিজেই যেন একদিন খবরটা আমাদের কে দেন । মাঝে মাঝে রাবন হেসে উঠে ভয়ঙ্কর ভাবে, প্রথম প্রথম এই হাসিতে ভয় পেতাম । এখন এই হাসিটাই খুব আপন লাগে, কানে না আসলে কান ব্যাথা করে । মাঝে মাঝে কানের ব্যাথা কমানোর জন্য কাজ থেকে উঠে এসে বা না উঠেই দূর থেকে চিৎকার করে কোন শ্লীল অথবা অশ্লীল কৌতুক শুনিয়ে তাকে হাসাই । সেই সাথে ঘরের অন্যরাও হাসে ।

আর সবাই অট্টহাসি হাসলেও সাধারনত এরকম ক্ষেত্রে মুচকি হাসে একজন, সে হল হারকিউলিস । হারকিউলিস ছদ্মনামটা ব্যবহার করলাম কারন এই লোক আসলেই হারকিউলিস । এর বাহু আমার রানের সমান আর বুকের ছাতি আমার মত তিনজনের সমান প্রশস্ত । হারকিউলিসের মনটা অনেকটা বাচ্চাদের মত । আমি ফাযলামো করে মারাত্নক একটা প্যাঁচালো কথা বললেই আটকা পড়ে যায় । তারপর মুচকি হেসে বলে, "তোমার সাথে কথায় পারা যায় না" । কথা বলতে বলতে মাঝে মাঝে হারকিউলিসের কি জানি হয়, শূন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে বক্তার দিকে । অনেক্ষন পর সম্বিত ফিরে পেয়ে বলে তার উপর নাকি অ্যালগরিদম নাযিল হয়েছে । অবশ্য হারকিউলিস এখন ঘরে নেই, কালকে রাতে থাকেনি আমাদের সাথে । বাড়ি ফিরে গিয়েছিল সন্ধ্যার পরেই ।

শোয়া থেকে উঠে বসলাম । মারদুকের পাশে শুয়ে আছে শৌজিং । কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুলের আড়ালে চেহারা খানিকটা ঢাকা পড়ে আছে । চুল-দাড়ি নিয়ে তামাশা করতে শৌজিং এর জুড়ি নেই । দেখা যাবে ছয়মাস ধরে চুল-দাড়ি না কেটে ঘুরে বেড়াচ্ছে । বিরাট ঝাঁকড়া চুল কাঁধের কাছে এসে গেছে, দাড়ি-গোঁফ এমন ঘন জঙ্গলের আকার ধরান করেছে যে তাতে আরশোলা লুকিয়ে থাকতে পারে । হঠাৎ একদিন পরিষ্কার করে দাড়ি কামিয়ে আর পরিপাটি করে চুল কেটে এসে হাজির হবে । আপনি দেখে প্রথমে চিনতেই পারবেন না । এই মহা দুষ্টু ছেলেটার সাথে আমার বন্ধুত্ব কলেজ থেকে । কলেজে শুরু থেকে দেখছি শৌজিং বেশ পরিপাটি চাপদাড়ি আর পাকানো গোঁফ নিয়ে ঘুরে বেড়ায় । একদিন কথায় কথায় বল্ল ন্যাড়া হবে । আমি ভাবলাম একশো রকম গালগল্পের আরেক গল্প দিচ্ছে আর কি । পরের দিন সকালে কলেজে এসে দেখি একটা ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে এগিয়ে আসছে । শুধু ভ্রূ দুটি ছাড়া চুল জাতীয় কিছুই ঘাড়ের উপরের অংশে নেই । চেহারাটা চিনলাম না, কিন্তু হাসিটা ভীষন পরিচিত । বন্ধুর সেই হাসিটি চিনতে আমার এক মুহুর্তও দেরী হয় নি । এই ফাযিলটা অনেক সময় দাড়ি দিয়ে মুখ ঢেকে ফেলে, কিন্তু ওর দুষ্টুমি হাসিটা তবুও ঢাকা পড়েনা । কাজের সময় মারদুক আর মাচুপিচুর মাঝখানের জায়গাটা ওর । বাম দিকে বসা মাচুপিচু কে সারাদিন অনবরত গালি দিতে থাকে শৌজিং । গালি মানে সেইরকম গালি, বাবা মা ভাই বোন আত্নীয় স্বজন পাড়াপ্রতিবেশী - মোটকথা মাচুপিচুর সাথে কোনভাবে জড়িত যত লোক আছে সবাইকে ধরে গালাগাল চলে । মারদুক দ্রূত কথা বলে, শৌজিং বলে আরো দ্রূত । গড়পড়তা লোকের শৌজিং এর সাথে কথা বলার চেষ্টা না করাই ভাল । যাদের মাথা দ্রূত চলে - কেবল মাত্র তারাই শৌজিং এর দ্রূত কথন শুনে তা অনুধাবন করতে পারেন ।

মাচুপিচু আরেক আজব মানুষ । আমার কলেজে থেকে পাওয়া সেরা বন্ধু শৌজিং হলে মাচুপিচুকে বলতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া সেরা বন্ধু । এক যোগ এক সবসময় দুই হয়না । মাঝে মাঝে তিন হয়ে যায় । দুইটা একের মধ্যে একটা আমি আরেকটা মাচুপিচু হলে সবসময় আমরা তিন বানিয়ে ছাড়ি । বেশ লম্বা এবং হাল্কা গড়নের এই ছেলেটার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল স্থির থাকার ক্ষমতা । কঠিন সমস্যার সামনেও দেখি সে স্থির থাকে । স্থির থাকে মহা আনন্দেও, বাঁদরের মত(বা আমার মত) লাফিয়ে বেড়ায়না । এর ধৈর্য্য এবং সহ্যক্ষমতা অসাধারন । এর ধৈর্য্য পরীক্ষার জন্যই মনে হয় শৌজিং অনবরত গালাগালির ভারী বর্ষণ ঘটায় এর দুই কানে । কিন্তু মাচুপিচু শৌজিং এর অশ্রাব্য গালি গুলো শুধু চুপচাপ শুনে যায় । মাঝে মাঝে শৌজিং এর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দেয়া ছাড়া আর কোন প্রতিক্রিয়া নেই । আমরা একবার একটা বাজি ধরলাম । যদি শৌজিং মাচুকে যথেষ্ট ক্ষেপিয়ে তুলে তার মুখ দিয়ে গালি বের করতে পারে, তাহলে আমি শৌজিংকে হাল্কা নাস্তা খাওয়াব । আর যদি শৌজিং মাচুপিচুকে আরো বেশি ক্ষেপিয়ে মাইর খায়, তাহলে আমার কাছে ভারী খাওয়া পাবে সে । প্রায় এক বছর ধরে চলছে শৌজিং এর গালাগালি । ভয়াবহ সব গালি আমরা এই একবছর ধরে শুনেছি, শুনছি, নতুন নতুন আবিষ্কারো হচ্ছে । পুরাতন গুলোকে ক্রস-ব্রিডিং আর মিউটেট করে নতুন আরো বিষাক্ত গালি আমরা তৈরী করি । তারপর শৌজিং শুরু করে সেই গালির প্রয়োগ - গিনিপিগ রূপি মাচুপিচুর উপর । কিন্তু মাচুপিচুর প্রতিক্রিয়া মুচকি হাসির বাইরে যায়নি এখনো । শুরতে মাচুপিচু একটু বিরক্ত হত, কিন্তু এখন সেও এই খেলাটা উপভোগ করা শুরু করেছে । কোনদিন শৌজিং এর গালি না শুনলে মাচুপিচুর মন খারাপ হয়ে যায় ।

মাচুপিচু গতকাল রাতে এখানে ছিল কিনা মনে করতে পারছিনা । মনে হয় সকালে এসেছে । মাচুপিচুর বামের চেয়ারটা খালি । ঐখানে বসে কিউপিড । আমাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ জন । আমার এক বছরের ছোট । কিউপিডের কথা কী আর বলব । ছেলেটার কিছু অংশ এখনো শিশুই রয়ে গেছে, বাকিটা মহা পোংটা । আমাদের সাথে মিশে মিশে আরো খারাপ হয়ে যাচ্ছে ছেলেটা ।

আমি বিছানা থেকে উঠে পড়লাম । অ্যাপোলোর টেবিলের ড্রয়ারে একটা টুথপেস্ট থাকে । সেই পেস্টটা আমার ব্রাশে লাগিয়ে দাঁত মাজব । অ্যাপোলো আমাদের মধ্যে একমাত্র ব্যাক্তি যাকে চর্ম চক্ষুতে সুদর্শন বলে মনে হয় । ভুল বললাম, আসলে দারুন সুদর্শন বলেই মনে হয় । এর আরো একটি বিশেষত্ব আছে, আমাদের মধ্যে একমাত্র বিবাহিত ব্যাক্তি । বিবাহিত হয়েও অ্যাপলো আমাদের সাথে মাঝে মাঝে রাতে থেকে যায় কারন তার স্ত্রী থাকে ঢাকার বাইরে, চাকরী সূত্রে । কাজেই বিবাহিত হয়েও অ্যাপোলো কার্যতঃ ব্যাচেলর । অ্যাপোলো খুব ঠান্ডা ধরনের ছেলে । কথা বলে আস্তে ধীরে । কিন্তু এর মাথা চলে শৌজিং আর মারদুকের কথার বেগের মত দ্রূত । পার্থক্য হল ঐ দুজনের মাথা এবং জীহ্বা উভয়ই দ্রূত । অ্যাপোলো আমার চেয়ে এক বছরের বড়, মারদুকের সমান । রাবন যেমন প্রতি বেলায় এক শলা ধরায়, অ্যাপোলো সেরকম ধুমপান করেন না । কিন্তু যেদিন আমি হুক্কা ধরাই সেদিন সেও দুই একটা টান দেয় হুক্কাতে । হ্যাঁ আমার একটা হুক্কা আছে । আমার নিজের হাতে বানানো । কোন কোনদিন বিকালে বা সন্ধ্যায় হুক্কাটা ধরাই । আমি, রাবন, অ্যাপোলো এবং আরো কয়েকজন পালাক্রমে টানাটানি করি ।

অ্যাপোলোর পাশের চেয়ারটা স্পর্ষের । এর ছদ্মনামটার সাথে সচলেরা অনেকেই পরিচিত । একে নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই, এর সম্পর্কে সবারই ভাল ধারনা আছে । যাদের নেই তারা স্পর্ষের লেখাগুলো পড়ে নিন । স্পর্ষ খুবই ভাল মাটির মানুষ টাইপের ছেলে । সমস্যা হল তার নাকি প্রেম হয় না । প্রেমের কথা ভাবলেই নাকি তাকে কাম ছেঁকে ধরে । কিন্তু তার সমবয়সী মারদুক আর অ্যাপোলোর মতে স্পর্ষের নাকি ডজন খানেক প্রেম রয়েছে । স্পর্ষ তাই, প্রেম নিয়ে আলোচনা করতে বসলে কোনটা কাম আর কোনটা ভালবাসা - এই জিনিস সবাইকে বুঝাতে চেষ্টা করে । লাভের মধ্যে এই হয় যে কেউ কিছু বুঝে না, অথবা ইচ্ছা করেই বুঝতে চায় না । শেষে স্পর্ষের দেয়া যুক্তি গুলো ব্যবহার করে আমরা তাকে কুপোকাত করতে থাকি । এক সময় সে হেসে হাল ছেড়ে দেয় আর কোন কোন দিন একটা মোক্ষম বাক্য দিয়ে পুরা পল্টনের মুখ বন্ধ করে দেয় ।

কিছুদিন আগে হিমু ভাইয়ের ব্লগে পড়লাম পানের পর মানুষ হ্যাপি অথবা হাই হয় । কিন্তু আমরা "মাল ছাড়াই টাল" ! এই হল আমাদের চার নং প্রকৌশল কক্ষ । আমাদের মধ্যেই কিছু একটার মাদকতা আছে । মাদকতাটা কি জানি না, তবে আছে এই ব্যপারে নিশ্চিত । আমরা যেখানে কাজ করি, সেখানে এই চার নং প্রকৌশল কক্ষটি বর্নবাদীদের আখড়া হিসেবে পরিচিত । এই ঘরে কাজ করার সুযোগ তাদেরকেই দেয়া হয় যারা আমাদের গোত্রভূক্ত । সবার কিছু সাধারন অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরনা আছে । হতে পারে এই মাদকতার ব্যাপারটা সেই অভিজ্ঞতা ও অনুপ্রেরনা প্রসূত । এখানে তারাই কাজ করে যারা যারা কোন একসময় কিছু আন্তর্জাতিক গানিতিক ও প্রোগ্রামিং সমস্যা সমাধানের প্রতিযোগীতায় অথবা গবেষনা কর্মে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে । যারা এই ব্যাপারটার সাথে পরিচিত তাদেরকে নতুন করে বলার কিছু নেই । সচলে বেশ কয়েকজন প্রকৌশলী বা প্রকৌশলের ছাত্র রয়েছেন । তারা অনেকেই হয়তো এতে জড়িত ছিলেন বা আছেন ।

যারা এর সাথে পরিচিত নন তাদের সাথে আমার নিজের দুটি অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করছি । রাত দুইটা পর্যন্ত জেগে তিনটি সমস্যা সমাধান করলাম । অনলাইন বিচারকের কাছে সেগুলো জমা দিয়ে দেখি দুইটা ঠিক ছিল,একটা ভুল । ওয়েবসাইটে র‌্যাঙ্কলিস্ট (বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার প্রোগ্রামারের মেধা তালিকা বলা যায় যাকে) এর পাতায় গিয়ে দেখি আমার অবস্থান এগিয়েছে এক ধাপ । নামের সাথে সাথে আমার নামের পাশে বাংলাদেশের পতাকাটাও দুই ধাপ উপরে উঠেছে । আর আমার ঠিক উপরেই আছে 'অমুক' দেশের একজন, যে কিনা আমার থেকে একটি মাত্র সমস্যা বেশি সমাধান করেছে । জেদ চেপে গেল, আজকে এই লোককে নিচে নামাবই । যেই সমাধানটি একটু আগে ভুল হিসেবে প্রত্যাক্ষান করা হয়েছে, সেটা নিয়ে আবার লেগে গেলাম । অনেক চিন্তা ভাবনা করে শেষ পর্যন্ত যখন সঠিক সমাধান বের করেছি তখন রাত চারটা পার । অনলাইন বিচারকের কাছে জমা দেয়ার পর সঠিক হিসেবে এবার গ্রহন করল । আবার গেলাম র‌্যাঙ্কলিস্ট দেখতে । অমুক দেশের লোকটাকে নিচে নামিয়েছি । আমার বাংলাদেশের পতাকাটা উঠে গেছে আরো একধাপ । কম্পিউটার বন্ধ করে যখন এই শান্তিটা নিয়ে বিছানায় শুয়েছি তখন শুনি ফযরের আযান দিচ্ছে । সকালে ক্লাসে যেতে হবে, তাই একটু পরেই ঘুম থেকে উঠে পড়ব । প্রথম ও দ্বীতিয় বর্ষে অনেক রাত এভাবেই কেটেছে । আমার একার না, একটু আগে যেসব দুষ্টু ছেলের কথা বললাম তাদের প্রত্যেকেরই এরকম অসংখ্য অভিজ্ঞতা আছে । বিশেষ করে মারদুক, শৌজিং, অ্যাপোলো তো এই ব্যাপারে বিশ্বসেরাদের মধ্যে ।

তৃতীয় বর্ষের আরেকটি অভিজ্ঞতার কথা বলি । বিভিন্ন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে করতে হঠাৎ একদিন একটা আবিষ্কার করে ফেললাম । প্রথমে ফলাফল নিজেরো বিশ্বাস হয়নি । অনেকবার পরীক্ষা করে নিশ্চিত হলাম ফলাফলটা ঠিকই আছে । যার অর্থ হল আমি কম্পিউটার গ্রাফিক্সের একটা পরিচিত সমস্যা সমাধানের একটা নতুন অ্যালগোরিদম আবিষ্কার করে ফেলেছি । সম্পূর্ণ জিনিসটা লিখলাম, দরকারী তথ্য উপাত্ত সব উপস্থাপন করে একটা গবেষনা পত্র দাঁড়া করিয়ে পাঠিয়ে দিলাম একটা কনফারেন্সে । দুই মাস পর জবাব এল আমার গবেষনা পত্র গৃহীত হয়েছে, আমি সেবছর ডিসেম্বরে তাদের ওখানে গিয়ে আমার গবেষনা কর্ম সম্পর্কে কিছু কথা বললে এ,সি,এম সিগগ্রাফ এর আয়োজকরা খুব খুশি হবেন । সেবার আমার যাওয়া হয়নি । যাওয়া হবেনা আমি আগে থেকেই জানতাম । এর আগেও এ,সি,এম সিগগ্রাফের আরেকটি কনফারেন্সে আমার গবেষনা কর্ম উপস্থাপন করার কথা ছিল । আগের বার যেই কারনে যাওয়া হয়নি এবারো সেই একই কারনে যাওয়া হবেনা । তাই আমি খুব একটা মন খারাপ করলাম না । পরে একসময় কনফারেন্সের ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখি সব পেপারের তালিকার দ্বীতিয় পেপারটাই আমারটা । পেপারের শিরোনাম, তার নিচে আমার নাম, তার নিচে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম লেখা । সৌভাগ্যবশতঃ আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের প্রথম শব্দটিও বাংলাদেশ । যারাই এই ওয়েবসাইটে ঢুকেছেন এবং পেপারের তালিকাটি দেখেছেন সবাই নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের নামটি পড়েছেন । যাহোক, সেদিনের ঘটনায় আবার ফিরে যাই ।

আমি হাত মুখ ধুয়ে এক কাপ চা নিয়ে এসে নিজের টেবিলের সামনে দাঁড়ালাম । ইতোমধ্যেই সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়েছে । অফিসের স্টাফ এসে আমাদের তোষক বালিশ ইত্যাদি সরিয়ে নিয়ে গেছেন । অফিসে রাতে থেকে যাওয়াটা আমাদের জন্য খুব সাধারন ব্যাপার হয়ে গেছে । বলেছিলাম না, একটা কিছুর নেশা আছে । জিনিসটা কাজের নেশা, সমস্যা সমাধানের নেশা, নতুন একটা কিছু তৈরী করার নেশা । এই যে সবাই চারটায় ঘুমিয়ে আবার ঝটপট উঠে পড়েছে সকাল নয়টার আগেই - এই নেশায় । এখনি সবাই হাত মুখ ধুয়ে এক কাপ চা অথবা কফি নিয়ে বসে পড়বে যার যার টেবিলের সামনে । মারদুক বসবে ইঞ্জিনের ডিজাইন নিয়ে । মাঝে মাঝে অ্যাপোলো আর স্পর্ষকে তাগাদা দিবে কাজ এগিয়ে নিতে । এরা কাজের সময়ও সচলায়তনে ঘুরে । অবশ্য তাতে খুব একটা সমস্যা হয় না, তারা এর মধ্যেই কাজ করে ফেলবে । শৌজিং কে দেখছি হাত দিয়ে ঝাঁকড়া চুল মাথার পেছনে নিয়ে যাচ্ছে - কাজ শুরু করার লক্ষন । মুখে এখনও ছোট্ট একটু দুষ্টুমি হাসি । তার পাশে মাচুপিচু - সবসময়ের মত ধীর স্থির ভাবে দুই হাত হাত নেড়ে কিছু একটা লিখছে । সম্ভবত স্টেমিং অ্যালগরিদমের বিশ্লেষণ । একটু পরেই আলোচনা করবে রাবনের সাথে । হারকিউলিস এখনো আসেনি । আসলেই প্রথমে দেখবে গত রাতে তার ওয়েব ক্রলার কতগুলো ওয়েবসাইট ক্রল করেছে । তারপর ক্রলিং এর ব্যপারে পরামর্শ করবে শৌজিং এর সাথে । আমিও একটু পর বসে পড়ব আমার সফটয়্যার ফ্রেমওয়ার্কের ডিজাইন নিয়ে । ঘরের কোনায় রাবন কে দেখছি চোখ খুলে আবার সোজা হয়ে বসেছে । তার কোডের রান থেমেছে, ফলাফল পরীক্ষা করছে । আমার দিকে ঘোলাটে চোখে তাকিয়ে একটা "সুপ্রভাত" মার্কা হাসি দিল । আমিও একটু হাসলাম । ঘরের কয়েকটি চেয়ার এখনো খালি, তারা এখনো আসেনি । চলে আসবে কিছুক্ষনের মধ্যেই । পুরো পল্টন আমরা আবার নেমে যাব কাজে, সমস্যা সমাধানে, নতুন কিছু তৈরীতে । আমি খুব ভাগ্যবান কারন শৈশবের পর আবার দ্বীতিয়বার স্বর্গে থাকার সুযোগ পেয়েছি । এরকম স্বর্গই আমার চাই । সত্তরটা হুর কোন কাজের না । আমার সত্তরটা সমস্যা চাই । সত্তরটা কাজ চাই । আর চাই এই সব বন্ধু, সহকর্মী, সহযোদ্ধা । এদেরকে নিয়েই আমি, এদেরই একজন ।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি
জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

সচল এনকিদু- আপনেরে অভিনন্দন।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই । আপনাকেও অতি শীঘ্র পূর্ণ সচল হিসেবে দেখব আশা করছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রেনেট এর ছবি

লম্বা পোস্ট আমি সাধারনত পড়ি না। আপনারটা পড়লাম, এবং ভালো লাগলো।
সচল্প্রাপ্তিতে আপনাকে অভিনন্দন!
কিন্তু দুঃখ হচ্ছে।
যেই সচল হয়, সেই লেখালেখিতে অচল হয়ে পরে।
সাম্প্রতিক উদাহরনঃ স্পর্শ ভাই।
আগে প্রায় প্রতদিন একটা না একটা আবজাব থাকতোই তার।
সচল হওয়ার পর মনে হয় এটা ষান্মাসিক হয়ে গেছে।
আপনাকে ও হারাবো অচিরেই।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ । পড়ে ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগল ।

স্পর্ষ কেন অনিয়মিত হয়েছে আমি জানি । ও এখন খুব ব্যাস্ত আছে কাজে । অফিস থেকে সচলে ঢুকা এখন নিষেধ । কিছুদিনের মধ্যেই কাজের চাপ কমলে আবার শুরু করবে আশা করি ।

আপনাকে ও হারাবো অচিরেই।

এরকম মৃত্যুর পরোয়ানা হাতে ধরিয়ে দিলে তো না পালিয়ে উপায় থাকে না হাসি

আমাকে পেলেন কবে যে হারাবেন ? আমি তো অচল অবস্থাতেও অনিয়মিত ছিলাম । সপ্তাহে দুই একটার বেশি লিখি না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

সচলত্ব প্রাপ্তিতে অভিনন্দন আপনাকে এনকেদু ভাই।
একই আপনাদের কাজের সাফল্য কামনা করছি।
----------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ । আপনিও শীঘ্রই সচল হয়ে যাবেন আশা করছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍ সচলত্বপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আকতার আহমেদ (লগাইলামনা) এর ছবি

বিশাল অভিনন্দন এনকেদু ভাই
সচল থাইকেন.. সচল রাইখেন

এনকিদু এর ছবি

বিশাল ধন্যবাদ । সচল থাকব আশা করি, তবে আগের মতই ঢিমে তালে ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

এনকিদু এর ছবি

হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অভিনন্দন এনকিদু...
কালকেই খেয়াল করেছিলাম যে আপনার কাঁধ থেকে অতিথি নেমে গেছে...
এবার লিখুন মন দিয়ে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ ।
লিখব হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সৌরভ এর ছবি

চলুক। চলুক



আহ ঈশ্বর, আমাদের ক্ষোভ কি তোমাকে স্পর্শ করে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ ।

আপনার ছবিটি মনে হচ্ছে গোবিন্দ আর শালিকের গানের স্কেচ । স্কেচটা কি আপনি করেছিলেন ? গতকালকেই ইউটিউবে দেখলাম, খুব ভাল লেগেছিল ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

পৌরাণিক লোকজনদেরকে যখন ভার্সিটি পর্যন্ত নিয়ে এসছেন তখন কিছু বর্তমান লোককে পুরাণ পর্যন্ত নিয়ে যান না

পুরাণের হনুমাণ ঘটোৎকচ হিড়িম্বা মেডুসা এগুলোতে আশপাশের অনেক চরিত্র খাপে খাপ বসে যাবে

এনকিদু এর ছবি

লিখব, পরে কোন এক সময় ।

ওদেরকে তো সবাই চিনে, নতুন করে কিছু বলার নাই । আমার বন্ধুদেরকে তো আর সবাই চিনে না, তাই বন্ধুদের কথা আগে লিখলাম ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নিরিবিলি এর ছবি

প্রাচীন মিথ এর সাথে নিজের বন্ধু, সহকর্মীদের ভালোই মিলিয়েছেন। পড়ে ভাল লাগলো। সচল হওয়ায় অনেক অনেক অভিনন্দন জানাচ্ছি।

এনকিদু এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্পর্শ এর ছবি

আরে আরে !! সচল হইসো দেখি !!
বিরাট অভিনন্দন!!
এইবার নিয়ম মত একটা ছুটি নাও। (আমি যেরকম নিসি চোখ টিপি )

তয় আমার নামে এইডা কি কইলা !! মন খারাপ
জীবনে একটা মেয়েরও হাতই ধরবার পারলাম না মন খারাপ খালি এইসব নিয়া গবেষণাই কইরা গেলাম!! ইয়ে, মানে...

আজকাল বাংলা উইকিপিডিয়া নিয়ে একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তাই আর সচলে আসা হচ্ছে না! খুব মিস করতেসি সবাইকে!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

দূরে গিয়া মরেন রেগে টং

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

এনকিদু এর ছবি

আপনি তো ভাল মানুষের মত এখানে মন্তব্যেই ঝেড়ে দিলেন । আমি এখনো রাবন আর হারকিউলিসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে চিন্তায় আছি । রাবন ব্লগটা পড়ার পর থেকে রাবনীয় হাসি দিচ্ছে আমাকে দেখলেই । এর মানে সে আনন্দিত নাকি ক্ষিপ্ত বুঝা কষ্ট । একটু আগে দেখলাম পানির বোতল হাতে নিয়ে ঘুরছে । যদি বোতলটা গদার মত আমার মাথার উপর ব্যবহার করতে চায় তাহলে আজকে আর কারো মন্তব্যের জবাব দেয়া লাগবে না ।

কপাল ভাল হারকিউলিসের ব্লগ পড়ার অভ্যাস নাই । তবে সেও কোন এক ভাবে খবর পাবে ঠিকই । তারপর কি করবে কে জানে মন খারাপ


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুজিব মেহদী এর ছবি

সচল হবার পরে অচল হইয়া গেলে বাইরাইয়া ঠ্যাঙ ভাইঙ্গা দিমু।

................................................................
দৌড়ের উফরে আছি

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

এনকিদু এর ছবি

ঠিক আছে, কিন্তু দাড়ি ধরে টান দিয়েন না ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ব্যপক অভিনন্দন!



ঈশ্বরাসিদ্ধে:

এনকিদু এর ছবি

ব্যপক ধন্যবাদ হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

মুশফিকা মুমু এর ছবি

আপনাকে সচল হওয়ার অভিনন্দন এনকেদু ভাই হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ মুমু আপু হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

ফারুক ওয়াসিফ এর ছবি

তুমুল তোপধ্বনি!
লেখাটা রসিয়ে রসিয়ে পড়লাম।

হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।

রায়হান আবীর এর ছবি

মন দিয়া পড়লাম। ইয়া হাবিবি। আগায়া যান।

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

এনকিদু এর ছবি

ইয়া হাবিবি !! হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শেখ জলিল এর ছবি

সচলপ্রাপ্তির জন্য অভিনন্দন।

যতবার তাকে পাই মৃত্যুর শীতল ঢেউ এসে থামে বুকে
আমার জীবন নিয়ে সে থাকে আনন্দ ও স্পর্শের সুখে!

আলমগীর এর ছবি

ভাল লাগল। এবার একটা লম্বা বিরতি দেন অথবা নেন।
চাক্কা সচল হওয়ায় শুভেচ্ছা। পেপারের লিংকটা দিয়েন, পড়ে দেখব।

এনকিদু এর ছবি

নাহ, ছুটি নেয়া যাবে না - মেহদী ভাই ঠ্যাং ভাংবে হুমকি দিয়েছেন । আপনার কি এ,সি,এম লাইব্রেরীর অ্যাকাউন্ট আছে ? তাহলে লিঙ্ক পাঠিয়ে দিব, ডাউনলোড করতে পারবেন ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

আলমগীর এর ছবি

আছে কইরাই কইছি। লিংক বা টাইটেল দিন। বের করে নিব।

ফেরারী ফেরদৌস এর ছবি

পুরোটা এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। অসাধারণ লেখা হয়েছে!

স্পর্শের এক বান্ধবী আবার আমারো বান্ধবী। দেখি, তার কাছ থেকে স্পর্শের গোপন ব্যাপার-স্যাপার কিছু জানা যায় কিনা। খুব তো সাধু সেজে বসে আছে। হাটে হাঁড়ি ভেঙে গেলে যে কি হবে... দেঁতো হাসি

এনকিদুকে সচলত্বপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন।

এনকিদু এর ছবি

অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ ।

বান্ধবী-টান্ধবী বাদ দেন । আপনার কোন কোন তথ্য দরকার আমাকে বলেন । স্পর্ষের সাথে দিন রাত থাকে খায় ঘুমায় উঠে বসে কারা ? আমরা নাকি ঐ বান্ধবীর দল ?

স্পর্ষের টেবিলের কোন ড্রয়ারে কী আছে - থেকে শুরু করে আজকে কেন আবজাব লিখল না সব খবর আমি আপনাকে দিতে পারব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কনফুসিয়াস এর ছবি

খুব মজা পেলাম পড়ে। এরকম আরো লিখুন।
সচল হবার জন্যে অনেক অভিনন্দন আপনাকে।

-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এনকিদু এর ছবি

মজা পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল । চেষ্টা করব আরো এরকম লিখতে । অভিনন্দনের জন্য ধন্যবাদ ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রাফি এর ছবি

অতি দীর্ঘ এবং সেইসাথে অতি উপাদেয় লেখা। সচলত্বপ্রাপ্তিতে অভিনন্দন।

।................................................................

।অর্থ নয়, কীর্তি নয় ,স্বচ্ছলতা নয়-
আরো এক বিপন্ন বিস্ময়
আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে
খেলা করে;
আমাদের ক্লান্ত করে;

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পুতুল এর ছবি

সচল অভিনন্দন! লেখা সেই রকম হইছে!
**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

স্বাগতম ব্রাদার!
লেখা ভালাইছে! হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

এনকিদু এর ছবি

ধন্যবাদ ব্রাদার হাসি


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

খেকশিয়াল এর ছবি

এনকিদু ব্রাদার, অভিনন্দন । মিথোলোজী আমারও অনেক প্রিয়, পারলে সময় নিয়া গিলগামেশ এর এপিকটা অনুবাদ করে ফেলেন নিজের মত করে, খন্ড খন্ড করে

-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

এনকিদু এর ছবি

গিলগামেশের সাথে কিছু বঙ্গীয় ও ভারতীয় আর্য মিথের ক্রস ব্রিডিং করার ইচ্ছা আছে । গিলগামেশ তো এনকিদু কে বাঁচাতে পারে নাই, আমি বাঁচানোর চেষ্টা করব ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

রণদীপম বসু এর ছবি

সাংঘাতিক ব্যাপার তো ! এলগরিদম না কি যেনো বললেন ? এইসব খটমইট্টা জিনিসে মাখামাখি থাইক্যাও এমোন চমৎকার লেখা লেখেন কেমনে ! আপনাগোর জন্য আমার গর্ব আর হিংসা দুইটাই হইতেছে !
আহারে, গোপন তরিকাটা যদি একটু বাতলাইয়া দিতেন !

আপনারা সচল না হইলে শুনি হইবোটা কে ?
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এনকিদু এর ছবি

"এলগরিদম" শুনতে খটমটে লাগল ? এত মিষ্টি একটা শব্দ ! খটমটে গুলো তো শুনেন নাই তাই এই কথা বলছেন ।

অভিনন্দনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনাকেও শীঘ্রই সচল হিসেবে দেখব আশা করছি ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।