খোঁজ দ্য সার্চ সারভাইভার

হিমু এর ছবি
লিখেছেন হিমু (তারিখ: শুক্র, ০৭/০১/২০১১ - ২:২০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মরতে মরতে বেঁচে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই আছে। আমি নদীতে ডুবেছি কয়েকবার, ডাকাতের গুলি বগলতলা দিয়ে চলে গেছে, পাহাড় থেকে পড়তে পড়তে রুকস্যাকের ফিতা আটকে গিয়ে বেঁচে গেছি, ম্যালেরিয়া থেকে সেরে উঠেছি, রোড অ্যাকসিডেন্টে আরেক্টু-হইলেই-গেছিলাম গোছের সিচুয়েশনে চান্দে চান্দে পড়েছি, বজ্রপাতের নিচে না পড়লেও ল্যাবে ক্যাপাসিটর ব্যাঙ্কে শক খেয়েছি অনেকবার, কিন্তু আজকে মনে হচ্ছিলো হাসতে হাসতে, হাঁ ভাই, মরেই যাবো।

সিনেমাটা পুরো দেখা শেষ হয়নি। আধা ঘন্টার মতো দেখেই পোস্ট লিখতে বসে গেলাম, কারণ বাকিটুকু দেখার পর আর লেখার স্ট্যামিনা থাকবে না। হাসতে হাসতে হয়রান হয়ে পড়েছি। আর এই জিনিস মনে হয় সবাই দেখে ফেলেছেন, তাই পণ্ডিকা [spoiler এর বাংলা করলাম] দেবো কিছু।

একদম গোড়ায় হাত দিলে আমরা সুষ্ময় সুমন নামে এক ভদ্রলোককে পাবো। সম্ভবত লালিমা পাল (পুং) টাইপ ছদ্মনাম এনার। এই কামেল ব্যক্তিই খোঁজ দ্য সার্চের চিত্রনাট্য আর সংলাপ লিখেছেন। উনি নমস্য মানুষ। বোঝাই যায়, মাসুদ রানা পড়েন খুব। সিনেমার শুরুতেই দেখা যায় গুরুগম্ভীর সোহেল রানা মাথায় কাজলকালো পরচুলা চাপিয়ে এসে গটমটিয়ে চেয়ারে বসেই প্রশ্ন করেন, রানা কোথায়?

সিনেমায় এখন পর্যন্ত ইংরেজিতে সবচেয়ে দক্ষ মেজর কাম্রুল ইংরেজিতে বলে ওঠে, রানা তো ছুটিতে স্যার!

মেজর কাম্রুল বেচারা শেভ করার চান্স পায় নাই, মুখ ভর্তি খোঁচা খোঁচা দাড়িগোঁফ, ইনটেলিজেন্সের কাজে খুব দৌড়ের ওপর থাকে, বোঝাই যায়। এরপর রানার নামটা চাপা পড়ে যায়, তার বদলে মেজর মাহমুদ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। তিরিশ মিনিট দেখে বুঝলাম, সোহেল রানার স্টকে খুব বেশি এজেন্ট নাই, মেজর কাম্রুল অফিসে ডিউটি দেয়, রানা গেছে ছুটিতে, মেজর মাহমুদই ভরসা। কুলা মার্কার বিকল্প ধারার মতো অবস্থা, দুই তিনজন লোক নিয়ে কাজ চালাতে হয়।

জানা গেলো, মেজর মাহমুদ বিশেষ অ্যাসাইনমেন্টে নিউ ইয়র্কে আছে। বলতে না বলতেই দেখা যায় বিদেশে হোটেলের টয়লেট থেকে বেরিয়ে এসেছে উলঙ্গ মাহমুদ, জিনা লোলোব্রিজিদার মতো তার বিশাল বক্ষ। নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছে প্রযোজক নিজেই। প্রযোজক হিসেবে ওনার নাম এম এ জলিল দেখা গেলেও নায়ক হিসেবে তিনি অনন্ত নামটা ব্যবহার করতে চেয়েছেন। তবে ওনার নাম ফেটেছে জলিল হিসাবেই। সিনেমায় এই জলিল সাহেবের প্রবণতা হচ্ছে যতদূর সম্ভব লো কাটের জামা পরা, নয়তো খালিগা থাকা (সম্ভবত নারী দর্শকদের যৌন কাতুকুতু দেয়ার অপচেষ্টা) আর একটু পর পর ইংরেজি সংলাপ আওড়ানো। আর ঐখানেই উনি মেজর কাম্রুলের কাছে ধরা খেয়ে গেছেন। কাম্রুল নসিমনের এনজিনের মতো ভটভটিয়ে ইংরেজি বলে, আর মেজর মাহমুদ ইংরেজি বলে টেলিগ্রামের ভাষায়, মাদার ইল, কাম শার্প টাইপ। এমনিতে চলাফেরার সময় ওনার গালের পেশী বেশ ইলাস্টিক মনে হলেও ইংরেজি বলার সময় সেগুলিতে রিগর মর্টিস চলে আসে, মনে হয় একটা শেভ করানো নারিকেলের ফাটল থেকে সংলাপ ভেসে আসছে। ট্যুরিস্টরা চীনে গিয়ে যেমন চার পাঁচটা চীনা বাক্য শেখে, উনিও সেরকম ঠাঠা ইংরেজি মুখস্থ বলে যান। ওনার অ্যাকসেন্ট শুনে একটু দ্বিধায় আছি। একবার মনে হলো ওনার বাড়ি নরসিংদী, তারপর মনে হলো নারায়ণগঞ্জ, কিন্তু এক পর্যায়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছি ভাইজানের দ্যাশ বরিশাল। তবে উনি শুধু ইংরেজি বলেন দেখে এখনও পাকাপাকি সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি, আশা করি ছবি শেষে বুঝে যাবো।

অ্যাকশন ছবি দেখেই মনে হয় সংলাপে ইংরেজির এতো আধিক্য। আমরা বাঙালিরা এত মারপিট করেও ব্যাপারটাকে আপন ভাবতে পারি না, এটার গায়ে একটা বেহুদা বিলাতি রং চড়ানোর চেষ্টা করি। মেজর মাহমুদ এ কারণে মারপিট শুরুই করেন লাস ভেগাসে গিয়ে। এই জায়গার নাম নিয়েও একটা কনফিউশন আছে। মেজর কাম্রুলের দেয়া তথ্যমতে, মাহমুদ ছিলো নিউ ই্য়র্কে, কিন্তু তাকে দেখা যায় লাস ভেগাসে। অবশ্য স্পাই মানুষ, কখন কই থাকে, কে বলতে পারে?

নিনো নামে এক আন্তর্জাতিক অস্ত্রচালানির পেজোমিতে অতিষ্ঠ হয়ে সোহেল রানা ডেকে পাঠান জলিলকে। বেচারা জলিল বসের হুকুম শুনে দুই সিন পরেই এসে হাজির হয় নিজের দেশে। নারিকেল গাছের গোড়ায় কিল ঘুষি মেরে আর বুক ডন দিয়ে দিয়ে নিজেকে চাঙা রাখে। বেরসিক মা এসে তাকে ফুসলি দ্যান, বিয়েশাদি করতে হবে। জলিল বিরক্ত হয়। বিরক্তির কারণটা বুঝতে হবে চিত্রনাট্যকারের মাসুদ রানা পাঠের অভিজ্ঞতার ভেতরে গিয়ে। মাসুদ রানা যেমন টানে সবাইকে, কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না, জলিলও তেমনি। প্রসঙ্গ ঘোরাতে সে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, ম্মাহ খুদা পেয়েচে, কিচু খেতে দাও না!

মায়ের হাত থেকে বেঁচে খেয়েদেয়ে জলিল হাজির হয় সোহেল রানার অফিসে। সেখানে বসেই তিনি আওড়ান তার অবিস্মরণীয় মাস্টারপিস, ইপ ইউ ডোন মাইন্ড, মে আই আক্স ইউ এ কোশ্চেন? এই দৃশ্যের পর দুইটা আলু গোল করে ভেজে মচমচা চিপ্স বানিয়ে খেয়ে কড়া পাত্তির চা নিয়ে এসে আবার বসেছি। শরীরে বল দরকার বাকিটা দেখার জন্য।

ক্যাপ্টেন ববি নামে এক ছম্মাকছল্লো অ্যানালিস্ট আছে সোহেল রানার স্টকে। ববি বেশ ইয়ে আর কি। পাতলি কমরিয়া, তিরছি নজরিয়া টাইপ। ছলাকলাও জানে অল্পস্বল্প। তাকে দেখে সোহেল রানা পর্যন্ত বোতল খুলে মিনারেল ওয়াটার পান করেন। নিনোর খবরাখবর ববিই বেশি রাখে। তো এই ববির সাথে ভিড়িয়ে দেয়া হয় জলিলকে। ববি ব্রিফ করতে থাকে, কিন্তু জলিলের মন বসে না পড়ার টেবিলে। সে চলে যায় গলফ খেলতে। ধু ধু ময়দানে সে একাই কোদালের মতো একটা ক্লাব হাতে গলফ বলটার বারোটা বাজাতে থাকে। এই জায়গায় এসে দেখলাম, আমাদের জলিল ভাইয়ের একটা সাদা ফুলপ্যান্ট ফেটিশ আছে। আরো কিছুদূর দেখে নিশ্চিত হলাম, উনি অ্যাকশনে নামলে কালো ফুলপ্যান্ট পরেন, কিন্তু অফিস ডিউটি কিংবা খেলাধূলা কিংবা নাচগান করার সময় অবধারিত ভাবে সাদা প্যান্ট পরেন। সেই প্যান্ট আবার একটু নিচে পরেন, সাথে মিডিয়াম ভোল্টেজ সার্কিট ব্রেকারের মতো বড় বাকলঅলা বেল্ট। উনি বেশির ভাগ সময়ই স্লো মোশনে হাঁটেন, তখন বোঝা যায় ওনার একটা ভুঁড়িও আছে। তবে সেইটাকে টেনে রাখেন, টের পাওয়া যায়।

জলিল সাহেবের আরেকটা ফেটিশ হচ্ছে, নিজের বগল দেখাতে চাওয়া। উনি প্রায় সব নাচেই নিজের বগল দেখানোর চেষ্টা করেন। বগল নিয়ে এরকম আত্মবিশ্বাস থাকা ভালো কি মন্দ, সেই আলোচনায় না যাই। তবে নিসর্গ নিয়ে কিছু পড়ালেখার চেষ্টা করি বলে বাফ ব্রেস্টেড স্যাণ্ডপাইপারের সাথে ওনার একটা মিল খুঁজে পেলাম। জুটি বাঁধার মৌসুমে এই প্রজাতির পুরুষ পাখি ডানা উঁচিয়ে নিজের বগল দেখায়। সেই বগল দেখে মাইলকে মাইল দূর থেকে একাধিক মেয়ে স্যাণ্ডপাইপার ছুটে এসে তাকে চিলুবিলু করে ছেঁকে ধরে। জলিল ভাই হয়তো এই তরিকায় ইতিবাচক ফল পেয়েছেন জীবনযৌবনে। সিনেমায় উনি বিশ্বস্ততার সাথে মুখ বন্ধ করে তাই বারবার বগল মেলে ধরেছেন। নায়িকা দুইজনও "বগল ধরিতে দিও গো আমারে, নিও না, নিও না সরায়ে" ভাব করে এসে হাজির হয়েছে বারবার। হয়তো বগলে কাজ দেয়, আমি জানি না। সিনেমাটা তো আপনারা দেখেছেনই, এইবার বাফ ব্রেস্টেড স্যাণ্ডপাইপারকে দেখেন।

আমি এখন মিয়ানমারে জলিল ভাইয়ের অ্যাকশন দেখছি। বাকিটা দেখে পোস্টের বাকিটুকু শেষ করবো। অ্যাকশনের বেশ কিছু জিনিস যথেষ্ট বাস্তবসম্মত, বিশেষ করে বুলেটের ইমপ্যাক্ট। তবে দর্শক আসলে রূদ্ধশ্বাস উত্তেজনায় অপেক্ষা করে, কখন জলিল ভাইয়া আরেকটা বিস্ফোরক ইংরেজি বাক্য বলে ফেলবেন।

নাহ, জলিল ভাই আপাতত শত্রুর হাতে বন্দী। ক্যাপ্টেন ববি তাকে স্কাইপে বা জিটকে "ক্যান ইউ হেয়ার মি" বলে খোঁজ নিতে চাইছে। মিলিটারি জবানে এটা "ডু ইউ কপি" টাইপ কিছু হবে ভেবেছিলাম, কিন্তু ক্যাপ্টেন ববি "মেজর মাহমুদ" আর "ব্রিফ" ছাড়া অন্য কোনো জলপাই টার্ম এখন পর্যন্ত ব্যবহার করেনি। সোহেল রানা নিজের অফিস থেকে বেরিয়েছে, মনে হয় টয়লেটে যাচ্ছিলো, ক্যাপ্টেন ববি ছুটতে ছুটতে তাকে এসে দুঃসংবাদটা দিলো, জলিলের সাথে এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। সোহেল রানা খুব দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে।

[দেখি সামনে কী হয়। তারপর আরো একটু লিখবো।]


মন্তব্য

অপছন্দনীয় এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ফাহিম হাসান এর ছবি

বাফ ব্রেস্টেড স্যাণ্ডপাইপারের মেটিং রিচুয়াল দেখে দারুণ লাগল। দেঁতো হাসি
পুন: মেটিং রিচুয়াল এর বাংলা কী করা যায়? মিলনকালীন আচরণের থেকে ভাল কিছু একটা বের করা দরকার।

হিমু এর ছবি

মেটিং রিচুয়াল = মৈথুনাভিচার

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কেউ পারলে হিমুর এই বিশেষ গুনের জন্য ওনার একটা নাম দিয়ে দেন। (না পারলে গোপনে হিমুর সাথে যোগাযোগ করেও করতে পারেন চোখ টিপি )

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

কস্কি মমিন! গুল্লি গুরু গুরু

সাইফ তাহসিন এর ছবি

শেষ করেন, তারপর আলোচনা করা যাবে, এই জিনিস দেইখা শেষ করতেও বুকে আর চোখে জোর লাগে, মনে রাইখেন, "ইউ ওয়ানা ডিশট্রয় মায় কান্ট্রিঈঈঈ"

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি
(কমেন্ট লাইকাতে পারতেছিনা! আহারে!! মুর্শেদ ভাই এই অপশনটা দিয়েন গো আবার! )

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পল্লব এর ছবি

যদ্দুর মনে পড়ে, জলিল সাহেবের বাংলায় লেখা ইংরেজি উচ্চারণ স্ক্রিপ্টে কোন র-ফলা ছিল না দেঁতো হাসি

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

ru এর ছবি

প্রসঙ্গ ঘোরাতে সে মাকে জড়িয়ে ধরে বলে, ম্মাহ খুদা পেয়েচে, কিচু খেতে দাও না!

"মা, মা, আমি বি এ পাশ করেছি। ফার্স্ট ডিভিশন ফার্স্ট হয়েছি।" এই ডায়লগটা নাই?! আপনি ঠিক শুনেছেন তো?
-রু

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সিনেমায় এই জলিল সাহেবের প্রবণতা হচ্ছে যতদূর সম্ভব লো কাটের জামা পরা

আর মেজর মাহমুদ ইংরেজি বলে টেলিগ্রামের ভাষায়, মাদার ইল, কাম শার্প টাইপ

কিন্তু জলিলের মন বসে না পড়ার টেবিলে। সে চলে যায় গলফ খেলতে।

নাহ! আমিও ইন্সপায়ারড এই ছিঃনেমা দেখে ফেলতেই হবে মরি আর বাঁচি। মরলে জানবো দেখতে গিয়েই মরেছি!

পরিশেষে

আমি নদীতে ডুবেছি কয়েকবার, ডাকাতের গুলি বগলতলা দিয়ে চলে গেছে, পাহাড় থেকে পড়তে পড়তে রুকস্যাকের ফিতা আটকে গিয়ে বেঁচে গেছি, ম্যালেরিয়া থেকে সেরে উঠেছি, রোড অ্যাকসিডেন্টে আরেক্টু-হইলেই-গেছিলাম গোছের সিচুয়েশনে চান্দে চান্দে পড়েছি, বজ্রপাতের নিচে না পড়লেও ল্যাবে ক্যাপাসিটর ব্যাঙ্কে শক খেয়েছি অনেকবার
আপনার দেখি আসলেই খালি বজপাতটাই বাকি আছে। ভানুর মতো করলে লোহার রড পিঠে বেঁধে, ছাতে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে আপনাকে, তাহলেই ব্যাস, সব রকমই হয়ে যাবে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অদ্রোহ এর ছবি

এই অসামান্য ছিনেমা দেখেছি খুব বেশি দেরি হয়নি। তখন বাতাসে পরীক্ষা পেছানোর গুজব চাউর হয়েছে, আমাদের মত নালায়েকরা গায়ে বাতাস লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি, যাকে বলে মন বসেনা পড়ার টেবিলে। আঁতেলরা চোখে মুখে কৃত্রিম উদ্বেগের ভাব করে গোগ্রাসে চোথা গিলছে। তখনই আমরা জনাকয়েক বন্ধু কোন রকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই খোঁজ দ্য সার্চ দেখে ফেললাম।

ভাল কথা, আগে শেষটা দেখে নিন, আরও নির্মল বিনুদন আছে, গ্যারান্টেড!

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ru এর ছবি

ভানুর মতো করলে লোহার রড পিঠে বেঁধে, ছাতে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখতে হবে আপনাকে, তাহলেই ব্যাস, সব রকমই হয়ে যাবে।

এত কষ্ট করতে হবে কেন? লেখকের না সামনে বিয়ে (যদি না গত ডিসেম্বরে হয়ে যেয়ে থাকে। কোন ছবি দেখিনি তাই একটু কনফিউজড)? আমি তো শুনলাম বিয়ে হলে ছেলেরা এমনিতেই মরে যায়। -রু

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মজা পাইলাম পইড়া...

আমি এই সিনেমা দেখি নাই, দেখার আগ্রহও নাই
যতদূর বুঝি এটা পুরাটাই একটা খ্যাপ প্রজেক্ট। আপাদমস্তক। এটা এরচেয়ে ভালো হওনের কোনো সম্ভাবনা কখনোই ছিলো না, থাকবে না। যে প্রজোযক নিজের বগল দেখানোর জন্য কোটি টাকা খরচ করে, সে এরচেয়ে রুচিকর জিনিসে টাকা ঢালবে না। জানা কথা।
এই সিনেমা কোনো শিল্প বা অন্য কোনো কারণেই তৈরি হয় নাই, এমনকি দর্শকের জন্যও না, এটা শুধুই তৈরি হইছে জলিল সাহেবের বগল দেখায়া নাচার খায়েশ পূরণের জন্য। চিত্রনাট্যকার থেকে শুরু করে পরিচালক প্রত্যেকেই এখানে খ্যাপ মারছে। আর কিছু না। সম্ভবত তারা নিজেরাই জানে এটা এরথেকে ভালো করার চেষ্টা করা ভুল।

আমার সবচেয়ে ভালো লাগছে এই সিনেমা বানায়া পরিচালক অস্কার বগলদাবা করতে বড় বড় বানী দেয় নাই, হলিউডি এ্যাকশন মুভি বানায়া ফেলছি বইলা লাফায় নাই [অন্তত আমার চোখে পড়ে নাই]
বিপরীতে যেখানে সিনেমাতে খালি ছেঁড়া লুঙ্গি আর নৌকার পাল তুলে দিতে পারলেই আর্ট ফিল্ম আর্ট ফিল্ম বলে চেঁচায়ে নিজেরে ঋত্বিক ঘটকের ছোটভাই বানায়ে ফেলে আর অস্কার নমিনেশনের জন্য জানপাত করে। অথবা না আর্ট না হার্ট সিনেমা বানায়া নিজেরে আব্বাস কিয়োরুস্তমি ভাবে...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

হিমু এর ছবি

আমি কিন্তু এই উদ্যোগের প্রশংসাই করবো। আস্তে আস্তে ভালো স্ক্রিপ্ট আসবে, ভালো স্কোর আসবে, ভালো এফেক্টস আসবে। ব্যাকইয়ার্ডে যারা আছে তারা কাজ পাবে, কাজ করে শিখতে পারবে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমিও প্রশংসাই করি... কিছু বগলবীরের টাকা আমাদের মতো গরীব গুর্বাদের পকেটে আসুক। আমরা একটু করে কেটে খাই... হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ধুসর গোধূলি (সচলে ঢুকতে পারি না) এর ছবি

নিজের নামে ঢুকতে পারতেছি না, কি এক ছিরিঙ্খলায় পড়লাম!

নজু ভাইয়ের কথা ঠিকাছে, কিন্তু আমিও জলিল ভাইয়ের প্রজেক্টে আশাবাদী। দ্য স্পিড-এর ট্রেলার দেখে মনে হয়েছে কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে কাজে। তবে অভিনেতা (সব সহ) হিসেবে জলিল ভাইয়ের উন্নতি ঘটাতে হলে অনেক নদীর পানি সাগরে নিয়ে ফেলতে হবে বালতিতে করে।

তবে নজু ভাইকে বলি, আপনার আসলে দরকার কোনো বগলবীর না। দরকার একজন 'সেরকম হিট' নায়ক; যথা ধুগো ইন্টারন্যাশনালের হেড কের্দান মাননীয় ধুগো। নাটক বানান আর ছিনেমা বানান, সেইটা হিট না হইলে পয়সা ফেরত। শ্যুটিং হবে জার্মানীর মনোরম সব লোকেশনে (কাসেল ছাড়া যেকোনো শহরে)। আপনে সিরিয়াসলি চিন্তা ভাবনা করে দেখেন। সময় গেলে কিন্তু সাধন হবে না। তখন আমার কানের পিছে ভুভুজিলা ফুঁকেও কোনো ফায়দা হবে না কলাম!

জাহামজেদ এর ছবি

জলিল এখন রামুজি ফিল্ম সিটিতে তার পরবর্তী সিনেমার একটা গানের শুটিংয়ে ব্যস্ত। যতটুকু শুনেছি, একটি গানের দৃশ্য ধারণ করতে খরচ হচ্ছে ৮৫ লাখ টাকা!!! জলিলের নতুন সিনেমাটাও একটা খ্যাপ প্রজেক্ট।

হয়তো আরেকটা খোঁজ দ্যা সার্চ !

__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________

সাইফ তাহসিন এর ছবি

নজুদা চেতেন ক্যালা, কত্তগুলান ছুছুন্দরীর নগে নট্র পটর করল হেইটার কথা কইলেন না? খালি বগল ভর্তি কালা কালা লুম গুলানই চোখে পড়ল গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি, ক্যাপ্টের বুবিরে আপনে ফালায়া দিবেন চোখ টিপি হো হো হো

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

ওডিন (মিডনাইট স্ন্যাক করে) এর ছবি

আবার সাবধান করতাছি- খুব খিয়াল কইরা- ঘরে প্যারামিডিক ডাকায়া ন্যান। নাহলে সিপিআর জানা প্রতিবেশিদের ডাইকা সাথে বসায়া ন্যান।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

শুরুর দিকে প্রতিবারেই "ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ডিলার নিনো" বলা দেখে সত্যিকার মজাটা পেয়েছি। কোনো ভাবে এর তুলনায় এক শব্দ সংক্ষেপে শুনলাম না। দেঁতো হাসি আর জলিল ভাইয়ের ইংরেজি তবু সহ্য হয়, বাংলাটা শুনে তো কান্না চলে আসার যোগাড়!

অদ্রোহ এর ছবি

নিনোকে দেখে আসলেই ভড়কে গেস্লাম, শুরুর দিকে যখন খটোমটোভাবে "স্টপ দ্য লিমু" বলে চেঁচিয়ে ওঠে সেটাও একটা বিশাল মজাই বটে।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এইটা একটা সিল্প, এইটা দেখতে পারতে হবে গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কস্কি মমিন! গড়াগড়ি দিয়া হাসি
আমিও ভাবতেছি লাইফ ইন্স্যুরেন্সটা করে ছবিটা দেখেই ফেলব। হো হো হো

একটা তথ্য: আমার জানামতে এই সিনেমার পরিচালক হলিউডি এডিটর একজন। বাংলাদেশে এসে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। সে বেশ কয়েকটা নামকরা হলিউডি সিনেমার এডিটিং করেছে বলে জানি। আর কিছু না হোক সে তুখোড় এডিটর আর ইফেক্ট স্পেশালিস্ট।

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

তাসনীম এর ছবি

হিমু ইপ ইউ ডোন মাইন্ড, মে আই আক্স ইউ এ কোশ্চেন? -- ছবিটা কোথায় পাবো? এই মাস্টারপিচ দেখা উচিত।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

সাইফ তাহসিন এর ছবি

এইটা কি কইলেন, এখনো দেখেন নাই? টরেন্ট করেন আপনে? তাহলে লিংক দিতে পারি। নাহলে আওয়াজ দিয়েন, মিডিয়া ফায়ারে আপায় দিমুনে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হিমু এর ছবি

থ্যাংক্স পর দা ইনপরমেশন

তাসনীম এর ছবি

অফিসের কম্পিউটারে টরেন্ট করতে পারিনা। রনি মিডিয়া ফায়ারের লিঙ্ক দিসে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

পল্লব এর ছবি

জনস্বার্থে মুভিটা আপ্লোডাইসি র‍্যাপিডশেয়ার আর মিডিয়াফায়ারে। লিঙ্কগুলা দিয়া দিলাম।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

তাসনীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

জলদস্যু এর ছবি

যতদূর মনে পড়ে এই গানটা ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। হাসি

সাইফ তাহসিন এর ছবি

সবচেয়ে মজার গান ছিল এইটা, কিন্তু মনে হয় সেন্সরবোর্ড পার হইতে পারে নাই, অথবা সময়ে কুলাইতে না পাইরা বাদ দিছে, মন মেজাজ খারাপ থাকলে এই গানটা শুনি, মেঘের ফাঁক দিয়ে সূর্য্য উঁকি দেয়, একইভাবে হাসি আসে গায়কের উচ্চারণ শুনলে চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

অতিথি লেখক এর ছবি

বোম্বাস্টিং গুল্লি গান পুরা। অই, সাবানদানিটা লইয়া আয় তো কে আসস খাইছে
ধৈবত

অতিথি লেখক এর ছবি

ভিডিওর কালো স্যুট পরা লোকটা অনেক আগের চিত্র নায়ক জাভেদ নাকি?!! উনি বেঁচে আছেন এখনো?!!

মোহনা'

ধুসর গোধূলি এর ছবি

খালি বেঁচেই নেই, ঠোঁটে-গালে রীতিমতো লালরঙা পালিশ লাগিয়ে তারপর অভিনয় করছেন।

 জৈনিক রমণী এর ছবি

হাসব নাকি কাঁদব কিছু বুঝে উঠতে পারতেছি না!!!!!

সজল এর ছবি

এই মুভি দেখতে হয় আসলে দলবল নিয়ে। একা একা দেখে শেষ করা বেশ কঠিন হওয়ার কথা।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

নির্ঝর (অতিথি) এর ছবি

ভাই, যা লেখছেন, পড়িয়া অতিব মজা পাইলাম । কিন্তু নায়িকা নিয়া কিছু লেখলেন না দেখি । অইটাও একটু add করেন ভাই । গড়াগড়ি দিয়া হাসি

সৌরভ এর ছবি

কীভাবে পারলেন পুরোটা দেখতে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

৪০ মিনিট দেক্সি গতকাল। জলিলের মাকে ববি মা ডাকা শুরু করার পর আর পাল্লাম্না।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

জনস্বার্থে একটা রিকোয়েস্ট... আপনি দয়া করে মুভিটা শেষ করে রিভিউটা সম্পূর্ণ করে ফেলেন... অধীর আগ্রহ নিয়ে বসে আছি..

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

পল্লব এর ছবি

নায়কের মা মাথায় গুলি খায়া অন্তিম ডায়ালগ মারার টাইম কেমনে পাইল বুঝিনাই।

==========================
আবার তোরা মানুষ হ!

দ্রোহী এর ছবি

ছি হিমু! পপেশনালদের পিচন তেকে গুলি করতে হয় না।

অতিথি লেখক এর ছবি

"তবে নিসর্গ নিয়ে কিছু পড়ালেখার চেষ্টা করি..... " বুঝলাম্ন না, একটু বুঝিয়ে বলবেন?
----সাজ্জাদ

অতিথি লেখক এর ছবি

-------- প্রকৃতি ও পরিবেশ বিষয়ক পড়াশুনা। হাসি

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

একবার ২দিনের রোজা রাইখা এই ছিঃনেমা দেখতে হইবো। ভরা পেটে দেখলে জামা-কাপড় খ্রাপ হইতারে ... ... ...

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

শামীম এর ছবি

পরিবারের সকলকে নিয়ে দেখার মত এ্যাকশন কমেডি।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

অতিথি লেখক এর ছবি

উপরের লিঙ্কু ধরে দেখতে বসেছিলাম। ধৈর্যে কুলোলো না।

লেখা পড়েই মজা যা পাওয়ার পেয়ে গেছি চোখ টিপি

কৌস্তুভ এর ছবি

আজকাল সচলে যে সব ছিনেমারিভিউ আসছে, পড়ে আর কোনো রিভিউ লিখতে লইজ্জা হয়...

তা পুরোটা শেষ করেন, তারপর এসে জানান দেন। বেঁচে থাকার আনন্দে কেক্কুকের দাওয়াত দেন। বা ধুগোদার মত কাবাব-পানিও খাওয়াতে পারেন।

তারশি- এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

জলিল দ্যা হিরো......

আদু ভাই

রাজন দেব এর ছবি

হাহাহা... ফেসবুকে এটার লিংক পেয়ে আসলাম! মজা করে লিখেছেন তো! এখনো হেসে যাচ্ছি। মাসখানেক আগে আদনান ভাইয়ের একটা রিভিউ † পড়েছিলাম এই মুভিটা নিয়ে, তখন একচোট হেসেছি। এখন পড়লাম আপনারটা! এখনো হাসছি! দেঁতো হাসি আচ্ছা লোকজন কি তাহলে "খোঁজ" জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে? খাইছে বাই দ্যা ওয়ে, এটার নাকি সিকুয়েল আসবে! দেঁতো হাসি

______
http://adnan.quaium.com/blog/1557

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কালকে অনেক চেষ্টা কইরাও ইউটিউব থিকা আড়াইটার বেশী দেখতারিনাই। খুব কষ্ট হইতেছিল। হিজিবিজবিজকে মনে পড়ছিল।

অতিথি লেখক এর ছবি

হা হা হা বেশ মজা পাইলুম। বোঝাই যাচ্ছে এই জিনিস নিয়া বেশ গবেষণা চালাইছেন। আমি একপলক দেখেছিলাম। পুরোটা দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। আহ! কি দারুণ জিনিসই না মিস করছি। খাইছে

শিশিরকণা এর ছবি

উড়া খবরঃ ইন্টারন্যাশনাল আর্মস ডিলার নিনো নাকি জলিল গার্মেন্টসের ম্যানেজার আর ৫০-৫০(ফিফটি-ফিফটি) নাকি সেই গার্মেন্টসের ফ্লোর-ইনচার্জ।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সুস্ময় সুমন একজন কবি। গেল বইমেলায় তার একখানা কবিতা বই বাহির হইছে। প্রকাশককে বলেছিলেন, তার বই কিনতে ফিল্মের লোকজন আসবে। সারা মেলা প্রকাশক আশায় আশায় ছিলেন, এই বুঝি ক্যাপ্টেন ববি এলো বই কিনতে। ববির আর বই কিনতে আসেনি। শেষ খবর হচ্ছে, প্রকাশক এখন তারে খুঁজে বেড়ান স্টকের বই কি করা যায় সেই বিষয়ে পরামর্শ করতে। কিন্তু ফোন বেজে উঠলেও তা আর রিসিভ করা হয় না তার। উনি হয়তো খোঁজের সিকুয়েল বানাতে ব্যস্ত! হাসি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

সিনেমার শেষ পর্যন্ত যাইয়েন কষ্ট করে। নায়িকার মাথা যে ফাঁকা, সেটা বেশ আর্টিস্টিক ভাবে দেখায়। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার পরও দেখি নায়িকা কথা কয়, কাঁদে, ইত্যাদি ইত্যাদি!

হিমু এর ছবি

আজ আরো কিছুদূর দেখলাম। পুরাই বাকরুদ্ধ হয়ে আছি। লাভের মধ্যে লাভ হয়েছে, দুই নাম্বার নায়িকাটারে একটু দেখা গেল। বেশ ইয়ে। ভালো ফিগারের নায়িকা যোগাড়ের ব্যাপারে প্রযোজকের মনোযোগ প্রশংসনীয়। তবে কাহিনী প্যাচ খেয়ে গেছে। আজকে নিনোর অ্যাকশন দেখলাম। নিনোর হাঁটার স্টাইল দেখলে মনে হয় সে অন্য লোকের প্যান্ট পরে হাঁটছে। ফিফটি ফিফটি নামে এক চরিত্র এসেছে, তার জামার ডানদিক সাদা আর বামদিক কালো। পরিচালক যে তারে ধরে ডান গালে চুন আর বাম গালে কালি এঁকে দেয় নাই, এইটাই বেশি। মারপিটগুলি কিছুটা ষাটের দশকে বানানো ব্যাটম্যান টিভি সিরিয়ালের মতো। আজকে জলিল ভাইয়া আরো কিছু ডায়লগ বলেছেন। আরেকটা জিনিস দেখলাম, উনি গুলি করার সময় পেইস বোলারের মতো একটু রান আপ নেন, হাতটাকেও মাথার ওপর ঘুরিয়ে আনেন, সম্ভবত গুলির গতিশক্তি বাড়ানোর জন্য।

তাসনীম এর ছবি

রাতে দেখব বলে ডাউনলোড করা শুরু করেছি। তোমার রিভিউ পড়ে মনে হচ্ছে এই বিষয়ে থিসিস লিখে ফেলতে পারো।

ভালো ফিগারের নায়িকা যোগাড়ের ব্যাপারে প্রযোজকের মনোযোগ প্রশংসনীয়।

ট্রেইলর দেখে আমারও তাই মনে হয়েছে।

ছবিটা ব্যবসা করেছে কী রকম? এই ছবিটা ব্যবসা সফল হলে এই ধারাতে আরো ছবি আসবে, ফাইন্যালি অনে মান উন্নত হবে।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

এত অসাধারণ কমেডির সিনেমা, যেটা আমাদের সচলায়তনের লিখিয়ে বন্ধুরাও সবাই সময় বের করে দলেবলে একাধিকবার দেখে এসেছে, সেই ছবি ব্যবসাসফল না হয়ে পারে তাসনীম ভাই? দেঁতো হাসি

তবে আমিও মনে করি অভিনয় আর স্ক্রিনপ্লের উন্নয়ন হলে এভাবেই একসময় ভালো অ্যাকশন, থ্রিলার তৈরি হবে... ধীরে... ধীরে... হাসি
সবার উৎসাহ দেখে আমিও ঠিক করেছি যে করে হোক এই সিনেমা দেখে ফেলবো, গিলতে না পারলে সাথে কোক থাকবে, কোকদিয়ে গেলা হবে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি গুলি করার সময় পেইস বোলারের মতো একটু রান আপ নেন, হাতটাকেও মাথার ওপর ঘুরিয়ে আনেন, সম্ভবত গুলির গতিশক্তি বাড়ানোর জন্য।
হো হো হো হো হো হো

ধৈবত

নীড় সন্ধানী এর ছবি

আরেকটা জিনিস দেখলাম, উনি গুলি করার সময় পেইস বোলারের মতো একটু রান আপ নেন, হাতটাকেও মাথার ওপর ঘুরিয়ে আনেন, সম্ভবত গুলির গতিশক্তি বাড়ানোর জন্য।

হা হা চে প গে!!! হো হো হো হো হো হো

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

স্বপ্নহারা এর ছবি

আমার কাছে মুভিটা কমেডি হিসেবে খারাপ লাগে নাই...নায়িকাগুলান ও ভালা পাইছি...(তয় মুনন্মুন-ময়ূরী'র দিন কী শ্যাষ?)

..আরও ভালা পাইছি জলিল সাবের ইংরেজি! পুরাই এটম বোম...

তয়, সব কথার শেষ কথা, এই মুভিটা হিন্দি এভারেজ মুভির চেয়ে বেশ ভাল...দেঁতো হাসি

-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...

হিমু এর ছবি

জলিল ভাইয়া অসাধারণ এনটারটেইনার। উনি মুখ খুললেও হাসি, চুপ করে বসে থাকলেও হাসি। সাদা প্যান্ট পরে এলেও হাসি, কালো প্যান্ট পরে এলেও হাসি। ওনার কাছ থেকে আরো সিনেমা চাই।

খেকশিয়াল এর ছবি

সোহেল রানাঃ তোমরা "পুরাআআ" টিম নিয়ে যাবে

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুমন চৌধুরী এর ছবি

ইউ্টিউবের চাইর নম্বর থিকা আবার শুরু করলাম। দোয়া রাইখেন।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

সোহেল রানা নিজের অফিস থেকে বেরিয়েছে, মনে হয় টয়লেটে যাচ্ছিলো,

হা হা হা।
দৃশ্যটা দেখলেই ওরকম মনে হয়...।

জলিল্রে আমার কাছে মানসিক রোগী বলে মনে হয়েছে...

হিমু এর ছবি

যাহ বোকা। উনি বাংলার ড়্যামবো।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

প্রোফেশনালদের পিসোন থেকে গুলি করা মানায় না ওস্তাদ !

সুমন চৌধুরী এর ছবি

কীবাবে কোতায় রেকেচো তুমি জানা গেলো না

এইভাবে কোটেশান দেওয়া ধরলে কোটা ফুরাবে।

আর মাত্র একটা পার্ট বাকি দেঁতো হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

আর মাত্র একটা পার্ট বাকি

মাশাল্লাহ্, মাশাল্লাহ্
আছেন আর কোনো মুমিন ভাই?

রানা মেহের এর ছবি

অনন্ত জলিল এতো ভয়াবহ বাজে বাংলা কীকরে বলেন?
ভাইজান নিজে নায়ক না হলে হয়তো সিনেমাটা আরেকটু ভালো হতো

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতিথি লেখক এর ছবি

ইউ টিউবে একটু দেখলাম সিনেমাটা। দ্বিতীয় পার্টে গলফের পরে গান শুরু হলে আর চালাতে পারলাম না। যাই হোক, এই পার্টের শুরুতে অনন্ত সাহেব স্লো মোশনে দৌড়ায় আর তারপর উনার এক্সারসাইজের নমুনা ভালো মতই লেখায় ফুটে উঠেছে। দৌড়ের সীনে একটা বাচ্চা ছেলেকে রাস্তার মাথায় দেখা যায়, কোন ধনীর দুলাল না। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নায়ক বাচ্চাটার মাথায় হাত ছোঁয়ায় আদর করে। খুব ছোট্ট একটা দৃশ্য, কিন্তু অনেক মূল্যবান। এই সিনেমাওয়ালারা কী ভেবে কী করেছেন আমি জানিনা, কিন্তু খুব সূক্ষ্মভাবে ছুড়ে দেওয়া এই বক্তব্যগুলো মানুষ খালি চোখে সবসময় খেয়াল না করলেও তার অবচেতন মন ধরে রাখে ঠিকই। একটা বাচ্চার প্রতি মায়া দেখাতে অন্য কোন সিনেমায় হয়ত দীর্ঘশ্বাসের সাথে খুব ভারী কিছু কথা জুড়ে দেওয়া হত। সাধারণত বাংলা সিনেমায় নীতিবাক্য টাইপের কিছু বুঝাতে খুব মোটা দাগের বক্তব্য পেশ করা হয়। হাল্কাভাবে দেখানো এই ছোট্ট দৃশ্যটা ভালো লেগেছে। মন থেকে জলিল সাহেবদের জন্য শুভকামনা রইল।
-রু

দ্রোহী এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

নাম বলতে চাচ্ছি না এর ছবি

চিত্রনাট্য সুস্ময় সুমন ? বহু দিন আগে সেবা প্রকাশনীর কিশোর পত্রিকায় একটা চ্যাংড়া পোলা ভূতের গপ্প লিখত সুস্ময় আচার্য সুমন নামে। ফাউল টাইপের গপ্প। শেষে ব্রেইনের স্টক শেষ হয়ে যাওয়ায় হরিনারায়ণ চট্টপাধ্যায়ের গল্প নিজের নামে চালিয়ে দিল। এ যদি সে-ই হয় তবে ছবিটা খোঁস- দ্য পাঁচড়া টাইপের হবে বলাই বাহুল্য।

ষষষ এর ছবি

হা হা হা ...এই পোষ্টখান পড়ার পরে ইউটিউবে সার্চ দিয়া মালটা দেখলাম। মেলাক্ষন তব্দা লাইগা ছিলাম দেখার পরে। নায়কের কিংস-ইংলিশ শুনতে সবথেকে মজাক লাগছে। নায়কটা ব্যপক খেউরাল !!

জি.এম.তানিম এর ছবি

মুভিটা শেষ পর্যন্ত দেখেন নাই?

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

বুনোফুল এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি হাসতে হাসতে শেষ।

__________
বুনোফুল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।