এমনি এক সময়ে ভারতের টিভি চ্যানেল দূরদর্শন আগরতলাতে একটা সম্প্রচার কেন্দ্র স্থাপনা করলেন। তাঁদের উদ্দেশ্য নিশ্চয় ছিল আগরতলার মানুষের কাছে ভারতমাতার বাণী পৌঁছানো। সমস্যা হচ্ছে আকাশবাণী সবদিকেই ডানা মেলে - সেই দূরের দর্শন ঢাকা শহর পর্যন্ত অনায়াসে পৌঁছে গেল। বিনাপয়সার বিটিভি ছাড়াও আরেকটা টিভি চ্যানেল দেখা যাচ্ছে - এই খবরে সবাই উত্তেজিত হয়ে পড়ল।
ঢাকা শহরের মানুষ হুজুগে বিশ্বাস করে। বাসার এন্টেনা উঁচু করলে দূরদর্শন দেখা যাবে, এই ভাবনায় এন্টেনাগুলো সব আকাশমুখি হলো। সেই সঙ্গে এন্টেনার সাথে এলুমিনিয়ামের থালা-বাটি জুড়ে দেওয়া হলো। ঢাকা শহরের আকাশ জুড়ে শুধু থালা আর বাটি। এই ডিশ এন্টেনার আবিষ্কর্তা হিসাবে ঢাকা শহরের মানুষের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকা উচিত। আমরাও বাসায় ছাদের এন্টেনা বাঁশের মাথায় উঠালাম – ওটার সঙ্গে তরকারির একটা অব্যবহৃত থালা লাগিয়ে দেওয়া হলো। এরপরেই বিজ্ঞানের তেলেসমাতিতে সুদূর আগরতলা থেকে আগত বিদুৎচুম্বকীয় তরঙ্গ ধরা পড়লা আমাদের টিভির পর্দায়। প্রবাদ ছিল – কোথায় আগরতলা আর কোথায় চৌকির তলা - কিন্তু বিজ্ঞান সবকিছুর তলাকেই হাতের কাছে এনে দিয়েছে। আমরা এই প্রথমবারের মতো দেশি টিভি বাদ দিয়ে বিজাতীয় ভাষার অনুষ্ঠান দেখতে লাগলাম।
শুরুতেই দেখা গেল ডাবর আমলা কেশ তেল কোম্পানি নায়িকা পুনম ধীলনের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। পুনমজীকে জিজ্ঞেস করা হলো তাঁর দীঘল কালো আর লম্বা “হিন্দি কেশের” রহস্য কি? পুনমজীও হাস্যজ্জ্বল মুখে ওনার “বালের” যত্নে ডাবর কেশ তেলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বর্ণনা করছেন। বিজ্ঞাপনের বিষয়বস্তুই হচ্ছে এটা - “বালের” রক্ষণাবেক্ষণের পুরোটাই আমলা কেশ তেলের হাতে থাকা উচিত। ওদিকে হাজার মাইল দূরে আমরা এই বিজ্ঞাপন দেখে হাসতে হাসতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছি। একদেশের বুলি যে অন্যদেশের গালি হতে পারে সেটার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দেশ থেকে এক পা না ফেলেই টের পেয়ে গেলাম।
মার্কিনদেশের অফিস রুমে বসে ঢাকায় ফোনালাপ করছি। আলাপ শেষে সহকর্মী ক্রিস জিজ্ঞেস করল কথার মধ্যে এতোগুলো “ফাক” ব্যবহারের কারণটা কি, আমাকে দেখে তো একদমই অসন্তুষ্ট মনে হচ্ছে না। বাংলায় শব্দটা হচ্ছে ফাঁক, কিন্তু আমরা সূর্যবংশের সন্তান, চন্দ্রবিন্দুর ধার ধারি না। ক্রিস নিজেও চার অক্ষরের ওই ইংরেজি শব্দ ব্যবহারে পারঙ্গম। আমি জানালাম যে এটা বাংলাভাষার “ফাক”।
“তোমার ভাষায় ফাক শব্দের মানে কি?” ক্রিসের নির্দোষ জিজ্ঞাসা।
আমি চিন্তাভাবনা করে বেশ কিছু প্রয়োগ জানালাম। সদ্য লব্ধ জ্ঞান থেকে ক্রিস একটা যুতসই ব্যবহারিক প্রয়োগ বের করলো।
আচ্ছা তোমাদের শহরের বাসে উঠে আমি কোনো মেয়ের সিটের পাশের সামান্য ফাঁকা জায়গাতে বসার জন্য নিশ্চয় অনুরোধ করতে পারি এই বলে...ক্যান গেট অ্যা ফাক?
ক্রিস এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশে যায় নি, তবে অদূর ভবিষ্যতের যদি ঢাকা শহরের বাসে কোনো মোটাসোটা সাদা লোককে আচ্ছামতো ধোলাই দিতে দেখেন তবে সেই ঘটনাটা এই ব্লগের মন্তব্যের খাতায় লিখে দিতে ভুলবেন না।
এই ধরণের ঘটনা বিরল নয়। টেক্সাস টেকে নতুন আসার পরে সহপাঠী এক মেয়ের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম তার কাছে রাবার আছে নাকি। এই দেশে কন্ডোমের ডাকনাম রাবার জানা স্বত্ত্বেও এই ভুলটা প্রায় অনিবার্য। সারাজীবন পেনসিলের দাগ রাবার দিয়ে মুছে দিয়েছি। সেই রাবার দিয়ে এই দেশের লোক অন্য কর্ম সম্পাদন করলে সেই দোষটা কি আমাকে দেওয়া উচিত? এতো বছর পরে সেই চেনা বন্ধুর নামটা পাল্টে দেব এমন করে?
মেয়েটা প্রথমে একটু ক্ষুব্ধ হলেও দ্রুত সামলে নিয়েছিল, নইলে ঢাকার বাসে ক্রিসের যেই অবস্থা হবে বলে আমি আশংকা করছি ঠিক একই পরিণতি আমার নিজেরও হতে পারতো। কিন্তু সেই সহৃদয় রমণী আমাকে রাবারের বদলে ইরেজার দিয়ে ধন্য করেছিল।
ভাষা বিভ্রাট শুধুই অনিচ্ছাকৃত তাও নয়। কখনো-সখনো এটার উপর কারও হাত থাকে না। বছর দুয়েক আগে শোনা গেল যে সামান্য পয়সাতেই বাংলাদেশে দিনরাত কথা বলার অফার নিয়ে এসেছে একটা ফোন কোম্পানী। জাতিগতভাবেই আমরা যেহেতু হুজুগে বিশ্বাস করি সেহেতু দলে দলে লোক সেই ফোন সার্ভিস নিয়েছিল। কিন্তু কোম্পানিটা একটা অসাধুতা করেছিল, “আনলিমিটেড” বলতে ওরা কয়েক হাজার মিনিট বা সেই রকম কিছু বুঝিয়েছিল। এই খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো ওরা যথাসম্ভব ছোট হরফে লিখেছিল – এই কারণে বঙ্গবাসী মানুষজনের নজর এড়িয়ে গিয়েছিল ব্যাপারটা।
ব্যাপারটা জানার পরে বাংলাদেশিরা যথারীতিই ক্ষুব্ধ হলেন। এই নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলো। দুঃখের বিষয় ফোন কোম্পানিটার নাম ছিল লিঙ্গ। তাই এই সংক্রান্ত আলোচনাগুলো একটু ইয়ে মনে হতে পারে...
“আরে ভাই আপনার ভাবিই ওই লিঙ্গ ব্যবহার করত – মাসের শেষে বিল দেখে তো মেজাজ একদম চরমে...লিঙ্গ কেটে দিয়েছি বুঝলেন...”
সংক্ষুব্ধ মানুষেরা আর দেরি করেননি, সবাই যেমন দলবেঁধে নিয়েছিলেন ঠিক তেমনি একইভাবে ওটা কর্তন করলেন। এরপরে বন্ধু-বান্ধবদের দেখলে জিজ্ঞেস করতাম...
“দোস্ত লিঙ্গ আছে না কেটে ফেলেছিস?”
ইউরোপে দেখেছি ভোডাফোন নামে একটা কোম্পানি আছে। বাংলাদেশের কোথাও ওদের শাখা নেই বলেই জানি - কেন নেই সেটা অনুমান করতে একটুও কষ্টও হয় না। ওই নাম নিয়ে আমাদের দেশে ব্যবসায় নামতে অনেক হিম্মত লাগবে বলে মনে হয়।
এই জন্যই আমি ঠিক করেছি যদি কোনোদিন ব্যবসা করি তবে প্রতিষ্ঠানের নাম নিয়ে প্রায় এক বছর গবেষণা চালাবো। বিজনেজ মডেল-টডেল হচ্ছে পরের ব্যাপার আগে দেখতে হবে নিজের অজান্তেই সেমসাইড গোল দিয়ে ফেলেছি নাকি।
সুতরাং সচলের ভাষায়...খুউউউব খিয়াল কইরা...বুঝলেন তো?
মন্তব্য
রাবার আমিও চেয়েছিলাম তবে ছেলের কাছে, তেমন সমস্যা হয়নাই। আর এই খবর আপনার জন্য।
দারুণ এই খবরটার জন্য ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
জবাব নেই
পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।
এখনও মনে আছে দূরদর্শনের সেই বিজ্ঞাপন: "সোয়াস্থ্...তন্দুরাস্ত্ বাল পানেকা রাজ ডাবর আমলা তেল"...
"সুস্থ সবল বাল পাওয়ার রহস্য ডাবর..."
পোস্ট চরম ব্লকবাস্টার হয়েছে
ধন্যবাদ উচ্ছলা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ মিলু।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আরও কিছু এমন ঘটনা বাহির করুন আপনের ঝুলি থেকে
facebook
ধন্যবাদ অণু...ক্রমশ প্রকাশিতব্য...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
... জটিল।
দেখে ভালো লাগলো ভাষা নিয়ে আমি একাই চিন্তা ভাবনা করি না, অন্যরাও করে ...
অবশ্য সবাইকে জ্ঞান দিয়ে পরে বার বার খালি নিজেই ধরা খাই এই ভাষা নিয়ে। কয়দিন আগে বিশাল গ্রুপ নিয়ে San Antonio ঘুরতে গেলাম। আমার এক বন্ধু ভয়াবহ নাক ডাকে বলে, আমি অন্যজনকে Booking দিলাম রাতে একসাথে ঘুমানোর জন্য। ভুলটা খালি করেছি সবার সামনে খালি বলেছিলাম, ওই আমি তোমাকে Book দিলাম আগে। এরপরে শুরু হয়ে গেলো আমার স্ত্রী এবং তার সখীদের কাছ থেকে অ্যাডাম টিজিং। কাকে বুক দিছি, কতক্ষণের জন্য বুক দিছি, ওপেন বুক দিছি নাকি ক্লোজ বুক দিছি ইত্যাদি ইত্যাদি ...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই,
পুরা
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনিম ভাই চরম , আপনার লেখা পড়ে মন ভাল হয়ে গেল। একটা ঘটনা যোগ না করে পারলাম না, আমার এক জানের দোস্ত পড়ত মেডিক্যালে। ঐ ব্যাটার কোন এক প্রফের আগে আগে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম পড়াশোনা কেমন হচ্ছে, ব্যাটা ফট করে বল্ল োনা এখনো পড়াই আছে তয় দাঁড় করানোর জোর চেষ্টা চলতেছে খিক খিক খিক।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাসতে হাসতে পাঁচবার বিষম খেলাম...কিছুদিনের মধ্যেই শীর্ষেন্দূকে রেখে আপনাকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে হবে ভাবছি!
অনেক ধন্যবাদ দিগন্ত।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
এইরকম কিছু একটা লিখেছিলাম এইখানকার (কানাডা) অভিজ্ঞতা থেকে।
এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
।ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট।
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।
তোমার পুরানো লেখাটা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হা হা হা।
ভাষা নিয়ে কাশাকাশির আশা থাকলে এটা দেখে হাসা যেতে পারে!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমার এমন অভিজ্ঞতা হ্য়নি এখনো। আরো লিখুন
অ,টঃ ভাই, সূর্যবংশ নিয়ে জান্তে আগ্রহি হলাম, কোনো লিংক কি শেয়ার করতে পারবেন? ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ শাফি।
চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে জানিনা, সেই অর্থে সূর্য বংশ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লেখাটা খুবি মজার হয়েছে ,
ধন্যবাদ নাসাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাইয়ের পোস্ট, অটো শেয়ার। এবার পড়া শুরু করি....
লিঙ্গ যদি বেশ তালবেতাল করে, তাহলে কেটে ফেলাই দস্তুর, কি বলেন। আরেকটা ব্যাপার, ভোডাফোন দেশে আসলে সমস্যা কি, দেশের লোকেরাতো আংরেজি 'D' কে বাংলা 'ড' এর উচ্চারণেই সাধারণত পড়ে, 'দ' নয়।
ভোডাফোনের তৈরি মোডেম কিনেছিলাম - দেখলাম "ড"কে বেশ নরম ভাবেই বলছে লোকজন।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ইদানিং একরকম বাধ্য হয়ে ছেলের সঙ্গে বসে কার্টুন নেটওয়ার্ক দেখি। সেখানে একটা বিজ্ঞাপন যতবার দেখি ততবার হাসি -'বাল আন্দার স্ট্রং বাহার লং',এখনো হাসিই পাচ্ছে হি হি...।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি তো ভয়েই থাকি কখন কি না বুইঝাই বলে ফেলি! অনেক দিন আগে কাঁঠালের ইংরেজি নাম বলছিলাম "শিংওয়ালা"। আমার এক ক্লাসমেট খুব স্টাইল করে উচ্চারন করে (আরজে তো)... রোল কলে রেসপন্স করে "ইস্ মি(স্)" বেশির ভাগ সময় শুনা যায় "কিসমি"!
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মন্তব্য গুলি ও
সূর্য বংশ নিয়ে জানতে চাই।
ধন্যবাদ...চন্দ্রবিন্দু উচ্চারণ করতে পারিনা বিধায় সূর্যবংশ
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাসতে হাসতে শ্যাষ্...আর ক্যামনে যে এত মিলায়ে মিলায়ে লিখেন...
-------------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;
ধন্যবাদ রিজভী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
সবসময়ের মতোই আপনার লেখা সুপাঠ্য।
ধন্যবাদ সুপ্রিয়।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
অনেক্ষণ পর একটু নির্মল আনন্দ পেলাম, তাসনীমভাই। সচলপাতা তো উত্তপ্ত হয়ে আছে!!! এরি মাঝে এই লেখাটা দিলখুশ করলো...........
_____________________
Give Her Freedom!
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হিন্দি ভাষার জন্য আমার মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় । আমার ছোট ভাগ্নে ওর বয়স এইবার ৯ হল, সারাদিন ডিসনিতে কার্টুন দেখে আর পটাপট হিন্দি বলে । কয়েকদিন আগে ওর চুল একটু ছোট করে কাটানো হয়েছিল । তাই নিয়ে বাসায় আসার পরে দু হাত মাথায় তুলে একটু করে মাথা নাড়ে আর বলে -মেরা চুল (চুলটা অবশ্যই হিন্দিতে) !!
লেখা বরাবরের মত চমৎকার ।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আমি বাসায় একাএকা বসে হাসছি তাসনীম ভাই। অনেক দিন ধরেই রোগে কাতরাচ্ছি। সচলের পাতায় এই লেখাটা দেখে খুব ফ্রেস লাগল, লেখাটা পড়ার পর মনে একটা আনন্দ জাগল। আপনাকে ধন্যবাদ। এই জাতিয় লেখা খুব শিগগির আরও অনেক পরিমাণে চাই।
ডাকঘর | ছবিঘর
আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। মার্কিন মুল্লুকে লেখা ট্যাগটাতে ক্লিক করলে এই সিরিজের সব লেখাগুলো একসাথে পাবেন।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাসতে হাসতে শেষ।
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আশফাক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার রসবোধে আপ্লুত হলাম। বার বার পড়ার মত একটি পোস্ট বটে।
প্রৌঢ়ভাবনা
ধন্যবাদ প্রৌঢ়ভাবনা।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
মেয়ের ঠাণ্ডা লাগায় সেদিন ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেকক্ষণ বইসা থাকার পর নার্স খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো 'Can she get a sucker?' প্রথমে মনে করলাম ফাইজলামি করতেসে নাকি...sucker কী জিনিস? না বুঝেই ভাব নিয়ে কইলাম 'NO'। পরে মনে হইলো suction pump জাতীয় কিছু হইতে পারে...ঠাণ্ডা লাগসে যেহেতু সর্দি-টর্দি হয়তো টেনে বের করবে। আবার বেটিরে জিগাইলাম...'তুমি কিসের যেন কথা কইতেছিলা...' 'O sucker...you know, lollypop...can she get one?' এবার নিজের মেয়ের জন্য আফসোস হইলো...অনেকক্ষণ ধরে ডাক্তারের কাছে বইসা আছে...একটা ললিপপ দিলে ভালোই হতো...কিন্তু আগে যেহেতু একবার না বলছি আবারো ভাব নিয়া কইলাম 'No, she doesn't like it that much'
লিভ এন্ড লার্ন...আপনার মতো এখনো শিখে চলছি।
ধন্যবাদ।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আফনের সেন্স অব হিউমার তো দেখি লিজেন্ডারী লেভেলের.........চালায়া যান মিয়াবাই......আমরা আফনের লগেই আছি...বালা থাইকেন...
ধন্যবাদ, সাথে আছেন জেনে ভালো লাগলো।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আগেও বলেছি, আজও বলি। আপনি মশাই সেরাম রসিক!
ধন্যবাদ দ্রোহী।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনার রসবোধের তুলনা নাই। হাসতে হাসতে বয়স কমিয়ে ফেললাম। এবার টাক মাথায় হিন্দিকেশ গজাবে আশাকরি!
ভাগ্যিস সংক্ষিপ্ত করে (অথবা সরকারি আমলাদের ভয়ে) বলেনি "রক্ষণাবেক্ষণের পুরোটাই আমলা'র হাতে থাকা উচিত।
নিজেকে রসিক প্রমাণ করার জন্য উদ্গ্রীব আমার এক বন্ধু ভাষা বিভ্রাট নিয়ে বন্ধু ও বন্ধুপত্নীদের মিলিত আড্ডায় একটি জোকস বলেছিল। আমি বেরসিক মানুষ, তাই ওটিই আমার সম্বল।
বি এড পরীক্ষা দেয়া মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলেছে এক জামাই। বিয়ের পরদিনই রেজাল্ট হয়েছে। জামাই ঠিক করলো, সাততাড়াতাড়ি টেলিগ্রাম করে শ্বশুরকে রেজাল্ট জানাতে হবে। ঠিক সময়েই টেলিগ্রাম পৌছলো, সেখানে লিখা,
your daughter very good in bed.
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
_____________________
Give Her Freedom!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
হা হা হা...আপনার জোকটা দারুণ লাগলো।
ধন্যবাদ রোমেল ভাই। মনের গুমোট কাটানোর জন্যই এই লেখাটা...পাঠকের পছন্দ হওয়াটা উপরি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, যথারীতি আগেরগুলোর মতোই দুর্দান্ত
এখনকার বিজ্ঞাপনগুলো দেখেছেন কিনা জানি না। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে শিশুদের একটা ট্যালকম পাউডারের অ্যাড দেখলাম, চুচু ট্যালকম পাউডার। আরেকটা কোনো এক হিন্দী চ্যানেলে, শিশুদেরই, নাম পোকো হাগিজ প্যাড
অতীত
হাগিস ডায়পার বাচ্চার জন্য নিয়মিত কিনতাম। এই রকম সার্থক নামের জিনিস খুব বেশি পাওয়া যায় না।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
hahahahhahhahahahhah হাহাহাহাহাহহাহাহহাআহা
হাগিস ঃ)\
তাসনীম রক্স!
স্যাম
তাসনীম ভাইয়া (প্রতিধ্বনি আ আ আ আ ), হাসতে হাসতে শেষ!
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ধন্যবাদ ফাহিম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ পাঠক।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
আপনি যা ই লিখেন তা ই দারুণ হয়!
ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।
ধন্যবাদ দিহান।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
লগিন করতে অনেক সময় লাগে। তাই, এই লেখাটা ভালো লাগসে বলতে অনেক দেরী হয়ে গেলো।
... তবে পর্বটা ছোট হয়েছে আপনার অন্যান্য লেখার তুলনায়। এটা অভিযোগ।
আমি গুনে গুনে ১.৫ স্পেসিং দিয়ে চার পৃষ্ঠা লিখি অনেকটা ইসলামিয়াত পরীক্ষার মতো। এটাও তাই ছিল। তবে এই লেখাতে মনে হয় প্যারা বেশি, তাই স্পেসগুলো জায়গা নিয়ে নিয়েছে।
লেখার "ক্ষুদ্রতা" পরের পর্বে পুষিয়ে দেব গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্টের রান্না-বান্না নিয়ে একটা পর্ব দেব।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
হাসতে হাসতে শেষ
নতুন মন্তব্য করুন