জয়... আপোষহীন নেত্রীর জয়...

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৩/১১/২০১০ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শহীদ হবার পর তার বিধবা পত্নী বিএনপির হাল ধরেন।নানা ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করেছেন, একসময় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনও করেছেন।এইসব কারণে দেশবাসীর নিকট তিনি আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

এই ইমেজ নিয়েই একে একে হয়েছেন দেশের ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী ২ বারের বিরোধীদলীয় নেত্রী।

এদিকে তার দুই ছেলে সময়ের সাথে হয়েছেন দেশের রাজপুত্র।সত্য না মিথ্যা তা জানি না তবে লোকে বলে প্রেসিডেন্ট সাহেব কিছু রেখে যেতে পারেন নি। আমাদের দিয়ে গেছেন আপোষহীন এক নেত্রী, দুই এতিম পুত্র আর তার ভাঙ্গা স্যুটকেস।সময়ের সাথে সাথে সেই ভাঙ্গা স্যুটকেস অনেক হীরের ডিম দিয়েছে। বাজারে সেই ডিম বেঁচে দুই এতিমপুত্র তারেক আর আরাফাত হয়েছেন রাজপুত্র।

আপোষহীন নেত্রী কখনোই আপোষ করেননি।বিগত সামরিধায়ক(সামরিক+তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের মাইনাস টু ফর্মূলা সহ দলীয় ও বাহ্যিক নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মুখে মাথা না নোয়ালেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি।দুই রাজপুত্রের কল্যাণে অতিষ্ঠ জনগণের ভোট বিপ্লবের তোড়ে কিংবা সামরিধায়ক সরকারের কূটকৌশলে সংসদে পেয়েছেন মাত্র এক-দশমাংশের মত আসন।

লীগের বাকশালী সরকার এসেই তাদের উপর এতদিনের জমা থাকা ক্ষোভ একে একে উশুল করতে থাকলো।অথচ আপোষহীন নেত্রীর সেদিকে খেয়াল নেই।তিনি ব্যস্ত ছিলেন সুপুত্রদের জামিন নিশ্চিতের ব্যাপারে।সরকার সাফল্যের সাথে বিরোধীদলকে ব্যস্ত রাখছে।আর তারা সেই ফাঁদেই হাবুডুবু খাচ্ছে।

দেশের জনগণ বাকশালীদের কিছু কাজে যেমন খুশি, তেমনি অখুশি নানা সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে।কিছুতেই যেন বিদ্যুৎ-পানি সমস্যার সমাধান মিলছে না।বিচার হচ্ছে না সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার।নেত্রী এই ব্যাপারে বলার মতন কিছুই খুঁজে পান না।অথচ দেশবাসী রাজাকারদের যে বিচারের জন্য অধীর আগ্রহে তিনি সেই বিচারের বিপক্ষে গিয়ে রাজাকারদের গোলাপি আঁচলের নিচে ঠাঁই দিতে চাইলেন। আর ট্রানজিটসহ নানাবিধ সমস্যায় দেশবাসীকে কিছুই শোনাতে পারলেন না।

আপোষহীন নেত্রী সত্যিই আপোষহীন।দেশবাসীর দরকারে আপোষ করতে পারলেও দুই ছেলের জামিন, ১ টাকার বাড়ি আর রাজাকার বাঁচাতে সত্যিই আপোষহীন।তার নামের সুনাম আজ তিনি সাফল্যের সাথেই ধরে রেখেছেন।

আগামীকাল বাড়ি বাঁচাতে সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডাকা হয়েছে।এর মাঝেই শুরু হয়ে গেছে হানাহানি।রাজধানীর পাঁচ জায়গায় বাসে আগুন দিয়ে জনগণের ক্ষতি করে বাড়ি রক্ষা করতে চাইছেন। সত্যি এই আপোষহীন চরিত্র। এসব ক্ষণপ্রভা চরিত্র যুগে যুগে খুব কমই আসে।জাতি দেখে রাখুন, প্রাণভরে দেখে রাখুন।জয় আপোষহীন নেত্রীর জয়।থুক্কু আপোষহীন নেত্রী জিন্দাবাদ।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আফসোস, এত ইস্যু থাকতে কোনটাকে ইস্যু বানালো! এদের মাথায় কি আসলেই কিছু নাই?

অতিথি লেখক এর ছবি

এদের মাথায় কিছু আছে কি না কিংবা কী আছে সে প্রশ্নে গেলাম না।ঈদের আগে ঘরমুখো জনগণকে যে ভোগান্তিতে ফেললো তা কি তার দলের জন্য শুভবার্তা বয়ে আনবে??আর সরকারের প্রশংসা না করে পারছি না।অতি নিপুণভাবে ঘটনার তারিখ ঠিক করেছে।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

সুমন চৌধুরী এর ছবি

তবে পলিটিক্যালি কারেক্ট থাকতে একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার। বেডরুমের দরজা ভাইঙ্গা বাইর কইরা দেওয়ার ঘটনার সত্যাসত্য।



অজ্ঞাতবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

এই সত্য এখন আর জানা সম্ভব না।এই ঘটনার সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার হলে বেশ ভালো হত।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

অতিথি লেখক এর ছবি

বর্তমান সরকারের মাথায় বুদ্ধি আছে বলতেই হবে। রায়ের দিনক্ষণ এবং তড়িৎ সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতাও জটিল রকম। ঈদের আগে আর দুই দিন মাত্র অফিস খোলা। সবাই বাড়ী যাওয়ার জন্য হয় মরিয়া, নয় চলে গেছে। আন্দোলন জমাট বাঁধানোর জন্য গরম ইস্যুতে ঠান্ডা পানির ফোয়ারা। রাজনীতি নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই এই স্ট্রাটেজিক চিন্তক সালাম পাবার যোগ্য।

অমিত্রাক্ষর
অমিত্রাক্ষর@জিমেইল ডট কম

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সব সরকারের মাথায়ই এমন কূটকৌশল খেলা করে। অতীতে বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা জাতীয় পার্টিও এমন কৌশল দেখিয়েছে। তবে ব্যাপারটা হচ্ছে কী জনগণ বোকা না। সত্যাসত্য তাঁরা ঠিকই বোঝেন। জাতীয় নির্বাচনে অবাধ ভোট দেবার সুযোগ পেলে তাঁরা অতি চালাক কে আর রাম বোকা কে সেটাও ঠিক মতো বুঝিয়ে দেন। আফসোস্‌ এই যে ভোটে জেতার পর জয়ী দল সেটা মনে রাখে না।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার কথা হয়তো অনেকেরই ভালো লাগবে না।কিন্তু ১৯৯১-২০০৯ কোন নির্বাচনটাকে পুরো বা পুরোর ধারে কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে??তৃতীয় পক্ষের কলকাঠি নাড়া ছাড়া তো কেউই পুলসেরাত অতিক্রম করতে পারেন না।তাই বিভিন্নভাবে এই তৃতীয়পক্ষকে খুশি রাখতে গিয়ে আর দলের পকেট গুছাতে গিয়ে এই জনগণের কথা ভাবার সময় কোথায়??

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেকেই হয়তো বেগম জিয়ার কান্নায়(সত্যি কি মিথ্যা তাতো বোঝার উপায় নেই) তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পরবে; কিন্তু যেই নিজ কাঁধে লাথ পরবে সব সহানুভূতু উবে যাবে।
আজকে যাদের জেএসসি পরীক্ষা ছিল কিংবা যারা ঈদে বাড়ি রওনা দিতেন তারা কি খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিটা ধরে রাখতে পারবেন??

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

সরকার ইজারা বাতিল করছে রাজনৈতিক কারণে। যারা আর্মির উপর এত বিরূপ তারাই আবার সেই বাড়িতে আর্মিদের বাসস্থানের জন্য মায়াকান্না করছে। এ যেন শূন্য গোয়ালের চেয়ে একগাদা দুষ্ট গোরু ভালো মনে হচ্ছে। একেই বলে রাজনীতি।

অতিথি লেখক এর ছবি

অবশ্যই রাজনৈতিক কারণে।ব্যাপারটা হয়তো শেখ হাসিনাকে বরাদ্দ করা গণভবন কেড়ে নেবার প্রতিশোধ।আজ নিজের দেখানো ফাঁদে খালেদা নিজেই কুপোকাত।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আবারো হবে, সেটা বলাই বাহুল্য। তখন অনেকের চোখ পানিতে ভেসে যাবে।

জি.এম.তানিম এর ছবি

বিডিনিউজ২৪ থেকে,


খালেদা জিয়া বলেছেন, তাকে এক কাপড়ে জোর করে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর পরিচালক শাহীনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, "হাইকোর্টের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাড়িটি ছেড়ে দিয়েছেন। এজন্য ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডও তাকে সম্মান জানিয়েছে।"

মিথ্যেটা কে বলছেন? কেন বলছেন?
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অতিথি লেখক এর ছবি

এই সত্য এখন আর জানা সম্ভব না।এই ঘটনার সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার হলে বেশ ভালো হত।
অনেকেই হয়তো বেগম জিয়ার কান্নায়(সত্যি কি মিথ্যা তাতো বোঝার উপায় নেই) তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পরবে; কিন্তু যেই নিজ কাঁধে লাথ পরবে সব সহানুভূতু উবে যাবে।
আজকে যাদের জেএসসি পরীক্ষা ছিল কিংবা যারা ঈদে বাড়ি রওনা দিতেন তারা কি খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিটা ধরে রাখতে পারবেন??

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

মুস্তাফিজ এর ছবি

এখানে একটা বিষয় খেয়াল করার মতন।
খালেদার আইনজীবিরা কখনই স্টে অর্ডার চাননি। কয়েকদিন আগেও দরখাস্ত করে শুনানির জন্য সময় চেয়েছেন, আদালত ১০ তারিখ সময় দিলে সেটাও নানা অজুহাতে পেছাতে বলেছেন। আদালত পিছিয়ে তারিখ ডিসেম্বরের ২৯ তারিখ করেছেন। সে সময়ও তারা কিন্তু স্টে অর্ডার চাননি! একজন সাধারণ আইনজীবীও এ ধরণের ভুল করেননা। কিন্তু এসব বিজ্ঞ আইনজীবীরা এটা করেছেন।
আর একটা বিষয়, জাজ যেখানেই থাকেন বা বসেন আইন অনূযায়ী সেটাই আদালত। আজ সকালে উনারা দল বেঁধে প্রধান বিচারপতির বাসায় গিয়েছিলেন, কি খোশগল্প করেছেন জানিনা, কিন্তু এটা জানি যখন তারা প্রায় নিশ্চিত যে আজ খালেদাকে বাড়ি ছাড়তে হতে পারে তারপরও সেখানেও তারা স্টে অর্ডার চেয়ে কোন আবেদন করেননি।

...........................
Every Picture Tells a Story

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এইবার অনেকটা ক্লিয়ার ....



অজ্ঞাতবাস

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

আসলেই বিএনপির একটা ইস্যু দরকার ছিল। এবং সরকারী দল সেটা একেবার নিজ হাতে করে তুলে দিয়ে এসেছে। এখন টিভি সংবাদে খালেদা জিয়ার কাঁদো কাঁদো চেহারা দেখে জনগন নিশ্চয়ই দুঃখে দিশেহারা হবে... ভালই।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অতিথি লেখক এর ছবি

অনেকেই হয়তো বেগম জিয়ার কান্নায়(সত্যি কি মিথ্যা তাতো বোঝার উপায় নেই) তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে পরবে; কিন্তু যেই নিজ কাঁধে লাথ পরবে সব সহানুভূতু উবে যাবে।
আজকে যাদের জেএসসি পরীক্ষা ছিল কিংবা যারা ঈদে বাড়ি রওনা দিতেন তারা কি খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিটা ধরে রাখতে পারবেন??
সরকার অতি নিপুণতার সাথে যে সময়টা নির্ধারণ করেছে তাতে বিএনপি হরতাল ডেকে বরং কিছু সমর্থন হারাবে।
~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

অতিথি লেখক এর ছবি

হয়তো তারা ভাল করেই জানেন যে আইনগতভাবে এ বাড়ি দখল রাখা সম্ভব না।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

দ্রোহী এর ছবি

খালেদা আর ফালুদার স্মৃতি বিজড়িত সেই বাড়ি!

হাসি


কাকস্য পরিবেদনা

অতিথি লেখক এর ছবি

হয়তো তাই!!

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

খালেদা জিয়া বিচার দিয়েছেন আল্লাহ্ আর দেশবাসীর প্রতি! আল্লাহ'র বিচার খনিকটা বিলম্বে হলেও দেশবাসীর বিচার যেনো সত্ত্বর হয়, সেদিক দিয়ে বেশ সতর্ক তিনি। তিনি নিজেকে দাবি করেছেন 'তিন বারের প্রধানমন্ত্রী'- অথচ তিনি এটা ঘুণাক্ষরেও 'আন্দাজ' করতে পারেন নি তাঁর এই বিচার দেয়ার কারণে 'দেশবাসী' দেশকে পুটকি মেরে লাল করে দিতে পারে! তিনি এটা ভাবেন নি, তাঁর এই বিচার চাওয়ার ঘোষণার কারণে দেশের সম্পত্তি জ্বালানো- পোড়ানো হতে পারে। তিনি ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছাড়বেন নাকি চেয়ারে ফেভিকনের মজবুত জুড়ির আঁঠা লাগিয়ে বসে থাকবেন, সেইটার দায় কেনো দেশ দিবে? কেনো গাড়ি ভাঙচুর হবে? দেশের টাকা কি কারো জামাইর নাকি কারো বাপের?

গোড়ায় গাছ কেটে উনি আগায় পানি ঢালেন। নিজের চোর, বাটপার, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ছেলেদের শাস্তির ব্যাপার তো দূরে থাক, তাদের মুক্তির জন্য সাধারণ মানুষকে পুলিশের হাতে লাঠি পেটা খাইয়ে নিজের নামের শেষে 'আপোষহীন নেত্রী' সার্টিফিকেট লাগাতে তো তাঁর বিন্দুমাত্র লজ্জা হয় না। চার-পাঁচটা জন্মদিন পালন করতে যে ন্যুনতম হায়াবোধ থাকা দরকার সেইটাও তাঁর আছে বলে কোনো মালুম হয় না। আর উনি আজকে কাঁদেন, মাথা নিচু করে টিস্যু পেপারে চোখ মুছেন! পাবলিকের সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে নিজের স্বার্থ বাগাতে আবারো পাবলিকের পুটকি পুলিশের দিকে এগিয়ে দেয়ার কি নির্লজ্জ অভিনয়!

গোয়ামারা খাবে পাবলিক, উনি কিংবা উনার নেতাকর্মী কিংবা ওনার রাজপুত্রদ্বয় তো আর পুলিশের অত্যাচারের শিকার হবে না!

বাংলাদেশের বোকাচোদা পাবলিকের জন্য মাঝে মাঝে করুণাই হয়। এইসব অথর্ব, থার্ডক্লাস, নীতিহীন রাজনীতিবিদদের অঙুলি হেলনে নিজেদের বলির পাঁঠা বানানোর স্বেচ্ছাশ্রমে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখলে!



বিএসএফ—
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ

অতিথি লেখক এর ছবি

কাল রাতে এক রিকশাওলার সাথে কথা হলো।তিনি বললেন,'ভাই,কেউ কি আর শখে না খাইয়া থাকে??অন্যের রিকশা চালাই।পরিস্থিতি না বুইঝা রাস্তায় বাইড়াবো ক্যাম্নে??এরা কি আর আমাগো কথা ভাবে??কাইলক্যার দিনটা কী খামু তা কি আর কেউ ভাব্বো??আমারোই ভাবতে হইবো'

নিজ বাড়ি বাঁচাতে কেন জনগণের ভাত মারা হচ্ছে??এই বাড়ি বাঁচায় দেশবাসি কী পাবে??

জ্বালাও পোড়াও কাল বিকালেই শুরু হয়ে গেছে।ঢাকায় পাঁচটা বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিএনপি কর্মীরা।এর টাকা কি নেত্রী দিবেন??

জানমালের ক্ষতি করে এ কীসের রাজনীতি।অবশ্যই এ ফাঁদ থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

কী কমু এর ছবি

বিএনপি-র একসময়কার রাজনৈতিক বেদবাক্য ছিল, 'ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়।' বাক্যটির কী করুণ বিপ্রতীপ প্রয়োগ এখন দেখা যাচ্ছে। দলটি গত দেড় বছরে জিয়া পরিবারের ব্যক্তিস্বার্থের (অবৈধভাবে বরাদ্দ বাড়ি রক্ষা, দুর্নীতিবাজ পুত্রদ্বয়ের ওপর থেকে অভিযোগ প্রত্যাহার, তারেক জিয়ার দাবিকৃত 'পরিবারের সদস্য' জামাতী রাজাকারদের যুদ্ধাপরাধসংক্রান্ত বিচার প্রতিহত করা ইত্যাদি) বাইরে কোনও ইশ্যু নিয়ে একটি বাক্যও ব্যয় করেনি। অবশ্য বাঙালি যা বলে, তার উল্টোটাই পালন করে। বিএনপি-র মত একটি জনপ্রিয় দল যে শেষাবধি এরকম নিতান্ত পারিবারিক সংকটকে দেশের প্রধান রাজনৈতিক ইশ্যু করার মত বালখিল্য আচরণ করতে বাধ্য হবে, তা হয়ত অনেকেই আশা করেননি। রকমসকম দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে মুসলিম লীগের পরিণতিই বোধ হয় এদের জন্য অনিবার্য হয়ে উঠছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে খালেদা জিয়া মুখ ফুটে বলেছেন, তিনি লজ্জা পেয়েছেন। ভাগ্যিস বলেছিলেন, নইলে তো বুঝতেই পারতাম না তাঁর ঐসব অনুভূতি আছে। সত্তর কেজি কেক কেটে মিথ্যে জন্মদিন পালনরত দাঁত কেলিয়ে হাসির ছবি পত্রিকায় দেখে ভাবতাম, প্রকৃতির এমন একটি সহজলভ্য গুণ থেকে এই রমণীটি কী আশ্চর্য উপায়ে বঞ্চিত হলেন? যাক, তিনি বঞ্চিত নন জেনে ভাল লাগছে। খালেদা জিয়ারও লজ্জাবোধ আছে! মাভৈঃ!!

নিতান্তই গেরস্ত মানুষ, চারপাশে কেবল
শস্যের ঘ্রাণ পাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

আরেহ ভাই জানেন না, 'রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই' আর 'যার নাই নীতি তার নাম রাজনীতি'।তাই রাজনীতিতে বেদ বা কোরান বলে কিছু নেই।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

হিমু এর ছবি

কিছু জ্ঞানপাপী রাজনৈতিক পিকনিকবাজ দেখলাম যত্রতত্র খালেদার বাড়ি ছাড়াকে হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার সাথে তুলনা দিচ্ছে। এই বাতিল মালদের মতে, অবৈধভাবে বরাদ্দ প্রাসাদোপম বাড়ি অনৈতিকভাবে ভোগদখল = রাজনৈতিক সমাবেশে সন্ত্রাসী হামলা করে কুড়িজন মানুষ হত্যা।

কিছু বাতিল মালকে বিম্পি আবার ক্ষমতায় এলে প্রেস কাউন্সিলের সভাপোঁদী বানাতেই হবে। না বানালে বড় দুক্ষু পাবো।



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

অতিথি লেখক এর ছবি

কোথায় আগরতলা??আর কোথায় চকির তলা??

তবে আমার হনে হয় এর সাথে শেখ হাসিনার জন্য বরাদ্দ গণভবন আর শেখ রেহানার জন্য বরাদ্দ ধানমণ্ডির বাড়ি কেড়ে নেবার তুলনা করা যায়।

আমার হিসেবে এটি আর ঐ দুটির কোনটির বরাদ্দই ন্যায়সঙ্গত নয়।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

অতিথি লেখক এর ছবি

সামনের নির্বাচনে বিএনপি সরকার গঠন করলে 'প্রতিশোধ নেয়াটা' জমবে ভালো। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য যে আইনটা করা হয়েছে এ বছর তা তো বাতিল হবে; আর কি কি হয় তা এখনই কল্পনা করতে চাচ্ছি।

-----অনন্ত বিজয়------

অতিথি লেখক এর ছবি

সময়ই বলে দিবে কী হয়।দেখা যাক।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিএনপির লোভ এখন মসনদের চেয়ে একটা বাড়ি পর্যন্ত গিয়া ঠেকছে... এটা ভালো লক্ষণ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

বিএনপির লোভ এখন মসনদের চেয়ে একটা বাড়ি পর্যন্ত গিয়া ঠেকছে... এটা ভালো লক্ষণ...

একটি বাড়ী শুধু আর বাড়ী নয়। এটা বিএনপি’র জন্য প্রেস্টিজ ইস্যু। প্রেস্টিজ বাঁচাতে মানুষ কত কিছুই না করে!! যদিও এই বাড়ীর বাজারমূল্য জানার পর আমার ব্রহ্মতালু তপ্ত হয়ে গিয়েছিল।

---------
অনন্ত বিজয়
সিলেট

অতিথি লেখক এর ছবি

ভাই, ভালো বলেছেন। এভাবে আগে ভেবে দেখিনি।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

অতিথি লেখক এর ছবি

খালেদার চোখে জল
ভিজেছে শাড়ির আঁচল।
বাড়ি থেকে উচ্ছেদ
হল শুরু পাবলিকের ব্যবচ্ছেদ।
বাড়ি বাড়ি বাড়ি
এতো শুধু বাড়ি নয়,প্রেস্টিজ ইস্যু।

হরতালে লাশ বাসে আগুন যাত্রীর মাথায় ঢিল
দুই নেত্রীর কিচিরমিচির
চৈতন্যে কাটে না কোনো চিড়।
গণভবন বরাদ্দ বাতিলের মধুর প্রতিশোধ
কিবা ক্ষতি, কিবা লাভ!
হবে কবে আমাদের বোধ।

-------------------------------
অনন্ত বিজয়
সিলেট

অতিথি লেখক এর ছবি

ভালোই লিখছেন।তবে লাইনের দৈর্ঘ্যে সামঞ্জস্য পাই নি।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

অতিথি লেখক এর ছবি

এটা মৌ-দুধ (পড়ুন মওদুদ) গং এর একটা চাল ছাড়া আর কিছুই না। ২০০৬ এ এরাই বিএনপি কে কুমন্ত্রণা দিয়ে ১/১১ ডেকে এনেছিল, এখন না জানি কোন নতুন ষড়যন্ত্রে মেতেছে! তবে এতে বিএনপি র ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না।

কামরুল হাসান রাঙা

অতিথি লেখক এর ছবি

ক্ষমতার পালাবদলে দল আসে দল যায়; কিন্তু এই মৌ-দুধেরা থেমে থাকেন না।নানাভাবে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেন।

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
(অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...)

তেলচুকচুক এর ছবি

দেবাশিস মুখার্জি এখানে শিস বাজিয়েছেন বেশ আনন্দের সাথেই খালেদা জিয়ার বাড়ি ত্যাগ প্রসঙ্গে। সেই শিসে নৌকার মাঝির সুর নয়, নৌকার মালিকের প্রমোদবিহারের সুর।লেখাটি এবং কিছু মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন অশালীনতা, পক্ষপাতিত্ত্ব এবং মিথ্যাচারে ঠাসা থাকায় প্রাসঙ্গিকভাবেই নীচের মন্তব্যগুলো,

প্রথমতঃ খালেদা জিয়ার বাসাটি ত্যাগ করতে নির্দেশ না দিয়ে, রাষ্ট্রের পক্ষ ফেরত চাওয়া যেতে পারত।কারণ, খালেদা বাড়িটি যখন পেয়েছেন তখন তিনি ক্ষমতায় ছিলেন না।চেয়েও নেননি, ক্ষমতার জ়োর খাটিয়েও নেননি।যেটি পরপর দুবার ক্ষমতায় এসেই শেখ হাসিনা করেছেন।খালেদা জিয়াকে বাসা দেয়ার ব্যাপারে, প্রথমে সরকার একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারপর তাকে আবেদন করতে বলা হয়েছে।এবং পরবর্তীতে তাকে সরকারই বাসাটি বরাদ্দ দিয়েছে।কাজেই, রাষ্ট্রের উচিত ছিল তার কাছে, বাসাটি ফেরত দিতে অনুরোধ করা।এরপরো যদি তিনি বাসাটি ফেরত না দিতেন, তাহলে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা হত একটি যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ।এখানে প্রধানমন্ত্রী এবং তার বোন প্রতিশোধ নিয়েছেন।এই শোধবোধ প্রতিশোধের খেলা জাতি হিসেবে আমাদের সবার জন্যই লজ্জাজনক।এবং আলীগের প্রতিশোধের আগুনে এই দেশটির আপামর জনসাধারণ বছরের পর বছর আত্মাহুতি দিয়ে আসছে।পিলখানায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সহ অসংখ্য উদাহরণ দেয়া যায়।

দ্বিতীয়তঃ খালেদা জিয়ার বাসা প্রসঙ্গে এসে দ্রোহী নামক মন্তব্যকারী যে অশালীন ইঙ্গিত করেছেন তাকে সচলায়তনের পাতায় স্থান দেয়া ঠিক হয়নি।এটি সচলায়তনের পাতা থেকে মুছে দেয়ার আবেদন করছি মডারেটর এর কাছে।

তৃ্তীয়তঃ দেবাশিস ২০০১ এর নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।২০০৮ এর নির্বাচনও প্রশ্নের উর্ধ্বে নয়।দেশব্যাপী মিডিয়া ক্যু এর সমর্থন নিয়ে অনেক স্থানেই বিএনপির প্রার্থীদের বিশেষত যেসব স্থানে বিএনপি প্রার্থীরা কাছাকাছি অবস্থানে থেকে জেতার মত অবস্থানে ছিলেন, সেখানে তাদের হারিয়ে দেয়া হয়েছে।প্রসংগতঃ বলে রাখি, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনেও আলীগ ভোট ডাকাতি নয়, পুরো নির্বাচনটিই ডাকাতি করে ক্ষমতায় বসেছিল, যেটির কোন প্রয়োজন ছিল না।উদাহরণ স্বরুপ, বংগবন্ধুর আসন থেকে অন্য কাউকে দাঁড়াতে দেয়া হয়নি।জোর পূর্বক একজন প্রার্থীকে তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানো হয়েছিল।খোন্দু মোস্তাকের নির্বাচনে জেতার কোন সম্ভাবনাই ছিল না। বংগবন্ধুর সমর্থন পুষ্ট হয়ে তিনি সেখান থেকে ভোট ডাকাতি করে সংসদে এসে বসেছিলেন।এরকম আরো অনেক উদাহরণ আছে।আলীগ নামক এই দলটি স্বাধীনতা যুদ্ধে নে্তৃত্ব দানের পর, স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে সবধরনের নৈতিকতা বর্জনের উদাহরণ সৃষ্টিতে গত চল্লিশ বছর ধরে নেতৃ্ত্ব দিয়েছে সামনে থেকে।
চতুর্থত; প্রধানমন্ত্রী, তার বোন এবং পুত্রপুত্রী নাতি নাত্নীসহ চৌদ্দ পুরুষের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে যে বিশাল ভুরিভোজ এবং অট্টালিকা, দাসদাসী আর পাইকপেয়াদার ব্যবস্থা করেছেন দেশের গরীব জনতারর টাকায়, সেটিরও একটি আশু বিহিত হওয়া প্রয়োজন আছে।এবং দাবী জানাই।
পঞ্চমতঃ খালেদা জিয়ার উচিত ব্যাপারটি সহজভাবে মেনে নিয়ে দেশের জনগণের কাজে মন দেয়া।দেশের মানুষ যে অরাজকতার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তার বিরুদ্ধে তার দলের অবশিষ্টাংশ সাঙ্গঠনিক সামর্থ্যকে কাজে লাগানো।হরতাল দিয়ে বাড়ি পাওয়া যাবেনা, তবে গণমুখী কাজে মনোনিবেশ করলে তাতে দেশ আর দেশের মানুষের কিছু কল্যাণ হয়।তাতে বাড়ি না পেলেও আপোষহীন নেএীর ইমেজে জনগণ তাকে হৃদয়ের গহীনে বাসা দিবে।

রুশো

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

খালেদাকে বাড়ি দেয়া একটি অন্যায় কাজ ছিলো। তাকে বাড়ি থেকে বের করা সেই অন্যায়ের কিছুটা হলেও বিলম্বিত প্রতিকার। এ থেকে হাসিনা বেগম প্রতিহিংসা চরিতার্থ করলো কিনা, কেউ আনন্দে বগোল বাজালো কিনা, বা কেউ দুই এতিম সন্তানের জননী বিধবা মহিলার দুঃখে কেঁদে বুক ভাসালো কিনা, এগুলো সেকেন্ডারি প্রশ্ন।

তাতে বাড়ি না পেলেও আপোষহীন নেএীর ইমেজে জনগণ তাকে হৃদয়ের গহীনে বাসা দিবে।

সাধারণ মানুষের হৃদয় খুবই ছোট জিনিস, বেগম খালেদা জিয়ার তাতে পোষাবে না। তবে কিছু কিছু আবালের হৃদয় শোনা যায় প্রশান্ত মহাসাগরের মতো সুবিশাল। সেখানে খালেদা হাগু করলেও জৈবসার উৎপন্ন হয়, হাগু থেকে মেশক-জাফরানের সুগন্ধি বের হয়। আশাকরি নির্যাতিতা বিধবা অসহায় নারী খালেদা সেসব হৃদয়ে তার অবস্থান আরো পাকাপোক্ত করতে পারবেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি

১।আমি কি আমার লেখার কোথাও বলেছি যে সর্বশেষ যা ঘটেছে তা ভালো ঘটেছে??এর সমাধান অবশ্যই অনেক সুন্দরভাবে হতে পারতো।আর কোন প্রমাণ না দিতে পারলেও আমার ধারণা গতকালের ঘটনার পেছনে শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানার বাড়ির বরাদ্দ বাতিলের প্রতিশোধের আশঙ্কা থেকেই যায়। আর এজন্যই বলেছি -

আজ নিজের দেখানো ফাঁদে খালেদা নিজেই কুপোকাত।

২।দ্রোহীর মন্তব্য।আমি কোন মন্তব্যে যাবো না।আশা করি সচলায়তন কর্তৃপক্ষ আপনার অভিযোগ যাচাই করে দেখবেন।
৩।আপনি লিখেছেন -
দেবাশিস ২০০১ এর নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

ঠিক কোথায় লিখেছি একটু কষ্ট করে দেখিয়ে দিন।আমি তো খুঁজে পাচ্ছি না।
৪।আজকের প্রধানমন্ত্রী যা করছে তাও জনগণ দেখছেন।আর ক্ষমতার বদল হলে আজকের বিরোধীদল সরকারে গেলে অবশ্যই এর বিহিতের ব্যবস্থা ভেবে দেখবেন।আর জনগণ তো আছেই সিদ্ধান্ত নিতে।
৫।আপনি যদি সত্যিই মনযোগ সহকারে লেখাতি পড়ে থাকেন তো অবশ্যই বুঝে থাকার কথা।যেহেতু ঠিক বুঝেন নি তাই সারমর্মটা তুলে ধরছিঃ
বেগম খালেদা জিয়া যে আপোষহীন নেত্রীর সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি তা বর্তমান সময়ে নানা কারণে হারাতে বসছেন।একসময় বিএনপির শ্লোগান ছিলঃ ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। সে কথার প্রতিফলন আজ কোথায়??

~~~~~ দেবাশিস মুখার্জি ~~~~~~
[db.mukherjee.blog@gmail.com]

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।