বাংলাদেশ টেলিভিশন - ২

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১০/০৫/২০১০ - ১১:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাঈদ

টেলিভিশন নিয়ে প্রথম পর্বে সবার কমেন্ট দেখে আমি চিন্তায় ছিলাম কবে ২য় পর্ব দিব, আবার স্মৃতির ঝাঁপি খুলে নিয়ে বসবো। আজ তাই সেই তাগাদা থেকেই ২য় পর্ব লেখা (ঠিক লেখা না, টাইপ করা)

টিভি প্রোগ্রাম চালু হবার আগ থেকেই ঘরের ভিতর ঘুর ঘুর করতাম , কখন আরম্ভ হবে টিভি। ঘোষক ঘোষিকা দের সেই ঘোষনা - তারপর পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত তারপর ত্রিপিটক বা বাইবেল বা গীতা পাঠ , অনুষ্ঠান সূচী - সবকিছুই গোগ্রাসে গিলতাম। যা দেখতাম তাইই ভালো লাগতো। তবে মেজাজ টা খারাপ হতো ৫.২০ এ খবর দেখালে কারন তার পর পরই কার্টূন শুরু হবে।

শেজান এর পর মিকি মাউস, টম এন্ড জেরী, তারপর এল স্কুবিডু , স্পাইডার ম্যান, সুপার ম্যান, ইনক্রিডিবল হাল্ক , প্লাস্টিক ম্যান তারপর আরো আরো কত কি। আরেকটা কার্টূন ছিল - ৫ জন, ৫ জনের কাছে ৫ টা পাওয়ারের আংটি - আগুন, পানি , বাতাস - এরকম কি কি , সেইটা বেশ পছন্দের ছিল সেই সময়। থান্ডার ক্যাটস এসেছে অনেক পরে , সম্ভবত ৮৬-৮৭ এর দিকে। থন্ডার ক্যাটস যখন চলে, তখন একদিন স্কুলে আমাদের বাংলা ২য় পত্র স্যার ক্লাসে আমাদের সমাস শিখাবেন। সমাস শিখাতে তিনি বোর্ডে লিখলেন - মা মরা, অর্থাৎ মা মরেছে যার। আমরা তো মনে করলাম কার্টূনের সেই মামরা , আমরা প্রবল উৎসাহে মামরা মামরা করতে লাগলাম ক্লাসে, ফলাফল......

কার্টূনের পর পর বিতর্ক না হলে সাধারন জ্ঞানের প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান হতো টিভিতে। ৮১-৮২ এর দিকে ছিল সাঃ জ্ঞানের অনুষ্ঠান সোনার হরিন। সোনার হরিন কথা কও - এরকম একটা গান ছিল মনে হয় টাইটেল সং। উপস্থাপণা করতেন শফিক রেহমান।

একটু বড় হলে বিতর্ক টা খুব উপভোগ করতাম - বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের ছাত্র দের বিতর্ক টা ছিল অসম্ভব রকম সুন্দর।
এখন ছাত্ররা বিতর্ক করে কি না জানিনা অবশ্য।

ছোট বেলা থেকে এসো গান শিখি রেগুলার দেখলেও গান শেখা হোল না আজও। চিরকাল একই রকম রয়ে গেলেন ফেরদৌসি রহমান, ২০/২৫ বছর আগেও যেরকম , এখনও সেরকম রয়ে গেছেন। তার গান থেকে এই রুপের রহস্যের প্রতি আমার আলাদা ঝোক বরাবর।

এসো গান শিখির মিঠু মন্টি গান শিখে ফেললো , আমি পারলামনা ।
এসো গানসশিখির ছোট বেলার একটা গান এখনো মনে পড়ে -এরকম ছিল গানটা -
ক এ কলা খ এ খাই ,
এত কলা খেতে নেই,
গ এ গরু ঘ এ ঘাস ,
কত ঘাস খেতে চাস ,
ঙ বলে কোলা ব্যাঙ ,
সারা দিন ঘ্যান ঘ্যান ,
ক খ গ ঘ ঙ ( এখানে ঙ বলে একটা লম্বা টান হবে)।

টিভিতে ৭ টার দিকে বোরিং বোরিং অনুষ্ঠান গুলা হোত যেমন - আধূনিক গানের অনুষ্ঠান - একটা ম্যড় ম্যাড়ে সেটে অল্প অল্প আলোর মধ্যে এসে (এরকম সেট এখনও আছে মনে হয়) শিল্পিরা কি কি গান গেয়ে যেতেন ( আমার মা বলতেন - বানিয়ে বানিয়ে গান , মানে আগে থেকে সুর , কথা ঠিক নাই, ঐখানেই বানিয়ে , যা মনে আসে গেয়ে যেত) । না হলে রবীন্দ্র সঙ্গীত কিংবা নজরুল সঙ্গীত - অবশ্য তখন আমাদের পড়ার সময় ছিল , তত বেশী কষ্ট লাগতো না এসব অনুষ্ঠান না দেখতে পারার।

বিটিভির রঙীন ক্যামেরা এল সম্ভবত ৮১ সালের দিকে। সেটা এক মজার কাহিনী। তখন আউটডোরের শুটিং হত রঙীন ক্যামেরায় আর ইন্ডোরের শুটিং হত সাদা কালো ক্যামেরায়।

সকাল সন্ধ্যা নাটক চলছিল সেই সময়, দেখা যেত নাটকের শিমু (নামটা সঠিক কিনা জানিনা) ভাবীর (আফরোজা বানু) শ্বশুড় বাড়ী বিরাট বড়লোক , সেটের বাইরে কোন বাসায় শুটিং হত -সেটা ছিল রঙীন আবার নাটকের পরের দৃশ্যেই সেটের ভিতর ঢুকলে সাদা কালো । আংশিক রঙীন সিনেমার মত আংশিক রঙীন নাটক দেখার সৌভাগ্য হয়েছে বলা যায়।

নতুন ক্যামেরা এক , নতুন করে অনেক শুটিং - রুনা লায়লা - সাবিনা ইয়াসমিনের গান রেকর্ড হোল নতুন আনা রঙীন ক্যামেরায়। রঙীন ক্যামেরা বলেই মনে হয় তারা চক্কর বক্কর কালার ফুল শাড়ী পরে গান রেকর্ড করলেন। আমার মন পাখি টা যায় রে উড়ে যায় কিংবা আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটি পলাশ ফুলের মালা কিংবা মাঝি নাও ছাইড়া দে ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে - এইসব গান ঐ সময়ে রেকর্ড করা।

সকাল সন্ধ্যা , মাটির কোলে এক সাথে চলছিল এর পর এল ঢাকায় থাকি। তারপর অল্প কিছু ধারাবাহিক, কিন্তু তেমন জনপ্রিয় হয়নি সেগুলো তারপর হুমায়ুন আহমেদ এর একচেটিয়া জয় জয়কার ধারাবাহিক নাটকে ।

প্রথমে সিনেমা দেখানো হোত তিন মাসে একবার , তাও সেটা প্রায় নির্বাক চলচিত্রের আমলের সিনেমা , রিলের ভিতর ঘষা মাজা । তারপর সেটা এল মাসে একবার। সিনেমা দেখানোর দিন আমাদের বাসাটা একটা মিনি সিনেমা হলেই পরিনত হতো - ৮ টা বাজতেই আত্মীয় স্বজন এসে হাজির তারপর পাড়া প্রতিবেশী তারপর দূর দূরান্ত থেকে লোকজন । এখনকার নাটকের মাঝে যতগুলা বিজ্ঞাপন দেখায় , আগে সিনেমার মধ্যে ততগুলাই বিজ্ঞাপন দেখাতো - একটা ছিল - হাবিবউল্লাহ মার্চেন্ট , করিমউল্লাহ সু স্টোর - সিনেমা আরম্ভ হলেই এটা দেখতাম ।

তবে ছোট বেলায় মন কেড়েছিল মায়া বড়ির বিজ্ঞাপন - স্থির ছবি তে রোজিনার মুখ আর ব্যাকগ্রাউন্ডে আহা মিষ্টি কি যে মিষ্টি - এই জিংগেল টা স্থান কাল পাত্র বিবেচনা না করেই (তখন এত কিছু বিবেচনা করার বয়সই হয়নাই) গেয়ে উঠতাম , একদিন তার ফলে গালে রাম থাপ্পড়... আর ছিল গ্যাকোটাচ এন্টিসেপটিক ট্রিপল একশন সোপ (এইটা অবশ্য তখন উচ্চারন করতে পারতাম না)। এল মিল্লার ঘামাচি পাওডার , এপি দশন চূর্ণ, অনেক পরে এল জনি প্রিন্ট শাড়ী , আরও অনেক শাড়ীর বিজ্ঞাপন - সিনেমা শুরু হলেই শাড়ীওয়ালা দের উৎপাত শুরু হতো।

টিভিতে আরেকটা জিনিস দেখতে বেশ মজা লাগতো - হীরামন - রুপকথা নিয়ে বানানো নাটক - অন্য রকম ভাবে বানানো হোত। হীরামনের জন্য মনে হয় কিছু নায়ক নায়িকা ফিক্সড ছিল, সূবর্না , আফজাল এরকম নায়ক নায়িকাদের কোনদিন দেখিনি হীরামনে অভিনয় করতে।

টিভির প্রথম দিকের ইংরেজী রিরিয়াল ছিল দ্যা ফল গাই, পরে আবার দেখায়েছে এই রিরিয়াল টা। তারপর এলো সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যান , বায়োনিক ওমেন, ম্যান ফ্রম আটলান্টিক। ৮৪ তে চলতো নাইট রাইডার। তারপর দি এ টিম, মিঃ টি ছিল খুবই পপুলার তখন, তারপর এল ম্যাকগাইভার - সর্ব কালের জনপ্রিয় সিরিয়াল। এরপর ওশিন , এক্স ফাইলস আরো অনেক গুলা রিরিয়াল।

স্কুলে গিয়ে আড্ডা দেবার জন্য প্রতিদিনই কিছু না কিছু ছিল টিভিতে । প্রতিদিনই ক্লাস শুরু হবার আগে হাই বেঞ্চে বসে গোল হয়ে জমতো গতকাল দেখা কার্টূন অথবা ইংরেজী সিরিয়াল অথবা নাটক নিয়ে আড্ডা, পরের পর্বে কি হবে তার চুলচেরা বিশ্লেষন পরের পর্বের অপেক্ষা ...

আর ছিল মুভি অফ দ্যা উইক, বিশ্ব নাটক , নির্বাচনের সময় , ঈদের অনুষ্ঠান - সেটা নিয়ে আরেকদিন।

পাঠক চাইলে পরের পর্বে লেখার আশা করছি ।

সাঈদ।


মন্তব্য

শিশিরকণা [অতিথি] এর ছবি

আরেকটা কার্টূন ছিল - ৫ জন, ৫ জনের কাছে ৫ টা পাওয়ারের আংটি - আগুন, পানি , বাতাস - এরকম কি কি

ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট- হি ইজ আ হিরো, গনা টেক পলুশন ডাউন টু জিরো।
আমারও খুব প্রিয় কার্টুন এটা। টিনেজ মিউট্যান্ট নিনজা টার্টলসের কথা ভুলে গেছেন? আর কিসিফার, কেয়ার বিয়ারস?
ছায়াছন্দের কথা না লেখা পর্যন্ত এই সিরিজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
শুক্রবার সকালে দেখাত টারজান , গার্ল ফ্রম টুমরো আরও চমৎকার সব সিরিজ। 'মনের মুকুরে' নামে একটা অনুষ্ঠানে অনেক পুরনো আর্কাইভড অনুষ্ঠান দেখছি। দুপুরে বাংলা সিনেমার মাঝে বিজ্ঞাপন বিরতিতে গড়ে ৪২ টা বিজ্ঞাপন দেখাত। অই বয়সে এই বিজ্ঞাপনের বহরের উপর একটা চমৎকার পরিসংখ্যানভিত্তিক রিপোর্ট বানিয়েছিলাম, উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশে কতগুলা ব্রান্ডের ছাপা শাড়ি পাওয়া যায় সেটা সংগ্রহ করা।স্ট্যাম্প জমানোর মত আরেকটা কালেকশন আর কি...

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট !! উ-হু-উ!! দেঁতো হাসি

টিনেজ মিউট্যান্ট! হাসি

আর কিসিফারের নামটা আমি মনে করতে পারছিলাম না অনেক দিন ধরে, ধন্যবাদ শিশিরকণা!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
নীলগিরি ডাকছে আমায়
ভাসতে হবে মেঘের ভেলায় ...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সিরিজ গুলোর কথা তো আপনি বলেই দিলেন। ... বিশ্বনাটক বলে একটা একঘন্টার নাটক দেখানো হতো, সেটার কথা মনে আছে কারণ মোপাঁসা আর ও'হেনরির দুইটা চমৎকার গল্প অবলম্বনে সেটার দুটো পর্ব হয়েছিলো- যে গল্পগুলো বড় হয়ে পড়েছি পরে...।

মন্টিমিঠুর এসো গান শিখির কথাও আবছা করে মনে পড়ে...

নাটক বললেই অয়োময়, কোথাও কেউ নেই, বারো রকমের মানুষ, রুপনগর, তথাপি -এই কয়েকটার কথা মনে আসে। এগুলো অবশ্য আরো পরের...

সিরিজ চলুক।

_________________________________________

সেরিওজা

খেকশিয়াল এর ছবি

বিশ্বনাটকে মাঙ্কি'স পো দেইখা কাইপা গেসিলাম!

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

গৌতম এর ছবি

আচ্ছা, ম্যাকগাইভারের সিডি বা ডিভিডি পাওয়া যায় কিনা জানেন কেউ?

আপনার লেখা পড়তে পড়তে ছায়াছন্দের গানটা মনে পড়লো-

গীতিকাল লিখে গান
সুরকার দেয় সুর
শিল্পীর কণ্ঠে, সুর ও ছন্দে
হয়ে ওঠে সুমধুর।
...সুমধুর, সুমধুর। হাসি
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বস, ম্যাকগাইভারের চারটা সিজন সম্ভবতঃ আছে। প্রতি সিজনে ৩২টা করে পর্ব। রাইফেলস স্কোয়ার, বসুন্ধরা- সবখানেই পাওয়া যায়।

... আমি নিজে একটা সিজন কিনসিলাম। পরে দেখে মনে হৈলো, বাচ্চাকালের মুগ্ধতাটার কিছুটা রেখে দেই। পুরাটা দ্যাখা অনুচিত হবে। তাই পরেরগুলা নেই নাই...

_________________________________________

সেরিওজা

নাশতারান এর ছবি


মজা পেলাম। অনেক পুরোনো কথা মনে পড়ে গেলো। বিটিভি দেখা শুরু করি নব্বইয়ের শেষভাগ থেকে। টিভির পোকা ছিলাম সেসময়। খবর বাদে সবই দেখতাম। বিজ্ঞাপনও ভালো লাগত। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলোও খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। ৫ জনের ৫ রকম পাওয়ার নিয়ে যে কার্টুন ওটা ছিলো ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট। এসো গান শিখি থেকে অনেক গান শিখেছি। হীরামন খুব প্রিয় ছিলো। শুক্রবারে হতো মনের মুকুরে। পুরোনো নাটকগুলো নিয়ে। আর প্রিয় ছিলো 'দ্য গার্ল ফ্রম টুমরো'।

সে সময়ে বিচিত্র কিছু বিজ্ঞাপন হতো। কী জানি একটা গোলাপজলের বিজ্ঞাপন হতো যেখানে দেখাত বাসার সবাই খাওয়ার টেবিলে বসে বৌমার রান্নার প্রশংসায় আহা উহু করছে। আর বৌমা বলতো খাবারের স্বাদের রহস্য নাকি সেই গোলাপজল। গোলাপজলের সাথে স্বাদের কী সম্পর্ক বুঝতাম না। আর মজার একটা বিজ্ঞাপন হতো বৌরানী প্রিন্ট শাড়ির। ওই যে স্ত্রী তাঁর স্বামীর পিঠে চিরকুট সেঁটে দেয় শাড়ি আনার কথা বলে। পথে সবাই ভদ্রলোককে মনে করিয়ে দেয় শাড়ির কথা। সেই লোক বলতো: "ঘরের কথা পরে জানলো ক্যাম্নে?"
আরেকটা বিজ্ঞাপন ছিলো ফিলিপস বাত্তির। "মাছের রাজা ইলিশ আর বাত্তির রাজা ফিলিপস!" হো হো হো


আগের পর্বের লিঙ্ক দিয়ে দেবেন। পাঠকের খুঁজে পেতে সুবিধা হবে। সিরিজ চলুক।


বানানের ব্যাপারে যত্নশীল হতে অনুরোধ করছি।

ভুল বানান:
ঘোষনা > ঘোষণা, কারন > কারণ, কার্টূন > কার্টুন, সাধারন > সাধারণ, হরিন > হরিণ, উপস্থাপণা > উপস্থাপনা, হোল > হলো, রুপ > রূপ, ঝোক > ঝোঁক, আধূনিক > আধুনিক, ম্যড় ম্যাড়ে > ম্যাড়মেড়ে, ইন্ডোর > ইনডোর, চলছিল > চলছিলো, হত > হতো, হোত > হতো, চলচিত্র > চলচ্চিত্র, পরিনত > পরিণত, ছবি তে > ছবিতে,
উচ্চারন > উচ্চারণ, সূবর্না > সুবর্ণা, রিরিয়াল > সিরিয়াল, বিশ্লেষন > বিশ্লেষণ

নতুন বানান:
সূচী > সূচি, শিল্পি > শিল্পী, বেশী > বেশি, রঙীন > রঙিন, কাহিনী > কাহিনি, বাড়ী > বাড়ি, শাড়ী > শাড়ি, ইংরেজী > ইংরেজি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

আরেকটা বিজ্ঞাপন ছিলো ফিলিপস বাত্তির। "মাছের রাজা ইলিশ আর বাত্তির রাজা ফিলিপস!"

হাহাহাহা.........''ও মানিক, কি বাত্তি লাগাইলি''? দেঁতো হাসি
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

নাশতারান এর ছবি

মা: জামাই আইসে, বাজারে যা।
মানিক: বৈকালে যামুনে। (ডাব কাটতে কাটতে)

তখন মানিকের বোন বিরক্ত হয়ে আড়চোখে তাকায়। খাইছে

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

নাশতারান এর ছবি

সংশোধনী: শিল্পি > শিল্পী 'ভুল বানান'-এর আওতায় পড়ে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাগিব এর ছবি

সে সময়ে বিচিত্র কিছু বিজ্ঞাপন হতো। কী জানি একটা গোলাপজলের বিজ্ঞাপন হতো যেখানে দেখাত বাসার সবাই খাওয়ার টেবিলে বসে বৌমার রান্নার প্রশংসায় আহা উহু করছে। আর বৌমা বলতো খাবারের স্বাদের রহস্য নাকি সেই গোলাপজল। গোলাপজলের সাথে স্বাদের কী সম্পর্ক বুঝতাম না

"বৌ মা, তোমার হাতে কি যাদু আছে?

"যাদু আমার হাতে নেই। যাদু আছে রেড কাউ বাটার অয়েলে। মা-ই তো আমাকে শিখিয়েছেন।

বৌ মা ঠিকই বলেছে। আসলেই রেড কাউ বাটার অয়েলে যাদু আছে।

"(শ্বশুর) আমি-ই তো কিনি, হা হা হা"

(বিজ্ঞাপণটা অনেকটা শর্ট পাসে ফুটবল খেলার মতো। বউমার কাছে শুরুতে পাস দেয়া হলো, সে একটু নেড়ে চেড়ে শাশুড়ির কাছে পাঠিয়ে দিলো বল, শাশুড়ি একটু ড্রিবল করতে করতেই শ্বশুর এসে বল কেড়ে নিলো আচমকা।)

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

নাশতারান এর ছবি

আরেকটা ছিলো শরীফ মেলামাইনের।

বৌমার হাত থেকে প্লেট পড়ে যায় ... ঠাস!

: এ কী বৌমা! এত দামি প্লেটটা ভেঙে ফেললে?
: না মা! এ যে শরীফ মেলামাইন!

... কেনার আগে সিংহ মার্কা দেখে কিনুন ...

আর যে গোলাপজলের বিজ্ঞাপনের কথা বলছিলাম ওটা সম্ভবত এপি গোলাপজলের ছিলো। ভাসা ভাসা মনে পড়ছে।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বানানের ব্যাপারে আমি বেশ দূর্বল (এই বানানটাও কি ঠিক?)।

এর পর থেকে চেষ্টা করবো যত্নশীল হতে।

নাশতারান এর ছবি

দূর্বল > দুর্বল হাসি

বানানের জন্য অভিধান দেখে নিন।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কাকুল কায়েশ এর ছবি

আপনি অবাক করে দিচ্ছেন ভাই! আমরা সম্ভবত সমসাময়িক, কিন্তু অনেক প্রোগ্রামের কথাই আমি ভুলে গিয়েছি! কিভাবে মনে রাখলেন আপনি?

যাই হোক, খুবই ভাল লাগল এবারের পর্বটা - ছেলেবেলায় চলে গিয়েছিলাম কিছুক্ষনের জন্য!

সকাল-সন্ধ্যা ও পরে ঢাকায় থাকি নাটক দিয়েই আমার হাতে খড়ি! তবে পরবর্তীতে হুমায়ুন আহমেদের নাটক ছাড়াও যে নাটকটা সবচেয়ে বেশী দর্শকযোগ্যতা পেল, তার নাম ভুলে গেলেন কিভাবে? সংশপ্তক-এর নাম না থাকাতে কষে একটা মাইনাস!

আর কার্টুন - থান্ডার ক্যাটস-টাই বেস্ট! এছাড়া ডিফেন্ডার অফ দি আর্থ ও ভলট্রন-ও জোশশ লাগত!

আচ্ছা, শুক্রবার সকালে বাচ্চাদের আরেকটা নাটক দেখাত - যেখানে পোলাপানদের নাম ছিল দিনার, ডলার, রিয়্যাল! এই নাটকের নামটা কি যেন?

(পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকছি!)

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

আবুল কাশেম সাত্তার বিল্লাহ এর ছবি

হীরামন - রুপকথা নিয়ে বানানো নাটক

আরেকটি ছিল ‌''মনিহার''।
হীরামন/হিরামন লিখতে যা যা লাগে মনিহার/মণিহার লিখতে তা তা লাগে এইটা আবিষ্কার করে ভীষণ খুশি হয়েছিলাম।

অতিথি লেখক এর ছবি

কিছু সময়ের জন্য হলেও আপনার লেখা পড়ে ছোটবেলা থেকে ঘুরে এলাম।

মিতু
রিফাত জাহান মিতু

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার দীর্ঘ উ-কার-প্রীতি দেখে অবাক হলাম চোখ টিপি

অতিথি লেখক এর ছবি

বিজ্ঞাপনের মধ্যে খুব ছোট থাকতে আকর্ষণীয় ছিল লালবাগের হাঁসমার্কা নারকেল তেলের এ্যানিমেটেড এ্যাডটা। আমি খুব মনো্যোগ দিয়ে রাজকন্যের লম্বা চুল দেখতাম। এটা কিন্তু অনেকদিন পরে অনেক বড় ক্লাসে উঠেও আবার প্রচারিত হতে দেখেছি।
আমার একটা খুব পছন্দের একটা এ্যাড ছিল রূপসা স্যান্ডেলের -
"রূপসা, রূপসা, রূপসা। নরম নরম হাওয়াই চপ্পল রূপসা"
এর বোধহয় বাজারে বিশাল ডিমান্ড ছিল, কারণ আমি মাত্র একবারই মনে পড়ছে খুঁজে পেয়েছিলাম! হাসি

স্কুলে বৃহস্পতিবার হাফ ডের লাস্ট পিরিওড ছিল কালচারাল ক্লাস- গান, আবৃত্তি, গল্প বলা সব চলত। আমরা ঠিক করলাম এর মাঝে টিভির বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল-ও অন্তর্গত করা খুবই যুগোপযোগী দাবী হবে। কষ্ট হত রোমানা পেইন্টের এ্যাড-এ গিয়ে (যেটায় মডেল রোমানা নিজেই ছিল), অত সুন্দর জিঙ্গেলটা শেষেরদিকটায় বেশ হাই পিচ ছিল, 'এসো গান শিখি' আমাকেরকেও গান সেভাবে শেখাতে পারেনি বলেই বোধ হচ্ছে... চিন্তিত

বৌরানী শাড়ি আর ফিলিপস্‌ বাত্তির কথা বুনো বলেইছে দেঁতো হাসি

শুক্রবারের সকালগুলি অসাধারণ ছিল... কিসিফার, কেয়ারবেয়ারেরা ঘুম থেকে টেনে তুলতো। আর এগারটার দিকে থাকত নাটক (এগুলো অত আকর্ষণীয় ছিল না আমার কাছে)। কিন্তু চমৎকার ছিল বিদেশী TV Series গুলি। দুটোর নাম এখনো কেউ করে নাই দেখছি -
BBC-র Chronicles of Narnia আর ফেয়ারী টেলস।
বিবিসি চিরকাল ভাল টিভি সিরিজ বানিয়ে এসেছে, মূল বইয়ের প্রতি যত্নশীল ওরা বেশ। আমি আজ এত বড় হয়েও লিউইস-এর নার্নিয়া সিরিজ কিনে এনে পড়া শুরু করেছি, টিভি-সিরিজটা বিবিসি সত্যি দারুণ বানিয়েছিল। ফেয়ারী টেলসটার মূল নাম মনে নেই, কারও থাকলে প্লীজ জানাবেন, আর এটা কি অস্ট্রেলীয় ছিল? আমার দেখান সবচেয়ে পছন্দের আর সুন্দর এপিসোড ছিল 12 Dancing Princesses, আর সবচেয়ে কষ্টের আর ভয়ের ছিল Little Mermaid. কিছু করবার নেই, লিটল মারমেইড আসলেই কষ্টের গল্প, ওটা প্রথাগত and they lived happily ever after রূপকথা নয়। আজও ওই গল্প সমান কষ্ট দেয় আমাকে...

আপনার লেখা মনে করিয়ে দিচ্ছে পুরোনো অনেক স্মৃতি, অনেক বন্ধুদের, ছেড়ে আসা অনেক শহরও। অনুরোধ করছি একই পোস্টে সব টেনে না এনে, বিজ্ঞাপন, কার্টুন, সিরিজ নিয়ে আলাদা আলাদা পোস্ট দিতে।
আর অনুগ্রহ করে বানানগুলির প্রতি একটু যত্ন নিলে ভাল হত।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

Chronicles of Narnia আর ফেয়ারী টেলস কি আমি দেখি নাই? চিন্তিত

মীনা আর এক্স ফাইলসের কথা কেউ বলছেন না কেন? আর নতুন কুঁড়ি?

মোস্তফা মনোয়ার একটা বাচ্চাদের অনুষ্ঠান করতেন পাপেট নিয়ে(ওটা এখনো হয় সম্ভবত)। সেটাও খুব পছন্দ ছিলো আমার। পারুল নামে একটা পাপেট ছিলো, তার ভাইয়ের নাম গিট্টু। একটা গরু ছিলো আর ছিলো এক ঝগড়াটে বাউল।

জনপ্রিয় অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'ইত্যাদি' ছিলো অন্যতম। আরেকটা সিরিয়াল হতো 'কুইন', অ্যালেক্স হ্যালির কাহিনি অবলম্বনে তৈরি। হ্যালি বেরি ছিলো ওটাতে।

রূপসা চপ্পলের বিজ্ঞাপনের একটা দৃশ্য মনে আছে। এক মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে গেছে বা ছেলেটা দেখা করতে এসেছে। দুজনের পায়েই রূপসা হাওয়াই চপ্পল। মেয়েটা কালো-সোনালি ঝলমলে জামা পরা। ওই জামার সাথে কেউ সাদা-নীল হাওয়াই চপ্পল কেন পরবে এটাই আমার মাথায় ঢুকত না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইত্যাদি জনপ্রিয় ছিল না, আছে! আমি ওই একটা শো-ই এখনও চেষ্টা করি টিভিতে দেখতে। খাইছে শুভেচ্ছা-ও যথেষ্ট ভাল ছিল। হাসি

মোস্তফা মনোয়ারের ছোটদের অনুষ্ঠানটা হল মনের কথা। আর গিট্টু কি পারুলের ভাই ছিল?! চিন্তিত 'বলদ'কে আমার খুব পছন্দ আগাগোড়াই, সে আসলেই বলদ! আহারে, দেশে ছোটদের জন্যে খুব কম মানুষই কাজ করেছেন, করছেন। মোস্তফা মনোয়ারকে আমার পরম শ্রদ্ধা।

মীনা তৈরি করে আনা হয়েছিল নরওয়ের সহযোগিতায়, আমাদের পুরো পাক-ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলের জন্যে। পরের কিছু এপিসোড তৈরি করেছে ইন্ডিয়া, আমার কাছে সেগুলি বড়ই খাপছাড়া লেগেছে আমাদের দেশের পোশাক-আশাক, আচরণগত দিক থেকে।

নার্নিয়া, আর ফেয়ারী টেলস দেখাত শুক্রবার এগারটা-বারটার দিকে, পরে ঐ সময়েই গার্ল ফ্রম টুমরো দেখাত। নার্নিয়ার সময় আমরা খুব ছোট ছিলাম, আমি পরে আবার স্টার মুভিস-এ মনযোগ দিয়ে দেখেছি। শরতশিশির আপু অনেক তথ্য দিয়েছেন।

এখন USAID-এর সহযোগিতায় যে চমৎকার ছোটদের প্রোগ্রামটি হয় তা হল - সিসিমপুর। দেঁতো হাসি যাযাবর হবার আগে এটা খুবই মন দিয়ে দেখতাম আমি! দাঁড়াও আবার দেখা শুরু করতে হবে, আর একটা পোস্ট-ও দিতে হবে এটা নিয়ে!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

বড় হতে হতে ইত্যাদি'র প্রতি আকর্ষণ হারিয়েছি ক্রমশ। হানিফ সংকেতের ছন্দে ছন্দে কথা বলার স্টাইলটা আর ভালো লাগে না।

মনের কথায় গিট্টু পারুলের ভাই-ই তো ছিলো, নাকি? আমি কি মীনা-রাজু'র সাথে গুলিয়ে ফেললাম? ইয়ে, মানে...

নার্নিয়া আর ফেয়ারী টেলস মনে হয় আমার বিটিভি-জীবন শুরু হওয়ার আগে দেখাত। আমি পাইনি ওগুলো। মন খারাপ

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শরতশিশির এর ছবি

মোস্তফা মনোওয়ার কিন্তু কবি গোলাম মোস্তফার হয় ছেলে, না হলে ভাগ্নে হবেন। এই পুরো ফ্যামেলিটা খুবই ট্যালেন্টেড। ১৯৪৭-এর সময় অনেক পরিবার কলকাতা থেকে চলে আসেন, এঁনারা সেরকম। আমার দাদা-আব্বু-ফুপ্পিদের সাথে এঁনাদের খাতির ছিল - সব কলকাতা থেকে আসার সূত্রেই, আর অনেকেই শান্তিনগরে এসে উঠতেন, আমাদেরও ওখানেই বাড়ি ছিলো কলকাতা থেকে আসবার পর। বুলবুল মহলানবিশ যে ছোটদের একটা অনুষ্ঠান করতেন, দেখেছো? উনি কবি গোলাম মোস্তফার নাতনি! ওনার প্রোগ্রামেও এই গিট্টু-পারুল-বলদ আসে, তারপর মনোওয়ার আলাদা প্রোগ্রাম শুরু করেন। 'মীনা'র প্যানেলে বাংলাদেশ থেকে উনিও ছিলেন, যেমন ছিলেন আমাদের প্রফেসর সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম। সচলের সুজন্দা জুনিয়র আঁকিয়েদের মধ্যে ছিলেন, আর বাংলাদেশী আঁকিয়েদের লীড ছিলেন মনে হয় শিশির ভট্টাচার্য্য। সুজন্দা আরও ভাল বলতে পারবেন। মোস্তফা মনোওয়ার শুধু এই পাপেট শিল্পের জন্য, পুতুল নাচের জন্য কাজ করেছেন তা নয়, বিটিভি'র প্রথম সেট ওনার তৈরী করা, নিজে প্রযোজনা করেছেন, আর ডিজি-ও ছিলেন একসময়। 'সিসিমপুর' যদি উনি না থাকতেন, তাইলে শুরু করতে পারতো না এশিয়াটিক। এরকম বহুমুখী প্রতিভা আসলেই খুব রেয়ার!

আমার অশেষ শ্রদ্ধা রইলো মোস্তফা মনোওয়ার-এর মতো মানুষের প্রতি।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

খাইসে!
কুইন এ হ্যালি বেরি ছিলো নাকি? চিন্তিত

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নাশতারান এর ছবি

হ। হ্যালি-ই ছিলো কুইন।
QueenVHSCover

নিচে একটা ভিডিও ক্লিপ দিয়েছি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রাগিব এর ছবি

Queen এ হ্যালে বেরি ছিলো বটে, কিন্তু এটা কি বিটিভিতে দেখিয়েছিলো? এটার পটভূমি আমেরিকা, কিন্তু আশির দশকে যে মিনিসিরিজটি দেখিয়েছিলো, সেটা এক অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিবারকে নিয়ে। সেটার নাম ছিলো Queenie

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

টিউলিপ এর ছবি

হ্যালি বেরির কুইন বিটিভিতে দেখিয়েছিল, তবে সেটা মনে হয় নব্বইয়ের দশকে।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

নাশতারান এর ছবি

বিটিভিতে কবে কুইন দেখানো শুরু হয় ঠিক মনে নেই। তবে ৯৫ এর পরেই হবে। বিটিভিকে নিয়ে আমার সব স্মৃতি নব্বই দশকেরই। নব্বইয়ের একদম শেষের দিক থেকে শুরু। এর আগেরগুলোর খবর জানি না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

শরতশিশির এর ছবি

'রুটস'-এ যে অপরাহ্‌ উইনফ্রি ছিলেন, জানেন? চোখ টিপি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

শরতশিশির এর ছবি

আচ্ছা, বিজ্ঞাপনের মধ্যে জনি প্রিন্ট আর পাকিজা শাড়ির দুনিয়ার এড ছিলো, কেউ বল্লো না - আমাদের এক বুয়া দৌড়ে দেখতে আসতে গিয়ে দাদাবাড়িতে ড্রেনের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলো, আমরা জমিলা-কে এজন্য অনেকদিন খ্যাপাতাম! দেঁতো হাসি

আহ্‌, 'ফেইরি টেইল থিয়েটার'! শেলি ডুভাল-এর প্রেজেন্টেইশানে শুরু হতো, আমেরিকাতে পিবিএস আর ডিজনি-তে দেখাতো। আমার সবগুলার কথা মনে আছে, বিটিভি আমেরিকা'র প্রায় সাথে সাথেই দেখাতো, কারণ আশির দশকের প্রথম দিকেই দেখাতো যখন আমরা বেশ ছোট। এখানে 'রাপাঞ্জেল'-এর একটা এপিসোড পেলাম, বাকী টেইল্গুলো সাথেই আছে। এটাতে জেফ ব্রিজেস আছে, কে জানতো! হাসি

আজল্যান যখন মারা গেলো, আমরা ভাইবোন কী কেঁদেছিলাম! মনে হয় ক্লাস ফাইভ-সিক্সে পড়তাম তখন। বইটা আগে স্কুল লাইব্রেরীতে পড়েছিলাম, কাজেই কষ্টটা বেশি লেগেছিলো। এখানে আছে একদম প্রথম থেকে দেখার ব্যবস্থা!

'এসো গান শিখি'র পাশাপাশি 'রুমঝুম' না কী যেন একটা ছোটদের নাচের অনুষ্ঠান ছিলো, লায়লা হাসান আন্টি নাচ শেখাতেন, নায়লা আপা (নায়লা আজাদ নুপূর) সেখানে সাহায্য করতেন, আরেকটা আপুও ছিলো। আরেকটা ছোটদের নাটক হতো, ছোটরাই অভিনয় করতো, শিশির ভাই 'পিনোক্কিও' হয়েছিলেন, মনে আছে!

আমজাদ হোসেনের ঈদের নাটক - ''দুবাই যামু ট্যাকা দেন'', আর বউকে ডাকতে গেলে চার ছেলেমেয়ের নাম ধরে তারপর 'মা' ডাকা, উফ্‌, হাসতে হাসতে অবস্থা টাইট হয়ে যেত। আর, হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী ঈদের নাটকগুলো - একটা মনে আছে, অভি ভাইয়া ছিলো (মুস্তাফিজুর রহমান, ডিজি হন পরে আর রওশন আরা মুস্তাফিজ-এর ছেলে), হুমায়ূন ফরিদী ছিলেন 'গৃহশিক্ষক', অমলেন্দু বিস্বাস-এর মেয়ে ছিলেন তার প্রেমিকা (নাম ভুলে গেছি), আর আবুল হায়াত- আলী যাকেরের অমর দুলাভাই-শ্যালক যুদ্ধ, যেখানে আলী যাকের একবার খাট ভেঙ্গে পড়ে গেলে মাঝরাতে দুলাভাই বলেন যে ''গাধাটার আর কী হবে!'' আর অনেক প্র্যাক্টিসের পড়ে তারপর আলী যাকের মুখের উপর বলেন, ''দুলাভাই, আপনার এই কথাটা ঠিক না!'' আমরা হাসতে হাসতে প্রায় গড়াগড়ি খাবার দশা। এটাকেই তারপর হুমায়ূন আহমেদ টেনে নিয়ে যান তার অন্য ধারাবাহিকে, মনে হয় 'বহুব্রীহি'-তে, আবুল হায়াত- আফজাল হোসেন-কে এনে। মিস মিলি'র হলুদে পিচকিদের মধ্যে আরেকটু হলে আমিও থাকতাম, ফ্রী শাড়ি দিতো হলুদের, ক্লাস ফাইভের বৃত্তি পরীক্ষা দেখে আম্মুকে কিছুতেই আন্টি রাজি করাতে পারলো না (নূর-এর মেয়ে যে হতো, ও আমার ভাইয়ের ক্লোজ ফ্রেন্ডের বোন), অথচ এই 'মিস মিলি'-কে অনায়াসেই এখন নিউইয়র্কে দেখা যায় বাঙালী কমিউনিটিতে!

'স্ট্রিটহক', 'ম্যানিমাল', 'দ্য ম্যান ফ্রম আটলান্টিস' (ডালাসের ববি ছিলো), 'মেলবা' (এখানে প্রথম হিউগো উইভিং-কে দেখি আমি), 'শেরিলি', 'জ্যাকারু', নিচে হিমু যেমন বললো 'রিটার্ন টু ইডেন', 'এগেইন্সট দ্য উইন্ড', 'নর্থ এন্ড সাউথ', জেইন সিমুরের 'ইস্ট অফ ইডেন' - আরো কত ভাল ভাল সিরিজ আর মুভি দেখাত বিটিভি!

রুনা লায়লার একক দুই ঘন্টার সংগীতানুষ্ঠান - যেমন গানগুলো ছিলো, তেমন তাঁর শাড়ি আর গহনার বাহার, প্রোগ্রামটাও বেশ যত্ন নিয়ে করা হয়েছিলো। তখন অঘোষিত একটা কম্পিটিশান ছিলো এই শাড়ি-গহনা শো-অফের, রুনা লায়লা আর সাবিনা ইয়াসমিনের! হাসি

মোস্তাফিজুর রহমান, নওয়াজেশ আহমেদ, মোস্তফা কামাল সৈয়দ, আতিকুর রহমান, আলী ঈমাম, ম হামিদ, মুস্তাফা মনওয়ার (?) - এঁনাদের মতো আরও রুচিশীল, বাইরে থেকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত লোকজন সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন দেখেই বিটিভির আজকে এই হাল। পরে এই ডাবিং এসে-টেসে আরও নামিয়ে দিয়ে গেলো। আগে টিভি দেখে গান শোনা, বাড়িতে বলার চর্চা ছাড়াও একটা অনানুষ্ঠানিক ইংরেজি চর্চার সুযোগ হতো আমাদের অজান্তেই, আর আজকে সেসব ভাবাই যায় না। একদম কয়েকবছরের মধ্যে এত অধোগতি না দেখলে আসলে বিশ্বাস করা যায় না।

পরে আরও মনে হলে আরো যোগ করা যাবে, আপাতত এখানেই ইতি।

আর হ্যাঁ, ওডিনের মতো আমিও - Thunder, Thunder, Thunder, Thunder Cats - Hoooooooooooooooooo! 'চিতারা' ভাবতাম নিজেকে, আর 'পুমায়রা' আসার পর সব স্কুলে ডাকতো যেহেতু আমাদের নাম প্রায় এক! দেঁতো হাসি

----
পুনশ্চঃ 'ভলট্রন'-এর লায়ন ফর্মিং-এর পার্টটুকু দিয়ে গেলাম - আমার ছিলো ব্ল্যাক লায়ন-টা আর আমার ভাই-এর গ্রীণ-টা। 'ভলট্রন' যাদের নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশান আছে আমেরিকাতে, তারা পিসিতে ইন্সট্যান্ট স্ট্রিমিং করে দেখতে পারেন।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী ঈদের নাটকগুলো - একটা মনে আছে, অভি ভাইয়া ছিলো (মুস্তাফিজুর রহমান, ডিজি হন পরে আর রওশন আরা মুস্তাফিজ-এর ছেলে), হুমায়ূন ফরিদী ছিলেন 'গৃহশিক্ষক', অমলেন্দু বিস্বাস-এর মেয়ে ছিলেন তার প্রেমিকা (নাম ভুলে গেছি), আর আবুল হায়াত- আলী যাকেরের অমর দুলাভাই-শ্যালক যুদ্ধ, যেখানে আলী যাকের একবার খাট ভেঙ্গে পড়ে গেলে মাঝরাতে দুলাভাই বলেন যে ''গাধাটার আর কী হবে!'' আর অনেক প্র্যাক্টিসের পড়ে তারপর আলী যাকের মুখের উপর বলেন, ''দুলাভাই, আপনার এই কথাটা ঠিক না!'' আমরা হাসতে হাসতে প্রায় গড়াগড়ি খাবার দশা।

এ নাটকটার নাম ছিলো 'হঠাৎ একদিন'- নীচে হিমু ভাইও মনে হয় এটার কথা বলতে চেয়েছিলেন। এটার নাম মনে আছে কারণ পিচ্চিটাকে ফরিদী চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দিয়ে শিখিয়ে আসেন কীভাবে ট্রাফিকের হাত ধরে রাস্তা পেরোতে হয়, ছোটবেলায় এই তথ্যটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিলো।
এই নাটকেই ঘরের দরজা-জানালায় বড় করে "ক", "খ" এই অক্ষরগুলো ঝোলানো হয়েছিলো। তবে দুলাভাই আবুল হায়াত ছিলেন না, ওই অভিনেতা পরে এসিয়াই মশার কয়েলের ইংরেজি বিজ্ঞাপণের মডেল হয়েছিলেন, ওনার নাম সম্ভবতঃ আরিফুর রহমান।

একটা দৃশ্যের কথা বিশেষভাবে মনে আছে। আলী যাকের বিয়ের জন্যে পাত্রী চাই বলে বিজ্ঞাপণ দিয়েছিলেন। এক মহিলা টিকাদার আসেন টিকা দিতে, যাকে যাকের ভাবেন পাত্রী। টিকা খাবার সময় গৃহশিক্ষক ফরিদীর যেই দুর্দান্ত এক্সপ্রেশন ছিলো... উফফ, এক টম হ্যাঙ্কস ছাড়া এই জিনিস সম্ভব না !!!!
_________________________________________

সেরিওজা

শরতশিশির এর ছবি

আমি ঘুমাতে চলে যাচ্ছিলাম, দেখলাম দেখে আবার তোমার জন্য লগিন করলাম।

আরে, তোমার তো এইসব মনে থাকার কথা না! তুমি তো তখন অনেক পিচ্চি, বিটিভি রি-রান করেছে এই নাটকটা দেখে এখন বলতে পারছো। হ্যাঁ, হিমু ঠিকই বলেছে, এটা 'হঠাৎ একদিন'-ই। ডলি জহুর আর খুরশীদউজ্জামান উৎপল বাবা-মা ছিলেন, আর তুমি বলাতে মনে পড়লো যে হ্যাঁ, আতিকুর রহমান (নাকি আরিফুর রহমান) ছিলেন দাদা, আর দিলারা জামান দাদী।

'ক', 'খ' ইত্যাদি অক্ষর ছিলো বাসার কাজের লোকদের অক্ষর জ্ঞানদানের জন্য। অভি ভাইকে ফরিদী নিয়ে গিয়েছিলেন চিড়িয়াখানায় এক মাস প্রতিদিন করে, সেইজন্যেই একদিন ছেড়ে দেন তিনি আর অনেক নাটক হয়ে যাওয়ার পরেও ঘরের ছেলে ঘরে ঠিকই ফিরে আসে।

আচ্ছা, এটার কোনও সিকুয়্যল হয়নি তো? এতদিন পরে অত মনে নেই।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

হ, এই নাটক মনের মুকুরে-তে মাঝে মাঝে পুনঃপ্রচার করাইতো...

_________________________________________

সেরিওজা

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমিও চিন্তাইতেছি।
এই পিচ্চি এগুলা বলে কেমনে? চিন্তিত

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতিথি লেখক এর ছবি

'হঠাৎএকদিন'এ হুমায়ন ফরিদীর সেই বাথরুম চেপে হাটার দৃশ্যের কথা মনে হলে এখনও হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দেবার অবস্থা হয়। হুমায়ন আহমেদের প্রথম দিককার নাটক এটা, তখনও একই ঘটনা পুনরাবৃত্তি শুরু হয় নাই।

-লাবণ্য-

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- র‌্যাভেন বলে একটা সিরিজ হতো না? ঐটা কি ম্যাকগাইভার পরে না আগে দেখাতো? আমার মনে হচ্ছে, পরেই দেখাতো। কারণ ওইটা আম্রিকাতেই এয়ার হয়েছে ৯২ সালে।

যাইহোক, ঐটা খুঁজছিলাম বেশ অনেকদিন ধরেই নেটে। ইন্ট্রো পেলেও পর্বগুলি পাচ্ছিলাম না। এই সেদিন, গোটা কয়েকদিন আগে। কিন্তু কোয়ালিটি একেবারে যেনতেন। পুরনো ভিএইচএস কোয়ালিটি। সাউন্ডের ঠিক নাই। কিছুই বুঝি না। প্রথম পর্বটা দেখতে গিয়ে মজাটা প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে। কারো জানামতে ভালো কোয়ালিটির র‌্যাভেন আছে নাকি?

তখন সেবা প্রকাশনীর 'খালি হাতে আত্মরক্ষা' পড়তাম। স্বভাবতঃই র‌্যাভেনের প্রতি আলাদা টান ছিলো তাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

র‌্যাভেন ম্যাকগাইভারের পরে দেখাত। র‌্যাভেনের নায়িকাবদল হলো একবার। নতুন নায়িকার কাপড়চোপড়ও বদলে গেলো (আঁটসাঁট, ছোটো হয়ে গেলো)। আমিও আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম। চলতি কাহিনিতে টুপ করে কলাকুশলী বদলে ফেলার রীতির সাথে পরিচিত ছিলাম না বলেই হয়তো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

র‌্যাভেন তখন যতটা ভাল লেগেছিল, পরে অত লাগে নাই। এরও পরে একটা শুরু হয়েছিল ডার্ক জাস্টিস, ওটার মেইন হিরোই বোধহয় চেঞ্জ হয়েছিল দু'বার, দু'সীজন হতে না হতেই! অ্যাঁ

খালি হাতে আত্ম্ররক্ষা শিখেছিলেন তো, নাকি? চিন্তিত

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সিরাত এর ছবি

ওহ ইয়েস, ডার্ক জাস্টিস। নিচে নামটা মনে করতে পারছিলাম না!

বিটিভি নর্থ এ্যান্ড সাউথ দেখাতো? বলে কি!!

কানাভূত [অতিথি] এর ছবি

কেবল নাটক নিয়ে কেউ কি লিখবেন?

৯০ এর পরে প্রায়ই একেকটা নাটকের একেকটা ডায়লগ সারা দেশে খুব জনপ্রিয় হয়ে যেত।

অনেক ভেবে ভেবে "থামলে ভাল লাগে..." ছাড়া আর একটাও মনে করতে পারলাম না!!

তাসনীম এর ছবি

আরেকটা জনপ্রিয় ডায়ালগ...

মাইরের মধ্যেও ভাইটামিন আছে...

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আরো আছে বস।

১- ছি ছি, তুমি এতো খারাপ !!!
২- ইজ্জত আলী তালুকদার, হাতে নাতে গেরেপ্তার...
৩- বদরুল !!! (এইটা ডায়লগ না অবশ্য, অয়োময়ে ছোট মির্জা তার পাইকরে এইভাবে ডাক দিতো। আমরা কলোনীর পোলাপান এইভাবে সুর নকল কইর‌্যা একজন আরেকজন্রে ডাকতাম... )

_________________________________________

সেরিওজা

অতিথি লেখক এর ছবি

"ছিইল্যা কাইট্যা লবণ মাখায়া দিমু!" - এটা অবশ্য নাটকের না, ইত্যাদির কোন পর্বে ছিল। দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কারও 'কেরোসির ' গপ্পোটা মনে পড়লো না? ঐযে 'সে এক বিরাট ইতিহাস!'

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

টিউলিপ এর ছবি

আমরা বোনদের মাঝে এখনো লম্বা ত্যানা পেঁচানো গল্পকে কেরাসি কাহিনী বলি। "সে এক বিরাট ইতিহাস, আমার ঘরে ছিল না কেরাসি। পরিবার কইলো কেরাসি আইনে দাও। আমি কইলাম গেল হাটে এক পোয়া কেরাসি আইনে দিলাম, গেল কই? পরিবার কইল আমি কি আপনার কেরাসি খাইসি? আমার উঠল রাগ, বেজায় রাগ..."
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

নাশতারান এর ছবি

ছিইল্যা কাইট্যা লবণ লাগায় দিমু! শয়তানী হাসি

ইমদাদুল হক মিলনের 'বারো রকম মানুষ' নাটকের দুটো ডায়লগ ছিলো:
"বিউটি! বিউটিফুল!!" আর "বাণিজ্য"।
নাটকটা মাঝপথে কেন যেন থেমে গেলো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

খেকশিয়াল এর ছবি

গ্যা কো টাআআআচ গ্যা কো টাচ !! এন্টিসেপ্টি ...টি টি টি টি টি হো হো হো

গান শেখানোর সময় ফেরদৌসি রহমান খালি কইতো, 'আবার বলোওও...'

লেখতে থাকেন

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা হলো ঐ সময়ে বিটিভির রেটিংয়ে সবসময়ই জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকতো সাধারণ জ্ঞানের অনুষ্ঠানগুলো। ধীমান, বলুন দেখি... এগুলো। আমি বলুন দেখিতে অংশও নিছিলাম।

অথচ এখন সাধারণ জ্ঞানের কোন অনুষ্ঠানই নাই দেশে মন খারাপ

স্মৃতিচারণ মজার লাগলো। যদিও আমার টিভি দেখা হতো খুবই কম। আমার টিভি প্রীতি খুব বেশি নাই।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নাশতারান এর ছবি

আমরা এখন অসাধারণ জ্ঞান ধারণ করি। সাধারণ জ্ঞানে আমাদের চলে না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হো হো হো

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নাশতারান এর ছবি

...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

তারাপ কোয়াস [অতিথি] এর ছবি

ধুগোদা আপনি এইখানে দেখতে পারেন। আমি গত সাপ্তাহে raven 03 পর্বটা ডাউনলোড করছিলাম, প্রিণ্ট খারাপ না কিন্তু সেই উত্তেজনা আর পাইলাম না। পরে ডিলিট কইরা দিছি।

বিটিভিতে পারফেক্ট স্ট্রেঞ্জারর্স নামে একটা কমেডি শো দেখাইতো। গত ২সাপ্তাহ ধৈর্য্য ধইরা এই শোর সব কয়ডা পর্ব নামাইছি। ভালোই মজা পাইতেছি। এখন নর্দান এক্সপোজার খুঁজতাছি।

ব্লাক বিউটি নামে এক সিরিজ চলতো। দুই একটা পর্বের কথা হালকা মনে আছে এখনো। কারও কাছে কি এর কোনো পর্ব আছে?

পুরোনো টিভি নাটকগুলান খুঁজতে যাইয়া বিটিভর ওয়েবপেজ দেইখা হাতাশ হইলাম। আর্কাইভ আর লাইব্রেরীতে ক্লিক করলে কিছুই হয় না। পেজ নির্মানাধীন এই লেখাও দেখায় না!

বিটিভি সিরিজ চলুক

হিমু এর ছবি

বিটিভির ওয়েবপেজে প্রোগ্রাম চার্টটাও যদি অন্তত তুলে দিতে পারতো মন খারাপ !

টেইলস অব দ্য গোল্ডেন মাঙ্কি নামে একটা সিরিয়াল হতো, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সম্ভবত, অ্যাকশন-অ্যাডভেঞ্চার, তার নায়িকাটাকে এখনও ভুলতে পারি না।

বিটিভিতে রাতের খবরের পর কিছু ইংরেজি ড্রামা সিরিয়াল দেখানো হতো, বুঝতাম না কিছুই, মাঝে মাঝে দেখতাম। থর্ন বার্ডস যখন দেখাতো তখন অনেক ছোটো ছিলাম, কিছুই মনে নেই, রিটার্ন টু এডেন, অল দ্য রিভারস রান (এটার প্রিলিউডটা এখনও মনে আছে) একটু একটু খেয়াল আছে। বোরিং ছিলো ডালাস আর ডাইন্যাস্টি। মাঝে মাঝে ব্যতিক্রমও হতো, ড্রামার জায়গায় অ্যাকশন বা কমেডি আসতো, মর্ক অ্যান্ড মিন্ডি, জনসন অ্যান্ড জনসন, ম্যাককরমিক অ্যান্ড হার্ডক্যাসল। আর প্রাইম টাইম কমেডিগুলি প্রায়ই সবই জোস ছিলো। পারফেক্ট স্ট্রেইঞ্জার্স তো তুলনারহিত।

সবাই ধারাবাহিক নাটকের কথাই বলে, কিন্তু এক পর্বের যে নাটকগুলো দেখানো হতো, সেগুলোও তো সাংঘাতিক ছিলো। হুমায়ূন আহমেদ সে সময় যেসব এক পর্বের নাটক লিখেছিলেন, সেগুলো বিনোদনের বিচারে দুরতিক্রম্য। "একদিন হঠাৎ" নামে একটা নাটক ছিলো, সেটা বছরে একবার করে পুনর্প্রচার করা হতো।

বিটিভি তখন পাইলট বেসিসে প্রোগ্রাম ছাড়তো, দর্শকদের বলতো চিঠি লিখে আগ্রহের কথা জানাতে। ম্যাকগাইভারের প্রথম পর্ব (যেটাতে সে পানির পাইপে গিট্টু মেরে প্রেশার দিয়ে একটা ধ্বসে পড়া গেটকে ওপরে তুলে একটা বাচ্চাকে উদ্ধার করে) দেখানোর পর এই মেসেজ দেখায় টিভিতে। আমি আর আমার বড় ভাই দু'জনেই আলাদা করে চিঠি লিখে পাঠিয়েছিলাম। পরে যখন ম্যাকগাইভার দেখানো শুরু হয়, তখন দারুণ আনন্দ হয়েছিলো, মনে হয়েছিলো, চিঠিতে কাজে দেয়।

দেশে থাকতে কেবল অপারেটরের স্টেশনে পাওয়ার না থাকলে বিটিভি ধরে দেখতাম আর চমকে উঠতাম। কী যে নিরানন্দ সব প্রোগ্রাম দেখায় এখন। এই অবক্ষয় সম্ভবত শুরু হয়েছে ডাব করা ভারতীয় সিরিয়াল আর ইরানি সিনেমা আমদানির সাথে। সোর্ড অব দ্য টিপু সুলতান দিয়েই বোধহয় শুরু।

বিটিভি বোধহয় একটা বিরাট নস্টালজিয়া তৈরি করতে পেরেছে আমাদের মনে (অন্তত যারা আশির দশকে শিশু ছিলো)।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

শরতশিশির এর ছবি

কী মনে করিয়ে দিলে! 'টেইলস অফ দ্য গোল্ড মাংকি' দেখাতো যখন আমি ক্লাস ফাইভে, ১৯৮৮। বৃত্তির পড়ার জন্য পড়তে যেতাম আমার কাজিনদের টিচারের বাসায় কিন্তু তড়িঘড়ি বাসায় এসে পড়তাম সাতটার আগেই, যেন কোনকিছু মিস না হয়। তোমার যেমন সেরাহ্‌ হোয়াইট-কে ভাল লাগতো, আমার লাগতো জেইক-কে! চোখ টিপি

স্টেফেন কলিন্স-কে অনেকেই 'অল মাই চিল্ড্রেন'-এর বাবা হিসেবে দেখেছেন বেশ ক'বছর, মাঝে 'প্রাইভেট প্র্যাকটিস'-এ এডিসান-এর বাবা হিসেবে আমরা দেখেছি লাস্ট সিজেনে।

যারা জানেন না কোন সিরিজ ছিলো এটা, তাদের জন্যে এই ওপেনিং ক্রেডিটস রইলোঃ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

খেকশিয়াল এর ছবি

আহা.. মনে পড়লো... টেইলস অফ দ্য গোল্ড মাংকি! অনেক ধন্যবাদ!

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

রাগিব এর ছবি

বিটিভির একটা ব্যাপার অনেক পরে বুঝতে পেরেছি, তা হলো সেই সত্তরের দশক থেকেই বিটিভিতে দেখানো বিদেশী সিরিজগুলো বিদেশে দেখানোর অল্প পরেই বিটিভিতে চলে আসতো। যেমন, নাইট রাইডার, যেটা সম্ভবত ৮৪ থেকে আসে বিটিভিতে, কিন্তু আমেরিকাতেই এটা শুরু ৮২ থেকে। অর্থাৎ সিন্ডিকেশনের দিক থেকে বিটিভি একেবারেই হালনাগাদ থাকতো সেসময়।

বাংলা ডাব করার পর থেকে বিটিভির সিরিজ দেখা বাদ দিয়েছি। বাংলাতে ডাব করাটা সমস্যা না। মূল সমস্যা ছিলো ভারত থেকে ডাব করিয়ে আনা। তা-ও এমন সব অদ্ভুত ভাষা বলতো, মনে হতো অবাঙালি কাউকে দিয়ে অনুবাদ করানো হয়েছে।

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মামুন হক এর ছবি

এক ঝটকায় অনেক কথা মনে করিয়ে দিলেন...আপনার স্মৃতিশক্তির তারিফ করতেই হয়!

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সিঙ্গাপুরি একটা সিরিজ দেখাতো আশির দশকের শেষের দিকে নামটা ভুলে গেছি। তবে শুরুর থিম সং ছিল এরকম........ওয়ানস ইন এ ডে, ইউ আর লুকিং ফ্রম আফার....

কেউ কি মনে করতে পারেন সিরিজটাকে? নামটা? এত রোমান্টিক সিরিজ খুব কম হয়েছে বিটিভিতে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রাগিব এর ছবি

Against the wind

----------------
গণক মিস্তিরি
মায়ানগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | টুইটার

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

শরতশিশির এর ছবি

ইয়াপ, 'এগেইন্সট দ্য উইন্ড'। আবার একই নামে আরেকটা নাম করা অসি টিভি সিরিজ আছে, খোঁজ করলে ওইটাই আগে আসে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌অসি টিভি সিরিজ আসে বলেই আমি কনফিউজড হয়ে গেছি। কিছুতেই বের করতে পারছিলাম না। সিঙ্গাপুরি সিরিজটার ডিভিডি কোথাও পেলে কিনে নিতাম। দারুন একটা সিরিজ।

অল দ্য রিভার্স রান, এটাও দেখতে ইচ্ছে করে আবার।
নর্থ এন্ড সাউথ, রুটস..........এসব ক্লাসিক সিরিজ।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

লেখা আর কমেন্ট পড়তে পড়তে এই নামটা মনে করার চেষ্টা করছিলাম। হাসি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তাসনীম এর ছবি

অনেক কিছু মনে পড়ল...চলুক সিরিজ।

++++++++++++++
ভাষা হোক উন্মুক্ত

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

টিউলিপ এর ছবি

এই সিরিজটা পুরানো দিনের অনেক স্মৃতি মনে পড়িয়ে দিচ্ছে। কাকতালীয় ব্যাপার হল সিরিজটা চালু হওয়ার দুদিন আগে আমি ইউটিউব ঘেঁটে পুরানো সিরিজগুলো দেখা শুরু করছিলাম। গার্ল ফ্রম টুমরোর ভাল প্রিন্ট পাই নি। স্পেলবাইন্ডার দেখছিলাম। এগেইনস্ট দ্যা উইন্ডের নাম মনে করতে পারছিলাম না, তবে দ্যা মহারাজা'স ডটার আর মিস্ট্রিজ অফ দ্যা ডার্ক জাঙ্গলের কথা মনে পড়ছিল খুব। আর ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া, শরতশিশির আপুকে ধন্যবাদ লিঙ্কের জন্য।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের সবার নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হতে দেখে নিজের কাছেই আনন্দ লাগছে।

একই নস্টালজিয়ায় আমি ভুগি না , সবাই আক্রান্ত ।

নৈষাদ এর ছবি

আমার আরেকটা পছন্দের সিরিজ ছিল রেমিঙটন স্টিল। (সিরিজে মেয়েটার নাম ছিল সম্ভবত লরা)। সেই সিরিজটা থেকেই পিয়ার্স ব্রসনান আমার পছন্দের তালিকায়। মায়ামি ভাইসও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, নিচে ফোল্ড করা ব্যাগি টাইপের একধরণের প্যান্টের প্রচলনও হয়েছিল। তবে পার্ফেক্ট স্ট্রেঞ্জার কখনো মিস করতাম না। স্কুলে পড়ার সময় আরেকটা সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল... নাম মনে হচ্ছে না। নায়কের ‘ইএসপি টাইপের পাওয়ার’ ছিল, চোখ দিয়ে জিনিস পত্র নাড়াতে পারত...!!!!

‘যদি কিছু মনে না করেন’ আমার স্মৃতিতে খুব পছন্দের একটা ‘ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান’।

‘টিভি গাইড’ নামের একটা বই পাওয়া যেত। স্মৃতিতে যতটুকু আছে, বইটার মান খুব ভাল ছিল। খুব প্রিয় ‘বই’ ছিল আমাদের।

আরেকটা নাটকের কথা মনে হল ‘এখানে নোঙ্গর’ – হানিফ সংকেত যেখানে ভিলেনের অভিনয় করেছিল (সফু, এটা সুগন্ধি, এটাকে সেইন্ট বলে...)। তবে হুমায়ুন আহমেদের নাটকগুলি আনপ্যারালাল ছিল। বহুবৃহীতে আবুল হায়াতের অভিনয় আমার স্মৃতিতে সবসময় থাকবে। (নাটকের একটা ঘটনা খুব মনে পরে... আবুল হায়াত কাদেরকে এরকম কিছু একটা ব্যাখ্যা করছে... পদার্থকে ভাঙলে পরমানু লেভেলে গেলে দেখা যায় সব পদার্থ একই জিনিস দিয়ে তৈরী, তেমনি আমাদের জীবনে ‘ভালবাসা’...। তারপর কাদের কে ‘ভালবাসা’ সম্পর্কে জানতে চাইলে, লাজুক হেসে বলেছিল... ব্যাপারটা শরমের... তবে এর দরকার আছে। তারপর আবুল হায়াতের এক্সপ্রেশন...। অনেক খোঁজলাম ভিডিওর দোকান গুলিতে...।

একটা বিজ্ঞাপনের ইংরেজি একটা জিঙ্গেল আমার প্রিয় ছিল... ইউ অলওয়েজ দেয়ার, অ্যাক্রোস দ্য ওয়ার্ল্ড, আই সি ইউ লাভ, আই সি ইউ কেয়ার, ইউ হ্যাভ দ্যাট ওয়ে অভ...।

চলুক...।

দুর্দান্ত এর ছবি

স্কুলে পড়ার সময় আরেকটা সিরিজ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল... নাম মনে হচ্ছে না। নায়কের ‘ইএসপি টাইপের পাওয়ার’ ছিল, চোখ দিয়ে জিনিস পত্র নাড়াতে পারত...!!!!

স্টারম্যান?

একটা বিজ্ঞাপনের ইংরেজি একটা জিঙ্গেল আমার প্রিয় ছিল... ইউ অলওয়েজ দেয়ার, অ্যাক্রোস দ্য ওয়ার্ল্ড, আই সি ইউ লাভ, আই সি ইউ কেয়ার, ইউ হ্যাভ দ্যাট ওয়ে অভ...।

সম্ববত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এর।

শরতশিশির এর ছবি

চলুক সুপার্ব মেমোরি! হ্যাঁ, 'স্টারম্যান' - জেফ ব্রিজেস-এর প্রথম অস্কার নমিনেটেড মুভি অবলম্বনে সিরিজটা বানানো।

আর, হ্যাঁ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স - এত ভাল ভাল এড ছিলো তখন এদের। কোয়ালিটি ভাল না, কিন্তু যারা দেখেছেন তারা বুঝতে পারবেনঃ

আরেকটা ছিলো ব্রিটিশ এয়ারওয়েইজের - ইয়ানি'র 'আরিয়া' ছিলো ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর, সবাই দৌড়ে এসে B.A-কালারে মানুষের মুখ বানায়! খুব পছন্দের ছিলো!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরিইইইইইইই শরৎ-পু! B. A.-এর অ্যাডটার কথা ভুলেই গেছলাম!!
টেঙ্কু, টেঙ্কু, টেঙ্কু দেঁতো হাসি :D দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
,

শরতশিশির এর ছবি

'এখানে নোঙ্গর' চম্পা'র প্রথম এক্টিং ডেব্যু, বলতে ভুলে গেছি। হানিফ সংকেত-কে আসলেই মারতে ইচ্ছে হয়েছিলো, এত ভাল অভিনয় করেছিলেন তিনি। 'সংসপ্তক-এ যেরকম হুমায়ূন ফরিদী-কে মারতে ইচ্ছে হয়েছিলো, খুবই ভাল ছিলো পুরো কাস্টের অভিনয়!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

'এখানে নোঙ্গর' ছাড়াও আরও কিছু কালজয়ী নাটক হয়েছিল। 'ভাঙ্গনের শব্দ শুনি' তার মধ্যে একটা, আপাতত আর কোন নাম মনে পরছেনা।

বিটিভিতে 'এ সপ্তাহের নাটক'-এ সাধারণ মানের নাটক হত। তবে 'এ মাসের নাটক'-এ যেই নাটকগুলো হতো, সেগুলো হতো অসাধারন।

রক্তকরবীর কথা কেউ কি বলেছে? এই নন্দিনীর ভূমিকায় যিনি অভিনয় করেছিলেন তিনি আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর বাঙ্গালী মেয়ে (নাম মনে আসছে না)। যারা তাকে দেখেনি, তারা কল্পনা করতে পারবে না সেই সৌন্দর্য। রবীন্দ্রনাথ হয়তবা তার কথা চিন্তা করেই নন্দিনী চরিত্রটাকে সৃষ্টি করেছিলেন।

-লাবণ্য-

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

নন্দিনী = দিলশাদ বেগম



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

নন্দিনী = দিলশাদ খানম। (দিলশাদ রেজা)

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনি বস্‌ বিটিভির সেই আমলের মানুষ হয়ে চুপচাপ ছিলেন! আপনার কাছ থেকে তো এ'নিয়ে আমাদের অন্ততঃ একটা লেখা পাওনা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

বিটিভিতে রক্তকরবীর কথা মনে নেই। তবে মঞ্চে...

নন্দিনী = অপি করিম, খুব ভাল লেগেছিল।

নৈষাদ এর ছবি

হ্যাঁ চম্পা ছিল। সংসপ্তক-এ যেরকম হুমায়ূন ফরিদীর চরিত্র ছিল আরেকটা প্রিয় চরিত্র। বছরখানেক আগে বিটিভি সংসপ্তক রি-রান করেছিল। অবশ্য দেখা হয়ে উঠেনি...।

শরতশিশির এর ছবি

নৈষাদ'দা, দেখেন তো এইটা সেই বিজ্ঞাপনটা কী-না! অনেক খুঁজে ক্লিয়ার প্রিন্ট আর সাউন্ড পাওয়া গেলোঃ

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স আর থাই এয়ারওয়েইজ-এর এইসব এড দেখে আমি আব্বুকে বলতাম খালি এইসব প্লেনে চড়তে, আব্বু শুনে হাসতো! S.A. খুব সুন্দর সুন্দর গিফট দিতো, আর T.A. দিতো অর্কিড আর বুনো চাইনিজ ঝাড়ের একটা মিনি ব্যুকে। আমি ঝাড়ের পাতা দেখে খুজে খুজে পরে সেই গাছ লাগিয়েছিলাম দাদার বাসায়। হাসি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

নৈষাদ এর ছবি

?...বহুদিন পর...। অনেক ধন্যবাদ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

দাদা, চোখ দিয়ে জিনিষপত্র নাড়ানোর যে সিরিজটার কথা আপনি বলছেন সেটা সম্ভবতঃ "দ্য পাওয়ার অভ ম্যাথু স্টার"। সেটা যখন দেখাতো তখন "শরতবাবু"র বয়স পাঁচও হয়নি। সুতরাং সেটার নাম উনার জানা না থাকারই কথা।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নৈষাদ এর ছবি

দ্য পাওয়ার অভ ম্যাথু স্টার। রাইট অন স্পট। ...গতদুই দিন থেকে মনে করতে পারছিলাম না...।

শরতশিশির এর ছবি

আচ্ছা, তাই নাকি? 'স্টারম্যান'-ও তো চোখ দিয়ে করতো, তবে চোখ দিয়ে কোনও রে-টে বের হতো না আরকি। আর, আপনি আমার বয়স-টয়স জেনে বসে আছেন, বাহ্‌! তবে, ''শরতবাবু'' নামটা আমার পছন্দ না, প্লিজ আর পরে ডাকবেন না, কেমন? হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি ক্লাস ফাইভে, ১৯৮৮

এই কথাটাতো আপনিই বলেছিলেন। তাই আমি কেন যে কেউ আপনার বয়সটা আন্দাজ করতে পারবে।

আপনাকে "শরতবাবু" বলায় খারাপ লেগেছে যেনে দুঃখিত। অবশ্য ভবিষ্যতে আপনাকে আমার বাবু/আপু/ভাই/বোন কোন কিছুই ডাকার প্রয়োজন হবেনা। ভালো থাকবেন।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শরতশিশির এর ছবি

পরীক্ষা চলছে, তাই আগে দেখিনি আপনার রিপ্লাই, মাত্র দেখলাম।

না, আমি-ই উলটো ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আপত্তির পেছনে একটা বিশ্রী ব্যাপার সচলে একবার হয়েছিলো দেখে বলেছিলাম, সেটা মনে পড়ে যাওয়াতে। সামনে তো আসছি দেশে, আমার এখন পর্যন্ত একমাত্র পোস্টে (!) আপনার সাথে বেশ কথাবার্তা হয়েছিলো, আমি ঠিক করেই রেখেছি যে আসলে আপনার সাথে কথা হবে, তাইলে এখন রাগ করলে কী করে গপ্পো হবে, শুনি?! আচ্ছা, এখন রাগ থাকুক, আমার সাথে দেখা হলে ভুলে যেয়েন, কেমন? দেঁতো হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

শরতশিশির আপুকে ধন্যবাদ।
আর এক্স-ফাইলসের গপ্পো আমি আর টিউলিপ প্রথম পর্বেই তুলে এনেছি, বুনোহাঁস। এইখানে দেখ। হাসি
কুইন-এ হ্যালি বেরি ছিল?! মনে নাইতো!

পার্ফেক্ট স্ট্রেঞ্জার্স খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম, মর্ক এন্ড মিন্ডি পরে ইংল্যান্ডে ভাল করে দেখেছি। সাইনফীল্ড-ও দেখিয়েছে বিটিভি, অনেক রাতে দেখাত।

যে শো-টা ছিল এক্স-ফাইলস জাতীয় সব শো-এর বাবা, সেটা ছিল Twin Peaks. এজেন্ট ডেল কুপারের মত হিরো আর দেখি নাই, আর থীম মিউজিকটার মতোও আর শুনি নাই। এটা দিয়েই ক্যারিয়ার শুরু অন্য অনেকের, তার মাঝে আছে এক্স-ফাইলসের ডেভিড ডুকোভনিও। টুইন পীকস প্রচারিত হত রাত সাড়ে এগারটার পরে, বুঝতামও না তখন ভাল এত পিচ্চি ছিলাম। খালি মনে আছে বড় ভাইরা সাগ্রহে দেখত, আর মনে ছিল ইন্ট্রো-র 'টুইন পীকস' লেখা আর তার পেছনে দুই জমজ পাহাড় চূড়া। বড় হবার পরে আমার আরেক ভাইয়ের কাছ থেকে পেলাম ডাউনলোডেড এপিসোডগুলি... এইটা আমার দেখা অন্যতম মারাত্মক সিরিজ, কারো যদি এক্স-ফাইলস, বা অদ্ভূতুড়ে 'কাহানী মে টুইস্ট' টাইপ জিনিস পছন্দ হয়, এটা অবশ্যই দেখা উচিত। আমি এখানে ইন্ট্রোটা দিয়ে দিলাম। Enjoy! হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দুর্দান্ত এর ছবি

আপনার যদি এটা ভাল লাগে তাহলে "Twin Peaks - Fire Walk with me" দেখুন, ভাল লাগবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

হাসি
Fire walk with me হল prologue আর epilogue এর মিশ্রণ একরকম, টুইন পীকস যেভাবে শেষ হয় তাতে দেখাটা জরুরীও। যদিও শেষ হইয়াও হইল না শেষ-ই আকর্ষণের অন্যতম কারণ।
টুইন পীকস-এর কিছুই দেখতে বাকি নেই বোধহয়... আপনিকি Mulholland Dr. সিনেমাটা দেখেছেন? এটাও David Lynch, এখানেও red room আছে।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- গ্রেইট দুর্দান্ত'দা। "Twin Peaks - Fire Walk with me"— এর দুইটা বাদ্য শেয়ার করে যাই আমের দেশের না-আম পাবলিকের জন্য।

Best Friends

A Real Indication

The Pine Float

Montage

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

নাশতারান এর ছবি

হ্যালি বেরি-ই কুইন ছিলো।

আরেকটা সিরিয়ালের নাম মনে আছে। এল.এ.ল. (L.A.Law)।

টুইন পীকস দেখিনি। এটা কি নব্বইয়ের আগে দেখাত?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এল. এ. ল.-এর নাম দেখানটাও ইন্টারেস্টিং ছিল। গাড়ির বুটের ডালাটা পরত আর নাম্বার প্লেটে লেখা থাকত L. A. Law

টুইন পীকস নব্বইয়ের প্রথম দিকে দেখাত বিটিভি। অনেকেরই মনে থাকার কথা নয়, একেতো এমন জিনিস সবাইকে আকর্ষণ করে না, তায় আবার হতোও অনেক রাতে, আর এর সর্বসাকুল্যে আছেই খুব কম এপিসোড। আমার মনে থাকবার কারন ছিল টাইটেলটা, আর ভাইদের আগ্রহ। হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শরতশিশির এর ছবি

আহ্‌, L.A. Law! আমি হ্যারি হ্যামলিন-এর পাগল ছিলাম! চোখ টিপি 'পেপার চেইজ'-এর পরে সবচেয়ে সাক্সেস্ফুল কোর্টরুম ড্রামা। এরপর থেকেই তো 'এলি ম্যাকবিল', 'দ্য প্র্যাকটিস', 'বোস্টন লিগাল' এগুলো আসে।

'টুইন পিকস' আর 'নর্দান এক্সপোজার' রাত সাড়ে দশটার দিকে শুরু হতো, আর আনকনভেনশনাল দেখে অনেকেই বুঝতো না, তাই দেখতোও না। কিন্তু আমরা বাসার সবাই একসাথে দেখতাম! হে, হে, জোয়েল ফ্লেইশমেন আর ও'কনেল-এর ফাইট, এড, শামানদের মিস্ট্রি - ওয়ান অফ দ্য বেস্ট রিটেন সিরিজ অফ অল টাইম!

আর, মনে হতো যেন ক্রিস স্টিভেন্স-এর মতো যদি রেডিও জকি হতে পারতামঃ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

হ্যারি হ্যামলিন কি 'ভিক্টর'? আমিত তার প্রেমে পরেছিলাম, মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম, আর কল্পনা করতাম যে আমি একদিন ল'ইয়ার হব। আরেকটা হত 'ট্র্যপার জন এম ডি', ওই সিরিজটার এক ডাক্তারের জন্যও আমি পাগল ছিলাম, আর ভাবতাম বড় হয়ে ডাক্তার হব। ঃ)

-লাবণ্য-

নাশতারান এর ছবি

নব্বইয়ের প্রথম দিকে আমি দেশেই ছিলাম না। তাই দেখিনি।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

কেউ দেখি হাইওয়ে টু হেভেন-এর কথা বললেন না, আর পিনোক্কিও অবলম্বনে তৈরি সিরিজটার নাম ছিল ভন্ডুল।

মুভি অব দ্য উইক-ও ভুলে গেলেন দেখি অনেকে। আমার অনেক পছন্দের ছবি কিন্তু ওখানেই দেখা। পুরনো টিভি গাইড একবার ঘেঁটে চমকে গেছিলাম। দারুণ সব মুভি দেখাতো!

ওঃ, হো। থ্রি স্টুজেস, ভোলার নয়। এটিএন বাংলা ওগুলোর বাংলা ডাবিং করে চালাচ্ছিলো। ভয়ানক গ্রাম্য বিনোদনের আদর্শ উদাহরণ!

রক্তকরবী দেখেছিলেন কেউ (মঞ্চনাটকটা)? সার্কের সময় নানা দেশের ছবি দেখাতো। অপেক্ষা করে থাকতাম ভারতীয় বাংলা ছবির জন্যে। ৮৪-তে সারা ভারত থেকে নানা শিল্পী এলেন। আমরা সুচিত্রার রবীন্দ্রসঙ্গীত, ওস্তাদ আমজাদ আলীর সরোদ, সংযুক্তা পাণিগ্রাহীর নাচ, কলকাতা ইয়্যুথ কয়্যারের গণসঙ্গীত (রুমা গুহঠাকুরতা, পরে জেনেছি কিশোরকুমারের প্রথম স্ত্রী আর অমিতকুমারের মা) দেখলাম বা বলা ভালো গিললাম।

'ক্রনিকলস অব নার্নিয়া' একবারই দেখেছিলাম নির্বাচনের সময়, সম্ভবত ৮২-তে। এতবড় এনিমেশন ছবি আর দেখি নি। ওটা সিরিয়াল ছিলো না কি? মনে পড়ছে না তো!!

মমতাজউদ্দীনের অভিনয় দারুণ লাগতো। আফসোস, আর অভিনয় করেন না তিনি।

---মহাস্থবির---

অতিথি লেখক এর ছবি

আহ্‌! মুভী অফ দ্য উইক, ঠিকই, অনেক ভাল ভাল পুরোনো সিনেমা, যা এখন গিয়ে ডাউনলোড দিচ্ছি!

এইটা এ্যানিমেটেড নার্নিয়া নয়, বিবিসির মিনি সিরিজ, আশির দশকের শেষের দিকেকার, শরতশিশির লিঙ্ক দিয়েছেন, ওঁর পোস্টে দেখুন প্লীজ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

টিউলিপ এর ছবি

ভণ্ডুলেই কি ঝন্টু পন্টু পিচ্চি ছিল? আমার খুব ভাল মনে নেই এটার কথা, খালি থিম সং-এর একটা লাইন মনে আছে, "আরো বলে দিচ্ছি, সাথে আছে পিচ্চি!" তারিন সম্ভবত পিচ্চি ছিল।

আর মুভি অফ দ্যা উইক দেখার জন্য আমি প্রায়ই শনিবারে স্কুল মিস দেওয়ার চান্স খুঁজতাম। গন উইথ দ্যা উইন্ড, এ ব্রিজ অন দি রিভার কাওয়াই, এ স্ট্রিটকার নেমড ডিজায়ার থেকে মানি পিট - কত অসাধারন মুভিই যে দেখাত!

বাংলা পুরানো দিনের মুভিগুলোও অসাধারন লাগত। ভাবতে অবাক লাগে ছুটির ঘণ্টার মত অসাধারন কাহিনী নিয়ে তখন সিনেমা হত। আর এখন?
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

ভণ্ডুল ছিল তপু। ঝন্টু-পন্টু ছিল শিশির আর তুষার (?)। রিটন ভাই ভালো বলে পারবেন - উনিই ওটার রচয়িতা কিনা। এই সিরিজে তারিন ছিল কি?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

ঝন্টু ছিলো দোদুল আর পন্টু ছিলো শিশির।
এই সিরিজে তারিন ছিলো। তারিনের প্রথম নাটক। সিরিজে ওর নাম পিচ্চি ছিলো না, ছিলো টুই।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এইবার বস্‌ আর ছাড়াছাড়ি নাই। ঝন্টু-পন্টুর অভিজ্ঞতা নিয়ে আপনাকে লিখতেই হবে। আর ছোটদের জন্য একটা সিরিয়ালের দাবিতো সামনাসামনিই করেছিলাম।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

শরতশিশির এর ছবি

সিরিজগুলোর নাম সব বলতে চাচ্ছিলাম না, আরেক পর্ব আসুক, বলা যাবে।

'মুভ্যি অফ দ্য উইক'-এর কথা আগের পর্বে বলা হয়েছে - যত ভাল, ভাল মুভি ছিলো হলিউডের, প্রায় সবগুলো এখান থেকেই দেখা।

সার্কের সময় খালি নাটক বা কন্সার্ট রেকর্ড করে দেখাতো, তাই-ই নয়, সাথে মুভিও দেখাতো। নেপালী, শ্রীলংকান, পাকিস্তানি, ভুটানিজ - এদের টিভির প্রোগ্রাম, মুভি আমরা দেখেছি, টিভি প্রোগ্রাম একেক দেশের একেক মাসে স্পেশালি বানানো হতো এরকম অডিয়েন্সের জন্য, বিটিভিও করতো অন্যদেশগুলোতে প্রচারের জন্যে। ইন্ডিয়ার অনেক ভাল ভাল মুভি এইসময় দেখেছি - 'মেঘে ঢাকা তারা' এসময়েই দেখা! ''দাদা আমি বাঁচতে চাই'' বলে সুপ্রিয়ার আর্তনাদ - জীবনেও ভুলবো না! সলিল চৌধুরী সপরিবারে এসেছিলেন, মেয়ে অন্তরা গাইছে, আরতি মূখার্জির গান, হৈমন্তী শুক্লা, মান্না দে, মারা যাওয়ার আগে হেমন্ত মূখার্জির ঢাকায় আসা - সব আসা বিটিভিতেই। মেহদী হাসান, গুলাম আলীর গাজাল, এখানেই প্রথম দেখা। সাথে আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রফিকুল ইসলাম আর জানি কোন কোন বিদগ্ধ পণ্ডিত নিতেন এই সাক্ষাৎকারগুলো - এরকম মানুষজনও আজকাল খুঁজে পাওয়া যায় না! ফজলে লোহানী, আম্মুদের সময়ে শোনা আবুল খায়ের, হানিফ সংকেত, পরে তুষার ভাই - সব বিটিভি থেকেই। আর, আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ-এর উপস্থাপনায় 'ঈদ আনন্দমেলা' - প্রতিবছর যেন নিয়ম হয়ে গেছিলো।

কত ভাল ভাল শিল্পী, নাট্যশিল্পী বিটিভি পরিচয় করে দিয়েছে সারা দেশে, বিদেশে অনুষ্ঠান করতে সেই আমলেই কাদেরী কিবরিয়ার ডিম্যান্ড ছিলো আকাশ্চুম্বী। বরিশালের ছেলে কিন্তু পাকিস্তানে থিতু হওয়া গায়ক আল্মগীর-এর কথা মনে আছে আপনাদের? এই দুজনই এখন স্টেইটস-এ। তপন চৌধুরীর গাওয়া, নাটক 'প্রজাপতি'-র থিম সং ছিলো এই ''মন শুধু মন ছুঁয়েছে" (যদি না আমি ভুল করে থাকি), মনে হয় যে ইংরেজী মুভি অবলম্বনে বানানো, সেটাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো। দুই ভাই পিযূষ-মানস ব্যানার্জীর প্রেমে তখন অনেক মেয়েই পড়েছিলো! হাসি

আপনি যেই কার্টুন (?)-এর কথা বলছিলেন, সেটা সম্ভবত 'দ্য উইন্ড ইন দ্য উইলোজ', যদিও আমি শিওর না এটা বিটিভি দেখিয়েছিলো কী-না! ৮৫/৮৬ সালে 'থ্যান্ডার ক্যাটস' শুক্রবার দুপুরে চলছিলো, শেষ হলে এই সেইম স্লটে 'দ্য ক্রনিকালস অফ নার্নিয়া' আসে। উপরে আমার আগের করা কমেন্টে পুরো সিরিজের লিঙ্ক পাবেন।

অনেক কিছুই বলা যায়। সিরিজ চলুক। পরের পর্বে ভাগ ভাগ করে একেক্টা থিম নিয়ে আসতে পারে, তাইলে আর সবমিলিয়ে জগাখিচুরি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তপন চৌধুরীর গাওয়া, নাটক 'প্রজাপতি'-র থিম সং ছিলো এই ''মন শুধু মন ছুঁয়েছে" (যদি না আমি ভুল করে থাকি), মনে হয় যে ইংরেজী মুভি অবলম্বনে বানানো, সেটাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিলো।
নাটকটার নাম ছিলো "প্রতিশ্রুতি"। 'মন শুধু মন ছুঁয়েছে' গানটা যখন দেখায় তার পরপরই এক্সিডেন্ট হয় মানসের গাড়ি। তার সাথে ছিলো 'যূথী'। মানস কোনোভাবে ল্যাঁগড়া হয়ে ট্যাংরা মাছের মতো বেঁচে গেলেও মানসের বাবা পয়সাওয়ালা চৌধুরী সাহেব (সম্ভবতঃ, নাটকে ছিলেন কে এস ফিরোজ, মুখে পাইপ লাগিয়ে রাখতেন সার্বক্ষণিক) 'যূথী'কে বস্টনে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসার জন্য। শর্ত ছিলো, সে কখনো মানসের সাথে দেখা করতে পারবে না। ওখানে প্লাস্টিক সার্জারী করে যূথী চেহারা পাল্টে অন্যা গোমস হয়ে যায়। আর নতুন চেহারায় পর্দায় আসেন লুৎফুন্নাহার লতা (মিস মিলি)।

ঐ গানটার জন্যই নাটকটা মনে আছে। আর মনে আছে লতার জন্য। আমার স্কুল লাইফে এক বালিকাকে দেখে কুছ কুছ হৈতো। সেই বালিকা দেখতে আবার লতার মতো! দেঁতো হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

শরতশিশির এর ছবি

হে, হে, লতা বেগমের জন্য নাটকের নামটা মনে আছে, না? চোখ টিপি আমার নাম-ধাম নিয়ে গোলমাল পাকিয়ে যায়, তাও এতকাল আগের কথা!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আলমগীর এর একখান ক্যাসেট এখনও আমার কাছে আছে, আধা বাংলা আধা উর্দু। ক্যাসেটটা এখনও চলে, বেশ ভালো মতোই চলে... ওর গাওয়া আমায় ভাসাইলিরে আর হাড় কালা করলামরে...দুর্দান্ত!

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার বলা ভারতীয় শিল্পীরা ঢাকায় এসেছিলেন ১৯৮৫ সালে, ১৯৮৪ সালে নয়।

মুভি অভ দ্য উইকের প্রথম ছায়াছবি "দ্য লঙ্গেস্ট হান্ড্রেড মাইলস"-এর কথা মনে আছে? সেখানে একটা গান ছিলনা যেটার সুর "লালঝুঁটি কাকাতুয়া ধরেছে যে বায়না" গানটার সুরের সাথে মিলে যায়!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সিরাত এর ছবি

বিটিভি এত কিছু দেখাতো? হায় হায়। এখন বিটিভি করেটা কি কন তো!

আমি থান্ডার ক্যাটস আর গার্লস ফ্রম টুমরো এখনো ভুলিনি। ম্যাকগাইভারের কথা বাদই দিলাম। ম্যাকগাইভারের কালো জ্যাকেট পড়া, মটরসাইকলে পড়া এক লোকের আরেকটা সিরিজ দেখানো, ডার্ক কি জানি। বাংলায় ডাব করা ছিল। ওটাও বেশ ভাল লাগতো!

তবে আমরা ডিশ পাওয়ার পর বিটিভি দেখা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কাজিনরা আলোচনা করতাম যে মাসে হয়তো একবার দেখি, আটটার সংবাদ বাদ দিলে।

অতিথি লেখক এর ছবি

সিরাত লিখেছেন:
ম্যাকগাইভারের কালো জ্যাকেট পড়া, মটরসাইকলে পড়া এক লোকের আরেকটা সিরিজ দেখানো, ডার্ক কি জানি। বাংলায় ডাব করা ছিল। ওটাও বেশ ভাল লাগতো!।

ডার্ক জাস্টিস। বাংলায় ডাব করেছিল 2nd season থেকে মনে হয়, তার পরেই সব চার্ম শেষ। উপরে যেমন সবাই বলেছেন, ইংরেজী শেখার কথা বাদ-ই দেয়া যাক, ভারতীয় অদ্ভূত ডাবিংয়ের কী প্রয়োজন ছিল, আল্লাহ্‌ জানে!
সুইডেনে সব কিছু শুনেছি সুইডিশ ভাষায় সাবটাইটেল করে দেয়া হয়, শ্রবণ প্রতীবন্ধীদের সুবিধার্থে। আমাদের সাধারণ জনগণ টিভিতে বিদেশী জিনিস দেখে কিছু বুঝবে না-ই যদি মনে হয়ে থাকে কর্তৃপক্ষের তাইলে ওটা করলেই হত না? ওটা করলেতো মনে হয় শিক্ষা-প্রসারেও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারত বিটিভি!! কেবল-টিভির দৌরাত্বে বিটিভি তার দর্শক হারাচ্ছিল... এই ভয়েই যদি এই ডাবিং শুরু করে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে এ কারণেই আমাদেরমত অনেক দর্শক এমনিতেই হারিয়েছে ডাবিংয়ের জোরে!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শিশিরকণা [অতিথি] এর ছবি

জাপানী একটা সিরিজ দেখাত। "ওশিন"... এতিম একটা মেয়ে তার দুঃখের কাহিনী। রবিবারে হইত। ওশিনের দুঃখ দেখে বুকটা ফেটে যেত।

শরতশিশির এর ছবি

প্রথম প্রথম তাও দেখেছি, ভেঙ্গে ভেঙ্গে তাও বড় হওয়া, বিয়ে হওয়া, পার্সোনাল ট্র্যাজেডি পর্যন্ত সহ্য করা যায় কিন্তু এর পরে আর দেখা সম্ভবপর হয়নি - জাস্ট টু মাচ নেগেটিভিটি। প্রাইম টাইমে খালি দুঃখ-কষ্ট দেখার মানেটা কী, তাও আবার নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে! উফ্‌!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেক ভূলে যাওয়া প্রোগ্রামের কথা মনে পড়ছে!

চলুক !!

_______________________

কানাভূত

অতিথি লেখক এর ছবি

ধুসর গোধূলি লিখেছেন:
- গ্রেইট দুর্দান্ত'দা। "Twin Peaks - Fire Walk with me"— এর দুইটা বাদ্য শেয়ার করে যাই আমের দেশের না-আম পাবলিকের জন্য।

দেঁতো হাসি
টেঙ্কু। আমার কাছে সব এপিসোড আছে, Fire Walk with me সহ। লাগলে বইলেন। চোখ টিপি

(কিন্তু শুধু দুর্দান্ত'দাকেই গ্রেইট বলা কেন?! প্রসঙ্গ তো তুললাম আমি!চিন্তিত)

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

শরতশিশির এর ছবি

টরেন্ট-এ? লিঙ্কটা এখানে দাও তো! আর, নাইলে আমার প্রোফাইলে ক্লিক করলে ইমেইল নাম্বার পাবে, ওখানেও কষ্ট করে পাঠাতে পারো। থ্যাঙ্কস! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

এহ্‌হে রে! একটু ক্যাচাল আছে। যখন পেয়েছিলাম, তখন নিজে ডাউনলোড করতাম না, ভাইয়া দি গ্রেট এখনো সম্বল আমার বিনে খাটনির জিনিস পেতে... আমি খোঁজ করে অবশ্যই এখানে লিঙ্ক দিয়ে দেব। হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

টুইন পিকস এর একটা ভাল টরেন্ট লিঙ্ক পেয়েছি এইখানে । এতে মিউজিকগুলা টু 'ফায়ার ওয়াক উইদ মি' সবই আছে। আগ্রহীরা ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আচ্ছা যান, আপনেও গ্রেইট। হাসি

এপিসোডের ব্যাপারটা জানা থাকলো। চোখ টিপি

আমি বাদ্য শুনি খুব। কোনো বাদ্য ভালো লেগে গেলে আর কথা নাই। নামায়ে ফেলি তৎক্ষণাত।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি বাদ্য শুনি খুব। কোনো বাদ্য ভালো লেগে গেলে আর কথা নাই। নামায়ে ফেলি তৎক্ষণাত।

শেইম টু শেম হাসি
একটা, এক টিবি HDD কেনা লাগব!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপ্নে খ্রাপ! এখন সব কিছু মনে পড়তেসে আর দেখতে ইচ্ছা করতেসে... ঐ অ্যাড টা মনে আছে? শীলার, 'মা, আমি সব দেখতে পাচ্ছি!' ইশ! কত্তো কথা মনে আসলো!

-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

নাশতারান এর ছবি

হে হে ... শংকর সাওজালের সেই বিজ্ঞাপনটা মনে আছে? "রোগবালাই তো আছে দুনিয়ায় ... ভালো থাকার আছে যে উপায়! ভালো থাকার আছে যে উপায়!"

"ভালো আছি ভালো থেকো" গানটা যেন কোন নাটকে ব্যবহার করা হয়েছিলো?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

.........
[I]যাযাবর ব্যাকপ্যাকার[/I।।

অতিথি লেখক এর ছবি

হায়রে! আমার মনে পড়ল, আমার ছোট ভাই জোস্‌ সাঁওজালকে নকল করে 'রোগ বালাই তো আছে দুনিয়ায়' দেখাতে পারত! ফাজিলটা নিজে খালি অসুখে ভুগত ছোট থাকতে! দেঁতো হাসি

'ভাল আছি' ব্যবহার হয়েছিল... উম্‌ম... ইশ! পেটে আসছে, মুখে আসছে না ইয়ে, মানে...

'মা আমি সব দেখতে পাচ্ছি' টা কোন্‌টা ছিল যেন?? সম্পূর্ণটা মনে পড়ছে না!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নাশতারান এর ছবি

'মা আমি সব দেখতে পাচ্ছি' টা ছিলো সন্ধানীর বিজ্ঞাপন।

'ভাল আছি ভালো থেকো' গানটা কোন নাটকে শুনেছিলাম? অয়োময় নাকি রূপনগর?

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

স্বপ্নের শহর সম্ভবত ... ডলি জহুর-বুলবুল আহমেদ ছিল ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

অতিথি লেখক এর ছবি

তানিয়া'র একটা বিজ্ঞাপনের কথা খুব মনে পড়ছে। লোনলি ডে.....লোনলি নাইট। সম্ভবতঃ তানিয়া'র প্রথম বিজ্ঞাপন এবং কোন বল পয়েন্ট কলমের। ইকোনো/টিকোনো হবে হয়তো। এতো ভালো লেগেছিল!
এটার কথা কেউ বলল না দেখে খারাপ লাগলো। সেই লাল পোষাক পরা তানিয়া, সেই সিঁড়ি দিয়ে নামার দৃশ্য, আহা!

-শুকনো পাতা

শরতশিশির এর ছবি

অনেক পরের এই বিজ্ঞাপন। মেইনলি এখানে আশির দশকের বিটিভি নিয়ে কথা হচ্ছে। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

অতিথি লেখক এর ছবি

উদ্ধৃতি
অনেক পরের এই বিজ্ঞাপন। মেইনলি এখানে আশির দশকের বিটিভি নিয়ে কথা হচ্ছে

বলার ধরণটায় খটকা লাগলো। মনে আসলো তাই বললাম (এখানে সবাই সেটাই করছে)। একক, দশক, শতকের হিসেব করিনি। খুব কি বেমানান লাগলো আপনার?
আসলে এই বিজ্ঞাপনটা কোন দশকের? এখানে কি শুধু আশির দশকের বিটিভি নিয়েই কথা হচ্ছে? জানতে মঞ্চায়।

-শুকনো পাতা

টিউলিপ এর ছবি

লোনলি ডেইজ, লোনলি নাইটস ছিল রাইটার বলপয়েন্ট পেনের অ্যাড। শেষের লাইন ছিল রাইটার, দ্যা রাইট ওয়ে টু রাইট। এটা মনে হয় নব্বইয়ের দশকের, তবে আসলেও, মন ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতি তো দশক হিসাব করে না।

নব্বইয়ের দশকে সুপারম্যান যে দেখাত, ওই স্লটে অনেকগুলো সুন্দর অ্যাড দেখাত। ক্যাডবেরি, কোকাকোলা, পেপসির।
___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

___________________

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি
বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি

শরতশিশির এর ছবি

আমরা তখন স্কুল থেকে ইয়ার্লি ম্যাগাজিন-এর এড চাইতে গিয়েছিলাম খালিদ রাজার অফিসে (পরেও গেছি ডিপার্টমেন্ট থেকে)। তখন এই এড সবখানে চলছিলো কোকের, এমনকি বাংলাতেও শাফিন আহমেদ গেয়েছিলেন মনে হয়ঃ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

শরতশিশির এর ছবি

হা, হা! সবগুলো মন্তব্য পড়লেই বুঝতে পারবেন আশা করি। হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি দেখতে চাই না বন্ধু তুমি
কতখানি হিন্দু আর কতখানি মুসলমান
আমি দেখতে চাই তুমি কতখানি মানুষ।

রণিতা এর ছবি

সাঈদ অসংখ্য ধন্যবাদ। ছোটবেলার কতো কথা মনে পড়ছে। আমরা যারা কলকাতায় থাকতাম তাদের কাছে বিটিভি খুব-ই জনপ্রিয় ছিল প্রাক স্যটেলাইট চ্যানেল পর্বে। ১৯৭৮-এ যখন আমাদের বাড়িতে টিভি আসে তখন ভারতীয় প্রোগ্রাম ছিল নামমাত্র। খুব ছোটবেলার্র স্মৃতি হল দশ তলার ছাদের রেলিঙে উঠে খুবই বিপজ্জনক ভাবে অ্যান্টেনা ঘোরাচ্ছেন বাবা যাতে বিটিভি দেখা যায় ভালভাবে। ঠিক কোন অ্যাঙ্গেল যে সঠিক তা খোদায় মালুম তাই ব্যাপারটা প্রায়শই তুকতাকের পর্যায় চলে যেত। মা আর মাসি ৫ তলা থেকে চেঁচিয়ে জানাতেন ছবি ঠিক এলে। সাথে সাথে আমরা দুজন মিলে দড়ি-দড়া, টেপ দিয়ে বেঁধে ফেলতাম অ্যান্টেনা, দুদিন আবার বাদেই আবার যথা পূ্র্বম হাসি আমার অনেক প্রিয় অনুষ্ঠান আর কার্টুনের কথা তো আপনারা বলেই দিলেন, দেখছি বাদ পড়লো রেমিংটন স্টিল (আহা পিয়ের্স ব্রসনন আমার কচি বয়সের প্রথম প্রেম গো) আর আমার ভাইয়ের প্রিয় ছিল বারবাপাপা ও অন্যান্য কার্টুন আর মা দেখতেন ওশিন কেঁদেকেটে আকুল হবেন বলে। জানেন একবার নিজেদের টিভিতে ম্যকগাইভার দেখা যাচ্ছিল না বলে আমার এক বন্ধু ৩০ মিনিট হেঁটে চলে এসেছিল আমাদের বাড়ি! পরে (৯৫-এ) সেই ম্যকগাইভার দেখেই কি ভয়ানক হতাশ হয়েছিলাম কি বলবো। দর্শকের মৃত্যু বোধহয় একেই বলে! আচ্ছা শরিফ মেলামাইনের বাসনই কি র"কাঁসার বাসনের মতো ভারি" হত?

অতিথি লেখক এর ছবি

ইশ্‌! এই অ্যান্টেনা ঘোরান নিয়ে অনেক ইন্টারেস্টিং সব গল্প আছে। তার মধ্যে জটিলগুলার একটা হল The New Adventures of Superman দেখা নিয়ে, যেটায় ডীন কেইন ছিল। একেতো ক্যাম্নে ক্যাম্নে জানি আমাদের সব বন্ধুদের চিরকালই সবচেয়ে পছন্দের সুপারহীরো হল সুপারম্যান, তায় রীভস্‌-এর পরে সবচেয়ে পছন্দের সুপারম্যান হল কেইন। শনিবার সন্ধ্যায় বিটিভি না আসলে খবর হয়ে যেত বাড়ির সবার, আমাদের চিল্লামিল্লিতে।

গল্পটা আমার এক বড় বোনের বান্ধবীকে নিয়ে। ওই আপু তখন কলেজে পড়েন, আমরা স্কুলে। ওনাদের বাড়িওয়ালার ছেলে ছিলেন ভীষণ পড়ুয়া, তুখোর স্টুডেন্ট পাবলিক। এক শনিবারের বিকেলে ওই আপু ছাদে গিয়ে অ্যান্টেনা ধরে টানাটানি করছেন, দুপুর থেকে বিটিভি আসছে না। ভাইয়া অন্যদের সাথে ছাদে ছিলেন, কি হয়েছে শুনে তিনি বললেন, তিনি অ্যান্টেনা ঘুরিয়ে ঠিক করছেন, আপুরা নিচে গিয়ে চেক করে জানাক ওনাকে। তো অনেক চেষ্টা করে-টরে এসছে বিটিভি, যথাসময়ে শুরুও হয়েছে সুপারম্যান, আপু মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন। পরে জানা গেছে ভাইয়া নাকি ছাদে বেকায়দা দাঁড়িয়ে অ্যান্টেনা ঠিক ঠিক অ্যাঙ্গেল মত ধরে রেখেছিলেন ঐ পুরো এক ঘন্টা ধরে! অ্যাঁ
পরে ঐ ভাইয়ার সাথেই ঐ আপুর বিয়ে হয়... এ হল যাকে বলে একদম সুপার বিটিভীয় প্রেম কাহিনী চোখ টিপি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

স্পর্শ এর ছবি

বাহ! একটা মিষ্টি গ্লপই লিখে ফেলা যাবে!!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই ...... কাহিনিটা খুবই রোমান্টিক, শেষ পর্যন্ত সুখপরিণতি শুনে আরো ভালো লাগলো

পথখোঁজা পথিক

অতিথি লেখক এর ছবি

শরৎকালে ভোরবেলা শিউলির গাছকে ধরে ঝাকালে যেমন ঝুরঝুর করে ফুল পরে, তেমনি এই পোস্টটা সবার স্মৃতিতে ঝাকি দিয়েছে।

একটা নাটকের কথা কেউ বলেছে কিনা দেখলামনা। 'বাবর আলী', আব্দুল্লাহ আল মামুনের (ঈদ স্পেশাল হয়েছিল কি?)। ২/৩ টা হয়েছিল। প্রতি পর্বে একটা করে গান থাকত।
'বাবর আলী, এখনও সময় আছে...... ' । শেষের পর্বের নাম ছিল 'আবার বাবর আলী'। এটার গান ছিল 'বাবর আলী, সর্বনাশা এই পথে তুই আবার এলি'।

-লাবণ্য-

সুমন চৌধুরী এর ছবি

বাবর আলীর প্রথম পর্বের নাম সম্ভবত "বাবর আলী"ই ছিল। দ্বিতীয় পর্ব ছিল "আবার বাবর আলী" আর শেষ পর্ব ছিল "বাবর আলীর শেষ কথা"



অজ্ঞাতবাস

নীড় সন্ধানী এর ছবি

‍‌বিটিভির মজার মজার অনুষ্ঠান নিয়ে সবাই আলাপ করছি। কিন্তু সবচে বিরক্তিকর অনুষ্ঠানগুলির কথা ভুলে গেলাম নাকি?

সন্ধ্যা সাতটার পর প্রতিদিন অন্তত একটা গানের অনুষ্ঠান থাকতো। সুর সাগর, সুর বিতান ইত্যাদি নামে। স্টুডিওর ভেতর তৈরী করা প্লাষ্টিকের বা কাগজের তৈরী সেটের সামনে দাড়িয়ে আপনমনে গান গেয়ে যেত অচেনা কিছু গায়ক গায়িকা। কি তার কথা, কি তার সুর, ঘুমে ঢুলে পড়তাম হাই তুলতে তুলতে। বিটিভির সবচে অবহেলিত সময় ছিল ওটা। অনুষ্ঠানটির নাম 'যেনতেন গান গাওয়া' দিলেই মানাতো ভালো। মনে পড়লে এখনো হাই উঠে! হাসি

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দ্রোহী এর ছবি

টিউলিপ লিখেছেন:
লোনলি ডেইজ, লোনলি নাইটস ছিল রাইটার বলপয়েন্ট পেনের অ্যাড। শেষের লাইন ছিল রাইটার, দ্যা রাইট ওয়ে টু রাইট। এটা মনে হয় নব্বইয়ের দশকের, তবে আসলেও, মন ছুঁয়ে যাওয়া স্মৃতি তো দশক হিসাব করে না।

উঁহু! ভুল বললেন! রাইটার বলপেন না। ওটা ছিলো আজাদ বলপেনের অ্যাড। নোবেল আর তানিয়া ছিলো মডেল।

আমি গরীব মানুষ। ইংরেজিতে যে গান গায় সেটা বুঝতাম না। ভেবেছিলাম বাংলাতেই গাচ্ছে গানটা।

আমি ধরে নিয়েছিলাম গানটা এরকম -

লু্ঙ্গী দে, লুঙ্গী নাই
লুঙ্গী ফারি গিয়ে (ছিঁড়ে গেছে)
নতুন লুঙ্গী চাই
আজাদ বলপেন।

বলপেনের অ্যাডে কেন লুঙ্গী চাওয়া হচ্ছে সেটা বুঝতে আমার আরেকটু বড় হতে হয়েছিলো।

নাশতারান এর ছবি

লোনলি-লুঙ্গি দেখে নিজের একটা কাহিনি মনে পড়লো। আব্বুরা ভাইদের কত্তা (<কর্তা) বলে। বড়কত্তা, মেঝোকত্তা ইত্যাদি। আমি ছোটোবেলায় ভাবতাম শব্দটা বুঝি 'কুত্তা' আর মনে মনে বলতাম 'কী বেদ্দপ পোলাপান! নিজের বড় ভাইকে কুত্তা বলে!'। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

মিতা নূরের করা অলিম্পিক ব্যাটারির "আলো- আলো......" মনে আছে আপনাদের?
তখন সেই এড (য-ফলা দিতে পারছিনা!) নিয়ে খুব হইচই হয়েছিল। সবাই বলছিল ওটা নাকি খুব অশ্লীল ! কি যে মজা লাগত ওটা দেখতে! কিভাবে যে সেটা অশ্লীল ছিল বুঝতে পারিনি আজও!

আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের "চারুপাঠ" দেখেছিলেন আ্নারা? কি যে অসাধারাণ ছিল একেকটা পর্ব!

চরম বিরক্তিকর প্রোগ্রামঃ

রাত ১১ টার পর পর "নৃত্যের তালে তালে" - আমার ধারণা যারা পারফর্ম করত কেবল তারাই সেটা দেখত। তাও পুরাটা হয়ত না!

রাত ৭ টার দিকে "ছন্দে আনন্দে" - ঘোলা ঘোলা আলোতে অচেনা কিছু শিল্পী প্যান-প্যান করে যেত! (অনেকে আগে বলেছেন)

প্রতি ঈদে একটা করে "আনন্দমেলা" - এই আনন্দমেলা করতে গিয়ে কত লোকের যে ঈজ্জত (ভরাডুবি সেন্সে) গেল! আশির দশকের দর্শকেরা হয়ত কিছু ভাল আনন্দমেলা দেখেছিলেন, আমরা একটাও দেখিনি! একবার কেবল "জুয়েল আইচ" কে নিয়ে একটা হয়েছিল। সেটা কে রেগুলার আনন্দমেলার লিস্টে ফেলা যায়না।যায় কি?

নাশতারান এর ছবি

মিতা নূরের "আলো- আলো......" মজা লাগত। মিতা নূর এর বেশ পরে একটা সিগারেটের বিজ্ঞাপন করেছিলো। সেটা বেশ বিতর্কিত হয়েছিলো। ওভাকন, ওভাস্ট্যাটের বিজ্ঞাপনগুলোও সুন্দর হতো। যদিও বিষয়বস্তু বুঝতাম না। বিজ্ঞাপনের সুখী মানুষগুলোকে দেখতে ভালো লাগত। আর ছিলো ম্যানোলা ভ্যানিশিং ক্রিম... ম্যানোলা মানে কমনীয় সুরভি, অনন্য ... ম্যা-নো-লা ! তিব্বত পমেটের মডেল ছিলো চিত্রনায়িকা দিতি। মেরিল ফ্রেশ জেলের বিজ্ঞাপনটা ছিলো সে-সময়ের সবচেয়ে সুন্দর বিজ্ঞাপনগুলোর একটা।

আর,
য-ফলা দেওয়ার জন্য:
অ্যাড=aZD

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

বিটিভি নিয়ে সবারই সুন্দর স্মৃতি আছে। সবাই মিলে আমার কাজ টা সহজ করে দিলেন, এখন আর বেশী পর্ব টাইপ করতে হবে না।

আগামী পর্বে আরো কিছু বিষয় এনে শেষ করে দিব এই টেলিভিশন পর্ব।

বিশাল একটা আর্কাইভ হয়ে গেল বিটিভি নিয়ে।

সাঈদ

রণিতা এর ছবি

বি-টিভি দর্শক আপনি আমার মতো রেমিংটন স্টিল অনুরক্তা হলে হুলু টিভি-র সাইটে গিয়ে (www.hulu.com) ৬০ খানা এপিসোড দেখতে পারেন।

অতিথি লেখক এর ছবি

ব্লগ, সাথে তার মন্তব্যগুলো... এখনো মনে আছে ৮৮ সালে অলিম্পিক গেমস দেখানোর কথা... সাথে ৯০ এর বিশ্বকাপ!

guest writer এর ছবি

আর আননদমেলা...একবার সব তারকাদের নিয়ে আননদমেলা হয়েছিল, চমতকার, জুয়েল আইচের জাদুর আননদমেলা, মনে থাকবে চিরকাল।

guest writer এর ছবি

আরও বিজ্ঞাপণ ছিল, ফয়সালের, রোমান্স ট্যালকাম পাওডারের। জিংগেলটা ছিল....তুমি ছ্ড়া আমি যেন আমি নই...অন্য মানুষ কোন..সৌরভে, অনুভবে তুমি..তুমি আছ তাইইইইই..প্রতিদিন পুর্ণতা পাই...
--------------------------------------------------------------------------------

আমি এক দুখিনি রাজকন্যা
চোখে আমার অশ্রুবন্যা।
শিয়রে আমার সোনার কাঠি,
পাযের কাছে রূপার।
তুমি হবে আমার সেই স্বপ্নের রাজকুমার?
ভাঙ্গিয়ে দেবে ঘুম?
দিয়ে ছোট্ট চুম?

নই কোন রাজকন্যা, উড়িয়েছি কেবল কল্পনারই ফানুস
আসলে আমি দোষে গুণে এক অতি সাধারণ মানুষ।।
----------------------------------------------------------------------------
রাজকন্যা

অতিথি লেখক এর ছবি

অসম্ভব ভালো লাগলো লেখাটা পড়ে ............ বাসার সবাই মিলে সেই বিটিভি ই দেখা হত, স্যাটেলাইট চ্যানেল্গুলো আসার পর আমরা অনেক অনুষ্ঠান পেয়েছি বটে কিন্তু সেই সবাই মিলে বিটিভির অনুষ্ঠান দেখা, শুক্রবার সিনেমার জন্য বসে থাকা আর হয় না।

আমরা আমাদের বাসায় সিনেমা পুরোটাতো দেখতামই; সাথে প্রতি বিরতিতে এ্যড এর সংখ্যা হিসেব করতাম, থান্ডার "ক্যাটস" নিয়ে আমার ছোটো চাচার কাহিনীর তো অভাবই ছিলো না, ক্যাপ্টেন প্ল্যানেট এর প্রতিটি চরত্র আমি আর আমার বোন ভাগ করে নিয়েছিলাম ............

আনেকদিন পর আজ আবার স্মৃতিগুলো মনে পড়লো ...... খুব ভালো লাগলো লেখাটি পড়ে

পথখোঁজা পথিক

সার্থক এর ছবি

কেউ কি আছেন যে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে নস্টালজিয়া কপচাবেন?? আশির দশকের শেষে পৃথিবীতে আসার কারণে বেশির ভাগ সিরিজ/নাটকই চিনতেছিনা, বাংলা অ্যাড গুলা চিনতেছি, কিছু কিছু অ্যাড তো এই সেইদিন পর্যন্ত দেখাইত। Time Trax, Macgyver এইগুলা দিয়ে শুরু বিদেশী সিরিজ দেখা, এরপর তো Robinhood, Sindbad তো ছিলই। Maeve মেয়েটা চেঞ্জ হয়ে যাওয়াতে কষ্ট পাইছিলাম, কাপড় কম থাকলেই কি আর সুখ বাড়ে? শয়তানী হাসি নাটকের মধ্যে অয়োময়, নক্ষত্রের রাত, আজ রবিবার, রুপনগর, তথাপি, কোথাও কেউ নেই এর কথা মনে পড়ে। একুশে টিভি যখন নতুন চালু হয়, সেইসময়ও কিছু কিংবদন্তী নাটক,অনুষ্ঠান দেখাইত। "বিপ্রতীপ" নাটকের কথা মনে পড়ে। আহ অগ্নিলা!! মরহুম আহীর আলমের নির্দেশনায় "প্রেত" নাটকটা মারাত্মক লাগছিল। যাই হোক, লেখককে ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।