গোলাম আযমের আচার সমাচার এবং একজন হরিকান্ত মন্ডল ও লাখো শহীদের কান্না

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: রবি, ২৯/০১/২০১২ - ১০:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৬৮ বছর বয়সের ভারে নুয়ে পড়া শরীর নিয়ে হরিকান্ত মন্ডল হাঁটেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে বেড়ান এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম। দুয়ারে দুয়ারে কড়া নাড়েন। দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাতখানি বাড়িয়ে দেন- কয়ডা ভিক্ষা দিবেন? বেশির ভাগ সময়ই মাফ করো, কাজ করে খেতে পারো না, ভাগলি না মাইর খাবি, ভাগ হারামজাদা- এসব কথাই তার কপালে জোটে, যেন সে একটা বেওয়ারিশ কুকুর। মাঝে মাঝে দয়াপরবশ হয়ে কেউ কেউ তার হাতের ভেতর দু এক টাকা বা এক মুঠো চাল গুঁজে দেয়। হরিকান্ত ফ্যালফ্যাল করে সেগুলো দেখেন। দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। বিড়িবিড় করে আপন মনেই আওড়ান আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। শুনে লোকজন খিক খিক হাসে, এইসব ধান্ধাবাজি বাদ দেন চাচা মিয়া। হরিকান্তের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। স্কুল ঘরের সামনে পতপত করে ওড়া লাল সবুজ পতাকার দিয়ে তাকিয়ে তিনি মাথা নাড়েন। নিজের ভিক্ষার মলিন ঝোলার সাথে ওই পতাকার কোন পার্থক্যই তিনি খুঁজে পান না। পাগলের মত নিজেকেই নিজে তিনি প্রশ্ন করেন, এরে হরিকান্ত এই জন্যি কি দেশ করিছিলু?

এই জন্যই তো আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ চাই নাই, গোলাম আযম চিৎকার করে ওঠেন। প্রিজন সেলের নার্সরা ভয়ে একজন আরেকজনের দিকে তাকায়। দেশের একজন নাগরিক মিষ্টি আচার চেয়ে পাবে না এটা হতে পারে না, গোলাম আযম বলতে থাকেন। কিন্তু স্যার আপনার খাদ্য তালিকায় তো ভাত, মাছ, রুটি, খিচুড়ি,সবজি, সালাদ, চা, বিস্কুট, স্যুপ থেকে শুরু করে মাইলো পর্যন্ত আছে! ওতসব বুঝি না, আমার মিষ্টি আচার চাইই চাই। নইলে আমি অনশন শুরু করবো। অগত্যা গোলাম আযমকে মিষ্টি আচার দিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ কারা কর্তৃপক্ষ!

আসুন আমরা কল্পনা করি ৭১ এর কুখ্যাত রাজাকার গোলাম আযম এর নির্দেশে একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে একজন তরুণকে ধরে আনা হয়েছে। রাইফেলের বাট দিয়ে পিটিয়ে তার হাড়গোড় ছাতু ছাতু করে দিচ্ছে রাজাকার,আল বদর বাহিনী। করাত দিয়ে একটা একটা করে কাটা হচ্ছে তার আঙুল। বেয়োনেট দিয়ে চিরে দেয়া হচ্ছে তার বুক পিঠ। চোখে ঢেলে দেয়া হচ্ছে গরম শিশা। তরুণটি মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর হয়ে চিৎকার করছে- পানি, আমাকে একটু পানি দাও। আল্লার দোহাই আমাকে একটু পানি দাও। আর রাজাকারেরা হাসতে হাসতে তরুণটির মুখে প্রশ্রাব করতে করতে বলছে- জয় বাংলার বাচ্চা, নে পরান ভইরা পানি খা, শালা মালাউন।

মুক্তিযুদ্ধে এমন লাখ লাখ শহীদ আছে যারা মৃত্যুর আগে প্রিয় খাবারতো দূরে থাক এক ফোটা পানিও পায়নি। মা কুমড়ো ফুলের বড়ি বানিয়ে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেছেন, ছেলে ফিরে আসেনি।‎ স্ত্রীর সাথে রাতের খাবার খেতে বসা স্বামীকে চোখ বেঁধে ধরে নেয়া হয়েছে। ছোট্ট মেয়েটির গালে ভাত তুলে দেয়ার আগেই বাবাকে চোখের সামনে জবাই করা হয়েছে- জানা অজানা এমন হাজার হাজার গা শিউরে ওঠা ঘটনা রয়েছে। মায়ের কাছে ছেলে ভাত খেতে চেয়েছিল। মা পরদিন ভাত নিয়ে রমনা থানায় গিয়ে দেখেন, ছেলে নেই। ছেলে আর কোনো দিনও ফিরে আসেনি, এই মা বেঁচে থাকা অবধি কোনো দিনও ভাত খাননি। এমন হৃদয়বিদারক ঘটনাও আমরা জানি।

এসব মানবতাবিরোধী জঘন্যতম অপরাধগুলো কিন্তু গোলাম আযমের ইশারাতেই ঘটেছিল। তার নেতৃত্বেই পকিস্তানী বাহিনীর পাশাপাশি সেসময় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল নিজামী, মুজাহিদ, সাইদী, মাইনুদ্দীন, কামারুজ্জামানরা। তাই আজ যখন গোলাম আযম নানা পদের বাদশাহি খানা খাদ্য পাবার পরও পছন্দের আচারের জন্য বায়না ধরে, অনশনের হুমকি দেয়; আর আমাদের ট্যাক্সের টাকায় বাংলাদেশ সরকার তার আচার যোগাতে বাধ্য হয় নিজেকে খুব পরাজিত অসহায় মনে হয়। হরিকান্তের মতো মুক্তিযোদ্ধারা ভিক্ষার থলি নিয়ে দুয়ারে দুয়ারে লাথি গুতা খান আর যুদ্ধাপরাধের দায়ে আটক চিহ্ণিত নরপশুগুলো প্রথম শ্রেণীর ভিআইপি মর্যাদায় গা এলিয়ে দেয়, এর থেকে বড় ট্রাজেডি আর কী হতে পারে?

স্বাধীনতার পর ৪০ বছর ধরে আমরা এই ধরনের আরো অনেক ট্রাজেডি বহন করে চলেছি। দিনের পর দিন ক্রমাগত এই ট্রাজেডির আঘাতে আমরা ক্ষতবিক্ষত হচ্ছি। এটা অনস্বীকার্য যে মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের সবচেয়ে গর্বিত প্রজন্ম। আর কবছর বাদে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই এমন সময় আসবে যখন এই প্রজন্মের জীবিত কাউকেই আর খুঁজে পাও্য়া যাবে না। তখন তারা মিথে পরিণত হবেন আর আমরা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাদের বীরত্বগাথার গল্প বয়ে বেড়াব। আমাদের আর কোন প্রজন্মেরই স্বাধীনতা সংগ্রামের কিংবদন্তী হবার সুযোগ নেই। সেই মুক্তিযোদ্ধা মানুষগুলো যখন ভিক্ষার ঝুলি হাতে পথে নামে তখন স্বাধীন বাংলার নাগরিক হিসেবে আমার মাথা মাটিতে নুয়ে যায়। বাংলাদেশে সরকার কি এ লজ্জা থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে না? জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মাসে মাসে ভাতার ব্যবস্থা করলে রাষ্ট্রের কোষাগারে কী এমন টান পড়ে!

আমাদের ট্যাক্সের টাকায় যদি বাংলাদেশ বিরোধী গোলাম আযমেরা মিষ্টি আচার খেতে পারে, দেশ সেরা ডাক্তারদের বোর্ড থেকে সুচিকিৎসা পেতে পারে তবে জীবন বাজি রেখে দেশ স্বাধীন করা মুক্তিযোদ্ধারা কেন বৃদ্ধ বয়সে জীবিকা নির্বাহ করার সামান্য খরচটুকু রাষ্ট্রের কাছ থেকে পাবে না! এমন একটা দেশের স্বপ্নে বিভোর হয়ে কি তারা যুদ্ধ করেছিলেন? আমরা হতাশায় পর্যদুস্ত হলেও সময়ের সাথে লড়াই করা হরিকান্ত মন্ডলেরা কিন্তু এ নিয়ে খেদ দেখান না। বরঞ্চ বড় হৃদয়ের মানুষের মতই দেশ স্বাধীন করা এই বীরেরা বিনম্র ভাবে বলেন, "সরকারের কাছে আমার কিছুই চাওয়ার নেই। তবে আমার একটি মাত্র চাওয়া তা হল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দেখে যেতে চাই।"

আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে খানিকটা হলেও আমাদের ঘাড়ে চেপে বসা ট্রাজেডির ভার কমাতে চাই। লাখো শহীদের কান্নার জলে ঢের হাবুডুবু, আর না......

৩০/১২/২০১২
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।

তথ্যসূত্র:

মুক্তিযোদ্ধা হরিকান্ত মন্ডল http://www.karatoa.com.bd/details.php?val=81175&pub_no=662&news_type_id=&menu_id=15

গোলাম আযমের মেডিকেল বোর্ড
http://www.prothom-alo.com/home/date/2012-01-12
গোলাম আযমের আচার দাবী
http://www.kalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=28-01-2012&type=gold&data=Football&pub_no=775&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=224464
গোলাম আযমের খাদ্য তালিকা
http://www.kalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=16-01-2012&type=gold&data=Sports&pub_no=763&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&news_id=220926

৭১ এ গোলাম আযমের বিবৃতি
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-11/news/215745


মন্তব্য

সৃষ্টিছাড়া এর ছবি

মন খারাপ চলুক

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

মরুদ্যান এর ছবি

কি কইতাম! মন খারাপ

মূর্তালা রামাত এর ছবি

তাইতো কী আর কইতেন....

মূর্তালা রামাত

হিমু এর ছবি

চলুক

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

রাগিব এর ছবি

"গোলাম আযমের আচার দাবী"

সেকী, এইটা তাহলে মতিকণ্ঠের খবর না!! এইটা যে কালের কণ্ঠের খবর, এবং কোনো রম্য রচনা না, সেইটা আমি এতক্ষণে টের পেলাম!!

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অ.ট.
আপনার নাম দেখলাম ফাঁকিবাজদের দলে।

রাগিব এর ছবি

অট - স্ট্যাটাসায়তনে আমার স্ট্যাটাস দেখুন হাসি

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আপনার স্ট্যাটাসতো খুঁজে পাচ্ছি না!গলো কোথায়?

মূর্তালা রামাত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বহুদূরপথ বহুকোশ দূরে ওনার স্ট্যাটাস। একটু ড্রিল করতে হবে বৈকি।
কিন্তু রাগিব, আপনার হঠাৎ লেপমুড়ির শখের কারণ কি দেশে সাম্প্রতিক ভ্রমণ?

রাগিব এর ছবি

না, আসলে দেশে গিয়ে একটা উপলব্ধি হলো - দেশে বসবাসরত একেবারে বাচ্চা শিশুর বাবা-মা রা বিশাল আরাম আয়েসে থাকে। বিশেষ করে বাবারা। অফিস থেকে ফিরে "আমার চা কৈ" বলে ডাক পাড়তে পারে, বাচ্চা কাঁদলে বা হাগু করে দিলে "ওগো শুনছো, বা আম্মা শুনছেন বা বুয়া শুনছো, যাও তো বাবুকে দেখো" টাইপের হাঁক পেড়েই খালাস। প্রবাসী বাবা মায়েরা বাচ্চার জন্য কী রকম পরিশ্রম করে সেটা দেশের কারো পক্ষে বোঝা দায়, অবশ্য তার অন্য দিকও আছে, প্রবাসে বাবা মায়েরা সন্তানের যতটা কাছে আসে ২৪/৭, দেশে নানী/দাদী বা কাজের লোকের কল্যাণে সেরকম আসা হয় না।

তবে লেপমুড়িটা আসলে ঘুমের প্রতীক হিসাবেই দেয়া।

----------------
গণক মিস্তিরি
জাদুনগর, আম্রিকা
ওয়েবসাইট | শিক্ষক.কম | যন্ত্রগণক.কম

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আমিতো ভাই ফাঁকিবাজই.......দেখি একটা গা ঝাড়া দেয়া যায় নাকী...

মূর্তালা রামাত

ধ্রুবনীল এর ছবি

চলুক

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
গো আজমের জন্য মন উদাস হবার লোকের অভাব দেখিনা চারদিকে, কিন্ত হরিকান্ত মন্ডলেকে অবলীলায় মাফ করো বলতে পারি আমরা।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

সঠিক কথা বলেছেন...

মূর্তালা রামাত

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

মুস্তাফিজ এর ছবি

আমাদের ভাগ্য হরি মন্ডলরা এখনও বলে উঠে নাই "রাজাকার হলেও ভালো ছিলো অন্ততঃ একবেলা খাবার জুটতো"

...........................
Every Picture Tells a Story

মূর্তালা রামাত এর ছবি

এটাই বলা বাকি আছে....

মূর্তালা রামাত

ফাহিম হাসান এর ছবি

লেখা চমৎকার লেগেছে। চলুক

এসব মানবতাবিরোধী জঘন্যতম অপরাধগুলো কিন্তু গোলাম আযমের ইশারাতেই ঘটেছিল

ইশারা একটু মোলায়েম হয়ে গেল। "নির্দেশ/আদেশ" হলে লাগসই হত।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

আমি যেটা বোঝাতে চেয়েছি সেটা হল-আদেশ/নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানী বাহিনী,আর গোলাম আযম তা তামিল করেছে,সে আবার ইশারা করেছে তার চ্যালাদের.....তারপরও আবার ভেবে দেখি....মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এসব বর্ণনা আরো বেশী বেশী আসা দরকার। মুক্তিযুদ্ধের সাথে যাদের পরিবারের কারো কোন সংস্পর্শ ছিলো না তারাই জামাত এবং রাজাকারদের ফাঁদে বেশী পড়ে। এসব লেখা বিশেষ করে তাদেরকে সঠিক পথ দেখাতে কাজের হবে বলে ধারণা করি।

মূর্তালা রামাত এর ছবি

জামাতের সংস্পর্শে আসা মানুষেরা এমন ভাবে ব্রেইন ওয়াশড হয় যে তাদেরকে সঠিক তথ্য দিলেও তারা মানতে চায় না। তারপরও নাড়া দেয়ার চেষ্টা করতে ক্ষতি কী।আমিও আশা করি তারা সঠিক পথে আসুক....

মূর্তালা রামাত

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

চলুক

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

মূর্তালা রামাত এর ছবি

ধন্যবাদ।

মূর্তালা রামাত

মেঘদূত_মেঘ এর ছবি

গুরু গুরু

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

মন খারাপ চলুক

তাপস শর্মা এর ছবি

পড়ে শেষ করতে করতে মনটা ভয়ানক ভাবে বিষিয়ে উঠল......

আর কত

হিমাগ্নি এর ছবি

আমি কয়েকদিন আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারে দেখলাম ঢাবির সাবেক জি.এস, ভাষাসৈনিক গোলাম আযমের মুক্তি চাই - জামায়াত।

আমার প্রশ্ন- এই রাজাকার কি আসলেই জি.এস ছিল??? আর তাকে ভাষাসৈনিক কোন কারণে বলা হচ্ছে??? এবং মুক্তিযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় রাজাকারকে কেন বাঁচিয়ে রাখা হল???

উত্তর গুলো জানা খুব দরকার আমার।

সত্যানন্দ এর ছবি

১। লজ্জাজনক হলেও সত্য যে ডাকসু অনার বোর্ডে আসলেই জি এস গোলাম আজমের নাম আছে... ( কয়েকদিন আগে বঙ্গবন্ধুর বহিষ্কারাদেশ ঢাবি প্রত্যাহার করেছে... ... অবশ্যই ভাল উদ্যোগ) ... ... কৃতকর্ম সাপেক্ষে ডাকসু বোর্ড থেকে এই কলঙ্কিত নাম মুছে ফেলার উদ্যোগ ঢাবি'র নেয়া উচিৎ... ... সেটি ঢাবি'র আরেকটি ভাল উদ্যোগ হবে...

২। ১৯৭১ থেকে ১৯৭৬ গোলাম দেশে আসার সাহস পায় নি... ১৯৭৬ এ কেন পেল সেটি তৎকালীন সরকারকেই জিজ্ঞাসা করা উচিৎ...

৩।তাকে ভাষা সৈনিক বলার রেফারেন্স পাচ্ছি না ... তবে ৭০ দশকে "দৈনিক পূর্বদেশ" এর কোন এক সঙ্খ্যায়** গোলাম স্বীকার করেঃ "ভাষা আন্দোলনে অংশ নেয়া ভুল ছিল"... কাটিং টা কেউ পেলে শেয়ার করেন... ...

** তথ্যসুত্রঃ একাত্তরের ঘাতক দালাল দের বক্তৃতা বিবৃতি/ সাইদুজ্জামান রওশন

তানিম এহসান এর ছবি

শেয়ার দিলাম এই প্রয়োজনীয় পোস্ট। আপনাকে ধন্যবাদ।

বেজন্মাদের জন্য আচার এর সাথে প্রাপ্য বিচার ও আসুক!

অরফিয়াস এর ছবি

দুর্ভাগ্য বহন করে চলেছি আমরা ...

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তৌফিক জোয়ার্দার এর ছবি

প্রথম প্যারাটি পড়ে মনে হচ্ছিল যেন বুকের পাড় ভেঙ্গে নদীর অতলে তলিয়ে যাচ্ছে। শেষবাক্যটি পড়ে মনে হল কেউ হাত বাড়িয়ে অতল জল থেকে টেনে তোলার প্রয়াস নিয়েছে। চলুক

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।