ভুলে যাওয়া নাম আর রাজাকার মোড়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৩/১১/২০১৩ - ৯:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রুটি-রুজির তাগিদে প্রায় প্রত্যেকদিন মোতালিব প্লাজা আর এর আশপাশের এলাকায় যাওন লাগে। আতকা মনে হইল এই এলাকার এত আসি, যেই রাস্তার খাড়ায়া চা-পান খাই তার নামটা কী? জিগাইলাম যাগো লগে কথা হয়, তো প্রায় বেবাক মানুষের উত্তর হইল রাস্তার আবার নাম কী? হাতিরপুল! কেউ কেউ কয় সোনারগাঁ রোড। কিন্তু একটা মানুষও পাইলামনা যে আমারে কইল বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়ক!! যখন আমি তাদের কইলাম ভাইজান এই রাস্তার নাম হইল বীরউত্তম সি আর দত্ত সড়ক তখন প্রায় বেবাকেই কইয়া উঠে — অই মিয়া! এই নাম কোনহান থিকা পাইলা? জীবনেও এই নাম তো হুনি নাই! আবার কেউ কয় — হইতে পারে। আওয়ামী লীগ তো পারলে আমগো নামও নতুন কইরা আকীকা দিয়া রাখে! তো সে কে? মনে তো হয় মুক্তিযুদ্ধ করছে, তয় ঢাকায় করে নাই মনে হয়। করলে লিচ্চয়ই নাম জানতাম। তার এমুন একখান ভাব যে, সে সবজান্তা শমসের — যা জিগামু তাই কইতে পারব! যা হউক এইডা মনে কইরা সান্ত্বনা পাইলাম যে এরা স্বল্পশিক্ষিত, ছোটখাটো ব্যবসাকরা মানুষ তাই দুনিয়াদারির এত খবর তাগো নাই। কিন্তু বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানীতে চাকরীকরা শিক্ষিত মানুষের কাছেও একই উত্তর পাইলাম ক্যান?

চট্টগ্রামে সম্বন্ধ করসি তার লাইগা ঐখানের অনেক মানুষের লগে খায়খাতির আছে। তাগো অনেকরে জিগাইলাম ভাই ফজলুল কাদের রোড কোনটা? লগে লগে তারা অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশসুদ্ধা এর অবস্থান কইয়া দিল। লগে না জানতে চাইলেও সে যে সাকা চৌধুরীর বাপ, পাকিস্তান আমলে মুসলিম লীগের রাজনীতি করতো, তাগো পেট্রোল পাম্পটার তেল কেমন — নানা বিত্তান্ত শোনায়া দিলো। একআধজন খালি কইল সে ১৯৭১ সালে সে পাকিস্তানরে সাপোট করছিলো। আবারো টাস্কি খাইলাম। যুদ্ধাপরাধীগো বিচার লইয়া এত তোলপাড় তাও ঐ এলাকার মানুষের এই অবস্থা! কী মনে কইরা আবার জিগাইলাম কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়টা কই জানেন? কেউ ঠিক কইতে পারলো না। খালি কইলো — বাড়িতে মুরুব্বিগো কাছে নাম হুনছি, আসলে এহন কেউ বনাজী ওষুদ খায়না তো তাই কইতে পারলাম না। আমার আর নতুনচন্দ্র সিংহ’র কথা জিগাইতে সাহস হইলনা।

এই হইল আমাগো অবস্থা — শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ হইল আর হাতিরপুলের মানুষ সি আর দত্ত রে চিনে না। ফকা-সাকা’র গুষ্টির কাছে ৫০ বছর ধইরা ছেচা খাইয়াও তাগো আসল রূপ মানুষ ভুইল্লা যায়। কুণ্ডেশ্বরীর ঔষধ খাইয়া বাপ-দাদারা সুস্থ্য থাকছিল অথচ নতুনচন্দ্র সিংহরে চিনেনা।

মুক্তিযুদ্ধ ৪২ বছর আগে হইসে তাই যদি বীরউত্তম লেখা দেইখ্যা সি আর দত্তরে চিনন লাগে তাইলে ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামের আগে রাজাকার লাগান দরকার, তাইলে বেবাকতে তারে ঠিকমত চিনব। আমার কথা কি আপনাগো কাছে আবোলতাবোল বইলা মনে হইল? তাইলে আপনেগো একটা জায়গার কথা কই। নাটোর বনপাড়া থেইক্কা গুরুদাসপুরের মাঝামাঝি এক জায়গা আছে তার নাম ‘রাজাকার মোড়’। ১৯৭১ সালে এইখানে মুক্তিযোদ্ধা আর গ্রামের সাধারন লোকজন মিল্লা ৬ জন রাজাকাররে খতম করছিল। তাই এই জায়গার নাম রাজাকার মোড়।

ভাইরে! এই গহীন গেরামের মানুষ যা পারসে তা আমরা শহরের জ্ঞানীগুণীশিক্ষিত লোকজনরা পারি নাই। আসলে এইটা চিন্তা করনের সাহসই আমাগো নাই। কোটি কোটি টাকা খরচা কইরা এক জিনিসের নাম বারবার না রাইখা, অন্তত যদি ঢাকা শহরের যত পাবলিক টয়লেট আছে সেইগুলার নাম এইসব পিশাচের নামে রাখতে পারতাম তাইলেও একখান কামের কাম হইত।

অভিমন্যু
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি


মন্তব্য

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলে স্বাগতম!

১৯৯২ সালে 'নোভা' গানের অ্যালবাম বের করেছিল 'রাজাকারের তালিকা চাই'। কাজটা আরো আগেই করা দরকার ছিল। কারণ, সরাসরি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের তুলনায় অনেক বেশি। আর মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী আর সমর্থনকারী তো বাংলাদেশের প্রায় সবাই। এই তালিকা হলে বরাহদের আগেভাগেই চিহ্নিত করে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার কাজটা সাধারণ মানুষই শুরু করতে পারতো। ভিয়েতনামে 'যুদ্ধাপরাধী জাদুঘর' আছে যেখানে ভবিষ্যত প্রজন্মকে যুদ্ধাপরাধী আর তাদের দালালদের চিনে রাখার ভালো ব্যবস্থা করা হয়েছে। অমনটা আমরাও করতে পারি।

রাস্তার নাম হওয়া উচিত এমন যাতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ সেটা সহজে উচ্চারণ করতে পারেন। রাস্তার নাম যদি হতো 'সি আর দত্ত রোড' তাহলে সবাই সেটা সহজে বলতে ও ব্যবহার করতে পারতেন। সেই রাস্তার দুই মাথায় তাঁর আবক্ষ মূর্তি আর বড় ফলকে তাঁর জীবনী ও বীরত্বগাঁথা সংক্ষেপে দেয়া থাকলে উৎসাহীরা সেখান থেকে তাঁর সম্পর্কে আরো জানতে পারতেন। সব শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা একটু একটু করে দেয়া থাকলে শিক্ষার্থীরা সেখান থেকেই প্রথম পাঠটা পেয়ে যেতে পারে। সেখানে বরাহদের কুকীর্তিরও উল্লেখ থাকতে হবে নামসহ। যেন তাদেরকে সবাই চিনে নিতে পারে। এই পাঠটা শুধু ইতিহাসের বইয়ে নয়, বাংলা ও ইংরেজী সাহিত্যের বইয়েও থাকতে হবে। জাতীয় দিবসগুলোতে বানোয়াট গল্পের ওপর ভিত্তি করে রচিত নাটক-সিনেমা একটু কম দেখিয়ে সত্যিকারের বীরদের ওপর নাটক-সিনেমা নির্মাণ করে প্রচার করা দরকার। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমাদের জীবন্ত জাতীয় মহাকাব্য। আমরা সবাই মিলে একটু একটু উদ্যোগ নিলেই এর প্রায় পূর্ণাঙ্গ চিত্র আমরা নিজেরাই রচনা করতে পারি।

লেখা চলুক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নির্ঝর অলয় এর ছবি

রাজাকারের ফাঁসির দাবিতে যখন বাচ্চারাও আধো আধো বোলে "রাজাকারে ফাঁসি চাই" - বলছিল তখন নিলুফার মণির মত জাতীয় বেইমান টিভিতে বলেছিল যে, আমরা নাকি বাচ্চাদের নষ্ট করে ফেলছি!

নাহ! এসব মনে হলে বুকে বড্ড ব্যথা হয়!

অতিথি লেখক এর ছবি

সম্পুর্ন সহমত। সবাই যদি নিজের এলাকার ইতিহাসটা সঠিকভাবে লিখি আর কেন্দ্রিয়ভাবে তা যাচাই বাছাই করে তা সংরক্ষন করার ব্যাবস্থা করি তবে তা কার্যকর হবে। মুক্তিবিষয়ক মন্ত্রনালয় নাম সর্বস চাটুকারদের আখড়া আর মুক্তিযুধ জাদুঘর কিভাবে মানুষদের ভজিয়ে-ভাজিয়ে ফান্ড বাড়ানো যায় তার তালে আছে। বিরোধীদের তবু চেনা যায় কিন্তু বর্নচোরাদের কিভাবে চিনবে?

অভিমন্যু
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সাবলীল ভাষা, বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ।
হাত খুলে লিখতে থাকুন হাসি

রিসালাত বারী এর ছবি

চলুক

আঙ্গুল উঁচায়ে গেলাম লেখায়। সচলে স্বাগতম।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

রাস্তার নামের ইতিহাস সম্পর্কে শহরের অধিকাংশ মানুষ জানে না। নামকরনের ব্যক্তিকেও চেনে না, এটা অতি বাস্তব সত্য। তবে এই সত্যের পেছনে প্রধান কারণ ইতিহাস অজ্ঞতা, এবং নগরকর্তাদের ইতিহাস প্রচার অনীহা। নগরে অনেক টাকাপয়সা খরচ করে নানান সড়ক স্থাপত্য স্থাপন করা হলেও সামান্য কটা লাইন খোদাই করে নামকরনের ব্যক্তি সম্পর্কে একটা ছোট্ট ফলক ঝোলানোর উদ্যোগ কখনোই নিতে দেখিনি। ফলে সাধারণ মানুষকে দোষ দিতে পারছি না আমি।

একটা তথ্য সংশয়। চট্টগ্রামের বাসিন্দা হয়েও ফজলুল কাদেরের নামে একটা সড়ক আছে সেটা এই প্রথম শুনলাম। রাস্তাটা কোনদিকে একটু বলেন তো?

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রবর্তকের মোড় থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে চকবাজার ওলি খান মসজিদ পর্যন্ত হচ্ছে ফজলুল কাদের রোড, যতটুকু আমি জেনেছি আমার পরিচিত জন থেকে, তারা সকলেই চট্টগ্রামের বাসিন্দা । তারপরেও যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তার দায় নেহাতই আমার অজ্ঞতার ফসল, তার জন্য আমি দুখিত।।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই ফজলুল কাদের মনে হয় অন্য কেউ। এটা হলো কে বি ফজলুল কাদের। আর সাকার বাপের নাম হলো ফজলুল কাদের চৌধুরী। তবু আবারো যাচাই করে দেখবো।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি আমার এই পর্যন্ত জীবনে লেখার দুসাহস করিনি কেননা যদি ভুল বা অখাদ্য বা বস্তাপচা বা চর্বিত-চর্বন হয়। অবশেষে সাহস করে লিখলাম, প্রকাশের জন্য সচলায়তনের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করছি। আর আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছি কস্ট করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য।

মেঘলা মানুষ এর ছবি

ঢাকায় আরেকটা রাস্তা আছে ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্মরণী -এটার মোটামুটি একই অবস্থা।

অতিথি লেখক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় তুলে এনেছেন। রাজাকারদের নাম চিরস্থায়ীভাবে মানুষের মনে গেঁথে দেয়া দরকার, যাতে রাজাকার চিনতে-জানতে ভুল না করে সবাই। নিয়মিত লেখা দেখতে চাই।

শব্দ পথিক
নভেম্বর ১৩, ২০১৩

হাসিব এর ছবি

মূল ব্যাপারটা হলো নাম দেবার সাথে নাম যাতে প্রচার পায় সেটার জন্যও কর্মসূচী রাখা। নাহলে নতুন নাম কেউ মুখে নেবে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলে কর্মসুচি দিলেই কি কাজ হবে,প্রতিদিন কতকিছুর কত কর্মসুচি থাকে কে তা মনে রাখে বা তাতে অংশ গ্রহন করে, আর এটা ব্যায়সাপেক্ষ। তারচেয়ে নীড় সন্ধানী সাথে সহমত পোষন করছি। ফলক মোটামুটি কম ব্যায়সাপেক্ষ ।

অভিমন্যু
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

অতিথি লেখক এর ছবি

কোটি কোটি টাকা খরচা কইরা এক জিনিসের নাম বারবার না রাইখা, অন্তত যদি ঢাকা শহরের যত পাবলিক টয়লেট আছে সেইগুলার নাম এইসব পিশাচের নামে রাখতে পারতাম তাইলেও একখান কামের কাম হইত।

//

সেইরাম

(মোহাম্মদইসলাম)

তারেক অণু এর ছবি

চমৎকার ! লেখার জন্য ধন্যবাদ, সচলে স্বাগতম

এক লহমা এর ছবি

ভালো লেগেছে। উপরে ষষ্ঠ পান্ডবের সাথে একমত।
সচল-এ স্বাগতম।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

মেঘলা আকাশ এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

সচল এ স্বাগতম।
আপনার লেখা ভালো লেগেছে। মন্তব্যের উত্তর দেয়ার সময় আপনার নামটাও দিয়ে দিন। সচল এ আবার অতিথি ব্যপক দেঁতো হাসি

আরো লিখুন অভিমন্যু।
ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা।

--------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ

তানিম এহসান এর ছবি

লেখা ভালো লাগলো। লিখতে থাকুন।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বেশিরভাগ জায়গার নামই প্রথম মানুষের মুখে মুখে তৈরি হয়ে পরে লিখিত হয়
কিন্তু নতুন নামকরণগুলো ক্ষেত্রে দীর্ঘ নাম জুড়ে দেবার কারণেই আর তা সহজে উচ্চারণ করা যায় না বলে পুরোনো কিংবা অন‌্যনাম চালু হয়ে যায়
বিজয় সরণী- রোকেয়া সরণী- বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এগুলো সহজে বলা যায় বলেই মানুষ কিন্তু বলে আর চেনেও
কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়' কে বলা যায় না বলেই হয় ডাকে পিজি

স্যাম এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

একমত আপনার সাথে কিন্তু ব্যাতিক্রমও আছে। যেমন - নারায়ণগঞ্জ এর প্রান হচ্ছে একটি মাত্র রাস্তা নাম বঙ্গবন্ধু সড়ক কিন্তু এটাকেও আরও সংক্ষেপে এখন সবাই বলে বি বি রোড ।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

এখানেই তো ঝামেলা। দেশের মানুষ নামটা সহজে উচ্চারণ করতে পারবে কি না সেটা ভাবা হয় না নাম দেবার সময়
বঙ্গবন্ধু সড়ক: এখানে আছে ছয়টি সিলেবল এবং এমন দুইটি ধ্বনি যেগুলো নারায়ণগঞ্জের মানুষ উচ্চারণই করে না (ন্ধ আর ড়) সেই তুলনায় 'বিবিরোড; তিনটা সিলেবল এবং ওই এলাকার মানুষদের জন্য মাউথবেল নাম...

নাম হচ্ছে ঝগড়াঝাটি চিল্লাফাল্লাসহ সব সময় ডাকার জন্য। এইগুলা উচ্চারণ করতে কষ্ট হলে তা বদলাবেই; তা সে হোক মানুষের নাম আর হোক জায়গার নাম আর জিনিসের নাম...

অতিথি লেখক এর ছবি

হাহা মজা পাইলাম। আমি কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ হইয়াও (ন্ধ আর ড়) উচ্চারণ করতে পারি।

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

নির্ঝর অলয় এর ছবি

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের তীরে সাহেব কোয়ার্টার পার্কে একটি পাবলিক টয়লেটের নাম দেয়া হয়েছে -
"রাজাকার নিজামী টয়লেট।" সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া উচিত এই চেতনা। শাহবাগ আন্দোলনের সময় আঁকা অসামান্য ছবি, কার্টুনগুলো কোথায় গেল? এগুলো স্থায়ীভাবে শাহবাগে সংরক্ষণ করতে হবে।

স্যাম এর ছবি

চলুক।

তাসনীম এর ছবি

চলুক

সচলে স্বাগতম। লেখা চলুক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পুতুল এর ছবি

স্বাগতম। লেখার ধরণটা পছন্দ হইসে।

ভুলে যাওয়া নাম বাদ দেন। এখন খুঁজে বের করতে হবে কত কত রাজাকারের নামে কত কত বিশাল স্কুল-কলেজ-মায় বিশ্ববিদ্যালয় আছে। রাস্তা-ঘাটের কথা ছেড়েই দিন।

শুভেচ্ছা।

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

চট্রগ্রামের বিখ্যাত চট্রগ্রাম কলেজের গেট আজও আইয়ূব খানের নামে করা আছে! এর চেয়ে বড় বিস্ময় আর কি হতে পারে, কিছুদিন আগে শুনেছিলাম সেটা ভেঙ্গে ফেলা হবে, জানি না ভাঙ্গা হয়েছে কিনা। কিন্তু আমার প্রশ্ন হলো স্বাধীনতার ৪২ বছর পর পর্যন্ত কি করে আইয়ূব খানের নামে একটি গেট টিকে থাকে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যা পাঠটিতে?

আমি চাই একটা দিনকে রাজাকারদের ঘৃনার দিবস হিসাবে পালন করা হোক। সেই জন্যে প্রতি শহরে একটা ঘৃণার স্তম্ভ তৈরি করা হোক, সেই বিশেষ দিবসে শিশুরা তার বাবা-মায়ের হাত ধরে সেই নিজামি-মুজাহিদি- আজমদের ঘৃণার স্তম্ভে গিয়ে থু থু দিয়ে আসবে। তাদের সেই কুকৃর্তি কথা লেখা থাকবে সেই স্তম্ভের গায়ে।

মাসুদ সজীব

অতিথি লেখক এর ছবি

কি আর বলবেন ভাই, এত বছরেও মানুষজন বাহাদুরশাহ পার্ককে ভিক্টোরিয়া পার্ক বলা ছাড়তে পারেনাই।

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আইয়ুব খানের গেটটা সম্প্রতি ভেঙ্গে নতুন গেট হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

খুলনায় এখনও সবুর খান রোড র'য়ে গেছে মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।