One day in the life of Ivan Denisovich (আইভান ডেনিসোভিচের জীবনের একদিন) - পর্ব - ৭ : A novel by Alexander Solzhensitsyn

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৭/০৭/২০১৭ - ৪:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

পর্ব = ৭

(পূর্ববর্তী পর্বের লিঙ্ক গল্পের শেষে)

ওরা লম্বা একটা তারের টুকরো ভেঙ্গে নিয়ে এক কোনায় লুকিয়ে রাখলো। সূখোভ কয়েকটা তক্তা পেরেক ঠুকে জুড়ে দিয়ে একটা মই বানিয়ে গপচিককে পাঠালো স্টোভের পাইপটা ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য। ছোকড়াটা একেবারে কাঠবেড়ালির মত চটপটে, তরতর করে খাম্বা বেয়ে উঠে দু-একটা পেরেক ঠুকে তার মধ্যে তার জড়িয়ে সেটা পাইপের তলা দিয়ে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে নিল। সে নিজ থেকেই পাইপটার প্রান্তের কাছটায় আবার বেঁকিয়ে দিলো, ছেলেটার উৎসাহ দেখে সূখোভ আর কিছু বললো না। আজকের বাতাসের গতি খুব বেশী না হলেও কাল যে হবে না সেটাতো আর বলা যায় না, আর এই বাঁকানোটা ধোঁয়া বেরুনো রোধ করবে। ভুলে যাওয়া যাবে না যে স্টোভটা সারানো হচ্ছে ওদের সবার নিজেদের স্বার্থেই।

গপচিককে আবার দায়িত্ব দেয়া হলো ইতিমধ্যে সেনকার বানানো কাঠের চিকন লম্বা, লম্বা তক্তাগুলো পেরেক ঠুকে লাগিয়ে দিতে। সেও দূরন্ত দামাল ছেলের মত দ্রুত শূন্যে উঠে উপর থেকে হাঁকাহাঁকি শুরু করে দিলো।

কুয়াশার চাদর ঠেলে সরিয়ে সূর্য ইতিমধ্যে আরো উপরে উঠে গেছে। আলোর কিরণের স্তম্ভ দুটোও অদৃশ্য হয়ে গেছে। ঘরের ভেতর ছড়িয়ে পড়েছে সূর্যের লাল আভা। কেও একজন চুরি করে আনা কাঠের টুকরোগুলো দিয়ে স্টোভটা জ্বালিয়ে দিয়েছে। এই উষ্ণতা মনটাকে বেশ ভালো করে দেয়।

“জানুয়ারী সূর্যের উষ্ণতায়, মর্দা গরু তেজ বাড়ায়”, সূখোভ গেয়ে উঠলো ।

ওদিকে কিল্গাসের মসলা মেশানোর বাক্স তৈরীর কাজও শেষ। ওটার উপর কুঠার দিয়ে এমনিতেই ধাঁই করে একটা আঘাত করে সে চিৎকার করে বললো, “ এই যে পাভলো, শোন, এটার জন্য তিউরিনের কাছ থেকে একশো রুবলের চেয়ে এক পয়সাও কম নেয়া যাবে না কিন্তু, হুঁ হুঁ।”

“ঠিকাছে, তোমাকে ১০০ গ্রাম বেশী খাবার দেয়া হবে”, পাভলো হেসে জবাব দিলো।

“পার্থক্যটা প্রসিকিউটরই পূরণ করে দেবেন।”, গপচিক উপর থেকে চেঁচিয়ে বললো।

“এই থামো বলছি, থামো”, সূখোভ চেঁচিয়ে উঠলো, “এভাবে রুফিং ফেল্ট কাটতে নেই।”

সে ওদের দেখিয়ে দিলো কিভাবে কাটতে হবে।

কয়েকজন গুটিগুটি পায়ে স্টোভের কাছে ঘেঁষার চেষ্টা করতেই পাভলো ওদের দূর দূর করে তাড়িয়ে দিলো। সে কিল্গাসকে কিছু কাঠের টুকরো দিলো মাল-মসলা দোতালায় বয়ে নেয়ার কাজে কিছু হডস* বানানোর জন্য। সে কয়েকজনকে বালি বয়ে নেয়ার কাজ দিল আর অন্যদের দায়িত্ব দিল উঁচু মাচার যে জায়গায় ব্লক বসানোর কাজ হবে সেখানটার বরফ পরিষ্কার করার জন্য, আর আরো এক দলকে দিল স্টোভের উপর থেকে বালি নিয়ে মসলা মেশানোর বাক্সে ফেলার দায়িত্ব।

(*Hod = ইট, পাথর ইত্যাদি বয়ে নেয়ার জন্য বাক্স সদৃশ পাত্র বিশেষ)

বাইরে থেকে একটা লরির ইঞ্জিনের ঘরঘর শব্দ আসছে। ওগুলোতে করে ব্লক আসছে। প্রথম লরিটা এসে গেছে। পাভলো ছুটে বাইরে গিয়ে হাত নাড়িয়ে ড্রাইভারকে দেখিয়ে দিলো কোথায় ব্লকগুলো নামাতে হবে।

ওদিকে ওরা প্রথমে এক পরত, তারপর আরেক পরত রুফিং ফেল্ট লাগিয়ে ফেলেছে। কিন্তু ওগুলো দিয়ে কতটুকুই বা রক্ষা পাওয়া যাবে? ওগুলোতো আসলে কাগজেরই তৈরী, শুধুই কাগজ। একই কথা, দেখতে শুধু দেয়ালের মত দেখতে, এই যা। ঘরটা একটু আঁধার আঁধার হয়ে গেছে, আর তাতে স্টোভের আলোটাও দেখাচ্ছে আগের চেয়ে উজ্জ্বল।

আলোয়শা কিছু কয়লা নিয়ে এসেছে। একদল চেঁচিয়ে বললো ওগুলো স্টোভে ঢেলে দিতে, আরকদল করছে মানা। সে কি করবে, কার কথা শুনবে এই নিয়ে দ্বিধার পড়ে গেল।

ফেতিউকোভ বেকুবটা স্টোভের কাছে একটা আরামদায়ক জায়গা খুঁজে নিয়ে ঠিক আগুনের শিখার উপর বুটজোড়া শুকোতে ব্যাস্ত। ক্যাপ্টেন ওর ঘারের কাছে জামা মুঠি করে ধরে একটানে ঠেলাগাড়ীর দিকে ছুঁড়ে দিল।

“বালি আনানেওয়া কর, বদমাশ কোথাকার!”

ক্যাপ্টেনের মানসিকতা এখনো অনেকটা তার জাহাজী জীবনের দিনগুলোর মতই। সে যখন কোন কিছু করতে বলে তখন সেটা করে ফেলাই উত্তম। গত কয়েক মাসে সে কেমন যেন জীর্ণশীর্ণ হয়ে গেছে, কিন্তু ঠিক চালিয়ে নিচ্ছে।

শেষতক সবকটা জানালাই ঢেকে দেয়া হলো। এখন আলো আসার একমাত্র পথ হচ্ছে দরোজাটা। সেই সাথে হিমশীতল হাওয়ারও। পাভলো সেই দরোজার উপরের অংশটা একটা বোর্ড দিয়ে ঢেকে দিলো, কিন্তু নিচের অংশ খোলা রাখলো যাতে লোকেরা উবু হয়ে অন্তত যাওয়া-আসা করতে পারে।

এর মধ্যে তিনটা লরি এসে ব্লক নামিয়ে দিয়ে গেছে। এখন সমস্যা হচ্ছে কোন যন্ত্রের সাহায্য ছাড়া এগুলো উপরে তোলাটা।

“রাজমিস্ত্রিরা, খুঁজে দেখো কোন উপায় বের করা যায় কিনা”, পাভলো ডেকে বললো।

এই কাজে একটা আলাদা মর্যাদা আছে। সূখোভ এবং কিল্গাস পাভলোর সাথে উপরে গেল। উপরে ওঠার ঢালু পাটাতনটা এমনিতেই সরু, তার উপর সেনকা এর রেলিংগুলো খুলে নেয়াতে এখন একেবারে দেয়াল ঘেঁষে না উঠলে পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তার চেয়ে খারাপ ব্যাপার হচ্ছে, তুষার জমে পা রাখার জায়গাগুলোকে একেবারে মসৃন করে দিয়েছে, ফলে পা পিছলে যাচ্ছে। এখন মসলা উপরে আনার উপায় কি?

ব্লকগুলো কোথায় গাঁথলে ভালো হয় সেটা বোঝার জন্য ওরা চারদিকে তাকালতে লাগলো। পাভলো যাদের উপরে পাঠিয়েছিল তারা দেয়ালের উপর থেকে তুষার পরিষ্কার করে যাচ্ছে। ওখান থেকেই শুরু করা যাক। আগে যেখানে কাজ হয়েছে সেখানে কাউকে একটা কুঠার নিয়ে পাঠিয়ে তুষারগুলো পরিষ্কার করে ফেললে হয়।

ওরা ব্লকগুলো উপরে আনার সবচেয়ে ভালো উপায়টা বের করে ফেললো। ওরা নীচে তাকালো। সিদ্ধান্ত নিলো যে ঢাল বেয়ে তোলার বদলে নীচে চারজন লোক থাকবে যারা উপরের প্ল্যাটফর্মের দিকে ব্লকগুলো ছুঁড়ে দেবে, দু’জন ওগুলোকে সরাতে থাকবে, এবং আরো দু’জন ওগুলোকে দোতালায় তুলবে। এতে ঢাল বেয়ে উঠানোর চেয়ে দ্রুত কাজ হবে।

বাতাসের গতি খুব তীব্র না হলেও বেশ টের পাওয়া যায়। ব্লক বিছানোর কাজ শুরু করলে ঠিকই চামড়ায় গিয়ে বিধবে। আগে যতখানি দেয়াল তোলা হয়েছে সেটার পেছনে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হবে, তাতে বাতাসের প্রকোপ থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে। ব্যাবস্থাটা খারাপ না, শীতের তীব্রতাটাও কম লাগবে।

সূখোভ মুখ তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে হা করে শ্বাস নিতে নিতে ভাবলো, কি আশ্চর্য! কাজে ব্যাস্ত থাকলে কত দ্রুত যে সময় গড়িয়ে যায়! এই ব্যাপারটা সে প্রায়ই লক্ষ্য করেছে। ক্যাম্পের প্রতিটা দিন খুব দ্রুত পার হয়ে যায়। যেন “ছুরি” শব্দটা উচ্চারন করতে না করতেই এক একটা দিন কেটে যায়। কিন্তু বছরগুলো যেন কাটতেই চায় না, এক মুহুর্তের জন্যেও যেন আগায় না। ওরা নিচে নেমে দেখতে পেলো সবাই স্টোভের পাশে জড়ো হয়ে বসে আছে, কেবল ক্যাপ্টেন আর ফেতিউকোভ ছাড়া, ওরা এখনো বালি আনার কাজ করে যাচ্ছে। এই দেখে পাভলো রেগে আগুন হয়ে গেল আর তক্ষুনি আটজনকে পাঠালো ব্লকগুলো সরানোর জন্য, দু’জনকে বাক্সে সিমেন্ট ঢেলে তাতে বালি মিশিয়ে মসলা বানানোর জন্য, একজনকে পানি আর আরেক জনকে কয়লা আনার জন্য।

কিল্গাস তার নিজের নির্দেশগুলো আলাদাভাবে দিলো, “বাছাধনেরা, ঠেলাগাড়ীর কাজটা আমাদের শেষ করতেই হবে।”

“আমি কি ওদের একটু সাহায্য করবো?” সূখোভ স্বেচ্ছায় বললো।

“হ্যাঁ, কর।” পাভলো মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিলো।

ঠিক তখনি কয়েকজন একটা ট্যাঙ্ক ভর্তি গলতে থাকা তুষার নিয়ে এলো। কে যেন সবাইকে জানিয়ে দিল যে দুপুর হয়ে গেছে।

সূখোভও সেটা নিশ্চিত করলো।

“সূর্য একেবারে সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে গেছে”, সে বললো।

“সূর্য যদি একেবারে উঁচুতে উঠে থাকে”, উত্তরে বললো ক্যাপ্টেন, “তাহলে এখন একটা বাজে, ঠিক দুপুর না।”

“কি বলছ তুমি?” সূখোভ দ্বিধান্বীত হয়ে বললো, “একেবারে বুড়োরাও জানে যে সূর্য একেবারে আকাশের উঁচুতে উঠলেই খাওয়ার সময় হয়”।

“বুড়োরা, হতে পারে”, ক্যাপ্টেন মুখ বাঁকিয়ে বললো, “কিন্তু ওদের সময় থেকে ওরা একটা নতুন আইন চালু করেছে, এবং এখন সূর্য যখন একেবারে উঁচুতে থাকে তখন সময় হচ্ছে একটা”।

“কিন্তু এই আদেশ কে জারি করলো?”

“সোভিয়েত পাওয়ার।”

ক্যাপ্টেন একটা ঠেলাগাড়ী ঠেলতে ঠেলতে বেড়িয়ে গেল।

যাইহোক, ওর কথার সাথে একমত হতে সূখোভের ইচ্ছে হয় না। কি দুঃখজনক ব্যাপার, ওদের আইনের কাছে প্রকৃতির নিয়মও মাথা নিচু করতে বাধ্য।

ওদিকে চারটা হড বানানোর কাজে ব্যাস্ত লোকেদের হাতুড়ি পেটানোর শব্দ চলছেই।

“ঠিক আছে, কিছুক্ষন বসে জিড়িয়ে নাও, নিজেদের শরিরও একটু গরম করে নাও,”। পালভো রাজমিস্ত্রি দুজনকে বললো। “এবং সেনকা তুমিও, খাওয়াদাওয়ার পাট চুকিয়ে তুমি ওদের কাজে যোগ দিতে পার। এখন বস।”

তো ওরা স্টোভের পাশে বসে পরলো। খাওয়ার পালা শেষ হওয়ার আগে ব্লক বসানোর কাজ শুরুও করা যাবে না। আর তাই এখন মসলা উপরে বয়ে নেয়ারও কোন যুক্তি নেই, ঠান্ডায় জমে যাবে।

কয়লাগুলো ধীরে ধীরে উত্তপ্ত আর লাল হয়ে উঠছে, আর সুন্দর, সুস্থির একটা তাপ ছড়াচ্ছে। কিন্তু শুধু কাছে থাকলেই উত্তাপটা টের পাওয়া যায়। ঘরের বাকী অংশ বরাবরের মতই শীতল, ঠান্ডা।

ওরা হাতের মিটেন্সগুলো খুলে ফেললো। তারপর চারজনই ওদের হাতগুলো স্টোভের আগুনের উপর মেলে ধরলো

কিন্তু বুট পরে থাকলে কখনোই পা আগুনের খুব কাছে নেয়াটা ঠিক না। এই কথাটা সবসময় মনে রাখতে হবে। যদি হয় চামড়ার বুট, তাহলে চামড়া ফেটে যায়, আর যদি হয় ভ্যালেঙ্কি, তাহলে সেটার ফেল্ট ভিজে সপসপে হয়ে যায় আর সেটা থেকে বাষ্প উঠতে থাকে। তারপরেও আগুনের কাছে ধরে রাখলে পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তখন ওই ফুটোওয়ালা বুট পরেই পরবর্তী বসন্ত পর্যন্ত ছেঁচড়ে ছেঁচড়ে কাটাতে হবে, নতুন বুট পাওয়া কল্পনারও অতীত।

“সূখোভের আর কিইবা যায় আসে”, কিল্গাস বলে উঠলো, “ভাইয়েরা আমার, সূখোভতো এক পা প্রায়ই ঘরেই দিয়ে রেখেছে।”

“হ্যাঁ, ওই খালি পাটা”, একজন বললো। সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। (সূখোভ তার জোড়াতালি দেয়া বুটের পাটিটা খুলে পায়ে প্যাঁচানো কাপরগুলো উষ্ণ করছিলো)

“সূখোভের মেয়াদতো প্রায় শেষ হয়ে আসছে।”

কিগ্লাসকে দেয়া হয়েছে পঁচিশ বছরের সাজা। আগে একটা সময় ছিল যখনকার লোকেরা ছিল ভাগ্যবান। সবাইকে দশ বছরের সাজা দেয়া হতো। কিন্তু ’৪৯ সন আর তার পর থেকে শুরু করে সাজা দেয়ার সাধারন মেয়াদ হচ্ছে পঁচিশ বছর, কোন রকম বাছবিচার ছাড়াই। দশ বছর কোন রকমে টিকে থাকা যায়। কিন্তু পঁচিশ বছর! এতবছর ক’জনই বা বেঁচে থাকতে পারে?

সূখোভ বরং ব্যাপারটা উপভোগই করে যখন কেউ আঙ্গুল তুলে ওকে দেখিয়ে বলে, “ওকে দেখ, ওর মেয়াদ প্রায় শেষ হয়ে আসছে।” কিন্তু এ ব্যাপারে ওর সন্দেহ আছে। অন্য “জেক”, যাদের মেয়াদ যুদ্ধের সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল, তাদের সবাইকে বিশেষ নির্দেশের অপেক্ষায় বন্দী রেখে ’৪৬ সনে ছাড়া হয়েছিল। এমনকি যারা দশ বছরের সাজার মেয়াদ শেষ করেছিল, তাদেরকে আরো পাঁচ বছর বন্দী করে রাখা হয়েছিল। এই আইন হয়তো ওর মাথার উপরেও খাড়া হয়ে আছে। দশ বছরের মেয়াদ শেষ হলে ওরা বলতে পারে, “এই যে ধর, আরো দশ বছর সাজা ভোগ কর।”। কিংবা পাঠাতে পারে নির্বাসনে।

তবুও মাঝেসাঝে ভাবতে বেশ ভালোই লাগে আর আনন্দে দম বন্ধ হয়ে আসার জোগাড় হয়, “হ্যাঁ, তোমার মেয়াদ শেষ হয়ে আসছে, লাটাই থেকে সুতো আস্তে আস্তে খুলে আসছে... ওহ্‌ প্রিয় ঈশ্বর! মুক্তি থেকে মাত্র দু’ কদম দূরে, কেবল হেঁটে হেঁটে বেড়িয়ে যাওয়া।

কিন্তু পুরোন বন্দীদের এ নিয়ে উচ্চবাচ্চ করাটা অশোভন এবং সূখোভ কিল্গাসকে বললো, “পঁচিশ বছর সাজার চিন্তায় অস্থির হয়ো না। মেয়াদের পুরোটা সময়ই যে তোমাকে কাটাতে হবে এ কথাতো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। কিন্তু আমি যে আটটি বছর কাটিয়েছি, সেটাতো সত্য।”

“হাহ্‌, এই নোংরা কাদার মধ্যে মুখ ডুবিয়ে কাটানোর জীবনে কবে, কিভাবে এসেছি আর কবে মুক্তি পাবো, এসব চিন্তা করার ফুরসতই তো নেই।”

-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী

পর্ব ৬ = http://www.sachalayatan.com/guest_writer/56549
পর্ব ৫ = http://www.sachalayatan.com/guest_writer/56529
পর্ব ৪ = http://www.sachalayatan.com/guest_writer/56453
পর্ব ৩ = http://www.sachalayatan.com/guest_writer/56431
পর্ব ২ = http://www.sachalayatan.com/guest_writer/56426
পর্ব ১ = http://www.sachalayatan.com/guest_writer/56419


মন্তব্য

Bigpage Bangladesh এর ছবি

খুব ভালো লাগলো েটা পোরে

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ।
-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী

সোহেল ইমাম এর ছবি

সিরিজটা সুন্দর ভাবে চলছে দেখে ভালো লাগছে। সিরিজ লেখা মাঝপথে থেমে যাবার উদাহরণই বেশি। চলুক লেখা পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম

---------------------------------------------------
মিথ্যা ধুয়ে যাক মুখে, গান হোক বৃষ্টি হোক খুব।

অতিথি লেখক এর ছবি

ধন্যবাদ ভাই।
-ইকরাম ফরিদ চৌধুরী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।