নেটাই!

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি
লিখেছেন যাযাবর ব্যাকপ্যাকার (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৪/২০১১ - ৪:৫৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

হুদাই:

আমি একজন অসামাজিক জীব।
এটুকু পড়েই যাঁরা আমাকে চেনেন তাদের ঠা ঠা করে হেসে ওঠার কোন কারণ নেই। ছুটিছাটা পেলেই আমি ব্যাপক গ্যাঞ্জাম করে সদলবলে বেরিয়ে পড়তে বা বন্ধুদের সাথে আড্ডাতে পছন্দ করি বলেই তার মানে এই নয় যে আমি সামাজিকতা রক্ষায় পটু! অমুকের বিয়ে, তমুকের জন্মদিন, সমুকের বিবাহবার্ষিকী আমার মনেটনে থাকেনা। জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ - এই তিন ছাড়াও অন্য যেকোন সামাজিকতা রক্ষায় আমাকে বাদ দিলে যদি চলে, তো আমি দূর থেকে মনে মনে অনেক দোয়া করি। খাইছে

আসলে যাদের সাথে আলাপ করে ভালো লাগে, পছন্দ-অপছন্দগুলো মিলে যায়, বা গল্প করার মাল-মশলা কমন পড়ে, এই যেমন বেড়ানো-কুড়নো, বই-টই পড়া, খাওয়া-দাওয়া, সিনেমালোচনা আরকি, তাদের সাথে জমে যায় ঠিকই। সচল ওডিনদার অমর বাণী – 'ক্যাম্নে ক্যাম্নে য্যান পুরান পাপীরা সব একসাথে হয়ে যায়...' সে রকম।

তবে নতুন কারো সাথে পরিচিত হবার ব্যাপারে আমার ফোবিয়া আছে একরকমের। প্রথম দর্শনে আমি হয়তো অতি ভদ্র মানুষের মতো সকলের সাথে হাসিমুখে আলাপ পরিচয় করে সৌজন্য রক্ষা করছি, তা দেখে সবাই ভাবছে, “আহা, মানুষটা কী অমায়িক!” কিন্তু সত্যি কথাটা হয়তো, আমি আসলে নিজের মনমতো গফসফ করতে না পেরে মর্মাহত, আর সামনাসামনি নিপাট ভদ্রতা রক্ষা করলেও, মনে মনে দোয়া করছি দ্বিতীয়বার যেন আমাকে আর এঁদের সাথে আলাপ করতে না হয়! আসলে এরকম হলে আমার হাঁফ ধরে যায়।

সবচেয়ে সমস্যা হয় কোন দাওয়াতে গিয়ে অপরিচিত, স্বল্প-পরিচিতদের ভীড়ে একা একা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে, অথবা পাশের বোরিং যাত্রীর সাথে ট্রেনে বা বাসে একটা দীর্ঘ যাত্রায়। এই সময়গুলোতে আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে আমার মুঠোফোন। আমার মোবাইল ফোনটা নেহায়তই কমদামি এবং কথা বলার বাইরে ফোনের নানাবিধ ব্যবহারে আমি খুব একটা সিদ্ধহস্ত নই। বরং আমি সাধারণত টুক করে ঢুকে যাই ব্রাউজারে আর ঢুকে পড়ি সচলায়তনে, যে পোস্টগুলো জমে আছে ক'দিন ধরেই, পড়বো পড়বো করেও নানান ব্যস্ততায় পড়া হচ্ছেনা, সেগুলো তখন আমি আয়েস করে পড়তে থাকি।

এমনিতে এই মোবাইল ফোন জিনিসটাকে আমি বড় একটা সহ্য করতে পারিনা। জরুরি প্রয়োজনে দারুণ কাজের হলেও, অনেক সময়ে দরকারে ফোন দিয়ে আবিষ্কার করি কারো প্রায় শতগণ্ডা সিমের প্রায় সবগুলিই বন্ধ! নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ফোন ধরা নিয়েও খুঁতখুঁতে আমি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো জরুরি কথা ফুরিয়ে গেলে আমি পুরাই আমতা আমতা করতে থাকি, অন্যপক্ষ কথা চালাতে থাকলে আমি কোন রকমে হুঁ-হাঁ করে বেঁচে-বর্তে যাই ঠিকই, কিন্তু মেলাক্ষণ এভাবে চলার পরে অনেক সময়েই ফোন রাখার পরে আমার মনে পড়ে অন্য আরো পাঁচটা জরুরি কথা বলবার ছিল যা আমি গুলে খেয়ে বসে আছি! কষ্ট হয় ক্ষুদে ক্ষুদে কি-গুলি চেপে ক্ষুদেবার্তা পাঠাতে। তবে এটা আশ্বাসের ব্যাপার যে জিপি ছাড়া তেমন একটা কেউ আমাকে এসেমেস করে না। হাসি

নেটাই:

কাজেই খুব সাধারণভাবে বললে এই ফোন আর সচলায়তন-এর কম্বিনেশনটা না হলে আমি বেশ ভালোই সমস্যায় থাকতাম। কিন্তু এত সুখ সর্বদা ছিল না। প্রথমে, সেই বছর তিনেক মতো আগে, একদিন হঠাৎ যখন আমার এক বন্ধু আমার ফেসবুকের ওয়ালে বাংলায় চিকা মেরে গেল, তার থেকে জানলাম ইউনিকোডে বাংলা লেখার উপায় ‘অভ্র’-এর কথা। তারপর অনেকদিন গেল, মাঝে মাঝে আমি সামাজিকতার আড়ালে হাঁফ ধরা সময় কাটাতে যখন ঢুকতাম ফেসবুকে ততদিনে অভ্রের সুবাদে বন্ধুদের অনেকেই বাংলিশ ছেড়ে আমার মতোই শুদ্ধ বাংলা হরফে স্ট্যাটাস, মন্তব্য দিতে শুরু করেছে। ভ্রমণের সময়ে মাঝে মাঝে মোবাইল দিয়ে ফেসবুকে ঢুকে জরুরি কোন মেসেজ আছে কিনা দেখি, ই-মেইল চেক করি। মুশকিল হয়, বাংলায় কিছু লেখা থাকলে তা আর পড়তে পারিনা।

সমস্যার সমাধানে কাওকে কাওকে বলতে শুনতাম ‘অপেরা মিনি’ ব্যবহারের কথা। (জ্বী হ্যাঁ এটা গ্রামীণ ফোন এই সেদিন অপেরা মিনিকে আমাদের কাছে এনে দেবার মেলা আগের সেইইইই ডাইনোসরের যুগের কথাই বলছি আমি)! তা 'অপেরা মিনি' নামক মোবাইল ফোন উপযোগী সেই ব্রাউজার নামালাম। নামিয়ে মোবাইলে সেটাপ করতে গিয়ে দেখি আরেক সমস্যা, কিছুতেই ব্রাউজার ঠিক মতোন ওপেন হয় না। মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করি, মোবাইলের ম্যানুয়াল পড়ি, নেটে গুঁতাই, শেষে গুঁতিয়ে গুঁতিয়ে সেটারো একটা সমাধান করে ফেললাম। তারপর মহা আগ্রহে সচলায়তন খুলে দেখি কী, সব ক্ষুদে ক্ষুদে বাক্স দিয়ে ভরা! মন খারাপ

তারপরে একে জিজ্ঞেস করি, তাকে জিজ্ঞেস করি, কেউ ঠিক করে বলতে পারে না। শেষে একদিন আবার সেই বন্ধুকে জিটকে দেখে মনে পড়ে, এর তো মোবাইল গুঁতানোর সিরিকাস নেশা আছে, সারাক্ষণ সে মোবাইল টিপতে থাকে। মনে পড়ে আমার ফোনটা কেনার সময়ে তাকেই সাথে নিয়েছিলাম, আরো মনে পড়ে মোবাইলে ন্যাভিগেট করে সে বিশ্বের সর্বত্রই ঠিকঠিকানা বের করে ঘুরে বেড়ায়, খালি কোন একদিন মোবাইল গুঁতোতে গুঁতোতেই ঝপাং করে ঢাকার রাস্তার খোলা ম্যানহোল দিয়ে পড়ে যাবে এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত! যাই হোক, জিটকে টোকা দিলাম,

“কী রে, কী করিস?”

সে রোমান হরফে লেখলো, “netai”

“ন্যাতাস মানে?! কী ঘটনা?!” আঁতকে উঠি আমি।

“ন্যাতাই না! ‘নেটাই’, মানে ‘ইন্টারনেট গুঁতাই’।“

আমি হাঁফ ছাড়ি। এরপরে তাকে সমস্যার কথা বলতে, সে জানালো কীভাবে কী করতে হবে।
তারপর আমি নিজেও অনেককে বাতলে দিয়েছি উপায়। এমনিতেও অনেকেই জানেন। তবু এখনো মাঝে মাঝেই দেখি বন্ধুরা ফেসবুকের ওয়ালে চিকা মেরে যায়, ব্যক্তিগত বার্তা পাঠায় কীভাবে এই বাংলা পড়ার কাজটা করা যায় নিজেদের ফোন দিয়ে তা জানতে চেয়ে। ভাবলাম, সচলায়তনেও একটু টুকে রাখি, ক্যাম্নে কী! পরে তাদেরকে এই কচকচানিখানার লিংক ধরিয়ে দিলেই চলবে। হাসি

ক্যাম্নে কী:

১। প্রথমে চেক করে দেখু্ন আপনার মোবাইলে 'অপেরা মিনি' আছে কিনা (নোকিয়ার ফোনে সাধারণত এখন দেয়াই থাকে)। না থাকলে ডাউনলোড করুন এখান থেকে।
২। এবার অপেরা ওপেন করে অ্যাড্রেস বারে opera:config টাইপ করে OK করতে হবে।
৩। তারপর সেটিংস এর পাতা খুললে "Use bitmap fonts for complex scripts" কে পরিবর্তন করে দিতে হবে "Yes"
৪। এবার পাতার নিচের দিকে "Save" বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে।

ব্যস! হয়ে গেল কাজ।

এবার চলে যান সচলায়তনের মোবাইল ভার্শনে – m.sachalayatan.com লিখে, দেখেছেন, সব কেমন কিলিয়ার দেখা যায়? দেঁতো হাসি

ক্যাম্নে কী, তা আরেকটু বিস্তারিত ছবিসহ দেখতে হলে ক্লিকান এইখানে
তবে একটা ব্যাপার, বিটম্যাপ অন করে দিলে ব্রাউজার স্লো হয়ে যায়, এইটা একটা সমস্যা।

এর পরের ঘটনা হলো অনেক স্বচ্ছন্দ পঠনের। যে কোন সামাজিকতা রক্ষার দায় পড়লেই আমি এখন সেখানে উপস্থিত হয়ে হাসি মুখ করে এক কোণে বসে পড়ি, তারপর মোবাইলটা বের করে নেটানো শুরু করি, আমার সময় বেশ ভালোই কেটে যায়। আমাকেও কেউ খেয়াল করে না, আমিও নিভৃতকোণে সচলমগ্ন হয়ে যাই। হাসি

অতঃপর জন্মদিন

আচ্ছা, ট্যাগে জন্মদিন দেখে এখন জিজ্ঞেস করবেন তো, কী ব্যাপার। আসলে ছোটবেলার লেখালেখির অভ্যাসটা চলে গিয়েছিল বড়বেলায় ব্যাপক ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে। তারপর কাজের ফাঁকে ফাঁকে বন্ধুদের লিংক শেয়ারের সুবাদে মাঝেমাঝেই এ পাড়ায় ঢুঁ মারা হতো, কখনো নিয়মিত, কখনো অনিয়মিত, মাঝেমাঝে একটা-আধলাটা মন্তব্য করা হতো, কী হতো না। তারপর এই ঠিক একবছর আগে বৈশাখের প্রথম প্রহরে কী এক কুবুদ্ধি হলো, একটা কিছুমিছু লিখে ফেলার পরে হঠাৎ এক ভারি অদ্ভুত খেয়াল হলো, দিলাম এখানে পোস্ট করে। দিয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম, মানে দায় দায়িত্ব শেষ, বাকিটা মডুরা দেখে নেবেন। তারপরদিন নববর্ষের নানান কর্মকাণ্ড শেষে, সন্ধ্যাবেলায় নীড়পাতায় নিজের পোস্ট দেখে ভারি এক্সাইটেড হয়ে গেলাম! আমি আবার অল্পেই দারুণ খুশি হয়ে উঠি, চমৎকৃত হই সামান্যেই। আর এখানে কিনা মজাটা পুরোই অন্যরকম। কতবার পড়া হয়েছে তা সাথে সাথে দেখা যায়, পাঠকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়, তার উপর আবার পুরনো দু’একজন পছন্দের ব্লগারও এসে মন্তব্য করে গেলেন! আমার জোশ বেড়ে গেল। আর সেই থেকে যে কত কিছু হলো! কতজনের সাথে আলাপ হলো (ভয় নেই, একেবারে মনমতো সব গফসফ করা যায় এঁদের সাথে, হে হে), তারপর কত বেড়ানো হলো, কত আড্ডা হলো, কত আবঝাব পোস্ট হলো, আবার কত আড্ডা হলো, বই-সিনেমা-চিন্তাভাবনার লেনদেন হলো... ইত্যাদি, ইত্যাদি, ইত্যাদি। হাসি

তা সেই সচল অভিষেকের জন্মদিন ছিল এই ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখ, ১৪১৮।
ইচ্ছা ছিল সচলের কাছের কিছু মানুষজনকে ডেকে দুই চারটা সুখ দুখের গফসফ করি, চা-টা খাই।
তা সবাই মনে হয় ব্যস্ত, নয়তো বা ব্র্যাক্ত!

ভাবলাম আবঝাব আরেকটা কিছু লিখে সবাইকে জ্বালাতন করি, তো সক্কাল বেলায় (হোক তা সকাল ১১টা, সকাল তো!) বুনোহাঁস ঘুম ভাঙিয়ে ই-বইয়ের পোস্ট দিতে বললো সম্পাদকদের পক্ষ থেকে। তারপর দুই তিনদিন একটানা কামলা খাটায় আর কিছুই হয়ে উঠলো না। তাই সুযোগ পেয়ে ভাবলাম আজকেই একটু বকাবাজি করে নেই। হাসি

ওহ! আরেকটা ব্যাপার, সচল সুপাশিপুর জন্মদিন ছিল গতকাল। সচলায়তনের মাধ্যমে আলাপ হওয়া আরেকজন। ভারি আদর যত্ন করেন তিনি আমায়, সম্প্রতি নাকি স্বপ্নেও দেখেছেন আমাকে! আমি তাই মনে করিয়ে দিতে চাই, আমার মতো নাদান, বাচ্চালোগকে স্বপ্নে দেখলে কিন্তু জন্মদিনের কেক্কুকের পাশাপাশি ডাবল খাওয়া-দাওয়া করাতে হয়! দেঁতো হাসি

শুভ জন্মদিন সুপাশিপু!

আনন্দপূর্ণ হোক আপনার জীবনের প্রতিটি দিন। ভালো থাকুন। হাসি


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

১. শিমুলাপুকে শুভ জন্মদিন!

২. ই-বুকের পোস্টের জন্য আবারো বড় একটা ধন্যবাদ। আর সচলযাত্রা পূর্তি উপলক্ষ্যে অভিনন্দন!

৩. ফোন আমার অপছন্দের জিনিস। আমাকেও জিপি ছাড়া সচরাচর কেউ স্মরণ করে না।

৪. বিয়ে, জন্মদিনের মতো গৎবাঁধা, চার দেয়ালে বন্দি সমাগম এড়িয়ে চলি। কিন্তু এমনিতে নতুন মানুষ খারাপ লাগে না। সব মানুষই আলাদা। আমার মজা লাগে।

৫. বিটম্যাপ অন করে দিলে আরেকটা সমস্যা হয়। শেষের দিকের লেখাগুলো পড়া যায় না আর। সেক্ষেত্রে ফন্ট নামিয়ে নিতে হয়।

৬. আমরা সবাই নেটাই আমাদের এই নেটের রাজত্বে। Smiley

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হ! হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

পাগল মন এর ছবি

আপনার সাথে আমিও শিমুল আপাকে (এত সুন্দর একটা নাম থাকতে আপ্নে এইরাম সুপাশিপু ডাকলেন?! আমিতো ছুপা রুস্তম টাইপ কাউরে মনে করসিলাম চোখ টিপি ) হ্যাপি বাড্ডে জানাই। হাসি

আপনার ব্লগরব্লগর ভাল্লাগছে।

------------------------------------------
হায়রে মানুষ, রঙিন ফানুস, দম ফুরাইলে ঠুস
তবুও তো ভাই কারোরই নাই, একটুখানি হুঁশ।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

সুপাশি নামটা আনিস মামার কাছে প্রথম শুনেছি মনে হয়। আর সুপাশিমুলআপুকে 'সুপাশিপু' ডাকার আরো কারণ আছে, আমাদের আরেকজন ব্লগার আছেন না, যিনি লেখাটেখা প্রায় ভুলেই গেছেন, আসাশিমুল ভাই! দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

আনন্দী কল্যাণ এর ছবি

শুভ জন্মদিন, শিমুলাপু হাসি

গফসফ মজা লাগল পড়ে। সচল-ভালুবাসা অমর হউক।
ও, আর "চাইনিজ" লেখাটাও খুব ভাল লেগেছে, সাবলীল।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ধন্যবাদ প্রিয় ছোট গল্পকার! হাসি

সচল-ভালুবাসা অমর হউক।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

বিবাগিনী এর ছবি

মজা লাগল পড়ে দেঁতো হাসি আমারো দিন তারিখ মনে থাকেনা।
নেটাই হো হো হো দারুনতো কথাটা!

‌‌::একাকিত্বের বিলাস আমার অনেকদিনের সাধ::

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনাকে অনেকদিন পরে সচলায়তনের পাতায় নেটাতে দেখতে পেয়ে ভালো লাগছে। দেঁতো হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

ভালো লাগলো বকর বকর।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

মুস্তাফিজ এর ছবি

বগর বগর ভালো হয়েছে। আমি আবার টেকি কানা, এস এম এসই ঠিক মতন পাঠাতে পারিনা।
শুভ জন্মদিন সুপাশিপু।

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শুভ জন্মদিন সুপাশিপু।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

সংক্ষিপ্ত ভার্সন পড়ে তো বেড়াছেড়া লেগে গেছিল। ভাবছিলাম কার কথা কয়!
শুভ জর্মদিন শিমুলাপু!

সামাজিকতা এবং ফোন নিয়ে যা লিখলেন হুবহু কমন! তিন মিনিটের বেশী কথা কইতে রীতিমত ঘামাই। তবে অপেরা মিনির ব্যবহার শেখার জন্য হাসিব ভাইয়ের টিপসগুলা খুব কার্যকরী ছিল।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হাসিব ভাইয়ের পোস্ট যে খেয়াল করি নাই! লিংক দিয়েন সম্ভব হলে।

আমার ফোনে কথা বলতে খুবই বাজে লাগে, কাছের বন্ধুদের বা পরিবারের কারো সাথে সামনাসামনি যেমন মেলা গল্প করা যায়, আমি ফোনে তাদের সাথেও সেরকমটা পারি না। কেমন করে যে মানুষ সারা রাত ফোনে কথা বলার কম কলরেটে খুশি হয় মাথায় ঢুকে না! মন খারাপ

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

হাসিব ভাই ফেবুতে দিছিল। আছে সচলগ্রুপে পেছনের দিকে।

কম রেটে সারারাত কথা বলতে দেয়ার কারণ বোধহয় দিনভর লাইনে জমে থাকা আপনার আমার মতো লোকদের অনাবশ্যক আড়ষ্টতাগুলো ঝাকানাকা দিয়ে পরিষ্কার করা। হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দৌড়ের উপর আছি এ হপ্তায়, তারপরেও বলে যাই-

শুভ জন্মদিন সুপাশিমুল আপু !!

আয়নামতি1 এর ছবি

জন্মদিনের বিলম্বিত শুভেচ্ছা থাকলো শিমুলাপুর জন্য। আপনাকে বর্ষপূর্তির অভিনন্দন (গুড়)

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

দ্রোহী এর ছবি

শুভ জন্মদিন হে মহিলা শিমুল! দেঁতো হাসি

ব্যাকুকে ভরসাপূর্তির ব্যাফক অভিনন্দন।

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আফনাকে জব্বর ধন্যবাদ গো ভাই। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সুরঞ্জনা এর ছবি

শুভ জন্মদিন শিমুলাপা হাসি

............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্‌ চিনে।

সাফি এর ছবি

শুভ জন্মদিন সুপাশিপু

কৌস্তুভ এর ছবি

শিমুলাপাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা। আমি যখন ধারেকাছে নেই, আমার ভাগের কেক্কুক নাহয় যাযাদিকেই দিয়ে দেবেন। হাসি

যাযাদি, তোমারেও সচল-প্রবেশের প্রথম জন্মদিনের জন্য হেপি বাড্ডে রইল। দেখ, সামনের এক বছরে কিন্তু এই বছরের ডবল পোস্ট দিতে হবে!

নজমুল আলবাব এর ছবি

একজনের জন্মদিন ১৮ তারিখে, শুভেচ্ছা জানাইলেন ১৯ তারিখে, এইটা সহ্যএবল হইলেও ১৪ তারিখরে আপ্নে কোন সাহসে ১৯ বানাইলেন!!!
যাইহোক, আপ্নে অলস বইলা তাগোরেতো আর ফালাইয়া দিতে পারি না। অচেনা অভিষেক আর ‌'ছাখারাখা' চেনা শিমুলুন্নেছাকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।

*ছাখারাখা=ঝাপসা। তিনবছর ধরে তার ঝাপসা চেহারাই দেখে আসছি। দেঁতো হাসি

কৌস্তুভ এর ছবি

আম্মো প্রথমে ভেবেছিলুম যে অভিষেক নামক কোনো অপরিচিত সচলকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে বুঝি। তারপর লিঙ্কে গিয়ে দেখলুম, ওইটা যাযাদিরই সচলাভিষেকের বর্ষপূর্তির কথা হচ্ছে। সন্ধি না করে 'সচল অভিষেক' লেখায় গিয়ানজাম লেগে গেছে। দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হ! অভিষেকটা কিডায়? চিন্তিত

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

শুভ জন্মদিন সুপাশিপু
শুভ বর্ষপূর্তি যাযাব্যাক
আর অশেষ ধন্যবাদ যাযাব্যাক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমাকে ধন্যবাদের মধ্যে টানেন ক্যান? চিন্তিত
আর শুভেচ্ছার জন্যে আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- নেন। আপনাদের মতো হরেক রকমের পেশা, অভিজ্ঞতার মানুষদের সাথে পরিচয়টা, আপনাদের স্নেহ, বন্ধুত্বটাই আমার অনেক বড় পাওয়া গত এক বছরে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

"সুপাশি" বা "সুপাশিপু" নামটা শুনলে নিজেরে আমার নাকবোঁচা জাপানিজ মনে হয়। ইয়ে, মানে...
আছি মহাদৌড়ের উপ্রে। নিজের চারখানা চোখ আর চারখানা হাতের গভীর প্রয়োজন বোধ কর্তেসি। মন খারাপ
জর্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য বুনোহাঁস, পাগল মন (নাম সুন্দর বলার জন্য থেংকু দেঁতো হাসি, কল্যনীয়াসু, মুস্তাফিজ ভাই, অপ্র, নীড় সন্ধানী, সুহান, আয়নামতি, দ্রোহী (কথাটা হবে মেয়ে শিমুল রেগে টং), সুরঞ্জনা, সাফি, কৌস্তভ, অপু ভাই (আমার ছবি মোটেও ঝাপসা না মন খারাপ), আর নজু ভাইরে বিয়াপক ধইন্যবাদ। হাসি
আর যাযাবরকে বর্ষপুর্তির শুভেচ্ছা আর স্পেশাল একটা থ্যাংকস, কারণ আছে। চোখ টিপি

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জন্মদিন শুভ হোক শিমুলআপুর। আর যাযাপুকেও ধন্যবাদ। আমি অবশ্য iPhone-e সাফারি ব্যবহার করছি। সবকিছুই ঠিকঠাক আছে শুধু বাংলা লেখা নিয়ে সমস্যা। লেখা যে যায়না তা ঠিক না তবে একটা বাক্য লিখতে আধা ঘন্টা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মেহবুবা জুবায়ের এর ছবি

একসময় সচলে জন্মদিনের পোষ্ট লেখা হতো খুব মজা করে। ব্যাপারটা এরপর সবার মতামত নিয়েই বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। জন্মদিনের পোষ্টগুলি আমার দারুণ লাগতো। অনেকদিন পর সেই অনুভূতিটা ফিরে পেলাম তোমার এই পোষ্টে। লেখা ভালো লাগলো।

--------------------------------------------------------------------------------

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুম, সেই জন্যেই জন্মদিনের পোস্ট দেই না তো, আমি বরং গল্প করি। হাসি

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

ফাহিম হাসান এর ছবি

শুভ জন্মদিন সুপাশিপুকে!

নেটাই শব্দটা পছন্দ হয়েছে। রিটন ভাই ছন্দ মেলালে পেটাই দিবেন নির্ঘাৎ

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।