মন পবনের নাও ০৪- সচল পর্ব

নিবিড় এর ছবি
লিখেছেন নিবিড় (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৫/০৬/২০০৯ - ১:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

০০।
সেই অনেককাল আগে আমি যখন সচলের খোঁজ় পেলাম সেই সময়ের কথা। পাঠক হিসেবে নিয়মিত ঘুরাঘুরি করি কিন্তু ভয়ে কিছুই লেখা হয় না। এদিক যাই সেদিক যাই। এর, তার, সাবার লেখা পড়ি কিন্তু ঘুরে ঘুরে একটা জিনিসের বেশি খোঁজ করি। আজকাল অবশ্য সেই জিনিসটার তেমন একটা খোঁজ আর সচলে পাওয়া যায় না, বলা যায় বেশ দূষ্প্রাপ্য সেই জিনিস। ব্যাপারটা হল পাল্টাপাল্টি কমেন্ট। সেইদিন ভাব নিয়ে এক নতুন সচল পাঠক বন্ধু কে বললাম- সেই দিন আর নাই গো দোস্ত। আহা কি সব দিন ছিল তখন সচলে। কমেন্টের পর কমেন্ট। মানুষ জন নাকি কমেন্ট করতে করতে তাদের কমেন্টের কোটা শেষ করে ফেলে। হুমায়ূন আহমেদ বা আল মাহমুদ কে নিয়ে পালটা পালটি কথা চলে, মার্ক্সবাদ কি বিজ্ঞান সেইটা নিয়েও তর্ক চলে। আরেক দিকে জাকাজা ভায়রা ভাই পরিষদ মানুষ জনের পোস্ট ছিনতাইয়ে ব্যস্ত। লীলেন ভাই হীডেন থেকে মাঝে মাঝে ঝাঝা টাইপ কমেন্ট করে আবার গর্তে মুখ লুকান। আজকাল আর সেইদিন নাই। বড় মিস করি সেইসব কমেন্ট আজকাল সচলে।

০১।
মাঝে মাঝে মনের মধ্যে ভাব উঠে, কোন কিছু একটা নিয়ে লিখে ফেলতে ইচ্ছে করে টপাটপ। আর আজকে মনের মধ্যে কেন জানি সচল নিয়ে ভাব উঠেছে। সচলের খোঁজ সম্ভবত আমি প্রথম পাই সচল নিষিদ্ধ হওয়া সম্পরকিত প্রথম আলোতে এক খবরের মাধ্যমে। তার পর অভ্যেস বসত গুগল করতে গিয়ে দেখি না এইটা আসলেই বন্ধ। আর সেই গুগলিং এর মাধ্যমেই সেইদিন খোজ পাই সামহয়্যার ইন এর। ঐটাই আমার দেখা প্রথম বাংলা ব্লগ ছিল। দুয়েক দিন সেইখানে ঘুরাঘুরি করতে করতেই আবার মন দিলাম চ্যাটে, হাই ফাইভ আর ফেসবুক নামক যন্তর মন্তর ঘরে।

এইভাবেই সারাদিন আমার অকাজে যন্তর মন্তর ঘরগুলোতে ঘুরাঘুরি দেখে একজন আমারে বলল- ঐব্যাটা সারাদিন এইভাবে ঘুরাঘুরি না করে এই সাইটটাতে যা। আর এইভাবেই আমার প্রথম সচলে আগমন। এসেই দেখি ধুমান্ধর কান্ড। এসেই প্রথম দেখা পেলাম শালীর সন্ধানে অপহরণ করা এক পোস্টের। বয়সের দোষ, তাই আর ভাল না লেগে পারে নি।

০২।
সচলে আমার প্রথম দেখা অনেকেই আজকাল অনিয়মিত। কাওকে কাওকে হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় ক্ষণিকের জন্য। দুই একজন আবার অজ্ঞাত। এইরকম অজ্ঞাত একজনের লেখা কয়েকদিন ধরে দেখতে ইচ্ছে করছে। আমার দীর্ঘ অতিথি কালীন সময়ে হাফ অতিথি ছিলেন জুলিয়ান সিদ্দিকী। তখন প্রায় নিয়মিত তার লেখা দেখা যেত সচলে, কমেন্টেও নিয়মিত। কিন্তু কি হইতে কি হইল, সচল কর্তৃপক্ষ একটা ভুল করল। তাকে সচল করে দিল। সচল হবার আনন্দে উনি নিজের বাঁশীর সুর শুনিয়ে সেই যে শীত নিদ্রায় গেলেন আর তার দেখা পাওয়া গেল না। কোন কারণ ছাড়াই এত দিন অজ্ঞাত বাসে থাকা আমার দেখা একমাত্র সচল সম্ভবত উনিই। কই গেলেন জুলিয়ান ভাই? আসেন তাড়াতাড়ি, ছাড়েন চটজলদি সব গল্প।

০৩।
আগে লেখকদের সম্পরকে আমার ধারনা ছিল এরা বড় বড় সব লোক। সচলে লেখকরা তার উপর লোকজন সব নীকে লিখে। দেখে বুঝার উপায় নেই কে বিশ আর কে চল্লিশ। এত বড় লোকজনের মাঝে আর যাই হোক লেখার সাহস তো করা যায় না। কিন্তু একদিন এক লেখা পড়তে পড়তে আবিষ্কার করলাম এই লেখার লেখক অবশ্যই আমার বয়সী। সেই লেখারই কিছু মন্তব্য পড়তে গিয়ে আবার আবিষ্কার করলাম নীকের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আর গুটীকয়েক সচল আমার বয়সী এবং এদের অনেকের পরিচিত অনেক বন্ধু বান্ধব আবার আমার পরিচিত। এইবার আমার মনে হল ব্যাপারটা তাইলে খুব একটা কঠিন না, হাজার হইলেও আমার বয়সী তিন-চারটা ছেলে সচল কাঁপিয়ে দিচ্ছে। সেই থেকে শুরু সাহস করার, সচলে লেখা দেবার।

কোথায় জানি পড়েছিলাম বাঙ্গালী মাত্রই জীবনে অন্তত একবার কবিতা লেখার চেষ্টা করে। আর সেই কথাটা কে সত্য প্রমাণ করার জন্যই সচলে আমার প্রথম দুই পোস্ট ছিল কবিতা। মাত্রারিক্ত আবেগে বেসামাল হয়ে লিখা সেই দুইখানা কবিতা দেখলে এখনো নিজের কাছে নিজের লজ্জা লাগে। কিন্তু ঘ্যাচাং করতেও মায়া লাগে। হাজার হইলেও সচলে দেওয়া প্রথম দুই পোস্ট। এরপর অবশ্য সবি গল্প, অণু এবং ছোট।

সচলে অতিথি হিসেবে লেখা জমা দেবার সময় গুলো ছিল দারুন উত্তেজনার। সাধারণত সন্ধ্যা সাতটার দিকে মডুদের কাছে লেখা জমা দিতাম, নিয়ম করে সাপ্তাহে একটা। জমা দেবার পর সে কি উত্তেজনা। হায় মডুরা কি লেখা ছাড়বে নাকি ঘ্যাচাং করবে? ছাড়লেও লোকজন কি সেই গল্প পড়বে? উত্তেজনায় সন্ধ্যা সাতটা থেকে চা আর সিগেরেটের ধোয়ায় রূম অন্ধকার করে দিতাম।

লেখা নীড়পাতাতে আসলেও আরেক উত্তেজনা। কিছুক্ষণ পরপর পাতা রিফ্রেশ কর আর দেখ নতুন কতজন লেখাটা পড়ল, নতুন কেও মন্তব্য করল কিনা। লেখা একশ জন পড়লেই রূম আবার অন্ধকার করে দাও। আহা সেই সব উত্তেজনার কোন তুলনা হয় না। অতিথি লেখক হিসেবে সচলে আমার কাছে সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল সেইসব রূম অন্ধকার করে দেওয়া উত্তেজনার স্মৃতি।

০৪।
সচলে উপরে আজকাল একটা লেখা দেখা যায়- সচলের যে তিনটি পোস্ট আপনাকে সবচেয়ে বেশী প্রভাবিত করেছে তা মেইল করে জানান। এই তিন পোস্টের খোজে গত কিছুদিন ধরে সচলের পুরান অনেক পোস্ট আবার পড়া হচ্ছে। পড়তে পড়তে মনে হল সিরিজ লেখকরা সচলের সবচেয় বড় খেলাপী। তবে এইসব খেলাপী সিরিজের মাঝে কিছু সিরিজ আবার চালু করা দরকার। সচল তুলিরেখার একটা সিরিজ ছিল সচলচারণ। সচলের লেখা নিয়ে উনি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে আনছিলেন সিরিজটাতে। আমার কাছে বেশ লাগছিল কিন্তু আট নাম্বারের পর আর দেখা গেল না সেই সিরিজ। যদিও সেইখানে সবার শেষে লেখা ছিল চলবে। সচলে আমার আরেকটা প্রিয় কিন্তু অসমাপ্ত সিরিজ ছিল কথাকলি। সেই চার খলিফার গল্প কিংবা কচ্ছপের গল্প। নাহ লীলেন ভাই আর মানুষ হইল না, সিরিজটা আর শেষ করল না।

০০।
গত কয়েকদিন আগে ফেসবুক নামক যন্তর মন্তর ঘরে এনকিদু ভাইয়ের ফিসফিসানি থেকে জানা গেল কিছু একটা হচ্ছে। তারপর আবার পান্থ ভাইয়ের মেসেজে জানা গেল এই গরমে উনি নাকি আর ঘরে থাকতে পারছেন না তাই চলছেন চারুকলা। বুঝলাম সচলাড্ডা আসছে কিন্তু আফসোস আমি তখন চট্টগ্রামে বসে বসে ঘাস কাটি। নাহ মিস হয়ে গেল, আরেকটা সচলাড্ডা মিস হয়ে গেল।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- সচলাড্ডা মিস হয় নাই মিয়া। আরে আড্ডাবাজ পাবলিক হইলো সব জর্মন দেশে। এরা দেশে না গেলে কীসের আড্ডা? যেগুলো হয় ওগুলা কেবলই ফলরমাটিজ, বুঝলেন, ফরমালিটিজ। জর্মন দেশের পাবলিকেরা যখন লাইন ধরে ঢাকায় গিয়ে হাজির হবে তখন বুঝবেন আড্ডা কী জিনিষ আর খাওয়া কারে কয়! স্পন্সর যোগাড় করেন জলদি। এক-আধ জনের পক্ষে সেই খাবার সাপ্লাই দেয়া কোনোমতেই সম্ভব না। আর হ্যাঁ, ফকরুদ্দীন বাবুর্চীরে আগেই বুকিং দিয়া রাইখেন। দিনভর খালি তিনি চুলাই ঠেলবেন।

জুলিয়াস সিজার আসলেই গেলো কৈ? বড় কাছের মানুষ ছিলেন তিনি।

পাল্টা পাল্টা জারী গানের মতো পাল্টা পাল্টা কমেণ্টের দিনও বুঝি শেষ। লেফট উইং না থাকলে রাইট উইং এ একলা অ্যাটাকে যাওয়া যায়? আর তাছাড়া, ইদানিং সচলে যে রামধনু মডুগণের উৎপত্তি দেখা দিছে। কমেণ্ট কমেণ্ট খেললে পিডাইয়া হইলদা বানায়া ছাইড়া দিবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

এইটাই ভ্যাজাল। আমিও তো রাইট উইং। বড় ভাই লেফট উইং না হইলেও এট্টু মাঝের দিকে যান পারলে। নাইলে আমিই কইলাম ম্যারাডোনা হয়া যামু!

(জুলিয়ান সিদ্দিকীকে আমিও খুব খুঁজি মনে মনে)

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আরে মাঝের দিকে ক্যামনে যামু? ঐখানে তো গাদাগাদি অবস্থা। জাগা লৈয়া ঠ্যালাঠেলি! মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

হ... পাবলিক মনে করে বয়স হইলেই ভালো মিডফিল্ডার হওয়া যায়। আরে মাঝমাঠে ভালো খেলার জন্য যেই উদ্দম আর সৃজনশীলতা লাগে তা কি বেশি বয়সে মানুষের মধ্যে থাকে? সবাই খালি উপরে খেলতে যায়। কেউ বুঝে না, একটু পরপর তো উলটা দিকের স্ট্রাইকাররা আমাদের ডিফেন্সেই আসে। দেঁতো হাসি

নিবিড় এর ছবি

রাইট উইং লেফট উইং দিয়ে ছারখার করে দেন দেঁতো হাসি ব্যাক নিয়ে টেনশন কইরেন না আমরা তো আছিই হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

জনম ভর এটাই করলাম। উপরে-নিচে টানা দৌঁড়াই। কেউ বেমক্কা শট মারলে শরীর দিয়ে ঠেকাই, বিপজ্জনক খেলোয়াড়দের গার্ড দিয়ে রাখি। ঐ দিকে বানায় দেওয়া বাঁকানো ক্রসগুলায় টোকা মেরে গোল করে অন্য লোকে। মন খারাপ

নিবিড় এর ছবি

আরে আরেকজন পাওয়া গেল জনম ভর ব্যাক দেঁতো হাসি আসলেই মানুষ ব্যাকের কোন পাত্তা দেয় না, আটকাইতে পারলে ভাল আর না পারলে গালি মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

স্বপ্নাহত এর ছবি

দুনিয়া জুড়া এত জায়গা থাকতে আমার রাইট উইং নিয়াই সবাই খালি টানাটানি করে মন খারাপ

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ডান পায়ে খেলি যে, তাই। মন খারাপ তবে রাইট উইং-এর ভিড় এবং লেফট উইং-এর দুর্বলতা ঢাকতে ওদিকেও খেলি মাঝে মাঝে। সমস্যা হল, বাম পায়ের লিগামেন্টে ব্যাথায় আমিও এখন মামুনিত।

স্বপ্নাহত এর ছবি

আমার বাম পা টাও তেমন একটা জুইতের না। মাঝে মাঝে প্লেয়ার শর্ট পড়লে লেফট উইং এ খেলি। কিন্তু তাছাড়া জন্মানোর পর থেকেই রাইট উইং এ ঘাঁটি গাড়সি খাইছে

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মামুন হক এর ছবি

হায় ইশতি তুই এমন জায়গাতেই খোঁচা দিলিরে ভাই, আমি এই ৩৪ বছর বয়সে অর্ধপঙ্গু হয়ে ঘরে বসা, ৩৫ হবার আগেই আবার মাঠে নামতে চাই, কিন্তু খেলি তো সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে, এই বয়সে পারব কী না...ভালোই চিন্তায় পড়ে গেলাম!

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ভয় নাই। নামেন, খেলেন। সবাইরেই যখন সাইড দেই, আপনারেও দিলাম! আপনি খালি কয়েকটা ওয়ান-টু করে ডি-বক্সে যাইয়েন গিয়ে। আমি কিছুক্ষণ সাইডলাইনের ধারে ডিফেন্ডারদের নিয়ে তিড়িং-বিড়িং করলে অধৈর্য হইয়েন না। বল আসবেই আসবে। চোখ টিপি

দ্রোহী এর ছবি

আসলেই, জুলিয়াস সীজার গেল কই? নিবিড় ও দেখি পূর্ণ সচল হয়ে গেলেন!

একগাদা অভিনন্দন ও শুভকামান

... [অতিথি] এর ছবি

ইয়ে নিবিড় ভাইতো মনে হয় পুরানা সচল!

তবে, অধিকন্তু ন দোষায়। হাসি

নিবিড় এর ছবি

দ্রোহী ভাই কামান কার উদ্দেশ্যে দাগাইলেন অ্যাঁ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অনীক আন্দালিব এর ছবি

সচলে লেখা দেয়ার পরবর্তী উদ্বেগের সাথে আমিও পরিচিত। এখানে খুব ভালো রিলেট করতে পারলাম।
পুরনো সচলদের লেখা পড়ছি একটু একটু করে, তবে সিরিজগুলো আমি অসমাপ্ত পাঠের ভয়ে ঢুকিই না। একটা গল্প বা দিনলিপি অসমাপ্ত হলে পড়তে খুব খারাপ লাগে। শেষটা জানা হলো না বলে আক্ষেপ থেকে যায়। এজন্য পড়ি না।

তবে আপনার এই সিরিজটা ফলো করবো। মাঝখান দিয়ে বন্ধ কইরেন না।

নিবিড় এর ছবি

আমি আবার সব পড়ি, সমাপ্ত কিংবা অসমাপ্ত। এইখানে অবশ্য আর কয়েক সচল বান্দার নাম দেওয়া যেত কিন্তু আমার মনে হয় তাদের কাছ থেকে আর তাদের অসমাপ্ত সিরিজ শেষ করান সম্ভব না।

শীতনিদ্রার সময় ছাড়া সিরিজ টা চালাতে চেষ্টা করব হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অনীক আন্দালিব এর ছবি

শীতনিদ্রার সময় কোনটা? কয় মাস? ইয়ে, মানে...

নিবিড় এর ছবি

শীতনিদ্রা মন মেজাজ নামক বস্তু খানির উপর নির্ভরশীল ইয়ে, মানে...


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সবার মতো হয় বয়স হয়েছে। আর কত মাঝমাঠ আগলিয়ে রাখবে! চোখ টিপি

নিবিড় এর ছবি

হুম বড় ভাই আর কত কাল মাঝমাঠ থেকে মানুষের জন্য গোল বানাবেন এইবার নিজেই একটা গোল দেন না চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

অভিনন্দন ।

জুলিয়ান সিদ্দিকীকে মিস করি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নিবিড় এর ছবি

এই সকাল বেলা শুধু শুধু অভিনন্দন দেওয়ার জন্য আপনারে অভিনন্দন মানিক ভাই হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

একেই বলে - যায় দিন ভালো আসে দিন খারাপ মন খারাপ

সচলে অনেকের পোস্ট ভীষণ মিস করি। জুলিয়ান সিদ্দিকী তাদের মধ্যে অন্যতম। কোথায় হারালেন তিনি ????

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নিবিড় এর ছবি

মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

এর্পর্থেইক্যা ঘাস কাটতে আশেপাশে কোথাও যাইও, চিটাগাং গেলেগা কেম্নে কী?!

সচলে অতিথি হিসেবে লেখা জমা দেয়ার এবং তার পরের উত্তেজনাগুলো আসোলেই অন্যরকম ছিল, সেই গল্প আর নির্দিষ্ট ক'রে না বাড়াই, অনেকেরই মোটামুটি একইরকম হওয়ার কথা সেই উত্তেজনার পারদমান!

তুমিও কিন্তু অনেক অনিয়মিত হয়ে গেলা!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নিবিড় এর ছবি

চট্টগ্রামের ঘাস পুষ্টি মানে বিশেষ ভাবে উপকারী তাই মাঝে মাঝে যাইতে হয়।

সাইফুল ভাই আমি আর আপনে কিন্তু একই দিনে হাফ সচল হইছিলাম, মনে আছে??

আমি কিন্তু প্রায় সময় অফলাইন হয়ে বসে থাকি হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হ্যাঁ, সেইটা বেশ মনে আছে। হাসি
তবে, অফলাইন হয়ে যে ব'সে থাকো এই ঘাটে, তাতেই বা কী উপকার পাও বইলো তো!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

নিবিড় এর ছবি

সবার উপর গোপন নজরদারি করি চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

অ্যাঁ
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ব্লগেই মেজাজই বুঝি এমন, দ্রুত সব স্মৃতি হয়ে যায়। কেউ আসে, কেউ যায়...

লেখা ভাল্লাগছে...

নিবিড় এর ছবি

ব্লগ জগতটা আসলে এত দ্রুত যায় যে এক সাপ্তাহ না থাকলে মনে হয় কতদিন ধরে নাই।
ভাল লাগছে জেনে ভাল লাগল হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

স্বপ্নাহত এর ছবি

তুই এখন চট্টগ্রাম এ?

ভালোবাসার প্রথম দিককার স্মৃতিগুলা সবসময়ই অন্যরকম হয়। সেইটা বুঝতে হবে। বুঝে ইজি থাকতে হবে এবং বর্তমান নিয়া বিজি থাকতে হবে। চোখ টিপি

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নিবিড় এর ছবি

নাহ ফেরত আসছি দিন দুয়েক হইল।

ব্যাপার কি জিহাদ ভাই আপনে সব জায়গায় ইদানিং ভালবাসা নামক বস্তু নিয়ে নাড়াচাড়ায় ব্যস্ত মনে হয় চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

মামুন হক এর ছবি

আহ নিবিড় ভাই একেবারে আমার মনের কথাগুলো বলে দিলেন।
যদিও মাঝমাঠে আছি, মাঝমাঠ থেকেই বিদায় নেয়ার ইচ্ছা হাসি

নিবিড় এর ছবি

আপনার ইচ্ছে যেন পূরণ হয় হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

আকতার আহমেদ এর ছবি

পইড়া নষ্টালজিক-কষ্টালজিক দুইটাই হইলাম!

নিবিড় এর ছবি

আকতার ভাই আপ্নেও কিন্তু খেলাপী সচল হাসি তাড়াতাড়ি কিছু গুল্লি ছাড়েন


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

বিপ্লব রহমান এর ছবি

লেখাটি সচলের প্রতি আপনার তীব্র ভালবাসায় ভরা @ নিবিড় চলুক

সচলের শুরুতে অতিথি হিসেবে লেখার সুযোগ আমাদের ছিলো না; সেই সময় আমরা অচলরা শুধু মন্তব্য করতে পারতাম। ...আপনি অনেক পুরনো কথা মনে করিয়ে দিলেন!

এখনও যাদের মিস করি, তাদের মধ্যে অমি রহমান পিয়াল, আরিফ জেবতিক, অমিত আহমেদ, অভিজিৎ, দিগন্ত -- প্রমুখ অন্যতম। মন খারাপ


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

নিবিড় এর ছবি

আমিও মিস করি উনাদের মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

রায়হান আবীর এর ছবি

উত্তেজনায় সন্ধ্যা সাতটা থেকে চা আর সিগেরেটের ধোয়ায় রূম অন্ধকার করে দিতাম।

পোলাডা এমুন মিথ্যুক। হুদাই কী আর তোর নাম "চাপাবাজ" ?

নিবিড় এর ছবি

আমার মানসম্মান হানির উদ্দেশ্যে মিথ্যা কথা ছড়ানোর জন্য রায়হান আবীরের প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি রেগে টং ঘুড্ডি ধরতে গেলে মাঝে মাঝে মিথ্যা বলতে হয় কি বলেন ভাইজান চোখ টিপি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

শিক্ষানবিস এর ছবি

অতিথি জীবনের তুলনা হয় না, সে কী উত্তেজনা ছিল!
অনেকের লেখা এখন মিস করি।

নিবিড় এর ছবি

আহা সেই সব উত্তেজনা। তুমিও কিন্তু সচলে মাঝারি ধরনের খেলাপী, বালক।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সিরাত এর ছবি

মজা লাগছে! পাঁচ।

তুলিরেখার ওই সিরিজটার লিংক দেন না! পড়তে ইচ্ছা হচ্ছে।

আচ্ছা, আর এই মিথটা কি, যে সচল হইলেই শীতনিদ্রায় যায়? লোকজন কি ব্যাক্কল নাকি? সচল হইলেই না লিখতে মজা! সাট-সাট করে লিখা, কমেন্ট, স্টারানো!

ওহ, আরেকটা জিনিস, সচলের স্টারের স্কেলটা খুবই পজিটিভলি বায়াসড। এমনকি ২-ও তো 'ভালই' স্কোর, ৩ মানে 'ভালো'! ২ বা ৫, সবই ভালা! বুঝি না কোনটা দিমু। এবার ৫ (মানে অসাধারণ), পরের বার ২ (মানে ভাল)। এ ব্যাপারে জনগন কি বলেন?

নিবিড় এর ছবি

মজা পাইছেন শুনে ভাল লাগল।
তুলিরেখার সেই সিরিজের কয়েকটা এই পাতায় পাবেন বাকী গুলো এইখানের লিংক ধরে গেলেই পেয়ে যাবেন
http://www.sachalayatan.com/tuli1?page=6


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ব্লগানোটা আমার কাছে ডায়রী লেখার মতই লাগে...পার্থক্য এইযে অনেকে তা পড়ে...অবশ্য আমি আবজাব লেখি... [আমি বোধহয় সাধারন বাঙ্গালীও নই...কবিতা লেখার সাহস করিইনি কখনও... ] স্বভাবগত ভাবেই আমি মানুষটা সারাক্ষণ ফাজলামীই করি... তাই আমার আবোল-তাবোল গুলো মানুষজন মাঝে মাঝে পড়ে... আর আমি পোস্ট গুলোও দেই অদ্ভূত সময়ে, হয় ভর দুপুরে নাহলে গভীর রাতে...যখন আমার পরিচিত কেউই থাকেনা অনলাইনে... তাই আমার ভাল লাগে তখনই যখন আজব সময়ে করা আবজাব গুলোও কেউ কেউ পড়ে... আমার ব্লগিং শুরু সামহোয়ারে, ব্লগস্পটেও আছি... সচলে বহু আগে একাউন্ট ছিল যার usernameটাও মনে নাই... কথা বলতে ভালবাসি, আর কথা বলার মানুষ পাইনা দেখে এখন টাইপ করি সারাদিন... নাহলে গান ছেড়ে গাই-নাচি-কাঁদি... যখন যা খুশি...

খুব ভাল লাগল লেখাটা পড়ে... লিখুন, আরও লিখুন... আপনারাইতো লিখবেন, আমার দিনপঞ্জীর বয়েস প্রথম পাতায় থাকা পর্যন্তই, বেঁচে থাকবে আপনাদের লেখাই... আগে আফসোস হত, কিচ্ছু পারিনা বলে... এখন আর হয়না... কাউকেতো অন্তত হাসাতে পারি... এটুকুতো ক্ষমতা আছে... এই কি বেশি নয়?

--------------------------------------------------
একটি কথার দ্বিধাথরথর চূড়ে ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী...

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সিরাত এর ছবি

বাহ! এই মন্তব্যটার সাথে আমার নিজের ব্লগিং-এর উদ্দেশ্যও মিলে যায়! আমিও অনেকটা ওরকম পথই অনুসরন করেছি। হাসি

নিবিড় এর ছবি

হে দুষ্ট বালিকা, লিখবেন মনের আনন্দে। কে পড়ল আর না পড়ল সেইটা তো আর পরের ব্যাপার। যখন কোন কিছু একটা লিখে শেষ করি তখন কেমন জানি একটা শান্তি লাগে, মনে হয় আরে আমিও তো লিখতে পারি। আমার কাছে এই অনুভূতিটার স্বাদ অসাধারণ। অনেকদিন কিছু না লিখলে খালি এই অনুভূতির জন্যই ফিরে আসতে হয় সচলে।

নাহ আপনার নীক দুষ্ট বালিকা কিন্তু আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে আপনি বড়ই গম্ভীর লোক দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

অনেক আগের কথা! ২০০৮/০৯ পুরাটাই তো বোধহয় দেখে দেখেই কাটালাম। সময় আসলেই কত দ্রুত যায়!

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নিবিড় এর ছবি

হুম


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তীরন্দাজ এর ছবি

খুব ভাল লাগল সচল নিয়ে আপনার ভাবনাগুলো।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

নিবিড় এর ছবি

পড়ার জন্য ধন্যবাদ তীরুদা


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আসলেই খুব মিস করি। মন খারাপ লেখা ভালো লাগলো দোস্ত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নিবিড় এর ছবি

আহা কি সব দিন ছিল মন খারাপ


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আগে পাল্টাপাল্টি কমেন্টের প্রতিযোগিতা হইতো। ধূগো দ্রোহী জুটির কোনো তুলনা নাই।
কমেন্টের সিঁড়ি ডানপাশের দেয়াল ভেঙ্গে বের হয়ে যেতো, তবু কমেন্ট থামতো না।

হ... সেই দিন আর নাই... মন খারাপ
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হুমম
সেই দিনগুলো মিস্করি... মন খারাপ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

লীন এর ছবি

লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আমাদের এই সচলায়তন পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো। দেঁতো হাসি

______________________________________
চোখ যে মনের কথা বলে, চোখ মেরেছি তাই
তোমার চোখের শূল হয়েছি, এখন ক্ষমা চাই

______________________________________
লীন

নিবিড় এর ছবি

চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

তুলিরেখা এর ছবি

নিবিড়,
আমি কিন্তু আবার শুরু করে দিয়েছি সিরিজটা। এইবারে বাকী খেলাপীদের ও খেলায় আসতে বলুন। হাসি
বলবেন, "আহা, ভালো ছেলে না তোমরা? এই দ্যাখো তোমাদের আপামণি কেমন সিরিজ চালিয়ে দিয়েছে, তোমরা না গুড বয়? তোমাদের লেখাগুলো কই? "
হাসি

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

নিবিড় এর ছবি

খেলাপীরা তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে হাসি আজকে রণদার পোস্ট ছিনতাইয়ের শিকার


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আগেকার সচলায়তন আমিও মিস করি অনেক। কী দিনগুলাই না ছিল! ধীরে ধীরে অনেক পরিবর্তন আসছে। আরো আসবে। এইটাই স্বাভাবিক। জুলিয়ান সিদ্দিকীকে আমিও খুঁজি। যাই হোক, লেখাটা ভাল্লাগছে।

কিন্তু তুমি মিয়া সিগারেট খাও নাকি! জানতাম না তো!

তানবীরা এর ছবি

ব্যস্ততায় আসা হয় না, খুব মিস করি এই পোষ্টগুলোকে
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।