হস্তরেখাবিদের সাথে এক সন্ধ্যায়

ওডিন এর ছবি
লিখেছেন ওডিন (তারিখ: রবি, ০৮/০৪/২০১২ - ১০:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সাফি'র আজকের দিনটি কেমন যাবে পড়তে পড়তে এই ঘটনার কথা মনে পড়লো। তাই ভাবলাম এইবেলা এইটা লিখেই ফেলি। হাসি

দুইহাজার সাতের মাঝামাঝি। গ্রাজুয়াশনের পরে ভালই সময় কাটাচ্ছিলাম, খুব ভোরবেলা (মানে সাড়ে এগারটার দিকে) ঘুম থেকে ওঠা, সমমনা সমগোত্রীয় বন্ধুবান্ধব (যাদের এখন লেজ কাটা পড়ে নাই) এর সাথে আড্ডাবাজি, হাল্কাপাতলা গানবাজনা, ভোর চারটা পর্যন্ত ওয়াশিংটন ডিসিতে নিউক্লিয়ার বোমা হামলা, ওয়ার্লড অফ ওয়ারক্রাফট - একেবারে নির্মল আনন্দময় একটা জীবনযাপন! কিন্তু বছরখানিক পরেই আমার পিতামাতা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন আমার উপরে, সামনে অপশন রাখলেন হয় পোস্ট গ্রাজুএশন কর, নাহয় চাকরিবাকরি খোঁজা শুরু কর নাহলে বিয়ে কর! চোখে তখন সরষেফুল! পোস্ট গ্রাজুএশন করার মত আই কিউ আমার যথেষ্ট নাই, বিয়ে করার ত প্রশ্নই উঠে না, বন্ধুরা যারা ওই অগস্ত্যযাত্রায় গেছে, তাদের অবস্থা তো ভয়াবহ! তাদের প্রাক্তন প্রেমিকাদের (এখন তাদের অর্ধাঙ্গীনী) হাতে তাদের জীবনের অয়্যারলেস গেমপ্যাড, যা কন্ট্রোল করে তাদের হেয়ারস্টাইল থেকে শুরু করে আন্ডারঅয়্যারের রঙ পর্যন্ত। আর চাকরি! আমি করব চাকরি? যেই আমি পরি দ্য র‍্যামনস এর টিশার্ট যেখানে লেখা থাকে “it’s not my place in nine to five world” ?

কিন্তু আপনারা জানেন বেকার পুলাপানের আর যাই হোক, মানবাধিকার বলে কিছু নাই, তাও যদি তার বয়স হয় পঁচিশের ওইদিকে! তাই আমার সহচরেরা চরম বিরক্তির সাথে লক্ষ্য করল যে আমি একটা সিভি টাইপের জিনিস হাতে নিয়া ঘুরাঘুরি শুরু করছি। আর মাসখানিক পরে একটা আওয়াজ পাইলাম ‘ক’* হাসপাতাল থেকে। প্রথমে আমি রাজি ছিলাম না, কারন এইসব পাঁচতারা হাসপাতালে আবার সবসময় শার্ট আর জুতো পরতে হয়, আর আমিতো সারা জীবন কাটালাম টি-শার্ট আর স্যান্ডেল পরে (এপ্রন পরার এই একটা সুবিধা, তলে কে কি পরছে, এইটা স্যাররা বুঝতে পারেন না)। তবে আমার বাপ যখন মোটামুটি একটা আল্টিমেটাম দিয়ে দিল বাড়িছাড়া করার, তখন কয়েকবার ইমোশনাল ব্ল্যাকমেলের ব্যর্থ অপচেষ্টার পরে গেলাম জয়েন করতে। ঘটনা আরও পেচাইল যখন আমার নিয়োগ হলো অর্থোপেডিকস এর বদলে নিউরোসার্জারি বিভাগে (মানে ব্রেইন সার্জারি!), যেই সাবজেক্টে আমার কোনোরকম অভিজ্ঞতাই ছিল না! বুঝেন তাহলে কিরকম হাসপাতাল! যাই হোক আর বেশি বকবক না করে ঘটনা আগাই।

মাসখানিক বহুত কষ্টে পার করলাম। সারাক্ষন “it’s not my place in nine to five world” শুনি আর সপ্তাহে পাঁচ দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ডিউটি করি। আমি বন্ধুদের মিস করি, আমার বন্ধুরা মিস করে আমার মানিব্যাগকে (ওরা খুবই সত্যবাদী ছেলে), আর আমার প্রিয় সাতমসজিদ রোড মিস করে আমাকে।

এইরকম এক বিষন্ন বিকেলে আমার যাবতীয় কুকর্মের অংশীদার ‘মোমেন’* আমাকে ফোন দিয়ে জানালো যে তার কাছে জীবনটা খুব অর্থহীন একটা ব্যপার মনে হচ্ছে। এইটা অবশ্য অস্বাভাবিক কিছু না- কারন কয়দিন আগে তার ছোটোবেলার বান্ধবী ‘ই’* তার বাবামার পছন্দের ব্যবসায়ী ছেলের সাথে এনগেজমেন্ট করে ফেলেছে (ওর নিজের তুলনায় অস্বাভাবিক বেশি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে), আর চরম নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়ে মোমেনকে বিয়েতে নিমন্ত্রনও করেছে (আর আমাদের পুরো গ্রুপকেও)। আমাদের অনেকটা সময় এখন কাটে মোমেনকে খোঁচাখুচি করে আর ‘ই’ এর হবু হাজব্যান্ড মোমেন এর থেকে কত হ্যান্ডসাম আর বুদ্ধিমান সেইটা রেগুলারলি ওর কানের কাছে ভ্যাজর ভ্যাজর করে ওর জীবন অতিষ্ঠ করে।

যাই হোক মোমেন তার বিক্ষিপ্ত কথাবার্তায় যা জানালো তা হল যে সে খুবই ফ্রাস্ট্রেটেড, এই জীবন আর রাখবে না আর সে আত্মহত্যার কথা সিরিয়াসলি ভাবছে। আমি বললাম যে সে আত্মহত্যা করলে আমার থেকে খুশি কেউ হবে না। আমি তাকে সবরকম সাহায্য করতে রাজি আছি, তবে ‘ই’ এর মত একটা ধুমসী ছোটোলোক মেয়ের জন্য আত্মহত্যা- এইটা একটু বেশি বেশি হবে, তাকে অযথা এতটা গুরুত্ত দেয়া ঠিক হবে না। তার উচিত হবে ‘ই’ এর ছোটবোনের দিকে এটেনশন দেয়া।

কিন্তু মোমেন খেপে উঠল ‘ই’ কে ছোটলোক বলায়, গালাগালির তুবড়ি ছুটিয়ে দিল একেবারে, "কত্তবড় সাহস, তুই ‘ই’ কে অপমান করিস, জানস অরে আমি কত ভাল পাই, সেই উইলস থেইকা আমরা টিফিন শেয়ার করি …. বেইলি রোডে কত ফুচকা….হায় শান্তিনগর ….কারে তুই মোটা বলিসরে ভোটকা শয়তান… তরে কোপামু…..তোরা কেউ আমার আপন না…কেউ আমারে বুঝলো না…কেউ আমারে চিনলো না… সব আমার দুর্ভাগ্য" …ইত্যাদি-
এরপরে সে মনে হয় ফোঁপানো শুরু করলো।

কাজে যাওয়ার পথে পান্থপথে প্রায়ই দেখতাম এক এস্ট্রলজারের সাইনবোর্ড, ভদ্রলোকের নাম পন্ডিত ‘ঘন্টাচার্য’*, এই দৈবমুহুর্তে তার কথা মনে পড়ল। আর আমি বললাম ‘মোমেন, কোনদিন হস্তরেখা এগজামিন করাইছস? চল আমরা হাত দেখায় আসি একদিন’। হাজার হোক আমারই সহচর, কাজেই সে বুঝতে পারল যে নতুন কোন শয়তানির ফন্দি করছি! তবে ব্যটা স্বভাবে 'ছোটলোক' তো, আগেই ফি এর কথা জিজ্ঞাস করল, আশ্বস্ত করে বললাম- ফি যাই হোক না কেন, মজা পাওয়ার কাছে কিছুই না! মন ভালো করার জন্য নাহয় কিছু খরচাপাতি আমরা করলাম। নিষ্পাপ বিনোদন যাকে বলে! তাও সে একটু আমতা আমতা করতে লাগল, এরা নাকি সিদ্ধপুরুষ, নানারকম ক্ষমতা নাকি তাদের থাকে। যদি কোন অভিশাপ টাপ দিয়া দেয় তখন খারাপ কিছু হইতে পারে।আর আমাদের মত পাপীদের জন্য ব্যাপারটা আরও গুরুতর হবার কথা। আমি ওকে আশ্বস্ত করলাম- এত জ্বালিয়েছি জনগনকে এই ক্ষুদ্র জীবনে- অভিশাপ পেতে পেতে ড্রাগ রেসিসট্যান্ট জীবানুর মত এখন আমরা অভিশাপ রেসিসট্যান্ট!

এখন বলা দরকার যে আমার চেহারা দেখে লোকজন আমার প্রফেশন সম্বন্ধে যাই ভাবুক, সেটা ডাক্তার বা এর ধারেকাছের কিছু হয়না! ধরে নেয় কালা জাহাঙ্গির এর খালাতো ভাই ভোটকা হান্নান হবে। আমার সাথে যাদের দেখা হবার দুর্ভাগ্য হয়েছে তারা এই ব্যপারটা ভালমতোই বুঝবেন। আর মোমেন তো এম্নিতেই এখন একটা ‘ই’ বিহনে উদাস ছন্নছাড়া ভাব, চোখের নিচে কালির ছোপ, হপ্তাখানিক শেভবিহীন, আর কাপড়চোপড়ের অবস্থা আমার চাইতেও খারাপ! দেখলে মনে হয় ‘ফানটু’র বোতলটা এইমাত্র ডাস্টবিনে ফেললো। তো প্লান মত এক সোমবার আমি আর মোমেন হাজির পন্ডিতমশাই এর চেম্বার/দরবারে। আমি তো চেম্বার দেখে টাশকি খেয়ে গেলাম! ভেবে নিলাম ‘বড় হয়ে বড় ডাক্তার হলে’ এইরকম একটা দরবার-কাম-চেম্বার আমারো লাগবে! বেশ চকচকে চেহারা ভদ্রলোকের, মোমেন একটু খুশি কারন তার মত বাবাজিরও বিশ্রি টুথব্রাশ মার্কা একটা গোঁফ আছে, পুরা প্ল্যানটা নিয়ে ও একটু চিন্তিত থাকলেও এখন মনে হয় একটু সাহস পেল। প্রথমে সাধারন কিছু কথাবার্তা, কি করি, কই পড়ি, বাড়ি কই এইসব। তারপর শুরু হল তার খেলা।

মনে হয় সেইদিন বাবাজির আধ্মাত্যিক শক্তি একটু কম ফোর্সফুল ছিল, মেঘলা দিন দেখে এস্ট্রাল প্লেইনের সাথে কানেকশন হয়ত পাচ্ছিলেন না ঠিকমত, তাই উনি আমাদের দেখে প্রবল ভাবে বিভ্রান্ত হলেন। তবে এইটাও বলতে হবে যে তার অবজারভেশন ছিল অসাধারন। আমার আয়ু কম (হতেই পারে, আমার ওজন ছিয়াশি কেজি- যত বেশি ওজন তত কম নাকি আয়ু), চোখে কম দেখি (ও আচ্ছা, আমি আসলে আমি এমনি এমনি চশমা পরি তো, ভাব নেওয়ার জন্য!) বোনদের ভালো বিয়ে নিয়ে চিন্তিত (আমি আসলেই চিন্তায় পড়ে গেলাম, আমার খালি একটা ভাই, তাহলে কি আমার কোন অজানা বোন আছে নাকি যা আমি জানি না, খুবই ভয়ের ব্যাপার- সম্পত্তির ভাগাভাগিটা তাহলে কিরকম হবে!!!), পড়ালেখা বেশিদুর হবে না (আল্লাহ!), আমার জিজ্ঞাসা- একাউন্টিং এ অনার্স করলে কি হবে? চালিয়ে যেতে পারো, তবে পাস কোর্সে যাওয়াই ভাল(তোমার মুন্ডু!), চাকরি এখন নেই, সামনে হতে পারে (আচ্ছাহ!), বিদেশযাত্রা ভবিষ্যতে হতে পারে (অন্নপূর্নার পাশে ট্রেক কই করলাম তাহলে, ঝিনাইদহে নাকি??)

আর মোমেনকে- তোমার মানসিক অশান্তি চলছে (এইটাতো আমার পোষা গোল্ডফিশ হাইনরিখও বুঝে!), প্রেমে জটিলতা চলছে (একতরফা ইনফাচুএশান- আবার জটিলতা কি??), সমাধান হবার চান্স কম (আমি ততক্ষনে ভদ্রলোকের ভক্ত হয়ে গেছি- শার্লকদার আত্মহত্যা করা উচিত), পড়ালেখায় ব্রেক আছে (?), চাকরির সম্ভাবনা আছে তবে এখনি না (মোমেন আমার চাইতেও ভাল চাকরি করে!!)। যাই হোক এতক্ষনে মোমেনের মুড একটু ভাল হয়েছে, হাসি চেপে রাখা একটু কষ্টকর হয়ে যাছে আমার জন্য-ও, তাই আ্মরা উঠে পড়লাম, ফি দেয়ার সময় মনটা একটু খচখচ করলেও ব্যাপারটা মজাই ছিল আসলে। তবে প্রেমিক হৃদয় বলে কথা, মোমেন জানতে চাইল হারানো প্রেমিকাকে ফেরত আনার জন্য কোন ব্যবস্থা আছে নাকি। পন্ডিতমশাই এবার উৎসাহে ধড়ফড় করে উঠলেন- অবশ্যই আছে- কি সব টোটকা- যা একটু নাকি এক্সপেন্সিভ। পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।! প্রেমিকার হবু বরের উদ্দেশ্যেও নাকি কিসব ‘বাণ’ আছে, মোমেন আরও উৎসাহে আরো ধড়ফড় করে উঠলো। কিন্তু আমি দেখলাম পরিস্থিতি আওতার বাইরে চলে যাছে! কোনমতে ওকে ঠেলেঠুলে বাইরে-

আমরা সবাই ‘ই’ এর বিয়েতে দলবেঁধে গিয়েছিলাম, অবশ্যই মোমেন সহ, আর একমত হয়েছিলাম যে ‘ই’ এর হবু হাজব্যান্ড মোমেন এর থেকে বহুত হ্যান্ডসাম আর বুদ্ধিমা্ন, আর তার গোঁফ নাই। মোমেন একবার খালি মিন-মিন করে বলার চেষ্টা করলো যে রোস্টটা ঠিকমতো করতে পারে নাই। শক্ত শক্ত রয়ে গেছে। আমরা যথারীতি ওকে পাত্তা দিলাম না। আর ওর প্যানপ্যান করার ফল হিসেবে ডেজার্ট হিসেবে পাওয়া ওর ভাগের আইসক্রিমটা ভাগাভাগি করে খেয়ে ফেললাম।

__________________________________________________
* [লেখকের নিরাপত্তাজনিত কারণে নামধাম সব মৃদুভাবে বদলে দেয়া হয়েছে।] হাসি


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

এইবার আমাগো হাডুডু-ড্রিমটিম নিয়াও একটা ল্যাখা ল্যাইখ্যা ফ্যালেন।

ওডিন এর ছবি

হাহাহাহাহা! অবশ্যই! দেঁতো হাসি

আপনার সাথে আলাপ করতে করতেই এইটা লিখছিলাম কিন্ত চোখ টিপি

তারেক অণু এর ছবি

হো হো হো (গুড়)

ওডিন এর ছবি

এক্কেবারে জীবন থেকে নেয়া! লইজ্জা লাগে

নিলয় নন্দী এর ছবি

কি চমৎকার ! হাততালি
ফিনিশিং তো চোস্ত হয়েছে ! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ওডিন এর ছবি

অবশ্যই। খাবার খুবই ভালো ছিলো, বদ বন্ধু রোস্টের গুণাগুণ নিয়ে যতোই প্যানপ্যান করুক না ক্যানো। দেঁতো হাসি

আবুল এর ছবি

ওরে বস লাগলো একদম! হাততালি

ওডিন এর ছবি

ওনার কাছ থেকে হাত দেখিয়ে আসতে পারেন, এখনো আছেন মনে হয়। নাম থেকেই আসল নাম অনেকখানি আন্দাজ করতে পারবেন। পান্থপথের কাছে বছরখানিক আগেও সাইনবোর্ড দেখেছি। ঃ)

চরম উদাস এর ছবি

দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি
নৈষাদ এর ছবি

পোষা গোল্ডফিশের নাম হাইনরিখ পড়ে অভিভুত।

চাকরীর শুরুর দিকে আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল চাকুরী প্রার্থীদের সিলেকশন প্রক্রিয়ার যুক্ত থাকা। আমরা এই সিলেকশন প্রক্রিয়াকে যথাসম্ভব বিজ্ঞানসম্মত করতে চেষ্টা করছিলাম…।

একজন সহকর্মী, যিনি তখন মাত্র নেদারলেন্ডস থেকে ব্যবসায় উচ্চশিক্ষা শেষ করে এসেছেন, আমাকে খুব বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন এই সিলেকশন প্রক্রিয়ায় ‘অ্যাস্ট্রোলজি’ যুক্ত করা জরুরী। এধরণের ‘ওকাল্টের’ সাথে যখন কিছুটা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ যুক্তি যুক্ত করা হয়, তখন এটা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে। ‘কম্পিটেন্সি বেইজড সিলেকশনের’ বিপরীতে তিনি বুঝাতে চাইলেন ‘স্টার সাইনের’ বিপরীতে কম্পিটেন্সি ফ্রেমওয়ার্ক কিন্তু অলরেডি দেয়া আছে। এটা হল প্রাইমারি সিলেকশন ক্রাইটেরিয়া… তারপর…।

শেষমেষ খুবই বিরক্ত হয়েছিলেন, ‘আপনে তো আমার কথাটা গুরুত্বই দিলেন না। এখনকার পোলাপাইনরা…’।

ওডিন এর ছবি

অ্যাঁ খাইছে!! অকাল্ট প্লাস সায়েন্স! মারাত্মক কম্বিনেশান দেঁতো হাসি

পোষা জন্তুদের নামকরণ নিয়ে আমার আবার একটু শখ আছে। হাইনরিখ তো ছিলোই, এখন হাসপাতালে যে বেড়ালটা আমি পুষি তার নাম রেখেছি পুশকিন। ম্যাঁও

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছোটবেলায় এক হাতদেখাওয়ালা আমার এক আত্মীয়ের ছেলেকে দেখে বলে এই ছেলে ইমাম হবে। সে হইছে নাস্তিক।

ওডিন এর ছবি

জ্যোতিষী সারকাজম করে বলছিলো মনে হয়। হাসি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

হা হা ভালো বলছেন।

আবছায়া এর ছবি

নাস্তিকদের ইমাম।। চোখ টিপি

রণদীপম বসু এর ছবি

কী দিনকাল আইলো ! ডাক্তারেরা লেখে হস্তরেখা বিদ্যা ! ঘোর কলিকাল !!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

ওডিন এর ছবি

ডিডাকশন মেথডটা আরেকটু ইমপ্রুভ করে নিই, ডাক্তার কোনান ডয়েল গোয়েন্দা গপ্পো লেখা শুরু করেছিলেন, আমি শুরু করবো হাত দেখা! দুইটাইতে ডিডাকশনের বড় ভূমিকা আছে। চিন্তিত

ধুসর জলছবি এর ছবি

হো হো হো

ওডিন এর ছবি
নিটোল এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

_________________
[খোমাখাতা]

ওডিন এর ছবি

গড়াইয়েন না এতো, ব্যথা পাইবেন চোখ টিপি

স্যাম এর ছবি

হাহাহহহাহাহাহহা হো হো হো

ওডিন এর ছবি

এইরকম হাসি আমি পান্থপথ রাসেল স্কয়ারের মোড়ে দাঁড়ায়া ওইদিন দশ মিনিট হাসছি হাসি

আশালতা এর ছবি

ওডিন ম্রাত্মক ভালো লেখে লোকমুখে বহু শুনেছি। আজ আমিও স্বীকার গেলাম। লেখা দারুণ। চলুক

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

ওডিন এর ছবি

দুষ্ট লোকজনের কথায় কান দিতে নাই! দেঁতো হাসি

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

দুর্ধর্ষ স্পাই রাশেদ নিবিড় একদা গিয়েছিলেন সিক পোয়েট ত্রেক্রিমকে নিয়ে জ্যোতিষী বিহারে। এরপর নূপুরের ঝঙ্কার, গোপন উৎস হতে আলোর ঝলকানি, তুলোট কাগজে লেখা গুপ্তধনের সংকেত- কী বলবো মাইরি, রীতিমত জ্যাডাপহ সন্ধ্যা যাকে বলে। নেক্সট আলাপে শুনিয়ে দোবো।

আর হ্যাঁ, লেখা কাগুর মতো ভালো হয়েছে দেঁতো হাসি

ওডিন এর ছবি

অ্যাঁ! অ্যাঁ বলো কি মিয়া! দুর্ধর্ষ স্পাই রাশেদ নিবিড় মানে যিনি ব্যক্তিগত জীবনে আমাদের পরিপাটি নিবির্ভাই আর বাল্মীকির চ্যালা তারেক রহিম গেছিলো হাত দেখাইতে!!!! আসলেই জ্যাডাপহ ঘটনা রে সুহান! কাল-পরশু যে কোনদিন সন্ধের পরে কোঞ্চিপা বা ভ্যানচিপায় আসতে পারি। আওয়াজ দিমু নে। ঘটনা শুনতে হবে। হাসি

নিবিড় এর ছবি

আমিও ঘটনা বিস্তারিত শুনতে চাই দেঁতো হাসি

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

শয়তানী হাসি
হো হো হো
আর আমার হতচ্ছাড়া প্রেমিকা কিনা আমাকে তার বিয়েতে দাওয়াতই করল না! রেগে টং

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

ওডিন এর ছবি

সেই পাষাণহৃদয়া পাপিষ্ঠা নারী তোমার প্রেমিকা কক্ষনোই ছিলো না। সত্যিকারের প্রেমিকা হইলে বিয়েতে অবশ্যই দাওয়াত করতো। হাসি

আনোয়ার এর ছবি

হো হো হো উত্তম জাঝা!

ওডিন এর ছবি
ইয়াসির এর ছবি

এইভাবে টাকা নষ্ট করেও সুখ

উত্তম জাঝা!

ওডিন এর ছবি

হ' ! কথা ঠিক হাসি

উচ্ছলা এর ছবি

ডিপার্টমেন্ট থেকে নৌবিহারে গিয়েছিলাম। জাহাজে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে হাত দেখে বড় ভাই অলোক'দা বলে, " তোমার অনেক খ্যাতি-অর্থ হবে। আর তুমি খুব রংবাজ"...সাথে সাথে হুঙ্কার দিলাম,"এই কথা পৃথবীর আর কেউ জানলে আপ্নের নাড়ীভুঁড়ি সব বের করে মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেব! "

কোনো রাশিবিদ/ফটকাবাজকে মাইরধর করার প্ল্যান থাকলে আমাকে আওয়াজ দিবেন। ড্যাগার রেডী আছে।

লেখা অসাম-ফানী লেগেছে চলুক চলুক

স্বপ্নখুঁজি এর ছবি

পড়তে চমৎকার লাগল।

ওডিন এর ছবি

থ্যাঙ্কস! হাসি

ওডিন এর ছবি

আপনার বড় ভাই অলোক'দা তো দেখি ঠিকই হাত দেখতে পারেন! অ্যাস্ট্রোলজারকে ড্যাগার হামলা করতে চাচ্ছেন, আপনে যে রঙবাজ এতে কারো কোন সন্দেহ থাকার কথা না। খাইছে

তিথীডোর এর ছবি

হো হো হো হো হো হো

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

ওডিন এর ছবি
উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

মচৎকার! শয়তানী হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

ওডিন এর ছবি

যাইবা নাকি একদিন হাত দেখাইতে? তোমার তো দরকার মনে হয়। যেমনে টপাটপ তোমার ক্লাশ্মেটরা বিয়ে করে ফেলতেছে চিন্তিত

কান্তা মোরশেদ এর ছবি

হা হা করে হাসতেসি- চমৎকার লাগলো।

ওডিন এর ছবি
নীড় সন্ধানী এর ছবি

ওরেএএএএ গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ওডিন এর ছবি

না হাইসা, আপনের জ্যোতিষাভিজ্ঞতা বয়ান করেন হাসি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা বিখ্যাত বানী আছে, "ছ্যাকা খাইনি, বিয়ে খেয়ে এসেছি"। বিয়ে খেতে শিখলে ছ্যাকা খাওয়া একটা মধুর ব্যাপার হয়ে যায়।

হাড্ডি জোড়া লাগানো তো শিখেই ফেলেছো এখন হাত দেখতে শেখো। তবে তার আগে 'হাত ধরা'টা কিন্তু শিখতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

ওডিন এর ছবি

এইটা একটা কথা কইলেন পান্ডব'দা।

আগে 'হাত ধরা'টা কিন্তু শিখতে হবে।

এইরাম একটা খোঁটা দিতে পারলেন ওঁয়া ওঁয়া গার্লফ্রেন্ড নাই বলে কি আমরা কি মানুষ না? মন খারাপ

প্রখর-রোদ্দুর এর ছবি

পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম উত্তম জাঝা!

ওডিন এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

মন্তব্য করার জন্য লগ ইন করতেই হলো, বাপরে এই বিশ্রী কেলানো রোদের চান্দি ফাটা দুপুরেও কি রকম খেক খেক করে হেসে চলেছি লেখা পড়ে।

অট: কদিন আগে খবরে দেখেছিলুম, আজকাল আর হাতেও পোষাচ্ছেনা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো মহিয়সী নারী আজকাল সবার পশ্চাৎদেশের ত্বক দেখে ভবিষ্যৎ বলে চলেছেন !!!

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ওডিন এর ছবি

কিসের পশ্চাৎদেশের ত্বক! আমরা আরো আগায়া গেছি! আমাদের দেশে তো প্যান্টও খুলতেও হয় না, চেহারা দেখেই নাকি আজকাল ভাগ্য গণনা করে চিন্তিত

নজমুল আলবাব এর ছবি

ইটা মেটা বলগিং কেনু হইবে না এই মর্মে কারণ দর্শাইতে বলা হইলো হে হাড্ডিতুড়নেওয়ালা। শয়তানী হাসি

সাফি এর ছবি

ঠিক। অনার্য মডু জবাব চাই।

ওডিন এর ছবি

আহেম! আমি জানতাম এইদিক দিয়ে একটা আক্রমণ আসতে পারে। তাই আগেভাগেই লেখার কপালে ডিস্ক্লেইমার দিয়া দিছি! দেঁতো হাসি

বাউলিয়ানা এর ছবি

হো হো হো

ওডিন এর ছবি
ওয়াহিদ এর ছবি

আমি ত ভাবছিলাম ডিপজল তোমার মামা, এখন দেখি তুমি কালা জাহাঙ্গিরের দিক্কার লোক। চিন্তায় ছিলাম হাসপাতাল নিয়ে বেফাঁস কি আবার লিখ। লেখা ভাল হয়েছে।

ওডিন এর ছবি

উরে! এ কি ওয়াহিদ ভাই নাকি? চারকোনা হাসপাতালের? চিন্তিত

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

লেখকের নিরাপত্তাজনিত কারণে নামধাম সব মৃদুভাবে বদলে দেয়া হয়েছে।

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি

ওডিন এর ছবি

হ' জানের ডর আছে। দোস্তরা কবে সাইজ করে দ্যায়।আর পন্ডিত ঘন্টাচার্যও শুনিলাম বহাল তবিয়তে আছেন। কেবল টিভিতে ওনার অ্যাড নাকি দ্যায় এখন। সাবধানে থাকাই ভালো। হাসি

প্রদীপ্তময় সাহা এর ছবি

দেঁতো হাসি

সাবেকা এর ছবি

হাসতেই আছি হাসি

সাফি এর ছবি

হেহেহেহে জ্যোতিষ বাবা কি সচল পড়েন? তাহলে কিন্তু খাইলেন বান কইলাম।

ওডিন এর ছবি

বুঝতাছি না। মন খারাপ ত খবর নিয়ে জানলাম উনি নাকি পান্থপথেই আছেন, তবে মতিঝিলেও আরেকটা চেম্বার খুলেছেন। বাণটান মারলে খবরি আছে। মন খারাপ

শিশিরকণা এর ছবি

যৌবনকালে এক নয়া হস্তরেখাবিশারদ মোর হাতখানি দেখিয়া বলিয়াছিলেন ৩-৪ বছরের মধ্যে বিবাহ হইবে। ভবিষ্যৎবানী সত্য প্রমাণ করিতে ভদ্রলোক নিজেই কবুল বলিয়া ফেলিয়াছেন। লইজ্জা লাগে

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

ওডিন এর ছবি

এই না হলে তন্ত্রসিদ্ধ জ্যোতিষী। গুরু গুরু নিজের ভবিষদবাণী তো প্রমাণ কইরা ছাড়লো দেঁতো হাসি

শিশিরকণা এর ছবি

আর কারে কারে বিবাহ বিষয়ক ভবিষ্যৎবানী দিছে, এইটা এখন জানা দরকার। রেগে টং

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হো হো হো

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

খেকশিয়াল এর ছবি

হো হো হো মজা প্লাম মজা প্লাম
আমি কিন্তু মোমেনরে চিনসি চোখ টিপি

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ওডিন এর ছবি

চিনলে চুপচাপ থাকো মিয়া! আইসক্রিম খাওয়ামু নে। চোখ টিপি

বাইচাঁ গেছি যে আমার এই গোপন ব্লগার আইডেন্টিটি আমার ওই বদের হাড্ডি বন্ধুরা জানে না শয়তানী হাসি

তুলিরেখা এর ছবি

হো হো হো

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো চলুক

বনের রাজা টারজান এর ছবি

দারুন!!!! ওস্তাদ।

সৌরভ কবীর  এর ছবি

হো হো হো

নিবিড় এর ছবি

কিন্তু বছরখানিক পরেই আমার পিতামাতা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন আমার উপরে, সামনে অপশন রাখলেন হয় পোস্ট গ্রাজুএশন কর, নাহয় চাকরিবাকরি খোঁজা শুরু কর নাহলে বিয়ে কর!

কোনচিপা নামক মঙ্গলগ্রহের এক জায়গায় কিছু দুষ্ট পোলাপাইন কোন এক ভ্রমণ প্রিয় ডাক্টার এর বিয়ে নিয়ে কী সব গুজব জানি ছড়াচ্ছিল (আমি ভাল মানুষ দেখে বিশ্বাস করি নাই), এরপর এই লাইন পড়ে তো একটু সন্দেহে পড়ে গেলাম চিন্তিত দেঁতো হাসি

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

বিস্তর চিপার মধ্যে আছি ওডিন'দা। অনেকদিন পরে কোন লেখা পড়ে প্রাণখুলে হাসলাম। আসলে হাসি থামে নাই অনেকক্ষণ। আম্মা বাসায় ফিরলে দাঁত বের করে দরজা খুলে দিতে দেখে ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো, "সমস্যা কী?!" দেঁতো হাসি

কিন্তু তুমি মিয়া ভূত বাদ্দিয়ে জ্যোতিষীর পিছা করছো, এইটা কি ঠিক হচ্ছে? খাইছে

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

হো হো হো

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

ক্যাপ্টেন নিমো এর ছবি

ভাই জান
আমি আমার হাত দেখাতে চাই, তয় ওনারে না।
আপ্নে দেইখা দিবেন?

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মজা পাইলাম! দেঁতো হাসি

তিথীডোর এর ছবি

আপনি একটা জিনিস! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।