মহান শাবি ভ্রমণ

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৮/০৫/২০১২ - ৩:৪১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উপলক্ষ্যটা খুব সিম্পল। আলিম আল রাজি ফার্স্ট প্রফ সাপ্লিমেন্টারিতে পাশ করেছে। সেলিব্রেট করা দরকার। সাপ্লিমেন্টারিতে পাশ করেছে এটা কোন উপলক্ষ্য হল? জ্বি জনাব, উপলক্ষ্য। উপলক্ষ্য এই কারনে যে ফার্স্ট প্রফ পরীক্ষা হয় ৩ সাবজেক্টের উপর- এনাটমি, ফিজিওলজি আর বায়োকেমিস্ট্রি। সে গত জুলাই মাসে পরীক্ষা দিয়ে কৃতিত্বের সাথে এনাটমি পরীক্ষায় ফেল করেছে। ফলাফল, জানুয়ারিতে সাপ্লিমেন্টারিতে অংশগ্রহণ। যদি, স্যার না করুক (বিশ্বাসীরা পড়ুন- ঈশ্বর না করুক), সে এনাটমিতে পুরানো গৌরব ধরে রাখতে পারত, তাহলে আগামী জুলাই মাসে তার সদা হাস্যোজ্জ্বল বদনখানি মলিন করে জুনিয়রদের সাথে তিনটি বিষয়েই পরীক্ষায় অংশ নিতে হত।

সকাল দশটায় বাসা থেকে বের হয়েছি। তারপরেই শুরু হয়েছে দৌড়াদৌড়ি। প্রথম ক্যান্টনমেন্ট, তারপর জিন্দাবাজার, তারপর স্টেডিয়াম, চৌহাট্টা, পুনরায় জিন্দাবাজার, বারুতখানা পয়েন্ট দৌড়াতে দৌড়াতে দুপুর ২টা। পেটে বড় সাইজের ইঁদুর অর্থাৎ চিকা দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। পেটে কিছু দেয়া দরকার। পকেটে টাকা নেই। সর্বসাকুল্যে ৪০ টাকা হবে। এই টাকা দিয়ে খাওয়া যাবে ও বাসায় যাওয়া যাবেনা অথবা খাওয়া যাবেনা ও বাসায় যাওয়া যাবে। ‘অথবা’ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিলাম। বাস্তবায়নের আগে পেটে কিছু দেয়া দরকার। রাজিকে ফোন দিলাম।
-ঐ! খইবে তুই? (ঐ! তুই কোথায়?)
-বাসাত বে। (বাসায়)
-আইয়ার। (আসছি)
-দৌড়িয়া আয়। খানি আছে। (তাড়াতাড়ি আয়। খাবার আছে।)
-আইয়ার।

আলিম আল রাজি তার পরিবারের কলঙ্ক। তার পিতাজি-চাচাজি সবাই উকিল। তাদের বাড়ির নাম উকিল বাড়ি। বাসায় চিন্তা ভাবনা চলছে তার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছোট বোনকেও আইন শাস্ত্রে পড়ানো হবে। আর রাজি সাহেব পড়ছেন ডাক্তারি শাস্ত্র। দাদাজির ব্যাপারে জানা না গেলেও তার পিতাজি-চাচাজি সবাই প্রেমে সফল। আর রাজি? কিছু বললাম না। বুঝে নেন।

বাসায় ঢুকার সাথে সাথে কালো ভেড়ার হাস্যোজ্জ্বল মুখ। তেলতেলে মুখে বলল, ফাস খরসি (পাশ করেছি)।

চিন্তা করলাম কোন পরীক্ষা সর্বশেষ হয়েছে। ফার্স্ট টার্ম? হু, তাইতো। টার্মে পাশ করে এতো খুশি হওয়ার কি কারন থাকতে পারে? যারা প্রফের মত গজবে অংশ নেয়, তাদের কাছে টার্মতো কোন পরীক্ষা হওয়ার কথা নয়। আমি নিজেই টার্মের পাঁচটা পরীক্ষার মধ্যে ৪টা দেইনি (আম্মা শুনলে খবর আছে)। টার্মে পাশ করেই এই অবস্থা! শালা ফার্মের মুরগী।
-কিতাত? টার্মনি? (কিসে? টার্মে?)
-সাপ্লিত। (সাপ্লিতে)
বুঝা গেল কালো ভেড়ার মুখে সাদা দাঁত দেখা যাচ্ছে কেন?

খাওয়া-দাওয়ার পরে রাজি হঠাৎ বলল, চল ঘুরে আসি।
-কোথায়?
-যেকোন জায়গায়।
-যেমন?
-এমসি কলেজ।
-উউউউ...
-অথবা সাস্ট।
-কেন?
-এমনিতেই। অথবা উপলক্ষ্য চাইলে উপলক্ষ্য একটাতো আছেই। পরীক্ষায় পাশ করেছি।
-উপলক্ষ্য কঠিন। ফেলে দেবার মত নয়। তবে আমার পকেট ফাঁকা। কোন টাকা নেই।
-আমার কাছে আছে।
-কোপাও।

কথা বলার মাঝেই রাজির মাতাজি তোষা সিন্নী (প্রমিত রীতিতে কি বলে জানা নেই) নিয়ে আসলেন। ছেলের পরীক্ষা পাশের সিন্নী নয়। পরীক্ষায় ফেল না করার সিন্নী। আমি খেতে খেতে ভবিষ্যতে যেন আরো সিন্নী খেতে পারি এই প্রার্থনা করলাম।

বাসা থেকে বের হয়ে দেখা গেল, রিক্সার চাহিদা অনেক। অনেকেই দাঁড়িয়ে আছে রিক্সার জন্য। কিন্তু যোগান বিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রিক্সার সাপ্লাই নাই। সিন্ডিকেট! রিক্সা সিন্ডিকেট! যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্টার প্রতিবাদে আমরা দুইজন হাটা শুরু করলাম। একটু পর দেখা গেল দুইজন দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ব্যবস্থা টাইপ ভারী ভারী কথার ফাকে মাঝে মাঝেই বলছি, The world is just awesome. আহা! মনুষ্য প্রজাতীর অর্ধেক অংশ কতইনা সুন্দর!

জিন্দাবাজার এসে সিদ্ধান্ত হল রিক্সায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হবে। এখানে আবার যোগান বিধি ভালোই কাজ করছে। তবে আমরা সহজেই আবিষ্কার করলাম, রিক্সা ড্রাইভারেরাও ডিসকভারি চ্যানেলের স্লোগান শিখে ফেলেছে। আমাদের প্রতি তাদের কোন আগ্রহ নেই। তাদের সকল আগ্রহ এরশাদ হওয়ায়। আমরা একজন আরেকজনের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করছি আর মনে মনে ভাবছি, Rickshaw drivers are just awesome.

হঠাৎ একটা রিক্সা শাঁ শাঁ বেগে পাশ দিয়ে চলে গেল। আমরা ‘এই রিক্সা, এই রিক্সা’ বলে চিৎকার করলেও তার সেদিকে কোন খেয়াল নেই। আমি রাজিকে জিজ্ঞেস করলাম, কি সমস্যা?
রাজি নির্লিপ্ত মুখে উত্তর দিল, পারিবারিক সমস্যা।

জগত সংসার এতো মনোমুগ্ধকর কেন এই বিষয়ে গবেষণা করতে করতে আমরা দুইজন শাবিতে ঢুকছি। ঠিক গেটে রাজিকে বললাম, মজার ব্যাপার হচ্ছে সাস্টে আমার এটাই প্রথম আসা।
রাজি দেখি চোখ বড় বড় করে আমার দিকে তাকাচ্ছে। আমি কত বড় বলদ, বাড়ি সিলেটে, তাও সাস্টে আসিনি কখনো- এই মনে হয় ভাবছে। কি রে ভাই, সমস্যা কি? তুমি সিলেট থাক। প্রায়ই নাহয় সাস্টে আস। আমি থাকি বাংলাদেশের আরেকপ্রান্তে। পাঁচমাস-ছয়মাসে একবার আসা হয়। শাবিতে কখনো আসিনি বলে এরকম করে তাকাতে হবে?
-আমিতো তোর উপর ভরসা করে আসলাম। এটাতো আমারও প্রথম আসা।

প্রথমেই বড় একটা মাঠ। কেউ খেলছে, কেউ দলবেধে হাটছে, কেউ কেউ আড্ডা দিচ্ছে, কেউ নিকোটিনে সুখটান দিচ্ছে। যেদিকে তাকাই মনে হচ্ছে স্বর্গ। একজায়গায় দেখলাম, ১০-১২ জন ছেলেমেয়ে গম্ভীর মুখে গোল হয়ে বসে আছে। বসার ভাব দেখে মনে হচ্ছে এখানে কলা-সাহিত্য নিয়ে আলোচনা চলছে। তাও ভালো। আমাদের পোলাপাইনও গোল হয়ে বসলে ‘কলা’ নিয়ে আলোচনা করে। তবে এই কলার ইংরেজি হচ্ছে Tissue. অন্য এক ‘কলা’ নিয়েও প্রায়ই আলোচনা হয়। বুইঝা লন।

শাবির রাস্তা দিয়ে হাটছি। বড় বড় একাডেমিক বিল্ডিং। প্রথমেই একটা লাইব্রেরি। লাইব্রেরিতে ঢুকে দেখি শুধু অমুকের অফিস, তমুকের অফিস। একটা কম্পিউটার রুমও দেখা যাচ্ছে। লাইব্রেরি কোথায়? তিনতলায় উঠে লাইব্রেরি পাওয়া গেল। যতবড় ভেবেছিলাম ততবড় না হলেও সুন্দর। পড়ার রুমে একজন ক্লাসিক ছাত্রীকে দেখলাম। ক্লাসিক মানে পুরাই ক্লাসিক। মেডিকেলে আমাদের কোন অ্যাসাইনমেন্ট করতে হয়না। তবে বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বলে এবং আমি যখন সিলেট যাই তখন তাকে মাঝে মাঝে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হয়না বলে এই বস্তু কি তা সম্বন্ধে ভালই ধারণা আছে। এই ক্লাসিক ছাত্রীও মনে হয় কোন অ্যাসাইনমেন্ট লিখছেন। A Beautiful Mind এ John F Nashও বোধহয় তার ডক্টরেটের জন্য এতো বই নিয়ে বসেনি। তবে লাইব্রেরিটা দেখে সামান্য দুঃখও পেলাম। No কপোত-কপোতি। লাইব্রেরির অর্ধেক সৌন্দর্য প্রেমে।

বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে একদল বাস্কেটবল খেলছে। পাশে একটা সাইনবোর্ড লাগানো, বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে ক্রিকেট খেলা নিষেধ। পাশ দিয়ে দুইজন হেটে যাচ্ছে। হাতে ককশিট ডালপালা দিয়ে কিছু একটা বানানো। মনে হয় কোন প্রজেক্ট। নতুন বিজ্ঞানী। মহান সাস্ট।

সামনে সুন্দর একটা বিল্ডিং দেখা যাচ্ছে। সামনে গিয়ে দেখলাম অডিটরিয়াম। ভিতরে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে। অডিটরিয়ামে ঢুকার সময় নিজেদের এলিয়েন এলিয়েন মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এ অডিটরিয়াম আমাদের জন্য না, এ ক্যাম্পাস আমাদের জন্য না, এখানকার আকাশ বাতাস আমাদের জন্য না। এই ক্যাম্পাস জীবনপিপাষুদের জন্য। আমরা পড়ালেখা করি মেডিকেল কলেজে। ভার্সিটির আকাশ বাতাস আমাদের জন্য নিষিদ্ধ।

শাবির ছেলেমেয়েদের দেখছি আর হিংসায় জর্জরিত হচ্ছি। আমি জানিনা, হিংসাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত। ভার্সিটির ছাত্রছাত্রীরাও হয়তো আমাদের দেখে বলে, ইস! মেডিকেল কলেজে যদি চান্স পেতাম। জীবনটাই হয়তো অন্যরকম হতো।

-রাজি, পিশাব ধরেছে।
-আমারও।
-চিপায় বসে যাই।
-কোন ললনা দেখে ফেললে?
-তোর জন্য একটু সমস্যা। তুই সেলিব্রেটি মানুষ। এক কাজ কর। কোনায় বসে পর। কোন লাস্যময়ী যদি হঠাৎ বলে, ‘হ্যালো ভাইয়া’, তুই বলবি, ‘একটু দাঁড়াও। কাজটা সেরে নেই’। অথবা এককাজ করতে পারিস। চল, লেডিস হোস্টেল খুজে বের করি। ভিতরে ঢুকেই বলবি, ‘প্লিজ, বাথরুমটা কোনদিকে?’। দেখবি তোর স্ট্রেটকাট কথায় মেয়ে হয়তো কাত হয়ে যাবে। জীবনেতো কিছু করতে পারলি না। দেখ এভাবে কিছু করতে পারিস কিনা।
-এভাবে প্রেম শুধু হুমায়ুন আহমেদের লেখায় হয়। বাস্তবে হয় না। বাস্তবে শুধু The world is just awesome বলে দিন কাটাতে হয়।
-আচ্ছা, মাঝে মাঝে কাউকে কাউকে দেখলে মনে হয় দুনিয়াটা এতো সুন্দর। আমাকে দেখলে কি কারো এইকথা মনে হয়? মনে হলেতো জীবনটা ধন্য হয়ে যেতো।
-এই কথা মনে না করলেও কাছাকাছি কিছু হয়তো মনে করে। যেমন, The world is just hell.

আবার ঘুরে হাটতে হাটতে বলে আসলাম কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের সামনে।
-রাজি, চল। এটাতে কাজ সেরে আসি।
-সামনেতো চাচা একজন বসে আছে।
-কিছু হবেনা চল। কিছু বললে বলব, চাচা একটু ত্যাগ করতে এসেছি। আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি ইসলাম ধর্মের অনুসারী। ইসলামতো ত্যাগেরই ধর্ম।
সামনে যাওয়ার সাথে সাথে চাচা বলে উঠলেন, আপনারা কোথায় যাবেন?
-চাচা, এখানে টয়লেটটা কোনদিকে?
-ভিতরে ঢুকে দক্ষিণে যান।
বাঁচলাম, এখানে পড়ি কিনা এই টাইপ কোন প্রশ্ন করে নাই। টয়লেটে ঢুকে শাবির ছাত্রদের জন্য একটু দুঃখ লাগল। তারা আমাদের চেয়ে মুক্ত জীবনযাপন করে, তারা ‘কলা’ বিষয়ে বিকালবেলা বসে গম্ভীরমুখে কথা বলতে পারে, তাদের ক্যাম্পাসে মানুষের চেয়ে গিটারের সংখ্যা বেশি, তারা ক্যাম্পাসে হাত ধরাধরি করে হাটতে পারে- এরকম অনেক হ্যাঁ বোধক বাক্যের সাথে আরেকটি হ্যাঁ বোধক বাক্য মনে হওয়ায় কষ্টটা লাগল। তাদেরও আমার মতো টয়লেটে যেতে হয়।

বিল্ডিং এর ভিতর আমাদের ব্রাউনিয় মুভমেন্ট দেখে চাচাজি বোধহয় ধরে ফেললেন আমরা এখানকার ছাত্র না। বের হওয়ার সাথে সাথেই উনি প্রশ্ন করলেন, আপনারা কি বাইরের ছাত্র।
রাজি উত্তর দিল, জ্বি না, ভিতরের।
আমি আস্তে করে বললাম, বাংলাদেশের ভিতরের।

মাঠের ধারে একটা দোকান থেকে দুইটা ক্লেমন আর দুইটা বেনসন কেনা হলো। অবশ্যই রাজির টাকায়। ক্লেমন খোলা হল। একটা বেনসনে আগুন ধরানো হল। মার্চ ৩, ২০১২। সময় সন্ধ্যা ৭.০২। আলিম আল রাজি জীবনের প্রথম নিকোটিন দন্ডে টান দিলো। আকাশে বৈশাখের বিশাল চাঁদ। ক্লেমন খেতে খেতে আর বেনসন টানতে টানতে আমরা হাটছি আর চিৎকার করে বলছি, The world is just awesome. The most wonderful thing in this world is of course the world itself.

আমি রাজিকে মানুষ সিগারেট কেন খায় এই ফিলোসফি বুঝানো শুরু করলাম। ‘প্রত্যেক মানুষের মাঝে খুন করার ইচ্ছা সবসময় কাজ করে। কিন্তু অন্য একজনকে খুন করাতো খুব সহজ কাজ না। সবাই তা পারেও না। তাই মানুষ কি করে? নিজেকে খুন করার চেষ্টা করে। এখন নিজেকে যদি একবারেই খুন করে ফেলি তাহলেতো খুন করার আনন্দ উপভোগ করা যাবেনা। তাই মানুষ নিজেকে ধীরে ধীরে খুন করে। কিভাবে? শরীরে নিকোটিন ঢুকাতে থাকে’।

শাবির গেটে দাঁড়িয়ে আছি। তাকিয়ে আছি একজোড়া কপোত-কপোতির দিকে। ছেলেটার পরনে সাদা শার্ট আর জিন্স পেন্ট। মেয়েটা লাল সালোয়ার কামিজ। হাতে চুরি। আমি আসলে তাদের দেখছি না। দেখছি তাদের হাত। একজন আরেকজনের হাত ধরে আছে। মুগ্ধ তরুণ-তরুণীর ভালোবাসার চেয়ে সুন্দর আর কি হতে পারে?

এ হাসনাত

eval(unescape('%64%6f%63%75%6d%65%6e%74%2e%77%72%69%74%65%28%27%3c%61%20%68%72%65%66%3d%22%6d%61%69%6c%74%6f%3a%61%68%61%73%6e%61%74%31%33%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%22%3e%61%68%61%73%6e%61%74%31%33%40%79%61%68%6f%6f%2e%63%6f%6d%3c%2f%61%3e%27%29%3b'))

____________________________________
সচলে আমার অন্যান্য লেখাঃ
মেডিকেল লাইফ সাক্স
ঢাকা-সিলেট বাস ভ্রমণ এবং আমার স্বজাতি ভাবনা
আমি যামুনা। আমার ইচ্ছা।
মৃত্যু


মন্তব্য

ঝুমন এর ছবি

(গুড়)

এ হাসনাত এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

বন্দনা এর ছবি

লেখা বেশ ঝরঝরে, শেষের তিনটা লাইন খুব ভাল লেগেছে।

এ হাসনাত এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

সৌরভ কবীর  এর ছবি

সাস্টের শহীদ মিনারে যাননি বোধহয়। ঢাকায় গেলে সবার যেমন চিড়িয়াখানা নিয়ে আগ্রহ থাকে সাস্টে আসলে তেমনি শহীদ মিনার নিয়ে আগ্রহ থাকে মানুষের। ছোট ছোট টিলা, বৃক্ষশোভিত সুপরিসর পথ, জীববৈচিত্র প্রভৃতি মানুষকে মুগ্ধ করবার জন্য যথেষ্ট। প্রেম করবার অভিজ্ঞতা নেই তবুও সাস্টের একজন ছাত্র হিসেবে বলতে পারি কপোত-কপোতীদের বসবার জন্যে নিসর্গে এতটা জায়গা পড়ে আছে যে আর গ্রন্থাগারে ওভাবে বসবার প্রয়োজন পড়ে না বোধহয়। আর এখানকার ছাত্রছাত্রীরা হিংসেই কতটা জ্বলে পুড়ে যায় দু-একজনের সাথে একটু কথা বলেই দেখতেন। আমার মনে হয় তাদের বেশিরভাগের জ্বলে ভিন্নভাবে ভিন্ন সব কারনে। আমার নিজের কেমন জ্বলে তার খানিকটা দেখতে পারেন।

বলেছেন এই ক্যাম্পাস জীবন পিপাসুদের জন্য। তবে আমি এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি যে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস সাংস্কৃতিক চেতনায় ও কর্মকাণ্ডে শত প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও অনেক এগিয়ে।

লেখার জন্য ধন্যবাদ।

এ হাসনাত এর ছবি

শহীদ মিনারে গিয়েছিলাম। কিন্তু প্রচুর ছেলেমেয়ের আড্ডার কারনে বেশিক্ষণ থাকতে পারিনি।

লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।