মহাজ্ঞানী পণ্ডিতগণ, চালাও তোমরা শিক্ষাঙ্গন... আমরা গেলাম সুন্দরবনে।

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ২২/০৭/২০১১ - ১০:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক আক্রোশ নিয়ে লিখতে বসেছি। কি লেখা বেরুবে জানি না। তবে সবাইকে জানানো দরকার। ঢাবির প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রকে পুলিশ ডাকাত বানিয়ে, মেরে হাত ভেঙ্গে, পায়ের টেন্ডন ছিঁড়ে দিয়ে, সারা শরীর থেঁতলে দিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমাদের বিখ্যাত শিক্ষকগণ বারবার অনুরোধের পরও একটা ফোন পর্যন্ত করতে পারেননি থানায়।

ছেলেটির নাম আব্দুল কাদের। তার বাড়ি কুমিল্লার বুরিচং থানায়। সে কুমিল্লা জেলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ঢাবির প্রাণরসায়ন থেকে অনার্স শেষ করেছে। সে ফজলুল হক হলের প্রধান ভবন এর ২০২ নং কক্ষে থাকত।

১৬ তারিখ রাত আনুমানিক ১ টার দিকে সে হল থেকে বের হয়। বন্ধুদের ভাষ্যমতে সে তার মায়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিল। টহল পুলিশ তাকে দুদক এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করে খিলগাঁও থানায় নিয়ে যায়। সে কোন আই ডি কার্ড দেখাতে পারেনি। তাকে সারারাত থানায় মারধর করা হয়। পরদিন তার রুমমেট তাকে দেখতে গেলে দেখা করতে দেওয়া হয় নি বরং আরও শাসানো হয়েছে যে দেখা করতে চাইলে তাকে আরও মারধোর করা হবে। দুপুরে তাকে ডাকাতি ও পুলিশের ওপর হামলার মামলায় চালান করে ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। রিমান্ডের প্রথম দিন তাকে মেরে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। পায়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে চামড়া ফাটিয়ে মাংস বের করে ফেলা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল এ নেওয়া হয়। প্রথমে ওয়ার্ডে পরে বারান্দায় ফেলে রাখা হয়। তার মা, শিক্ষক ও ছাত্ররা তাকে দেখতে গেলে দেখা করতে দেওয়া হয় নি। বলা হয় এরপর যারা দেখা করতে আসবে তাদেরকেও গ্রেফতার করা হবে। সে এখন কেন্দ্রীয় কারাগারে আছে। আমার কথা হচ্ছে যে ছেলেকে কোনোদিন সিগারেট পর্যন্ত খেতে দেখা জেত না। যার সাথে কোনোদিন কারো ঝগড়াঝাঁটি হয় নি। সে কিভাবে ডাকাতি করে ও পুলিশকে দেখে ককটেল ছোঁড়ে টা আমার বোধগম্য হচ্ছে না।

এবার আমাদের বিখ্যাত পণ্ডিতগণ এর কথায় আসি। গ্রেফতার এর দিন সকালে বিভাগের শিক্ষকদের বিষয়টা জানানো হলে তাদের মন্তব্য শুনুন – চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী, “এটা ভার্সিটির বাইরের ঘটনা, এখানে আমার কিছু বলার নেই।“ সিনিয়র শিক্ষক ইশতিয়াক মাহমুদ, “তোমার এত মাথাব্যাথা কেন, নিজের পড়াশোনার দিকে নজর দাও।“ জুনিয়র শিক্ষক সজিব চক্রবর্তী, “তোমরা ব্যাপারটা দেখ।“ প্রোক্টর কে তো খুঁজেই পাওয়া যায়নি। অথচ এদের যে কারো একটা ফোন কল ই কিন্তু যথেষ্ট ছিল কাদেরকে রিমান্ডের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য। আমার ভাবতে হতবাক লাগে যে কি ধরনের সুবিধাবাদী আর দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকেরা আমাদের এখানে পড়ায়। পলিটিকাল কেউ হলে তো এক সেকেন্ডও লাগে না পদক্ষেপ নিতে। কিন্তু কোনোদিন রাজনীতির সাথে না জড়ানো কাদেরের জন্য কিছু করা তো ফাও খাটনি। কেন তারা করতে যাবে।

প্রোক্টর সাইফুল ইসলাম খান সাহেব তো আরও এককাঠি সরেস। তাকে অফিসে, ফোনে কোনোভাবেই খুঁজে না পেয়ে অবশেষে তার ফুলার রোডের বাসার সামনে গাড়ি করে বের হয়ে যাওয়ার সময় পাওয়া যায়। ছাত্ররা কাদেরের কথা বললে তিনি তাদের কাদেরের পক্ষ নেওয়ার জন্য তিরস্কার করেন। ছাত্রদের নাম জিজ্ঞাসা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। তারপরও ছাত্ররা চাপাচাপি করলে তিনি ছাত্রলীগ এর এক নেতাকে ডেকে বলেন যে কিছু ছাত্র নাকি তাকে ‘ডিস্টার্ব’ করতেসে। সেই নেতা এসে ছাত্রদের ধমকাধমকি করে। তারপরও কিছু করার জন্য চাপাচাপি করলে সে বলে যে পুলিশ নাকি তাকে আগেই ফোন করেছে। কাদেরের বিরুদ্ধে নাকি এন এস আই এর রিপোর্ট আছে। এন এস আই কি আজকাল দাকাত/ছিন্তাইকারি ধরতেসে নাকি? যাওয়ার আগে তিনি বলে যান ছাত্ররা যদি এতই নিশ্চিত থাকে যে কাদের নির্দোষ তাহলে তাদের নাম ঠিকানা সহ ভিসির কাছে দরখাস্ত করতে।

কাদের দোষী নাকি নির্দোষ, দেশের পুলিশগুলো কত বড় হারামজাদা এইসব লিখতে গেলে আরেকটা লেখা লিখতে হবে। লিখবও হয়ত। কিন্তু এইখানে আমার সবথেকে ভয় লাগছে শিক্ষকদের আচরণ দেখে। আমরা ঢাকার বাইরে থেকে আসি পড়ালেখা করতে। এখানে আমাদের তেমন কেউ থাকে না। আমরা থাকি হলে। শিক্ষকেরা হবেন আমাদের অভিভাবকের মত। তারাই যদি এইরকম দায়িত্বজ্ঞানহীন হন তাহলে এই ঢাবির আই ডি কার্ড নিয়ে ঘোরার মানে কি? তারা তো আমাদের পরিচয়টা পর্যন্ত কনফার্ম করতে উদাসীন। আজকে যে একটি ছেলের ক্যারিয়ার, শারীরিক আর মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবারের স্বপ্ন, সব শেষ হয়ে গেল তার দায়িত্ব কে নেবে? আমরা জানি কাদের কেমন ছেলে। তারপরও আমরা শিক্ষকদের বলি নাই যে কাদেরকে নির্দোষ বলতে। আমরা খালি বলেছি একটু পদক্ষেপ নিয়ে অন্তত একটা জামিন করাতে। তাহলে অন্তত মার খেয়ে পঙ্গু হওয়ার হাত থেকে সে বেঁচে জেত। তাও তারা করেননি।

আমি কোন ব্লগার না। কোন সংগঠনও করি না। আমার অনেক বড় ফ্রেইন্ডসার্কেল ও নেই। লোকজন বলে ব্লগ নাকি এখন অনেক শক্তিশালী। ফেইসবুক এ নিয়মিত শেয়ার লিংক গুলো পড়ি। অনেকেই অনেক ভালো লেখে। তাদের মত লিখতে পারি না। যতটুকু পারি তাই দিয়ে সবার কাছে বলছি। ঢাবির বায়োকেমিস্ট্রির ছাত্র হয়েও যদি ডাকাত হওয়া লাগে তাহলে আপনারা কেউ ই নিরাপদ নন। আবার বলছি সবার জানা দরকার। সাংবাদিক ভাইরা যদি পড়েন তবে প্লিজ একটা স্টোরি করেন। আমরা আমাদের বন্ধুদের মাঝে আরেকটা লিমন দেখতে চাই না। প্লিজ।


মন্তব্য

অ্যালবেট্রস্‌ এর ছবি

কাদেরকে খুব ভালোভাবে চিনি, অতি নিরিহ টাইপের এক ছেলের জীবনটা বরবাদ করে দেয়ার পায়তারা চলছে। আর, যে বিভাগের যেসব শিক্ষকদের কথা বললেন, তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে ভালো কোনো কথা আশা করা যে অর্থহীন, সেটা আপনিও জানেন, আমিও জানি।
খুব খারাপ লাগছে কাদেরের জন্য। আজ তার জায়গায় আমিও থাকতে পারতাম।
সবাইকে অনুরোধ করছি ব্লগটি ফেইসবুকে শেয়ার দেয়ার জন্য। এবং, লেখকের সাথে আমি পুরোপুরি একাত্মতা প্রকাশ করছি।

কৌস্তুভ এর ছবি

ছেলেটাকে এরকম গ্রেফতার আর অত্যাচার করার পেছনে পুলিশের মোটিভ কী? সে কি বিপক্ষ দলের কর্মী ছিল?

লেখাটির লেখক এর ছবি

জানি না। সে কোনোদিনই কোনোরকম দলের কর্মী ছিল না।

বন্দনা কবীর এর ছবি

আমাদের মধ্যে মানবিকতা বলে আর কিছু অবশিষ্ট নেই।

আজকাল দেখি রাতের বেলা ঘর থেকে বের হওয়াই ভয়ংকর। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, সরকারের প্রজ্ঞাপন জারি করা জরুরি হয়েছে যে, "রাত্রিবেলা মা মরিলেও ঘর হইতে বাহির হইবেন না। রাত্রিকালে ঘর হইতে বাহির হইলেই ডাকাত সন্দেহে খুন করা হইবে অথবা ডাকাতি মামলায় ফাঁসানো হইবে।"

এই সব দেখে শুনে রাগটাই বাড়ে শুধু। অক্ষম রাগ।

ভালো মানুষ এর ছবি

ভাই কাদের ভাইয়ের জন্য খারপ লাগছে তো আপসোস কিছুই করতে পারতেছিনা দেশের ভাইরে থাকার কারনে দেশে থাকলে ও যে কিছু একটা করে ফেলতাম এমনটাও না......।।তবে আমরা তো মানুষের কাছে প্রচার করে অধিকতাদের টনক নড়াতে পারি...ভিখির ছাত্রী নিযাত্নের ঘটনার মত।।চলুন এই সব অপকমের হাত থেকে এই মেধাবী ভাই টি কে রক্ষা করি.........।।

ভালো মানুষ

(আমি ভাই খারাপ মানুষ ভালো হতে চাই, টাকা পয়সা দিতে পারবো না)

নিবিড় এর ছবি

এই দেশে সাধারণ কেউ হওয়া অপরাধ

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের অসাধারণ বিষয়ের একটা ছাত্রকে এইভাবে মারবে কিছুতেই মানতে পারলাম না!!!! সাধারণ ছাত্রদের, অন্য বিষয়েরদেরকেও জানান, সবাই এগিয়ে আসবে, মানব বন্ধন করেন, যতজনকে জানানো যায় সবাই চেষ্টা করেন!!!! আমরা এই পোস্টটিকে ছড়িয়ে দিচ্ছি.................. মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ

আর কিছু শিক্ষক আজ আর প্রকৃত শিক্ষক নাই, জড়-পশু হয়ে গেছে......... মন খারাপ

পাঠক রিজভী এর ছবি

আমিও আপনার সাথে একমত। আমরা যারা ছাত্র তাদের উপর এই অমানুশিক নিরযাতন আর সহ্য করা যায় না।

এই জাতি কি ভুলে গেছে এই ছাত্র সমাজের অবদানের কথা.........যাদের কারনে আজ আমরা মুক্ত,যাদের জন্য আজ আমরা বাংলায় কথা বলি,যাদের কল্যাণে আজ আমরা বাঙ্গালী।

কিছু দিন আগে ছয় ছাত্র প্রান হারাল,ভাবলাম যে তারা ভুল এর শিকার।কিন্তু হায় একি????
পুলিশ নামের অমানুসগুলো তাদের কে ডাকাত বানানোর আপ্রান চেষ্টা চালিয়া যাচ্ছে......... যাদের অবহেলার শিকার ছাত্রগুলো,তাই তারা ওদের ডাকাত বানিয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আমরা যারা ছাত্র তাদের উচিত এর তীব্র প্রতিবাদ করা।আজ ওরা ছয় জন তার পর হয়ত আমার পাশের কোন ভাই,তারপর আমি,তারপর হয়ত আপনি............ আজ যারা নিপিরিত তারাও কার না কার ভাই, আপনার বা আমার ভাইএর এই অবস্থা হলে কি আপনি বা আমি সহজে মেনে নিতে পারতাম......... কিন্তু আমরা ছাত্র কোন দল করি না তাই বসে আছি......... কিন্তু আর কত??????

আমরা যারা ছাত্র তারা কখনও ভাংচুর এর পক্ষে ছিলাম না আর থাকবও না,তাই আমাদের প্রতিবাদ এর হাতিয়ার মানব্বন্ধন করা উচিত............... আসুন আমরা সকল ছাত্ররা মিলে মানব্বন্ধন করি,যে ছাত্ররা পুলিশ এর নির্যাতনের শিকার তাদের সুষ্ঠু বিচার এর দাবি জানিয়ে..................

আসুন আমরা যারা ছাত্র তারা তাদের ভাইদের পাশে দাড়াই,নাহলে আজ কাদের,আল আমিন,ইব্রাহিম,রিমন,কাল আমি,এরপর আপনি.....................

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

চলুক
আমিনবাজারের ঘটনা যা বলা হচ্ছে তা পুরোপুরি বানোয়াট, মূলতঃ ঐখানকার মাদকব্যবসায়ীরা আমাদের ঐ ভাইগুলোকে মেরে ফেলে, তারপর লোকজনকে ডাকে!!! আর ডাকাতদের হাতেই যে তাদের নির্মম পাশবিক মৃত্যু হয় তার বড় প্রমাণ হলঃ ছাত্রদের একজনের দুহাত কেঁটে ফেলা হয়েছিল!!! মন খারাপ মন খারাপ পুলিশ এতটাই নোংরা যে তারা পরে তা শেলাই করে ফেলে, কিন্তু সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিতে পারে নি!!!! আর বেঁচে যাওয়া ছেলেটাও একি কথা বলেছে!!! সুস্পষ্টতঃ ঐখানকার মাদকব্যবসায়ীরা আর পুলিশ এই ন্যাক্কারজনক মর্মন্তুদ ঘটনার জন্য দায়ী!!!!

যে কোন সভ্য প্রতিবাদের সাথে সোচ্চার আছি, পাশে আছি.................

পাঠকsumu এর ছবি

dhaka university er moto educational institute jodi tar student der erokom pulicei nirjaton theke niriho chele help er jonno kono bebostha na nite pare,ba na nite cay,tobe bujte hobe,amra asolei amader monusotto-bodher last stage e cole gesi...kader chele tar jonno onek kosto hosse...r ghrina hosse sei sob "jatir bibek" der upor...thu: thu:

তার-ছেড়া-কাউয়া এর ছবি

শেয়ার দিচ্ছি। কাদেরকে চিনি না। তবে খোজ লাগাচ্ছি। জানি না কতটুকু কাজ হবে। চেষ্টা করতেতো দোষ নাই। নিজেও এ ধরনের ঘটনার শিকার হতে হতে বেচে গিয়েছি।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যে দেশে প্রেসিডেন্ট একজন চিহ্নিত খুনীকে ছেড়ে দেয় সেখানে এর চে ভালো কী আশা করেন? এসময়ের অনেক শিক্ষকই পা চাটা কুকুরের মত। আপনাদের সেই বিখ্যাত রাজনীতিবিদ শিক্ষকটি এখন চুপ করে আছে কেন? নাকি গণতান্ত্রিক সরকার ছাত্রকে পিটিয়ে থেতলে দিলে সেটা জায়েজ?

একটা জিনিস বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছি-- একজন ছেলেকে পুলিশ রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে মেরে তক্তা বানিয়ে দিল, কোন কারণ ছাড়াই? আপনার লেখা থেকে শুধু একটি দিক জানা গেল। ঘটনার দুই পাশই জানা দরকার।

লেখাটির লেখক এর ছবি

এখানেই তো সমস্যা, আসলে কি হয়েছিল সেটাই তো জানা যাচ্ছে না।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

পিপিদা, আমাদের দেশে কাউকে পুলিশে ধর্তে কোন কারণ লাগে না, শুধু সন্দেহের ভিত্তিতেই বিনা বিচারে আটকে রাখা যায়, রাষ্ট্র বৈধ ভাবে সে ক্ষমতা পুলিশকে দিয়েছে। আর পুলিশে ধরবে কিন্তু মার দিবে না এইটা বেশ খানিকটা বেশীই আশা করা(তার উপর মনে হচ্ছে ছেলেটা কারও সাথে 'লিয়াজো ' রেখে চলে নাই!!


love the life you live. live the life you love.

অপরিনামদর্শী এর ছবি

প্রাণরসায়ন বিভাগের বিখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক (আনোয়ার হোসেন) যদি একটু চেস্টা করেন তাহলে এ ঘটনা নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। মামুন স্যার আর ইশতিয়াক স্যার এর কাছে গিয়ে কোন ল্যাভ নাই।

দীপক রায় এর ছবি

পুলিশের গ্রেফতার করে অত্যাচার করার কোন অধিকার নেই।
আর শিক্ষকরা কেন এত হারামজাদা তা খুজে বের করার জন্য সকলকে ভাবতে বলছি?
এই দায়িত্বজ্ঞানহীন মূর্খ শিক্ষকদের অত্যাচার থেকে ছাত্ররা কি শিখবে?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এদেশে টিকে থাকার প্রাথমিক ও চুড়ান্ত নিয়ম হলো, আপনি নিরীহ নিষ্পাপ হতে পারেন, কিন্তু আপনার একটা গ্যাং থাকতে হবে, সেই গ্যাং এর গডফাদার থাকতে হবে। সেই গডফাদারের হাত সরকারের মতো লম্বা হতে হবে। তাহলে আপনি ঠান্ডামাথায় কারো গলা দুফাঁক করেও আগাম জামিন পেতে পারবে, বিচারে যাবজ্জীবন পেয়েও বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পেতে পারেন, কিংবা ফাসির আদেশ খেয়েও মহানুভব রাষ্ট্রপতির ক্ষমা পেতে পারেন। পুলিশ আপনাকে ছোঁবে না, ছুঁলেও সাগর কলা খাওয়াতে খাওয়াতে ভ্যানে তুলে নিবে

আর........আপনার গ্যাং নাই? তাহলে ধরে নেন পুলিশের হাতে পড়লে আপনার ঠ্যাং নাই।

শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে বলি? আমার কলেজ জীবন শুরু হয়েছিল পুলিশের হাতে হাইজ্যাক হওয়া দিয়ে। খোদ কলেজের প্রিন্সিপ্যালের রুমের সামনে থেকে। বিনা ওজরে। যার একটু আঙুল ওচা হলেই দুর্বিসহ জীবন কাটতো না ৩৫ টা নিরীহ নবীন ছাত্রের। পুরো কলেজ জীবন আমি শিক্ষক সমাজকে শ্রদ্ধা করতে পারিনি আর।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

আশফাক এর ছবি

শেয়ার দিলাম

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

facebook এ শেয়ার দিলাম। এ আগুন ছড়িয়ে পড়ুক সবখানে...

guest_writer এর ছবি

ওরে বাপ, আফনে যানেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যারেরা তো খুব বিজি। তাদের এইসব কাদের তাদের হাবিজাবি মাইনর টপিক নিয়া মাথা ঘামাইলে চলে? তেল গ্যাস নিয়া আমরা আন্দোলন করি আর আমাগো স্যারেরা আমাগোর সাথে তো দুরস্থান হেরা তখন টি.ভি টকশোতে, তৃতীয় চতুর্থ মাত্রায় দেশে আইনের শাসন আর গণতন্ত্র আনতে ব্যাস্ত। আমাগো মাইর‍্যা পুলিশ খোয়ারে ভরে আর হেরা এ.সি করা গাড়ী নিয়া ক্লাস নিতে আহে। দেশের কোন কাদের, আবুবকর নিয়া তাদের থাকলে চলে না তো। মুনাশ, অক্সফোর্ড ভার্সিটি থ্যিকা আগে স্কলারশিপটা পাইতে হবে তার পরে না বাকি সব ___ এদিকে কম বয়স্ক তরুন জাতীর ভবিষ্যৎ স্যারদের এসবের বাইরেও মেলা কাম থাকে __ ক্লাসের সুন্দরী মাইয়াগুলারে তাদের দেহাশুনা করতে হয়, এদের রেজাল্ট ভাল মন্দ তিনারা না দেখলে কে দেখবে বলেন __ যেইভাবে যৌন সন্ত্রাস বাইর‍্যা চলতাছে __ !!!

সোয়াদ আহমেদ।

NIZAM UDDIN এর ছবি

Ah desh amar kothai jacchi amra din din Allah e jane....................ekti sadharon cheleke eievabe ottachar mene neoa jaina................haire amader teacher ra unara naki amader ovivabok...aj ovivabok thakte ekti cheler eierokm korun durdhosha.....................

দীপক রায় এর ছবি

একজন আমাকে ফোন করে বললেন, ভাই আস্তে কথা বলেন। আমি বললাম, বুঝলাম না। সে বলল, যা হয়েছে হয়েছে শিক্ষকদের টানেন কেন্। শিক্ষকরা অত্যাচারি কিরুপে? আমি বললাম__ তারা দায়িত্ব নিয়ে পড়ায় না, শিক্ষাকে ধনীদের পণ্য করে ফেলতেছে অথচ এমনটাতো হওয়ার কথা নয়; কথা কি!
উনি বললেন, পিঠের ছাল থাকবে না। আরও ভয় দেখালেন। আমি ভয় পাই নি।
যাইহোক যেরাষ্ট্রে খুনির রক্ষাকারীরা একেকজন পালাবদলে হয় আমাদের রাষ্ট্রপতি (বর্তমান যিনি রাষ্ট্রপতি তিনিও টাটকা ঘটনা ঘটিয়েছেন) সেদেশে শিক্ষাব্যবস্থা এমন হওয়াই স্বাভাবিক। মাষ্টাররা পড়াবেন না, ছাত্রকে ধর্ষণ শেখাবেন, কিভাবে দূর্নীতিবাজ হতে হয় তা বলবেন, কত সহজে ধনী হতে হয় কোচিং সেন্টারে সেটার (সহজ উচ্চ ক্যারিয়ার) সহজ পাঠ দিবেন!!! কিন্তু স্বাভাবিকভাবে কেউ কি পাঠ না পেলে কোন আদর্শ চিহ্ন চিনতে শেখে! কেউ না। অথচ শিক্ষকরা প্রজ্ঞাবান হলে ঘটত অন্য ঘটনা। 'ব্যক্তি' প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সঠিক শিক্ষা পেয়ে সমাজের উন্নয়নে অংশ নিত। এবার 'গ্যাং' নিয়ে বলি....
যারা 'গ্যাং' সামলায় কিংবা 'গ্যাং'_এর সদস্য তারাতো সামাজিক জীবনযাপন করেনা। করে দস্যুর জীবনযাপন । তাই আমাদের গ্যাং কে ভয় নয়, গ্যাং তৈরির চিন্তা নয়; করা দরকার এগুলো ঠেকানোর সামষ্টিক চিন্তাভাবনা। গড়া দরকার নতুন নতুন সমাজ__নতুনদের বৈঠকখানায় জ্ঞান-বিজ্ঞান-সংস্কৃতির নব নব পর্যায়।
অন্যদিকে পুলিশ, বিচার, বিনাবিচার, বিচারালয়, রাষ্ট্রপতির ক্ষমা-মুক্তি অথবা ব্যক্তির দুর্বিসহ জীবন সবই রাষ্ট্র আর তার রুপের উপর নির্ভর করে। সমাজও এতে কখনও কখনও সায় দেয়। কখনও রাষ্ট্রের সাথে সমাজ পেরে উঠেনা। তাই এবার প্রশ্ন বন্ধু পালিয়ে তুমি কোথায় যাবে? আর কার্ কার‌্ সাধ্য আছে রাষ্ট্রকে ফাকি দিয়ে পালিয়ে কতদিন কোথায় বেড়াবে? পালাবার পথ কারও কারও থাকে। তারা অধিপতি শ্রেণী। যেমন তারেক জিয়া, কোকো, খালেদা জিয়া, মঈন-উ-আহমেদ, শেখ হাসিনা, জয়, জয়নাল হাজারী, গোলাম আযম, ইত্যাদি ইত্যাদি!!! কিন্তু আপনার-আমার পালিয়ে ভালোভাবে বাচার কোন জায়গা নেই-দেশ নেই। কোন না কোন রাষ্ট্র ধরে ফেলবে। সমর্পণ করতে হবে নিজেকে।

তাই সংগঠিত হওয়া ছাড়া কোন গতি নাই, কোন মুক্তিও নাই ।

হাসিব এর ছবি

যেইসব "শিক্ষক"দের নাম নিলেন সম্ভব হলে তাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন ছাত্রের থুতু পৌছে দেবেন।

জহির  আহমাদ এর ছবি

হোসে না আরা নাকী হাসি না যারার ইয়ার ছিল । তা দেখে কী স্কুলের বাচ্চা মেয়েরা ভয়ে পালিয়ে গেছে না বীরের মত লড়াই করে জিতেছে ? এ বিজয় আমাদের কী সবরকম অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে অনুপ্রেরনা যোগায় না ?

“এদেশে টিকে থাকার প্রাথমিক ও চুড়ান্ত নিয়ম হলো, আপনি নিরীহ নিষ্পাপ হতে পারেন, কিন্তু আপনার একটা গ্যাং থাকতে হবে, সেই গ্যাং এর গডফাদার থাকতে হবে।”--সহমত । আপনাদের বিভাগের সাবেক ছাত্র এবং বর্তমানে প্রভাবশালী কোন একজনকে আপাতত: গডব্রাদার বানিয়ে নিন । সবাই মিলে খিলগাঁও থানায় যান । পুলিশের সাথে কথা বলবার সময় দয়া করে নিজেদের ক্রোধ সংযত রাখবেন । এতে কাজ না হলে আবার “সাধারণ ছাত্রদের, অন্য বিষয়েরদেরকেও জানান, সবাই এগিয়ে আসবে, মানব বন্ধন করেন, যতজনকে জানানো যায় সবাই চেষ্টা করেন!!!!”

“পুলিশের গ্রেফতার করে অত্যাচার করার কোন অধিকার নেই।”--সহমত ।
“আর শিক্ষকরা কেন এত হারামজাদা তা খুজে বের করার জন্য সকলকে ভাবতে বলছি?”--সবাই একরকম নন । আমাদের দুর্ভাগ্য যে ওই বিভাগের বেশীরভাগ শিক্ষকই মেরুদন্ডহীন ।

Blackhole এর ছবি

vai amar mone hoy ai DU er teacher gula theke shuor/pig o onek valo!!!!

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ঢালাও মন্তব্য; ভাষা আপত্তিকর।

হাসিব এর ছবি

আমিও আপত্তি জানালাম। এ ধরণের মন্তব্য সহমর্মিদের দুরে সরানো ছাড়া কোন কাজে আসবে না।

Abid Azad এর ছবি

আমি একজন সাংবাদিক। আমি এই লেখাটির লেখক কে অনুরোধ করছি আমার মেইল ঠিকানায় আপনার মোবাইল নম্বরটি আমাকে দেয়ার জন্য। আমি আপনার সাথে যোগাযোগ করব। আশা করি আপনার সাথে খুব তাড়াতাড়ি কথা হবে আমার।

Abid Azad এর ছবি

I am a journalist at a English newspaper. I need the writer's contact no. or any other student of the Biochemistry department.

Please send the contact no. to my e-mail ID:

Abid Azad এর ছবি

I am a journalist at a daily English newspaper. I want to talk with the writer. 01913910403 is my contact no.
Please as soon as I want to talk to you. I am waiting for your call.

Abid Azad

মাহমুদ কায়সার এর ছবি

আপনি যে চেয়ারম্যান শিকখকের কথা বললেন তিনি (বা তাঁরা) মানুষ হিসেবে কেমন সেটা একটা ঘটনা শুনলে বোঝা যাবে। একবার ক্লাশে দুয়েকটা ছেলেমেয়ে একটু পরে ঢুকতেছিলো। দুই ক্লাশের ফাঁকে ছেলেমেয়েরা নীচে নেমে হান্নানের দোকানে চা-টা খায়। আড্ডা দেয়। এটা আপনাদের লাল দালানে, যেখানে ক্লাশ হয়, সেটাতে প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। তো, উক্ত শিকখক, ছাত্রদের ক্লাশের দরোজায় দাঁড় করিয়ে বিকট নীতিবাক্য শোনাতে লাগলেন; তোমরা হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তোমরা নীচে’র ফুটপাতের চা’র দোকানে চা খাও, ছি ছি ছি। ওখানে রিক্সাওয়ালারা চা খায়। ঠেলাওয়ারা চা খায়। টোকাইরা বিস্কুট খায়। আর তোমরাও যেয়ে ওদের সাথে খাও! এটা ঠিক না। তোমাদের স্ট্যাটাস তো অনেক উপরে। তোমরা এসব ছোটোলোকদের সাথে এক বেঞ্চিতে বসে চা খাও এটা তো আমি ভাবতেই পারি না। তোমরা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র (ইত্যাদি নানান আওফাওধুনফুনবালছাল তিনি আওড়ে গেলেন প্রায় সারাটা ক্লাস ধরে)।
সমাজের সাধারণ মেহনতী মানুষদের সম্পর্কে তীব্র অবজ্ঞা আর নিজেকে বিরাট শিশ্নমুণ্ড ভাবা এইসব মুখস্তবিদ্যার বখাটেগুলোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাল দালানের শিকখক! হ্যাক থু!!
আর অপর যে সিনিয়ার শিকখক এর কথা বললেন, তিনি তো মূর্তিমান প্রতিভা। প্রাণরসায়ণ পড়াতে গিয়ে তিনি প্রতি পদে পদে স্রষ্টার অলৌকিক মহিমা আর নিয়ামত আবিষ্কার করেন!
ঐ লাল দালানের আরেক যুগপৎ পীর ও শিকখক বায়েজীদ আলম শিবিব তো সাপে কাটা থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত সব রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। সাফল্যের সাথে। অবলীলায়।

তুষার কাওসার এর ছবি

পুরো কলেজ জীবন আমি শিক্ষক সমাজকে শ্রদ্ধা করতে পারিনি আর

শিক্ষক এরকম হলে আমাদের সবার অবস্থাই এরকম হতে আর বেশিদিন লাগবে না।

Kalachan এর ছবি

Share dilam bhai. desher baire asi, shorbochcho etai korte pari. ami DU'r prakton chhatro. amader desh'r eto shommanjonok shob pod-e (president, uni professor) eto boro boro CHHECHCHOR lokjon boshe ase, chinta korle kanna pay.

Toriqul এর ছবি

I am very sad after reading this article. Please any one take attempt for unfair judgement.
Every body are talking about our teacher bad manner. This is very shame for us. They are not our guardian. They look like politician.

জিয়াউল হক আদনান এর ছবি

তোমাদের কী হলো, তোমরা কি আল্লাহর পথে লড়বে না! অসহায় নরনারী ও শিশুদের জন্য, যারা দুর্বলতার কারণে নির্যাতীত হচ্ছে ? তারা ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের রব ! এই জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিয়ে যাও, যার অধিবাসীরা জালেম এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের কোন বন্ধু , অভিভাবক ও সাহায্যকারী তৈরী করে দাও....সূরা নিসা-৭৫

mithun এর ছবি

...ami geology er masters er student......ami shahidullah te allotted.....asen amra ekta protibaad somabesh daki......akta michil kori pura campus....kisu sangbadik daki......tate kore beparta ektu broadcast hok.........

নাজমুল ইমু এর ছবি

i am ready to die 4 my country. plz supply a revolver at least with 6 rounds or its news to me. anyone plz.

Bikhkhubdho Jonota এর ছবি

শেয়ার করলাম। পুলিশের মায়রে বাপ!!! রেগে টং রেগে টং রেগে টং

Shakib এর ছবি

D.U er student ra ki ghumay gelo naki???? ইয়ে, মানে...
]

শিমুল এর ছবি

আমি নিজেকে কিছুতেই বোঝাতে পারসি না......আমি ৬ মাস আগেও ফজলুল হক হলের মেইন ভবন এ থাকতাম....আমিও অনুভব করতে পারতেছি যে ঢাবি তে নোংরা কিছু কুত্তাদের সাথে রাজনীতি না করলে কেউ তাদের ছাত্র মনে করে না.....আমাদের দেশ টা কোন পথে চলছে রেগে টং ......সালার কিছু হারামজাদা নেমকহারাম শিক্ষকদের (পা চাটা কুত্তা সরুপ) ল্যাংটা করে পিঠের ছাল তুলে দিতে হবে.........সেয়ার দিলাম......

ফাহিম হাসান এর ছবি

মডারেটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি - দীপক রায় ও মাহমুদ কায়সারের মন্তব্য দুইবার এসেছে।

মাহিন আবদুল্লাহ এর ছবি

শিক্ষকদের এ ধরনের গা বাচানো স্বভাব কোন ভাবেই কাম্য না। আমরা তাদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা কামনা করি।

ফাহিম হাসান এর ছবি

শিক্ষকরা অন্তত গ্রেপ্তারের মূল কারণ জানার ব্যাপারে সহায়তা করতে পারত। ব্যাপারটা সত্যি দুঃখজনক।

এম সানজীব হোসেন এর ছবি

আমার বাবা অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন ঘটনা জানার সাথে সাথেই আব্দুল কাদেরকে জেল থেকে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ দুপুর ১২টায় জেলখানায় দেখা করতে গিয়েছিলেন। আব্দুল কাদেরের তাঁর সাথে দেখা হয়েছে। আগামী রোববার তাকে যাতে জামিনে মুক্তি দেয়া হয় সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ধন্যবাদ।

তানভীর.কোডার এর ছবি

পুলিশ এখন নতুন ব্যবসা শুরু করসে। নিরীহ মানুষ কে আটকে রেখে টাকা খায়।ধিক জানাই এদের।

এম সানজীব হোসেন এর ছবি

আমার বাবা অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষক। এই ঘটনাটি জানার পর থেকেই তিনি চেষ্টা করে আসছেন আব্দুল কাদেরকে জেল থেকে বের করে আনার জন্য। আজকে দুপুর ১২টায় তিনি জেলখানায় গিয়েছিলেন। আব্দুল কাদেরের সাথে তাঁর দেখা হয়েছে। যতটুকু জানতে পারলাম আগামী রোববার তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন। ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জেনে আশ্বস্ত হলাম।

রিসালাত বারী এর ছবি

আপনার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা।

সৈকত পারভেজ এর ছবি

আর কত ফাযলামি করবে এরা? কি পাইসে? শয়তানী হাসি

hotash এর ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্দ্যালয়ে এমন কিছু হবে আর সেটা মেনে নেবে ছাত্র রা? আমাদের প্রতিবাদী সত্ত্বা কোথায় গেল? দুঃখ হচ্ছে আমি আজ দেশের বাইরে কেন, ক্লাস বর্জন এর ডাক দিতাম, মানব বন্ধন এর ডাক দিতাম, নিরব প্রতিবাদ জানিয়ে যেতাম যতদিন না সরকার/বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এর জবাবদিহি করে| আর কেউ এগিয়ে না আসলেও আমি নিশ্চিত আমার ১৫-২০ জন বন্ধু আমার পাশে থাকত| কাদেরের সহপাঠি দের উদ্দেশ্যে বলছি, দেশের সর্বোত্কৃষ্ট স্থানে পড়াশুনা করছেন আপনারা, অন্যায় অত্যাচার এত সহজে মেনে নেয়া আপনাদের মানাবে না...কন্ঠ জোরে না ছেড়েও নিজেদের অবস্থান জানান জেয়া যায়....অনুরোধ করছি তা-ই করুন| এভাবে চলতে দিলে চলতেই থাকবে!

জহির  আহমাদ এর ছবি

‍ “অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষক”--আন্তরিক ধন্যবাদ জানবেন । দেখা যাচ্ছে কারো কারো প্রানে এখনো মানবিক রসায়ন কাজ করে । সবাই একসাথে অনুজীব হতে পারে না ।

“যতটুকু জানতে পারলাম আগামী রোববার তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন।”--রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা কেন ?

“vai amar mone hoy ai DU er teacher gula theke shuor/pig o onek valo!!!!”
--এভাবে ঢালাও উক্তি দুর্ভাগ্যজনক ।

“দুঃখ হচ্ছে আমি আজ দেশের বাইরে কেন, ক্লাস বর্জন এর ডাক দিতাম, মানব বন্ধন এর ডাক দিতাম, নিরব প্রতিবাদ জানিয়ে যেতাম যতদিন না সরকার/বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ এর জবাবদিহি করে| আর কেউ এগিয়ে না আসলেও আমি নিশ্চিত আমার ১৫-২০ জন বন্ধু আমার পাশে থাকত| কাদেরের সহপাঠি দের উদ্দেশ্যে বলছি, দেশের সর্বোত্কৃষ্ট স্থানে পড়াশুনা করছেন আপনারা, অন্যায় অত্যাচার এত সহজে মেনে নেয়া আপনাদের মানাবে না...কন্ঠ জোরে না ছেড়েও নিজেদের অবস্থান জানান জেয়া যায়....অনুরোধ করছি তা-ই করুন| এভাবে চলতে দিলে চলতেই থাকবে!”--দেশের খোঁজখবর রাখছেন, ভাল মন্দ ঘটনায় ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন, সদুপায় বাতলে দিচ্ছেন প্রবাসের কষ্ট আর শত ব্যস্ততার মাঝেও, আমরা আমাদের প্রবাসী ভাই বোনদের প্রতি খুশি আছি ।

“i am ready to die 4 my country.-------" এভাবে তো ভাই নৈরাজ্য বাড়ে, ভিকারুন্নেসা স্কুলের আন্দোলন থেকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ন্যায্য দাবী আাদায়ের শিক্ষা নিন ।

তারানা_শব্দ এর ছবি

এই অবস্থা কেন? মন খারাপ নতুন কোন অভিযান যেমন 'ছাত্র নিধন'এ নেমেছে নাকি সরকার? মন খারাপ

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

namhiin এর ছবি

অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন স্যারকে ভালো পাই, উনি যখন বিষয়টা দেখছেন একটা ব্যাবস্থা নিশ্চয়ই হবে। মামুন স্যার, ইশতিয়াক স্যার বা সজিব স্যাররা দূরত্ব বজায় রেখে চলতেই পছন্দ করেন, ‌উনারা নিজেদের কাধে কোন ঝামেলা নিবেন না। ধন্যবাদ আপনাকে এম সানজীব হোসেন।

হতাশ পাঠক এর ছবি

আহ!! ছাত্ররা আজকাল যে হারে মার খাচ্ছে,মনে হয় যেন দেশটা অতি শীঘ্র মেধা-শূন্য হয়ে যাবে। আর কত মেধাবী ছাত্রকে বলি দিতে হবে? যে এই ছাত্ররা জাগবে,সেই দিন আমাদের ম্যাডাম আর তার চামচাদের টনক নড়বে। দৌড়াবার জায়গা পাবেন না। বলে দিলুম।

এম সানজীব হোসেন এর ছবি

আমি এই মুহূর্তে দেশে নেই। কিচ্ছুক্ষণ আগে স্কাইপে কথা বললাম আব্বার (অধ্যাপক মোঃ আনোয়ার হোসেন) সাথে। রোববারে আব্দুল কাদেরের মামলাটি কোর্টে উঠবে, তাই আগের পোস্টে রোববারের কথা বলেছিলাম। আব্বা ইতিমধ্যেই কোর্টের পাব্লিক প্রসিকিউটারের সাথে কথা বলেছেন, আব্দুল কাদেরের বিষয়টি জানিয়েছেন। আশা করছি তিনি খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবেন।

নাফিস রাজ্জাক এর ছবি

লজ্জিত এবং হতাশ

Spark এর ছবি

এ কেমন দেশ ! এ কেমন শিক্ষকের দায়িত্ব,আমরা কি সভ্য? নাকি জন্তু-জানোয়ার?যে শিক্ষক মানবিক মুল্যবোধের তোয়াক্কা করের না সে শিক্ষক জাতিকে কি দিতে পারে?আর আমাদের প্রশাসন একটা তামাশার কেন্দ্র! লাথি মারুন এই শিক্ষাকে যেই মানুষের মর্যাদা দিতে পারে না,ভেংগে ফেলুন ওই প্রশাসনকে যেই মানুষের অধিকারকে হরণ করে।

SAMIUL AZAM এর ছবি

Even though we had a glorious past in the history of BD(once called oxford of Asia) now it's moribund.Only student politics responsible for this, Administration do everything for political student but they do nothing for general student.As a student of D.U i fell embarrassed for this nasty politicians and so called intellectual (our honorable teacher).Sometimes i go to Carzon hall in midnight and i think we have this right.In a autonomous university police have no right to torture a student without permission of provost and proctor.I think proctor should resign for such massive ignorance of responsibility.

শুধু পাঠক এর ছবি

একের পর এক কারাপ খবর। দেশটা যাচ্ছে কোথায়?

tanjim এর ছবি

বাকরুদ্ধ অ্যাঁ
নিরীহ ছাত্র পিটিয়ে সরকার কি কোন গোপন বাসনা পূরণ করছে নাকি সরকারের ভাবমূর্তিকে পরিকল্পিতভাবে স্যাবোটাজ করা হচ্ছে বুঝলাম না!!!!

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

কাদের যদি মুক্তিও পায়, তারপরও তার উপর যে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হলো, তা থেকে তার স্বাভাবিক জীবনে ফেরত আসা খুবই কঠিন একটা ব্যপার হবে। অনেক সময় লাগবে তার স্বাভাবিক হতে। শারীরিক আঘাত থেকে সে হয়তো দ্রুত সেরে উঠবে, কিন্তু মানসিক আঘাত থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে তার অনেক সময় লাগতে পারে। কাদের মুক্তি পেলেই কিন্তু আমাদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। কাদেরের ঘটনাটি অনেক দেরীতে মিডিয়াতে আসলো, এমন অনেক কাদেরের নির্যাতনের ঘটনা হয়তো আমরা জানি না, কারণ সেগুলো মিডিয়াতে আসছে না। আজ কাদের ঢাবির ছাত্র না হয়ে বস্তির কোন ছেলে হলে এই খবরটা ব্লগেও হয়ত আসতো না।
পুলিশের এই অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমাদের সবার রুখে দাড়াতে হবে।
-অ্যালবেট্রস

মীম এর ছবি

মুখস্থ বিদ্যা ম্যাঁও দিয়ে শিক্ষক হলে যা হয় আর কি। সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের একই অবস্থা। তাই শিক্ষকদের সংগ ত্যাগ করে মুখস্থ বিদ্যা জাহির করার দিকে নজর দেয়া উচিত আর কাদেরের দোষটাই তো বেশি সে কেন বাইরে গেল? বই নিয়ে মুখগুজে টেবিলে পড়ে থাকলে তার কি এই অবস্থা হয়। হায়রে দেশ!! শিক্ষকরা নাকি দেশের বিবেক!!! অবাক লাগে যখন সেই বিবেকের বিবেক খাতায় শুধু শূণ্য থাকে। আফসোস আব্দুল কাদের।।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

পত্রিকায় এই ব্যাপারটা আসা প্রয়োজন।

Opu এর ছবি

কুত্তা স্বদেশ।

সুমেধ তাপস চাকমা এর ছবি

যে দেশ দুর্নীতিতে ৫বারের চ্যাম্পিয়ন, সে দেশে তো এসব ঘটবেই। আর শিক্ষকদের কথা তো না বলাই ভালো; উনারা আজকাল বিদ্যাবুদ্ধির(বিবেকের) জোরে শিক্ষক হন নি, হয়েছেন রাজনীতির বলে!

সুমেধ তাপস চাকমা এর ছবি

যে দেশ দুর্নীতিতে ৫বারের চ্যাম্পিয়ন, সে দেশে তো এসব ঘটবেই। আর শিক্ষকদের কথা তো না বলাই ভালো; উনারা আজকাল বিদ্যাবুদ্ধির(বিবেকের) জোরে শিক্ষক হন নি, হয়েছেন রাজনীতির বলে!

Die Hard এর ছবি

i am also ex student of du Biochemistry department. i know Kader personally, he is great in his behavior and studentship. he who have been passed from such a lucrative department, cant be associated with such acquisitions against him. i believe there is no fault from Kader.

Our great Teachers are very great scholar and could not be Human and you cant expect them to act like Human anyway. They have status and they only can praise and help to those by whom they flattered and cant take the responsibility to take out Kader from Danger.

We all should be aware that, we all can be That Kader in our day. so please all be care ful and raise your voice and inform in your friend circles. maybe its a little leap for you, but a giant step to save Kader from brutal extra judicial tortures.

ফারুক হাসান এর ছবি

মেরুদণ্ডহীন ও স্বার্থপর শিক্ষকদের প্রতি ধিক্কার! যথাসম্ভব দ্রুত কাদেরের মুক্তি ও ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য তার সহপাঠী ও বন্ধুদেরকে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে বলবো।

MIU পাঠক এর ছবি

এই সব খবরে এখন আর কারো গা রি রি করে না, চুল দাড়িয়ে যায় না! কাকে মারলো আর কাকে ধরল এইগুলো নিয়ে ভাবার টাইম কই, নিজে বাচলে নাকি বাপের নাম!
আসলে সব দোষ ওই আব্দুল কাদেইর্রার, আরে বেটা তুই রাতের বেলায় বের হবি কেন? রাতে বাথরুমের দরকার লাগলে প্রয়োজনে বিছানায় কাজ করবি, শরীর খারাপ লাগলে সকাল পর্যন্ত বেচে থাকার চেষ্টা করবি, ক্ষুদার্ত হলে পানি খাবি, মায়ের কথা মনে হলে বালিশ চাপা দিয়ে কাদবি......................! কিন্তু রাতে বের হবি কেন??? তুই কি মুর্খ? জানিস না, এই দেশের পুলিশ রাতের বেলায় বের হলে তোকে ডাকাত বানাতে পারে, তোকে ফাঁদে ফেলে টাকা চাইতে পারে, যেকোনো অপরাগতায় তোকে ঠেঙানি দিতে পারে, দরকার হলে মেরে তক্তা বানিয়ে হাজতে পচাতে পারে! এর পরে তোর শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরা কোনো অপরিচিত মুখের জন্য তোর বন্ধুদের তিরস্কার করতে পারে!
এই জন্য বলি হে যুবক, শিক্ষকদের কাছ বিদ্যার আলোর পাশাপাশি কিভাবে লেজুরবৃত্তি করতে হয়, নিজের মানসম্মান, বিবেক বিকাতে হয়, লাল-নিল-গোলাপী রং চিনতে হয় সেগুলাও শিখতে হয়! এসব বিদ্যা রপ্ত করতে পারলে কে জানে হয়ত একদিন তুইও হবি প্রাণ-রসায়নের বিভাগের আসল প্রাণ!
তোর জন্য কোনো সহানুভুতি নেই, নিজের বাচলে নাকি বাপের নাম!

সাদা_কালো এর ছবি

ভাই এতক্ষণ মূল লেখা ও মন্তব্য পড়ে শুধু রাগ আর ক্ষোভ বাড়ছিল, কিন্তু আপনার লেখা পড়ে সব রাগ আর ক্ষোভ চোখের পানির সাথে বের হয়ে গেল। তুই রাতের বেলায় বের হবি কেন? বোকাটা জানেনা বাংলার রাতে হায়েনারা অপেক্ষা করে থাকে এই রকম নিষ্পাপ লোভনীয় খাবারের, হয়তো সেই রাতের কোটা পূরণের জন্য!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ফেসবুকে শেয়ার দিচ্ছি এবং কয়েকজন সাংবাদিক বন্ধুর ফেসবুকের দেয়ালে চিকা দিচ্ছি।

আশ্চর্য হলাম না, এটা পুলিশের অনেক পুরোনো ব্যবসা। রাস্তা থেকে যাকে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হয় সন্দেহজনক নয়তো বানোয়াট একটা মামলায় চালান দিয়ে দেয়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এইসব ঘটনা ঘরে সর্বোচ্চ ওসি/এসি লেভেল থেকে, পরে কেইস ঘোলায়ে গেলে তখন এসপি, ডিআইজি লেভেলে টান পড়ে।

জানতে বড়ো মন চায় সিদ্ধেশ্বরীর ছাত্র রুবেল হত্যাকারী ডিবি'র এসি আকরামের পরে কি শাস্তি হলো!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ভাগ্য-বিড়ম্বিত এর ছবি

পুরো লেখাটা পড়লাম । অতি সত্যি কথা হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে শিক্ষকরা একেকটা তোতাপাখি নয়তো পা-চাটা কুত্তা । আপনি বলতে পারেন শিক্ষক সম্পর্কে এই কথা বলা ঠিক কি না ? আমি বলব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে শিক্ষকদের গুটি কয়েকজন ভালো আছে , বাকি ৯৫ জন এমনি। নিজেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের টাকার বিনিময়ে CGP 4 দিবে আর ক্লাশের ছাত্রটা যে কিনা পড়ে পড়ে জীবন শেষ তারে নায্য CGP থেকে বঞ্চিত করবে ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০ ভাগ ছাত্র বহিরাগত , অথচ হলে থাকেন বললে অভুক্ত কুকুরের দৃষ্টী দিবে । মুখস্থ তোতা পাখি বানানোর + হতাশাগ্রস্থ + বেকার + ১০০% সাম্প্রদায়িক + অমানুষ বানানোর বিশেষায়িত কারখানা হলো এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । এটাই হলো বর্তমান বাস্তবতা ,আপনি বিশ্বাস করুন আর নাই করুন ।

তারানা_শব্দ এর ছবি

এই অবস্থা কেন? মন খারাপ নতুন কোন অভিযান যেমন 'ছাত্র নিধন'এ নেমেছে নাকি সরকার? মন খারাপ

"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"

Rijve এর ছবি

Du er proctor kono help korte Raji hoini.... karon oi chele ti dhakat. Ami Hall e 6 year dhore Badhan kori and Kader ke khub valo vabe chini. kono din kharap mone hoyni take.
tobe proctor er kotha sune mone hoy, jara vadra chele,taderke, ei sob teacher (proctor) porasuna korale future e dkakt hoe uthbe.......
dekhen na chokher samne koto dakat ghure... (era abar proctor er kacher student kina?? kothay kothay eder phone dey)

দিয়া মির্জা  এর ছবি

এভাবেই সব সময় নিরীহ ছাত্র ছাত্রী রা দোষ না করেও দোষ এর ভাগীদার হয় আর দোষীরা আড়ালে থেকে যায়

রিজওয়ানূর রশীদ এর ছবি

অদ্ভুত একটা অবস্থা! বিশ্বাস করেন আমার রাগ হয়, আফসোস হয়, আক্রোশ হয়...শেষমেষ অভ্যস্ত হয়ে যাই। ভুলেও যাই। পুলিশ রে তো সম্মান করার কোনো কারণই নাই......শিক্ষকদের সম্মান করাও ছাড়তে হবে।
আম জনতা হওয়ার শাস্তি কিছুই করতে পারি না - শুধু অনেক ঘৃণা পুলিশ আর ওই শিক্ষকদের প্রতি।
কাদের বেঁচে থাকুক, ভালো থাকুক, ফিরে আসুক।

পাঠকShamim এর ছবি

Kader is really a charming boy.i always saw his smiling face.he never talked to other sadly.shame on our teachers who r supposed top class people of our country.simply rubbish. how we can expect proper judge from our police admin.really shame.

নাইবা বললাম এর ছবি

দেশের অধিকাংশ সাধারন মানুষকে মৌলিক চাহিদা পূরনের ইদুর দৌড়ের ফাদে আটকে রাখার আয়োজন শেষ, মধ্যবিত্তের নাকের সামনে উন্নত জীবনের মূলো বাধা সারা, রাজনিতীবিদদের মেরুদন্ড পচাত্তরের পর থেকে উধাও, বুদ্ধিজিবীদের মেরুদন্ড পঁচে গেছে। এবার ছাত্রদের পালা। অন্য কারো বিরুদ্ধে লড়তে নামার আগে ছাত্রদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসের ছাত্রনেতা নামের কীট শ্রেনীর জীবগুলোর গ্রাস থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। এ লড়াই বাচার লড়াই, এ লড়াইয়ে তাদের জিততেই হবে।

নাইবা বললাম এর ছবি

দেশের অধিকাংশ সাধারন মানুষকে মৌলিক চাহিদা পূরনের ইদুর দৌড়ের ফাদে আটকে রাখার আয়োজন শেষ, মধ্যবিত্তের নাকের সামনে উন্নত জীবনের মূলো বাধা সারা, রাজনিতীবিদদের মেরুদন্ড পচাত্তরের পর থেকে উধাও, বুদ্ধিজিবীদের মেরুদন্ড পঁচে গেছে। এবার ছাত্রদের পালা। অন্য কারো বিরুদ্ধে লড়তে নামার আগে ছাত্রদের নিজ নিজ ক্যাম্পাসের ছাত্রনেতা নামের কীট শ্রেনীর জীবগুলোর গ্রাস থেকে নিজেদের মুক্ত করতে হবে। এ লড়াই বাচার লড়াই, এ লড়াইয়ে তাদের জিততেই হবে।

Chagol এর ছবি

ami chagol karon ami du te chagolder vire thaki .... kader er jonno onek kosto hoy.... oi proctor akta //////// ma nished koreche gali dite.... ki korbo jani ja sodho kosto pai.....bar bar vabi ami here gasi .... ami chole jabo a des chere.

মুনতাসির মামুন এর ছবি

দেশে কি হচ্ছে ইদানিং? ঢাবির মেধাবী ছাত্র কে এভাবে নির্যাতন কেন করা হল,কি আপরাধ? বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ছাড়া বাকিরা কুত্তার বাচ্চা।আমাদের এক হারামজাদা লম্পট স্যার কে পুলিশ আচ্ছামত পিটাইছিল,কি যে খুশি লাগছিল।শুয়োরের বাচ্চা পুলিশের বিচার চাই। শেয়ার দিলাম।

asif এর ছবি

maj rate gura guri korbe ar amader bir police vai ra taka chila taka dibe na ta to hobe na....ja shomoi dora porachilo tokhon mama der ka 20/30 tk dila hoiya jeto.... eto lakha lakhi jara korchen (including me) sai sob boka lok der bolchi...police mama r shata ekta rofa dofa kora falun....dekben kagoj ar note paila...mama ra ekdom bodle jaben......ar chalati politics korbe na ar amader lal, nil, holud rong ar mohan teacher der help asha korbe...ato moha bokar kotha dekhi....

SHADOW এর ছবি

বড় মনোযোগ দিয়ে "অতিথি লেখক"-এর ব্লগটি পড়লাম | অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কাদের-এর বিষয়টিকে জনসমক্ষে আনার জন্য | আর যারা কমেন্ট করেছেন এবং কাদের-এর প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ| বর্তমান শতকে মুক্ত চিন্তা এবং স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে সোসাল নেটওয়ার্কিং অথবা ব্লোগিং-এর গুরুত্ব ও তার প্রভাব আর খাটো করে দেখার উপায় নেই; মিশরের সাম্প্রতিক ঘটনার কথাই ধরুন না! পুলিশ কাদেরের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা সত্যিই দুঃখজনক| পুলিশের এ ধরনের জঘন্যতম কাজের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি | হোক না সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র অথবা দেশের একজন সাধারণ জনতা, পুলিশ আইনের সুযোগ নিয়ে কখনই একজনকে এভাবে নির্যাতন করতে পারেনা | ভাবতে অবাক লাগে আমরা এই সভ্য সমাজের বাসিন্দা! যখন পুলিশ অথবা তাদের শ্রেণীগোষ্টি রাস্তা থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, একজন নিরীহ মানুষের পায়ে গুলি চালিয়ে তাকে পঙ্গু করে দেয়, নিরহ কৃষকের বুকে গুলি চালায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলে রাতে ঢুকে ছাত্রীদের নির্দয়ভাবে পেটায়, একজন নিরাপরাধ মানুষকে মিত্থা মামলার আসামী বানায়...এরকম হাজারো ঘটনার উল্লেখ করা যায় যা এই ব্লগের পাতায় আটবে না, তখন মনে হয় আমরা কি সত্যিই একুশ শতকে বাস করছি? তারা কি আমাদের মানুষ মনে করে না? অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, যিনি কাদেরের জন্য প্রথম এগিয়ে এসেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে উনি পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন; সেদিন অনেক শিক্ষকই তার সঙ্গে ছিলেন (মুনতাসির মামুন যদি সেই ঘটনাটির উল্লেখ করার চেষ্টা করেন তবে তা দুঃখজনক হবে)| আমি কাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হওয়ার সুবাদে যে অন্য তিনচারজন শিককদের নাম এসেছে তাঁদেরকেও আমি ভালোভাবে জানি; বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি সব সময়ই দেখেছি তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে | এই শিক্ষকরাই বিভাগের ছাত্ররা (সম্ববত কাদেরের একজন সহপাঠিও এর অন্তর্ভুক্ত) অসুস্থ্য হলে মেডিকেলে তাদের দেখতে যেতে দেখেছি, ব্যক্তিগতভাবে তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে দেখেছি (আর হাঁ, তারা কোনো "পলিটিকাল ছাত্র" ছিলেন না, তারা ছিলেন সাধারন ছাত্র), অরথকষ্টে থাকা ছাত্রদের টুইশন যোগাড় করে দিতে দেখেছি, পাশ করার পর ছাত্রদের চাকরির ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন অফিসে অহরহ ফোন করতে দেখেছি; আর ছাত্র-ছাত্রীদের বিদেশে স্কলারশিপ পেতে শত শত প্রশংসাপত্র লেখা অথবা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসন ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষনার রসদ জোগাতে পারে না, তখন বিভাগের গবেষণা চালিয়ে নিতে দিনরাত খেটে রিসার্চ গ্রান্ট লিখে অর্থ যোগাড় করা...সেসব কথা না হয় বাদই দিলেন | বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথা বলছেন? আপনি থানায় গেলেন নাকি গোল্লায় গেলেন তা তারা থোরাই কেয়ার করে! ইশ! একটু বেতিক্রম হয়ে গেলনা? যিনি প্রথম কাদেরকে মুক্ত করতে এগিয়ে এসেছেন তিনি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক এবং খোদ প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষক! তবে আমার জানামতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পজিটিভ খবর খুব কমই পত্রিকার পাতায় আসে; হয়ত পজিটিভ খবর কোনো খবরই না! তা আমাদের মেধাবী সাংবাদিকবৃন্দ বলতে পারবেন, আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তা বুঝতে অপারগ! যেখানে রাজনীতিবিদ্ রা দেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে বিদেশে পাচার করে, ব্যবসায়রা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে একরাতে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়, সরকারী কর্মচারীরা ঘুষের আড়ালে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়, সে ঘটনাগুলো হয়তো ব্লগে জায়গা পায়না, পেলেও হয়তো তাদের কুত্তা-শুওর বলে কেউ গালি দেয় না | আসলেই তো সব দোষ ওই শিক্ষকদের, তুই বেটা মহামানব তুই ক্যান শুনার সঙ্গে সঙ্গেই কাদেরকে উদ্ধার করতে থানায় গেলিনা, তোর তো জন্মই হইছে জাতিকে উদ্ধার করার জন্য, তোর আবার সংসার-ছেলেমেয়ে কিসের? যাহোক, আমার জানামতে পৃথিবীর সব দেশেই যখন কোনো বিষয় পুলিশ-আদালত অব্ধি গড়ায়, তার একটি নুন্যতম বুরক্রাটিক বা আইনি জটিলতা আছে, এরপরেও আসা করি কাদের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তখেপে দ্রুত মুক্তি পাবে এবং তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে | আসুন সবাই কাদের-এর জন্য শুভকামনা করি|

guest_writer এর ছবি

"বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথা বলছেন? আপনি থানায় গেলেন নাকি গোল্লায় গেলেন তা তারা থোরাই কেয়ার করে! ইশ! একটু বেতিক্রম হয়ে গেলনা?"

না জেনে আবালের মত কিছু একটা লেখা থেকে বিরত থাকুন,
আমার সামান্য পা কাটার কথা শুনে আমার প্রফেসর ছুটে আসেছিলেন হাসপাতালে যার তাত্তিক পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পরুস্কার আছে।
এ রকম কয়টা উদাহরন চাই আপানার

মাহমুদ
জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়
সুইজারল্যান্ড

বেপারি এর ছবি

ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে এরকম ছেলে নিশ্চিই ঐ পুলিশের চেয়া মেদাবি বেশি না হলেও কম নই। ছেলেটি যখন বলল যে সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে তখন পুলিশের উচিৎ ছিল খোঁজ খবর নেয়া সে মিথ্যা বলছে কিনা। কেনই বা পুলিশ হটাত এত মারমুখি হলেন সেটা জানা দরকার। এখন পুলিশের নিজের মতো করে কাহিনি বানাবে।
পুলিশ কমিশনার এখনও বলবেন এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনঃ এখন কি আমাদের আওয়ামিলিগের দলীয় আই, ডি কার্ড নিয়া চলতে হবে রাস্তায়? যেন পুলিশ কিছু না বলে। আজ কাদের কাছে দলীয় আই, ডি কার্ড থাকলে পুলিশ তাকে জামাই আদর করত এমন কি তাকে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি আই, ডি কার্ড থিকে দলীয় আই, ডি কার্ড মূল্য অনেক বেশি পুলিশের কাছে।
পুলিশ কে সাবধান হওয়া উচিৎ নচেৎ সাধারণ জনগন একদিন আপনাদের প্রতিহত করবে যেমন টি করে ছিল আই দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে। ভুলে যাবেন না আই দেশ পুলিশ স্বাধীন করে নাই, সেদিন সাধারণ জনগনই বেশি ছিল।

পুলিশ তাদের রিজিক নিজেরাই নষ্ট করেছে না? নিজেদের প্রতিষ্ঠান নিজেরাই নষ্ট করছেন না? নিজেদের সম্মান নিজেরাই নষ্ট করছেন না?

বেপারি এর ছবি

ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে এরকম ছেলে নিশ্চিই ঐ পুলিশের চেয়া মেদাবি বেশি না হলেও কম নই। ছেলেটি যখন বলল যে সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে তখন পুলিশের উচিৎ ছিল খোঁজ খবর নেয়া সে মিথ্যা বলছে কিনা। কেনই বা পুলিশ হটাত এত মারমুখি হলেন সেটা জানা দরকার। এখন পুলিশের নিজের মতো করে কাহিনি বানাবে।
পুলিশ কমিশনার এখনও বলবেন এটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা?
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা খাতুনঃ এখন কি আমাদের আওয়ামিলিগের দলীয় আই, ডি কার্ড নিয়া চলতে হবে রাস্তায়? যেন পুলিশ কিছু না বলে। আজ কাদের কাছে দলীয় আই, ডি কার্ড থাকলে পুলিশ তাকে জামাই আদর করত এমন কি তাকে। ঢাকা ইউনিভার্সিটি আই, ডি কার্ড থিকে দলীয় আই, ডি কার্ড মূল্য অনেক বেশি পুলিশের কাছে।
পুলিশ কে সাবধান হওয়া উচিৎ নচেৎ সাধারণ জনগন একদিন আপনাদের প্রতিহত করবে যেমন টি করে ছিল আই দেশের মানুষ ১৯৭১ সালে। ভুলে যাবেন না আই দেশ পুলিশ স্বাধীন করে নাই, সেদিন সাধারণ জনগনই বেশি ছিল।

পুলিশ তাদের রিজিক নিজেরাই নষ্ট করেছে না? নিজেদের প্রতিষ্ঠান নিজেরাই নষ্ট করছেন না? নিজেদের সম্মান নিজেরাই নষ্ট করছেন না?

SHADOW এর ছবি

বড় মনোযোগ দিয়ে "অতিথি লেখক"-এর ব্লগটি পড়লাম | অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কাদের-এর বিষয়টিকে জনসমক্ষে আনার জন্য | আর যারা কমেন্ট করেছেন এবং কাদের-এর প্রতি সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদেরকেও অনেক ধন্যবাদ| বর্তমান শতকে মুক্ত চিন্তা এবং স্বাধীন মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে সোসাল নেটওয়ার্কিং অথবা ব্লোগিং-এর গুরুত্ব ও তার প্রভাব আর খাটো করে দেখার উপায় নেই; মিশরের সাম্প্রতিক ঘটনার কথাই ধরুন না! পুলিশ কাদেরের উপর যে অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে তা সত্যিই দুঃখজনক| পুলিশের এ ধরনের জঘন্যতম কাজের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি | হোক না সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র অথবা দেশের একজন সাধারণ জনতা, পুলিশ আইনের সুযোগ নিয়ে কখনই একজনকে এভাবে নির্যাতন করতে পারেনা | ভাবতে অবাক লাগে আমরা এই সভ্য সমাজের বাসিন্দা! যখন পুলিশ অথবা তাদের শ্রেণীগোষ্টি রাস্তা থেকে মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে, একজন নিরীহ মানুষের পায়ে গুলি চালিয়ে তাকে পঙ্গু করে দেয়, নিরহ কৃষকের বুকে গুলি চালায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের হলে রাতে ঢুকে ছাত্রীদের নির্দয়ভাবে পেটায়, একজন নিরাপরাধ মানুষকে মিত্থা মামলার আসামী বানায়...এরকম হাজারো ঘটনার উল্লেখ করা যায় যা এই ব্লগের পাতায় আটবে না, তখন মনে হয় আমরা কি সত্যিই একুশ শতকে বাস করছি? তারা কি আমাদের মানুষ মনে করে না? অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, যিনি কাদেরের জন্য প্রথম এগিয়ে এসেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে উনি পুলিশের নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন; সেদিন অনেক শিক্ষকই তার সঙ্গে ছিলেন (মুনতাসির মামুন যদি সেই ঘটনাটির উল্লেখ করার চেষ্টা করেন তবে তা দুঃখজনক হবে)| আমি কাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি এবং প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র হওয়ার সুবাদে যে অন্য তিনচারজন শিককদের নাম এসেছে তাঁদেরকেও আমি ভালোভাবে জানি; বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি সব সময়ই দেখেছি তাঁদের ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে | এই শিক্ষকরাই বিভাগের ছাত্ররা (সম্ববত কাদেরের একজন সহপাঠিও এর অন্তর্ভুক্ত) অসুস্থ্য হলে মেডিকেলে তাদের দেখতে যেতে দেখেছি, ব্যক্তিগতভাবে তাদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে দেখেছি (আর হাঁ, তারা কোনো "পলিটিকাল ছাত্র" ছিলেন না, তারা ছিলেন সাধারন ছাত্র), অরথকষ্টে থাকা ছাত্রদের টুইশন যোগাড় করে দিতে দেখেছি, পাশ করার পর ছাত্রদের চাকরির ব্যবস্থা করতে বিভিন্ন অফিসে অহরহ ফোন করতে দেখেছি; আর ছাত্র-ছাত্রীদের বিদেশে স্কলারশিপ পেতে শত শত প্রশংসাপত্র লেখা অথবা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় প্রশাসন ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষনার রসদ জোগাতে পারে না, তখন বিভাগের গবেষণা চালিয়ে নিতে দিনরাত খেটে রিসার্চ গ্রান্ট লিখে অর্থ যোগাড় করা...সেসব কথা না হয় বাদই দিলেন | বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথা বলছেন? আপনি থানায় গেলেন নাকি গোল্লায় গেলেন তা তারা থোরাই কেয়ার করে! ইশ! একটু বেতিক্রম হয়ে গেলনা? যিনি প্রথম কাদেরকে মুক্ত করতে এগিয়ে এসেছেন তিনি তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই একজন শিক্ষক এবং খোদ প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষক! তবে আমার জানামতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পজিটিভ খবর খুব কমই পত্রিকার পাতায় আসে; হয়ত পজিটিভ খবর কোনো খবরই না! তা আমাদের মেধাবী সাংবাদিকবৃন্দ বলতে পারবেন, আমার এই ক্ষুদ্র মস্তিস্ক তা বুঝতে অপারগ! যেখানে রাজনীতিবিদ্ রা দেশের কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে বিদেশে পাচার করে, ব্যবসায়রা কৃত্রিম সংকট তৈরী করে একরাতে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়, সরকারী কর্মচারীরা ঘুষের আড়ালে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়, সে ঘটনাগুলো হয়তো ব্লগে জায়গা পায়না, পেলেও হয়তো তাদের কুত্তা-শুওর বলে কেউ গালি দেয় না | আসলেই তো সব দোষ ওই শিক্ষকদের, তুই বেটা মহামানব তুই ক্যান শুনার সঙ্গে সঙ্গেই কাদেরকে উদ্ধার করতে থানায় গেলিনা, তোর তো জন্মই হইছে জাতিকে উদ্ধার করার জন্য, তোর আবার সংসার-ছেলেমেয়ে কিসের? যাহোক, আমার জানামতে পৃথিবীর সব দেশেই যখন কোনো বিষয় পুলিশ-আদালত অব্ধি গড়ায়, তার একটি নুন্যতম বুরক্রাটিক বা আইনি জটিলতা আছে, এরপরেও আসা করি কাদের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তখেপে দ্রুত মুক্তি পাবে এবং তার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে | আসুন সবাই কাদের-এর জন্য শুভকামনা করি|

একজন ছাত্র এর ছবি

আপনার লেখা পড়েই বোঝা যাচ্ছে আপনি কে। "আসলেই তো সব দোষ ওই শিক্ষকদের, তুই বেটা মহামানব তুই ক্যান শুনার সঙ্গে সঙ্গেই কাদেরকে উদ্ধার করতে থানায় গেলিনা, তোর তো জন্মই হইছে জাতিকে উদ্ধার করার জন্য, তোর আবার সংসার-ছেলেমেয়ে কিসের?" লজ্জা লাগল না বলার আগে? শিক্ষক কথার মানে বোঝেন? শিক্ষক হিসেবে পার্ট মারার সময় তো নিজেকে মহামানব ই মনে করা হয়। থানায়ও যাওয়ার দরকার হত না। একটা ফোন করলেই হত। আর আপনাদের সংসার-ছেলেমেয়ে একদিন না দেখলে কিছু হত না। তারা বহুত ভালো থাকে। আর ভালো কাজের বর্ণনা দিয়ে শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকার দরকার নাই। আর আপনাকে বলতেসি, ভালো একাডেমিক রেকর্ড আর ভালো মানুষ এর মধ্যে পার্থক্য আছে। মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেন। আর তেল একটু কমিয়ে দেন।

MIU পাঠক এর ছবি

SHADOW, আপনি ঠিকই বলেছেন, বিদেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি আর দেশ ও জাতি উদ্ধার করে! তাঁরা সংসার ছেলেমেয়ে কে চাঁদের দেশে বা মঙ্গল গ্রহে থাকতে/পড়তে পাঠায়! আর ছাত্ররা থানায় গেল না গোল্লায় গেল এসব থোরাই কেয়ার করে লাল-নীল-গোলাপী রঙের টুপি পরে টক-শো তে বাণী প্রদান করে! তাঁরা আরো অনেক কিছুই করেন, যেমন মেধাবী সাংবাদিক রা যেহেতু খালি নেগিটিভ নিউজ করেন তাই নিজেরাই কলম হাতে নিয়ে মেধাবী সাংবাদিক সেজে তাঁদের পজিটিভ দিকগুলো সম্পর্কে পত্রিকা মারফত বিভিন্ন দল তথা দেশবাসীকে অবহিত করেন!
রাজনীতিবিদেরা যেহেতু কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে এটা সেটা করে,সরকারী কর্মচারীরা ঘুষের আড়ালে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়, সেখানে কিছু শিক্ষকের উপর অর্পিত দায়দায়িত্বে অবহেলার এই সুখকর চিত্র ব্লগে উপস্থাপনের জন্য, এই ব্লগের লেখক কে (সে আবার মেধাবী কোনো সাংবাদিক নাতো?) "কুত্তা-শুওর" বলে গালি দেয়ার জন্য সবার কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি!

psycho এর ছবি

ki r bolbo???????kisu ki bola ucit???.....ashun amra sobai eksathe oisob bodmash shubidhavogi sir der pasay koshe ekta kore lathi mari.........er ceye valo kono kotha amr mone asche na...........

MAK Ripon এর ছবি

This is our country and best institution we are living, studying.................... Nothing to say, nothing to do, an anger, strengthless, hurt always. This is our country, our forefathers gave us by their blood.

sharing on fb

suvra chakraborty এর ছবি

Whats the update on kader??....she ki jamin paise???

রফিক মাহমুদ  এর ছবি

এসব ব্যাপারে বিভাগীয় শিক্ষকগণ সাধারণত জড়িত হন না। যেহেতু সে হলের আবাসিক ছাত্র ছিল, প্রভোস্ট ও হাউজ টিউটরদেরই দায়িত্ব ছিল তার ব্যাপারে ত্বরিৎ ব্যবস্থা নেয়া।

আজ তো রোববার চলে গেল। কাদের কি মুক্তি পেয়েছেন, যা আনোয়ার হোসেন স্যারের ছেলে আশ্বাস দিয়েছিলেন? আনোয়ার স্যার বর্তমান ক্ষমতার বলয়ে খুবই প্রভাবশালী বলে আমার ধারণা ছিল, কারণ সেনাবাহিনীর সাথে গোলমালের সময় তিনি তাদের বেশ গালাগালি করে বেশ কিছুদিন জেলে ছিলেন। সেই গোলমাল যেহেতু সেনাশাসনের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টিতে সাহায্য করেছিল, সেহেতু সে সময় যাঁরা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁদের সবাই বর্তমান সরকারের কাছে সম্মানিত এবং অনেকে পুরস্কৃত। আমার তো মনে হয় আনোয়ার স্যার তক্ষুণি সাহারা খাতুনকে ফোন করে তাকে ছাড়িয়ে নিতে পারতেন।

রাত একটার সময় কেন আইডি কার্ড ছাড়া বেরিয়েছিল সেই ছেলে আমার কেমন খটকা লাগছে, আশা করি আশংকা ভুল।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও কিছু লিখতে পারলাম না... "শিক্ষক" শব্দটার উপর বিরক্ত হয়ে যাচ্ছি...
কাদের-এর জন্য শুভকামনা রইলো...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অরুপ এর ছবি

প্রতিবাদের ভাষা নেই।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভেবে ভয় পাবো না এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কীর্তিতে লজ্জা পাবো বুঝতে পারছিনা.........

One student এর ছবি

I am very upset to read this news. what is the situation of our country?We are student. We have no any valu.
We should procect it.

skl এর ছবি

লেখাটা বেশ দেরি করেই চোখে পড়লো। সর্বশেষ ঘটনা কী? এই ব্লগটির লেখককে বলছি...আপনি কী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবেন একটু? হয়তো আমি আপনাকে সাহায্য করতে পারবো।আমাকে একটি মেইল পাঠান।

-এই ইমেইলে।

আপনার নাম লিখুন এর ছবি

প্রানরসায়নের প্রাক্তন ছাত্র হিসাবে খুবই লজ্জা লাগছে! 
বিভাগের অনেক প্রাক্তন ছাত্রই পুলিশ এ চাকরি করেন, যে কাউকে একটা ফোন দিলে ঘটনা এতদূর যাবার কথা না।

পাঠকS M Jakir Hossain এর ছবি

"olpo shooke kator, odhik shooke pathor", amar-o tai hoyece. DU-er prakton student hisebe Abdul Kader-er jonno sohomormita sara ai muhurte r kicui prokash korte parcina. maje maje nijeke DU er student hisebe porichoy dite lozza lage. Bangladesh er onno kuno university te boodhkori eto beshi clash, internal politics, mara-mari, corruption etc nai. ekhan kar teacher gulur obostha emon je era nijeder onek buddijibi vabe, but kokhono jachai korena je tader buddir dooor kon porjontu, keo kicu bollei era parar mastani style-a gayer joor diye sobkicu korar chesta kore jar jolonto proman holo ai nirmom ghotonati.

er prodhan karon holo student-der jonnoi university; student-der porano, tader valo mondo dekha-shuna korar jonnoi tader job, ai oti sotto kothati voole giye ora er biporit vabnati vaabte shuru korece. eder kas theke parar mastani type-er kotha barta pray somoy-e student der soonte hoy, r jara gram theke onek boro asha niye ekhane porte ashe tader onuvotir kotha ki bolbo.....

ddx এর ছবি

আগামীকাল কাদের ভাই এর জন্য মানব বন্ধন। ১১ টায়। অপরাজেয় বাংলা।

moti miya এর ছবি

the following mail is collected from the graduate biochemist association group mail--

Dear All Biochemists and GBA members
I am sorry for the late reply about this issue. I was out of Dhaka and also net connection. Any way today I met Anwar sir and few students of Quaders batch who are working for Quaders release.
I tried to find out the real fact. Actually Quader was the sufferer of the incidence. Police were chasing a microbus of robber and stop them near the dudak office in Segun bagicha. All escaped except one and at that time Quader was passing that place to FH Hall from eskaton after meeting his mother. The robber who was caught show him as their partner and the police caught him also. The later story is known to you by this time. Next day when his friends tried to release him and met our Chairman sir they could not make clear him the actual fact. But sir contacted proctor sir and phoned some others for this issue. May be by that time proctor sir already heard the news from police and police informed him that Quader was involved with the robbery team and he caught red handed from the spot near the khilkhet bishwa road by the local people with some arms and cocktails what they mentioned also in the FIR. So proctor sir was also misinformed by the police. Police beat him inhumanly. If our proctor sir or Unversity authority or chairman sir could be more proactive the situation would not be as worse as now.
Police charged 2 cases on him 1 for robbery and the other for arms/cocktail. The cases were raised to CMM court on Thursday and Sunday and for both cases the court refuses for bail and he sent to the central jail. So he is not getting out from jail soon. It will take more time to release him from jail. Now it will go on some law procedure and it takes as usual a long time.
But by this time Anwar sir took some crucial step what helped him to be more tortured in the custody. Sir met him in the jail and asked the jailer for his proper treatment. Anwar sir also talked to chairman sir, proctor sir, Assistant proctor our department teacher Abdullahel Amin sir to see him when he was in DMCH and look after the matter for his better treatment. Today the provost and 2 house tutor of FH Hall went to see him in the jail and applied the jailer for his treatment. Anwar Sir make the arrangements for them to meet in the jail.
Tomorrow (26/07/2011) Quaders friends call for a “Manab Bondhon” near the oporajeyo bangle. They will make a procession from dept. of Biochemistry to oporajeyo bangle and start the “Manab Bondhon” at 12 noon. On behalf of GBA I with some GBA members attend the procession and manab bondhon and express our stand beside them.
On behalf of GBA I also request all of you to raise your support for Quader for his release soon and withdraw the false allegation by the police.
The human rights commission also contacted with Anwar Sir and we are preparing a statement and appeal to them to look after the matter.
So we all are with Quader to support him morally and also on behalf of GBA we will bear the expenses of the trial to release him and also bear the expenses for his treatment after his release.
Thank you and regards
Rashid M. Harun
GS
GBA

অপরিনামদর্শী এর ছবি
হাসান মোরশেদ এর ছবি

এই ঘটনার সর্বশেষ আপডেট কী?

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

Rahmanhenry এর ছবি

যার যেভাবে সম্ভব, রুখে দাঁড়াতে হবে। দিন কিন্তু পেরিয়ে যাচ্ছে!

Pantho(rj) এর ছবি

@souvik da... i am also be with you..!!

Shahid এর ছবি

ভাই, একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। ঘটনাটা ২০০১ এর। তখন এইচ এস সি সেকেন্ড ইয়ারের ১১জন ছাত্র কলেজের ক্লাসের ফাঁকে তাদের ফেলে আসা খুলনা জিলা স্কুলে ঘুরতে যায়। স্কুলের প্রধান একাডেমিক ভবনের সিঁড়িতে বসে তারা যখন গল্প করছিল, হঠাৎ দেখে কারা যেন দৌড়ে আসছে। কিছু না বুঝে তাদের কয়েকজন ও দৌড় দেয়, আর ৭ জন কি করবে ভেবে না পেয়ে দাড়িয়ে থাকে। যে ৭ জন দাড়িয়ে ছিল, তারা তখন দেখে যে তাদেরকে চারপাশ দিয়ে পুলিশ ঘিরে রেখেছে। কিছু জিজ্ঞাসা না করে তাদের চড় থাপ্পড় মেরে পুলিশ গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যায় থানায়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে তারা জুয়া খেলছিল। সৌভাগ্য বশতঃ ৪ জন পুলিশের হাতে ধরা খাওয়া থেকে বেচে যায় কিছু না বুঝে দৌড় দেওয়ার কল্যাণে। তারা তখন ওই ৭ জনের অভিভাবকদের বিষয়টা জানালে সবাই থানায় গিয়ে ওসি সাহেবের সাথে আলাপ করে ছাড়িয়ে আনেন।

কিন্তু মূল ঘটনা ঘটে পরদিন সকালে। স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় পুলিশের বরাত দিয়ে ছাপা হয় "নগরীতে সাত জুয়াড়ী গ্রেপ্তার" শিরোনামে প্রতিবেদন। যে স্কুলের মায়ায় তারা ছুটে গিয়েছিল, তার হেডস্যার কোন সহযোগীতা তো করেননি বরং পুলিশকে উস্কে দিয়েছিলেন। অথচ ওই ১১ছাত্র মাত্র ১ বছর আগেই ওই স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্টার মার্কস নিয়ে এস এস সি পাশ করেছিল।

বিঃদ্রঃ ৫৪ ধারার প্রয়োগ আদালত হতে নিষিদ্ধ করায় পুলিশের বাণিজ্যে লোকসান হয়ে যাচ্ছিল। তাই এখন নতুন পথ ধরেছে। আদালতের কাছে আসুন আমরা আবেদন করি ৫৪ ধারা প্রয়োগের অধীকার আমাদের পুলিশ প্রজাতিকে যেন আবার ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে অন্তত কাদের এর মতো অন্য কাউকে আর ডাকাত সাজানোর চেষ্টা করা হবে না। অল্প কিছু "মনখুশি" খেয়েই পুলিশ সন্তুষ্ট থাকবে।

নির্ভয় বালক এর ছবি

পুলিশরা অনেক সময় ভুল করে অনেক কে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু আসল পরিচয় পাওয়ার আগেই পুলিশরা অত্যাচার করা শুরু করে। পরে উল্টাপাল্টা কেস দিয়ে নিজেদের বাচানোর চেষ্টা করে।এই ভাবেই অনেক নির্দোষ দের জীবন নস্ত হয়ে যাচ্ছে।

অপরিনামদর্শী এর ছবি
শুয়োঁপোকা এর ছবি
Atiq Azad এর ছবি

ঢাবির কাদেরের মতো অবস্থায় পড়তে পড়তে একদিন বেচেঁ গেসি.....

সময় জানুয়ারীর ৩১ তারিখ,রাত ৮টা।আমাকে আজিমপুর সলিমুল্লাহ এতিম খানার ওখানে ফুটপাতে ৫/৬জন ঘিরে ধরলো।দেখে মনে হইলো টেগ খাইতে যাচ্ছি।ওরা বললো আমরা পুলিশ আপনাকে সার্চ করবো।আমি তো সাথে সাথে প্রতিবাদ।কেনো আমাকে সার্চ করবেন কেনো?
আমি এই অন্ধকারে আপনাদের সাথে কথা বলবোনা বেশ জোরে বলেছি।আমার কপাল এতো ভালো ওখানে বেশ কিছু লোক জড়ো হয়ে গেলো।আমি বল্লাম আমি থানায় গিয়ে অসির সাথে কথা বলবো অথবা আপনারা ইউনিফর্ম পরা পুলিশের কাছে নিয়ে চলেন।এদের মধ্যে ২জন আমাকে নিয়ে চললো কিন্তু বাকীরা গায়েব।যাই হোক ১এস।আই এসে আমার সাথে কথা বললো।আমাকে চেক করলো।তারপর কি মনে করে চা-সিগারেট খাওয়ালো।তারপর যেতে বললো।
আমি আমার বন্ধুদের এসে বললাম।ওরা বললো তোর সাহসের কারণে তুই টেগ খাওয়া থেকে বেঁচে গেলি।ঐ জায়গায় নাকি পুলোশের যোগসাজসে এরকম টেগ দেয়া হয়।
সত্যি বলছি আমার এখনো মনে হচ্ছে আমি ঐ ভাবে প্রতিবাদ করে চিপা থেকে বের হয়ে না আসলে আমার সবকিছু ওরা নিয়ে নিতো।

আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ কম মাথা ঘামালেই মনে হয় আমরা বেশী নিরাপদ থাকবো।লাইসেন্স নিয়ে গুন্ডামীর কোনো প্রতিকার নেই।

guest_writer এর ছবি

এই পোস্ট এর লেখকের সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। উনি মেইল এড্রেস দেন নাই। লেখক ও এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

সোয়াদ আহমেদ।

AMIO VICTIM এর ছবি

thik emon vabei amio victim hoyechilam...
kivabe ki hoyechilo shegulo aj itihash...oi dusshoho shopner moto somoy gulo mone korte chacchi na...
jai hok...beshi kichu bolbo na...ektai kotha...
apnara jara upore eishob bani-chirontoni diyechen...tader uddheshe bolchi...eto kotha na bole rastay neme ekjot oye parle police er against e kisu koren...ora holo bangladesh er shobcheye boro virus...shobcheye boro razakar...
r oishob vodro student jara upore kabbik vashay onek bani charsen...tader bolbo...jei teacher ra apnader nirapotta dite pare na...nijeder dayitto niye shocheton na...tader teacher hishebe bibechona na kore...shobai mile gonopitoni den...tokhon dekha jabe police kader nirapotta dey...DAKAT hishebe bibechito hotei jokhon hocche....DAKATI korei doshi hon...na kore doshi howar cheye valo....
MONE RAKHBEN...1952 TEO BANGLA VASHAR JONNO ANDOLON HOYECHILO....BLOG LEKHA...BORO BORO LECTURE DEWA, MEETING KORA ...EGULA HOYNI....
R EKMATRO STUDENT RAI PARE KOTHOR VABE KONO STEP NITE....

THAT'S ALL....

(A WELL-WISHER JUNIOR TEACHER OF DHAKA UNIVERSITY)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এ বিষয়ে ড. মো আনোয়ার হোসেনের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে বিডিনিউজ ২৪ এ। খুব সম্ভবতঃ তিনি সচলায়তনের এই লেখাটির কথা উল্লেখ করেছেন:

‘সচলায়তন’ নামের একটি ব্লগে কাদেরের উপর প্রকাশিত একটি খবর নাড়া দিয়েছে সবাইকে।

অতিথি লেখককে অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের সাহসী এবং দরকারী একটি লেখা লেখার জন্য।

(হাসান মোরশেদ ভাইয়ের মাধ্যমে লেখাটির ব্যাপারে জানতে পেরেছি। তাকেও ধন্যবাদ।)

মৃত্যুময় ঈষৎ(Offline) এর ছবি

খুব ভালো লাগলো। উনার ঐ পোস্টটা আসলেই অনেক কার্যকরী ছিল।

অতিথি লেখককে অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের সাহসী এবং দরকারী একটি লেখা লেখার জন্য। চলুক চলুক

অন্যায়ের বিরুদ্ধে এভাবেই দাঁড়িয়ে যেতে হবে.........

রণদীপম বসু এর ছবি

হাসান মোরশেদের লিংক ধরে আমিও বিডিনিজউজ২৪-এ ড. আনোয়ার হোসেনের লেখাটিতে কৃতজ্ঞ-মন্তব্য করে এসেছি।

কমিউনিটি ব্লগ যে এখন বিরাট একটা শক্ত মিডিয়ায় রূপ পাচ্ছে, তা আবারো প্রমাণ হলো। ধন্যবাদ এ পোস্টের অতিথি লেখককে। সমকালীন আবেগ-অনুভূতি-ক্ষোভ থেকে অনেকেই হয়তো তখন এখানে টক-ঝাল মন্তব্য করেছেন। এটাই স্বাভাবিক এবং এটাকে হাঁটার কষ্ট হিসেবে ধরে নিয়ে পথ চলার আনন্দকে ক্ষান্ত করবেন না বলেই বিশ্বাস। যে সময়োপযোগী কাজ করেছিলেন তার শুভ-ফলাফল আমরা পেয়েছি। আশা করি এই সম্মিলিত সাফল্য আপনাকে আরো লেখা ও উদ্যোগে প্রাণিত করবে। ভালো থাকবেন। আর ঘটনার অভিঘাতে লেখালেখি যখন শুরু করেছেন, তা আর থামানোর দরকার নেই। চালিয়ে যান। শুভ কামনা।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

বিলিভার (প্রথম আলো ব্লগ) এর ছবি

এক নিঃশ্বাসে পড়ে গেলাম। প্রতিটা অক্ষর , প্রতিটা শব্দ , যেন এক একটি বিপ্লবের আহবান । দ্রোহের আগুনে পোড়ালেন আমাদের কে । এভাবে হয়ত কোনো একদিন আমরা জাগ্রত হবো । আবার হয়ত হবোই না। চিরকাল ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিব ।
আপনি আপনার শানিত কলম কে চালিয়ে যান।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।