সন্তান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/০৯/২০০৯ - ১১:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বেশ কয়েকদিন টানা কান্নাকাটির পর্ব শেষ করে সব যখন একটু থিতিয়ে আসছে তখনই একটা ঝামেলা পাকিয়ে বসে মফিজ। ব্যাপারটা তেমন কিছু না। ভরপুর গাঁজা খেয়ে, নিজের হাড় পাজড়া বের হওয়া দেহটাকে টানতে টানতে ঘরে ঢুকিয়েই,‌ দরজা খোলা রেখে বৌকে জড়িয়ে ধরেছিলো হাড়সর্বস্য হাত দুটো দিয়ে। এ পর্যন্ত সবই মোটামুটি ঠিক ছিলো। উপোসী কুলসুমেরও যে অনিচ্ছা ছিলো তাও না। কিন্তু আবেগের আতিশয্যে সে যখন হঠাত বলে বসে,
“হাবা কালা পোলা, মরছে। একদিক দিয়া ভালোই হইছে। নাকী কও?আবার হইবো।”
এক ঝটকায় নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে কন্ঠে বিষ মিশিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে কুলসুম বলেছে,
“গাঙ্গা খাইয়া খাইয়া নিজে মরছে, চুদবার পারে না এক মিনিটও। হাবা কালা পোলা হইবো নাতো জেনারেল বাইর হইবো!”
মফিজ মারার জন্য হাত উঠিয়েও নামিয়ে নিয়েছে এবং বিছানায় পড়ে নাক ডাকতে শুরু করে দিয়েছে, কুলসুমকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই।

এই হচ্ছে তার অপরাধ। এখন বাজে সকাল দশটা। রান্না বান্না হয়নি। বারান্দার খুঁটিতে হেলান দিয়ে একবার সে চিন্তা করে যে ঝাঁড়ুটা নিয়ে ঘরে ঢুকবে কীনা। পরপরই মাথা থেকে চিন্তাটা বাদ দেয়। ছেলে মরেছে চারদিন, বিবেক বলে একটা ব্যাপার তো আছে! অতঃপর আকাশকে উদ্দেশ্য করে তাকে বলতে হয়,
“মানুষজন কামে যাইবো, খাইবো না?”
অবশেষে কুলসুমকে বেড়িয়ে আসতে হয়। ভাত বসিয়ে মাছ ধুতে ধুতে পেছন ফিরে স্বামীকে দেখে নিয়ে গজগজ করতে করতে মাছ ধোঁয় সে। মফিজও জিজ্ঞেস করেনা মাছ কোথা থেকে এলো বরং সহজ সমাধানে স্বস্তি পায়। রান্নাবান্না শেষ করে ঘরে ঢুকতে ঢুকতে কুলসুমও বাতাসে বলে যায় যে তার রান্নাবান্না শেষ, কারো ইচ্ছে হলে সে নিজ দায়িত্বে খেয়ে নিতে পারে। বিছানায় শুয়ে কুলসুম হাড়ি পাতিল এর শব্দ পায়, রিক্সার বেল বাজিয়ে মফিজও বলে যায় যে সে যাচ্ছে। কুলসুম সাড়া দেয় না। চলে গেছে বুঝতে পেরে হাড়ি পাতিল ঘরে ঢুকিয়ে কাথা মুড়ি দেয় কুলসুম।

তার ঘুম ভাঙ্গে ভাবী ভাবী ডাক শুনে। দরজা খুলতেই সুট করে ঘরে ঢোকে আবুল। মুখটা করুন করে বলে,
“ভুক লাকছে, ভাত দাও”
তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে সতর্কতার সাথে কুলসুমের চলাফেরা লক্ষ্য করতে থাকে বিছানায় বসে। প্লেট ধুতে ধুতে কুলসুম জিজ্ঞেস করে,
“সিগারেট য্যা!”
এবার বেশ আয়েশী ভঙ্গীতে বালিশে হেলান দিয়ে আবুল বলে,
“কাইল রাইতে বহুগুলা ওয়াগন খালাশ করলাম। পকেটে বহুত মালপানি। লাগবো নি তোমার?”
“না” মৃদুস্বরে উত্তর দেয় কুলসুম, “খাইতে আহো”

অর্ধেক সিগারেট নিভিয়ে ঘরের কোনে হাত ধুয়ে খেতে বসে আবুল। কুলসুমও বসে তার সাথে। মাঝখানে আবুল একবার বলার চেষ্টা করে, “কী আর করবা কও,.........”। কিন্তু এককভাবে কথাবার্তা বেশীদুর এগোয়নি আর। খাওয়াদাওয়া শেষে বিছানায় বসে আগের সিগারেট আবার ধরায় আবুল আর মুগ্ধতার সাথে সিনেমার মতো দেখতে থাকে কুলসুমের এদিক ওদিক আসা যাওয়া।
কাজ শেষ হওয়া পর্যন্তই সে যা অপেক্ষা করে। তারপর একটা সেকেন্ড ব্যয় না করে পেছন থেকে শক্ত পেশীবহুল হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে কুলসুমকে। ডান হাতটা তীর্যকভাবে সাপের মতো অনায়াসে ঢুকে পড়ে কুলসুমের ব্রাহীন ব্লাউজের ভেতর। অন্য হাত তখন ব্যাস্ত কাপড় খোলায়। কুলসুম শুধু মৃদু গলায় একবার বলে, “আহ, আস্তে”। যার উত্তর দেবার সময় তখন আবুলের নেই। সে শুধু একটু খানি থামে যখন কুলসুম তাকে রাজার প্যাকেট ছিড়তে না করে। যা সে প্রতিবারই চায় কিন্তু কুলসুম করতে দেয় না তা হচ্ছে দেখে একটু বোধহয় খুশী হয়েই মাথা নেড়ে আবার ব্যাস্ত হয়ে পড়ে সে কথা না বাড়িয়ে, অতিশীল দায়িত্ববানের মতো।

কুলসুম ক্রমাগত উপর নিচ হতে থাকা পেশীবহুল দেহটার পাছা এবং পিঠে হাত বুলিয়ে উতসাহ দিতে দিতে চিন্তা করতে থাকে যে তার ৫০ টাকা বেতন বৃদ্ধির খবর স্বামীর কাছে চেপে যেতে হবে। পোষ্টঅফিসে জমিয়ে সে হয়তো ১০-১৫ বছরের মধ্যে একটা সিএনজি কিনে ফেলতে পারবে। সে চোখের সামনে দেখতে পায় এক উজ্জ্বল তরুনের ঢাকা শহর বিজয়গাথা। চোখ বন্ধ করে সে বলে উঠে, "আহ"।
আবুল তখন কর্মবীরের মতো তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছিলো। তাই সে এই “আহ” শীতকার টিকে প্রসংশাসূচকই ধরে নেয়।

-------------
মেঘনাদ


মন্তব্য

স্নিগ্ধা এর ছবি

গল্পটা বেশ ভালো তো! সচলায়তনে এটাই প্রথম লেখা নাকি? স্বাগতম!

সাব্বির [অতিথি] এর ছবি

আপনার মন্তব্য পেয়ে আমি সত্যিকার অর্থেই প্রচন্ড আপ্লুত হলাম। ব্যংগ হিসেবে নেবেন না দয়া করে। আমি আপনার লেখা পড়েছি প্রায় সবগুলো তার পরপর। শুভকামনা রইলো।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ব্যঙ্গ হিসেবে নেই নি। আপনাকে কয়েকটা কথা বলি, আপনিও দয়া করে চেষ্টা করবেন আমার কথাগুলোকে বাঁকাভাবে বা আক্রমণ হিসেবে না নিতে।

যে বক্তব্যটা প্রমাণ করার জন্য আপনি এই গল্পটা লিখলেন, সেটা আপনি এর চাইতে অনেক কম পরিশ্রমে এবং কম সংখ্যক মন্তব্যেই 'ক্ষরণ' পোস্টে প্রকাশ করতে পারতেন না কি, যদি একদম প্রথম থেকেই এতো এগ্রেসিভ এপ্রোচ না নিতেন?

আপনার মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছিলো যে গল্পটা পড়ে আপনি 'রেগে' গিয়েছিলেন, কেন?! যে কোন লেখা আমাদের ভালো না লাগতে পারে, বিরক্তিকর লাগতে পারে, অর্থহীন কি আরো নানাকিছুই লাগতে পারে, কিন্তু তাতে ওরকম ক্ষেপে যাওয়ার কী কারণ থাকতে পারে? এমন তো না যে তানবীরা নোরা চরিত্রের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নারীদের একটা 'ভুল আধুনিকতা'র দিকে ঠেলে দেয়ার পায়তাড়া করছে, বা ওটা কোন ধরনের প্রোপাগান্ডা পোস্ট ছিলো!

এখন যে কথাটা বলতে যাচ্ছি সেটাকে আপনি একটু টানাহ্যাঁচড়া করলে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে দেখলেও দেখতে পারেন, কিন্তু আমার উদ্দেশ্য একেবারেই সেটা নয়। এবার কথাটা বলি - আপনি 'দর্শন' জিনিষটি খুব প্যাসনেটলি হয়তো দেখেন/উপলব্ধি করেন, কিন্তু আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা খুব সীমিত এবং একপেশে, আর, আমার ধারনা ছিলো দর্শন টর্শনের মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে 'পর্যবেক্ষণ' ব্যাপারটা অপরিমেয় গুরুত্ব রাখে!

আমাকে ঐসব রূঢ় কথা বলার পরেও (অবশ্য আমিও বিদ্রূপ করেছি, উত্তরে) আপনাকে এতো লম্বা প্রতিমন্তব্য করার কারণ একটাই - আমার ভীষণ কৌতূহল হচ্ছিলো জানার যে কেন একজন পাঠক একটা গল্প পড়ে এভাবে পাইকারি দরে সব্বার সাথে (রিয়াজ উদ্দিন ছাড়া) কটু ব্যবহার করার মত পর্যায়ে পৌছুবে! কোন কারণে যদি নোরার স্বামীর সাথে নিজেকে আইডেন্টিফাই করেও থাকেন (যেমন আমি খুব সহজেই নোরার জায়গায় নিজেকে দেখতে পাই) তারপরও আপনার ব্যবহার যৌক্তিক ছিলো না। এমনকি আজকেও আপনি তানবীরাকে 'অভিমান' নামক অসুখে ভুগছে বলে একরকমের অভিযুক্তই করলেন!

আরেকটা কথাও বলে রাখি - আমার এ মন্তব্যের উত্তরে যদি আবারো আগ্রাসী ধরনের কিছু লেখেন, আমি আর কোনরকম তর্কাতর্কি বা আলোচনাতেই যাবো না। সেক্ষেত্রে, বিদায়, এখানেই। আপনার জন্যেও শুভকামনা রইলো।

মেঘনাদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। অনেকক্ষন কোনো মন্তব্য না পেয়ে ভয়ে ভয়ে ছিলাম ।
শুধু ব্লগেই না, লেখালেখিতেও একেবারে নতুন। তাই আরেকটু বিস্তারিত মন্তব্য হলে আমার জন্য সুবিধা হতো। অনুরোধ সবার প্রতিই রইলো। যেহেতু আমি জানি এখানে সবাই কমবেশী অনেকদিন ধরে লেখালেখি করছেন।

নজমুল আলবাব এর ছবি

গল্পটা পড়ে গল্প বলেই মনে হলো।
সুন্দর।

আমি বড়ো করে লিখতে পারি না। অল্পতেই সব কথা বলা হয়ে যায়। অন্যরা যখন বড়ো বড়ো গল্প নামায়, তখন সেটা দেখে অবাক হই। আপনার গল্পটা সেরকম ইর্ষা করার মাপ হয়তো পেতে পারতো।

আরো লিখুন। এমন বুনটের লেখা পড়তে ভালো লাগে।

------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

সাব্বির [অতিথি] এর ছবি

“আপনার গল্পটা সেরকম ইর্ষা করার মাপ হয়তো পেতে পারতো”

অনেক অনেক ধন্যবাদ এই চমতকার মন্তব্য এবং পর্যবেক্ষন উভয়ের জন্য।
আমার নিজেরও অনেক ইচ্ছা ছিলো কারন প্লটটা সেরকম একটা গল্পের জন্যই উপযোগী ছিলো। কিন্তু প্লটটা যেহেতু চুরি করা তাই আমাকে কলম চালাতে হয়েছে খুবই সাবধানে, যান্ত্রিক ভাবে। কারন হাত খুললেই তাতে স্বকীয়তা ঢুকে যায় যেটা আমার জন্য বিপদের, কারন এই পরিচয়ে এটাই আমার শেষ লেখা হবে। আমি শুধু চেষ্টা করেছি সবচেয়ে কম কথা বলে একটি পূর্নাংগ গল্প লিখতে।
আবারো ধন্যবাদ।

রেশনুভা এর ছবি

চমৎকার। ভিন্ন স্বাদের গল্প।
দু'একটা বানান ভুল/টাইপো চোখে পড়ল। যেমন একেবারে শেষ লাইনে "প্রসংশা" হবে প্রশংসা। যাই হোক, আপনার লেখা বেশ ভালো; আরও লেখা চাই। লিখতে থাকুন।

মেঘনাদ এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ। উতসাহ পেলাম।
আর ............ আউচ।(সমস্যাটা হচ্ছে নিজের লেখা কী করে সম্পাদনা করতে হয় তা এখনো বুঝে উঠতে পারিনি। চেষ্টা করছি)

নিবিড় এর ছবি

প্রথম লেখার অভিনন্দন। গল্পটা পড়ে ভাল লাগল, সহজ সাবলীল ভাষা, সুন্দর কাহিনী চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মেঘনাদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

চমৎকার গল্প আর লেখার হাত! লেখালেখিতে নতুন বলে মনেই হয় না। "... এখানে সবাই কমবেশী অনেকদিন ধরে লেখালেখি করছেন।" কথাটা পুরোপুরি ঠিক না। আমরা অনেকেই এখানে অনভিজ্ঞ লেখক আর অলেখক আছি। নিশ্চিন্তে হাত খুলে লিখে যান।

সচলে স্বাগতম।

মেঘনাদ এর ছবি

বাপরে!!
অনেক ধন্যবাদ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সচলে স্বাগতম!

আপনার লেখার হাত ভালো। লেখায় ছোট ছোট বর্ণনাগুলো খুব সুন্দর এসেছে। আরও লিখুন।

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

মেঘ্ননাদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

_প্রজাপতি এর ছবি

সচলে স্বাগতম, আরও লিখুন ।

----------------------------------------------------------
ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

ছিন্ন পাতার সাজাই তরণী, একা একা করি খেলা ...

সাব্বির [অতিথি] এর ছবি

ব্যাপারটা যেহেতু একধরনের চুরি তাই বেশীক্ষন তথ্য গোপন রাখার সাহস পাচ্ছি না। আর আমার ধারনা ঘুরে ফিরে এ ধরনের এক শব্দের মন্তব্যই আসতে থাকবে বারে বারে। যদিও আমার উদ্দেশ্য তা ছিলো না।
এখন আসা যাক মূল প্রসংগে। এ প্লটটি মানিকের দিনপঙ্গি থেকে উদ্ধার করা “সম্ভবপর গল্পের প্লট” থেকে চুরি করা হয়েছে। প্লটটি ছিলো এরকমঃ

“বোকা হাবা কুতসিত ছেলে- ছেলে মরিয়া গেলে স্বামীর বদলে পরিচিত সুন্দর যুবকের দ্বারা স্ত্রীর সুশ্রী সবল সন্তানলাভ”

এখন আসা যাক কেনো সে প্রশ্নে। আমি সাব্বির। তানবীরা এর “ক্ষরণ” নামক পোষ্টে খিস্তি খেঊড় (হিমু দ্রষ্টব্য) এর লেখক। এ গল্পটি লেখা হয়েছে একমাত্র তার জন্যই এবং আমি অত্যন্ত দুঃখিত আপনাদেরকে বিরক্ত করার জন্য।

প্রিয় তানবীরা,
আজ সারাদিন এ আমি বার বার এ পোষ্টে এসেছি আপনার মন্তব্যের খোঁজে। অনলাইন এ আপনার অনুপস্থিতি আমাকে ভাবতে সাহায্য করেছে যে আপনি অভিমান নামক একটি রোগে ভুগছেন (যার অস্তিত্ব Oxford Dictioanry নেই)। তাই যদি হয় তবে আমি আপনার জন্য দুঃখিত হবো। এ গল্পটি লিখেছি যেনো আপনি মিলিয়ে দেখতে পারেন। আমি চেষ্টা করেছি, নোরা থেকে বাহ্যিক ভাবে যতোটা দূরে সম্ভব ততদুর গিয়ে আধুনিক নারী নির্মান করার। কুলসুম একজন আধুনিক নারী। আপনি যদি কুলসুম এবং নোরার পার্থক্য ধরতে পারেন তাহলে পরবর্তী প্রচেষ্টাগুলোতে “নোরা” নামক স্বপ্নজাত আজগুবি চরিত্রগূলো আমদানি করবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।
ক্লুঃ মানুষ আধুনিক, উত্তরাধুনিক, সেকেলে হয় তার স্বপ্ন, আশা, আকাংক্ষা, সাহস এবং কাজকর্মে।

***আপনার ওই মন্তব্য (ফেসবুক, এখন সচল......) আমাকে সত্যিকার অর্থেই হতভম্ব করেছে!!!!!!!!এখনো করছে। তাই এই পরিচয়ে আপনার সাথে মোলাকাতের এখানেই সমাপ্তি টানছি। ভালো থাকবেন।

হিমু এর ছবি

নিজের বক্তব্য পরিষ্কার করে বোঝানোর জন্যে সাব্বিরের এই অভিনব উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অন্যের সাথে তর্কে তার শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে, কিংবা তাকে নিজের কান কেটে পাঠাতে না চেয়ে বরং নিজে আরেকটা গল্প লিখে উদাহরণ দেখানো অনেক বেশি শোভন উপায়।

চলুক



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মূলত পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো খুবই।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটা ভালো লাগল, টাইপো নাকি আসলেই বানান ভুল ঠিক বুঝলাম না, আপনার লেখার ক্ষমতা দেখানোর উপায় দেখেও সাধুবাদ দিতে হল, কারন সেটা আপনার প্রাপ্য, কিন্তু কে মন্তব্য করবে, কে করবে না, এবং সেটা নিয়ে আপনে অযথা উসকানি মুলক মন্তব্য কেন করছেন? এতদিন ধরে সচলে লেখা পড়েন, আপনার তো "আপনা" এর স্পেল চেকারের কথাও জানার কথা। সচলে স্বাগতম।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

কারণ... চোখ টিপি
"অপনা", যদি ভুল মনে না থাকে

আমার কাছে কিন্তু উসকানি মনে হয়নি মোটেও। বরং আগের পোস্টের ভুল বোঝাবুঝি অতিক্রমের জন্য বেশ ভালো পথ মনে হয়েছে। সব ঝগড়ার সমাপ্তি একটা নতুন গল্পে হলে কত ঋদ্ধ হতাম, ভেবে দেখুন!

সাব্বির/মেঘনাদ-কে সচলায়তনে স্বাগতম।

রায়হান আবীর এর ছবি

চট করে দেখে আসলাম, সচলে আমার প্রায় এক বছর নয় মাস হয়েছে। আমি নিয়মিতই ছিলাম, কিন্তু কী কারণে যেন আমারও এখানে "অপনা" এর কথা চোখে পড়েনি, অন্য কোনখানে দেখেছিলাম খুব সম্ভব ... তাই সাইফ ভাই, আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি বানান নিয়ে "সাব্বির" ভাইয়ের উপর আপনার ঝাঁপিয়ে পড়া নিতান্তই আগের পোস্টের ক্ষোভ। সেখানেও তো আপনি কম ক্ষোভ ঝাড়েন নাই ভাই ... একটু কুল হন। আশা করি আমার মন্তব্যে একদমই কিছু মনে করবেন না ...


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

s-s এর ছবি

গল্পটা কিছু না জেনেই পড়লাম। এত নাটক গল্পে (এবং গল্পের পেছনেও) জেনে তানবীরাদি'র গল্পটা পড়ে আসতে হলো। হয়তো এটাই সাব্বিরের সার্থকতা, আমাকে পাঠক হিসেবে আরেকটা লেখা পড়তে উৎসুক করে তোলা। সমালোচনার এই ধারা বজায় থাকুক। আর আমার কাছে মেঘনাদের কিছু পর্যবেক্ষণ সীমিত মনে হলেও খিস্তিখেউড় মনে হয়নি কিন্তু। খিস্তি খেউড় বলাটা একটু রূঢ় মনে হয়। সমালোচনার জায়গাটি থাকা ভালো, কিন্তু কেবল ব্যর্থ লেখকরাই সমালোচক হন এই টেমপ্লেটে সাব্বির পড়ে গেলে কিন্তু মুশকিল হাসি (টেমপ্লটকাকু? হাসি )। মানিকে মুগ্ধতা আছে বুঝতে পারছি, কিন্তু সেটাকেই বেদ বাইবেল ধরে নেয়া কেন? আমাকেও ওই গল্পটি হতাশ করেছে, বহুল ব্যব হৃত প্লটের জন্য নয়, কথনশৈলীর দুর্বলতায়, যেটি লেখিকার অত্যন্ত ভালো আয়ত্ত্বে থাকার কথা,এবং যেটির আমি ভক্ত। ওই লেখাটিতে সেটি অনুপস্থিত ছিলো এবং সবিনয়ে জানাই দহনের ঘটনার সাথে আমিও মিল পেয়েছি যেটি তুলিরেখাও বলেছেন, তাই বাংলা সিনেমা বললেই রেগে টং হবার মতো হয়তো কিছু নেই। তানবীরাদি, আপনি অভিমান করবেন না। আহত হয়ে থাকলে ভুলে যান, ক্ষমা করে দিন। আমরা আমরাই তো। প্লিজ লিখুন আরো, এসব ভুলে যেয়ে। সাব্বির আপনাকে স্বাগতম, আমাদের প্রতি, আমাদের লেখার প্রতি আরো একটু সদয় হোন হাসি, এই আশা করি। আমি কিন্তু মানিকের এই গল্পের সাথে তসলিমার শোধের ও মিল পাচ্ছি, পেতে পেতে এরকম অনেক মিলই পাওয়া যেতে পারে। পরেরবার চৌর্যবৃত্তি নয়, মৌলিক গল্প পাবো এই আশা করছি। হাসি

স্নিগ্ধা এর ছবি

s-s হিমু slut, bitch এগুলোকে খিস্তি বলেছিল বোধহয়, এবং সেটা তাইই কিন্তু হাসি

সমালোচনার জায়গাটা থাকা ভালোই শুধু না, খুব জরুরীও, নাহলে ব্লগের উপকারিতা অনেকখানিই মাঠে মারা যায় যে!

কিন্তু, সমালোচনাকারীর প্রকাশ 'ক্ষমতা' (আমি প্রকাশভঙ্গির কথা বলছি না কিন্তু) এক্ষেত্রে খুব জরুরী, নাহলে হয়তো অনেক ভালো পয়েন্টই যাকে বলে lost in translation হয়ে যায়।

সবজান্তা এর ছবি

এহ-হে, মুখের কথা কেড়ে নিলেন !

আমি সেই লেখায় জনাব সাব্বিরের আলোচনা উপভোগই করছিলাম, কিন্তু উনার ব্যক্তি আক্রমনটা এতো বেশি চোখে লাগছিলো যে, প্রায়ই ভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিলো বলে মনে হচ্ছিলো। যেটা আমার কাছে এক ধরনের খিস্তিই।

আমি আবারও বলি, অপ্রিয় সত্য ভাষণের পক্ষে আমিও, তবে তা কখনোই পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের জায়গাকে আহত করে নয়।


অলমিতি বিস্তারেণ

যুধিষ্ঠির এর ছবি

অন্য পোস্টে দেয়া নিজের বক্তব্য পরিস্কার করাই যদি উদ্দেশ্য হবে, তাহলে নাম নিয়ে লুকোচুরি খেলাটা অপ্রয়োজনীয় মনে হলো।

উদ্যোগের অভিনবত্ব প্রশংসার দাবী রাখে, মানছি। তবে নিজের অবস্থানের পরিস্কার ব্যাখ্যা দেয়ার সাথে সাথে অন্য পোস্টে অন্যান্যদের প্রতি করা নির্দয় আচরণের ব্যাখ্যা থাকাটাও জরুরী ছিলো, "লিখে দেখিয়ে/শিখিয়ে দিলাম" মনোভাবের চাইতে। আমাদের ঋদ্ধির তো দরকার অবশ্যই আছে, কিন্তু সেটা কি মূল্যে, সেটা নিয়ে আমি ভাবিত।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনার লেখায় গতি আছে। তবে একই বক্তব্যের গল্প সম্ভবত কোথাও আগে পড়েছি। পড়লেও ব্যাপার না, সূর্যের নিচে নাকি নোতুন করে কিছু সৃষ্টি হয় না। হাসি

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মুশফিকা মুমু এর ছবি

omg এতো দেখা যায় R - রেটেড গল্প অ্যাঁ

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রায়হান আবীর এর ছবি

কোনরুপ ঘটনা সম্পর্কে না জেনে গল্পটা পড়লাম। দারুন লাগলো তো! চলুক

সাব্বির ভাইকে সচলে স্বাগতম ...


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার ঝরঝরে গদ্যের হাত খুবই চমৎকার।আগামীতে আমরা একজন শক্তিশালী গল্পকারের দেখা পাব বলে আশা করি।ব্লগে স্বাগতম।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।