আই.ইউ.টি. নিয়ে কিছু কথা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৫/০১/২০১২ - ১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে বিজ্ঞান বিষয়ে লেখাপড়া করা অধিকাংশ শিক্ষার্থীর লক্ষ্য এখনও একজন ডাক্তার বা প্রকৌশলী হওয়া। এদেশে উচ্চশিক্ষা অর্জনের জন্য যে প্রতিষ্ঠান গুলো রয়েছে, তার মধ্য বেশ সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয় মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম। দেশে চারটি পাবলিক ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি রয়েছে, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট ও চুয়েট এর নাম দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবেই উচ্চারিত হয়। এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয় বাদেও আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ান হয়, পাশাপাশি এদেশে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার আদর্শ ক্ষেত্র হিসেবে আরও একটি প্রতিষ্ঠান সুনাম অর্জন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটির নাম ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আই.ইউ.টি.)। ও.আই.সি. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, সেশন জট বিহীন শিক্ষা কার্যক্রম, আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষাদান, সর্বোপরি অসাধারণ 'পরিবেশ' এর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি খ্যাতি লাভ করেছে। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়টির কিছু কিছু জিনিস আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। যেগুলো এই প্রতিষ্ঠানটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে যথেষ্ট বলেও আমার কাছে মনে হয়েছে। যেমনঃ

১. আই.ইউ.টি কি সাম্প্রদায়িকতার উন্মেষ ঘটায় না? এখানে মুসলমান বাদে আর কোনও ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। সুতরাং একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে চেনার প্রকৃত সময়, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে সবার সাথে মেশার সুযোগ পায় না। এতে করে কি ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িকতার বীজ পুতে দেওয়া হচ্ছে না? একজন শিক্ষার্থী মনে করতেই পারে, তার পাশের বাড়ির হিন্দু ছেলেটির চেয়ে যোগ্যতর, তাই সে আই.ইউ.টি তে পড়তে পারে, হিন্দু ছেলেটা পারে না! বিষয়টা কি গ্রহণযোগ্য? আমার কাছে মনে হয়নি!

২. আই.ইউ.টি তে মেয়েরা পড়তে পারে না। খুব ভালো কথা, দেশে নাকি ও.আই.সি প্রতিষ্ঠিত আরেকটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় আছে (আমি শুনেছি, নিশ্চিত নই)। তো একবিংশ শতাব্দীতে এসে ছেলে-মেয়ের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়- ধারণাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত? আমার কাছে তো চিন্তাধারাটা মধ্যযুগীয় ঠেকেছে!

৩. আই.ইউ.টির টিউশন ফি। এটা নাকি খুব 'বেশী' নয়, আমি সঠিক এমাউন্ট জানি না, তবে সব দেশের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক রাখতে গিয়ে নাকি বাংলাদেশী টাকায় একটু বেশী হয়ে যায়! কিন্তু আমি অবাক হই, যখন দেখি আমার পাশের বাসার বন্ধুটা আই.ইউ.টি তে চান্স পাওয়ার পরও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, কারণ তার বাবার আই.ইউ.টির খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই!

তো এসব বিষয় নিয়ে আই.ইউ.টি পড়ুয়া আমার এক বন্ধুর সাথে আলাপ করতে গেলাম। মেয়েরা পড়তে পারে না এটা নিয়ে সে খুবই হতাশ, আমায় জানালো নাকি সীমিত সংখ্যক মেয়ে ভর্তির নিয়ম করা হবে আই.ইউ.টিতে। যদি আসলেই তা হয়ে থাকে, তাহলে আমার কথা হল মেয়েদের সুযোগ দিতে হলে পুরোপুরিই দিতে হবে। আই.ইউ.টি তে নাকি কোনও নারী টিচার নেই, আমি নারী টিচার এর দাবিও করছি না এই মুহূর্তে। বলতে চাই, ভবিষ্যতে যাতে নারীরা আই.ইউ.টি তে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিতে পারেন, সে রাস্তা খুলে দিতে হবে। ছেলে-মেয়ে সম্পূর্ণ ফেয়ার পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আই.ইউ.টি তে ভর্তি হবে। যেমনটা দেশের আর দশটা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়ে থাকে। মেয়েদের জন্য সীমিতসংখ্যক আসন রাখা হবে, এটা কেমন কথা?

এবার আসা যাক ধর্ম প্রসঙ্গে। এই বিষয়টিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর। আমার বন্ধুর অভিমত, আই.ইউ.টি মুসলিম দেশের জন্য ও.আই.সি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, তাই এখানে অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সুযোগ পাওয়ার কথাই আসে না! আমার কথা হল, ও.আই.সি আসলে কি চায়? সারা বিশ্বের মুসলিমদের উন্নতি নাকি তথাকথিত মুসলিম 'রাষ্ট্র' গুলোর উন্নতি? মুসলমানদের উন্নতি চাইলে কেন মুসলিম দেশের বাইরে তাদের কার্যক্রম নেই? আর মুসলিম দেশের উন্নতি চাইলে সে দেশের একটা বিরাট অংশ কেন তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবে না? ভারত ও.আই.সির সদস্য নয়, কিন্তু সেদেশে পৃথিবীর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রায় দশ শতাংশ বাস করে! মাত্র সাতান্নটি দেশ নিয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কথা বলে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের উদ্দেশ্য এখনও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আর একটি ধর্মাবলম্বীর মানুষের জন্য বিশেষ একটি নামে একটা রাষ্ট্র পরিচিত হবে, এটাই বা কেমন কথা হল? আর অমুসলিম জনগোষ্ঠীর দ্বারা যদি তথাকথিত মুসলিম দেশের উন্নতি হয়, তাহলে সমস্যা কি? কেন অমুসলিমদের একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে?

আরো কিছু কথা আছে। আই.ইউ.টি তে যে বিষয়গুলো পড়ানো হয়, সবগুলোই অ্যাপ্লাইড বিষয়। তো এই অ্যাপ্লাইড বিষয় পড়ানোর জন্য কেন ও.আই.সি এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করল যেখানে নিম্নবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্তরা পড়ার খরচ জোগাতে পারে না? মুসলিম দেশগুলোর টেকনোলজির উন্নতি সাধনের জন্য কেন এরকম একটি বিশ্ববিদ্যালয় করা প্রয়োজন যেখানে কেবল 'মুসলমান' 'উচ্চবিত্ত' ঘরের 'ছেলেরাই' পড়তে পারবে? আর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে মুসলমানদের জন্য আলাদা কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরকার আছে কি? এসব রাষ্ট্রে তো মুসলিমরাই অধিক সুবিধাভোগী!

আই.ইউ.টি কে অনেকে মাদ্রাসা, জেলখানা বলে থাকেন। আমি এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ই বলব, কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজের চরিত্র রাখতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমি কেবল গ্র্যাজুয়েট বের করার কারখানা মনে করি না, আমার কাছে এর অর্থ আরও ব্যাপক! আর আই.ইউ.টিকে আমার এদিক থেকেই ব্যর্থ বলে মনে হচ্ছে। যা বছর বছর ভালো ভালো ইঞ্জিনিয়ার বের করছে, কিন্তু আরও অনেক কাজই করছে না, যা একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারে। আই.ইউ.টির ভেতরের পরিবেশ সম্পর্কে আমি খুব বেশী অবগত নই। যারা পড়ে তারা বলে খুব ভালো, আবার অনেকের কাছে শুনি সেখানে ধর্ম পালনে বাধ্যবাধকতার কথা। এটা নিয়েও আমার কথা আছে, আমার মতে ধর্মকে যার যার ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়। আর আই.ইউ.টি নিয়ে খুব বেশী খবর কেন যেন বাইরে আসে না, আমরা যারা ওখানে পড়ি না, তাদের কাছে ওটা কেন যেন কুয়াশাচ্ছন্ন স্থান হিসেবেই রয়েছে। আই.ইউ.টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ, এটুকু জানি। কোনও রকম সংগঠনও নাকি করা যায় না। কিন্তু পাশাপাশি প্রায়ই শোনা যায় শিবিরের ইন্টারনাল কার্যক্রম এর কথা। আই.ইউ.টির ছাত্রকে অতীতে জঙ্গিবাদের সাথেও জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

যে কথাগুলো বললাম, এর সবগুলোই আমার ব্যক্তিগত অভিমত। নিজের মতের সাথে মিলে যাওয়া মানুষও যে পাইনি তা নয়, আবার অনেকে আমার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। আমি আই.ইউ.টির ছাত্র নই, কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির কিছু কিছু বিষয় আমায় পীড়া দেয়। আমি একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, কেন যেন এরকম একটি প্রতিষ্ঠানকে আমার অসম্প্রদায়িকতার সামনে বাঁধা বলে মনে হয়। আই.ইউ.টি তে যারা পড়ছেন ও যারা ওখান থেকে বেরিয়েছেন, তাদের যোগ্যতা নিয়ে আমার মনে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু এই সুন্দর প্রতিষ্ঠানটি এই বড় বড় অসঙ্গতিগুলো যদি ছুড়ে ফেলতে পারত, তাহলে কি তা আরও ফলপ্রসূ হত না? উত্তর কি সময়ই দেবে?

আশফিক অনিক


মন্তব্য

জাগরুক এর ছবি

আপনার লেখাটা অনেকটা শুনেছি,জেনেছি টাইপের।আর একটু জেনেশূনে লেখুন না।ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দেশেই আছে তাতে সেই ধর্মের ছেলেরা/মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে বা প্রাধান্য পাবে এটাই স্বাভাবিক।যেমন বেনারসে আছে হিন্দু ইউনিভার্সিটি সেখানে শুধু হিন্দুরাই পড়াশোনা করে।এটাকে অত সন্দেহের চোখে দেখার কিছু নাই।পছন্দ না হলে সেখানে না গেলেই হয় অপশনতো আরো আছে।

কিম্ভূত এর ছবি

পুরোপুরি সহমত।

বোবার_চিতকার এর ছবি

আপনার তথ্য অম্পূর্ণ এবং ভুল মনে হচ্ছে। বানারাস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম মুসলিম স্টুডেন্ট পাশ করে ১৯৪৪ সালে--

"Dani, an ethnic Kashmiri, was born on 20 June 1920 in Basna, British India.[4] He graduated in 1944, with an MA degree, to become the first Muslim graduate of Banaras Hindu University."

মুসলিম ছাত্ররাও সেখানে ভর্তি হতে পারে এটা শুনেছিলাম, সামান্য গুগলিং-এ নীচের লিঙ্ক পেলাম--

http://twocircles.net/2009sep07/minority_representation_banaras_hindu_university_glimpse.html

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ধর্মীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দেশেই আছে তাতে সেই ধর্মের ছেলেরা/মেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে বা প্রাধান্য পাবে এটাই স্বাভাবিক।

না স্বাভাবিক না। মধ্যযুগীয় বর্বর নোংরা রুচির পরিচয়!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

বন্দনা এর ছবি

চলুক

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

আশফিক অনিক এর ছবি

আমার পক্ষে আই.ইউ.টি নিয়ে শুনেছি, জেনেছি এর বেশী টাইপের লেখা সম্ভব নয়,যেহেতু ওখানে আমি পড়িনি...আর হ্যা, আমি অনেক পড়েই লিখেছি, যদি লেখায় তার প্রতিফলন না থাকে আমার ব্যর্থতা! আর আই. ইউ.টিয়ানের কাছ থেকে শোনা আর ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে পড়ার মাঝে পার্থক্য কতটুকু? আমি তো দুইটাই করেছি!

বেনারসের কথা আগেই জানতাম ভাই, কট খাইছেন! হাসি

মরুদ্যান এর ছবি

আমার বন্ধুরা যারা পাশ করেছে তাদেরকে তো অনেক খুশিই দেখেছি সবকিছু নিয়ে, এখনও তারা আই ইউ টি'র জন্য পারলে জান দিয়ে দেয়!

মরুদ্যান এর ছবি

অন্যান্য ভার্সিটিতে শিবিরের দাপটের তুলনায় আই ইউ টি'র পরিবেশ একেবারেই সুস্হ। এবং আমার মনে হয় লেখাপড়ার উপযুক্ত পরিবেশ ওখানেই আছে এখনও। তাহলে আপনি যে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তার কোন ভিত্তি থাকেনা। আপনার কথা শুনে কেন যেন মনে হচ্ছে আই ইউ টি কে জঙ্গিবাদের উৎসাহদাতা হিসাবে ট্যাগিংয়ের সূক্ষ চেষ্টা চালিয়েছেন।

রাগিব এর ছবি

ধর্ম বিষয়ে বৈষম্যটা মেনে নেয়া চলে না। আরবদের বেধে দেয়া এই রকম রেসিস্ট গোছের নিয়ম মেনে নিয়ে সরকারী আনুকূল্যে এতো সুযোগ সুবিধা, জায়গা ইত্যাদি দিয়ে একটা ধর্মীয় বৈষম্যবাদী প্রতিষ্ঠান করতে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে, এটা আমার কাছে খুব পীড়াদায়ক।

আইইউটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যতো ভালোই হোক না কেনো, এই রকম বৈষম্যমূলক নীতিমালা মেনে নেয়ার শর্তটা বাংলাদেশ সরকারের মেনে নেয়া উচিৎ হয়নি। আইইউটির ছাত্ররা এই নীতির সুবিধাভোগী বিধায় তাদের অধিকাংশই এই নীতির সমর্থন করেন, এটা আরো দুঃখের ব্যাপার। আগে একবার এই বিষয়ে একই মন্তব্য করায় তারা অনেকে বলেছিলেন, এই নিয়ম মানতে রাজি না হলে নাকি এটা অন্য দেশে চলে যেতো। কিন্তু তারা এইটা খেয়াল করেন না, এই রকম সরকারী আনুকূল্যের প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের সংবিধানের সমান অধিকারের অনুচ্ছেদের খেলাফ করা চলে না। কাল যদি সৌদিরা ধরা যাক বুয়েটে ১ বিলিয়ন ডলার দিয়ে বলে ওখানে মুসলমান ছাড়া কাউকে নেয়া যাবে না, তাহলে কি সরকারের উচিৎ হবে সানন্দে টাকাটা নেয়া?

@জাগরুক, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আহমদ হাসান দানী কোন ধর্মের বলে আপনার ধারণা? একটু "জেনে শুনে" দেখতে পেলাম, ওখানে ৩০০ জন মুসলিম ছাত্র আছে। ২৪০০০ হাজারের মধ্যে ৩০০ থাকাটা আদৌ খুব একটা বেশি ধরা চলে না, কিন্তু আপনার "কেবল হিন্দুরাই পড়তে পারে" টাইপের থিওরির গুড়ে পানি ঢেলে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। আইইউটিতে হিন্দু শিক্ষক নেয়াও তো মানা, তাই না? আমরা গরীব দেশ হতে পারি, কিন্তু একটা স্বাধীন দেশ, এই রকম বৈষম্য মূলক শর্ত মানা দেখলে সেটা সহ্য করাটা দায়।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

জাগরুক এর ছবি

ধন্যবাদ রাগিব ভাই।হুমম ৩০০ অথবা ৪০০ খুব বেশি না তবে ধর্মভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মটো থাকে নিজদের রিসোর্স কাজে লাগানো, সেখানে আমি কোন অসুবিধা দেখিনা।আইইউটিতে হিন্দু,খ্রিস্টান বা অন্য ধর্মের শিক্ষক নেয়া মানা কিনা জানা নেই তবে পোস্টটি সুরসুরি মার্কা যেখানে সাম্প্রদায়িকহীন সমাজ গঠনের কথা বলে পুরো একটি সম্প্রদায়কে বিচারের কাঠগড়ায় দাড় করানো হচ্ছে।এই ধরনের আলাপ মুলত ডিম আগে না মুরগি আগের মত।লেখকের লেখা বেশির ভাগ সোর্সই অনুমান ভিত্তিক যেখানে শুনেছি,জেনেছি মুলক কথা বার্তা বেশী।

সবজান্তা এর ছবি

আমার জানা আছে- আই ইউ টিতে মুসলিম ব্যতীত অন্য ধর্মের শিক্ষক নিয়োগেও বাঁধা আছে, এমনকি খণ্ডকালীন হলেও।

টেলিযোগাযোগ বিষয়ের একজন প্রফেসর, যিনি মোটামুটি স্বনামধন্য এবং বিদ্বান একজন ব্যক্তি, প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন শুধু মাত্র ধর্মের ভিন্নতার কারণে।

হিমু এর ছবি

ওআইসির মাবাপ খোদ সৌদি আরবের কাউস্টেই দেখেন খ্রিষ্টান ফ্যাকাল্টি আছে। একজনের লিঙ্ক দিলাম।

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

চলুক

নির্বাসিত এর ছবি

আরবদের বেধে দেয়া এই রকম রেসিস্ট গোছের নিয়ম মেনে নিয়ে সরকারী আনুকূল্যে এতো সুযোগ সুবিধা, জায়গা ইত্যাদি দিয়ে একটা ধর্মীয় বৈষম্যবাদী প্রতিষ্ঠান করতে দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে, এটা আমার কাছে খুব পীড়াদায়ক।

আপনি কিন্তু ও আই সি এর সাথে আরব কে মিক্স আপ করে ফেলেছেন। ও আই সি এর সদস্য দেশ গুলোর মধ্যে এশিয়া এবং আফ্রিকার অনেকগুলো দেশ আছে।

আইইউটির ছাত্ররা এই নীতির সুবিধাভোগী বিধায় তাদের অধিকাংশই এই নীতির সমর্থন করেন, এটা আরো দুঃখের ব্যাপার।

সমালোচনা করতে চাইলে অনেক কিছু নিয়েই করা যায়। যে নীতি টা আসলে ও আই সি বসাল, সেটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দোষ বলা যায় না। আপনাদের যদি এতি মাথা ব্যাথা থাকে তো ও আই সি নিয়ে লিখুন না, কেন ওরা এমন একটা নীতি চাপায় দিল। শুধু শুধু আই ইউ টির পিছনে লাগতে আসেন কেন। আই ইউ টি তো আর এর ছাত্ররা চালায় না।

অতিথি লেখকের এই লিখা তে গঠনমূলক কোন সমালোচনা তো দেখতে পেলাম না। বরং আই ইউ টি কে নিয়ে কিছু স্বপ্নে পাওয়া থিওরি কপচে গেলেন। এই ধরনের লিখা ব্যক্তিগত আক্রোশের ফলাফল ধরে নঁদিতে বচছাধচ্য হচ্ছি।

অন্যকেউ এর ছবি

আইইউটি নিয়ে লেখা হবে কারণ এটা একটা প্রক্রিয়ার ফলাফল অংশ। ওআইসি একটা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। সেটা নিয়ে কথা বলার আগে আমাদের অবশ্যই কথা বলা উচিত আমাদের দেশে তারা কী 'অবদান' রাখছে তার উপর। আইইউটি-কে আমরা আমাদের দেশে দেখতে পাচ্ছি, এখানে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা নারীদেরকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। নারীরা এদেশে এমনিতেই সামাজিক নিপীড়ন এবং পিছিয়ে থাকা অবস্থার শিকার, ধর্মের নাম দিয়ে তাদেরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় সুযোগবঞ্চিত করার কোনও কারণ দেখি না। এরকম অবস্থায়, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত টানাহ্যাঁচড়া না করে আগে দেশীয় বাস্তবতায় আইইউটি নিয়েই কথা বলা উচিত।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

জানি না এর ছবি

ধর্মের নাম দিয়ে তাদেরকে মধ্যযুগীয় কায়দায় সুযোগবঞ্চিত করার কোনও কারণ দেখি না।

আই ইউ টি তে মেয়ে না পড়ার কারণ কিন্তু ধর্ম নয়, ইসলামের কোথাও কি নারী শিক্ষাকে মানা করা হয়েছে?

হাসিব এর ছবি

ছাত্ররা এই সাম্প্রদায়িকতার প্রতিবাদ কখনো করছে? কোন আন্দোলন? নাকি এমনই ম্যান্দামারা পুলাপান সব যে আন্দোলন খ্রাপ বলে খিল দিয়ে বসে থাকে সবাই?

আশফিক অনিক এর ছবি

হুম ভাই! ও.আই.সিকেও লেখার মধ্যে কিছুটা ভাগ দিয়েছি, পড়ে দেখুন! আমিও আপনার সাথে একমত, তবে ও.আই.সি নিয়ে লিখতে গেলে মহাভারতসম হয়ে যেতে পারে, দুনিয়ার সবচেয়ে আজব সংস্থা ও.আই.সি!
আই.ইউ.টি নিয়ে লেখাও ও.আই.সির চালু করা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ!

আশফিক অনিক এর ছবি

এক্কেরে ঠিক কথা কইছেন ভাই, এইডাই তো ঘুরায় ফিরায় আমিও কইলাম!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তো একবিংশ শতাব্দীতে এসে ছেলে-মেয়ের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়- ধারণাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত?

আমার খুব শখ ছিলো ভিকারুন্নিসা কলেজে পড়ার। কিন্তু ভাই, এইসব ফ্যাসিবাদী জেন্ডার-ডিসক্রিমিনেশনের জন্য পাল্লাম না। আপনার কণ্ঠের সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলতে চাই, নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুন্নিসা আর হলিক্রস কলেজে একবিংশ শতাব্দীতে এসে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশনের এইসব হাদুমপাদুম ছইল তো ন। ছেলেমেয়ে সবাইরেই ভর্তি হতি দিতি হবি।

মরুদ্যান এর ছবি

দেঁতো হাসি চলুক

খালিদ এর ছবি

জটিল বলছেন! হাসতে হাসতে মাথা নষ্ট! চলুক চলুক চলুক

শাব্দিক এর ছবি

আমার খুব শখ ছিলো ভিকারুন্নিসা কলেজে পড়ার।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ধূসর জলছবি এর ছবি

ভালই , ছেলেরা ভিকারুন্নেসায় আর মেয়েরা নটরডেমে , দেঁতো হাসি

চরম উদাস এর ছবি

আমার ইচ্ছা ছিল ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেটে পড়ার লইজ্জা লাগে । মেয়েরা ক্যামনে পিটি প্যারেড করে দেখার ইচ্ছা লইজ্জা লাগে

guesr_writer rajkonya এর ছবি

উদাস ভাই, আপনি খুব খারাপ! আমি কিন্তু নটরডেমে পড়তে চেয়েছিলাম ওখানকার পড়ালেখার মান আর দারুন সব শিক্ষকদের কথা শুনে। আর তাছাড়া দারুন সব ব্রিলিয়ান্ট বন্ধুও পেয়ে যেতাম! যদিও আমার নিজের কলেজটাও দারুন ছিল। দারুন সব টিচার আর বন্ধু পেয়েছি। তবুও ''ওপাড়েতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস।''

জাহিদ খান এর ছবি

চলুক

সদরুল করিম  এর ছবি

হাততালি

guesr_writer rajkonya এর ছবি

আহা, আমার খুব ইচ্ছে ছিল নটরডেমে পড়ার। মন খারাপ

নাশতারান এর ছবি

যদ্দূর জানি, নটরডেম কলেজে মেয়েদের পড়ার সুযোগ আছে দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

খালিদ এর ছবি

কন কী? বিস্তারিত জানান! আবার ভর্তি হইতে মুঞ্চায়! মন খারাপ

কালো কাক এর ছবি

এটা আমিও শুনেছিলাম, খুব আশায় ছিলাম নটরডেমে পড়ার। কিন্তু সুযোগটা কিভাবে পাওয়া যায় জানতাম না মন খারাপ

guesr_writer rajkonya এর ছবি

এই সুযোগ মনে হয় আমি পাস করে যাওয়ার পরে হয়েছে। মন খারাপ

নুভান এর ছবি

চা খাচ্ছিলাম, ধুগোর কমেন্ট পড়ে হেঁচকি খেলাম। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি।

অন্যকেউ এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় আর কলেজে মিলমিশ কৈরে ফেল্লেন্তো। খাইছে

ছেলে-মেয়ে আলাদা ইশকুল-কালেজ-ভার্সিটি কোনওটাই থাকা উচিত না। লৈঙ্গিক বিভাজন আসলে এখান থেকেই শুরু হয়।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

Arefin Rafee এর ছবি

দেঁতো হাসি চাল্লু

আশফিক অনিক এর ছবি

আমিও জিলা স্কুলে পড়েছি, আমি স্কুল আর কলেজে সমস্যা দেখি না!

তো একবিংশ শতাব্দীতে এসে ছেলে-মেয়ের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়- ধারণাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত

আমি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছি ! যাই হোক, আপনার কথায় বেশ হেসেছি দেঁতো হাসি

কালো কাক এর ছবি

আপনি সবকিছুই আন্দাজের ভিত্তিতে বললেন। একটা প্রতিষ্ঠানকে জঙ্গীবাদের আখড়া / সাম্প্রদায়িকতা বিকাশের কেন্দ্রের মত ট্যাগ করতে গেলে কিছু ফ্যাক্ট জেনে কথা বলা উচিত। আমি এটা শুনেছি/ওটা করতে দেখা যায়/ নাকি/ শোনা যায় এগুলো গ্রহণযোগ্য না।

আশফিক অনিক এর ছবি

আমি তো জঙ্গিবাদের আখড়া বলিনি ভাই! শুধু অতীতে সম্পৃক্ত থাকার কথা বলেছি মাত্র!

সাম্প্রদায়িকতা বিকাশের কেন্দ্র কেন বলব না? আপনিই ঠান্ডা মাথায় ভাবুন তো!

ফিনিক্স এর ছবি

আমি আই ইউ টির একজন প্রয়াত স্টুডেন্ট, সেই হিসাবে কিছু ভূল ধারনা ক্লিয়ার করি -

"আর্ন্তজাতিকমানের শিক্ষাদান"

- মোটেও আর্ন্তজাতিকমানের নয়, বরং দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে খারাপ মানের ।

"জেলখানা বলে থাকেন"

- না জেনে যারা কথা বলেন, তারাই এসব বলেন, স্বাধীনতার কোন ঘাটতি দেখিনি ।

"আবার অনেকের কাছে শুনি সেখানে ধর্ম পালনে বাধ্যবাধকতার কথা"

- কোন বাধ্যবাধকতা নেই , নইলে আমি এগনোস্টিক হই ক্যামনে?

"আই ইউ টির টিউশন ফি"

- খুব বেশি না , ১ বছরের খরচ স্টুডেন্টকে দিতে হয়, সেটা ৫০০০ ডলার , বাকি ৩ বছরের এক্সপেন্স দেয় ও আই সি

আশফিক অনিক এর ছবি

প্রথম কথাঃ এইটা আই.ইউ.টির ছাত্ররাই আমায় বলেছে...
দ্বিতীয় কথাঃআমি জেলখানা বলি না, কিন্তু অনেকে বলে, এই পোস্টের নিচেই একজন মাদ্রাসা বলেছেন!
তৃতীয় কথাঃসাধুবাদ!
সবশেষেঃচার লাখ টাকার কাছাকাছি হয়ত পাঁচ হাজার ডলার! এটা এদেশের কয়টা মানুষের এককালীন দেওয়া সম্ভব?

রাশভারী এর ছবি

* প্রয়াত স্টুডেন্ট

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আপনি মারা গেসেন কবে?

ভালো মানুষ এর ছবি

সহমত প্রকাশ করছি ।এখনে বিশ্ববিদ্যালয় ধারনার সাথে যায় না

আশফাক আহমেদ এর ছবি

লেখাটা কোন সু্নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে লিখিত না। এইজন্য ১ তারা দিলাম
লেখককেও আইইউটি'র প্রতি সামান্য বিদ্বিষ্ট মনে হচ্ছে
যাহোক, লিখতে থাকুন

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

ধর্মভিত্তিক বা লিঙ্গভিত্তিক নিষিদ্ধকরণ কি আমাদের সংবিধানের পরিপন্থী নয়?

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

ফারহান এর ছবি

আপনি তো পুরাই আন্দাজের উপর সব কথা বলে গেছেন। আমার পরিচিত কয়েকজন ওখানে পড়ে। তাদের কাছ থেকে আমি কোনদিন শুনলাম না ওখানে ধর্ম পালনে বাধ্য করা হয় কিংবা ওটা একটা জেলখানা। আর আপনি এগুলো বলে দিলেন।

দেশে অবশ্যই ছেলে, মেয়ে, ধর্ম নির্বিশেষে সকলেরই শিক্ষা গ্রহণের সমান সুযোগ থাকা উচিত। কিন্তু তাই বলে একটা ভার্সিটির নামের সাথে ইসলাম আছে বলেই আপনি তাকে জংগী ভার্সিটি বানায়ে দিলেন এটাতো ঠিক না।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হাততালি

রায়হান আবীর এর ছবি

একজন প্রয়াত আইইউটিয়ান হিসেবে আমি একটা কথাই বলি-

লেখাটায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ উঠে এসেছে বটে, তবে দূর্বল যুক্তিতে সেগুলো মার খেয়ে গেলো। একই সাথে আজাইরা কিছু ধারণা লেখাটাকে একেবারে মেরে দিলো।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

প্রয়াত হাসি
আবীর, আপনি একটা লিখে ফেলেন দ্রুত। এই বিষয়টা জরুরি। সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়েও প্রতিষ্ঠান কীভাবে বৈধতা পায়, বুঝা দরকার।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

পার্থিব এর ছবি

সমস্যা তো ওইখানেইরে পাগলা, তুমি বুঝবা ঠিকাছে, তয় বুঝাইবাটা কারে?
আর আই ইউটি নাকি বাংলাদেশের অংশ না, ওই জমি তো বাংলাদেশ সরকার ও আই সি রে দান করে দিসে, এখন আর ওইখানে বাংলাদেশি নিয়ম চলে না রে পাগলা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

পার্থিব ভ্রাতঃ আপনার স্নেহযুক্ত মন্তব্যের প্রেক্ষাপট পরিস্কার হইল না ...


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

স্বপ্নহারা এর ছবি

চলুক

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

অন্যকেউ এর ছবি

সহমত চলুক চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

হাসিব এর ছবি

"পিছিয়ে পড়া মুসলিম" রায়হান আবির শয়তানী হাসি

আশফিক অনিক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই, মন্তব্যের জন্য! আমি এরকম লিখতে গেলেই কেন জানি মার খাই!

ব্লাহ্‌ এর ছবি

তাইলে কমেন্ট খাওনের লাইগ্যা আজকাল লোকজন আই।ইউ।টি নিয়াও লেখা শুরু করছে! মাদ্রাসাটা জাতে উঠে গেলো মনে হচ্ছে! এল্মাও গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চালিয়ে যাও ওস্তাদ...

এক্স হুজুর ফ্রম আই।ইউ।টি খাইছে

আশফিক অনিক এর ছবি

কমেন্টের জন্য থ্যাঙ্কস! আপনার কমেন্টের জন্য পরানটা কাঁদতেছিল!

জাহিদ খান এর ছবি

আইইউটিতে এককালীন অনেকগুলো টাকা দিতে হয় ভর্তির সময় - এটা ঠিক। কিন্তু যোগ-বিয়োগ করলে দেখা যায় যে এখানে পড়তে কোন টাকাই লাগেনা! প্রতি মাসে ৪০ ডলার করে পকেট অ্যালাউন্স, ফ্রি খাওয়া হিসাব করলে এটা সহজেই বোঝা যায়।

আর বৈষম্যের কথা বলতেছেন? এতদিন যখন মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম'ই কিনতে পারতো না, তখন কাউকে দেখি নাই গলা ফাটিয়ে বৈষম্যের কথা বলতে। তখন কি বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ ছিল না। তবে কেন ছিল এই বৈষম্যমূলক নীতি??

লিঙ্গ বৈষম্যের কথা বললে নটরডেম কলেজ, ঢাকা কলেজ, ভিকারুননিসা, হলিক্রস, ইডেন, সিটি কলেজ(বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে) - এরাও একই দোষে দুষ্ট। অথচ, এগুলা নিয়ে কোনদিনও কাউকে কিছু বলতে শুনিনাই।

যাই হোক, লেখা পড়ে এটা স্পষ্ট যে, লেখকের নিজের কোন স্পষ্ট ধারণা নেই আইইউটি সম্পর্কে।

হিমু এর ছবি

মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম কিনতে পারতো না তাদের নিজেদের কারিকুলামের দোষে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে শিক্ষার একটা নির্দিষ্ট স্তর পার হয়ে আসতে হয়। মাদ্রাসার কারিকুলামে সেই স্তর পার করার উপায় রাখা হয়নি। মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢাবিতে গিয়ে বিক্ষোভ করেছে, কিন্তু নিজেদের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সামনে গিয়ে টু শব্দ করে নাই। কেন? মাদ্রাসার ছাত্রের পায়ের মাপে ঢাবিরে জুতা বানাতে হবে, নাকি ঢাবির পায়ের মাপে মাদ্রাসার ছাত্ররে জুতা বানাতে হবে? আপনি ইংরেজি ৪০০ নাম্বারের পরীক্ষা না দিয়ে ২০০ নাম্বারের পরীক্ষা দিয়ে অর্থনীতি কীভাবে পড়বেন ঢাবিতে? আর ঢাবির ঐ বাধা সাতটা ডিপার্টমেন্টে কেবল, গোটা ঢাবিতে না।

নুসায়ের এর ছবি

মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম কিনতে পারে না, আর জীব-বিজ্ঞান না পড়লে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে দেয় না বিষয়টা একই। আপনি কিসের ভেতর কি টানলেন বুঝতে পারলাম না।

নারী শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্য অতীতে এই উপমহাদেশে মহিলা কলেজ - বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদির প্রচলন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে এরকম (বা কেবল পুরুষদের জন্য) প্রতিষ্ঠান থাকাবার যৌক্তিকতা দেখি না।

নাশতারান এর ছবি

আমি শিক্ষার সব স্তরে কোএডুকেশনের পক্ষপাতী। গার্লস স্কুল-কলেজ থেকে আসা মেয়েদের আর বয়জ স্কুল-কলেজ থেকে আসা ছেলেদের মধ্যে বিপরীত লিঙ্গ নিয়ে অদ্ভুত সব ফ্যান্টাসি/ভয়/বিতৃষ্ণা দেখা যায়। ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের সহাবস্থান সুস্থ মানসিক বিকাশে সহায়ক বলে মনে হয় আমার।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

বন্দনা এর ছবি

চলুক

নুসায়ের এর ছবি

আমি শিক্ষার সব স্তরে কোএডুকেশনের পক্ষপাতী

বর্তমান সময়ের হিসেবে বললে আমিও তাই মনে করি। আমি কেবল মহিলাদের জন্য স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদির ব্যূৎপত্তি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্তব্যটি করেছি। একবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে যেকোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানেই লিঙ্গ বা ধর্ম বৈষম্য কাম্য নয়।

মন্তব্যের পরবর্তী অংশে ১০০% সহমত।

অন্যকেউ এর ছবি

চলুক

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

আপনি শিওর ওই ফ্যান্টাসি গুলা শুধু কো-এড না হওয়ায় খাইছে শীলা, মুন্নী বা চিকনি চামেলী দের এই সব উলালা উলালা তুহি মেরি ফ্যান্টাসিতে কোন হাত নাই দেঁতো হাসি ?

আশফিক অনিক এর ছবি

আমি অন্তত বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে কো এডুকেশন চাই ভাই! আমি ইডেনের মত কলেজ থাকারও বিরুদ্ধে!

ঢাবি নিয়ে কথা বলে আপনিই তো অজ্ঞতার পরিচয় দিলেন!

সত্যানন্দ এর ছবি

@জাহিদ খানঃ দয়া করে জেনেশুনে উদাহরন দিবেন
মাদ্রাসার ছাত্ররা সুযোগ থাকা সত্বেও কিছু বিষয় না পড়েই ভর্তির দাবি তুলছিল... তাল মিলাইত শিবির (আপনেও কি ঐ জাতের না কি???)... জীববিজ্ঞান না থাকলে বায়োকেমিস্ট্রি/মাইক্রোবায়লজি/জেনেটিক্স এ ভর্তি হওয়া যায় না... পদার্থবিজ্ঞান/গনিতে পর্যাপ্ত নম্বর না থাকলে পদার্থবিদ্যা/কম্পিউটর সায়েন্স/আইটি তে ভর্তি হওয়া যায় না... জীব বিজ্ঞান না থাকলে (বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও) মেডিক্যাল এ ভর্তি হওয়া যায় না... ... ... এগুলা কোনটা বৈষম্য আর কোনটা পুর্বশর্ত চিন্তা করে তার পরে কমেন্ট করবেন... শোনা কথায় চিলের পিছে দৌড়ায়া মানুষেরে বিভ্রান্ত করবেন না...

ফাহিম হাসান এর ছবি
অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চলুক

আশফিক অনিক এর ছবি

চলুক

ফাহিম হাসান এর ছবি

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলতে গিয়ে ভারত সংক্রান্ত উদাহরণটা ভাল হয়েছে। গুড পয়েন্ট।

কিন্তু এমনিতে ভাল লাগে নাই লেখাটা। ভাসাভাসা আলোচনা ও দুর্বল যুক্তির মিশেল মনে হয়েছে।

ফালতু মানুষ এর ছবি

ভাই,যেটুকু জানেন, সেটুকু নিয়েই কথা বলাটাই কি উচিত না?আপ্নি জানেন না টিউশন ফি কত, তাহলে একটু জেনে তারপর লিখে দেন।তাহলে তো আর আমার মত সাম্প্রদায়িক মানুষেরা কথা বলার সাহস পায় না।

একটা দিন আইইউটিতে কাটায়ে আইসেন ভাই।তারপর লিখতে বইসেন।

খুদাপেজ।

অচেনা যুবক এর ছবি

কিছু বিষয় পরিস্কার করে দেইঃ
১। আইইউটি তে ধর্মীয় ব্যাপার চাপিয়ে দেয়া নিয়ে কোনো ইস্যু নেই। চার বছর পড়াশোনা করেও একবারও মসজিদে ঢুকিনি
২। আইইউটি তে আমি বলব বাংলাদেশের অন্য যেকোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ধর্মীয় সাম্রদায়িকতার প্রভাব কিছু কম কারণ এখানে জামাতের/শিবিরের সরাসরি কোনো উপস্থিতি নেই। যতটুকু আছে তা সবই আড়ালে আড়ালে কারণ এখানে যে কোনো ধরণের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ। এরজন্য সাধারণ স্টুডেন্ট দের সুযোগ কম কোনো ধরণের মৌলবাদী সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়ার।

৩। আইইউটি তে এডমিশনের সময় এক বছরের টাকা পরিশোধ করতে হয় (৫০০০ ডলার)। তার বিনিময়ে চার বছর হস্টেল এ সিট, তিন বেলা খাওয়া এবং প্রতি মাসে ৪০ ডলার করে হাতখরচ পাওয়া যায় যা আমার মতে মেনে নেয়া যায়। তার উপরে আইইউটি এর খাবার বাংলাদেশের যে কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর তুলনায় কয়েক গুণ ভাল (এটা মোটামুটি সর্বজনবিদিত)।

ফালতু মানুষ এর ছবি

ভাই কি আমার কমেন্ট বুঝেন নাই? আমি খুব ভালো মতই জানি আই|ইউ|টি নিয়ে।আমারে ভালো ধারণা দেয়ার দরকার নাই ভাই।লেখকরে দেন। উনার জানাশোনায় অনেক ফাঁক আসে।

সদরুল করিম  এর ছবি

অনুমান নির্ভর খুবই বাজে একটা লেখা। কিছু কিছু জিনিস মাত্রাতিরিক্ত মিথ্যাচার করা হয়েছে লেখায়, যেমন- IUT তে ধর্ম পালনে বাধ্যবাধকতা, IUT ছাত্রদের জঙ্গি কর্মকাণ্ড এসব সম্পূর্ণ বোগাস কথাবার্তা। কোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে এধরনের কিছু লিখার আগে ভেবে চিন্তে লিখবেন আশা করি।

সৎকারবিহীন এর ছবি

@লেখক,
আপনার পোষ্টে উল্লেখ করা তথ্যসমূহের অসঙ্গতি এবং সত্যতা নিয়ে যেইসব বলবার সেটা এর আগে অনেকেই বলে গেছেন। আপনি বরং জেনে নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু উল্লেখ করতে পারতেন। এর মধ্যে শিক্ষার মান, কারিকুলাম বিষয়ক প্রশ্ন এইসব লিখলে অনেকেই উৎসাহ নিয়ে এসে আলোচনায় অংশ নিতো এই পোষ্টে। তবে ধর্ম বিষয়ে বৈষম্যের কথার ব্যাপারে একমত।
অবশ্য দোষের কিছু নয়, আমাদের উৎসাহ থাকবে সেই ইস্যুতেই বেশি যখন পাকিস্তানী কোন ছাত্রকে জঙ্গিবাদের দায়ে গ্রেপ্তার করা হবে, কিন্তু কোন আফ্রিকান ছাত্রকে ছিনতাইকারী চমৎকারভাবে কোপায়ে চলন্ত বাস থেকে ফালায়ে দিয়ে মেরে ফেললে সেটা নিয়া খুব বেশি উৎসাহের কিছু নেই।
এটাও তেমন উল্লেখযোগ্য বিষয় না যে এই ইউনিভার্সিটি প্রতিবছর ভর্তি প্রক্রিয়ার নিয়ম পালটায় শুধুমাত্র প্রতি বছরে পরিবর্তনের সাথে তাল মিলায়ে ছাত্র রিক্রুট করার জন্য কিংবা সম্প্রতি কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের আগাগোড়া আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।

S.M. Al Mamun এর ছবি

যারা দেশের সংবিধানের কথা বলছেন, তাদের জন্যঃ আইইউটি বাংলাদেশের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা একটি পূর্ণ এম্বাসীর সমান মর্যাদা ভোগ করে থাকে। এখানে কি হবে না হবে, তা দেশের নিয়ম-কানুনে চলে না বললেই চলে। আর এটাই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেটার চ্যান্সেলর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নন, স্বয়ং ওআইসি'র মহাসচিব। দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অনেকের গঠনমূলক সমালোচনা থাক্তেই পারে, বিষেদাগার করার কিছু হয়নি এখানে।

ধন্যবাদ।

নাশতারান এর ছবি

ধর্মীয় ও লৈঙ্গিক বৈষম্য গ্রহণযোগ্য নয়। তবে আইইউটির ধর্মীয় সংস্কৃতির ব্যাপারে আরো জানতে আগ্রহী আমি। লেখাটা পড়তে পড়তে আমার পরিচিত আইইউটিয়ানদের কথা ভাবছিলাম। তাদের কারো মধ্যে ধর্মীয় গোঁড়ামি দেখেছি বলে মনে পড়ছে না।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

অন্ত আফ্রাদ   এর ছবি

আইইউটি তে ধর্মীয় ব্যাপার চাপিয়ে দেয়া নিয়ে কোনো ইস্যু নেই। চার বছর পড়াশোনা করেও একবারও মসজিদে ঢুকিনি

দেঁতো হাসি

বিজন শাহরিয়ার এর ছবি

১। যারা ধর্মীয় ভিত্তিতে ভর্তি নিয়ে উদ্বিগ্ন তাদের জ্ঞাতার্থে, IUT তে প্রাথমিক ভাবে ৩ ডিপার্টমেন্ট এ ১৭০ টা সিট রাখা হয়েছিল যাতে OIC এর প্রত্যেক দেশ থেকে তিনজন করে ছাত্র বৃত্তি নিয়ে পড়তে আস্তে পারে। বাস্তবিক দেখা যায়, সব দেশ থেকে ছাত্র আসছে না, তখন খালি সিট গুলোয় হোস্ট কান্ট্রির স্টুডেন্ট ভর্তি করা হয়।
২। মেয়েরা পড়তে পারেনা এর প্রধান কারণ IUT একটি ক্লোজড ক্যাম্পাস এবং রেসিডেন্সিয়াল। প্রাথমিক ভাবে তাই IUT তে মেয়েদের পড়ার সুযোগ ছিলো না। কিন্তু খুশির খবর IUT মেয়েদের হলের জন্য জায়গা কিনছে। তাই ধরতে পারেন আপনের মাইয়া IUT তে পড়তে পারব।
৩। টিউশান ফিঃ এটা একটা আবাল মার্কা ইনফো দিসেন আপনি। IUT তে ভর্তির সময় এককালীন ৫০০০ ডলার নেয়া হয়। এর বিপরীতে আপনি যেসব সুবিধা পাবেন সেগুলো হলোঃ
অ। থাকার ব্যবস্থা; এখানে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে আপনার জন্য হলে সিট বরাদ্দ হয়ে যায়।
আ তিনবেলা খাবার; খাবার এর মেনু দিতে ইচ্ছা করতেসে না, কিন্তু বাজেটা বলি নাস্তাঃ ৫০ট, লাঞ্চ ৭০ ট, ডিনার ৯০ ট।
ই। মাসে মাসে ৪০ ডলার পকেট এলাওয়েন্স। (৪০*১২*৪ = ১৯২০ ডলার)
ঈ। আমাদের বই কিনতে হইতো না দেঁতো হাসি
আশা করি আপনার ৫০০০ ডলারের হিসাব পেয়ে গেছেন।
এবার আসি, কেনো আন্দোলন করে আমরা হিন্দু ছাত্র ভর্তি করাই না? IUT একটা ডিপ্লোমেটিক জোন এবং OIC এর সম্পদ হিসেবে বিবেচিত, যেমন USA এর এম্ব্যাসিতে গিয়ে আপনি আমাদের দেশের আইন এবং সংবিধান পালন করাতে পারবেন না, একই ভাবে IUT তেও পারবেন না। (আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি IUT এর এই নীতি পরিবর্তন করা উচিৎ, এবং এটা করার ক্ষমতা শুধু আমাদের দেশের সরকার প্রধাণের আছে। আমাদের হাতে নেই)
ধর্মীয় প্রসংগে কিছু বলবো না তার কারণ দেশের অনেক ধর্মীয় নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠানের তুলনায় IUT এর ধর্মীয় পরিবেশ অনেক ভালো। আমার হিন্দু বন্ধুরা ক্যাম্পাসে এসে দুই তিনদিন মৌজ মাস্তি করে যায়, গেম খেইলা যায়, মুভি, সিজান, গান, পর্ণ নিয়া যায়... কিন্তু কেউ ওদের রগ কাটতে আসে না।
অনেক কাজ একটি বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারে IUT করে নাই বলতে কি বুঝাইছেন বুঝি নাই। বুঝায়া বলেন। যাই হোক আমরা (আমি) IUT থেকে বের হওয়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যাচ (২০১১ নভেম্বর)। আপডেটেড ইনফো জানতে নক করুন। ০১৭১৭০৬৩৫৭৫
বিজন শাহরিয়ার (IUT EEE’07)
রিসার্চ সায়েন্টিস্ট ও অরগানিক সোলার সেল ল্যাব ইনচার্জ
বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশণ

ফাহাদ হাসান রাতুল, আইউটি ০৫ এর ছবি

"আমার হিন্দু বন্ধুরা ক্যাম্পাসে এসে দুই তিনদিন মৌজ মাস্তি করে যায়, গেম খেইলা যায়, মুভি, সিজান, গান, পর্ণ নিয়া যায়... কিন্তু কেউ ওদের রগ কাটতে আসে না।"

হেহে... ভালো বলেছিস বিজন... দেঁতো হাসি

খালিদ এর ছবি

আপনার এই মন্তব্যের পরে আর কোন কনফিউশন থাকার কথা না। চলুক

হাসিব এর ছবি

হিন্দু বন্ধুদের মাস্তি, পর্ণ সাপ্লাই দেন শুনে আমোদিত হলুম। কোনদিন আপনারা তাদের ক্লাসে ভর্তি করানোর দাবি জানিয়েছেন?

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

না জানাই নাই; এমনকি প্রতিবাদও করি নাই; তবে একবার রেজিস্ট্রারার অফিসে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমার এক পরিচিত ছোট ভাইয়ের জন্য ভর্তির ব্যাপারে; আমাকে বলা হইছিলো প্রথমে IUT তে এপ্ল্যাই করে ও।আই।সি এর কাছে এপ্ল্যাই করতে হবে এবং ফরেন এফ্যার্সে জানাতে হবে। তারপর যদি ওইখান থেকে এপ্রুভাল হয় তারপর IUT প্রসেস করবে। এটা শুনার পরে আর ওই ছোট ভাই এপ্ল্যাই করে নাই।

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশের কোন ক্যাম্পাসে হিন্দুরা গেম খেললে আর পর্ন নিয়ে গেলে অন্যরা ধরে তাদের রগ কেটে দেয়, একটু বলেন তো বিজন? পাঁচটা নাম বললেই হবে।

বাংলাদেশে বহু মাদ্রাসায় হিন্দু শিক্ষক আছে কিন্তু। বিশ্বাস না হলে প্রথম আলো খুলে রঞ্জিত কুমার রায় নামে নীলফামারীর এক দুস্থ মাদ্রাসা শিক্ষকের কথা পড়েন। ওআইসি বাংলাদেশের ঐ মাদ্রাসাগুলোর সমান মুসলিমও হয়ে উঠতে পারলো না দেখে দুঃখ লাগলো।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

হিমু,
আপনি আমার প্রেক্ষাপট বুঝতে পারেন নাই; রগ কেটে দেয়ার প্রসংগ শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে উল্লেখ করা হয় নাই। এটা রাজনৈতিক এবং জংগীবাদের তীব্রতা প্রকাশে বোঝানো হইছে। আপনাকে ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই, ৩০শে ডিসেম্বর আমি জাহাংগীর নগর ক্যাম্পাসে রাতে থাকতে গিয়েছিলাম; তো ভাসানী হলের ছাদে বসে আড্ডা দেয়ার সময় আমার বন্ধুদের সহ আমাদের নিচে নামায়া দেয়া হয় কারণ ওইখানে তখন ছাত্রলীগের মিটিং হবে দেঁতো হাসি ... ওখানে আমার বন্ধুরা কিছু বললে রগ না কাটলেও মাইর খাইত শিওর। কিন্তু আমাদের ক্যাম্পাসে কখনো এমন পরিবেশের উদ্ভব হয় না দেঁতো হাসি আশা করি আপনি আমার প্রেক্ষাপট বুঝতে পেরেছেন?

হিমু এর ছবি

বিজন, আমি যে সময়ের আইইউটির কথা জানি, সে সময় আপনি সম্ভবত স্কুলে পড়তেন। প্যালেস্টাইনি ছাত্ররা তখন আইইউটিতে বেশ দাপট নিয়ে চলতো। বাঙালিদের সাথে তাদের টক্করও লাগতো মাঝেমধ্যে। একবার গিয়ানজাম লাগার পর তারা গান পাউডার দিয়ে ককটেল তৈরি করে চার্জ করেছিলো। সৌভাগ্যক্রমে কোনো ফেইটাল ইনজুরি হয়নি কারো। আইইউটিতে পাকিস্তানী ছাত্রদের উৎপাতের কথাও তখন শুনেছি, যাদের এক পর্যায়ে শক্ত ধোলাই দিয়েছিলো বাঙালি ছাত্ররা। তবে আপনাদের সময়ে এসে এখন পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয়োচিত হয়ে গেছে জেনে আশ্বস্ত হলাম।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

এই গিয়াঞ্জামের কথা আমরাও শুনছি কিন্তু একটু ভিন্নভাবে। যাইহোক অনেক তর্ক যুদ্ধ হইলো এখন কোন সলিউশান এর দিকে যাওয়া উচিৎ না আমাদের? এখানে একা ছাত্রদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না। তো শুধু সমালোচনা না করে কিছু উপায় বের করা উচিৎ। তো আমরা কিভাবে ধর্মীয় বৈষম্যটা দূর করতে পারি এটা নিয়ে সাজেশানস দেন। (আমি স্যাটায়ার করছি না সিরিসলি জানতে চাচ্ছি)

হিমু এর ছবি

কোন ধর্মীয় বৈষম্য? আপনিই না বললেন, আইইউটিতে হিন্দুমুসলিম সবাই মিলেমিশে গেইম খেলছে, পর্ন দেখছে হাসি । আপনার বৌদ্ধ আর খ্রিষ্টান বন্ধুদেরও যোগ দিতে বলুন। ওআইসি না জানলেই হইছে।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

হিমু ভাই, আমি কিন্তু আমার লেখায় বলি নাই বৈষম্য নাই; লেখক মূল লেখায় ধর্মীয় বাধ্যবাদকতার এবং পরিবেশের যে কটাক্ষ করেছেন তার জবাবে ওইটা বলা হয়েছে। আমার কমেন্ট গুলো পড়ে দেখেনতো কোথায় আমি বলেছি যে IUT যেটা করতেছে ঠিক করছে? দেখেন আপনার যদি মনে হয় এর কোন সমাধানের ‘সাজেশান’ আপনারা দিতে পারবেন না তাহলে এমন একটা পাবলিক ফোরামে এসব ব্যাপারে তর্কাতর্কি করার মানেটাই বা কি? আপনারা বেশ শক্তিশালী লেখক, এটা নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখা লাখি করেন, সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আমরাও অথরিটিকে চাপ দিবো। তা না হলে হুদাই প্যাচাল পারা হইলো তাই না। আর হিমু ভাই আপনার লাস্ট স্যাটায়ারটা ভালো হইলো না। আমি বেশ আন্তরিকভাবেই জানতে চেয়েছিলাম এ সম্পর্কে কি ধরণের চেঞ্জ আনা যায়। কিন্তু আপনি উত্তর করলেন ব্যাঙ্গ করে।

হিমু এর ছবি

দুঃখিত ভাই, ক্ষমা চাই। এইবার সিরিয়াসলি কিছু কথা বলি, মন দিয়ে পড়েন।

এই পোস্টটা আমার চোখে খুব একটা মেরিটসম্পন্ন না। কিন্তু এই পোস্টের উত্তর দিতে এসে আপনার কয়েকজন সতীর্থ দেখিয়ে দিয়েছেন, মেরিটসম্পন্ন উত্তর দিতেও আপনারা অপারগ। আইইউটির পলিসির জন্যে আইইউটির ছাত্ররা দায়ী না, এই কথা বললেই তো ঝামেলা শ্যাষ। সেটা না করে আপনারা আইইউটির পলিসির পেছনে যুক্তি দাঁড় করানোর এমন করুণ চেষ্টা করছেন যেটা দেখে বিরক্ত লেগেছে।

ছাত্র হিসেবে আপনারা যদি আইইউটির পলিসি পরিবর্তনে আন্তরিক হন (আমার মনে হয় না আপনারা এটাকে আদৌ সমস্যা হিসাবে দেখেন, তাই এর "সমাধান"-এর জন্য ছাত্ররা চেষ্টা করবেন সেটাও আমি বিশ্বাস করি না), তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত কর্তৃপক্ষের সাথে একটা ডায়ালোগে বসতে পারেন। ধর্মীয় একবৃত্তি, লৈঙ্গিক একবৃত্তি, এগুলো বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সাথে মানানসই না, এরকম উপলব্ধির কথা কর্তৃপক্ষকে জানান, তারপর দেখেন তারা কী করে। আপাতত এই সাজেশনই দিতে পারি।

আমি কিন্তু এই পোস্টের বক্তব্য সমর্থন করে আপনার বা আপনার সতীর্থদের সাথে তর্ক করছি না। কেউ কোথাও ছাগুযুক্তি দিলে আমি একটা জবাব দিয়ে আসি, এইটা আমার বদভ্যাস। আইইউটি নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নাই, কিন্তু পাবলিক ফোরামে কেউ ছাগুটাইপ কথা বললে আমার মাথাব্যথা আছে, সেই বক্তা আইইউটিরই হোক আর রামকৃষ্ণ মিশনেরই হোক।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

এই গিয়াঞ্জামের কথা আমরাও শুনছি কিন্তু একটু ভিন্নভাবে। যাইহোক অনেক তর্ক যুদ্ধ হইলো এখন কোন সলিউশান এর দিকে যাওয়া উচিৎ না আমাদের? এখানে একা ছাত্রদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব না। তো শুধু সমালোচনা না করে কিছু উপায় বের করা উচিৎ। তো আমরা কিভাবে ধর্মীয় বৈষম্যটা দূর করতে পারি এটা নিয়ে সাজেশানস দেন। (আমি স্যাটায়ার করছি না সিরিসলি জানতে চাচ্ছি)

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে আই ইউ টির সি আই টি ডিপার্টমেন্টে একজন পি এইচ ডি করে আসা শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, যদিও তিনে জয়েন করেন নাই... তাই মেয়ে শিক্ষিকা নেয়া হয় না কথাটা ঠিক নয়া (শুনেছি নর্থ সাউথ এ বেতন বেশি হওয়াতে ওদের অফার টা এক্সেপ্ট করেছেন )।

হাসান এর ছবি

বাহ, জানে মেরে না ফেলাটাই আধুনিক মুসলমানের পরিচায়ক হয়ে গেলো?

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

যদি IUT জঙ্গীবাদের আখড়াই হতো তাহলে রগ কেটে দেয়ার কথা ছিলো তাই না? অথবা এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা সাম্প্রদায়িক হলেও একই ফলাফল হতো।

হাসান এর ছবি

এই প্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা (সবাই) সাম্প্রদায়িক সেই অপবাদ আমি দিচ্ছি না, আমি বলছি এই প্রতিষ্ঠানটাই সাম্প্রদায়িক। সত্যি কথা বলতে, না হলেই আশ্চর্য় হতাম। ধর্মীয় সংগঠনের পয়সায় চলা ধর্মীয় "মুল্যবোধ"অলা প্রতিষ্ঠান সাম্প্রদায়িক হতে বাধ্য। গলদের গোড়া ধর্মে।

নিদ্রাতুর এর ছবি

একেবারে একমত । যেই প্রতিষ্ঠানটি শুধুমাত্র একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের জন্য স্থাপিত হয়েছে তাকে সাম্প্রদায়িক বলতেই হয় । সাম্প্রদায়িক হতে গেলে জঙ্গি বানানো লাগে না , এমন একটি নীতির অধিকারী হলেই চলে ।

ফাহাদ হাসান রাতুল, আইউটি ০৫ এর ছবি

আইউটির টিউশন ফি অনেক বেশি, কথাটা ঠিক না, বরং বলা উচিত এককালীন টাকাটা বেশি হয়ে যায়। ৫০০০ ডলার এখন বাংলাদেশি টাকায় ৪ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে পকেট এলাউন্স বাবদ ৪০ ডলার করে ৪ বছরে আপনি ফেরত পাবেন ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার মতন। খাওয়া বাবদ দিনে ১৫০ টাকা করে ধরলে (যারা আইউটির খাওয়া খাইসেন তারা জানবেন যে একই রকম খাওয়া বাইরে খাইতে গেলে ৩০০ টাকা লাগবে) ৪ বছরে আরো ২ লাখ। এইখানেই তো সাড়ে তিন লাখ টাকার হিসাব গেল। এছাড়াও আপনার টিউশন ফি, হল ফি, মেডিকেল এক্সপেন্স, এমনকি আইউটির ডাক্তারের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে বাইরের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে টেস্ট করিয়ে বিল দিলে সেইটাও আইউটি ফেরত দিয়ে দেয়। সুতরাং টিউশন ফি মোটেও বেশি নয়, বরং অনেক প্রাইভাট ভার্সিটি থেকে অনেক কম এবং সুবিধা অনেক বেশি।

এইবার আসি মেয়েদের পড়ার বিষয়ে। আইউটি প্রায় পুরোটাই চলে ওআইসি এর টাকায়। মেয়েদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্যে ওআইসি এর কাছে অনেকবার এইখান থেকে বলা হইসে। একসময় তারা বলসে তাদের আপত্তি নাই যদি এইটা লোকাল রিসোর্স দিয়ে ম্যানেজ করা যায়। এই কথার উপর ভিত্তি করে সরকারের কাছে মেয়েদের জন্যে একটা আলাদা হল নির্মানের টাকা চাওয়া হইসে, কিন্তু সরকার দেয়নাই। তাইলে দোষটা আসলে কাদের? এই খবর শুধুমাত্র ফ্যাকাল্টি মেম্বাররাই জানে, ছাত্ররা না। এখন আপনি নিশ্চই ছাত্রদের হলেই ছাত্রীদের থাকার জোর দাবি জানাবেন না?

ধর্মের বাড়াবাড়ি। আমি আমার চার বছরের স্টুডেন্ট লাইফে মসজিদে কয়বার গেসি হাতে গুনে বলতে পারব। এমন না যে ব্যাপারটা নিয়ে আমি প্রাউড, তারপরও, আইউটিতে কাউকে ধর্ম পালনে বাধ্য করা হয়না। তাব্লীগের টানাটানি আর দশটা ভার্সিটির মতন ওইখানেও হয়, বরং তুলনামুলক কমই হয়। এইখানে সিনিয়ার জুনিয়রের মধ্যে মারামারি নাই। পোলাপাইন সবাই ল্যানে গেমস খেলতে ব্যাস্ত থাকে, জোরে জোরে গান শুনে, রুমে সিগারেট খায়, তাস পিটায় আবার পরীক্ষার আগে ঠিকই নিজের গরজেই পড়তে বসে, অথরিটির কাউকে কখনো দেখি নাই কিছু বলতে। কোন একটা অর্গানাইজেশন একবার আমাদের একটা ইফতার প্রোগ্রাম স্পন্সর করসিল। পরে বের হইসে যে ওই অর্গানাইজেশন নাকি শিবিরের কার্যক্রমেরও টাকা পয়সা দেয়। সাথে সাথে আমাদের পোলাপাইন ওই স্পন্সরের টাকা ফেরত দিয়ে নিজেদের পকেটের টাকায় প্রোগ্রাম করসে একদিনের নোটিশে, আমি নিজেও চাঁদা দিসিলাম, তাই ব্যাপারটা মনে আসে। তাইলে ক্যামনে বলেন যে শিবিরের কার্যক্রম চলে ভিতরে ভিতরে? কেউ মনে মনে শিবির করতে পারে, কিন্তু কোন আক্টিভিটি না থাকলে সেইটা দেখা আইউটির কাজ না।

এইবার আসি জঙ্গিবাদের ব্যাপারে। আমরা পড়ার সময়েই পাকিস্তানি এক ছাত্রকে র‍্যাব ধরে নিয়া গেসিল কারন তার মোবাইলে অন্য এক পাকিস্তানি সম্ভাব্য জঙ্গীর মোবাইল নম্বর পাওয়া গেসিল। আপনি ধরেন বাইরে পড়তে গেসেন। আপনার আশেপাশে দেশী ভাই-ব্রাদার দুই-একজনের নাম্বার আপনার কাছে থাকতেই পারে। এখন আপনার সেই দেশী ভাই যদি কোন আকাম করে, তাইলে আপনি কি তার আকামের দোসর হয়ে যাবেন? যতদুর জানি তাকে পুলিশ আটকায় রাখতে পারে নাই ।আমি ব্যাপারটা পরে আর ফলো করি নাই, তবে ফেসবুকে তার দাত কেলানো হাসি দেয়া ছবি দেখসি, সুতরাং সে তার দেশেই সুস্থ স্বাভাবিক ভাবেই ফেরত গেসে।

সত্যি কথা বলতে গেলে, আমাদের দেশে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক কম, হাতে গোনে কয়েকটা মাত্র। সেইগুলার মধ্যেও সেশন জট, রাজনীতি, হল দখল, পরীক্ষা পিছানো এইসব অনেক ঝামেলা আছে যেইগুলা আইউটি তে নাই। আইউটি তে হরতালের দিনও ক্লাস হয়। আমাদের কে আইউটির প্রথম দিনে একটা ছোট বইতে বলে দেয়া হইসিল আগামী ৪ বছরে আমাদের কোন পরীক্ষা কবে হবে এবং আমরা কবে গ্রাজুয়েশন করে বের হব। আলহামদুলিলাহ, একদম সেই দিনেই বের হইসি, আমারই অন্যান্য ভার্সিটির ব্যাচমেটদের থেকে প্রায় দেড়বছর আগে।

আপনাদের মত পাবলিকরা না জেনে কথা বলে দেশের অনেক ভার্সিটি নষ্ট করসে, আইউটি এখনও অনেক ভালো আসে, এইটারে নষ্ট কইরেন না। অবশ্য আপনার ক্যান এত গা জ্বলে, সেইটা মনে হয় আমার মত আরো অনেকেই বুঝতে পারসে।

খালিদ এর ছবি

মূল পোস্টে কমেন্ট করি নাই। কিন্তু আপনার এই কমেন্ট দেখে এখানে কমেন্ট না করে থাকতে পারলাম না, স্পেশ্যালি আপনার লাস্টের দুইটা প্যারার জন্য। আমি নিজে বুয়েট '০৪ ব্যাচ, কিন্তু আপনারা আমাদের আগে বের হয়েছেন। সেজন্য আপনাদের অনেক অনেক কংগ্র্যাটস! আমার জানা মতে আপনাদের সাথে বের হওয়ার সময় নিয়ে টক্কর দেয় কেবল কুয়েট (টেকনিক্যাল ভার্সিটির মধ্যে)। তাও ইদানিং সেখানে যে অবস্থা চলতেছে, তাতে ভবিষ্যতে কী হয়, আল্লাহ মালুম! যাই হোক, আপনাদের এই সময়মতো বের হওয়াটা যেন কখনোই নষ্ট না হয়। বাংলাদেশে সব ভার্সিটি যেখানে রাজনীতির আখড়া (স্পেশ্যালি ছাত্রলীগের) হইতেছে, তার মধ্যে আপনাদের ভার্সিটি আসলেই একটা অনবদ্য স্থানে আছে।

আমার ফেলো বুয়েটিয়ানগণ, মনে কইরেন না আমি দল ত্যাগ কইরা আই ইউ টি তে গেছি গা! চোখ টিপি বুয়েটের অনেক সমস্যা, তার পরেও আমি বুয়েট নিয়ে প্রাউড এবং আমাকে যদি আবার পড়তে বলা হয়, আমি বুয়েটই প্রেফার করবো। তবে একই সাথে টেক ভার্সিটি হিসাবে আই ইউ টি নিয়াও আমি প্রাউড আর আমার এই প্রাউডনেসটা আমি ধইরা রাখতে চাই।

[লাস্টের প্যারাটা নিয়া চুলকানিওয়ালাদের ত্যানা না প্যাচানির অনুরোধ থাকলো]

ফাহাদ হাসান রাতুল, আইউটি ০৫ এর ছবি

ভাইয়া, আপনার দুইজন ফ্রেন্ড আছেন আমার কলীগ, আমরা একসাথেই কাজ করি। কিন্তু কখনো মনে হয়নাই যে আমরা আলাদা আলাদা ভার্সিটি থেকে আসছি, বরং আমাদেরকে একসাথে দেখলে সবাই ভাবে আমরা সিউর সেম ভার্সিটি থেকে পাশ করে আসছি। কে কোন জায়গা থেকে পাশ করে আসছে, কর্মক্ষেত্রে সেইটা কোন ব্যাপারই না। যাদের প্রচুর আজাইরা টাইম, তারাই এই জিনিসগুলা নিয়া ত্যানা প্যাঁচায়।

খালিদ এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

নুসায়ের এর ছবি

আই ইউ টি কে আসলে কোন পদের (সরকারী / বেসরকারী) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখা হচ্ছে?

আপনার এক নং পয়েন্টে আপনি টিউশন ফি / খরচ তুলনা করছেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর সাথে। aa

আবার ২ নং পয়েন্টে বলছেন -

সরকারের কাছে মেয়েদের জন্যে একটা আলাদা হল নির্মানের টাকা চাওয়া হইসে, কিন্তু সরকার দেয়নাই। তাইলে দোষটা আসলে কাদের?

বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ই যদি হবে, তবে তার উন্নয়ন বা সম্প্রসারনের জন্য সরকারকে দায়ী করা কতটুকু যৌক্তিক? আবার যদি এটাকে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখেন, তবে টিউশন ফি / খরচ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করার যুক্তিটাই বা কি? বাংলাদেশ সরকার অর্থনৈতিক ভাবে কি এই প্রতিষ্ঠানটির সাথে জড়িত?

উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে,

IUT receives direct endowment from OIC member countries and offers scholarships to its students in the form of free tuition, boarding, lodging and medicare.

The university has advanced much in a short time[citation needed] and infrastructure development is still going on financed by loans from the Islamic Development Bank (IDB) with a guarantee provided by the Government of Bangladesh.

এই পোস্টে আলোচনার মূল সুরটা হলো, যেহেতু এটা বাংলাদেশে অবস্থিত একটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান (এবং বাংলাদেশ সরকারের থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত), এর নিয়ম-নীতি গুলাও তাই বাংলাদেশের সংবিধানের মূল-সুরের সাথে সহমতে থাকা প্রয়োজনীয়। (মনে হতে পারে এমন আরো প্রতিষ্ঠান আছে, যারা একই ভাবে সংবিধানের মূলনীতি লঙ্ঘন করছে। সেগুলো নিয়ে লেখা আসতেই পারে)

কোন 'পাব্লিক' না জেনে কথা বলে দেশের কোন ভার্সিটি নষ্ট করছে, সেটা নিজের স্মৃতি হাতড়ে বের করতে পারলাম না। আর বিশ্ববিদ্যালয়টি নারীদের (ছাত্রী/শিক্ষিকা হিসেবে) জন্য উন্মুক্ত করে দিলে কিভাবে একটা ২৪ বছরের পুরানো বিশ্ববিদ্যালয় নস্ট হয়ে যেতে পারে সেটাও বোধগম্য নয়।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

IUT কে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় বলা হয়।
আপনি যদি চান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে না তুলনা করে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি এর সাথেও তুলনা করতে পারেন। দেঁতো হাসি
আপনি উইকিপিডিয়া থেকে যা জেনেছেন তা কি ঠিক মতো বুঝতে পারছেন? “Infrastructure development is still going on financed by loans from the Islamic Development Bank (IDB) with a guarantee provided by the Government of Bangladesh.” এর মানে কি হয় একটু বুঝে নিয়েন। আর যদি না বুঝে থাকেন তাহলে বুঝায়া দেই, IUT, IDB এর কাছ থেকে লোন করছে আর বাংলাদেশ সরকার গ্যারান্টি দিছে এর বেশি কিছু না।
আর আপনার কি ধারণা বাংলাদেশ OIC এর সদস্য না? OIC এর অন্যান্য সদস্যরা যেভাবে ফান্ডিং দেয় বাংলাদেশ সরকারও সেভাবে দেয় এর বেশি কিছু না।
আর যেহেতু IUT কে আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় (অন্তত বাংলাদেশ সরকার এই স্ট্যাটাস দিছে) তাই The Vienna Convention on Diplomatic Relations of 1961 অনুযায়ী IUT এর Diplomatic Immunity আছে। তাই সংবিধানের ২৮(৩) অনুচ্ছেদটি এখানে কার্যকর হচ্ছে না। কেন হচ্ছে না সেটি আপনি ফরেন এফেয়ার্স অব বাংলাদেশ এ জিজ্ঞেস করেন, IUT এর ছাত্রদের না।
আর আপনার শেষ বাক্যেটা আমারও, আমিও ভিকারুন্নেসায়, হলি ক্রসে পোলা দেখতে চাই, ইডেন কলেজে পোলা দেখতে চাই দেঁতো হাসি

নুসায়ের এর ছবি

আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি নাই দেইখা ইংরাজি বুঝি না ভাই। তবে আপনি মনে হয় বাংলাটাও বুঝেন না। আমি আমার শেষ বাক্যে ভিকারুন্নেসায়, হলি ক্রসে পোলা দেখতে চাই, ইডেন কলেজে পোলা দেখতে চাই কই কইলাম বুঝলাম না।

আর আপ্নেরা, আই।ইউ।টির মতোন একটা ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে দুইটা স্কুলের আর একটা কলেজের তুলনা দিতেছেন ক্যান সেইটাও আমার অতি ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে হান্দাইতাছে না। আফসুস, দ্যাশে এমুন যায়গায় পড়নের ভাগ্য হইলো না।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

যেখানেই পড়ে থাকেন যখন তর্ক করতে আসবেন, যুক্তির ঘরে গিয়ে স্যাটায়ার করবেন না। আমি আপনার লেখার উত্তর বাংলাতেই দিয়েছি। ইংরেজিটুকু আপনার লেখা থেকেই কোট করা। আপনি জিজ্ঞেস করেছেন বাংলাদেশ সরকার কেনো আর্থিক সাহায্য দেবে, এর উত্তর হচ্ছে বাংলাদেশ ও ও।আই।সি এর সদস্য তাই। এই অনুদানটা বাংলাদেশ সরকার ও।আই।সি কে দিচ্ছে, IUT কে না। ও।আই।সি মালয়শিয়ায় ও এমন একটা প্রজেক্ট করেছিলো, কিন্তু বর্তমানে সেটা মালয়শিয়ান সরকার নিয়ে নিয়েছে, ভার্সিটিটার নাম IIUM. OIC বাংলাদেশ সরকারকেও IUT হস্তান্তর করার প্রস্তাব দিয়েছিলো কিন্তু বাংলাদেশ সরকার রাজি হয় নাই। যদি বাংলাদেশ সরকার দায়িত্ব নিয়ে নেয় তাহলেই সব ল্যাঠা চুকে যায়।

আমি যতোদূর জানি ইডেন কলেজ এখন বিশ্ববিদ্যালয়। জানার ভুলও থাকতে পারে। আচ্ছা যান সেন্ট্রাল উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলে দেখতে চাই দেঁতো হাসি
সেকেন্ড পয়েন্ট এসে আমি আপনার সাথে একমত প্রকাশ করেছি এবং একই সাথে সব স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে লিংগ ভিত্তিক বৈষম্য দূরীকরণের প্রতি আওভান জানিয়েছি।

বন্দনা এর ছবি

আপনার পোস্ট পড়ে একটা কথা মনে পড়ে গেলো। কিছুদিন আগে আমার ইউনিতে আউইউটির এক প্রফেসর এসছিলেন আমার সুপারভাইজরকে মিট করতে।তো আমার প্রফ আমাকে দেখিয়ে বললেন অতো কদিনের মাঝে বের হবে, আউইউটিতে জয়েন করা যাবে কিনা। উল্লেখ ও তার কিছুদিন আগে আমার সিনিয়র ল্যাবমেট ভাইয়া আউইউটিতে ফ্যাকাল্টি হিসেবে জয়েন করেছে। তো উনি আমার প্রফকে বল্লো আমাদের এখানে মেয়ে টিচার তো নেয়া যাবেনা, কিসব নিয়মকানিন আছে নাকি আর যেহেতূ ওদের ফান্ড আসে বাইরে থেকে, ওরা যা বলে আইইউটিকে সেটা নাকি মেনে চলতে হয়। তবে ভবিষ্যতে মেয়েদের নেয়া যায় কিনা এটা নাকি অনারা এখন ও চিন্তাভাবনা করছেন। জেন্ডার ডিস্ক্রিমিশন দেখে মনে মনে এক্টূ দমে গেসিলাম, এক ইউনি থেকে পাস করে ও শুধুমাত্র মেয়ে হবার জন্য ওখানে আমাকে নেওয়া হবেনা। মন খারাপ

পার্থিব এর ছবি

২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে আই ইউ টির সি আই টি ডিপার্টমেন্টে একজন পি এইচ ডি করে আসা শিক্ষিকা নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, যদিও তিনে জয়েন করেন নাই... তাই মেয়ে শিক্ষিকা নেয়া হয় না কথাটা ঠিক নয়া (শুনেছি নর্থ সাউথ এ বেতন বেশি হওয়াতে ওদের অফার টা এক্সেপ্ট করেছেন খাইছে )।

স্বপ্নাহত এর ছবি

আহ! আই ইউ টি!
নিশ্চিন্তি আর নির্ভাবনার চারটা বছর। কেমনে কেমনে শ্যাস হয়া গেলো। মন খারাপ

বালৈ লিকতেচিলেন বাইজান। খালি তথ্যগুলায় গুলমাল হয়া গেসে মন খারাপ

অন্য ধর্মের ছাত্র এবং শিক্ষক নেয়ার ব্যাপারে অবশ্যই স্টেপ নেয়া উচিত যথাযথ কর্তৃপক্ষকে।

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মন্তব্য নিষ্প্রোয়জন এর ছবি

@নুসায়ের ভাইজান
ভাই কি লাইনটা পড়েন নাই?

তাদের আপত্তি নাই যদি এইটা লোকাল রিসোর্স দিয়ে ম্যানেজ করা যায়। এই কথার উপর ভিত্তি করে সরকারের কাছে মেয়েদের জন্যে একটা আলাদা হল নির্মানের টাকা চাওয়া হইসে, কিন্তু সরকার দেয়নাই।

আরও বুঝাইতে হইব? তাইলে বুঝাই:

আই ইউ টি কে আসলে কোন পদের (সরকারী / বেসরকারী) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দেখা হচ্ছে?

কোনটাই না রে ভাই, আই ইউ টি আসলে একটা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এখন জিগাইয়েন না ইন্টারন্যাশনাল আবার কি জিনিস?

নুসায়ের এর ছবি

আমি পুরো মন্তব্য পড়েই প্রতিমন্তব্য করেছি।

oঐ মন্তব্যের লেখক বলেছেন -

মেয়েদের পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্যে ওআইসি এর কাছে অনেকবার এইখান থেকে বলা হইসে। একসময় তারা বলসে তাদের আপত্তি নাই যদি এইটা লোকাল রিসোর্স দিয়ে ম্যানেজ করা যায়। এই কথার উপর ভিত্তি করে সরকারের কাছে মেয়েদের জন্যে একটা আলাদা হল নির্মানের টাকা চাওয়া হইসে, কিন্তু সরকার দেয়নাই। তাইলে দোষটা আসলে কাদের?

আমার প্রশ্নটি হচ্ছে, যে বিশ্ববিদ্যালয়টি সরকারী নয় (অর্থাৎ এটির পরিচালনা, ব্যয়ভার বহন বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব নয়), তার উন্নয়নের জন্য সরকারের কাছে অর্থ চাইবার যৌক্তিকতা নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের সময়ে এর অর্ডিনান্সে যদি বাংলাদেশ সরকারের কোন অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্বের কথা উল্লেখ না থাকে তবে, এটা (মেয়েদের পড়ার সুযোগ) না হবার জন্য কেউ সরকারকে দায়ী করতে পারে না।

জানি না এর ছবি

এই জিনিসটাই ভাই, সরকার দায়িত্ব নিতে বাধ্য নয়, আর ও আই সির বাজেট ঘাটতি - এই সব সমস্যাগুলাই হয়ত কারণ। এমনকি গত ২০১০ সালের সমাবর্তনে এসে প্রধানমন্ত্রী বলে গেছেন যে, তার কাছে জমি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে, তিনি দেখবেন।

বর্তমান ইনফ্রাস্ট্রাকচারে মেয়েদের ভর্তি সম্ভব না যেহেতু এটি একটি পূর্ণ রেসিডেন্সিয়াল ভার্সিটি। শুরুর সময় টাতে বাংলাদেশ সরকার যদি জমি দান করতে পারে, তো এখন চাইতে সমস্যা কি?

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

বাংলাদেশ সরকার জমিটা দান করে নাই  OIC এর কাছে বিক্রি করছে। দামটা ভুইলা গেছি, জেনে নিয়ে জানানোর চেষ্টা করবো।

রাগিব এর ছবি

বাংলাদেশের সরকার জমি তো "বেচতে" পারে না। সাধারণত এই সব ক্ষেত্রে জমি লিজ দেয়া হয়।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

যেটাই করেছে এর বিনিময়ে বাংলাদেশ সরকার বড় অংকের একটা অর্থ গ্রহণ করেছে।

রাগিব এর ছবি

টাকা নিতে তো কোনো সমস্যা নাই। উত্তরা বা পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দের সময়েও কিন্তু সরকার মোটা অংকের টাকা নেয়। কিন্তু সেই প্লট বরাদ্দটা কখনোই "বিক্রি" নয়, বরং ৯৯ বছরের জন্য লিজ দেয়া।

(অবশ্য আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইটেই লেখা আছে, বাংলাদেশ সরকার এই প্রজেক্টে ৩০ একর জমি "donate" করেছে। টাকার গল্পটা কোথা থেকে এলো সেটাই রহস্য!!)

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

আমি আপনাকে সঠিক সংখ্যাটা সোমবার বিকালে জানাতে পারব।

সা'দ এর ছবি

বলিহারি লেখক ভাই...আপনার পছার চামড়া বেশ মোটা!

১। যুক্তি একচোখা নয়। একচোখা মন্তব্য যুক্তিসংগত হতে পারে না। আপনার লিখায় আপনি বেছে বেছে আপনার কাছে আই ইউ টি এর যে সকল ব্যাপার অন্যায়/অসঙ্গগত মনে হয়েছে তুলে ধরেছেন।কেন ভাই,এর ভাল দিক কি নেই? ছিল না? সেগুলো বলেন নি কেন? কী বোর্ডের কালি শেষ হয়ে গিয়েছিল? মুরোদে কুলায় নাই? অনেক ছাগু ব্লগ লেখে শুনেছি...আজ নিজে দেখার সৌভাগ্য হল।

২। টাকা লাগে? অনেক টাকা? মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাহিরে?
আপনার জানা আছে প্রাইভেট একটা ভার্সিটির খরচ কত? প্রাইভেট একটা মেডিক্যাল কলেজের খরচ কত? ৫লাখ? ১০ লাখ? জ্বী না, শিক্ষা জীবন শেষ করতে করতে এদের একেক জনের পেছনে থাকা খাওয়া বাবদ খরচ হয় এর অনেক বেশি।ধরলাম ২০ লাখ। তো, তাদের নিয়ে পোস্ট দেননি কেন? ওহ আচ্ছা,এইটাও আপনার মুরোদে কুলায় নাই? উত্তম।
আই ইউটি তে ৪ বছর পড়ছি। জমা দিয়েছিলাম ৫০০০ আমেরিকান ডলার= ৩,৪৬০০০ টাকা। গত নভেম্বর এ পাশ করে বের হয়ছি। হারাম,একটা পয়সাও দেয়া লাগেনি এর পরে আমাকে। অমুক ফীস,তমুক ফীস,পরীক্ষার ফীস...কিচ্ছু না।একটা পয়সাও না। উলটা প্রতি মাসে ৩৮ ডলার ফেরত পে্যেছি।
তার মানে, আমার ৪ বছরের মোট খরচ ৩,৪৬০০০- (৭২*৩৮*১২*৪০)=২,১৪,৬৭২ টাকা।
তাও অনেক টাকা? ও আইচ্ছা!!
আমাদের যে খানা দেয়া হয়, তা আলাদা কিন খেতে হলে,এমন কি ভার্সিটির কেউ যদি কেনে, লাগে
নাস্তা=৪০
লাঞ্চ=৭০
ডিনার=৯০
তাহলে, ৪ বছরে শুধু আমার খাবারের পেছনে মোট খরচ= (৪০+৭০+৯০)*৩০*১০*৪=২,৪০,০০০ টাকা।
থাকার হল এর কথা বলাই বাহুল্য। আলাদা বিছানা,বড় টেবিল (কম্পিউটার ও রাখা যায়!), আলাদা শেলফ,আলাদা লকার। এরকম একটা সীট মেসে ভাড়া থাকতে হলে মাসে লাগবে কমপক্ষে ৪০০০-৫০০০ টাকা।তার উপর সার্বক্ষনিক জেনারেটার আছেই...
যান কমায় ধরি, ধরলাম ৩৫০০।
তাহলে ৪ বছরের শুধু থাকার খরচঃ ৩৫০০*১২*৪=১,৬৮,০০০ টাকা।
আচ্ছা, এবার টিউশান ফী। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ভার্সিটির ল্যাব ফ্যাসিলিটি ভাল। মুটামুটি ভাল একটা প্রাইভেট ভার্সিটির শুধুমাত্র ৪ বছর বি এস সি পড়ার খরচ নূন্যতম ৪-৫ লাখ টাকা। ধরলাম আমাদের ও তাই, ৫ লাখ।
পরীক্ষার কোন ফীস আমরা দেই নাই। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর এ এক মাস ফ্রী থেকেছি,খেয়েছি। কোম্পানীগুলোকে টাকা দিয়েছে আই ইউ টি। খেলাধুলার সুবিধা বলাই বাহুল্য। বাংলাদেশে আমার জানা মতে দুইটি সম্পূর্ন কাঠের বাস্কেটবল কোর্ট আছে,তাও ইনডোর। যার একটি আই ইউ টি তে।
মেডিক্যাল ফীস দেই নাই এক পয়সাও।
পরীক্ষার ফীস দেই নাই এক পয়সাও।
এই সব সুযোগ সুবিধা বাহিরে পেতে মাসিক কমপক্ষে ২ হাজার টাকা লাগবে। যান,এইবার ও কমায় ধরি, ১৫০০। তাহলে খরচ দাঁড়ালো

১৫০০*১২*৪=৭২০০০ টাকা।

আরো অগুনিত খরচা বাদ দিলে দেখা যাচ্ছে, ৪ বছরে আমি সেবা লাভ করছি মোট (পকেট এলাউন্স এর হিসাব আগেই সেরে ফেলেছি,ওটা বাদে)ঃ

২,৪০,০০০+১,৬৮,০০০+ ৫,০,০০০০+ ৭২,০০০= ৯,৮০,০০০ টাকা মাত্র।

দিয়েছি (এলাউন্স বাদ দিয়ে)
২,১৪,৬৭২ টাকা।

তাহলে আমি অতিরিক্ত পেয়েছিঃ ৯,৮০,০০০-২,১৪,০০০= ৭,৬৬,০০০ টাকার শিক্ষা,খাদ্য,বাসস্থান এবং অন্যান্য সুবিধা।

অতিরিক্ত খরচ? মধ্যবিত্তের আওতার বাহিরে? আপনাকে ও আই সি ভুক্ত দেশ গুলো এই ৭,৬৬,০০০ টাকা বৃত্তি দিয়ে পড়াচ্ছে। এদের মাঝে আছে ইথিওপিয়া,আছে ক্যামেরুন,আছে নাইজেরিয়া।এই দেশগুলো মুসলিম দেশ। এরা দরিদ্র দেশ। তারপর ও জনৈক বাংলাদেশির পেছনে,যাদের সাথে তাদের কোন সম্পর্কই নেই, তারা এত পয়সা খরচ করছে...কিন্তু কেন?
এই দেশ গুলোয় ভাল প্রকৌশলী দরকার। কে যাবে নাইজেরিয়ায়? ক্যামেরুনে? সবাই তো যাবে আমেরিকা, ইউরোপ।
কোন হিন্দু যাবে? না যাবে না।
কোন খ্রিস্টান যাবে? না তাও যাবে না।
তার মানে হিন্দু/খ্রিষ্টান রা অমানুষ? পশু? তা কিন্তু না।
দেখেন,নিজের ভাল সবাই বোঝে। নিজের স্বার্থ সবাই দেখে। একমাত্র খুব কাছের মানুষের দরকারে মানুষ নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেয়।
একজন হিন্দু,একজন মুসলমান।
একজন মুসলিম ইথিওপিয়ান/নাইজেরিয়ান এর কাছে প্রথম জন এই পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক মাত্র। হতে পারেন তিনি সু-নাগরিক। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় তিনি নাইজেরিয়ায় কেন যাবেন আরাম আয়েশ ফেলে?যেই দেশের প্রায় সকলেই মুসলিম?
এইবার বলেন তো এই সব দেশ কেন উন্নতি করতে পারছে না? কারা এদের শোষন করছে?
কেন তাদের দেশে যোগ্য ভিন্ন ধর্মালম্বী প্রকৌশলী রা যায় না? কেন তাদের উন্নয়ন এর অংশীদার হতে চায় না? কেন নন মুসলিম কোন দেশ তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় না?
সত্য হল, দেয় না তো!
কোন সু-শিক্ষিত ভিন্ন ধর্মালম্বী কোন ঠেকায় যাবে তাদের উন্নতি করতে?সবাই নিজের টা বোঝে...
কিন্তু, একজন মুসলিম তার কাছে শুধু পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক নন, সে তার ভাই,তার মুসলিম ভাই। একজন ভাই আরেকজন ভাই এর বিপদে অবশ্যই এগিয়ে যাবে। এটা ইসলামের নিয়ম। তাহলে তারা যে চাইবে,একজন মুসলমান প্রোকৌশলী ্তৈরি করতে, যারা তাদের মত অভাবী মুসলমান দেশ গুলোর কাজে লাগবে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়?

আপনি প্রাইমারী পাস তো নাকি? সোজা পাটিগনিত করেছি কিন্তু...অবশ্য যে মানের পোস্ট দিয়েছেন আমার ক্লাস ৪ এ পড়ুয়া ভাই ও এর চে পরিনত রচনা লিখে রাফ খাতায়...তাই আপনার বয়স জানতে মন চাচ্ছে।

এবার বলেন,কোন দোস্ত জানি কি বলেছিল আপনার টিউশান ফি নিয়ে? গলার আওয়াজ বসে গেছে? পানি খান,পানি...

দেখেন, মজার ব্যাপার, একটা পাবলিক ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীর পেছনে এত না হোক, এর কাছাকাছি অর্থ ব্যয় হয়।আমাদের দিয়েছে ও আই সি, তাদের দেয় সরকার।
তার মাঝে অনেকে মানুষের মত মানুষ হতে পেরেছেন, দেশের হাল ধরেছেন,অনেকে আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিক্ষক-শিক্ষিকা...তাদের প্রতি আমার আকন্ঠ শ্রদ্ধা।
কিন্তু, যারা সরকারের এই খরচ কে বাতিলের খাতায় ফেলে দিয়েছে, হত্যা রাহাজানি করেছে,সহপাঠি কে খুন করেছে, ছাদ থেকে ফেলে দিয়েছে, অসহায় সহপাঠি মেয়েদের ইজ্জত লুট করেছে, নি্বিচারে গাড়ী ভাংচুর করেছে,শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে...বিনা কারনে আন্দোলন করে পরীক্ষা পিছিয়েছে।তাদের সংখ্যা কি নেহায়েৎ কম? সব বিশ্ববিদ্যালয় এই তো কম বেশি এইসব ঘটে...
তাহলে সরকারের এই টাকা তারা হালাল খেল না হারাম খেল?

এইবার, আপনি একজন আইইউটিয়ান এর নাম আমাকে দিন, যে সহপাঠির হাত ভাঙ্গা দূরে থাক,তার গায়ে আঁচড় দিয়েছে।?
যে তার সহপাঠি কে খুন তো দূর, রক্তাক্ত করেছে।?
যে কোন নিরীহ সহপাঠী কে ধর্ষন করেছে।?
যে তার শিক্ষকের গায়ে হাত তুলেছে।?
যে রাস্তায় একটা গাড়ির একটা লুকিং গ্লাস ও ভেঙ্গেছে।?

একবার ভাবুন,নিজের ভার্সিটির জীবন ধারা নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী হলে একজন ছাত্র এরকম চ্যালঞ্জ দিতে পারবে। আছে আপনার কছে অন্য কোন ভার্সিটির নাম, যার কোন ছাত্র এভাবে বুক চিতিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে? আমি পারি। এর ইট পাথরের দেয়ালে ৪টা বছর কাটিয়ে এসেছি যে।

সম্পুর্ন ইন্টারনেট আপনার হাতে। গুগল তো আছেই। সার্চ দিন। আইইউটি এর ইতিহাসে, পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম কাউকে পেলে জানান।

আপনার প্রতিটা পংগু যুক্তির কাছা আমি একটা একটা করে খুলে দিতে পারব, এইভাবেই। কিন্তু গাধা পিটালে মানুষ হয় না,আধুনিক যুগের বাসিন্দা হিসেবে এটা আমার জানা আছে বৈকি...

এমন ভদ্র,সভ্য,নিরীহ একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে এরকম কিছু লিখার আগে লজ্জা হল না আপনার? আপনার তো কাপড় চোপড় এর পেছনে টাকা খরচ করার দরকার ই নেই! নগ্ন হয়ে ঘুরুন না!

ছিহ! ধিক্কার আপনার প্রতি!

সবজান্তা এর ছবি

ইসলামী ভাতৃত্বের যেই আবেগঘন বয়ান দিলেন, সেটা পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে হেসে ফেললাম। এই লেখাতে যুক্তির অভাব ছিলো সেটা কম বেশি সবাই বলেছেন- কিন্তু 'যুক্তির' বদলে যেই 'যুক্তি' আপনি দেখালেন, তাতে মুগ্ধ হয়ে বসে থাকলাম।

আপনি কোন বিষয়ের প্রকৌশলী জানি না, পেশাগত জীবনের বয়সও জানি না। তাই শুধু বলছি, কষ্ট করে আপনার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়ারদের থেকেই শুনুন, টেলিকমিউনিকেশন ফিল্ডে কী পরিমাণ লোক আফ্রিকার এই "মুসলিম প্রধান", "দরিদ্র" দেশগুলিতে যায়। এইখানে কোন ভাতৃত্ব, ফাতৃত্বের ব্যাপার নাই, পুরাটাই টাকার খেলা।

আরেকটা প্রশ্ন রেখে যাই, আশা করবো সৎ উত্তরটাই দিবেন- আপনার কাছে যদি ইথিওপিয়ার একটা চাকরির অফার আসে, আর সেইম বেতনে অস্ট্রেলিয়াতে একটা চাকরির অফার আসে- আপনি নিজে কোনটা নিবেন ?

নিজের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্বিত হওয়া দোষের কিছু না। যতো দোষ ত্রুটিই থাকুক, নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সবার ভালোবাসাই শ্রদ্ধা করতে হবে। তবে একই সাথে এইটাও মাথায় রাখতে হবে, যেইটা নেগেটিভ, সেইটা নেগেটিভই। তাকে জোর করে পজিটিভ দেখানোর কিছু নাই। একবিংশ শতাব্দীর এই পৃথিবীতে এসে ধর্মের ভিত্তিতে ছাত্র ভর্তি করা যে মানবতার অপমান, এই সহজ সত্যটুকু না বুঝতে পারার কিছু নাই। হ্যাঁ, এটা মানতে হবে, ছাত্রদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে- তারা চাইলেই পারেন না, বিশেষত প্রতিষ্ঠাণটা যখন আন্তর্জাতিক সংঘের মালিকানাধীন। নিজেদের এই অপারগতাসহই এই সীমাবদ্ধতা মেনে নিন, এতে মহাভারত অশুদ্ধ হবে না।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

গুরু গুরু

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

আমি অস্ট্রেলিয়া যামু শিউর দেঁতো হাসি যদিও আমি টেলকোর মানুষ না।
অফটপিকঃ সবজান্তা ভাইয়া, বাই চান্স রিনিউএবল এনার্জীর চাকরি পাইলে একটু আওয়াজ দিবেন দেঁতো হাসি

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চলুক

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কস্কি মমিন!
হিন্দু-মুসলিম কইরা চিল্লানো এই মন্তব্যে প্রথমেই মেজাজ খারাপ কইরা দিল! বাকি যুক্তিতে কী বলা হইছে তা ভেবে দেখার রুচি নাই!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সা'দ এর ছবি

হিন্দু মুসলিম মূল পোস্ট এও আছে,ঐটা পইড়া বগল বাজাইতে পারেন,এইটা তে কি সমস্যা বাই?

তানভীর এর ছবি

আপনাকে ও আই সি ভুক্ত দেশ গুলো এই ৭,৬৬,০০০ টাকা বৃত্তি দিয়ে পড়াচ্ছে। এদের মাঝে আছে ইথিওপিয়া,আছে ক্যামেরুন,আছে নাইজেরিয়া।এই দেশগুলো মুসলিম দেশ। এরা দরিদ্র দেশ। তারপর ও জনৈক বাংলাদেশির পেছনে,যাদের সাথে তাদের কোন সম্পর্কই নেই, তারা এত পয়সা খরচ করছে...কিন্তু কেন?
এই দেশ গুলোয় ভাল প্রকৌশলী দরকার। কে যাবে নাইজেরিয়ায়? ক্যামেরুনে? সবাই তো যাবে আমেরিকা, ইউরোপ।
কোন হিন্দু যাবে? না যাবে না।
কোন খ্রিস্টান যাবে? না তাও যাবে না।
তার মানে হিন্দু/খ্রিষ্টান রা অমানুষ? পশু? তা কিন্তু না।
দেখেন,নিজের ভাল সবাই বোঝে। নিজের স্বার্থ সবাই দেখে। একমাত্র খুব কাছের মানুষের দরকারে মানুষ নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেয়।
একজন হিন্দু,একজন মুসলমান।
একজন মুসলিম ইথিওপিয়ান/নাইজেরিয়ান এর কাছে প্রথম জন এই পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক মাত্র। হতে পারেন তিনি সু-নাগরিক। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় তিনি নাইজেরিয়ায় কেন যাবেন আরাম আয়েশ ফেলে?যেই দেশের প্রায় সকলেই মুসলিম?
এইবার বলেন তো এই সব দেশ কেন উন্নতি করতে পারছে না? কারা এদের শোষন করছে?
কেন তাদের দেশে যোগ্য ভিন্ন ধর্মালম্বী প্রকৌশলী রা যায় না? কেন তাদের উন্নয়ন এর অংশীদার হতে চায় না? কেন নন মুসলিম কোন দেশ তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় না?
সত্য হল, দেয় না তো!
কোন সু-শিক্ষিত ভিন্ন ধর্মালম্বী কোন ঠেকায় যাবে তাদের উন্নতি করতে?সবাই নিজের টা বোঝে...
কিন্তু, একজন মুসলিম তার কাছে শুধু পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক নন, সে তার ভাই,তার মুসলিম ভাই। একজন ভাই আরেকজন ভাই এর বিপদে অবশ্যই এগিয়ে যাবে। এটা ইসলামের নিয়ম। তাহলে তারা যে চাইবে,একজন মুসলমান প্রোকৌশলী ্তৈরি করতে, যারা তাদের মত অভাবী মুসলমান দেশ গুলোর কাজে লাগবে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়?

প্রথমে বলি আপনার মন্তব্যের টোনটা আপত্তিকর। অন্যকে ছাগু বলছেন, কিন্তু নিজে যা লিখেছেন উপরে কোট করা অংশটা আবার পড়ে দেখুন। পুরোই ছাগুরাম সুলভ টাইপের হয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি একটা মধ্যযুগীয় ব্যাপার। পিরিয়ড। তার জন্য পক্ষে-বিপক্ষে কোনো যুক্তির প্রয়োজন নাই। আর যদি বলেন আইউটি একটি ধর্মীয় মাদ্রাসা, তবে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। এখানে অনেকেই বলেছেন যে আইউটিতে ধর্ম পালনের কোনো ব্যাপার নাই।

কিন্তু নিজের ইচ্ছায় তিনি নাইজেরিয়ায় কেন যাবেন আরাম আয়েশ ফেলে?যেই দেশের প্রায় সকলেই মুসলিম?
এইবার বলেন তো এই সব দেশ কেন উন্নতি করতে পারছে না? কারা এদের শোষন করছে?
কেন তাদের দেশে যোগ্য ভিন্ন ধর্মালম্বী প্রকৌশলী রা যায় না?

আপনি কি বলতে চান মুসলিমরা এখানে সংখ্যায় বেশি বলে যোগ্য ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কেউ যেতে আগ্রহী নন? আইউটির মুসলিম প্রকৌশলীদের তাই এখানে বেশি বেশি যাওয়া উচিত? গড়াগড়ি দিয়া হাসি

কিন্তু ভাইয়া, নাইজেরিয়ায় তো অর্ধেক লোক (৫০%) মুসলিম, বাকী অর্ধেক খ্রিস্টান (৪৮%)। এক কাজ করুন। আপনি পাকিস্তান যান। ওইখানে ৯৭% মুসলিম। তারপরও পাকিস্তান দরিদ্র এবং আপনার কথামতো ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কেউ আমার মনে হয় ওখানে যেতে আগ্রহী নন। আপনার প্রকৌশল বিদ্যা দিয়ে আপনি তাদের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারেন হাসি

সা'দ এর ছবি

উক্ত দেশের নাম উদাহরন এর ভিত্তিতে এসেছে...
কেন ভাই আপনেরা শুধু মুসলিম পার্ট নিয়া গেজান কেন? বাকি প্রশ্ন গুলার জবাব দেন, নাইলে ছাগলের যে সাইন তা দিছেন নিজের গলায় ঝুলায় ফার্মগেটে দাঁড়ায় থাকেন...

সা'দ এর ছবি

"The 1963 census indicated that 47 percent of Nigerians were Muslim, 35 percent Christian, and 18 percent members of local indigenous congregations"- Wikipedia.
তথ্য না জেনে একজন লিখেছেন,আর আপনিও তথ্য না জেনে গেঁজাতে এসেছেন...আমি বলিনি মুসলিম বেশি বলে কেউ যেতে যায় না,তারা স্বল্পোন্নত বলে কেউ যেতে যায় না।

দিগন্ত এর ছবি

১৯৬৩ সালের সেন্সাস? এর পরে আর হয় নি?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অন্যকেউ এর ছবি

এই লিঙ্কে পাচ্ছি, একটা জরিপ বলছে ২০০৯ সালে মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৫০.৪%। আবার আরেকটা জরিপে ২০১১তে ক্রিশ্চিয়ান জনসংখ্যা বলা হচ্ছে ৫০.৮%। কমবেশি সাম্যাবস্থায় আছে এটা বোঝা যায়।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

সা'দ এর ছবি

এখানে লিখে আর আপনাদের লিখা পড়ে নিজেকে আসলে ছাগল ই মনে হচ্ছে...আমার এক দোস্ত বলেছিল "যত ছাগল ্বাংলায় লিখতে পোড়তে পারে,সব মনে হয় সামু তে লিখে"...তার ্কথার মর্ম বুঝতে পারছি... ছাগুরাম সুলভ

কালো কাক এর ছবি

" পোড়তে " হয় ক্যাম্নে ভাই? আপনি তো কাবিল আছেন, সচলায়তনে এসে সামুতে কী হয় তা ধরে ফেললেন !
মুস্লিম ভাইএর যে বয়ান শুনাইলেন, বলেন তো এইবার কয়জন আইইউটি পাশ মুস্লিম ভাই নাইজেরিয়া যায় তাদের উন্নতিতে কাজ করতে? আমার পরিচিতরা সবাই তো ইহুদীখ্রিস্টানদের দেশেই গেলো !

আইইউটিতে সাম্প্রদায়িকতার চাষ/ধর্ম পালনে বাড়াবাড়ি/শিবিরের কার্যকলাপ হয়না বলে জানি। এককালীন টাকাটা যোগার করা একটু কঠিন হলেও বেশিরভাগ মধ্যবিত্তই ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে এটা এফোর্ড করতে পারে। সুতরাং এই লেখার বেশিরভাগ পয়েন্ট ভ্যালিড নয়। কিন্তু আপনি এসে যা দেখাইলেন তাতে আইইউটিয়ানরা বেশ লজ্জায় পড়ে যাবে মনে হচ্ছে।

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

চরম উদাস এর ছবি

অতিরিক্ত খরচ? মধ্যবিত্তের আওতার বাহিরে? আপনাকে ও আই সি ভুক্ত দেশ গুলো এই ৭,৬৬,০০০ টাকা বৃত্তি দিয়ে পড়াচ্ছে। এদের মাঝে আছে ইথিওপিয়া,আছে ক্যামেরুন,আছে নাইজেরিয়া।এই দেশগুলো মুসলিম দেশ। এরা দরিদ্র দেশ। তারপর ও জনৈক বাংলাদেশির পেছনে,যাদের সাথে তাদের কোন সম্পর্কই নেই, তারা এত পয়সা খরচ করছে...কিন্তু কেন?
এই দেশ গুলোয় ভাল প্রকৌশলী দরকার। কে যাবে নাইজেরিয়ায়? ক্যামেরুনে? সবাই তো যাবে আমেরিকা, ইউরোপ।
কোন হিন্দু যাবে? না যাবে না।
কোন খ্রিস্টান যাবে? না তাও যাবে না।
তার মানে হিন্দু/খ্রিষ্টান রা অমানুষ? পশু? তা কিন্তু না।
দেখেন,নিজের ভাল সবাই বোঝে। নিজের স্বার্থ সবাই দেখে। একমাত্র খুব কাছের মানুষের দরকারে মানুষ নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেয়।
একজন হিন্দু,একজন মুসলমান।
একজন মুসলিম ইথিওপিয়ান/নাইজেরিয়ান এর কাছে প্রথম জন এই পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক মাত্র। হতে পারেন তিনি সু-নাগরিক। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় তিনি নাইজেরিয়ায় কেন যাবেন আরাম আয়েশ ফেলে?যেই দেশের প্রায় সকলেই মুসলিম?
এইবার বলেন তো এই সব দেশ কেন উন্নতি করতে পারছে না? কারা এদের শোষন করছে?
কেন তাদের দেশে যোগ্য ভিন্ন ধর্মালম্বী প্রকৌশলী রা যায় না? কেন তাদের উন্নয়ন এর অংশীদার হতে চায় না? কেন নন মুসলিম কোন দেশ তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় না?
সত্য হল, দেয় না তো!
কোন সু-শিক্ষিত ভিন্ন ধর্মালম্বী কোন ঠেকায় যাবে তাদের উন্নতি করতে?সবাই নিজের টা বোঝে...
কিন্তু, একজন মুসলিম তার কাছে শুধু পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক নন, সে তার ভাই,তার মুসলিম ভাই। একজন ভাই আরেকজন ভাই এর বিপদে অবশ্যই এগিয়ে যাবে। এটা ইসলামের নিয়ম। তাহলে তারা যে চাইবে,একজন মুসলমান প্রোকৌশলী ্তৈরি করতে, যারা তাদের মত অভাবী মুসলমান দেশ গুলোর কাজে লাগবে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়?

দেঁতো হাসি ঈমানের কি তেজ গো বাবা! ডরাইছি। সা'দ ভাই আমরা কিন্তু ভাই ভাই।

সা'দ এর ছবি

ভাই সব মজাডা এইখানেই, আপনেরা এইবার ও ঈমান সংক্রান্ত আর মুসলিম সংক্রান্ত ব্যাপার টাই টানলেন, কেন খরচের যে হিসাব দিলাম চোখে পড়ে নাই? ওই টার ভিত্তিতে আপনেদের কিছুই বলার নাই?
ঈমানের তেজ ছিল,আছে থাকবে। তবে আপনারা কোন পর্যায়ের বিশ্লেষক তাও বোঝা হয়ে গেল, আসলেই সামু তে ছাগুর ছড়াছড়ি...

হিমু এর ছবি

এটা কি সামু দেঁতো হাসি ?

চরম উদাস এর ছবি

এইরে, আমি তো ভাবছিলাম এইটা সচলায়তন অ্যাঁ
সামুর লোকেরা আমাকে সচলায়তন বলে এইখানে ব্লগিং করতে নামায়ে দিছে! এতো ছোটবোন দেখিয়ে বড়বোনকে গছিয়ে দেয়ার মতোই অপরাধ ইয়ে, মানে...

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

হো হো হো

মেঘদূত_মেঘ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

অন্যকেউ এর ছবি

সামুতে বিচরণ করেই ফ্যাল্লাম! চিন্তিত

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

ভাদাইম্মা এর ছবি

হ্যাটস অফ...

হাসি

আশফিক অনিক এর ছবি

লেখাগুলো আই.ইউ.টির নেগেটিভ দিক নিয়েই, এরপরও বেশকিছু পজিটিভ দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, আপনার বৃহৎ মস্তিষ্কে ঢুকে নাই!
নিজের ভার্সিটির প্রতি আবেগঘন বক্তব্য রাখলেন, এবার বলুন তো, ইরাক- আফগানিস্তানে আপনার মুসলিম ভ্রাত্রিত্ববোধে উজ্জীবিত ও.আই.সি কি করলো? আপনার কমেন্ট করে পানিও খাই নাই, কাপড় খুইলাও নাচি নাই! খালি ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটছে!আর বেশী কিছু লিখলাম না, আরো অনেকেই লিখেছেন দেখে!

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

মুসলিম মুসলিম কইরা তো মুখে ফেনা তুলে ফেললেন। লেখাটা অগোছালে অনেকেই বলে গেছেন এর আগে, কিন্তু আপনি যেভাবে আজাইরা বয়ান দিয়ে শুরু করলেন তা শুধু বিরক্তিরই উদ্রেক করে। সুন্দরভাবে চিন্তা করা যায় না, নাকি মেজাজ খারাপ করে মন্তব্য করলেন?

skeptic এর ছবি

এখানে মন্তব্য গুলো পরে মনে হচ্ছে এই, ইউ, টি তৈরী করা হইসে প্রতিষ্ঠানের স্টুডেন্টদের টাকায় অথবা আমাদের tax এর টাকায় ! ভাইজানেরা ভুলে যাচ্ছে কেন এই প্রতিষ্ঠানের মালিক ও, এই, সি .. আর ওদের একমাত্র লক্ষ্য পিছিয়ে পরা মুসলমানদের শিক্ষিত করা (যদিও ওদের কমকান্ডে মুসলিম বিশ্বের তেমন কোনো লাভ হচ্ছে না )! ওরা অমুসলিমদের জন্য টাকা ঢালবে না সেটা তো খুবই সাভাবিক! এতই যদি আপনাদের বেপারটা গায়ে লাগে তাহলে যারা বাংলাদেশে এই, ইউ, টি-এর ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য তদবির করসিলো ওদের গুষ্ঠি উদ্ধার করেন..

অন্যকেউ এর ছবি

পিছিয়ে পড়া মুসলিম নারীদের উন্নতি করে না কেনু কেনু কেনু? নারীরা কি মুসলমান নহে??

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

skeptic এর ছবি

ভাইজান কইলাম ই তো .. এইসব প্রশ্ন ও,আই,সি-রে গিয়া করেন.. আমি বেকুব মানুষ, আমার হাতে ওই ক্ষমতা থাকলে এইখানে হুদাই পেচাল পারতামনা...

অন্যকেউ এর ছবি

পিছলামি।

_____________________________________________________________________

বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

নারীদের জন্য চিটাগাং এ একটা আছে OIC ফান্ডেড; ওইখানেও হিন্দু পড়তে পারে না মন খারাপ

তিথীডোর এর ছবি

নারীদের জন্য চিটাগাং এ একটা আছে OIC ফান্ডেড

আপনি কি IIUC'র কথা বলছেন?
শুধু নারীকূল নহে, ওখানে হিন্দু বা অন্যান্য ধর্মাবলম্বী পুরুষদেরও পড়ার সুযোগ আছে। তবে টুকটাক জেহাদি ধম্মোপুস্তকও পড়ানো হয়।
ঠিক ওআইসি নয়, যতদূর জানি সরাসরি জামাতের অর্থায়নে চলে ।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

কাকতাড়ুয়া এর ছবি

না, আইআইইউসি তো অবশ্যই নয়। আর আমি যদ্দুর জানি, এই ধরনের কোন বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে নেই।

----
কাকতাড়ুয়া

হাসিব এর ছবি

আইইউটির ছাত্ররা তাহলে পিছিয়ে পড়া মুসলিম। বাকি আইইউটির বেরাদারানে মজলিসেরা কি এই পরিচয়ে একমত?

আশফিক অনিক এর ছবি

[quoteও.আই.সি আসলে কি চায়? সারা বিশ্বের মুসলিমদের উন্নতি নাকি তথাকথিত মুসলিম 'রাষ্ট্র' গুলোর উন্নতি? মুসলমানদের উন্নতি চাইলে কেন মুসলিম দেশের বাইরে তাদের কার্যক্রম নেই? আর মুসলিম দেশের উন্নতি চাইলে সে দেশের একটা বিরাট অংশ কেন তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবে না? ভারত ও.আই.সির সদস্য নয়, কিন্তু সেদেশে পৃথিবীর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রায় দশ শতাংশ বাস করে!]

ভাই, আরও কিছু জানতে চাই ও.আই.সি সম্পর্কে!

imran shekh এর ছবি

একবার এক শেয়াল তার নিজের লেজ কেটে ফেলেছিল। তারপর সে সব শেয়ালকে ডেকে ডেকে বলতে থাকে যে লেজ অনেক নোংড়া দেখায়, এটা কোন কাজে আসেনা, এই বলে বাকি সব শেয়াল কে তাদের লেজ কেতে ফেলতে বলে। বাকি শেয়াল গুলাই ওই কুবুদ্ধিদাতা শেয়াল এর কথা বিশ্বাস করেনি সেখানে আপনার কুবুদ্ধি গুলা মানুষ কিভাবে নিবে? আজে বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের কথা ভাবেন, নিজের সমা্‌ নিজের দেশের কথা ভাবেন। আর যদি এটা আপনার মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আমি আরও কিছু আবাল বিষয়ের কথা বলছি, আপনি আবাল কিছু কথা বলে নিজের publicity বাড়ানোর চেষ্টা করেন।
যেমনঃ
১। নটরডেম, ঢাকা কলেজ, রেসিডেন্সিয়াল কলেজ এবং দেশের সকল জিলা স্কুলে ছেলে ভর্তি কেন করা হয় না?
২। ভিকারুন্নিসা, এসিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন এ এবং দেশের সকল গার্লস স্কুল এ কেন ছেলেদের ভর্তি কেন করা হয় না?
৩। ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে অবস্থিত ওয়ার্ল্ডের বেস্ট ইউনিভার্সিতটি তে কেন এত টাকা টিউশন ফী নেয়া হয়?
৪। ইউরপীয় ইউনিয়ন এ কেন বাংলাদেশ মেম্বারশিপ নাই কেন?
৫। আই ইউ টি তে কেন এখন ও রাজনীতি চালু হচ্ছে না, সেশন জট হচ্ছে না, এবং এগুলা কিভাবে এখানে চালু করা যায়? আইইউটিয়ান দের তো এগুলার experience হওয়া উচিত, কিছু ছাত্র মারামারি করে মারা যাওয়া উচিত, সেশন জট এর জন্য ৪ বছরের বিএসসি কোর্সে সাড়ে ৫ বছরের জায়গায় কেন ৩ বছর ১০ মাসে বের হয়, সেশন জটের experience তাদের কেন থাকবে না?
ইত্যাদি ইত্যাদি।

কোন ভাল কাজ করতে না পারেন, ভাল কাজে কোন দিন বাধা দিবেন না। আর একান্তই যদি কোন কাজ না পান, তাহলে পরিস্কার আকাশে তারা গুনতে থাকেন, আর তাতেও শান্তি না পেলে থিসিস করেন,
থিসিস এর বিষয়ঃ "মেঘলা আকশে কেন সব গুলা তারা দেখা যায় না, এবং দেখা যাবে না কেন, ওদের? "
অথবা মেঘলা আকাশে সব গুলা তারা দেখার জন্য আন্দোলন করেন।
Best Of Luck.

নবাব এর ছবি

ভালো ছিল imran shekh ভাই ...... আপনার সাথে সহমত.... চলুক

নবাব এর ছবি

@সা'দ ভাই,

ভালো লাগলো আপনার গঠন মূলক প্রতিত্তোর..... গুরু গুরু হাততালি
যদিও..
"যে কোন নিরীহ সহপাঠী কে ধর্ষন করেছে।?"
..........IUT নিয়ে এই কথা টার মানে বুঝি নাই হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

যাই হোক লেখক যে IUT তে চান্স না পাওয়ার ক্ষোভ অথবা IUT থেকে বের হওয়া কারও উচ্চ সাফল্য দেখে ঈর্সান্বিত হয়েছেন এবং কমেন্ট পেয়ে পপুলার হওয়ার জন্য পোস্ট দিয়েছেন, আমি স্বল্প জ্ঞানে তা বুঝতে পেরেছি......

আমি " কল্পিত গল্প লিখন " এবং " পরশ্রীকাতরতা " এর বিষয়ে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার জোরালো দাবি জানাই.....কারণ...

@লেখক,
আমার আগের দাবি পুরণ হলে আপনি নিশ্চিন্ত থাকেন আপনাকে ঐ ২ বিষয়ে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার জন্য দাবি জানাবো...আপনার IUT সম্পর্কে আরো ভালো ভাবে জেনে লেখা উচিত ছিল..... আপনার চেয়ে IUT সম্পর্কে অনেক বেশি জানি তাই আপনার ভাওতাবাজী বুঝতে পেরেছি..........

আমার দৄষ্টিতে উক্ত ২ বিষয়ে নোবেল বিজয়ীর প্রতি,
আশা করি ভবিষ্যতে ভাওতাবাজী ছেড়ে ভালো কিছু লিখবেন.... অফ যা অফ যা অফ যা অফ যা

সত্যানন্দ এর ছবি

... লাভ নাই... লাভ নাই...
...সংবিধানের কথা কইয়া লাভ নাই...
...বাংলাদেশ (সম্ভবত) পৃথিবীর একমাত্র দেশ হিসেবে রাষ্ট্রধর্ম* যুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ** রাষ্ট্র হবার গৌরব অর্জন করেছে... ... ... আসুন উহা লইয়া আমরা গর্বিত হই... ...

অতএব, আই ইউ টি'র কার্যক্রম মোটেই সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করেনি, বরঞ্চ পাকাপোক্ত করেছে দেঁতো হাসি

তথ্যসূত্রঃ
* ধারা ২ক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, সর্বশেষ সংস্করণ
** ধারা ১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, সর্বশেষ সংস্করণ

নবাব এর ছবি

হো হো হো চলুক

সত্যানন্দ এর ছবি

@সাদঃ
১। পাবলিক ভার্সিটির ফি এককালীন দিতে হয় না.........
২। আর যে ব্যাক্তি এক ধাক্কায় ৫০০০ $ দিতে পারে তাকে আর যাই হোক মধ্যবিত্ত বলা চলে না...
৩। হিন্দু ধর্ম কে গালাগালি কইরাকি সংবিধানের ২ক ধারা'র সদ্ব্যবহার করলেন...???
৪। জনসংখ্যা সঙ্ক্রান্ত ১৯৬৩ সালের পুরান রেফারেন্স দিয়ে কি বোঝাতে চাইলেন??? ২০১১ এর জরিপে ক্রিশ্চান ৫০.৮% যাবেন নাকি?? (Ref: http://en.wikipedia.org/wiki/Demographics_of_Nigeria)

সম্পর্কহীন এর ছবি

উপরে আই. ইউ. টি র শিক্ষার্থীরা আই. ইউ. টি সম্পর্কে কিছু পরিষ্কার ধারনা দিতে চেষ্টা করেছেন। আশা করি, লেখক তার ভুল ধারনা কাটিয়ে উঠতে পারবেন যদি না তিনি সেই গল্পের মত "যত যাই বল, তালগাছটা আমার" এরকম ধারনা পোষণ না করেন।

আর লেখক আপনি কিভাবে খবর পেলেন আই. ইউ. টি তে শিবিরের কার্যক্রম আছে তা আমাকে খুবই অবাক করল। এরকম ডাহা মিথ্যা শিবিরের কেউ শুনলে তো আপনার খবর আছে। এরপর থেকে ভাওতাবাজী একটু গুছিয়ে করবেন।

যেসব ভাই সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কথা বলেছেন তাদের কিছু বলতে চাই,
ভাই, আপনাদের অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি খুব ভালো লাগলো। কিন্তু অসাম্প্রতায়িকতার এমন কঠোর দৃষ্টি দেখে ভয় হচ্ছে কবে যেন আপনারা মন্দিরে মুসলমান পুরোহিত দেয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। বিছানায় শুয়ে শুয়ে সাম্প্রদায়িকতার চুলচেরা বিশ্লেষণ বাদ দিয়ে যার যার অবস্থান থেকে মানবতার সেবা করার চেষ্টা করি। কাজে দিবে।

নবাব এর ছবি

চলুক

সজল এর ছবি

কিন্তু অসাম্প্রতায়িকতার এমন কঠোর দৃষ্টি দেখে ভয় হচ্ছে কবে যেন আপনারা মন্দিরে মুসলমান পুরোহিত দেয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করেন।

আইউইটি'কে সবাই ভার্সিটি ধরে কমেন্ট করছিলো। আপনি কি দাবী করতে চাচ্ছেন, এটা মাদ্রাসা বা মসজিদ?

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

সম্পর্কহীন এর ছবি

ভাই, দিলাম উদাহরন আর বুঝলেন কি?......

কে যে কি বুঝে,
সত্য না খুজে।

সজল(লগ ইন করলাম না) এর ছবি

নিজের কমেন্ট নিজে বুঝেন আগে।

skeptic এর ছবি

যেখানে দেশের সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানের মেধাবী ছাত্রদের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বিনা দোষে প্রাণ দিতে হয়, সেখানে এইসব ক্ষীন ব্যাপার নিয়ে অযথা পেচাল পারা আর মানবতার দোহাই দেয়া বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়..

নাবিল রহমান এর ছবি

"ও.আই.সি. কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, সেশন জট বিহীন শিক্ষা কার্যক্রম, আন্তর্জাতিকমানের শিক্ষাদান, সর্বোপরি অসাধারণ 'পরিবেশ' এর কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি খ্যাতি লাভ করেছে।"

একটু খেয়াল করলেই দেখতে পারবেন, পরিবেশ শব্দটিকে উদ্ধৃতি চিহ্নের মাঝে দিয়ে তিনি আইইউটির পরিবেশ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। পরিবেশ বলতে তিনি ঠিক কী বুঝাতে চেয়েছেন, তাও স্পষ্ট নয়। যদি প্রাকৃতিক পরিবেশের কথা বলে থাকেন, তাহলে বলব আপনি অন্ধ। সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদে বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের এত সুন্দর ক্যাম্পাস আছে, দয়া করে আমাকে জানাবেন। যদি প্রমাণ করতে পারেন আছে, আজকেই সেখানে যেয়ে ভর্তি হবো। সুন্দর ক্যাম্পাসের জন্য নাহয় দুইটা বছর ড্রপ দিলামই! আর যদি বলেন পড়াশোনা বা জীবনযাপনের পরিবেশের কথা, তাহলে বলবো আপনি দুর্ভাগা। কেন দুর্ভাগা জানেন? কারণ ছাগলামীতে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয় না। দেওয়া হলে ফি বছর আপনিই এই পুরষ্কারটি পেতেন, কোনই সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের তথাকথিত সুন্দর পরিবেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী হয়, সেই ইতিহাস ঘেঁটে নোংরা করতে চাই না। শুধু গত এক মাসে বুয়েট, কুয়েট, জাহাঙ্গীরনগরে কি হয়েছে, পত্র-পত্রিকা পড়লে আশা করি সবই জানতে পারবেন। ছোট ভাইরা বড় ভাইদের হাত ভেঙ্গে দিচ্ছে, পিটিয়ে মেরে ফেলছে, ভাংচুর করছে ক্যাম্পাস - এসবই যদি একটা ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ হয়, তাহলে আমরা আমাদের এই উদ্ধৃতি চিহ্নে আবদ্ধ পরিবেশ নিয়েই মহা সুখে আছি। লাগবে না আমাদের আপনাদের মত প্রশ্নবোধক মুক্ত পরিবেশ। আইইউটিতে যদি কখনো আপনার একঘন্টা থাকারও সৌভাগ্য হয়, তাহলে বুঝতে পারবেন, পরিবেশ শব্দের আসল অর্থ কি। এখানে বড় ভাই ছোট ভাইদের মাঝে যে সম্পর্ক, তা অনেক সময় রক্তের সম্পর্কেও খুঁজে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশের আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে এত ভালো সম্পর্ক আছে বলে আমার জানা নেই।

তিনি লিখেছেন,

"আই.ইউ.টি কি সাম্প্রদায়িকতার উন্মেষ ঘটায় না? এখানে মুসলমান বাদে আর কোনও ধর্মাবলম্বীর শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারে না। সুতরাং একজন শিক্ষার্থীর জীবনকে চেনার প্রকৃত সময়, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সে সবার সাথে মেশার সুযোগ পায় না। এতে করে কি ধীরে ধীরে সাম্প্রদায়িকতার বীজ পুতে দেওয়া হচ্ছে না? একজন শিক্ষার্থী মনে করতেই পারে, তার পাশের বাড়ির হিন্দু ছেলেটির চেয়ে যোগ্যতর, তাই সে আই.ইউ.টি তে পড়তে পারে, হিন্দু ছেলেটা পারে না! বিষয়টা কি গ্রহণযোগ্য? আমার কাছে মনে হয়নি!"

এই কথাটি লিখে আপনি আপনার নিম্ন মানুষিকতাকেই তুলে ধরেছেন। আইইউটিতে যেয়ে আপনি যদি একটা ছেলের মনে এ ধরণের মানসিকতা বা এই ধরনের সুপিরিয়রিটি খুঁজে পান, কসম কেটে বলছি, আপনি যা চাইবেন, তাই-ই দিবো। আপনি হয়তো জানেন, আইইউটির মত ও আই সি'র আরও অনেক শিক্ষা প্রকল্প আছে (এই ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় উল্লেখযোগ্য)। এই সকল বিশ্ববিদ্যালয়েও কিন্তু শুধু মুসলমান ছেলেমেয়েরাই পড়তে পারে। কই, ঐসব দেশে তো কখনো এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার ধোঁয়া তোলা হয় না। তাহলে আপনার এত চুলকানি কেন? সত্য কথা কি জানেন? সাম্প্রদায়িকতা আইইউটিতে নেই, আছে আপনার মত নব্য আঁতেলদের মাঝে। যারা দুই দিনে সারা বিশ্ব জেনে ফেলেছে টাইপ ভাব ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে। নিজেকে জ্ঞানী আর আধুনিক প্রমাণ করার জন্য কিছু না জেনেই নাস্তিকতা গ্রহণ করে। আপনাদের মধ্যে কিছু কমন ফেনোমেনা আছে, যেমন- দাঁড়ি রাখলেই কেউ হয় রাজাকার নাহলে মৌলবাদী, কেউ প্যান্ট গোড়ালির উপরে পড়লেই তাকে জামায়াত শিবির বলেন, আর কেউ আপনাদের এই ট্যাগিং এর বিরোধিতা করলে তারা হয়ে যায় ছাগু। আপনি যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন, তাহলে বলবো - আপনার চেয়ে আপনার মা-বাবার ব্যর্থতাই বেশি, আপনাকে তাঁরা মানুষ করতে পারেননি। আর যদি আপনি নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে থাকেন, তাহলে বলবো, নামে মুসলমান না হয়ে আগে ইসলামকে জানুন, তারপর কথা বলেন। জানি, এখনি হয়তো আপনারা আমার পাছায় ছাগু ট্যাগ লাগিয়ে দিচ্ছেন। আমার কোনই আপত্তি নেই। পারলে আমার সাথে দেখা করবেন। আমার পাছা পেতে দিবো, আপনি ওখানে "ছাগু" লেখা একটা ট্যাটু এঁকে দিয়েন।

আপনি আরও লিখেছেন,

"আই.ইউ.টি তে মেয়েরা পড়তে পারে না। খুব ভালো কথা, দেশে নাকি ও.আই.সি প্রতিষ্ঠিত আরেকটি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় আছে (আমি শুনেছি, নিশ্চিত নই)। তো একবিংশ শতাব্দীতে এসে ছেলে-মেয়ের আলাদা বিশ্ববিদ্যালয়- ধারণাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত? আমার কাছে তো চিন্তাধারাটা মধ্যযুগীয় ঠেকেছে!"

এই কথাটা যে কতটা হাস্যকর, তা আশা করি আপনার ব্লগের কমেন্ট পড়েই বুঝতে পেরেছেন। বাংলাদেশে প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে কো-এডুকেশন নেই। দেশের সকল ক্যাডেট কলেজের কথাই ধরুন। কিংবা দেশের সেরা চারটি কলেজের (নটরডেম, ভিকারুন্নিসা নূন, ঢাকা কলেজ, হলিক্রস) কোনটিতে কি কো-এড আছে? এমনকি ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজেই ছেলের পড়ার নিয়ম নেই। উটপাখির মত বালির ঢিবিতে মুখ গুঁজে রেখে বলতে চাইলে অনেক কিছুই বলা যায়। বাংলাদেশে ছেলেদের জন্য যেমন সুশিক্ষার ব্যবস্থা আছে, তেমনি মেয়েদের জন্যও সুশিক্ষার ব্যবস্থা আছে। আর আইইউটির বর্তমান ক্যাম্পাসে মেয়েদের ভর্তি নেওয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গা বর্তমানে নেই। তবে আপনি জেনে খুশি হবেন, অচিরেই আইইউটিতে মেয়েদের ভর্তি নেওয়া শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই আইইউটি কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। আপনাদের মত "আধুনিক" মানুষের কাছে আইইউটি ক্যাম্পাসে মেয়েদের অনুপস্থিতি মধ্যযুগীয় ঠেকবে, এটাই স্বাভাবিক। কেননা আপনারা মুক্তমনা, আপনারা ধর্মের শিকলে নিজেকে আটকে রাখতে চান না। সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন? আমরা আইইউটিয়ানরা কখনোই চাই না, আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েরা ভর্তি হোক। কেননা মেয়েরা ভর্তি হলে তাদের পেছনে আপনার মত লুইচ্চা শ্রেণীর মানুষও আইইউটিতে আসা যাওয়া শুরু করবে। এতে আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হবে। আমরা এমনিতেই বহুত শান্তিতে আছি। আমাদের শান্তিতে থাকতে দেখে আপনার যে পাইলসের ব্যথা শুরু হয়েছে, সেটাও দিবালোকের মত পরিষ্কার।

আইইউটি সম্পর্কে লিখতে যেয়ে লেখক বলেছেন,

"আই.ইউ.টির টিউশন ফি। এটা নাকি খুব 'বেশী' নয়, আমি সঠিক এমাউন্ট জানি না, তবে সব দেশের স্ট্যান্ডার্ড ঠিক রাখতে গিয়ে নাকি বাংলাদেশী টাকায় একটু বেশী হয়ে যায়! কিন্তু আমি অবাক হই, যখন দেখি আমার পাশের বাসার বন্ধুটা আই.ইউ.টি তে চান্স পাওয়ার পরও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়, কারণ তার বাবার আই.ইউ.টির খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই!"

এর উপযুক্ত উত্তর আপনার ব্লগের কমেন্টেই দেওয়া হয়েছে। আর সত্যি কথা হচ্ছে, বর্তমানে আমাদের দেশের শতকরা ৯০ভাগ মানুষেরই সন্তানকে আইইউটিতে পড়ানোর ক্ষমতা আছে বলে আমার বিশ্বাস। এমনকি যদি নাও থাকে, আপনি চাইলেই এখন ব্যাঙ্ক থেকে শিক্ষা ঋণ নিয়ে আইইউটিতে ভর্তি হতে পারবেন। আর আইইউটিয়ানদের চাকরীর ক্ষেত্রে বর্তমানে যে চাহিদা, তাতে আইইউটি থেকে পাস করা মাত্র আপনি যে চাকরী পাবেন, তা দিয়ে সেই ঋণ সুদে আসলে শোধ করে দিতে পারবেন, এটা গ্যারান্টেড। এজন্য আপনার পিতা মাতার উপরেও কোন বাড়তি চাপ পড়বে না। তাই আপনার সেই বন্ধুর দুর্ভাগ্য, শুধুমাত্র নিজের অজ্ঞতার জন্য তিনি সুযোগ পেয়েও আইইউটিতে পড়ার Golden Opportunity মিস করেছেন।

"এবার আসা যাক ধর্ম প্রসঙ্গে। এই বিষয়টিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর। আমার বন্ধুর অভিমত, আই.ইউ.টি মুসলিম দেশের জন্য ও.আই.সি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, তাই এখানে অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সুযোগ পাওয়ার কথাই আসে না! আমার কথা হল, ও.আই.সি আসলে কি চায়? সারা বিশ্বের মুসলিমদের উন্নতি নাকি তথাকথিত মুসলিম 'রাষ্ট্র' গুলোর উন্নতি? মুসলমানদের উন্নতি চাইলে কেন মুসলিম দেশের বাইরে তাদের কার্যক্রম নেই? আর মুসলিম দেশের উন্নতি চাইলে সে দেশের একটা বিরাট অংশ কেন তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবে না? ভারত ও.আই.সির সদস্য নয়, কিন্তু সেদেশে পৃথিবীর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রায় দশ শতাংশ বাস করে! মাত্র সাতান্নটি দেশ নিয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কথা বলে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের উদ্দেশ্য এখনও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আর একটি ধর্মাবলম্বীর মানুষের জন্য বিশেষ একটি নামে একটা রাষ্ট্র পরিচিত হবে, এটাই বা কেমন কথা হল? আর অমুসলিম জনগোষ্ঠীর দ্বারা যদি তথাকথিত মুসলিম দেশের উন্নতি হয়, তাহলে সমস্যা কি? কেন অমুসলিমদের একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে?"

কিছু না বুঝে, না জেনে শুনেই আপনি অনেক বড় একটা প্রশ্ন তুলেছেন। ও আই সি'র মূল লক্ষ্যই হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক তথা সার্বিক উন্নতি সাধন করা। ও আই সি প্রতি বছরই এর সদস্য দেশ সমূহকে বিশাল অঙ্কের আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে, যা দিয়ে সেই দেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানা উন্নয়ন্মূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। আর আপনি ভারতের উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। আপনি যদি ভারতে মুসলমানদের জন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারেন, তাহলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ সহ সব খরচ আমৃত্যু আমি বহন করবো, আপনাকে কথা দিলাম। যেই দেশে এখনো প্রতিদিন সাম্প্রদায়িকতার নগ্ন আচরণে মুসলমানদের অবহেলিত হতে হয়, যেই দেশে বাবরী মসজিদ ভেঙ্গে মন্দির নির্মাণ করা হয়, সেই দেশে ও আই সি কীভাবে কার্যক্রম চালাবে বোধগম্য নয়। তবে এটুকু নিশ্চিত থাকেন, ভারত সরকার যদি কোনদিন ও আই সি'র সদস্যপদ গ্রহণ করে, তাহলে ভারতের মুসলমানদের জন্য এমন অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যা ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওার পরেও ভারত আজ পর্যন্ত নেয় নি।

"আই.ইউ.টি কে অনেকে মাদ্রাসা, জেলখানা বলে থাকেন। আমি এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ই বলব, কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজের চরিত্র রাখতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় বলে আমি কেবল গ্র্যাজুয়েট বের করার কারখানা মনে করি না, আমার কাছে এর অর্থ আরও ব্যাপক! আর আই.ইউ.টিকে আমার এদিক থেকেই ব্যর্থ বলে মনে হচ্ছে। যা বছর বছর ভালো ভালো ইঞ্জিনিয়ার বের করছে, কিন্তু আরও অনেক কাজই করছে না, যা একটা বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারে। আই.ইউ.টির ভেতরের পরিবেশ সম্পর্কে আমি খুব বেশী অবগত নই। যারা পড়ে তারা বলে খুব ভালো, আবার অনেকের কাছে শুনি সেখানে ধর্ম পালনে বাধ্যবাধকতার কথা। এটা নিয়েও আমার কথা আছে, আমার মতে ধর্মকে যার যার ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছেড়ে দেওয়াই শ্রেয়। আর আই.ইউ.টি নিয়ে খুব বেশী খবর কেন যেন বাইরে আসে না, আমরা যারা ওখানে পড়ি না, তাদের কাছে ওটা কেন যেন কুয়াশাচ্ছন্ন স্থান হিসেবেই রয়েছে। আই.ইউ.টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ, এটুকু জানি। কোনও রকম সংগঠনও নাকি করা যায় না। কিন্তু পাশাপাশি প্রায়ই শোনা যায় শিবিরের ইন্টারনাল কার্যক্রম এর কথা। আই.ইউ.টির ছাত্রকে অতীতে জঙ্গিবাদের সাথেও জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।"

প্রথমেই বলি, আইইউটিতে একজন পাকিস্তানী ছাত্রকে জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে খুব সম্ভবত কোন প্রমাণ পাওয়া যায় নি ( পাওয়া গেলে অবশ্যই তা মিডিয়াতে আসতো)। শুনেছি সে বহাল তবিয়তেই দেশে ফিরে গেছে। কাজেই আপনার এ অভিযোগ সম্পূর্ণ বিত্তিহীন। বাংলাদেশী কোন ছাত্রকে আজ অবধি জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় নি, কারও বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগও ওঠেনি আজ পর্যন্ত। দেশের শীর্ষস্থানীয় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেখানে প্রতিনিয়ত জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটছে, হিজবুত তাহরীর, হুজির প্রকোপ বেড়েই চলছে, সেখানে আইইউটির ক্যাম্পাসের পরিবেশ এবং পরিস্থিতি সকলের জন্য উদাহরণ হওয়া উচিত। আইইউটিকে আপনি কি মনে করেন না করেন, তাতে কারোই কিছু যায় আসে না। আইইউটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কী কী দায়ত্ব পালন করে নি, তা কিন্তু আপনি বলেননি। আইইউটিতে ধর্ম পালনে কোনই বাধ্যবাধকতা নেই। এটা সম্পূর্ণই ছাত্রদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের রুমের উদাহরণই দেই। আমরা চার রুমমেটের মধ্যে তিনজনই সারাদিন গান শুনি, গেমস খেলি, মুভি দেখি। অথচ আমাদের চতুর্থ রুমমেট প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে, কোরআন-হাদীস পড়ে, সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দেয়। আমরা ওর মত না বলে ও যেমন কোনদিন আমাদের গলা চেপে ধরেনি, তেমনি ও আমাদের মত না বলেও আমরা কোনদিন ওকে কিলঘুষি মারিনি। ধর্মকে আমরা ঠিকই ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে ট্রীট করতে শিখেছি। শুধু আপনাদের মত ছোটলোকরাই আজও তা পারেনি।

সবশেষে আপনি বলেছেন,

"আমি একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি, কেন যেন এরকম একটি প্রতিষ্ঠানকে আমার অসম্প্রদায়িকতার সামনে বাঁধা বলে মনে হয়।"

আসলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার আমদানীকারক আপনার মত তথাকথিত মুক্তমনা আর আধুনিকরাই। বাংলাদেশে আগে কখনোই সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ছিল না, আপনারাই মানুষের মনে এর বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আইইউটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথে কোন বাঁধা নয়, বাঁধা আপনার মত মানুষেরাই। আপনাদের সমস্যাই হচ্ছে আপনারা ভালো কোন বিষয়কেই ভালো বলে মানতে চান না। আপনাদের মত ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চাগুলোকে যেদিন দেশ থেকে এক লাত্থি দিয়ে বের করে দেওয়া হবে, সেদিনই দেশটা প্রকৃত সোনার বাংলা হবে।

আর পারলে একদিন আইইউটিতে আসবেন। একসাথে বসে চা-নাস্তা খাবো, গল্প গুজব করবো............ I swear মজা হবে!!!

Likhon এর ছবি

হাততালি

হাসিব এর ছবি

আপনার আর্গুমেন্ট দুর্বল। উদাহরণ দেই কয়েকটা,

আইইউটিতে যেয়ে আপনি যদি একটা ছেলের মনে এ ধরণের মানসিকতা বা এই ধরনের সুপিরিয়রিটি খুঁজে পান, কসম কেটে বলছি, আপনি যা চাইবেন, তাই-ই দিবো।

একটু বেশি হয়ে গেল না? আপনার ধারণা যদি এরকম হয় যে কোন উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংকীর্নমনা কেউ নেউ তাহলে বলবো আপনি বোকার স্বর্গে বাস করেন।

বাংলাদেশে প্রচুর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যেখানে কো-এডুকেশন নেই।

তাতে কী আইইউটিতে নারী শিক্ষার্থী না থাকার বিষয়টা হালাল হয়? নাকি একই দোষে দোষী হয়?

বর্তমানে আমাদের দেশের শতকরা ৯০ভাগ মানুষেরই সন্তানকে আইইউটিতে পড়ানোর ক্ষমতা আছে বলে আমার বিশ্বাস।

এইটা নিয়ে কিছু বলা বৃথা। ১৫কোটির নব্বুই ভাগ মানে সাড়ে তের কোটি লোকের ৫হাজার ইউএস ডলার দেখার ক্ষমতা আছে। আপনি শিওর এই বিষয়ে?

যা ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওার পরেও ভারত আজ পর্যন্ত নেয় নি।

আসলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার আমদানীকারক আপনার মত তথাকথিত মুক্তমনা আর আধুনিকরাই।

হাসি হে হে হে

নাবিল রহমান এর ছবি

জ্বি ভাই, সত্যিই আমার আর্গুমেন্ট দুর্বল। কি আর করবো বলেন, আমি তো আর সচল না। দুর্বল আর্গুমেন্টই আমার ভরসা।

হাসিব এর ছবি

কী বুঝাইলেন এই মন্তব্য দিয়ে? সচলদের দুর্বল আর্গুমেন্টে ভরসা করতে হয়? নাকি তারা সবসময় দুর্বল আর্গুমেন্ট দেখায়? নিজের মন্তব্যের দায় আরেকজনের পিঠে চাপানো কি ঠিক হইলো?

নাবিল রহমান এর ছবি

না ভাই, আমি বুঝাইতে চাইসিলাম আপনারা অনেক মহান। আমার মত জ্ঞানপাপী নন।

নুসায়ের এর ছবি

এখানে বড় ভাই ছোট ভাইদের মাঝে যে সম্পর্ক, তা অনেক সময় রক্তের সম্পর্কেও খুঁজে পাওয়া যায় না।

হেহেহে থিক্কা এইটা বাদ পড়ছে... খাইছে

হিমু এর ছবি

ছাত্রী ভর্তি করানোটা জরুরি হয়ে দেখা দিলো আরো। ওআ্‌ইসি জানে এই সম্পর্কের কথা?

নুসায়ের এর ছবি

আরবদেশে ভাইয়ে-ভাইয়ে এইরকম সম্পর্ক মনে হয় স্বাভাবিক। চিন্তিত

নাবিল রহমান এর ছবি

দিয়ে দেন, না করসে কে?

বোবার_চিতকার এর ছবি

@নাবিল রহমান

"আর আইইউটির বর্তমান ক্যাম্পাসে মেয়েদের ভর্তি নেওয়ার মত পর্যাপ্ত জায়গা বর্তমানে নেই। তবে আপনি জেনে খুশি হবেন, অচিরেই আইইউটিতে মেয়েদের ভর্তি নেওয়া শুরু হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই আইইউটি কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাস সম্প্রসারণের পরিকল্পনাও গ্রহণ করেছে। "

আবার পরে বললেন--

"সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন? আমরা আইইউটিয়ানরা কখনোই চাই না, আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েরা ভর্তি হোক। "

মেয়ে ভর্তি হোক সেটা চাননা (ই-প্রত্যয় সহকারে), তাই সচলে বা* না ফেলে আন্দোলন করে এই উদ্যোগকে থামান। থামাইতে না পারলে ক্যাম্পাসে যখন মেয়েরা যাতায়াত করবে তখন ইটা বাইন্ধ্যা চলাচল কইরেন। কাজে দিবো। বাই দ্যা ওয়ে, আপনার লগে কতজন আইইউটিয়ান মেয়েরা ভর্তি হোক এটা চায়না? কোন জরীপ চালাইছিলেন নাকি?

"আইইউটিতে যদি কখনো আপনার একঘন্টা থাকারও সৌভাগ্য হয়, তাহলে বুঝতে পারবেন, পরিবেশ শব্দের আসল অর্থ কি। "

আই-ইউটি কি জান্নাতুল ফেরদৌস যে এইখানে থাকতে গেলে বিশাল সৌভাগ্যের দরকার? স্যাটায়ার হিসেবে মনে করা যেত আপনার কথাটা, কিন্তু পুরো লেখাকে বিবেচনায় রাখলে এটা কোন স্যাটায়ার মনে হয়না। এটা দাম্ভিকতা। গদাম।

"আর সত্যি কথা হচ্ছে, বর্তমানে আমাদের দেশের শতকরা ৯০ভাগ মানুষেরই সন্তানকে আইইউটিতে পড়ানোর ক্ষমতা আছে বলে আমার বিশ্বাস। "

এইসব অনুসিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং বিশ্বাস করতে পারে এমন মানুষদের ভো*ই বললে ভো*ই শব্দটারও অপমান করা হয়।

"আপনি যদি ভারতে মুসলমানদের জন্য একটা বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারেন, তাহলে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ সহ সব খরচ আমৃত্যু আমি বহন করবো, আপনাকে কথা দিলাম।"

আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির নাম শুনছেন? অথবা, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজী? জামিয়া মিলিয়ার নাম শুনেছেন? অজ্ঞতা দোষের কিছুনা কিন্তু না জেনে জিহাদী জোস চু*নো ঠিকনা। জিহাদী জোশ বেশী আসলে জাইংগার মধ্যে বোমা লাগাইয়া ফাকিস্থানে গিয়া শিয়া মসজিদে সান্দায়া পড়েন।

ভারতে অবস্থিত বড় কোন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বলেন যেখানে মুসলিম ছাত্ররা ভর্তি হবার সুযোগ পায়না?

"ধর্মকে আমরা ঠিকই ব্যক্তিগত ব্যাপার হিসেবে ট্রীট করতে শিখেছি। শুধু আপনাদের মত ছোটলোকরাই আজও তা পারেনি।"

" আর যদি আপনি নিজেকে মুসলমান বলে দাবি করে থাকেন, তাহলে বলবো, নামে মুসলমান না হয়ে আগে ইসলামকে জানুন, তারপর কথা বলেন। "

আপনি নিজে ইসলাম জানেনতো? কী-বোর্ডের অপর পাশের মানুষ সম্মন্ধে কতটুকু জানলেন জাইনা তাকে "লুইচ্চা শ্রেণীর, আপনাদের মতন ছোটলোক, যদি নাস্তিক হয়ে থাকেন, আপনাদের একটা কমন ফেনোমেনোন আছে... সাথে আরো কিছু বালছাল" এই সব জ্ঞানগর্ভ বয়ান দিলেন? ইসলামের কোন অংশ চর্চা করে এই ধারণা নিজের মধ্যে ঢুকায়া নিছেন?

যাই হোক, এরপর থেকে উপরদিক মুখ কইরা থুথু ছিটানোর আগেই রেইনকোট ফিইন্দ্যা নিয়েন।

হিমু এর ছবি

আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটির যাবতীয় খরচ বহনে নাবিল রহমান এগিয়ে আসুন। যো ওয়াদা কিয়া ও নিভানা পড়েগা।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

ছেলেটার বয়স অল্প ঠাওর করি! বেচারা! খোকাকে কে বুঝিয়ে বলবে, কীবোর্ড পেলেই জনসমক্ষে গুঁতোতে হয়না!

এখন এতগুলো টাকা ও কীভাবে দেবে! মন খারাপ

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

চরম উদাস এর ছবি

নাবিল ভাই জরুরী কাজে বাইরে গেছেন। পরে ফিরে এসে টাকা দিবেন।
আমারে জামানত হিসেবে রেখে গেছে আপনাদের কাছে ইয়ে, মানে...

হিমু এর ছবি

এই যে নাবিল ভাইয়া নামাজরোজা করে না, রুমে বসে তাস খেলে আর গান শোনে, এইটা আপনি আবার ওআইসিকে বলে দিবেন না তো?

চরম উদাস এর ছবি

আরে নাহ। ওআইসিকে বললে এক্কেবারে সৌদি নিয়ে কিসআস করে ছেড়ে দিবে।

নুসায়ের এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

হিমু এর ছবি

সহীহ বুখারিতে আছে, আল্লাহর রাসূল বলেছিলেন, বাটপারের লক্ষণ তিনখানা। যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে; যখন সে প্রতিশ্রুতি দেয়, তা ভঙ্গ করে; তার ওপর বিশ্বাস রাখলে, সে ভঙ্গ করে।

নাবিল রহমানের উপর আমরা বিশ্বাস রেখেছি যে তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ বহন করবেন।

বোবার_চিতকার এর ছবি

জিহাদী জোশে হুঁশ হারায়ে ফেলছিলো নাবিল সাব ...

হিমু এর ছবি

নাবিল ভাইয়া কুরআন-হাদিস বাদ দিয়ে ভারতের বাটখারায় ইসলামের ওজন মাপছেন দেখে দুঃখ পেলাম। ওদিকে সালাত আদায় করা, সিয়াম সাধনা করা, মাসে ৩৮ ডলার অনুযায়ী বছরে ৪৫৬ ডলারের উপর যাকাত আদায় করা, এইসব তিনি কিছুই ঠিকমতো করছেন না বলছেন। এ কেমন মুসলিম? সারাদিন গেম খেললে তাস খেললে ইনডিয়ার সিনেমার কাফের মুশরেক নায়িকাদের সিনা ও দাবনা আলোড়ন দেখলে আল্লাহপাক নারাজ হন না?

নাবিল রহমান এর ছবি

জ্বি ভাই, খরচ বহন করবো। আপনি দেশে আসেন। আপনার খরচও বহন করবো।

অরিত্র অরিত্র এর ছবি

চলুক

আশফিক অনিক এর ছবি

বর্তমানে আমাদের দেশের শতকরা ৯০ভাগ মানুষেরই সন্তানকে আইইউটিতে পড়ানোর ক্ষমতা আছে বলে আমার বিশ্বাস।

আমি কিন্তু দশ ভাগের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি!দেঁতো হাসি

আর 'পরিবেশ' লেখার কারণ, আপনারা, আই.ইউ.টির ছাত্ররা সবসময় দেশের অন্যান্য পাবলিক ভার্সিটির পরিবেশকে কটাক্ষ করে থাকেন!

শেষের প্যারায় তো আপনি আমাকে মহৎ করে দিলেন! গেমস খেলা আর মুভি দেখা কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের পড়াশোনার বাইরে একমাত্র কাজ বলে আমি স্বীকার করি না! ধরুন, দেশে সামরিক অভ্যুত্থান হল, দেশে আবার স্বৈরশাসন ফিরে আসলো, তখনও আই.ইউ.টির ছাত্ররা হাসিমুখে ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বেরুচ্ছে, আর আমরা, ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা, যারা দেশের জন্য কাজ করছে, তাদের কটাক্ষ করে বলছে 'দেখলি, তোদের থেকে আগে বেরুলাম'!!
আপনার সাথে চা নাস্তা খেতে পারলে ভালোই লাগবে আমার, কিন্তু আমার সাথে চা নাস্তা খেতে আপনার কেমন লাগবে কে জানে? আপনি তো আমায় দেশে সাম্প্রদায়িকতার আমদানিকারক বলে আখ্যা দিলেন! কেম্নে করলাম নিজেই বুঝলাম না, আপনি প্রুভ করতে পারলে লাত্থি মারা লাগবে না, আমি নিজেই বের হয় যাব দেশ থেকে!মুসলিম উম্মাহ বিষয়টিও আপনার বক্তব্যে ক্লিয়ার হল না, ঠান্ডা মাথায় ভাবেন, নাস্তা খেতে খেতে বাকিটা বলব!

rumman এর ছবি

শুনেন ভাই কোনকিছু সম্পর্কে না জেনে মতামত দেয়াটা অপরাধের পর্যায়ে পরে। আপনি নিজে ভালভাবে জেনে তারপর ব্লগ লিখলে খুশি হব। iut এর বাপারে কিছু জানতে চাইলে আমাদের facebook গ্রুপ all IUTIANS এ যোগ দিতে পারেন।
OR TRY http://doinik-iut.com

সবজান্তা এর ছবি

এই ধরনের লেখাগুলি, যেখানে কোন নির্দিষ্ট একটি প্রতিষ্ঠাণ, ধর্ম কিংবা একটা গোষ্ঠীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়, স্বভাবতই সেই প্রতিষ্ঠাণ কিংবা গোষ্ঠীর সদস্যদের সেটা খারাপ লাগে, তা সে লেখাতে যতো অকাট্য যুক্তিই থাকুক কিংবা খোঁড়া যুক্তিই থাকুক। সেই আবেগ থেকেই অনেকে প্রতিবাদের সময় কিছুটা রিঅ্যাক্ট করে ফেলেন, কিংবা জোরালো যুক্তি দিতে পারেন না। যেহেতু আবেগচালিত অবস্থায় মন্তব্য করা হয়, তাই সে ব্যাপারগুলিকে মেনে নেওয়া যায়। এ লেখার অনেকগুলি মন্তব্যও তেমন।

মন্তব্য প্রতিমন্তব্য থেকে এটা পরিষ্কার লেখক আই ইউ টি সম্পর্কে বেশকিছু অভিযোগ করেছেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তেমন কোন প্রমাণ ছাড়া, অনুমাণনির্ভর- যা এই ধরনের লেখার মেরিটকেই নষ্ট করে। মন্তব্যের ঘরে মোটামুটি সবাই সেই বিষয়টা তুলে এনেছেন।

কিন্তু এই তর্কাতর্কির ভিতরে একটা জিনিস বের হয়ে এসেছে, যেটা আমার কাছে বেশ হতাশাজনক। এই লেখার একটা পয়েন্ট ছিলো, আই ইউ টিতে অমুসলিম কারো পড়তে না পারার বিষয়ে (এবং শিক্ষকতাও)।

একবিংশ শতকে এসে ধর্মের ভিত্তিতে কোন প্রকার ডিসক্রিমনেশন মেনে নেওয়াটা হতাশাজনক। এ বিষয়ে ছাত্রদের প্রতিবাদ করার সুযোগ অত্যন্ত কম এ কথা জানার পরও, অন্তত এটুকু আশা করেছিলাম ছাত্ররা বিষয়টাকে অনুচিত/অনৈতিক বলে মেনে নিবে। কিন্তু এই লেখার মন্তব্য, ফেসবুকে পরিচিত অনেক বর্তমান কিংবা এক্স আই ইউটিয়ানদের মন্তব্যেই দেখতে পাচ্ছি, আইইউটি অমুসলিমদের পড়তে না পারার মধ্যে তারা কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না, বরং এটাই তাদের কাছে যুক্তিযুক্ত। অতিউৎসাহী কয়েকজন দেখতে পেলাম, এই দাবি করার কারণে 'মুক্তমনা', 'নাস্তিক'দের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে ফেলছেন। আমি আশা করছি, ব্লগে এবং ফেসবুকে যাদের এমন মন্তব্য দেখছি তারা সংখ্যালঘু, হয়তো অধিকাংশ আই ইউ টির ছাত্রই ব্যাপারটাকে এমনভাবে দেখছেন না।

আরেকটা ইন্টারেস্টিং চিন্তা মাথায় এলো। নর্থ আমেরিকা কিংবা ইউরোপের খুব ভালো দুইটা বিশ্ববিদ্যালয় যদি ধর্ম ভিত্তিক এমন কিছু করতো, ধরা যাক,বাংলাদেশের যে কোন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছাত্র খুব ভালো ফান্ডিং এ সেখানে ভর্তি হতে পারবে এবং সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ছাড়া আর কেউ ভর্তি হতে পারবে না- আজ যারা আই ইউ টিতে শুধু মুসলিম ছাত্র পড়ার ব্যাপারে যুক্তি দিচ্ছেন, তারা কী বলতেন ?

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

আমি আমার আগের দুই মন্তব্যতেও বলছি, আবারো বলি, আপনাদের কি ধারণা আমরা হিন্দু বা অন্য যেকোন ধর্মালম্বী শিক্ষক ছাত্র ভর্তির বিপক্ষে? আপনি আমাদের অবস্থানটা ঠিকমতো বুঝতে পারেননি। আপনার কি ধারণা আমাদের অন্য ধর্মাবলম্বী কোন বন্ধু নেই? কিন্তু এখানে আমাদের কি করার আছে বলবেন কি দয়া করে? আমাদের মেরুদন্ডহীন সরকার কেন এই শর্তগুলো মেনে নিল?
যাইহোক, আমি চাই IUT তে সবাই পড়তে পারুক, বিশেষত মেয়ে যাতে খুব শিগ্রি ভর্তি হতে পারে চোখ টিপি
আপনার হতাশা আরেকটু বাড়াতে দেঁতো হাসি এই লিংকটা দিলামঃ http://www.youtube.com/watch?v=eJikXyoYpgo

নাবিল রহমান এর ছবি

বাদ দেন বিজন ভাই। এদের মুখ আছে, কিন্তু কান নাই। অযথা এদের পিছে সময় নষ্ট করে লাভ নাই!

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

নাবিল, ট্রাই নট টু বি ইমোশনাল এন্ড ডিসরেস্পেক্টফুল। এখানে যে টপিক নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা একটা সেন্সেটিভ ইস্যু এখানে ইমোশনাল হয়ে লাভ নাই। সবজান্তা ভাই যে কথাটি বললেন তার সাথে আমি একমত। আর একটা কথা আমরা কেউই পারফেক্ট না তাই গঠনমূলক সমালোচনায় পিছিয়ে পরিস না। একজন IUTianz হিসেবে গর্বিত হ। দেঁতো হাসি

নুসায়ের এর ছবি

একবিংশ শতকে এসে ধর্মের ভিত্তিতে কোন প্রকার ডিসক্রিমনেশন মেনে নেওয়াটা হতাশাজনক। এ বিষয়ে ছাত্রদের প্রতিবাদ করার সুযোগ অত্যন্ত কম এ কথা জানার পরও, অন্তত এটুকু আশা করেছিলাম ছাত্ররা বিষয়টাকে অনুচিত/অনৈতিক বলে মেনে নিবে। কিন্তু এই লেখার মন্তব্য, ফেসবুকে পরিচিত অনেক বর্তমান কিংবা এক্স আই ইউটিয়ানদের মন্তব্যেই দেখতে পাচ্ছি, আইইউটি অমুসলিমদের পড়তে না পারার মধ্যে তারা কোন সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন না, বরং এটাই তাদের কাছে যুক্তিযুক্ত। অতিউৎসাহী কয়েকজন দেখতে পেলাম, এই দাবি করার কারণে 'মুক্তমনা', 'নাস্তিক'দের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করে ফেলছেন। আমি আশা করছি, ব্লগে এবং ফেসবুকে যাদের এমন মন্তব্য দেখছি তারা সংখ্যালঘু, হয়তো অধিকাংশ আই ইউ টির ছাত্রই ব্যাপারটাকে এমনভাবে দেখছেন না

চলুক

nএন + ১

সবজান্তা এর ছবি

বিজন শাহরিয়ার, আপনাদের যে খুব বেশি কিছু করার নাই, সেটাও কিন্তু আমি দুইটা মন্তব্যতেই বলেছি। এই বিষয়টা নিয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা সরকারকে দায়ী করতে পারি, ছাত্রদেরকে না- সেটা করিওনি। কিন্তু লাস্ট মন্তব্যটা করেছি এক ধরনের শকের থেকে, যখন দেখতে পেলাম এই পোস্টের কমেন্টের ঘরেই অনেকে শুধুমাত্র মুসলিম ছাত্রদের পড়ার ব্যাপারটাকে জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছেন। তারপরই ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা সদ্য পাশ করা এক জুনিয়ার কলিগের স্ট্যাটাস দেখলাম, সেখানেও একই সুর- আই ইউ টি ওআইসির টাকায় বানানো, কাজেই এতে শুধু মুসলিমরাই পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এমন বেশ কয়েকটা মন্তব্যে হতাশ হয়েই আগের মন্তব্যটা লেখা। আমি এখনো বলছি, আমি আশা করি অধিকাংশ আই ইউ টির ছাত্ররাই এমনভাবে চিন্তা করেন না।

যারা এমনভাবে চিন্তা করেন, তাদের শুধু এটাই বলি- জীবনে যদি কোনদিন সংখ্যালঘুর জুতাতে পা গলাতে হয় (আশা করবো এমন কিছু কোনদিনও ফেস করতে হবে না), তাহলেই বুঝতে পারবেন- আজকে রাতারাতি যে ব্যাপারটাকে অস্বীকার করছেন, সেটার মধ্যে কী পরিমাণ অপমান লুকিয়ে থাকে।

সবাই ভালো থাকেন হাসি

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

ভাইয়া আমিও কিন্তু আপনার সাথে একমত প্রকাশ করেছি এবং জানতে চাইলাম এটা নিয়ে কি করা যায়।
আমরা সবাই শুধু সমস্যা দেখাচ্ছি এবং সেটা নিয়ে সমালোচনা করছি, কিন্তু কেউ সমাধানের কথা বলছি না। আপনি যা বলেছেন তার কিছু অংশ আমি বুঝতে পেরেছি, আপনাকে একটা ব্যক্তিগত ঘটনা বলিঃ আমার ডাক নাম বিজন। একবার এক টিউশান করাতে গেলাম জিজ্ঞেস করলো নাম কি বললাম বিজন; জিজ্ঞেস করে ভালো নাম কি বললাম বিজন শাহ (দেঁতো হাসি আমি আমার বিজন শাহরিয়ারকে বিজন শাহ বানাই প্রায়ই) পরের প্রশ্ন ছিলো আমি হিন্দু নাকি? আমি তাকে পালটা জিজ্ঞেস করেছিলাম যে, আপনার ছেলের জন্য কি মুসলমান শিক্ষক লাগবে? আমি আর ওখানে পড়াইতে যাই নাই। আমার নামের জন্য এমন বিড়ম্বনায় প্রায়ই পরতে হয়। আগে মাঝে মাঝে ঠিক করে দিতাম; এখন শুধু হাসি দেই। এই ঘটনা হয়তো বৈষম্যের কোন উদাহরণ না, কিন্তু সাধারণ মানুষের মানসিকতা বোঝানোর জন্য। আমি হয়ত অফটপিক এ চলে গেছি।

যাই হোক এই এতো এতো কমেন্টের পরে তো এখনো কেউ কোন সমাধান বললো না।
তারমানে কি এটা নিয়ে কিছুদিন ব্লগ ফেসবুক মাতামাতি করবো সবাই মিলে তারপর ভুলে যাবো? আপনারা যেহেতু বুঝতেই পারছেন যে ছাত্রদের হাতে বেশি কিছু করার নেই তাহলে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে উদ্যোগ নেয়ার ব্যবস্থা করুন। সকল ধরণের সাহায্যের জন্য প্রস্তুত। দেঁতো হাসি

মৌমিতা এর ছবি

আসলেই কত টাকা নেওয়া হয়? ওয়েবপেজ বলছে ৬০০০ ইউএসডি। আবার যারা সেলফ ফাইনান্স পড়তে চায়, তাদের জন্য ৬০০০ +৩৫০০/বছর=২০০০০ ইউএসডি। প্রাইভেট হিসাবে ভাল, অন্তত কষ্ট (?) রিকভারী তো হচ্ছে। আর সেলফ ফাইনান্স এর ছাত্র সিলেকশান কিভাবে হয়, জানতে আগ্রহী।

জাহিদ এর ছবি

সেলফ ফাইনান্স আর রেগুলার রেশিও প্রায় সমান (কম বেশ আছে)। কিছু ছাত্রকে সুযোগ দিলেও, বাকিদের কাছ থেকে ৩ গুন টাকা নেওয়া হয়।

কাকতাড়ুয়া এর ছবি

কিছু ছাত্রকে সুযোগ দিলেও, বাকিদের কাছ থেকে ৩ গুন টাকা নেওয়া হয়।

আপনার তথ্য সঠিক নয়। আমি যদ্দুর জানি, ভর্তি পরীক্ষায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা ছাত্রদের সেলফ ফাইন্যান্সে পড়ার একটা সুযোগ আছে। যারা কৃতকার্য হল তারা রেগুলার, আর তাদের পাশাপাশি কিছু সেলফ ফাইন্যান্স ছাত্র (ওয়েটিং লিস্টে স্থানের অগ্রাধিকার অনুযায়ী) ভর্তি নেয়া হয়। আমি নিশ্চিত নই, তবে রেশিও কখনই অর্ধেক অর্ধেক বা এর কাছাকাছি না।

সেলফ ফাইন্যান্সের ছাত্রদের চার বছরের পুরো টাকাটা দিতে হয় (কিস্তিতে অথবা এককালীন)।

---
কাকতাড়ুয়া

ম্যাক্স এর ছবি

কিছু লোক প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আর স্কুল-কলেজের মধ্যে গুলিয়ে ফেলছেন। আমার প্রশ্ন হল বাংলাদেশে কলেজ কয়টা যেখানে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার ব্যবস্থা আছে আর বিশ্ববিদ্যালয় কয়টা যেখানে প্রকৌশল শিক্ষা দেয়া হয় ? বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহন অধিকার হলেও প্রকৌশল শিক্ষা গ্রহন হল একটা সুযোগ যা সবার হয়না । সেক্ষেত্রে এ ধরনের ধর্মভিত্তিক-লিংগভিত্তিক বৈষম্য আরো সমস্যার সৃষ্টি করে।
আরো একটা বিষয় যেটা বিরক্তিকর সেটা হল IUT এর ভর্তি পদ্ধতি।এখানে শুধু HSC পরীক্ষার রেজাল্টের ভিত্তিতে ভর্তি করা হয় যেটা আর কোন ভার্সিটিতে করা হয়না। ফলে অনেক ছাত্র যাদের বিজ্ঞানভিত্তিক বিষয়ে দক্ষতা বেশি হওয়া সত্বেও ভাষাভিত্তিক বিষয় যেমন বাংলা ইংরেজিতে পিছিয়ে পড়ার কারনে এখানে সু্যোগ পায়না।(এদের মধ্যে অনেকে ঠিকই বুয়েট বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়ে ভর্তি হয় এবং পরে ভালো ফলাফল করে।)

জানি না এর ছবি

দয়া করে একটু জেনে শুনে কথা বলুন। আই ইউ টি তে কখনই শুধু এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ভর্তি নেয়া হয় না, কখনো হয়েছে বলে তো শুনি নি।

আর যেহেতু মিডিয়াম অফ ইনস্ট্রাকশন পুরোটাই ইংরেজি (আধা বাংলা আধা ইংরেজি নয়, যেমনটা অন্য ভার্সিটি গুলোয় হয়), তাই ইংরেজির দক্ষতা কি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় নয়?

ম্যাক্স এর ছবি

আমি ২০০৯ সালের কথা জানি।ঐ বছর বা তার আগের সময়ে শুধু HSC এর GPA এর উপরে ভর্তি হত।আমি ওই বছর আইউটির form ও কিনি । পরে বুয়েটে চান্স পাওয়ার পর ঐ পথে আর পা মাড়াইনি।
তবে ইংরেজির দক্ষতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।কিন্তু HSC examination এ অনেকে যেখানে English বই এর para এর para Fill in the blanks এর জন্য মুখস্ত করে GPA 5 পায়,শুধু সেটা কিভাবে একজনের English skill যাচাই এর একমাত্র পদ্ধতি হয় তা জানতে চাই ।

খালিদ এর ছবি

নিকের সার্থকতা প্রতিপন্ন করতেছেন মনে হইলো!

আই ইউ টি তে কখনই শুধু এইচ এস সি পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ভর্তি নেয়া হয় না, কখনো হয়েছে বলে তো শুনি নি

একদা আই ইউ টি তে কেবল ও কেবল মাত্র ইন্টারের রেজাল্ট দেইখা ভর্তি করতো। এখনকার কথা অবশ্য জানি না। তবে আমি নিজেই ঐভাবে চান্স পাইছিলাম! হাসি তবে পরে বুয়েটে চান্স পাইয়া ঐখানেই পড়ছি।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

খালিদ, আপনি একটু কনফিউজড। ‘শুধু’ HSC এর রেজাল্টের উপর কখনই নেয়া হয়নি। SSC এবং HSC এর রেজাল্টের উপর বাছাই করা হয়। অনেক আগে যখন জিপিএ ছিলো না তখন নাম্বারের উপর ভিত্তি করে নিতো। জিপিএ আসার পরে চতুর্থ বিষয় ছাড়া বাকি সাবজেক্টের জিপিএ এর উপর বাছাই করা হতো। এবং ২০০৮ সাল থেকে শুধু বাংলাদেশি দের জন্য পরীক্ষা নেয়া হয়। এখানে দ্রষ্টব্য, আমিও বুয়েটে চান্স পেয়ে না ভর্তি হয়ে IUT তে ভর্তি হয়েছি (এটা বলার কারণ আপনি দুইবার এই কথাটা উল্লেখ করেছেন এবং আমার সিরিয়াল খুব খারাপ ছিলো না ২৪৩ তম হইছিলাম)

জাহিদ এর ছবি

কে বুয়েটে চান্স পেয়ে ভর্তি না হয়ে আই ইউ টি তে ভর্তি হয়েছে (বা ভাইছ ভারছা) তা নিয়ে ত্যানা প্যাঁচানো বাদ দেন ভাই। কে কততম হয়েছে ,হয়ে কি আটি ফালাইছে এই সব ডোল না বাজান। আপনার মধ্যে আগুন থাকলে (বা চুল্কানি ও), আপনাকে দাবায় রাখা যাবে না। একজন সেদিন কয় উনি নাকি বুয়েটে চান্স পেয়ে ভর্তি না হয়ে (!) ঢাকা কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছিল, কারণ বুয়েটে সেশান জট। কিন্তু কি এসে যায় তাতে, উনি প্রফেশনাল জীবনে খুবি সফল। আপনি সফল হলে (এবং ভাল মানুস ও) আপনার আলমা ম্যাটার নট ম্যাটারস। আর না হলে

ভর্তি পরীক্ষায় কততম

প্রভুখন্ডঠটিকে আকড়িয়ে ধরে থাকুন।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

আপনি একটি মিথ্যা কথা বলেছেন। হয় মিথ্যা না হয় বানিয়ে বলেছেন। ২০০৭ এর ব্যাচ থেকে IUT তে ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। আমি ২০০৭ এর ব্যাচ এবং আমরা প্রথম ভর্তি পরীক্ষা দেই। তাই আপনি কখনই ২০০৯ শুধু রেজাল্ট দিয়ে চান্স পাওয়ার কথা না এবং আপনি বেশ ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে শেষের উক্তিটি করেছেন।
আর হ্যা আমিও আমার প্রফেশনাল ক্ষেত্রে বেশ ভালো রকমের সফল  আর ভালো মানুষের কোন মাপকাঠি আমার কাছে নেই তাই এই সম্পর্কে বলতে পারছি না।

খালিদ এর ছবি

@ বিজন:
ভুল শুধরায় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে আমার ফোকাস পয়েন্ট ছিলো এককালে আই ইউ টি তে ভর্তি পরীক্ষা দেয়া লাগতো না। এই কথাটা কিন্তু সত্যি! তবে হ্যাঁ, আমার ইনফোতে ভুল ছিলো বইলা সরি।

এইবার আসেন আপনের বাকি কথাগুলায়। আপনের কথা পইড়া মনে হইলো "চোরের মন পুলিশ পুলিশ!" এই কথাটা ক্যান বললাম, বুইঝা নিয়েন, বিস্তারিত বলার ইচ্ছা নাই। বুয়েটে চান্স পাইছি নাকি, আই ইউ টি তে ভর্তি হই নাই ক্যান, ইত্যাদি নিয়া আমি কখন কথা বললাম? উপরে আপনের সিনিয়র বেরাদর রাতুলের কথার উপরে বলছিলাম বুয়েটে পড়ছি, আবারো পড়তে হইলে সেইখানেই পড়তে চাই আর বুয়েট নিয়া আমি প্রাউড (আর এইটাও বলছি যে আই ইউ টি নিয়াও আমি প্রাউড)। এর থেকে বুয়েটে চান্স পাইছি, তাই আই ইউ টি তে পড়ি নাই এইটা ডিরাইভ করলেন ক্যামনে বুঝে আসলো না। এই কথাটা একবারই বলছি বইলা মনে পড়ে। তবে উপরে দেখেন, রাতুল সাহেব বলছেন, কর্ম ক্ষেত্রে কে কোত্থেকে আসছে এইটা বড় কথা না। আমিও মনে করি, আপনে কততম হইছেন, এইটার কোন বেইল এখন আর নাই। এই জিনিসটা যদি না বুঝে থাকেন, তাইলে আপনে ২৪৩ তম হইছেন, এইটা ধুইয়া পানি খাইতারেন, অসুবিধা নাই। চাইলে আপনারে আমার সিরিয়াল বইলা বড়াই করতে পারতাম, আর বিশ্বাস করেন, আপনার ২৪৩ যদি বড়াই করার জন্য এনাফ হয়, তাইলে আমারখান মোর দ্যান এনাফ। কিন্তু বললাম না, কারণ এই কাদা ছোড়াছুড়িটা ভাল্লাগতেছে না।

ধন্যবাদ

Murtoja এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিচালনা করে OIC, তাদের decision-এই এটি চলে। এখানে কোনো politics নেই, নেই জামাত-শিবিরের দাপট...নেই session জট। দেশের একমাত্র International University যেটার student রা শুধু দেশেই নয় বিদেশেও দেশের নাম উজ্জ্বল করে চলেছে...সেই IUT'র পিছনে এভাবে লেগেছে কেন ? শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোনো হামলা করা জাতির জন্যই লজ্জাজনক। '৭১ এ পাকিস্তানি দোসররা প্রথমেই আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাতির মেরুদণ্ডে হামলা করে আমাদের পঙ্গু করতে চেয়েছিল, এই লেখা হয়ত দেশের মানুষ কে লেলিয়ে দেবে। কিন্তু সবাই ভেবে দেখুন...এটা কি দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বুদ্ধি দীপ্ত হামলা নয়? এর পর হয়ত আরেকটি বিশ্ববিদ্যালয়টি নিয়ে লিখবে...সবাই সচেতন হোন...এরা দশের শত্রু...আপনার বন্ধু সেজেই আপনার দেশে বিভ্রান্তি ছরিয়ে দিচ্চ্ছে...ভেবে দেখুন...এরা আসলে কারা ?????

আশফিক অনিক এর ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লিখলে আপনার সমস্যা কি? যেটা খারাপ সেটা খারাপই, তাকে ভালো বলার উপায় তো নেই! আর দেশের নাগরিক হিসেবে যেকোনো কিছু নিয়ে লেখার অধিকার আমাদের আছে! হাত ভেঙ্গে ফেললেও লেখা থামাতে পারবেন না!আর এখানে আইইউটিয়ানরাই তো স্বীকার করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানের এই নেগেটিভ দিকগুলোর কথা! আর এভাবে লাগ্লাম কই? একটা ব্লগ লিখলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়? বলিহারি যাই আপনার আহবান দেখে!

ম্যাক্স এর ছবি

@বিজন শাহরিয়ার আমি খালিদ না। আর IUT কে হেয় প্রতিপন্ন করারও কোন কারন আমার নাই।তাই আপনার সাথে কেন কোন জায়গায় ভর্তি হয়েছি সে নিয়ে তর্ক করারও ইচ্ছা আমার নেই। আমি শুধু IUT নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত মতামত দিলাম।মানলাম যে IUT এর decision making এ আপনাদের কোন হাত নেই এবং আপনারা চাইলেও এব্যাপারে কিছু করতে পারেননা ।কিন্তু ধর্ম-লিংগভিত্তিক বিভাজন-যা ন্যায়সংগত নয় তাকে অন্যায় না বলে এটাকে নিয়ে ঘুরানো-প্যাঁচানো আমার ভালো লাগেনি।যাই হোক এইসব আলাপ হতে এখন বিদায়।

বিজন শাহরিয়ার  এর ছবি

ভালো না লাগলে কিছু একটা করেন এই ব্যাপারে। এমন মত প্রকাশ করে চলে যাওয়ার মানে কী? ব্লগ দিয়ে তো বেশ কয়েকটি আন্দোলন হয়েছে এবার ও।আই।সি এর বিরুদ্ধে একটা হয়ে যাক। উপরে হিমু ভাইকে ও বললাম সাজেশানস দেন কিভাবে কি করা যায়, আপনারা সেটা না দিয়া হুদাই মত প্রকাশ কইরা যাইতাছেন...

আশফিক অনিক এর ছবি

কিছু একটা করেন বলে দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন বিজন ভাই? আপনার মত যারা এই ধরণের বৈষম্যমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তারা আগে আপনার ভাইদের বোঝান না, তারা যাতে এখানে এসে জিনিসটাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা না করে!

খালিদ এর ছবি

ম্যাক্স সাহেব, আজাইরা প্যাচাল পারতে আর পেইন নিতে-দিতে কি খুব মজা? আমি কি আমার কোন কথায় আপনের নাম নিছি? আপনে আমার নাম নিয়া মাইনষের লগে চুকলি করতাছেন ক্যান? এইটা তো একটা বস্তি মার্কা কাজ হইয়া গ্যালো! কিছু বলতে চাইলে আমারে ডাইরেক্ট বলেন। আর না বলতে চাইলে আরেকজনের সাথে আমারে নিয়া কথা বলনের মানে কী? যাই হোক, আপনের কথায় মনে হইলো আমি আই ইউ টি রে হেয় করছি। এক কাম করেন, আপনের ব্রাউজারে 'খালিদ' লেইখা সার্চ করেন। Ctrl + F চাইপা লেখেন 'খালিদ', তারপর এন্টার মাইরা মাইরা এই পোস্টে আমার করা সবগুলা কমেন্ট আগে পড়েন। তারপরে বলতে আইসেন, কোথায় আমি আই ইউ টি রে হেয় করছি। আশা করি আমার সবগুলা কমেন্ট পড়লে আপনের কনফিউশন দূর হবে।

আশফিক অনিক এর ছবি

আইইউটি নিয়ে আমার এই লেখায় প্রতিষ্ঠানটির বেশকিছু দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তার বেশিরভাগই নেগেটিভ দিক ছিল, হয়ত লেখাটাও তেমন বলিষ্ঠ হয়নি, অনেক জায়গায়ই ঠিকমত নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারিনি। লেখার নিচের মন্তব্যে আমায় ছাগু, লুইচ্চা, অপদার্থ... এমনসব অসাধারণ বিশেষণেও ভূষিত করা হয়েছে। দেঁতো হাসি

যাই হোক, আমার নিজের লেখার কিছু অংশ নিয়ে কথা বলছি! আমার লেখায় তিনটি দিককে মূলত প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিলঃ ধর্মীয় বৈষম্য, লৈঙ্গিক বৈষম্য ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। আইইউটি তে মুসলিম বাদে দেশের অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর মানুষেরা শিক্ষালাভ করতে পারে না- এর বিরুদ্ধে বলায় আমাকে কিছু আইইউটিয়ান গালাগাল করলেন, কেউ কেউ মুস্লিম উম্মাহ নামের একটা জিনিস দাঁড় করানোর চেষ্টা করলেন এবং ওআইসি কে তার রক্ষক হিসেবে ব্যক্ত করলেন...দেখলাম মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কথাও বলা হল, বলা হল অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের মানসিকতা নিয়ে, তারা নাকি অনুন্নত মুসলিম দেশে যেতে চাইবেন না, এজন্য সেসব জায়গায় কাজ করতে মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার দরকার- এই ধরণের প্রবল যুক্তিও দেখলাম একটা মন্তব্যে! সবার প্রতি একটাই অনুরোধ! কেন নিজেকে মুসলিম হিসেবে ভাবছেন? নিজেকে একবার প্রকৃত বাংলাদেশী হিসেবে ভাবুন না! আপনারা একটা অসাধারণ ক্যাম্পাসে লেখাপড়া করছেন, আপনাদের সেশন জট নেই, আপনার তিন বছর দশ মাসে বের হয়ে আসছেন...এমন এক প্রতিষ্ঠানে আপনার এক হিন্দু বন্ধু যদি ভর্তি হয়ে আপনাদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে লেখাপড়া করে দেশের কাজে লাগেন তাহলে ক্ষতি কোথায়? মানছি ওআইসি একটা ইন্টারন্যাশনাল সংগঠন, বিষয়টা বলা যত সহজ করা তত সহজ না, কিন্তু যারা বিরুদ্ধে লিখলেন তারা কেন লিখলেন সে সম্পর্কে তো কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখালেন না! আপনাদের কাউকে অন্তত একটা পরিসরে সাথে পেলে ভালোই লাগত। আপনারা মনে করছেন 'যা চলছে ভালোই চলছে' কিন্তু আইইউটি যে আরো কার্যকরী, আরো নামী একটা প্রতিষ্ঠানে রূপ পেতে পারত, সে ব্যাপারে মনে হয়না আপনারা চিন্তা করেছেন! আর মুসলিম উম্মাহ? আচ্ছা যান, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো মুসলিম উম্মাহ'র অন্তর্গত, কিন্তু তবুও এসব দেশে একটা বিরাট অংশ অন্য ধর্মাবলম্বী! আমার মনে হয় আপনাদের মুসলিম উম্মাহর উন্নতি করতে চাইলে অমুসলিম জনগোষ্ঠীকেও উন্নয়নে অংশীদার করা উচিৎ! খুব বেশী কঠিন কথা তো বলছি না! একটু চিন্তা করেন তো! লেখাটা আইইউটি বিরোধি দেখেই হয়ত আপনাদের মাথায় খুন চেপেছে!

লৈঙ্গিক বৈষম্য নিয়ে দেখলাম আরেক কথা! কেউ কেউ ভিকারুন্নিসা, নটরডেম এর শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মস্করা করলেন, বেশ লাগলো! কিন্তু আপনারা কলেজ, স্কুল এর সাথে ভার্সিটিকে মিক্স আপ করে ফেললেন! আমি সর্বস্তরে কো এডুকেশন চাই, পারিপার্শ্বিকতার সাপেক্ষে এখন সেটা সম্ভব না! কিন্তু লৈঙ্গিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত? ঠান্ডা মাথায় কেউ বুঝায় বললেন না! উলটো আমাকে 'লুইচ্চা' বলা হল, মেয়েরা পড়লে নাকি আমার মত লুইচ্চা এইখানে ঢুকে যাবে! খাইছে ! কেউ কেউ তহবিল সংকট, জায়গা সংকট বলে জিনিসটা বাংলাদেশ সরকারের উপরও চাপিয়ে দিলেন! বললেন না নিজের ব্যক্তিগত মতামত! আপনি একটা মেয়েকে আইইউটি তে দেখতে চান, নাকি চাননা? প্রতিষ্ঠার এত বছর পরেও কেন আইইউটি তে এটা হল না? এখন যখন হওয়ার কথা উঠছে? তহবিল এখন যখন যোগাড় হয়েছে বিশ বছর আগেও যোগাড় করা যেত...(বিজন শাহরিয়ার বলেছেন আমার মেয়ে আইইউটি তে পড়তে পারবে দেঁতো হাসি )!!

আর অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে কি আর বলব? আইইউটি কত টাকা ব্যাক দেয়, তা নিয়ে আমার কোনও কথা নেই, কোণওকালে ছিলও না! কথা হল যে বিশাল টাকাটা শুরুতে নেওয়া হচ্ছে সেইটা নিয়ে! আপনারা পিছিয়ে পড়া মুসলিমদের কথা বললেন, একজন দিনমজুরের ছেলে কি 'পিছিয়ে পড়া' নয়? আইইউটি কি শুধুই বড়লোক আর মধ্যবিত্তদের জন্য প্রতিষ্ঠিত? এদেশের জমি ওআইসি ব্যবহার করছে, এদেশের জনবলও ব্যবহার করছে, তাহলে কেন এদেশের স্বল্প সামর্থ্যের মানুষদের দিকে তাকানো হবে না? কোনদিন ভেবেছেন? দরিদ্র ঘরে মেধা থাকে না? তাদের কি ব্যবহার করা যায় না? কে যেন বললেন দেশের নব্বুই শতাংশ মানুষ আইইউটি তে পড়ার ক্ষমতা রাখেন! দেশে ৮৬ শতাংশ মুসলিম, অর্থাৎ বাকি চৌদ্দ শতাংশ তো জন্মানোর সাথে সাথেই ওখানে পড়ার অধিকার হারাচ্ছে!এরপর মেয়েদের বাদ দেন, মুসলিমদের মধ্য পঞ্চাশ শতাংশ মেয়ে বাদ গেলে দেশে মুসলিম ছেলে থাকে তেতাল্লিশ শতাংশ! আচ্ছা, এইবার আপনার কথা মানলাম! তেতাল্লিশ শতাংশের নব্বুই শতাংশ করেন, থাকে ৩৮.৭ শতাংশ! অর্থাৎ বাকি ৭১.৩ শতাংশ আইইউটি তে পড়তে পারে না! আসল অনুপাত আরো কম, আমি তো যিনি নব্বুই শতাংশের কথা বলেছেন তার কথাটা রাখলাম! তাকে আরো একটি কথা বলতে চাই, দেশের অর্থনীতি নিয়ে আপনার ধারনা কেমন খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিলেন! সবাইই আইইউটির টিউশন ফি ঠিকই আছে বললেন, কখনও বললেন না, একটা দরিদ্র ছাত্র কেন ওখানে পড়তে পারবে না?নাকি তারা আপনাদের জাতের না?

আইইউটি তে ধর্ম পালনে বাধ্যবাধকতা নেই, জেনে ভালো লাগলো! জঙ্গিবাদের সাথে কোনভাবে আইইউটি'র এক ছাত্র জড়িয়ে পড়েছিল, এটাও তো সত্যি কথা! আরেকটা কথা, বুয়েটের কোনও শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে পড়লে কথা উঠে না কেন জানেন? কারণ সবাই সেখানকার মুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে জানেন, সেখানে দেশের সব স্তরের সবাই পড়তে পারেন! কিন্তু আপনাদের এখনও জোর গলায় বলতে হয়, আপনাদের প্রতিষ্ঠানের ধর্ম পালনের বাধ্যবাধকতা মুক্ত ও জঙ্গিবাদ বিহীন পরিবেশের কথা! এর কারণ আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম, যেটা বাইরে থেকে দেখলে মাদ্রাসার সাথে খুব বেশী পার্থক্য দেখা যায় না! হয়ত আপনারাও পরিবর্তন চান,কিন্তু সেসব কথা না বলে এখানে নিজের প্রতিষ্ঠান নিয়ে সাফাই গাওয়া কেন?আইইউটি'র শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তো আমি কোনও প্রশ্ন তুলিনি, সেখানকার কারিকুলাম নিয়েও প্রশ্ন তোলা যায় না! আমি বলেছি খুবই মৌলিক কিছু জিনিস নিয়ে! হয়ত পরিবর্তন দুঃসাধ্য, কিন্তু তাই বলে পরিবর্তনের বিরুদ্ধাচরণ কেন?

একটু কি ভেবে কোনও আইইউটিয়ান জবাব দেবেন?

কাকতাড়ুয়া এর ছবি

আপনারা একটা অসাধারণ ক্যাম্পাসে লেখাপড়া করছেন, আপনাদের সেশন জট নেই, আপনার তিন বছর দশ মাসে বের হয়ে আসছেন...এমন এক প্রতিষ্ঠানে আপনার এক হিন্দু বন্ধু যদি ভর্তি হয়ে আপনাদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে লেখাপড়া করে দেশের কাজে লাগেন তাহলে ক্ষতি কোথায়? মানছি ওআইসি একটা ইন্টারন্যাশনাল সংগঠন, বিষয়টা বলা যত সহজ করা তত সহজ না, কিন্তু যারা বিরুদ্ধে লিখলেন তারা কেন লিখলেন সে সম্পর্কে তো কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখালেন না!

"আইইউটি সাম্প্রদায়িকতার উন্মেষ ঘটায়" জাতীয় কথা বার্তা স্বভাবতই এর ছাত্রদের কারো ভালো লাগার কথা না। কারণ, প্রথমত, নিয়মটি তাদের করা না। দ্বিতীয়ত, এখানে তাদের কিছু করার সুযোগটা খুব ই সীমিত (কিন্তু একেবারেই নেই তা বলছি না)। আমার কাছে আইইউটির সবাই এই নিয়মটি সমর্থন করে যাচ্ছে ব্যাপারটি এমন ও মনে হয়নি। আপনি আপনার এই মন্তব্যে বিষয়টিকে যেভাবে যে সুরে ব্যাখ্যা করলেন, আপনার মূল লেখায় কিন্তু তা অনুপস্থিত। বরং আপনার খানিকটা সুড়সুড়ি মূলক কথাবার্তা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর লেগেছে। অনেকেই রেগে গিয়ে উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন এবং বিষয়টিকে আরও জটিল করেছেন।

ব্যাপারটা তো এমন নয় যে, আইইউটির ছাত্ররা হিন্দু বা অন্য ধর্মের ছাত্রদের ভর্তির বিরোধিতা করছেন, বরং আপনারা যেভাবে আই ইউ টি কে "সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িক" বলে ধুয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন, সেটার বিরুদ্ধে দাড়ানোর চেষ্টাটাই তো বেশি দেখতে পাচ্ছি।

আমার কথা হল, যা কিছু খারাপ আছে তার সমালোচনা করে করে সেটাকে পচানোর চেষ্টার বদলে সমাধানের চেষ্টা করাটাই কি শ্রেয় নয়? যদি সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ই থাকে, সেটা কি আই ইউ টির গায়ে "সাম্প্রদায়িক" ট্যাগ লাগিয়ে দিয়ে পূরণ হবে? নাকি ওআইসির এই নীতি টা ঠিক হয়নি, এটাকে কিভাবে বদলানো যায় তা নিয়ে কথা বললে? দ্বিতীয়টিতে কিন্তু আমার মত আরো অনেক আইইউটিয়ানই আগ্রহ নিয়ে অংশগ্রহণ করবে।

আর অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে কি আর বলব?

আপনাকে একটা কথা জিগ্যেস করি, শুধু অর্থের অভাবের কারণে আমাদের দেশে কতজন শিশু প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয় আপনি জানেন? এখন যদি আপনি দাবি করেন যে, দেশের সব প্রাইমারী স্কুলে পড়ানো ফ্রি করে দিতে হবে, সেটা কি সম্ভব? আপনি টিউশন ফি কমানোর কথা বললেন। যেহেতু আইইউটি সরকারী কোন প্রতিষ্ঠাণ নয়, টিউশন ফি কমাতে চাইলেই কি আসলে কমানো সম্ভব? এখানে অনেক কথা বলা যায়। একটা ছাত্রের পিছনে আইইউটি যা খরচ করে সেই টাকা তো তারা বানায় আনে না। যা নিতেসে তা থেকে তো কম খরচ করতেসে না, বরং কয়েক গুন বেশি খরচ করে আইইউটি। এত টাকার যোগান ওআইসি দেয় তার মেম্বার স্টেটগুলা থেকে ডোনেশন আদাইয়ের মাধ্যমে। এইখানে মেম্বার স্টেটগুলা কত টাকার যোগান দিতে পারবে, তার উপর হিসাব করেই তো টিউশন ফি নির্ধারণ হবে, তাই না? আপনার মতে টাকা অনেক লাগে - এটা মেনে নিচ্ছি, এ থেকে বেরিয়ে আসার পথ তো দেখতে পাই না? আয় যদি না থাকে তাহলে আইইউটি ব্যয় টা কোত্থেকে করবে?

যা করা যেতে পারেঃ টিউশন ফি টা এককালীন না নিয়ে কিস্তিতে নেয়ার সুবিধাটা আদায় করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

জঙ্গিবাদের সাথে কোনভাবে আইইউটি'র এক ছাত্র জড়িয়ে পড়েছিল, এটাও তো সত্যি কথা! আরেকটা কথা, বুয়েটের কোনও শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে পড়লে কথা উঠে না কেন জানেন? কারণ সবাই সেখানকার মুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে জানেন, সেখানে দেশের সব স্তরের সবাই পড়তে পারেন!

হাস্যকর একটা যুক্তি। আপনি কি এটাই বলতে চাচ্ছেন, যেদিন আইইউটিতে অন্য ধর্মের ছাত্র এবং মেয়েরা পড়তে পারবে (এটাই তো মুক্ত পরিবেশ, নাকি?), সেদিন আই ইউ টিতে কোন জংগি ধরা পড়লে কেউ কোন কথা বলবে না? হা হা প গে।
অফটপিক একটা কথা বলে রাখি। আমি যদ্দুর জানি, জঙ্গি সন্দেহে একজন পাকিস্তানি ছাত্রকে আটক করা হয়েছিল এবং পরে তাকে বহাল তবিয়তে ছেড়ে দেয়া হয়েছে (যদিও ছেড়ে দেয়ার বিষয়টিকে আর কোন পত্রিকাই ফলো আপ করে নাই)।

আপনাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিস্টেম, যেটা বাইরে থেকে দেখলে মাদ্রাসার সাথে খুব বেশী পার্থক্য দেখা যায় না

আপনি আসলে আই ইউ টির কোন সিস্টেমের সাথে মাদ্রাসার মিল দেখতে পাচ্ছেন বোধগম্য নয়। আর আপনার সমস্যা এবং উদ্দেশ্য টা শেষে এসে বেশ ভালো মতই বোঝা যাচ্ছে। আপনি আইইউটি কে ট্যাগ করতে চাচ্ছেন মাদ্রাসা, জেলখানা, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদ ইত্যাদি বিশেষণে। এর উন্নয়ন কিংবা সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশের বুলি আউড়ানো বন্ধ করে সরাসরি ই বলুন না, "ওগো দেইখা আমার জ্বলে..."।

আমার যুক্তি দুর্বল। কারণ আমি আসলে আপনাদের মত জ্ঞাণী নই, লেখার অভ্যাস ও কোনকালে ছিল না, তবুও না লিখে পারলাম না। কারণ আমি আই ইউ টিকে ভালোবাসি। একজন আই ইউ টিয়ান হিসাবে আমি গর্বিত।

----
কাকতাড়ুয়া

কাকতাড়ুয়া এর ছবি

আমি সর্বস্তরে কো এডুকেশন চাই, পারিপার্শ্বিকতার সাপেক্ষে এখন সেটা সম্ভব না! কিন্তু লৈঙ্গিক বিশ্ববিদ্যালয় থাকাটা কতোটা যুক্তিযুক্ত?

ভবিষ্যতে আপনার কাছে এ নিয়ে লেখা আশা করছি।
যাই হোক, পারিপার্শ্বিকতা বলতে আপনি কি বুঝালেন? যদি সত্যি আপনি পারিপার্শ্বিক শব্দটির অর্থ জেনে থাকেন, তাহলে যারা আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, কেন বর্তমান পারিপার্শ্বিকতায় আইইউটি তে মেয়েদের ভর্তি নেয়া সম্ভব নয়, তা বোঝার কথা ছিল। এটাকে লিংগ বৈষম্য না বলে বলুন, উপযুক্ত অবকাঠামো এবং ওআইসির সদিচ্ছার অভাব, তথা পারিপার্শ্বিকতা খাইছে । আইইউটির কতৃপক্ষ কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এতবার করে বোঝানোর পরও কেন একই কথা বার বার বলে যাচ্ছেন বুঝতে পারছি না।

হয়ত আপনারাও পরিবর্তন চান,কিন্তু সেসব কথা না বলে এখানে নিজের প্রতিষ্ঠান নিয়ে সাফাই গাওয়া কেন?

আপনি জেনে না জেনে যা ইচ্ছা বলে যাবেন, আর কেউ সেটার বিরুদ্ধে বললেই সাফাই গাওয়া হয়ে যাবে নাকি?

কিন্তু আপনাদের এখনও জোর গলায় বলতে হয়, আপনাদের প্রতিষ্ঠানের ধর্ম পালনের বাধ্যবাধকতা মুক্ত ও জঙ্গিবাদ বিহীন পরিবেশের কথা

এইটা তো জোর গলায় বলার মতই একটা বিষয়, তাই না? দেঁতো হাসি আপনার মত কিছু মানুষ বাধ্য করে বলতে। আমরা কোথাও আমাদের ঢাকঢোল পিটাই না।

---
কাকতাড়ুয়া

আশফিক অনিক এর ছবি

@কাকতাড়ুয়া

আপনি আপনার এই মন্তব্যে বিষয়টিকে যেভাবে যে সুরে ব্যাখ্যা করলেন, আপনার মূল লেখায় কিন্তু তা অনুপস্থিত। বরং আপনার খানিকটা সুড়সুড়ি মূলক কথাবার্তা অনেকের কাছেই বিরক্তিকর লেগেছে।

বেশ ভালো, এইবার আরেকটা জিনিস দেখুন!

এবার আসা যাক ধর্ম প্রসঙ্গে। এই বিষয়টিই সবচেয়ে স্পর্শকাতর। আমার বন্ধুর অভিমত, আই.ইউ.টি মুসলিম দেশের জন্য ও.আই.সি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত, তাই এখানে অন্য ধর্মের শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভের সুযোগ পাওয়ার কথাই আসে না! আমার কথা হল, ও.আই.সি আসলে কি চায়? সারা বিশ্বের মুসলিমদের উন্নতি নাকি তথাকথিত মুসলিম 'রাষ্ট্র' গুলোর উন্নতি? মুসলমানদের উন্নতি চাইলে কেন মুসলিম দেশের বাইরে তাদের কার্যক্রম নেই? আর মুসলিম দেশের উন্নতি চাইলে সে দেশের একটা বিরাট অংশ কেন তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবে না? ভারত ও.আই.সির সদস্য নয়, কিন্তু সেদেশে পৃথিবীর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রায় দশ শতাংশ বাস করে! মাত্র সাতান্নটি দেশ নিয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কথা বলে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের উদ্দেশ্য এখনও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আর একটি ধর্মাবলম্বীর মানুষের জন্য বিশেষ একটি নামে একটা রাষ্ট্র পরিচিত হবে, এটাই বা কেমন কথা হল? আর অমুসলিম জনগোষ্ঠীর দ্বারা যদি তথাকথিত মুসলিম দেশের উন্নতি হয়, তাহলে সমস্যা কি? কেন অমুসলিমদের একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে?

আপনারা একটা অসাধারণ ক্যাম্পাসে লেখাপড়া করছেন, আপনাদের সেশন জট নেই, আপনার তিন বছর দশ মাসে বের হয়ে আসছেন...এমন এক প্রতিষ্ঠানে আপনার এক হিন্দু বন্ধু যদি ভর্তি হয়ে আপনাদের সাথে কাঁধ মিলিয়ে লেখাপড়া করে দেশের কাজে লাগেন তাহলে ক্ষতি কোথায়? মানছি ওআইসি একটা ইন্টারন্যাশনাল সংগঠন, বিষয়টা বলা যত সহজ করা তত সহজ না, কিন্তু যারা বিরুদ্ধে লিখলেন তারা কেন লিখলেন সে সম্পর্কে তো কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখালেন না!

এই দুইটা বক্তব্যের মধ্য পার্থক্য কোথায়? পার্থক্য হল, প্রথম বক্তব্যের সুরটা অনেকটা রূড় লাগছে, পরের বক্তব্যে তা ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা হয়েছে! মোদ্দাকথা কিন্তু এক, কথা হল, দায়টা কিন্তু ওআইসির উপরই বর্তায়, কিন্তু আইইউটি তো প্রক্রিয়ার অংশ, নাকি? আপনাকে আরো কিছু জিনিস দেখাইঃ

একজন মুসলিম ইথিওপিয়ান/নাইজেরিয়ান এর কাছে প্রথম জন এই পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক মাত্র। হতে পারেন তিনি সু-নাগরিক। কিন্তু নিজের ইচ্ছায় তিনি নাইজেরিয়ায় কেন যাবেন আরাম আয়েশ ফেলে?যেই দেশের প্রায় সকলেই মুসলিম?
এইবার বলেন তো এই সব দেশ কেন উন্নতি করতে পারছে না? কারা এদের শোষন করছে?
কেন তাদের দেশে যোগ্য ভিন্ন ধর্মালম্বী প্রকৌশলী রা যায় না? কেন তাদের উন্নয়ন এর অংশীদার হতে চায় না? কেন নন মুসলিম কোন দেশ তাদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেয় না?
সত্য হল, দেয় না তো!
কোন সু-শিক্ষিত ভিন্ন ধর্মালম্বী কোন ঠেকায় যাবে তাদের উন্নতি করতে?সবাই নিজের টা বোঝে...
কিন্তু, একজন মুসলিম তার কাছে শুধু পৃথিবীর আরেকজন নাগরিক নন, সে তার ভাই,তার মুসলিম ভাই। একজন ভাই আরেকজন ভাই এর বিপদে অবশ্যই এগিয়ে যাবে। এটা ইসলামের নিয়ম। তাহলে তারা যে চাইবে,একজন মুসলমান প্রোকৌশলী ্তৈরি করতে, যারা তাদের মত অভাবী মুসলমান দেশ গুলোর কাজে লাগবে, এটাই কি স্বাভাবিক নয়?

আপনার প্রিয় আইইউটি'র একজন ছাত্রের মন্তব্য, যিনি অদ্ভুত এক যুক্তি খাঁড়া করে বিষয়টিকে বৈধতা দিতে চাইছেন!

এত টাকার যোগান ওআইসি দেয় তার মেম্বার স্টেটগুলা থেকে ডোনেশন আদাইয়ের মাধ্যমে।

আরেকটা সুন্দর কথা বললেন, কিন্তু মেম্বার কান্ট্রিগুলো ডোনেশন এর টাকা কোথায় পায়? পাব্লিকের ট্যাক্স থেকেই তো, না? এতে তো আইইউটি পরিচালনায়ই অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহন দেখা যাচ্ছে, তাহলে পড়তে কেন দেওয়া হচ্ছে না? আপনাদের মত অনেকেই হয়ত অন্য ধর্মাবলম্বীদের পড়তে দেখতে চান, কিন্তু উপরোক্ত কমেন্ট করা আইইউটিয়ানের মত ছাত্রও তো আপনাদের ওখানে আছে, তাদের কখনও বিষয়টা ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করেছেন? করুন না, মানুষ পারে না এমন কিছু তো নেই!

একটা ছাত্রের পিছনে আইইউটি যা খরচ করে সেই টাকা তো তারা বানায় আনে না। যা নিতেসে তা থেকে তো কম খরচ করতেসে না, বরং কয়েক গুন বেশি খরচ করে আইইউটি।

সবই মানছি, কিন্তু এককালীন এতো টাকা নেওয়া কোন যুক্তির মধ্যে পড়ে? আপনি প্রাইমারি শিক্ষার কথা বললেন, আমি বলছি যে ছাত্রটা সব স্তর পার হয়ে এখানে এসে ঠোক্কর খাচ্ছে তার কথা! আসলে প্রতিটা জিনিসই একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত, যে কথাগুলো উঠেছে, তার প্রতিটিই! আমার তো মনে হয় না, এসব প্রশ্ন এর আগে আপনাদের মনে উঠেছে ! আমি আবারো বলছি, আমি 'এককালীন' এতো টাকা নেওয়ার বিরুদ্ধে, আসলে এতো টাকা নেওয়ারই বিরুদ্ধে, কিন্তু যেহেতু সমাধানের রাস্তা দেওয়া যাচ্ছে না, তাই আপাতত কয়েক কিস্তিতে টাকাটা নেওয়া হোক না! এটা তো খুব কঠিন বিষয় না! করা হোক, জোর দাবি জানালাম!

যাই হোক, পারিপার্শ্বিকতা বলতে আপনি কি বুঝালেন? যদি সত্যি আপনি পারিপার্শ্বিক শব্দটির অর্থ জেনে থাকেন, তাহলে যারা আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, কেন বর্তমান পারিপার্শ্বিকতায় আইইউটি তে মেয়েদের ভর্তি নেয়া সম্ভব নয়, তা বোঝার কথা ছিল। এটাকে লিংগ বৈষম্য না বলে বলুন, উপযুক্ত অবকাঠামো এবং ওআইসির সদিচ্ছার অভাব, তথা পারিপার্শ্বিকতা । আইইউটির কতৃপক্ষ কিন্তু চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

আমার কথা তো আমি আমার মন্তব্যেই বলেছি! আইইউটি প্রতিষ্ঠার এতো বছর পরেও কেন জিনিসটা হল না? পারিপার্শ্বিকতার চেঞ্জ ও তো আসে, আইইউটি'র ক্ষেত্রে কেন এত দিনেও তা আসলো না?

আমরা আইইউটিয়ানরা কখনোই চাই না, আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েরা ভর্তি হোক। কেননা মেয়েরা ভর্তি হলে তাদের পেছনে আপনার মত লুইচ্চা শ্রেণীর মানুষও আইইউটিতে আসা যাওয়া শুরু করবে। এতে আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হবে।

আপনার আরেক বন্ধুর বা ভাইয়ের মন্তব্য! দেখে কি মনে হচ্ছে? আরে ভাই, আমাকে কিছু বলার আগে এদের কিছু বলেন, যাতে মাথায় কিছু অন্তত নিয়ে মন্তব্য করতে আসে! তার মন্তব্য পড়ে কি মনে হচ্ছে পারিপার্শ্বিকতা কোনও সমস্যা?

এইটা তো জোর গলায় বলার মতই একটা বিষয়, তাই না? আপনার মত কিছু মানুষ বাধ্য করে বলতে। আমরা কোথাও আমাদের ঢাকঢোল পিটাই না।

বুয়েটিয়ানদের কেন কেউ বাধ্য করে না? বলুন তো? ভেবে জবাব বের করুন!আর নিজের ঢাকঢোল আপনারা ভালোই পেটাতে পারেন, নিদর্শন আইইউটিয়ানরাই দেখিয়েছে, এমনকি ল্যানে গেমস খেলা, পর্ণ দেখার মধ্যেও আপনারা মাহাত্ম্য খুজে পান!

ভাই, আইইউটিতে পড়া উন্নত চিন্তাধারা সম্বলিত কোনও ছাত্র যদি এইসব মন্তব্য (আপনার গুলো না, অন্য যেগুলো দেখালাম সেগুলো) করে, তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমাদের আশঙ্কাই কি সত্যি প্রমানিত হয় না? এটা মানি, মেজরিটি হয়ত আপনার মত, কিন্তু আপনারা কেন এদের মানসিকতার উন্নয়নে কাজ করেন না? সমালোচনা করা হয় কোনো কিছু পরিবর্তন করার জন্যই, আপনারা সেই জিনিসটাও নেগেটিভলি নিলেন, খারাপ লাগলো!

যাই হোক, ভালো থাকবেন! আর দেশ ও বিশ্বকে অনেক কিছু দেবেন!

কাকতাড়ুয়া এর ছবি

প্রথম বক্তব্যের সুরটা অনেকটা রূড় লাগছে, পরের বক্তব্যে তা ভালোভাবে বুঝিয়ে বলা হয়েছে!

আপনি নিজেই বলে দিলেন। আমি যা বুঝাতে চেয়েছি তা হল, আপনার রূড় কথাটা অযৌক্তিক কিছু নয়, কিন্তু সবাই এটাকে ভালোভাবে নিতে পারেনি সেটা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। সে তুলনায় আপনার কমেন্টের লিখাটা (এই টপিকের ক্ষেত্রে) বেশ ভালো হয়েছে। নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় তো সবাই ই ভালোবাসে। এসব ক্ষেত্রে একটু সুন্দর করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজনীয়তা আছে, নাহলে অনেকেই ভালোভাবে নিতে পারে না, যেটা ঘটেছে আপনার মূল লেখার ক্ষেত্রে।

মেম্বার কান্ট্রিগুলো ডোনেশন এর টাকা কোথায় পায়? পাব্লিকের ট্যাক্স থেকেই তো, না? এতে তো আইইউটি পরিচালনায়ই অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অংশগ্রহন দেখা যাচ্ছে, তাহলে পড়তে কেন দেওয়া হচ্ছে না?

গুড পয়েন্ট হাসি

পারিপার্শ্বিকতার চেঞ্জ ও তো আসে, আইইউটি'র ক্ষেত্রে কেন এত দিনেও তা আসলো না?

ওআইসির সদিচ্ছার অভাব। আইইউটি থেকে কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা করা হচ্ছে একটা কিছু ব্যবস্থা করার (ওআইসি এবং সরকারী সাহায্যের আবেদন করা হয়েছে)। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব তো দেখি না। হাসি

আপনার আরেক বন্ধুর বা ভাইয়ের মন্তব্য! দেখে কি মনে হচ্ছে?

মনে হচ্ছে আপনার উপর প্রচন্ড রেগে আছে দেঁতো হাসি

বুয়েটিয়ানদের কেন কেউ বাধ্য করে না? বলুন তো? ভেবে জবাব বের করুন!আর নিজের ঢাকঢোল আপনারা ভালোই পেটাতে পারেন, নিদর্শন আইইউটিয়ানরাই দেখিয়েছে, এমনকি ল্যানে গেমস খেলা, পর্ণ দেখার মধ্যেও আপনারা মাহাত্ম্য খুজে পান!

ভেবে জবাব বের করতে পারছি না। ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে কুলোচ্ছে না, আপনিই ধরিয়ে দিন না।
আইইউটি কে নিয়ে না জেনেই অনেকে অনেক মন্তব্য করেন, যেটা আসলে আমাদের জন্য অপমানজনক, যেমন এটা "জেলখানা", "মাদ্রাসা" - আপনি নিজেই তো লিখলেন। তো এদের/আপনাদের মত মানুষরা কি আমাদের বাধ্য করে না?
আর বুয়েটিয়ানদের বাধ্য করার কিছু নেই, বাধ্য করলেও ওরা আমাদের উত্তরগুলো দিতে পারবে না। কোন রকম বিতর্কে না যেয়ে বলতে চাই, বুয়েট তো আইইউটি না, আর বুয়েটের বয়স ও আইইউটির চেয়ে অনেক বেশি। ওদের সম্বন্ধে তো দেশের সবাই কমবেশি জানে, অন্যদিকে আইইউটি সম্পর্কে না জেনে উলটাপালটা কথা বলার লোকের সংখ্যাটা নেহায়েত কম না। আর তাই সব সময় চুপ করে সহ্য করাটা সম্ভব হয়ে উঠে না।

আর নিজের ঢাকঢোল আপনারা ভালোই পেটাতে পারেন, নিদর্শন আইইউটিয়ানরাই দেখিয়েছে, এমনকি ল্যানে গেমস খেলা, পর্ণ দেখার মধ্যেও আপনারা মাহাত্ম্য খুজে পান!

নারে ভাই, আমরা নিজেদের এত মহান ভাবি না, নিতান্তু ঠেকায় পড়ে এই ধরনের কথাগুলা বলতে হচ্ছে, তা না হলে মাদ্রাসার ছাত্র, জেলখানার কয়েদী- আরও কত বিশেষণ যে গ্রহণ করতে হবে কে জানে।

আইইউটিতে পড়া উন্নত চিন্তাধারা সম্বলিত কোনও ছাত্র যদি এইসব মন্তব্য (আপনার গুলো না, অন্য যেগুলো দেখালাম সেগুলো) করে, তাহলে আপনাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে আমাদের আশঙ্কাই কি সত্যি প্রমানিত হয় না?

না হয়না। কারণ, প্রথমত, আপনি শুধু দুইজনের মন্তব্যকে ধরে এই সিদ্ধান্তে চলে আসতে পারেন না। দ্বিতীয়ত, একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন, মন্তব্যে আপনাকে আক্রমন করার কারণ হচ্ছে আপনার লিখার ধরন, যা আইইউটিয়ান হিসাবে ওদের কাছে হয়ত অপমানজনক লেগেছে । আমি নিজে কখনই এই মন্তব্যের কথা গুলোকে সমর্থন করি না। এবং আমার দলটাই যে ভারী তা কিন্তু এখানকার আরও অনেক মন্তব্য থেকেই প্রমাণ হয় হাসি
মতামতের ভিন্নতা সব জায়গাতেই থাকবে। আর বুঝানোর কাজটি তো মনে হয় সচলেই হয়ে গেল।

সমালোচনা করা হয় কোনো কিছু পরিবর্তন করার জন্যই, আপনারা সেই জিনিসটাও নেগেটিভলি নিলেন, খারাপ লাগলো

পরিবর্তনের দিকনির্দেশনার কোন কিছুই যে সমালোচনায় থাকে না, তাকে কি করে গঠনমূলক বলি বলুন?

আপনিও ভালো থাকবেন। হাসি

আশফিক অনিক এর ছবি

দাড়ান,দাড়ান,

আই.ইউ.টি কে অনেকে মাদ্রাসা, জেলখানা বলে থাকেন। আমি এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ই বলব,

আমি তো এই কথাটাই বললাম! আমি মাদ্রাসা,জেলখানা বললাম কই? শুধু অনেকে বলে সে কথাই মনে করিয়ে দিয়েছি!

নিদ্রাতুর এর ছবি

কাকতাড়ুয়া ভাই,

আইইউটি সাম্প্রদায়িকতার উন্মেষ ঘটায়" জাতীয় কথা বার্তা স্বভাবতই এর ছাত্রদের কারো ভালো লাগার কথা না। কারণ, প্রথমত, নিয়মটি তাদের করা না। দ্বিতীয়ত, এখানে তাদের কিছু করার সুযোগটা খুব ই সীমিত (কিন্তু একেবারেই নেই তা বলছি না)। আমার কাছে আইইউটির সবাই এই নিয়মটি সমর্থন করে যাচ্ছে ব্যাপারটি এমন ও মনে হয়নি।

আইইউটি সাম্প্রদায়িকতার উন্মেষ ঘটায় না বলতে চান ? একটি দেশে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শুধুমাত্র সেই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মাবলম্বীদের জন্য । এটাকে আপনি সাম্প্রদায়িক বলবেন না কোন যুক্তিতে ? আচ্ছা কল্পনা করুন তো আপনি বাংলাদেশে না জন্মিয়ে জন্মালেন ইংল্যান্ডের কোন মুসলিম পরিবারে ,সেইখানে আছে ক্যাম্ব্রিজ নামে একটা বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান ছাড়া কেউ পড়তে পারে না ( কল্পনা করতে বলছি , এটা সত্য নয় ) । তাহলে আপনি কি করতেন ? ক্যামব্রিজ বা অক্সফোর্ডে যদি প্রোটেস্ট্যান্ট বাদে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ভর্তির অধিকার কেড়ে নেওয়া হত , মুসলিম হিসেবে ব্যাপারটা কিভাবে নিতেন আপনি ? একটু কল্পনা করুন ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন আই ইউ টির মত প্রতিষ্ঠান স্থাপন এদেশের সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের প্রতি কতটা বৈষম্যমূলক আচরণ । আর এই ঘটনাগুলোর জন্য আই ইউ টির ছাত্রদের দোষ দেওয়ার ও কিছু নেই । এটা তো ছাত্ররা প্রতিষ্ঠা করেনি , এর নীতিও ছাত্ররা নির্ধারণ করেনি । করেছে ও আই সি ।

ব্যাপারটা তো এমন নয় যে, আইইউটির ছাত্ররা হিন্দু বা অন্য ধর্মের ছাত্রদের ভর্তির বিরোধিতা করছেন, বরং আপনারা যেভাবে আই ইউ টি কে "সাম্প্রদায়িক সাম্প্রদায়িক" বলে ধুয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন, সেটার বিরুদ্ধে দাড়ানোর চেষ্টাটাই তো বেশি দেখতে পাচ্ছি।

আগেই বলেছি এই ব্যবস্থার জন্য আই ইউ টির ছাত্রদের কেউ দোষারোপ করেনি , করার প্রশ্নই আসে না ।

লেখকের লেখায় আরেকটা জিনিস দেখলামঃ

আমার কথা হল, ও.আই.সি আসলে কি চায়? সারা বিশ্বের মুসলিমদের উন্নতি নাকি তথাকথিত মুসলিম 'রাষ্ট্র' গুলোর উন্নতি? মুসলমানদের উন্নতি চাইলে কেন মুসলিম দেশের বাইরে তাদের কার্যক্রম নেই? আর মুসলিম দেশের উন্নতি চাইলে সে দেশের একটা বিরাট অংশ কেন তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে পারবে না? ভারত ও.আই.সির সদস্য নয়, কিন্তু সেদেশে পৃথিবীর মুসলিম জনগোষ্ঠীর প্রায় দশ শতাংশ বাস করে! মাত্র সাতান্নটি দেশ নিয়ে মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধের কথা বলে প্রতিষ্ঠিত সংগঠনের উদ্দেশ্য এখনও আমার কাছে পরিষ্কার নয়। আর একটি ধর্মাবলম্বীর মানুষের জন্য বিশেষ একটি নামে একটা রাষ্ট্র পরিচিত হবে, এটাই বা কেমন কথা হল? আর অমুসলিম জনগোষ্ঠীর দ্বারা যদি তথাকথিত মুসলিম দেশের উন্নতি হয়, তাহলে সমস্যা কি? কেন অমুসলিমদের একটি আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষালাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে?

এখানে তো ওআইসি'র নীতিমালার সমালোচনা করা হচ্ছে বলেই আমার মনে হয়েছে!অথচ আপনারা বারবার বলছেন কেন ওআইসি'র নীতিমালার জন্য আইইউটি'র বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে! অনেক কমেন্টে দেখলাম "পিছিয়ে পড়া মুসলম জনগোষ্ঠী " নামে একটি কথা বলা হয়েছে , আই ইউ টি নাকি এই "পিছিয়ে পড়া মুসলম জনগোষ্ঠী "দের উন্নতির জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আপনার কি মনে হয় ? মুসলিম দের মধ্যে পিছিয়ে পড়া অংশ কোনটা ? ভারত বা অন্য যেই সব দেশে মুসলিম রা সংখ্যালঘু তারা নাকি আমাদের কথিত "মুসলিম"রাষ্ট্র গুলোর মুসলিম রা ?
পোস্ট টির আর একটি অংশ -

আই.ইউ.টিতে রাজনীতি নিষিদ্ধ, এটুকু জানি। কোনও রকম সংগঠনও নাকি করা যায় না। কিন্তু পাশাপাশি প্রায়ই শোনা যায় শিবিরের ইন্টারনাল কার্যক্রম এর কথা। আই.ইউ.টির ছাত্রকে অতীতে জঙ্গিবাদের সাথেও জড়িয়ে পড়তে দেখা গেছে।

পড়ে রাগ লেগেছিল প্রথমে যে পোস্ট টা দিয়েছে তার প্রতি । ব্যাটা যেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বেশী জানিস না তাকে নিয়ে এতবড় কথা বলার সাহস পাস কোথা থেকে ? পরে বুঝলাম, লেখকের কথা মিথ্যা নয় । আর এটা বুঝলাম কিছু আই ইউ টিয়ান এর কমেন্ট দেখে -

একবার এক শেয়াল তার নিজের লেজ কেটে ফেলেছিল। তারপর সে সব শেয়ালকে ডেকে ডেকে বলতে থাকে যে লেজ অনেক নোংড়া দেখায়, এটা কোন কাজে আসেনা, এই বলে বাকি সব শেয়াল কে তাদের লেজ কেতে ফেলতে বলে। বাকি শেয়াল গুলাই ওই কুবুদ্ধিদাতা শেয়াল এর কথা বিশ্বাস করেনি সেখানে আপনার কুবুদ্ধি গুলা মানুষ কিভাবে নিবে? আজে বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের কথা ভাবেন, নিজের সমা্‌ নিজের দেশের কথা ভাবেন।

যাই হোক লেখক যে IUT তে চান্স না পাওয়ার ক্ষোভ অথবা IUT থেকে বের হওয়া কারও উচ্চ সাফল্য দেখে ঈর্সান্বিত হয়েছেন এবং কমেন্ট পেয়ে পপুলার হওয়ার জন্য পোস্ট দিয়েছেন, আমি স্বল্প জ্ঞানে তা বুঝতে পেরেছি......

আমি " কল্পিত গল্প লিখন " এবং " পরশ্রীকাতরতা " এর বিষয়ে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার জোরালো দাবি জানাই.....

আপনাদের মত "আধুনিক" মানুষের কাছে আইইউটি ক্যাম্পাসে মেয়েদের অনুপস্থিতি মধ্যযুগীয় ঠেকবে, এটাই স্বাভাবিক। কেননা আপনারা মুক্তমনা, আপনারা ধর্মের শিকলে নিজেকে আটকে রাখতে চান না। সবচেয়ে বড় কথা কি জানেন? আমরা আইইউটিয়ানরা কখনোই চাই না, আমাদের ক্যাম্পাসে মেয়েরা ভর্তি হোক। কেননা মেয়েরা ভর্তি হলে তাদের পেছনে আপনার মত লুইচ্চা শ্রেণীর মানুষও আইইউটিতে আসা যাওয়া শুরু করবে। এতে আমাদের ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হবে। আমরা এমনিতেই বহুত শান্তিতে আছি। আমাদের শান্তিতে থাকতে দেখে আপনার যে পাইলসের ব্যথা শুরু হয়েছে, সেটাও দিবালোকের মত পরিষ্কার।

আসলে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার আমদানীকারক আপনার মত তথাকথিত মুক্তমনা আর আধুনিকরাই। বাংলাদেশে আগে কখনোই সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ছিল না, আপনারাই মানুষের মনে এর বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আইইউটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের পথে কোন বাঁধা নয়, বাঁধা আপনার মত মানুষেরাই। আপনাদের সমস্যাই হচ্ছে আপনারা ভালো কোন বিষয়কেই ভালো বলে মানতে চান না। আপনাদের মত ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চাগুলোকে যেদিন দেশ থেকে এক লাত্থি দিয়ে বের করে দেওয়া হবে, সেদিনই দেশটা প্রকৃত সোনার বাংলা হবে।

এগুলো আই ইউ টিতে ভর্তির ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য , ধর্মীয় বৈষম্য আর অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে বলা লেখকের কথার প্রেক্ষিতে আই ইউ টিয়ান দের জবাব । ভাই "শিবির" কথাটা দ্বারা একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীকে বোঝায় যারা উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল মনোভাবের জন্য কুখ্যাত, এখন বলুন উপরের কমেন্টগুলো কি উগ্র প্রতিক্রিয়াশীলতার নিদর্শন নয়?আই ইউ টির ছাত্ররা সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেন এর পর তাদের মানসিকতাকে শিবিরকর্মীদের চেয়ে উন্নততর বলে মেনে নিতে পারছি না । লেখকের কথাটা অন্য দিক দিয়ে সত্য হয়ে গেল এইবার। আই ইউ টিতে এই ধরণের মনোভাবাপন্ন ছাত্ররাও আছে এটা কিন্তু আপনাদের জন্য বেশ লজ্জার । বুঝতে পারছেন ?

আপনি আসলে আই ইউ টির কোন সিস্টেমের সাথে মাদ্রাসার মিল দেখতে পাচ্ছেন বোধগম্য নয়। আর আপনার সমস্যা এবং উদ্দেশ্য টা শেষে এসে বেশ ভালো মতই বোঝা যাচ্ছে। আপনি আইইউটি কে ট্যাগ করতে চাচ্ছেন মাদ্রাসা, জেলখানা, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদ ইত্যাদি বিশেষণে। এর উন্নয়ন কিংবা সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশের বুলি আউড়ানো বন্ধ করে সরাসরি ই বলুন না, "ওগো দেইখা আমার জ্বলে..."।

দেখুন মাদ্রাসাগুলো অন্তত ভর্তির ক্ষেত্রে মুসলমানদের মধ্যে ধনী- গরীব ভেদাভেদ করে না আর মাদ্রাসার টিউশন ফি ও আই ইউ টির মত আকাশচুম্বী হয় না । আর মাদ্রাসা বলায় কষ্ট পেলেন ? আই ইউ টিকে যে অনেকে মাদ্রাসা বলে এটা আপনিও জানেন যদিও লেখক মাদ্রাসা বলেনি , তবু আই ইউ টিকে মাদ্রাসা বলা হয় - কথাটি মনে করিয়ে দেওয়ায় আপনি কষ্ট পেয়েছেন । একটা ব্যাপার- মাদ্রাসাগুলো মুসলমানদের দ্বীনের শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য প্রতিষ্ঠিত , আর ও আই সি "মুসলিম বিশ্বের" মুসলিমদের পার্থিব উন্নতির জন্য আই ইউ টি প্রতিষ্ঠিত করেছে । তাই আই ইউ টিকে মাদ্রাসা বলে মহিমান্বিত করার কোন সুযোগ নেই ।

এইটা তো জোর গলায় বলার মতই একটা বিষয়, তাই না? আপনার মত কিছু মানুষ বাধ্য করে বলতে। আমরা কোথাও আমাদের ঢাকঢোল পিটাই না।

কেন শুধু আপনাদের জোর গলায় বলতে বাধ্য করা হয় ? কেন বুয়েটিয়ানদের জোর গলায় বলতে বাধ্য করা হয় না ? যদি বলতে চান আমরা আপনাদের হিংসা করি তাহলে বলব আইইউটির চেয়ে বুয়েট এর রেপুটেশন কোন অংশে কম নয় । তবুও ওদের হিংসা না করে আপনাদের করা হয় কেন ? আর কমেন্টের পর কমেন্টে ও এরপর একটি পাল্টা পোস্টে যেইভাবে আই ইউ টির ঢাকঢোল পিটানো হল তা "ফেয়ার এন্ড লাভলী"র বিজ্ঞাপনে যেইভাবে এই "কথিত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম" এর প্রশংসা করা হয় তাকে ছাড়িয়ে গেছে ।

এইবার বলি অন্য একটা ব্যাপারের কথা । আমরা অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলতে পারি । যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ দেশের সর্বস্তরের মানুষ করেছে তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এই রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়নি যেমন আপনারা দেখালেন । আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট নিয়ে যখন কথা বলি তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্বাগত জানিয়েছে , কেউ একথা বলেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজে পড়তে পারিনি বলে ঈর্ষান্বিত হয়ে এগুলো বলেছি । জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ করার সময়ও সেখানকার কোন ছাত্র এই ধরণের মন্তব্য করেনি যা আপনারা এই পোস্টে করলেন । কুয়েট এ সাধারণ ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা যখন করেছি কুয়েটিয়ানরা ক্ষেপে আমাদের "লুইচ্চা" , "নাস্তিক " এই ধরণের গালাগাল করেনি । আপনারা করলেন। তাও আই ইউ টির ভর্তির সময় কিছু বৈষম্যের কথা বলায় । এর দ্বারা কি বুঝব ?

কাকতাড়ুয়া এর ছবি

১। আপনার দুই/তিন জন আইইউটিয়ানের প্রতিক্রিয়া এবং মন্তব্য জেনারালাইজ করে পুরো আইইউটিয়ানদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টাটা ভালো লাগেনি, যেটা আপনি করেছেন এখানেঃ

আই ইউ টির ছাত্ররা সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেন এর পর তাদের মানসিকতাকে শিবিরকর্মীদের চেয়ে উন্নততর বলে মেনে নিতে পারছি না ।

এবং এখানেও

কুয়েট এ সাধারণ ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা যখন করেছি কুয়েটিয়ানরা ক্ষেপে আমাদের "লুইচ্চা" , "নাস্তিক " এই ধরণের গালাগাল করেনি । আপনারা করলেন।

২।

আইইউটি সাম্প্রদায়িকতার উন্মেষ ঘটায় না বলতে চান ?

আশা করি আমার পরের লাইনগুলো আরেকটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে বুঝতে পাড়বেন।
৩। আপনি লিখলেন যে আই ইউ টির ছাত্রদের দোষ দেয়ার কিছু নাই,

আর এই ঘটনাগুলোর জন্য আই ইউ টির ছাত্রদের দোষ দেওয়ার ও কিছু নেই । এটা তো ছাত্ররা প্রতিষ্ঠা করেনি , এর নীতিও ছাত্ররা নির্ধারণ করেনি । করেছে ও আই সি ।

অথচ পরে লিখলেন,

আইইউটির চেয়ে বুয়েট এর রেপুটেশন কোন অংশে কম নয় । তবুও ওদের হিংসা না করে আপনাদের করা হয় কেন ?

তো আমার প্রশ্ন হল যদি আই ইউ টির ছাত্রদের দোষ না দেয়া যায়, তাহলে হিংসাটা কেন করা যায় একটু বলুন তো।
৩।

এখানে তো ওআইসি'র নীতিমালার সমালোচনা করা হচ্ছে বলেই আমার মনে হয়েছে!অথচ আপনারা বারবার বলছেন কেন ওআইসি'র নীতিমালার জন্য আইইউটি'র বিরুদ্ধাচরণ করা হচ্ছে!

আমিও তো সে কথাই বলছি, লিখুন না এই শিরোনামে, "ওআইসি নিয়ে কিছু কথা", আমরা সহমত জানায় যাবো, তার বদলে কেন আই ইউ টি নিয়ে এত কথা। এখন নিশ্চয়ই বলে বসবেন

আইইউটি নিয়ে লেখা হবে কারণ এটা একটা প্রক্রিয়ার ফলাফল অংশ

আমার কথা হল, তাহলে আগে প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলুন, তারপর সেই প্রক্রিয়ার খারাপ ফলাফল (আপনাদের মতে আইইউটি) এর উদাহরন দিন। উলটো পথে হাটা কেন?
৪।

আই ইউ টির ছাত্ররা সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে যেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখালেন এর পর তাদের মানসিকতাকে শিবিরকর্মীদের চেয়ে উন্নততর বলে মেনে নিতে পারছি না । লেখকের কথাটা অন্য দিক দিয়ে সত্য হয়ে গেল এইবার। আই ইউ টিতে এই ধরণের মনোভাবাপন্ন ছাত্ররাও আছে এটা কিন্তু আপনাদের জন্য বেশ লজ্জার ।

যদি আমরা ব্যাপারটাকে দেখার চেষ্টা করি লেখকের রূঢ় কথার জবাব দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা (এবং আমার মতই লেখালেখির অভ্যাস না থাকা) কয়েকজন আইইউটি প্রেমিকের মন্তব্য হিসাবে, তাহলে লজ্জাটা একটু কমে যাচ্ছে হাসি
৫।

দেখুন মাদ্রাসাগুলো অন্তত ভর্তির ক্ষেত্রে মুসলমানদের মধ্যে ধনী- গরীব ভেদাভেদ করে না আর মাদ্রাসার টিউশন ফি ও আই ইউ টির মত আকাশচুম্বী হয় না । আর মাদ্রাসা বলায় কষ্ট পেলেন ? আই ইউ টিকে যে অনেকে মাদ্রাসা বলে এটা আপনিও জানেন যদিও লেখক মাদ্রাসা বলেনি , তবু আই ইউ টিকে মাদ্রাসা বলা হয় - কথাটি মনে করিয়ে দেওয়ায় আপনি কষ্ট পেয়েছেন ।

আমার লিখায় কখনই মাদ্রাসা শব্দটি এককভাবে আসে নি, এসেছে আরও কয়েকটি শব্দের সাথে (জেলখানা, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি)। আমি বলতে চেয়েছি, আইইউটি নিয়ে না জেনে কথা বলার লোক কিন্তু কম দেখি না। বরং জেনেও উলটাপালটা বলছে এমন ও দেখেছি। আপনার কথাই ধরুন না, আই ইউ টির টিউশন ফি বেশী, মেনে নিলাম - তাই বলে আকাশচুম্বী? হাসলাম। আন্তর্জাতিক বাদ দিন, বাংলাদেশেই (সরকারী নয় এমন) উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণগুলোর টিউশন ফি সম্পর্কে কি ধারনা রাখেন? আপনি আসলে কি চান, আই ইউ টি ছাত্রদের জন্য ফ্রি করে দেয়া হোক, তাহলে অর্থের জোগানটা কোত্থেকে আসবে একটু জানাবেন। আমি যদ্দুর জানি, ওআইসির কাছে টাকা বানানোর মেশিন নাই।
উপরে এক (উগ্র) আইইউটিয়ান কিন্তু রীতিমত হিসাব কষে বুঝিয়ে দিলেন যে টিউশন ফি টা খুবই সহনীয় পর্যায়ের (যদিও এককালীন হওয়াতে অনেকের জন্যই সমস্যা), তারপরও এই কথাটা কেন আসল বুঝলাম না। আপনি বুঝতে পারেন নি, না বুঝার দরকার নাই?
এইটাই বুঝানোর চেষ্টা করছিলাম, আইইউটিকে মাদ্রাসা (আমার লিখায় সাথে আরও শব্দ ছিল, কেন শুধু মাদ্রাসা নিয়ে লিখলেন বুঝলাম না) বলাতে কষ্ট পাইনি, আপনার মত লোকদের কথাবার্তা দেখে পাই।
৬।

কমেন্টের পর কমেন্টে ও এরপর একটি পাল্টা পোস্টে যেইভাবে আই ইউ টির ঢাকঢোল পিটানো হল তা "ফেয়ার এন্ড লাভলী"র বিজ্ঞাপনে যেইভাবে এই "কথিত ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম" এর প্রশংসা করা হয় তাকে ছাড়িয়ে গেছে ।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন যে, আইইউটির যারা আইইউটিকে নিয়ে যা কিছু লিখেছে, কারো না কারো কথার উত্তরেই লিখেছে (১/২ জনকে গুনলাম না)। এখন কারো কোন কথার উত্তরে যদি আইইউটির ভালো কোন দিক চলে আসে, তাহলে তাকে ঢাকঢোল পিটানোর সাথে তুলনা করার কি আছে কিছুই বুঝলাম না। তাহলে আমার লিখাতেও আমি অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে গেলাম নাকি? হাসলাম।
৭।

এইবার বলি অন্য একটা ব্যাপারের কথা । আমরা অনেক বিষয় নিয়েই কথা বলতে পারি । যখন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ দেশের সর্বস্তরের মানুষ করেছে তখন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এই রকম প্রতিক্রিয়া দেখায়নি যেমন আপনারা দেখালেন । আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশন জট নিয়ে যখন কথা বলি তখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা স্বাগত জানিয়েছে , কেউ একথা বলেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কলেজে পড়তে পারিনি বলে ঈর্ষান্বিত হয়ে এগুলো বলেছি । জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রহত্যার প্রতিবাদ করার সময়ও সেখানকার কোন ছাত্র এই ধরণের মন্তব্য করেনি যা আপনারা এই পোস্টে করলেন । কুয়েট এ সাধারণ ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা যখন করেছি কুয়েটিয়ানরা ক্ষেপে আমাদের "লুইচ্চা" , "নাস্তিক " এই ধরণের গালাগাল করেনি । আপনারা করলেন। তাও আই ইউ টির ভর্তির সময় কিছু বৈষম্যের কথা বলায় । এর দ্বারা কি বুঝব ?

আপনার কিছু বুঝার দরকার নাই, কিন্তু আমি যা বুঝলাম, তা হল কয়েকজনের (২/৩) মন্তব্য জেনারালাইজ করে দোষটা পুরা আইইউটির উপর চাপিয়ে দিলেন। যা আসলে কুরুচিপূর্ণ।

নিদ্রাতুর এর ছবি

তো আমার প্রশ্ন হল যদি আই ইউ টির ছাত্রদের দোষ না দেয়া যায়, তাহলে হিংসাটা কেন করা যায় একটু বলুন তো।

হিংসা করা হয় কথাটা ছিল আপনাদের , আমি প্রশ্ন রেখেছিলাম কেন হিংসা করা হবে আপনাদের? কেন বুয়েটিয়ান দের বাদ দিয়ে আপনাদের পিছনে লেগেছে নিংসুটেরা ? এর সদুত্তর না দিয়ে প্রশ্নটা দেখি আমার দিকেই ফিরিয়ে দিলেন ।

একটু দেখুন তো কমেন্ট গুলো-

একবার এক শেয়াল তার নিজের লেজ কেটে ফেলেছিল। তারপর সে সব শেয়ালকে ডেকে ডেকে বলতে থাকে যে লেজ অনেক নোংড়া দেখায়, এটা কোন কাজে আসেনা, এই বলে বাকি সব শেয়াল কে তাদের লেজ কেতে ফেলতে বলে। বাকি শেয়াল গুলাই ওই কুবুদ্ধিদাতা শেয়াল এর কথা বিশ্বাস করেনি সেখানে আপনার কুবুদ্ধি গুলা মানুষ কিভাবে নিবে? আজে বাজে চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের কথা ভাবেন, নিজের সমা্‌ নিজের দেশের কথা ভাবেন।

যাই হোক লেখক যে IUT তে চান্স না পাওয়ার ক্ষোভ অথবা IUT থেকে বের হওয়া কারও উচ্চ সাফল্য দেখে ঈর্সান্বিত হয়েছেন এবং কমেন্ট পেয়ে পপুলার হওয়ার জন্য পোস্ট দিয়েছেন, আমি স্বল্প জ্ঞানে তা বুঝতে পেরেছি......

আমি" কল্পিত গল্প লিখন " এবং " পরশ্রীকাতরতা " এর বিষয়ে নোবেল প্রাইজ দেওয়ার জোরালো দাবি জানাই.....

এখন আবার বলে বসবেন না এরা বিচ্ছিন্ন কিছু আই ইউ টি প্রেমিক । এদের মত আপনিও দাবি করেছেন লেখক ঈর্ষান্বিত হয়ে এই পোষ্ট দিয়েছে

আপনার সমস্যা এবং উদ্দেশ্য টা শেষে এসে বেশ ভালো মতই বোঝা যাচ্ছে। আপনি আইইউটি কে ট্যাগ করতে চাচ্ছেন মাদ্রাসা, জেলখানা, সাম্প্রদায়িক ইত্যাদ ইত্যাদি বিশেষণে। এর উন্নয়ন কিংবা সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশের বুলি আউড়ানো বন্ধ করে সরাসরি ই বলুন না, "ওগো দেইখা আমার জ্বলে..."।

সুতরাং আই ইউ টিকে হিংসা করা হয় আপনাদের দাবি, আমার নয় । যেহেতু এই দাবি আপনারা তুলেছেন কেন হিংসা করা হবে খুঁজে বের করার দায়িত্বও আপনাদের দিলাম ।

যদি আমরা ব্যাপারটাকে দেখার চেষ্টা করি লেখকের রূঢ় কথার জবাব দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা (এবং আমার মতই লেখালেখির অভ্যাস না থাকা) কয়েকজন আইইউটি প্রেমিকের মন্তব্য হিসাবে, তাহলে লজ্জাটা একটু কমে যাচ্ছে

এভাবে দায় এড়ানোটা আপনার কাছ থেকে আশা করিনি। কারণ পোষ্টের কোন কথাই আমার কাছে রূঢ় লাগেনি যে এভাবে জবাব দিতে হবে । আমার কাছে বরং মনে হয়েছে পোষ্টটাকে দুর্বলভাবে কিছু বলার চেষ্টা বলে মনে হয়েছে । কেউ কেউ "আপনি নাস্তিক হলে আপনার বাপ মায়ের দোষ " বলে বাপ মাকে পর্যন্ত এনেছে এর মধ্যে । আপনি এদের মধ্যে কোন দোষ খুঁজে পান না ? এইগুলো কেবল রেগে গিয়ে বলা কথা ? এগুলো কি লেখক বা এই ধরণের দাবি যারা তুলবে তাদের প্রতি এইসব আই ইউ টিয়ানদের ঘৃণা ও প্রতিহিংসাপরায়ন মনোভাবের বহিপ্রকাশ নয় ?

আই ইউ টির টিউশন ফি বেশী, মেনে নিলাম - তাই বলে আকাশচুম্বী? হাসলাম। আন্তর্জাতিক বাদ দিন, বাংলাদেশেই (সরকারী নয় এমন) উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণগুলোর টিউশন ফি সম্পর্কে কি ধারনা রাখেন? আপনি আসলে কি চান, আই ইউ টি ছাত্রদের জন্য ফ্রি করে দেয়া হোক, তাহলে অর্থের জোগানটা কোত্থেকে আসবে একটু জানাবেন। আমি যদ্দুর জানি, ওআইসির কাছে টাকা বানানোর মেশিন নাই।

আবারো উচ্চ টিউশন ফির প্রতি সাফাই গাওয়ার প্রাণান্তকর প্রচেস্টা । আপনারাই দাবি করেন আই ইউ টি নাকি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। পরিবেশ , কারিকুলাম , সেশন জট সব কিছুর বেলায় তুলনা আনলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে । আর যখনই টিউশন ফির কথা উঠে এল তখন তুলনাটা এল প্রাইভেট ভার্সিটির সাথে। কেন ভাই ? যখন আই ইউ টিকে আন্তর্জাতিক ভার্সিটি বলে দাবি করেন তখন টিউশন ফির ক্ষেত্রে তুলনাটা কি সরকারী বা পাবলিক ভার্সিটিগুলোর সাথে হওয়া উচিত না ?আমাদের সরকার যদি পাবলিক ভার্সিটিগুলোতে কম খরচে সার্বজনীন মানসম্মত উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারে , ও আই সি কেন পারবে না আই ইউ টির খরচকে সদস্য দেশসমূহের মানুষের আর্থিক অবস্থার সাথে মানানসই করতে ? আর নিত্যদিনের যে বাজার দরের হিসেব আপনার কথিত ওই আই ইউ টি প্রেমিক দিল, কোন স্টুডেন্ট যদি এর চেয়ে অল্পে তুষ্ট থাকে তাহলে সে কি কিছু টাকা কম দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে শুধু শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে ভর্তি হতে পারবে ? বেশীরভাগ বাঙ্গালীর চাহিদা কিন্তু খুব বেশী না , অনেকে শুধু পড়াশুনা করতে চায়, রাজার হালে জীবন যাপন করার মতো হলে থাকতে চায় না।

একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পারবেন যে, আইইউটির যারা আইইউটিকে নিয়ে যা কিছু লিখেছে, কারো না কারো কথার উত্তরেই লিখেছে (১/২ জনকে গুনলাম না)। এখন কারো কোন কথার উত্তরে যদি আইইউটির ভালো কোন দিক চলে আসে, তাহলে তাকে ঢাকঢোল পিটানোর সাথে তুলনা করার কি আছে কিছুই বুঝলাম না। তাহলে আমার লিখাতেও আমি অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে গেলাম নাকি? হাসলাম।

এই ঢাক ঢোল পেটানোর অংশটা সত্যিই বিরক্তিকর ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস তুল্য ক্যাম্পাসের পরিবেশ , উন্নত কারিকুলাম, সেশনজটমুক্ত প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি মুক্ত প্রতিষ্ঠান, বড়ভাই ছোটভাই মধুর সম্পর্ক এসব থেকে শুরু করে কাপড় আয়রন করা , উন্নত খাওয়া দাওয়া, বই পুস্তকের খরচ , এমনকি ল্যানে গেম খেলা, হিন্দুদের নিয়ে একসাথে পর্ণ দেখা , মুভি দেখা । আপনারা বাদ দিলেন কোনটা বলুন না ! অথচ মূল প্রসঙ্গ ছিল ভর্তির ক্ষেত্রে হিন্দু মুসলিম ,নারী পুরুষ, ধনী গরিব বৈষম্য । আপনাদের কেউ প্রশ্ন করেনি সেশন জট নিয়ে, কেউ জানতে চায় নি এইখান থেকে বেরিয়ে কতজন গ্রাজুয়েট কর্মখেত্রে সফল হয়েছে( আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান, এইসব প্রশ্ন রাখার সুযোগ নেই ) আপনারা মূল প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দায়সারা ভাবে আর এইসব ব্যাপার নিয়ে সবাই বিরাট বিরাট বক্তৃতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

আপনার কিছু বুঝার দরকার নাই, কিন্তু আমি যা বুঝলাম, তা হল কয়েকজনের (২/৩) মন্তব্য জেনারালাইজ করে দোষটা পুরা আইইউটির উপর চাপিয়ে দিলেন। যা আসলে কুরুচিপূর্ণ।

পুরো মন্তব্য পড়ে কুরুচিপুর্ণ কয়েকটি শব্দ দেখান যা আই ইউটিয়ানদের কতৃক বর্ষিত মধু অপেক্ষা বেশী মিষ্টি ছিল ।আপনার আগের কমেন্ট টা আর এই কমেন্ট টা পড়ে মনে হচ্ছে অপর পাশে যে লিখছে তার থট রিডিং করে তার আসল "উদ্দেশ্য" বের করার কাজে আপনি "বিশেষ" পারদর্শী ।

লেখকের প্রতি কিছু কথা না বলে পারছি না ।লেখাটি আমার পরামর্শেই লেখা হয়েছিল । যাই হোক আমাকে যখন লেখক লিঙ্কটা দিয়ে পড়তে বললেন , পড়ে কিছুটা হতাশ হলাম। আরো অনেক অনেক স্পষ্ট কথা আশা করেছিলাম লেখকের কাছ থেকে। যাক আফটার অল মন্দ লাগেনি।

কাকতাড়ুয়া ভাই , আমরা আশা করি এ প্রিথিবীটা একদিন বদলে যাবে এক অসাম্প্রদায়িক বিশ্বে । সে জন্য আগে চাই প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব রকম বৈষম্য থেকে মুক্ত করা । আপনি কি আমাদের সাথে একমত? যদি একমত হন তাহলে আমাদের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে আমাদের চাওয়াটাকে জোরালো করুন । যদি আগেই আমাদের "উদ্দেশ্য" বুঝে বসে থাকেন তাহলে আপনাকে এইগুলো বলা অর্থহীন হয়ে গেল ।

ভালো থাকবেন ।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

অভিযোগ আসছে, সবাই খালি সমস্যা দেখায়ে চলে যাচ্ছে, সমাধান করছে না। 'সাজেশানস' দিচ্ছে না। আইইউটির শিক্ষার্থীদের জন্যে এখানে কিছু 'সাজেশানস'।

১) প্রথমে সমস্যাটাকে নিজে নির্ণয় করুন। আইউটিতে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা পড়তে পারে না। কেবল একটা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ পড়তে পারে। আপনি নির্ণয় করতে পারেন যে আইইউটির এই সাম্প্রদায়িক নীতিমালা অগ্রহণযোগ্য। বা ভাবতে পারেন যে এই সাম্প্রদায়িকতাই ঠিক আছে। কোনটা নির্ণয় করলেন এসে জানিয়ে যেতে পারেন।

২) যদি মনে করেন এই অসাম্প্রদায়িকতা অগ্রহণযোগ্য, তাহলে কেনো অগ্রহণযোগ্য সেই যুক্তিগুলো ভালো করে ভেবে সুসংহত করুন।

৩) আপনার সহপাঠীদের সাথে এ নিয়ে কথা বলুন। তাদের পাল্টা যুক্তিগুলো শুনুন। ভুল থাকলে শুধরে দিন/নিন।

৪) পরিশেষে যদি নিশ্চিত হোন যে এই সাম্প্রদায়িক নীতিমালা অগ্রহণযোগ্য, এবং আপনার কিছু সহপাঠীকে যদি সাথে পান, তাহলে একত্রে একটা আবেদন দাখিল করুন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ওআইসি কর্তৃপক্ষ ও সরকারের কাছে। প্রত্যেকের পৃথক বক্তব্য আদায় করুন।

৫) পাশাপাশি বাবা মা ভাই বোন আংকেল চাচ্চুদের সাথে এই নিয়ে কথা বলুন।

৬) আদালতে একটা রিট আবেদন দাখিল করে আসতে পারেন। বা আংকেল চাচ্চুদের কোনো বন্ধুদের সহায়তা নিয়ে এটা করতে পারেন। এটা সরকারের কতোটা এখতিয়ার আর কতোটা না, সরকারের কতোটুকু করণীয়, সেটা আদালতই বের করুক।

এগুলো করার জন্যে আইইউটির শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলেই সবচেয়ে মোক্ষম হয়।

এটুকু করা হয়ে গেছে?

নিদ্রাতুর এর ছবি

এগুলো করার জন্যে আইইউটির শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলেই সবচেয়ে মোক্ষম হয়।

ভাইয়া আমিও একমত এই ব্যাপারে আই ইউ টির শিক্ষার্থীদেরই অগ্রণী ভুমিকাটা নিতে হবে । কিন্তু অন্যরা কিছুতেই দায় এড়াতে পারে না শুধু আই ইউ টি শিক্ষার্থীদের উপর দায়টা দিয়ে । তারা কিন্তু এই ব্যাপারগুলোয় ভুক্তভোগী নয় , যারা ভুক্তভোগী তারা হল আই ইউ টিতে ভর্তিচ্ছু হাজার হাজার ছেলেমেয়ে । তাই এই ব্যাপারটার গুরুত্ব তারা ততটা বুঝবে না যতটা বুঝবে লিঙ্গ , ধর্ম আর অর্থের কারণে এইখানে ভর্তির অধিকার হারানো ছেলেমেয়ে ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।