এই বিষয়ে আমার লেখার কথা না। অন্ততঃ এখনো সময় হয়নি বলে মনে করি। কারণ পিতা হিসেবে আমি নবীন। মাত্র শিক্ষানবিশকাল পার করছি। তার উপর অযোগ্যতার নজির আমারো যথেষ্ট। তবু এই দেশে ফেল করা ছাত্র যেমন গাইড বই লেখে, তেমনি আমিও একখান লেখা তৈরী করে ফেললাম। লিখতে বাধ্য হয়েছি চারপাশের কিছু প্রবীনদের সন্তান মানুষকরণ প্রকল্পের বেহাল দশা দেখে। লিখতে যাচ্ছিলাম ক্ষোভ নিয়ে কিন্তু পরে ভাবলাম ক্ষোভকে দর্শনে পরিণত করি। (আহ! আমাদের রাজনীতিবিদরা যদি তাদের সকল ক্ষোভকে অন্য লোকের গাড়ি ভাঙার বদলে একটা দর্শনে রূপ দিতে পারতো?) এটা একেবারেই নিজস্ব জীবন দর্শন। দর্শনটা কারো কাজে লাগলেও লাগতে পারে, না লাগলেও ক্ষতি নেই।
লেখাটা শুরু হয়েছে এই ভাবনা থেকে - "একটা মানুষের সারাজীবনের কর্মযজ্ঞের সফলতার আলো মাত্র একটা কুসন্তানের জন্য ম্লান হয়ে যেতে পারে"।
তারপর মনে হয়েছে - "সন্তান পালনে অতিমাত্রার যত্ন সেই সন্তানের জীবনকে অযোগ্য করে তুলতে পারে।"
উপরের দুটি কথা কি বিশ্বাস করেন? করতেই হবে। কারণ আমি নিজেই দেখেছি - যাদের অনেক আছে, তারা সন্তানকে কখনো অভাব অনুভব করার সুযোগ দেন না। জীবনের ভিন্ন কোন চেহারা তাদের দেখতে হয় না বলে তারা বাইরে বঞ্চিত পৃথিবী সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে যায়, যে অজ্ঞতা তাদের ভবিষ্যতে কখনো অন্ধকার ডেকে আনতে পারে। অভাব অনুভবের শিক্ষাটা স্কুল কলেজে হয় না, ঘরের আঙিনাতেই হয়। তবে অধিকাংশ পিতামাতা বিদ্যালয়ের বাইরে এই জীবন শিক্ষার গুরুত্ব বুঝতে অক্ষম।
তাই বলি ওহে সামর্থ্যবান পিতামাতা- আপনার অনেক আছে। তবু সন্তানকে মাঝে মাঝে 'না' বলুন। না না না। না বলা পাপ নয়। কিছু কিছু না তার জীবনের মহৌষধ হতে পারে। তাকে অভাব উপলব্ধির সুযোগ দিন। চাহিবামাত্র সবকিছু হাজির করা থেকে বিরত থাকুন। কিছুটা অভাবের ছোঁয়া পেলেই আপনার সন্তান মানুষ হবার সুযোগ পাবে।
শিক্ষাযুদ্ধে আপনার সন্তানকে বলুন - জেতার চেষ্টা করতে হবে, তবে মাঝে মাঝে হেরে গেলে ক্ষতি নেই।
কারণ- আংশিক শ্রেষ্ঠ জীবনের চেয়ে সম্পূর্ন গড়পড়তা জীবন অধিক কাম্য।
সবশেষে জীবনের ভরকেন্দ্র নিয়ে কথা। অধিকাংশ সামর্থ্যবান পিতামাতা পারলে সন্তানের বইয়ের পাশাপাশি জীবনের ভারও নিজের কাঁধে নিতে চান। এটা ভুল। হাইস্কুলে ওঠার পর সন্তানকে নিজের শরীরের ভারটা নিজের পায়ে বহন করতে দিন। তাহলে দেখবেন বিশ্ববিদ্যালয় পাশের পর সে নিজের জীবনের ভার নিজে বহন করতে পারছে।
কথা শেষ!
মন্তব্য
একমত
কদিন আগে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ স্যারের সাথে এই বিষয়েই কথা হচ্ছিল, সবাই শঙ্কিত!! আর যৌথ পরিবারের কাঠামোতে যা অটোমেটেড প্রসেস ছিল তা নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে এক্সপেরিমেন্টাল হয়ে যায়, খুব সমস্যা। এই ব্যাপারে পর্যাপ্ত গবেষণা এবং কতগুলো স্ট্রিক্ট নিয়ম লিখিত থাকতে পারে- যা কেস স্টাডি হিসেবে ফলো করবে নবীন বাবা-মা।
(নির্লিপ্ত নৃপতি)
বিষয়টা যথেষ্ট কৌতুহলোদ্দীপক। আপনার পর্যবেক্ষণের সাথে একমত,
এটার সাথে শতভাগ,
এটায় একটু ভিন্নতা নিয়ে
অযোগ্য শব্দটাকে "দুর্বিষহ" দিয়ে প্রতিস্থাপন করে।
কিন্তু এত অল্পে শেষ করে দিলেন?
লেখাটা কেমন যেন ছাড়াছাড়া হয়ে গেল, ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
বাহ !
"মান্ধাতারই আমল থেকে চলে আসছে এমনি রকম-
তোমারি কি এমন ভাগ্য বাঁচিয়ে যাবে সকল জখম!
মনেরে আজ কহ যে,
ভালো মন্দ যাহাই আসুক-
সত্যেরে লও সহজে।"
একমত!
আপনি শুধু নিজের "ক্ষোভ" কে দর্শন হিসেবে প্রকাশের জন্যে ব্লগরব্লগর করলেন, সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু, এই দর্শনের শিকার আমি প্রতিনিয়ত হই বলে মনে হয় এটাকে আরেকবার ভাবা উচিত। আমাদের দুই ভাইবোনকে বড় করেছে আমাদের অসাধারণ বাবা। তাঁর নিজের অনেককিছু থেকেও ছিল না বলে আমাদের কখনো না শুনতে হয়নি। এবং আমার মনে হয় এই কারণে আমরা দুই ভাইবোন বিন্দু মাত্র materialistic চিন্তা ভাবনা করিনা। আমার বাবা রুসোর একটা কথা প্রায় ভিন্ন আঙ্গিকে বলেন- যার কম আছে সে গরীব না, যে বেশি চায় সে গরীব। আমি জানি, আমার ঘর কোনো স্বাভাবিক ঘর না। তাই আমার বাবার পক্ষে সম্ভব ছিল না আমাদের সব কিছুর হিসেব নেয়া। অনেক সময় তিনি নিতেও চাইতেন না- এই কারণে যে ও মনে করে, ছোট একটা জিনিসে যদি আমরা খুশি হই, কি যায় আসে? উনি আমাদের শিখিয়েছেন বিশ্বাস খুব জরুরী। মূল্যবোধ খুব জরুরী। কষ্ট করে উপার্জন করা অনেক কঠিন। টাকা উপার্জন করা খুব কঠিন না, সন্মান উপার্জন করতে সবাই পারে না। বিশ্বের সবচাইতে নামকরা ইউনিভার্সিটিগুলোর একটাতে পড়েও আমাকে তার কাছে শুনতে হয়েছে- তোমার পিঠে তোমার ডিগ্রি লেখা থাকবে না, তোমার ব্যবহারই বলে দেবে তুমি কি। ছোটবেলায় বোর্ডিং এ পাঠানোর আগে আমাকে বলেছে- সবাই ভালো নাম্বার পায়না। তুমি সেটা না পেলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু তোমাকে এতো দূরে আমি একজন ভালো মানুষ হবার জন্যে পাঠাচ্ছি। ১৪ বছর বয়সে আমার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অবিশ্বাস্যরকম টাকা থাকতো, কিন্তু আমার কখনো ইচ্ছে করেনি আমি সেটা বিলাসিতায় খরচ করি। কারণ আমার সবসময় মনে হয়েছিল এই টাকাটা আমার বাবা অনেক কষ্ট করে উপার্জন করে। আমার বাবা খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। আমরা কিছু কিনে না দিলে, নিজের জন্যে কিছু কেনেন না। এই ব্যাক্তিগত ব্লগরব্লগর করছি এই কারণে, অনেকেই একসময় আমার বাবাকে বলেছে উনি ভুল করছেন, ছেলেমেয়েকে এতো স্বাধীনতা দিয়ে। আমার মনে হয় না, স্বাধীনতা দেয়াটা সমস্যা। কিংবা অভাব বুঝলেই মানুষ ভালো হতে শেখে। মানুষ ভালো হতে শিখে তার মূল্যবোধের গড়নে, তার রোল মডেলকে সেই শিক্ষাগুলো পালন করতে দেখে। আমার রিসার্চের বিষয় শিশুদের দারিদ্রতা, কারণ আমি appreciate করি আমার অনেক আছে। আমার মনে হয়, আমি আজকে এখানে তার একটা বিশাল কারণ আমার জন্ম এমন জায়গায় হয়েছে। নাহলে আমার মধ্যে এমন হাতিঘোড়া গুণ নেই, যেটা আট-দশটা শিশুর নেই। আমার মনে হয় আমার বাবার দেয়া সেই স্বাধীনতা, সেই শিক্ষা যেটা সে নিজে সাধারণ জীবনযাপন করে আমাদের প্রমাণ করেছে, আমাদের বুঝিয়েছে একটা পর্যায়ের পর টাকা আসলে খুব জরুরী না। আমার মাঝে মাঝে আশেপাশের মানুষ দেখে মনে হয়- বরং অভাবেই মানুষ materialistic হয়। আর বর্তমানে বাংলাদেশের সমস্যা প্যারেন্টিং এর চেয়ে বেশি সামাজিক/রাজনৈতিক। আপনারা বড়রা সন্মান চান, কিন্তু নিজেরা কেমন রোল মডেল রেখেছেন আমাদের সামনে? আপনারা ছেলেমেয়েদের productive কিছু করার ব্যবস্থা রাখবেন না আর কানের কাছে বলবেন- আমরা ফেইসবুক করি, প্রেম করি, ড্রাগ করি। আর বাংলাদেশে কি করার মত আছে? আপনি তো চট্রগ্রামের। আপনিই বলুন ওখানে আর কি করা যায়? আমি তো তিন মাসের ছুটি কাটাতে গেলে কিছু না করতে পেরে পাগলপারা অবস্থা হয়। ১০ বছর আগেও ড্রাগ এমন সমস্যা ছিল না। ১০ বছর পরে নিশ্চয় বাবা-মাদের প্যারেন্টিং এতো আমূল বদলে যায়নি যে একটা ক্লাসের এতো এতো ছেলেমেয়ে ড্রাগ নেয়া শুরু করেছে। আমি কঠিনভাবে কিছু বলতে চাইনি। শুধু আসল সমস্যাগুলোর দিকে একবার তাকাতে বলছি।
আপনার কেইসটা ব্যতিক্রম, জেনারেল না।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
বক্তব্যের সাথে পুরো একমত। আকাঙ্খা করি বাবা হিসেবে আপনার প্রচেষ্টা সফল হোক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
এইটা আসলে আপনার সমস্যা। বাংলাদেশে করার মতো বহু কিছু আছে। সেটা একদম অজোপাড়াগাঁ হলেও আছে। আর আপনার পুরো আর্গুমেন্টটাই এ্যানেকটোডস দিয়ে ভর্তি।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্যতিক্রম কখনও উদাহরণ হতে পারে না
আপনার মন্তব্যটা পড়ে মনে হয়েছে, আঙ্কেলের এত শ্রম বিফলে গেছে। আপনার চেষ্টাকে সাধুবাদ।
তবে কিছু কিছু অভিজ্ঞতা নিজে পরিস্থিতি ফেইস না করলে শেখা যায় না। আপনার ক্ষেত্রেও সেটা হয়েছে বলে ধারণা করছি। আমার অনেক আছে; তবু খরচ করি না - একটা ভ্রাণ্ত পরিতৃপ্তিদায়ক অনুভূতি। মূল প্রশ্ন 'প্রয়োজন' ও 'সামর্থ্য'-এর অপটিমাইজেশন। ১৪ বছর বয়সী কারো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবিশ্বাস্যরকম টাকা থাকার সামর্থ্যের সাথে প্রয়োজনের হিসাবটা মেলাতে পারছি না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ধন্যবাদ অতিথি বিস্তারিত মন্তব্যের জন্য। তবে আপনার নামটা দিতে ভুলে গেছেন।
আপনি আসলেই ব্যতিক্রম। নইলে টাকাপয়সা জিনিসটা এমন, সাধুসন্যাসীর চরিত্রও নষ্ট করে ফেলে। আমি একটা উদাহরণ দেই। আমার পরিচিত একজন তার একমাত্র সন্তানকে এ রকম আর্থিক স্বাধীনতা দিয়েছিল জবাবদিহিতা ছাড়া। জীবনে কিছুতে না বলেনি। তাঁর সন্তান আপনার মতো বুঝদার ছিল না। বিশ্ববিদ্যালয় পাশের আগেই সে বাপের অর্ধকোটি টাকার মতো খরচ করে ফেলেছিল। প্রাইভেট ইউনিতে নামমাত্র একটা সার্টিফিকেট জুটিয়েছে। তারপর নিজে কোথাও চাকরী পায় না, বাপ নানা চ্যানেল ধরে তাকে চাকরী জোগাড় করে দিলেও তিন দিন বাদে চাকরী ছেড়ে চলে আসে। চাকরীর বেতনে পোষায় না। কাজ করতে ভালো লাগে না। আট ঘন্টা অফিস করে মাত্র বিশ হাজার টাকা বেতন। ছাত্রজীবনেই তো সে মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা খরচ করেছে। বর্তমানে ওই ছেলের বাবার অবস্থা দাঁড়িয়েছে কন্যাদায়গ্রস্থ পিতার মতো।
আপনি চট্টগ্রামে 'কিছু' করতে না পারার কথা বলেছেন, কিন্তু সেই কিছু বলতে কি বুঝিয়েছেন পরিষ্কার না। কি করতে না পারলে আপনার পাগলপারা অবস্থা হয় তাও বুঝিনি। আমি তো এই শহরে চল্লিশ বছর ধরে বাস করছি কিন্তু কখনো মনে হয়নি কিছু করার নেই। যারা ড্রাগ নেয়, নেশা করে সেটা কিছু করার নেই বলে নয়। আমাদের সময়েও ড্রাগ ছিল, ফেনসিডিল ছিল, গাঁজা ছিল, হেরোইন ছিল। আমাদের বন্ধুদের মধ্যেও কেউ কেউ তাতে আসক্ত হয়েছিল। কিন্তু সেটা কিছু করার নেই বলে নয়। মজার ব্যাপার বলি। আমাদের বন্ধুদের তিনটা দল ছিল। একটা দল গ্রুপ থিয়েটার করতাম, সন্ধ্যার পর আমাদের রিহার্সাল হতো স্কুল ঘরে। আরেকটা দল নাটক পছন্দ করে না, তারা মাঠে আড্ডা পেটাতো। তৃতীয় দলটা সন্ধ্যার পর কোথাও গিয়ে ফেনসিডিল আর গাঁজা খেতো। রাত আটটার দিকে রিহার্সাল শেষে আমরা মাঠের আড্ডায় জুটতাম, কিছুক্ষণ পর ফেনসিডিল গ্রুপও এসে আড্ডায় বসতো। তিন দলে মিলে একটা খিচুড়ি আড্ডা হতো তখন। এখানে লক্ষ্যনীয় যে, ফেনসিডিল গ্রুপটা ছিল সবচেয়ে বড়লোকের ছেলেপেলে। আর বাকী আমরা অভাবী। আমি যে উদাহরণ দিয়েছি তার কয়েকজন ওই ফেন্সি দলেও ছিল। সুতরাং কিছু করতে না পারলে নষ্ট হয়ে যাওয়াটা একটা খোড়া অজুহাত মাত্র।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখক ব্লগরব্লগর করছিলেন বলে, আমি একটা ব্যাক্তিগত উদাহরণ দিয়ে discussion এর প্ল্যাটফর্ম খুলতে চেয়েছি। এটা বলার জন্যে যে আমি মনে করি বাচ্চাদের "না" বলা ঠিক সমাধান না। আমি deviant এটা আমি আগেই বলেছি কিন্তু, তাই বলে ব্যাতিক্রমদের ধাক্কা মেরে আলোচনা থেকে বের করে দিলে সমাধান চলে আসে না। কারণ ওটা analysis করে শেখা যায়, কেন এটা এমন হলো? কিংবা কেন হলো না। আর ব্যতিক্রমের সংখ্যা কিন্তু খুব কম না। অনেকের বাবা মা ছোট বয়সে মারা যায়, অনেকে functional family থেকে আসে না, অনেক ধরণের ব্যাতিক্রম থাকে। কমেন্টে লেখক বললেন- এক বন্ধুর কথা যিনি বুঝদার ছিলেন না। এখন ধরুন, ১৮ বছর বয়সে তার বাবা মারা গেলো এবং সম্পত্তি পুরাটা তার হাতে এসে পড়লো - কারণ তার মা বিজনেস দেখেন না/বুঝেন না। (খুব কমন একটা কেস)। সেক্ষেত্রে তাকে না বলার কেউ নেই। উনি আগে বাবা মারা যাবার আগে না শুনে এসে কিন্তু পরে এতো টাকা পেয়ে "নষ্ট" হয়ে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয় একটা better solution- না বলা না, বরং কেন আমার বেশি থাকলেও আমার খরচ করতে হবে না এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসা।
আমরা সারাদিন এটা নিয়ে দ্বিমত করতে পারি, blame game খেলতে পারি। কিন্তু, প্যারেন্টিং এর দোষ দেয়ার একটা long term effect হচ্ছে- বাবা বলবে তোমার জন্যে নষ্ট হয়েছে, মা বলবে তোমার জন্যে- কিংবা দুইজন ভাববে সব তাদের দোষ। তারা কাজকর্ম সামলে সুপার প্যারেন্টস হবার চেষ্টা করবে। আমার মনে হয় এটা বাবামায়ের উপর চাপিয়ে দেয়া unfair। বাবামায়ের অবশ্যই দায়িত্ব আছে, কিন্তু সমাজেরও কম না- বরং বেশি। কেন আমরা দেখছি না, হুট করে ড্রাগ কেন এতো available? কেন আমরা আমাদের সামাজিক/রাজনৈতিক দায়িত্বগুলোর কথা বাদ দিয়ে individual দায়িত্বের কথা বলছি? যেখানে সামাজিক দায়িত্বগুলা আমাদের individual কাজগুলোকে খুব বাজেভাবে undo করছে। আপনাদের সাথে আমার পার্থক্য এখানে- আপনারা যাদের কথা বলছেন (যে জেনারেশান) আপনারা তাদের বাইরে; কিন্তু আমি এই জেনারেশান এর অংশ। আমি সমস্যাগুলো দেখছি ছেলেমেয়ের দৃষ্টি থেকে আর আপনারা দেখছেন বাবা/মা-শুভাকাংক্ষীর থেকে। আপনাদের সময় এমনকি ৭/৮ বছর আগেও ড্রাগ সমস্যা এতো প্রকট ছিল না (চাইলে expert দের জিজ্ঞেস করে দেখুন)। এখন এটা সাংঘাতিক পরিমাণে পাওয়া যায়। আপনার ছেলেমেয়ে কে ফ্রি তে দেবে প্রথমে, টাকাও নেবে না। আর তারপর টাকা দেয়া বন্ধ/ কিংবা "না" বললেও করলেও লাভ নেই। আপনারা assume করে নিচ্ছেন, সবাই থিয়েটার দেখতে ভালোবাসবে, কিংবা আর্ট নিয়ে ওদের মতামত থাকবে। মানুষের উন্নয়ন করে ওরা সময় কাটাবে। অনেকের এসব ভালো লাগে না। সতি্য বলতে বেশির ভাগ ছেলেমেয়ে এসব করে সময় কাটায় না; "ভালো" ছেলেমেয়েদের অনেকেও এসব করে না। এবং এই কারণে ওরা খারাপ মানুষ না বা unsophicated না। বরং আগের মত গলিতে ক্রিকেট হয় না (যেটা একটা বয়সী প্রায় সব ছেলে একসময় করতো)। ক্রিকেট খেলতে এখন স্টেডিয়াম যাওয়া লাগে। আমি বলছি না ক্রিকেট খেলার যায়গার অভাবে মানুষ খারাপ হয়ে যাচ্ছে- আমি বলতে চাচ্ছি- বেশিরভাগ বাংলাদেশের ছেলেরা ক্রিকেট খেলে আর আড্ডা দিয়ে সময় কাটায়। আড্ডা দিতে গেলে আগে আপনি বেছে নিতে পেরেছেন আপনি কার সাথে থাকতে চান; আপনি assume করছেন অন্য সবাইও সেটা পারে কিংবা ওদের কাছে সেই অপশানটা আছে। কিন্তু, একটা মানুষের আশেপাশের সবাই যদি হয়তো ড্রাগ নেয়, নাহলে lame একটার চেয়ে একটা জিনিসে যুক্ত থাকে, তার কতটা সতি্যকারের বেছে নেবার অপশান থাকে? আমি বলছি না- এই সোসাইটিতে থেকে কেউ ভালো হচ্ছেনা। অবশ্যই অনেকে ভালো হচ্ছে। কিন্তু একটা মানুষের ভালো হওয়ার পেছনে যত কারণ থাকে (ওটা শুধু না বলা বা গুড প্যারেন্টিং এ সীমাবদ্ধ না), খারাপ হওয়ার পেছনেও ততগুলো (কু)যুক্তি থাকে। সেই যুক্তি আমাদের ভালো না লাগতে পারে (যেহেতু আমি সেটা করিনি, অবশ্যই সেই যুক্তি আমার কাছে স্টুপিড লাগে)। কিন্তু তাই বলে এই কারণগুলো নাই হয়ে যায়নি এবং সেই কারণগুলো অনেককে affect করা বন্ধ করে দেইনি। আর, ছেলেমেয়ে কিছু করতে চাইলে তারা করবেই। বাবামায়ের চেয়ে একটা বয়সে অন্য বাইরের মানুষের প্রভাব বেশি থাকে। তাই ওদের পাহারা দিয়ে/ "না" বলে কিছু করানো বন্ধ করা যাবে না। বরং ওদের নিজেদের এটা "বোঝা" (the act of realisation) দরকার, কেন এটা ভালো না/দরকার না। আরেকটা কথা-মানুষ তার অভিজ্ঞতা থেকে শেখে, অভাব থেকে না। আর মিডল ক্লাস কখনই অভাবী না। আপনার বাচ্চা বার্গার খেতে আবদার করলে আপনি হয়তো না করে ওকে ভাত দিয়েছেন। এতে করে অভাব বোঝা যায়না। অভাবের শিক্ষাও পাওয়া যায় না।
P.S. Personal attacks are so not cool! আমি অবশ্যই ব্লগে বলবো না ১৪ বছরে আমার কাছে এতো টাকা কেন এলো, কিভাবে এলো আর এটার rationality কি। আর আমার বাবার শ্রম বৃথা গেছে না যায় নি, সেটা বলার মতো যথেষ্ট ইনফরমেশান কি এখানে আছে?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
অজ্ঞাতবাস
ভাই রে,নিজের ফ্যামিলি দিয়ে সারা দুনিয়ার বিচার কেন করেন? আপনার বাবা আপনাকে স্বাধীনতা,টাকা এসব দিয়েছিলেন ঠিকই,সাথে কিন্তু ভাল খারাপের পার্থক্যও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। তাহলে তো সেই হ্যা/না এর ব্যাপারটা আসলই। তবে আপনার বাবার কপাল ভাল যে আপনার মত একটা বুঝদার ছেলে পেয়েছিলেন। তাই হয়ত আপনি বখে যাননি। আর আপনার এই একটা উদাহরণের বিপরীতে হাজারটা উদাহরণ দেখানো যেতে পারে যেখানে অল্প বয়সী ছেলে/মেয়েদের ব্যাংকে অস্বাভাবিক না বরং একটু বেশি পরিমান টাকা থাকলেই তারা উচ্ছনে গিয়েছে!
তাহলে যে ছেলে মেয়েগুলো এর মধ্যেও এত এত ভাল কিছু করছে তারা কি এই সমাজ ও রাজনীতির বাইরে?
বাংলাদেশে রোল মডেল নাই এই কথা মানতে পারলাম না কিছুতেই। আর প্রোডাকটিভিটি ব্যাপারটাও প্রথমত ফ্যামিলির থেকেই আসে বলে আমার মনে হয়। নির্ভর করে বাচ্চাদের আপনি কি করতে কতটুকু সুযোগ দিচ্ছেন তার উপর। কেউ কেউ তার সন্তানদের পরীক্ষায় ফার্স্ট সেকেন্ড বানানোর জন্য স্কুলে ভর্তি করে দিয়েই পাঠ্য বইয়ের বস্তা তার মাথায় চাপিয়ে দেয়,আবার কেউ কেউ বাচ্চার স্বতস্ফুর্ত চিন্তার প্রসারে যেন কোন রকম বাঁধা না পরে সে জন্য সুযোগ দেয়। আপনি কোনটাকে অ্যাপ্রিসিয়েট করবেন তার উপরও বাচ্চার প্রোডাকটিভিটি নির্ভর করে।
বাংলাদেশ একটা উন্নয়নশীল দেশ,আর আপনি বলছেন করার কিছু নাই???!!!!!
মূল বক্তব্যের সাথে সহমত।
materialistic হওয়া খারাপ কেন? বস্তুবাদী বলতে আপনি আসলে কী বোঝেন?
অজ্ঞাতবাস
'না' বলার জন্য এখন সন্তান কই পাই!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
সম্পদ কষ্ট করে অর্জন করাই শ্রেয়, তবে দেরি সহ্য না হলে অনেক রেডিমেড সলিউশন আছে এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে
রেডিমেড সলুশনকে মাঝে মাঝে 'না' বলুন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধৈজ্জ ধড়েন!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ব্যস্ত থাকার কারণে বাবা-মা দুজনের সাথেই সন্তানের কোয়ালিটি টাইম কমে যাচ্ছে, যার কারণে মা-বাবা অপরাধবোধে ভোগেন। সেই অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত করেন সন্তানকে বিলাস, পছন্দসই খাদ্য, ইলেকট্রনিক গ্যাজেটে ভাসিয়ে দিয়ে।
আর চারদিকে তাকালে সুস্থ প্রতিযোগিতার চাইতে অসুস্থটার সংখ্যাই বেশি দেখি
লেখা আরেকটু বড় হলে অনেক বিষয় উঠে আসত হয়ত।
ভাল থাকবেন, শুভেচ্ছা
কোয়ালিটি টাইমের কথাটা ঠিক বলেছেন। এটা একটা অপ্রিয় বাস্তবতা। কিন্তু আমি দেখেছি ব্যস্ত বাবা মার চেয়ে অলস বসে থাকা বাবামা-ই সন্তানদের অধিক প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখার শুরুটা পড়ে যতটা আশা জেগেছিলো শেষে এসে ততটা আশাপূরন হয়নি। অনেক কিছুই বোধহয় উঠে আসার কথা ছিলো লেখায় কিন্তু হঠাৎ করে শেষ করে দেওয়ায় সেটা আর আসেনি। আপনার মুল বক্তব্যের সাথে একমত।
এটার সাথে পুরোপুরি একমত নই। এরচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সন্তানের মাঝে মূল্যবোধ সৃষ্টি করতে সহায়তা করা, পাঠ্যবইয়ের বাইরে বই পড়তে দেওয়া, বিশুদ্ধ সংস্কৃতির সংস্পর্শে নিয়ে আসা, দেশপ্রেম জাগ্রত করা, দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে আগ্রহী করে তোলা, তাকে তার মতামত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া এবং সেটাকে গুরুত্ব দেওয়া, ভুল করলে সেটা সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া প্রভৃতি। আর এগুলো সবি খুব সহজে করা সম্ভব যখন সন্তানের সাথে পিতামাতার সম্পর্কটা হবে বন্ধুত্বপূর্ন। তাই পারিবারিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অভাব নয়। শুধু মাস শেষে ছেলের হাতে অনেকগুলো টাকা তুলে দেওয়া কিংবা সব চাহিদা পূরণ করে দেওয়া যেমন সন্তান মানুষ করতে পিতামাতার একমাত্র দায়িত্ব নয়। তেমনি কিছু অভাবে সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেই সন্তান মানুষ হয়ে যাবে বিষয়টা এমন নয়।
আপনার সবগুলো লেখাই আমি আগ্রহ নিয়ে পড়ি এবং যথেষ্ট ভালোলাগে। ভালোথাকবেন
মাসুদ সজীব
ধন্যবাদ মাসুদ সজীব। লেখা ছোট হয়েছে বড় করতে চাইনি বলে আর অগোছালো হয়েছে হুট করে লেখা বলে। তবে মূল বক্তব্য কিন্তু মাত্র কয়েক লাইনের, সেটা পৌঁছাতে পেরেছি বলে আমার ধারণা।
আপনার দ্বিতীয় প্যারার মন্তব্যটায় গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয় এনেছেন সন্তানের সাথে পিতামাতার সম্পর্ক বিষয়ে। এগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যায়। বাবামার সাথে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে বন্ধুও যেন মাথায় চড়ে না বসে সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।
এখানে আমার মূল ফোকাস হলো সেই সব পিতামাতার প্রতি, যারা সন্তানের সবকিছুতে 'হ্যাঁ' বলেন। আমি কিন্তু সবকিছুতে 'না' বলতে বলিনি। বলেছি মাঝে মাঝে 'না' বলতে। সবসময় যারা 'হ্যা' বলেন- চাইবার আগেই এনে হাজির করেন, তারা সন্তানের প্রত্যাশার মাত্রা এত বাড়িয়ে তুলছেন যে যদি কখনো ওই সন্তানকে 'না' শুনতে হয়, তখন সে ক্ষেপে যায়। আমার চেনা এরকম একটা ছেলেকে অতি আদরে বখাটে বানিয়ে তুলেছিল তার বাবা। বড় হবার পর একদিন দেখি সে মাতাল হয়ে বাপকে ছুরি নিয়ে তাড়া করছে টাকার জন্য। এটা ঘটেছে তার অতি প্রত্যাশার জন্য। এই প্রত্যাশার ব্যাপার কেবল সন্তান পালন নয়, এমনকি প্রেমের ক্ষেত্রেও আপনি যদি প্রেমিকাকে সবসময় হ্যাঁ বলেন, তাহলে দেখা যাবে কোন একদিনের ছোট্ট 'না' আপনার সম্পর্কের বারোটা বাজিয়ে দিতে পারে। তাই সবক্ষেত্রেই মাঝে মাঝে 'না' বলুন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনার মূল বক্তব্যটা বুঝেছি এবং সব ক্ষেত্রে হ্যাঁ যে সঠিক নয় এটা হয়তো অনেক বাবা মা ভুলে যান। সব ক্ষেত্রে হ্যাঁ বলা মানেই কিন্তু সন্তানকে অধিক ভালোবাসা নয় বরং সেটা সন্তানকে ভবিষতে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত হতে শেখায় না। কিন্তু আমি আপত্তি করেছি শুধু একটা লাইনে, সেটা হলো মানুষ হওয়ার জন্যে অভাব দেখতে হবে/কিংবা অভাবের ছোঁয়া পেতে হবে এমন কথায়। জীবনের কঠিন মহূর্তগুলো মোকাবেলা করা একবিষয় আর মানুষ হওয়া বোধহয় আরেক বিষয়। তাই বলতে পারতেন কিছুটা অভাব এর ছোঁয়া আপনার সন্তানকে ভবিষতের কঠিন যুদ্ধ মোকাবেলায় সবদিক দিয়ে প্রস্তুত রাখবে। মানুষ হতে হলে অনেকগুলো অনুষঙ্গ লাগে, অনেক বিষয় জড়িত সেখানে। সেটা নিয়ে আসলে অনেক দীর্ঘ আলোচনা করা যায়। কিন্তু অভাব কাউকে মানুষ হতে সাহায্য করে না।
মাসুদ সজীব
এই পোষ্টের 'অভাব' শব্দটা একটু ব্যাখ্যা করি। এই অভাব আর্থিক দৈন্যতাকে বোঝানো হয়নি। বোঝানো হয়েছে বস্তুগত অভাব। ধরুন আমার আইফোন নেই, তাই আমি আইফোনের অভাব অনুভব করি, আইফোন নিয়ে ভাবি, আইফোনকে আমার খুব গুরুত্বপূর্ন মনে হয়। যদি আমার আইফোন থাকতো আমি আইফোন নিয়ে অত ভাবতাম না। যদি দুটো আইফোন থাকে তাহলে আইফোনের গুরুত্বই নষ্ট হয়ে যেত আমার। বোঝাতে পারলাম আশা করি
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার দ্বিমত ছিলো মানুষ হওয়ার অনুষঙ্গ নিয়ে। অভাব এখানে একটা অনুষঙ্গ। অভাবের ব্যাখা আমি বুঝেছি, আমি বলতে চেয়েছি অভাব কাউকে মানুষ করে তুলতে পারে আমি এটার সাথে একমত না। মানুষ করে তোলার বিষয়টি দীর্ঘ আলোচনার বিষয়, আমি প্রথম মন্তব্যে সেটার কিছুটা বলেছি। এইটুকু ছাড়া আপনার সাথে আমার মতের খুব একটা অমিল নেই।
মাসুদ সজীব
এই ভাবনাগুলো আমার মাথাতেও কাজ করছে বেশ অনেকদিন ধরে। এবং একটা বড় মাপের কাজ করারই প্ল্যান আছে। আপনার সঙ্গে অনেকাংশে সহমত। তবে বেশ তাড়াহুড়া করলেন মনে হলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
তাড়াহুড়ো মানে আধাঘন্টার মামলায় অগোছালো ব্লগরব্লগর।
তবে(নিধির মার উদ্দেশ্যে) মূল কথা হলো মাঝে মাঝে 'না' বলতে হবে। সেটা মেয়ে হোক অথবা মেয়ের বাপ হোক।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
মূল বক্তব্যের সাথে একমত। তবে আরও একটু বিস্তারিত বললে ভালো হতো। বস্তুগত জিনিষের চে সন্তানকে সময় দেয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আশপাশে বিভিন্নজনের শিশুপালন করা দেখে ভালো আইডিয়া গুলি জমা করি ভবিষ্যতে ব্যবহারের আশায় আর কৃতজ্ঞ হই নিজের বাবা মার প্রতি। সন্তানকে সময় দেয়া ব্যাপারটাকে তারা খুব সহজ করে ফেলেছিলেন, তারা বড় মানুষ হিসেবে যে কাজ করছেন, কথা বলছেন তার মধ্যে ছোট থেকেই আমাদের ইনভলভ করেছেন। একটা উদাহারণ হিসেবে বলি, আমরা ভাইবোন যখন চার আর আট বছর বয়স তখন বাবা মা এক টুকরো জমি কেনেন, সেই জমি কোথায় কেনা হবে, কিভাবে টাকা জমানো হবে, সে জন্য আমাদের সংসার খরচে কি কি হিসেব করে চলতে হবে, এইরকম আলোচনায় বাবা মার সাথে বসে আমরাও গম্ভীর মুখে অংশ নিতাম। এটার জন্য যে বাবা মার কাছে আমার শখের কিছু আবদার বাদ দিতে হবে, সেটা আর আমাদের বলে দিতে হতো না, সেজন্য দুঃখও পেতাম না। বাবা মা আমাদের সাথে শিশুতোষ খেলায় যেমন আমাদের সঙ্গী হয়েছেন, তেমনি বড় মানুষের মত সমান গুরুত্ব দিয়ে তাদের সিরিয়াস আলোচনা/সিদ্ধান্তে আমাদের অংশগ্রহণ করতে দিয়েছেন। এটা যে আত্মবিশ্বাস, বিচার বুদ্ধি তৈরিতে কত সাহায্য করেছে এখন ফল হাতেনাতে পাচ্ছি, তখন যদিও ব্যাপারটা খেলাচ্ছলেই হয়েছে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
বিস্তারিত লিখতে গেলে আলসেমিতে পেয়ে যাবে বলে হুট করে লিখে পোষ্ট করে দিয়েছি।
ভুক্তভোগীমাত্র জানেন সন্তান পালনে প্রচুর হ্যাপা। একেক বাচ্চা একেক রকম। সবাইকে একভাবে মানুষ করা যায় না। একই ঘরে একই পরিবেশে থেকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বড় হচ্ছে অনেক ছেলেমেয়ে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখেছি বাচ্চাদের মানসিকতাকে নষ্ট করে পিতামাতা। যে বয়সের বাচ্চারা টেলিফোন কল করতে জানে না, সেই বয়সের বাচ্চাদের হাতে আইফোন তুলে দেয়া। যে বাচ্চাদের টিফিন খরচ ৫০ টাকা হলে চলে, তাকে ৫০০ টাকা খরচ করতে দেয়া ইত্যাদি। বাবামাকে বুঝতে হবে কোন বয়সে বাচ্চাদের কি চাহিদা। আমার আছে, তাই আমি ওকে ভরিয়ে দেবো, যা খুশী দেবো, এই মানসিকতাটা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। বড় হলে যখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখন আর সময় থাকে না। আমার চেনা একজন ক্লাস ফাইভেই বাচ্চাকে এত বেশী টাকা দিত যে ক্লাস এইটে ওঠার পর টাকা দেয়া নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে সে কোচিং এর টাকা, স্কুলের বেতনের টাকা হাপিস করে দিতে থাকে। সেই ছেলে আর মানুষ হয়নি বাপের এত থাকা সত্ত্বেও।
আপনার বাবামার উদাহরণটা চমকপ্রদ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হুট করে লেখা হলেও মন্তব্যে মিথস্ক্রিয়ায় লেখাটা পুষ্ট হচ্ছে। উহাই যথেষ্ট।
সন্তানের প্রতি ভালোবাসা আর দুর্বলতার কারনেও অনেক বাবা মা তাদের মুখের দিকে চেয়ে না বলতে পারেন না। সন্তানকে এতটুকু দুঃখ দেওয়াও বাবা মা বুকে অনেক বেশি হয়ে লাগে। তাদের মূহুর্তের সিদ্ধান্তের সুদূরপ্রসারী প্রভাব কি হবে এতখানি ভেবে দেখার মত দূরদৃষ্টি বা ধৈর্য্য অনেক অভিভাবকেরই থাকে না। শুধু টাকা পয়সা না, আচার ব্যবহার, কাজ কর্ম অনেক ব্যাপারেই বাবা মা কে শক্ত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তবে আমার মনে হয় শিশুদেরকে অনেক ছোটবেলাতেই টাকা পয়সার ধারনাটা শেখানো উচিত। বাচ্চাকে ছোট বলে যতটা অবুঝ মনে করা হয়, তার থেকে তারা অনেক বেশি বুঝে, বুদ্ধি রাখে। তাদেরকে সেই গুরুত্বটা দিলে তারাও দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করে।
ছেলেবেলায় আমার বাবা মা আর সব বাবা মার মতই মনে হয়েছে। কিন্তু বড়ো হয়ে এখন উপলব্ধি করছি তারা কি চমৎকারভাবে শিশুপালন করেছেন। বড় মানুষ হিসেবে তারা কোন সিদ্ধান্ত নিলে সেটা আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হয়নি, যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। 'না' বললেও সেই 'না' টা কেন মানতে হবে সেটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা না হওয়া পর্যন্ত আমি তাদের সাথে বিতর্ক করে গেছি বা দুই পক্ষ মিলে মাঝামাঝি কিছুতে সেটল করেছি। বাবা মা সব সময়ই আমাদের বন্ধুর মত ছিলেন, এবং এখনো তাদের সাথে যেরকম বন্ধুত্ব পূর্ন সম্পর্ক আমাদের ভাই বোনের, প্রার্থনা করি বুড়া কালে আমার সন্তানের সাথেও যেন আমার সেইরকম বন্ধুত্ব বজায় থাকে।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভইরে, এত বেশী না করতে হয় যে; মাঝে মাঝে হ্যা বলতেও ইচ্ছে করে।
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
আরে আমি তো সবসময় না বলতে বলিনি। সবসময় না বললে আমার পিঠের ছালও কি আস্ত থাকবে?
মাঝে মাঝে 'না' বলতে বলছি।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাচ্চাদের সমস্ত আবদার মেটানোর প্রয়োজন যেমন নেই, তেমন করেই প্রয়োজন সেটা তাদেরকে যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে বলা। বাচ্চারা আমরা যতটা ধারণা করি তার থেকে অনেক বেশি বোঝে, শুধুমাত্র ওদের এক্সপ্রেশানটা আমাদের মত নয়।
আর একটা কথা, বাচ্চাদের সবকিছুতে 'না' বলাটা একটা খারাপ অভ্যাস। বরং বলা ভালো 'নাঃ)বলার আসলে দরকার নেই। আপনি 'না' করে বাচ্চাদের কৌতূহল সেই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আসলে নিবদ্ধ করছেন। এইখানে গাইডেন্স পলিসি হলো- 'এটা কোরনা' না বলে বলা ভালো, 'ওটা করো'। অর্থ্যাত, আপনি তাকে একটা গাইডলাইন দিলেন যেটা আপনার পক্ষে রিচ্যাবল অপশান, আর বাচ্চার জন্যেও ভালো অপশান।
এখন বাচ্চা যদি ভিডিও গেইম কিনতে আগ্রহী হয় বা রাতে ঘুমের বদলে নাচতে আগ্রহী হয়- আপনি তাকে ভিডিও গেইমের পরিবর্তে রঙ-পেন্সিল বা বই কিনে দেবার প্রস্তাব দিতে পারেন, আর রাত্তিরে নাচার পরিবর্তে নাইট টাইম স্টোরি শোনাবার প্রস্তাব দিতে পারেন।
মোদ্দা কথা হলো-- বাচ্চাদের জন্যে উপকারী হলো কি করতে হবে সেইটা অনবরত শোনা, কি করা যাবে না সেইটা কম শোনা!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বাচ্চার সবকিছুতে 'না' বলতে বলিনি কিন্তু। আবার পড়ুন। মাঝে মাঝে 'না'।
বাচ্চা গাইডেন্স পলিসি কিন্তু কয়েকশো পৃষ্টা লিখলেও শেষ হবে না। আমি শুধু ছোট্ট কিন্তু গুরুত্বপূর্ন একটা পয়েন্ট তুলেছি একদম কাছ থেকে দেখা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে। আমার সন্তানকে না বলতে আমারও কষ্ট হয়। ওকে আমি দুনিয়ার সবচেয়ে বেশী ভালোবাসি। তবু আমার ৪ বছরের পুচকাটাকেও মাঝে মাঝে 'না' বলি। অনেকসময় কৌশলগত না। যেমন কদিন আগে সে বায়না ধরেছে তার কাঁচি লাগবে। আমি অবাক, তুই এই বয়সে কাঁচি চিনে গেছিস, কি ভয়ংকর। কিন্তু যখন সে কিছুর বায়না ধরে সেটা ২৪ ঘন্টা চাইতে থাকি। একদিন দুদিন সাতদিন চলে গেল। তবু সে নাছোড়বান্দা। সকালে ঘুম থেকে উঠেই বলে, কাঁচি চাই। বিকেলে অফিস থেকে ফিরলে পকেট হাতায়, কাঁচি কই। অদ্ভুত আবদার না? কোন কার্টুন চ্যানেলে দেখছে কাঁচি দিয়ে কি বানাইছে, সেও বানাবে। কদিন দেবো না দেবো না করে শেষে দোকান থেকে একটা স্টিলের ছোট্ট একটা গীটার এনে বললাম, এটা তুমার ইশপিশাল কাঁচি। এই দেখো লিখেছে, এটা শিহানের জন্ন। সে আবার কিছু 'লেখা' দেখলে বিশ্বাস করে। চকোলেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে ওশিনকে বলবে, এখানে লেখা আছে 'এটা শিহান খাবে শুধু'।
এইটার একটা ভাবসম্প্রসারণ লিখে ফেলেন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হাহাহা! আমি আমার বাচ্চাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি বলেই তাকে 'না' বলিনা সবকিছুতে। উদাহরণ দেই একটু।
-মা, চিপস খাবো, মা/ আরো টিভি দেখব- ইত্যাদি-হ্যান্ত্যান!
- ব্রকলির সাথে মেয়োনিজ দিয়ে খেয়ে দেখি চলো, বা-এসো একটা ফিস/চিকেন স্যান্ডুচ বানায়ে খাই/ চলো দেখি জেরোনিমোর নতুন বইটায় কী আছে--ইত্যাদি! ' না' না বলে ওকে ুঅন্য এভেইল্যাবল অপশানের দিকে ডাইভার্ট করা -যেটা ওর জন্যে পজেটিভ আর আমার জন্যে সহজ।
"বাচ্চাদের জন্যে উপকারী হলো কি করতে হবে সেইটা অনবরত শোনা, কি করা যাবে না সেইটা কম শোনা'
- মানে হলো, এটা কোর না, ওটা ধরো না, ওখানে যেও না' এসব না বলে-' চল এটা করে দেখি, ওটা ধরে দেখি, অন্য ওইখানে যাই' এভাবে বলা! বুঝাইতেতে পারলাম কি-না আল্লা মালুম!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
বুঝাতে পেরেছেন। 'না' বলাটা আক্ষরিক হবার দরকার নাই। আপনার পদ্ধতিটা আমারো পছন্দ। সরাসরি 'না' না বলে বিকল্প হাজির করা। এতে দুই পক্ষেরই মান থাকে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ধন্যবাদ গান্ধর্বী
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একমত!
ধন্যবাদ
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আপনি যেমন, আপনার বাচ্চা, সে ছেলে হোক আর মেয়ে হোক তেমনইতো হওয়ার কথা!!
আপনি দূর্নীতি করবেন, আয়ের অধিক ব্যয় করবেন - আর এসব দেখে আপনার সন্তান 'সুসন্তান' হবে এমন ভাবা বৃথা।
বাংলাদেশে কারো সুন্দরী মেয়ে থাকলে মেয়ের বাবা-মা প্রথমেই খোঁজে কাষ্টমস বা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। কেন ? তা কি অন্যেরা বোঝেনা? বেয়ের লড়াইয়ে যারা হেরে গেলো সেইসব মেয়ের বাবা-মা বা আমরাও সেই ্জিতে যাওয়া মেয়ের ভাগ্য দেখে ঈর্ষান্বিত হই। পান-সুপুরী চিবোনোর ফাঁকে সেই সুন্দরী বউ কিভাবে অঢেল টাকা হিসেবের বাইরে খরচ করছে তা নিয়ে আলোচনা করি। এসব বিষয় থেকে আমরা কি আমাদের সন্তানদের আলাদা রাখি?
কখোনোই না।
আসলে সমস্যা আমাদের মধ্যেই। আমরা জাতি হিসেবে যেমন সুবিধার নই, তেমনি সময়টাও খুব খারাপ।
আমার আর কারো উপর আশা নেই।
না নিজের উপর, না নিজের সন্তানের উপর, না রাষ্ট্র কাঠামোর উপর, না এই দেশের উপর।
আমার আর কোন কিছুতেই আস্থা নেই।
***********
ভালো থাকবেন নীড় সন্ধানী।
আপনার লেখার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই।
বরং এমন 'না' বলতে বলতে 'হ্যাঁ' বলেই সন্তানদের চালাই। দেখি জীবনের শেষে কি ফল পাই?
আপনাকে শুভেচ্ছা।
-------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আপনার হতাশা বুঝতে পারছি, সমস্যার অন্ত নেই আমাদের। তবু সবকিছুকে জেনারেলাইজেশান করতে পারি না। যেমন
সবসময় এমনটা হবার কোন কারণ নেই। প্রতিটা মানুষই আলাদা চরিত্রের। নির্ভর করে তাকে কিভাবে মানুষ করা হচ্ছে অথবা কোন পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা সে পরিচালিত হচ্ছে। তার বাইরেও মানুষের চরিত্রের এমন কিছু অন্তর্গত আলো বা অন্ধকার থাকে যা আমাদের বোধের অগম্য, সেই ব্যাপারগুলোও মানুষের চরিত্রকে প্রভাবিত করতে পারে।
সবকিছুর উপর আস্থা হারাবেন না। মানুষ খুব সম্ভাবনাময় প্রাণী। উদাহারণ আপনার আশেপাশেই আছে
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
'না' শোনার দরকার আছে আসলে।
জীবনটা আমাদের শুধু বা-মায়ের সাথেই কাটে না, রেলগাড়ি আমাদের নিয়ে যায় একের পর এক অনন্য সব মানূষের কাছে। কেউ ভাল, কেউ খুব ভাল, কেউ মন্দ, কেউ খুব মন্দ, কেউ সব কিছু মিলিয়ে- তো, এদের সাথে আমাদের কথা কইতে হয়, কাজও করতে হয় কম না। অনেক কিছু বলেন তাঁরা যেগুলো শুনে যেতে হয়- মেনে নেয়া বা মনে নেয়া তো পরের কথা, আপত্তি জানানোও- কিন্তু কথা হল 'না' শুনতে হয় অনেকই, 'হ্যাঁ'-এর তুলনায়। এটা শুনতে পারাটা অভ্যাসের ব্যাপার, গ্রহন করতে পারাটা সামর্থের ব্যাপার।
বাবা-মা-এর অস্ফূট 'না' গুলো আমাদের সেই ভবিষ্যতের কর্কশ 'না'গুলোর জন্য তৈরি করে দেয়।
মনিকাদি যেমন বললেন, অমন যখন শতকরা ১০০ ভাগ বাবা-মা করবেন তখন আর চিন্তা নেই- কিন্তু তার আগে পর্যন্ত 'না' শোনার 'প্রশিক্ষণ' চলতে থাকুক।
লেখার কলেবর নিয়ে বলার কিছু নেই, হয়ত ভাবনার পরিধিটা অনেক বড় করে ধরেছেন বলেই।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
একটা ভালো পয়েন্ট দিয়েছেন
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সবার জন্য দুইটা পয়েন্ট
১। এই লেখাটা তাৎক্ষনিক কিছু চিন্তাভাবনা থেকে লেখা এরকমই আমার মনে হয়েছে। প্রতিটা লেখা গবেষণাধর্মি হতে গেলে সমস্যা। লেখাটা ব্লগব্লগর হিসেবে নিলেই হয়। লেখা অসম্পুর্ন মনে হলে শুধু অভিযোগ না করে কমেন্টবক্সে আলোচনা করে সেটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
২। এই লেখায় সবসময় না বলতে বলা হয়নি। কিছু ক্ষেত্রে না বলতে বলা হয়েছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
ডুপ্লি, ঘ্যাচাং।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
কংক্রিট মেসেজ!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কি ভাবে কি করেছিলাম জানিনা, এইলেখায় আমার আগে করা মন্তব্যগুলো হারিয়ে গেছে। তাই আবার বলি, আমার ধারণামত আপনি সঠিক রাস্তায় আছেন। আকাঙ্খা রাখি আপনাদের প্রয়াস সার্থক হোক।
--------------------------------------------------------
এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।
এক লহমার... টুকিটাকি
আপনার মন্তব্য তো আগেই পড়েছিলাম। যাবে কোথায়?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
একমত। তবে আরেকটু বিস্তারিত লেখা যেত।
শিশুপালন আমি এখন আর লিখি না (সময় পাই না), কিন্তু এই টপিকে কিছু লেখার ইচ্ছে ছিল।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সত্যি বলতে কি, এই পোষ্টের প্রথম বাক্যটা লেখার পরই আপনার কথা মনে আসছিল। এই জিনিস তো তাসনিম ভাই লেখার কথা। আমি কি করতে লিখি।
এই বিষয়ে সময় করে আপনি অবশ্যই বিস্তারিত লিখবেন, আমি তো কেবল সুতা ধরিয়ে দিছি। আপনার শিশুপালন সিরিজ আমার পরিবারে খুবই আদৃত।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখায় সহমত। অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদের সব আবদারে হা যেমন বলেন ঠিক তেমনই তাদের করে চলা অনেক অন্যায়কেও পক্ষান্তরে বাঁধা না দিয়ে বরং হা কেই সমর্থন করেন।
দেখেছি অনেক ছেলেমেয়ে তাদের বাসায় কাজের ছেলে অথবা মেয়েকে গালি দিচ্ছে অথবা লাথি মারছে। বাবা মা সেটা দেখেও বাঁধা দেন না। কাজের লোকদের সাথে তো এমন করাই যেতে পারে এমন একটা ভাব আর কি। এতে ছোটবেলা থেকেই একটা অনিয়মকে বাবা মা তাদের সন্তানদের অজান্তেই একটা নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দিলেন।
তাই আপনার সুরেই বলতে চাই সন্তানকেমাঝে মাঝে না বলতে শিখুন
নিজ সন্তানের অন্যায় সমর্থক/সহায়ক পিতামাতার মতো ভয়ানক মানুষ কমই আছে। এই বিষয়ে কিছু অভিজ্ঞতা নিয়ে একদিন লেখা যাবে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
সম্প্রতি টিভিতে বাংলালিঙ্কের একটা বিজ্ঞাপন দেখছি, বল ছুটে এসে লেগেছে বলে মহিলা গাল দিয়ে ভূত ছুটিয়ে দিচ্ছে, যখন দেখা গেল বল মেরেছে নিজের ছেলে, তখন সব দোষ ভুলে আন্ধা হয়ে ছেলের নিশানার প্রশংসা করতে লাগলো।
অনেক মানুষের সামনে শিশুকে মারধোর বা বাজেভাবে ধমক দেওয়া ঠিক না হলেও পরে অবশ্যই ছেলে মেয়েকে শাসন করা উচিত।
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
আমার মনে হয় সন্ত্বানকে 'না' বলার চেয়ে সঠিক সময়ে জোর গলায় 'না বলা' শেখানো অধিকতর কার্যকরী।
দুটো ভিন্ন ইস্যু, দুই 'না' সম্পূর্ন আলাদা। তুলনা যোগ্য নয়। তবে দুটোরই দরকার আছে।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখার মূল বক্তব্যে সহমত। লেখার সাথে মন্তব্যগুলো মিলিয়ে চমৎকার। মণিকা’দির পদ্ধতি’র সাথে-ও সহমত।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ তানিম।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
লেখাটা পড়তে গিয়ে অসম্পূর্ণ মনে হলেও মন্তব্য-প্রতিমন্তব্যে মিথস্ক্রিয়া এত চমৎকার হয়েছে যে আমার কাছে লেখার চেয়ে মন্তব্যগুলোই অনেক বেশী ইফেক্টিভ লাগছে। (কথাটা খারাপ লেগে থাকলে সরি নীড় সন্ধানী ভাই)। আমার যা বলার ছিল তা তো দেখছি আগের মন্তব্যগুলোতেই চলে এসেছে।
প্রসঙ্গের অবতারণা করায় নীস ভাই আর এত দারুণ মিথস্ক্রিয়ার জন্য অংশগ্রহণকারী সবার জন্য । এই মিথস্ক্রিয়াই তো সচলায়তনের প্রাণ (কোয়ালিটি লেখার পাশাপাশি)। অনলাইনে এত জম্পেশ আড্ডা আর কোথাও পাই না।
____________________________
পোষ্ট ও মন্তব্য বিষয়ে আমি শতভাগ সঠিক বলেছেন। খারাপ লাগার কোন ব্যাপার নাই প্রফেসর সাহেব। লেখাটার মূল উদ্দেশ্যই এই বিষয়ে মিথস্ক্রিয়া করা এবং বিষয়টিতে নিজের মত জানানোর পাশাপাশি আমার চেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ পিতামাতাদের মন্তব্য পাওয়া। পোষ্টলেখককে বড়জোর বিষয়ের উস্কানিদাতা বলা যায়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
বাচ্চাটা কিছু চাইল আর সেটা দেয়াটা ঠিক হবেনা ভেবে আপনি না করে দিলেন, কিন্তু এতে ওর মন থেকে কিন্তু ওই জিনিসের চাহিদা মুছে যাবে না। তার চেয়ে ভাল কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ সেটা ওকে বুঝিয়ে বলা, আর তাতেও যদি কাজ না হয় সে যেটা চাচ্ছে সেটা পাওয়ার ওয়েটা আপনি ওকে বুঝিয়ে দিতে পারেন। যেমন, কিছুদিন হল ৬ বছরের ভাতিজা ভিডিও গেম ভিডিও গেম করে সবার মাথা ধরিয়ে দিচ্ছিল, তো উপায়অন্ত না পেয়ে বৌদি ওকে বুঝিয়ে বলেছে যে এটা আসলে অনেক টাকার ব্যাপার (যেহেতু ভিডিও গেম দিয়ে অনেক কিছু খেলা যায় তাই পিচ্চি সেটা মেনেও নিয়েছে) এবং এত টাকা দিয়ে হুট এটা কেনা সম্ভব না তাই তোমাকে টাকা জমাতে হবে এবং তোমার নেক্সেট বার্থডেতে তুমি নিজের টাকা দিয়ে নিজেই ওটা কিনে আনতে পারবে। এখন পিচ্চি তার মা'র দেয়া মাটির ব্যাংকে রোজ কিছু টাকা রাখছে এবং ও যেহেতু এত কিছু করছে ওটা কিনতে সুতরাং সে ভিডিও গেমটা যত্ন সহকারে ব্যাবহার করবে ও টাকা জমানো ও টাকার প্রয়োজনীয়তাটাও বুঝতে পারবে বলে আমরা আশা করছি।
বুঝদার বাচ্চাদের ম্যানেজ করা অনেক সহজ। কিছু বাচ্চাকে ওভাবে সম্ভব। কিছু বাচ্চা আছে নাছোড়বান্দা। কোন বিকল্পে বশ মানে না। আমার চার বছরের পুচকা তার উদাহরন। তার জন্য বিশেষ কায়দা লাগে। অবশ্য প্রত্যেক বাচ্চার জন্য কাস্টমাইজড কায়দার প্রয়োজন সেটা ভুক্তভোগীমাত্রেই জানেন।
এখানে মাঝে মাঝে 'না' করতে বলা হয়েছে সেসব পিতামাতাদের উদ্দেশ্যে যারা বাচ্চার আবদার ১০০% পূর্ন করার চেষ্টা করেন, এমনকি সেই আবদার অযৌক্তিক বা ক্ষতিকর হলেও। ফলে বাচ্চাটি বখে যাবার প্রবল সম্ভাবনা। কখনো হ্যাঁ কখনো না, এই অভ্যেসটা ছোটকাল থেকে রাখলে, বড় হলেও সেই বাচ্চাটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।
আমার বাচ্চারাও অন্য সবার মতো বিজ্ঞাপনের চিপস জুশ ইত্যাদির ভক্ত এবং ঘরে তৈরী বিশুদ্ধ চিপস বা জুশ তাদের রুচিতে পোষায় না। আমি পারতপক্ষে বিজ্ঞাপনের জিনিসগুলো না দেবারই চেষ্টা করি। তবু যদি কখনো কিনে দিতে হয়, তখন ওদের সাথে খেতে বসে যাই, যাতে অধিকাংশ আমার পেটে যায়। একদিন কি কারণে ওর পেট ব্যথা উঠলো, তখন সুযোগ পেয়ে বললাম, ওই যে বাইরের চিপস খেয়েছো, সেজন্যই ব্যথা। এটা বলার পর সে এখন চিপসের কথা মুখে আনে না। সুতরাং 'না' বলতে হবে নানান কৌশলেই।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
পোস্টের বক্তব্যের সাথে আমি সহমত পোষণ করি। মাঝে মাঝে সন্তানকে 'না' বলাটা আবশ্যক অবশ্যই। যা আমি ব্যক্তিগতভাবে মানার চেষ্টা ও চর্চা করি। চাইলেই ইচ্ছেখুশি সব পাওয়া যায় না, তার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়, এই বোধটুকু জন্ম না নিলে সন্তানের মধ্যে শুভবোধের বদলে স্বৈরাচারী মনোভাবই দানা বেঁধে ওঠার সম্ভাবনা বেশি থাকে, এটা আমার উপলব্ধি। ব্যক্তিজীবনে এমন নজির তৈরির সাক্ষি আমি নিজেও।
চাইলেই সব পাওয়া যায় এই ধারণায় তৈরি মনোজগত প্রকৃতই অসম্পূর্ণ ও বিপজ্জনক।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে আপনার চিন্তাভাবনা সম্পর্কে অনেক কিছু জানা গেল। মন্তব্যের বিশ্লেষণগুলো পোস্টে আরেকটু গুছিয়ে আসলে ভালো হত। তবে চমৎকার একটা আলোচনা শুরু হয়েছে পোস্টের মাধ্যমে, তাই
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আপনার লেখাটা অনেকটাই 'টেন টিপস ফর পেরেন্টস' এর মত হয়েছে। চাদ্দিক দেখে যা মনে হয়, পয়েন্টগুলো খাঁটি।
তয়, ধূগোদা'র সঙ্গে আমিও একমত
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
নতুন মন্তব্য করুন