পদার্পণ ০১

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: সোম, ০৮/০৬/২০০৯ - ২:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কাগজে বানানো খাম থেকে আমি মালতীদি'র বুকের গন্ধ নিতাম। অথচ মালতীদি আমার প্রেমিকা ছিলো না। যে নারীর জন্য প্রেমভাব থাকে- তার শরীরের ঘ্রাণ নেয়া হয়তো অপরাধ নয়। প্রত্যক্ষভাবে কিংবা অন্য কোনখান থেকে সে ঘ্রাণ নিলে হয়তো আর পাপ হয় না।

হিন্দুপাড়ার মালতীদি'র জন্য আমার মাঝে কোন প্রেমভাব ছিলো না।

"এই ট্যাপা, এদিকে শুনে যা তো একটু।" নিখিল স্যারের ঘর থেকে বের হয়ে যখন আমরা বাড়ির পথের দিকে তাকাই, হিন্দুপাড়া মুসলমান পাড়ার মাঝামাঝি বিল- যেটা আমাদের খেলার মাঠ যখন চোখের সামনে উঁকি দেয়, তখন মালতীদি'র ফিসফিস করা কন্ঠস্বর শোনা যেত। রতন- আলমরা এগিয়ে যায়, আমি ঠিক বুঝে যেতাম আমাকে আশিষবাবুদের বাড়ির পেছনের দিকে যেতে হবে- যেখানে কলেজ পড়ুয়া মালতীদি দাঁড়িয়ে থাকে- যে মালতীদির চুলের সারি গত বর্ষায় পিঠ পেরিয়ে হাঁটুর সমান্তরালে এসে পৌঁছেছে প্রায়।

আমার পরনে ছিলো তখনো হাফপ্যান্ট। কাঁধে প্রায় মৃত হয়ে যাওয়া ব্যাগ সামলে নিতে নিতে মালতীর দিকে তাকাতাম- দেখতাম কখনো হাওয়ায় মালতীদি'র খোলা চুল হাওয়া যাচ্ছে উড়ে উড়ে- কখনোবা সে চুলেরা পরাধীনতার শিকলে বন্দিনী হয়ে আছে। দেখতাম- আর বলতাম, "বলো।"

মালতীদি'র হাতে একগাদা চুড়ি ছিলো। লাল নীল সবুজ। কলেজ পড়ুয়া মালতীদি যখন বুকের মধ্যখান থেকে চিঠি বের করে আনতো- চুড়িগুলো শব্দ করতো। ঝনঝন। রিনঝিন। আমি কী এক ব্যকুলতা নিয়ে দৃশ্যটা দেখতাম- বুকের মধ্যখান থেকে চিঠি বের করে আনা। মালতীদি হাসতো, "রাশেদ ভাইকে দিবি এটা।"

যখন সে খাম আমার হাতে তুলে দেয়া হতো। আমি অবাক হয়ে শুনতাম চুড়িগুলো তখনো বাজে- রিনঝিন- ঝনঝন। মালতীদির হাতের চিঠি নিয়ে বলতাম, "জানি, বলতে হবে না রোজ রোজ।"

মালতীদি হাসতো আবারও। কিংবা আগে বেজে ওঠা হাসিটাই থামতো না মুহুর্তের জন্য। চলতো- চলতো। "পড়বি না। পড়লে কিন্তু মার খাবি। "

"আমি অত খারাপ না। কিন্তু আবার যদি ট্যাপা ডাকো তাইলে কিন্তু সবাইকে বলে দিব।" এবার আমার হাসার পালা। কলেজ পড়ুয়া মালতীদি- যার চুলগুলো গত বর্ষায় পিঠ পেরিয়েছে, তার ভীত মুখ দেখে আমার হাসি পেত। মালতীদি আমাকে কাছে টেনে নিতো- আমার চুলের সিঁথি ঠিক করে দিয়ে মালতীদি'র বলা, "আচ্ছা যা। আর ট্যাপা বলবো না। লক্ষী ছেলে।"

আমি কী "লক্ষী" ছেলে ছিলাম?

সিঁথি ঠিক করে দেবার বেলায় মালতীদি'র শরীরের খুব কাছাকাছি - বুকের খুব কাছাকাছি আসা হতো তখন আমার হাফপ্যাণ্ট পরা শরীরে শিহরণ, রাশেদ ভাইয়ের কাছে খাম পাচার করার আগে- বাড়ীর পেছনে গিয়ে সে খাম মুখে চেপে ধরে মালতীদির বুকের গন্ধ নেয়া, এলোমেলো চুম্বনে কাগজে বানানো খাম ভরিয়ে তোলা, মাঝেমধ্যে রাতের অন্ধকারে কিংবা ভোরে ঘুমভাঙ্গা বিছানায় আমাকে কেমন যেন করে দিত। আমি কাঁদতাম।

ছোটবেলা থেকে এই একটা ব্যাপারে আমি বেশ পটু ছিলাম। ক্রন্দন।

শৈশবে একটা অচেনা পাখির মৃত্যু দেখে আমি কেঁদেছিলাম। শীতের সকালে বড়দীঘির সে ঘটনার কথা আমার এখনো মনে পড়ে। সে বড়দঘির পাড়- সে শীতের সকালে আমাদের স্কুল বন্ধ থাকার আনন্দ- পুকুরে অকারণে ঝাঁপাঝাঁপি- আমি, রতন আলম আর অন্য কেউ। পাড় থেকে শিউলির চিৎকার, "আমিও পুকুরে নামবো।" এবং ও পাশের গাছটায় একটা পাখির উড়ে এসে বসা। রতন বলে, "আলম, ঐ পাখিটাকে মারতে পারবি?" এরপর আলমের ব্যর্থতা- আমার গুলতি হাতে তুলে নেয়া- নাম না জানা পাখিটার পতন- বারবার মনে পড়ে।

সে রাতে হঠাৎ আমার মনে হয়- পাখিটা বুঝি শিউলির মতন। পুকুরে আমাদের দাপাদাপি দেখে তারও সাঁতার কাটবার ইচ্ছে হচ্ছিল। আমি কাঁদলাম। বুবুর ঘুম ভেঙে যায় আমার কান্নার শব্দে। বুবু কোন তুচ্ছ কারণে ভয় পেতে জানতো- তাই আমার কান্নার কথা বুবুকে সে মধ্যরাতে ব্যাকুল করে- বুবু মার কাছে ছুটে যায়- মা ছুটে আসে, আমাকে জড়িয়ে ধরে মা বলে, "আনু, বাবা কী হয়েছে?"
বুবু বলে, "খারাপ স্বপ্ন দেখেছিস?"

আমি মায়ের আঁচল ভিজিয়ে দিয়ে বললাম, "মা, বাবা কোথায়? আমি বাবার কাছে যাবো।"

একসময় সকাল হয়। ভোরের পথে ধূলো উড়িয়ে অমলদা বাড়ি বাড়ি যায়। কাঁধে একটা লাঠির দুইপ্রান্তে দুধের ডেকচি। উঠোনে দাঁত মাজতে মাজতে অমলদাকে দেখি। দুধের ডেকচি একপাশে রেখে দাওয়ায় বসে অমলদা জিরোয়। লুঙ্গির গিট থেকে বিড়ি বের করে ধরায়। যেন নিজের মনেই বলে, "বুঝলা, অনু দাদা। এই বুড়া বয়সে এরম খাটনি করতে ভালা লাগে না। তবুও তোমাগো লাইগা করি, তোমরা মানুষ হইবা- দুধ খাইবা। নাইলে শক্তি হইবনা কইয়া দিলাম!"

মা আসে। ঘোমটা টেনে অমলদার দিকে বাটি বাড়িয়ে দেয়। "চারটা পানিভাত খেয়ে যান কাকা।" অমলদা পানিভাত খায় দাওয়ায় বসে। তারপর আবার বিড়ি ধরায়। রান্নাঘরে পাটি পেতে আমরা নাস্তা করি। নাস্তার পর দুধ খেতে হয়। স্টীলের গ্লাসে সে সাদা দুধের দিকে চেয়ে আমার মালতীদি'র কথা মনে পড়ে।

স্কুলের পথে খেজুর গাছে একটা পাখিকে দেখি। আমার সেদিনের মৃত পাখিটার কথা মনে হয়।

আমার শিউলির কথা মনে পড়ে।

স্কুল শেষে নিখিল স্যারের বাসায় পড়তে যাবার পালা আসে। আমার বুকের মাঝে কাঁপুনি বাড়ে। নিখিল স্যার বলেন, "বাবারা, হোমওয়ার্ক করেছ সবাই? আজ অংক পরীক্ষা নিব। পড়েছ তো? শোন মানুষ হতে হলে পড়াশোনা ছাড়া যেমন গতি নাই- পড়াশোনা করতে হলে তেমন অংক ছাড়া উপায় নাই!"

অংক পরীক্ষা হয়। বাড়ির পথে তাকিয়ে শুনি, "এই ট্যাপা শুনে যা!' আলম- রতন এগিয়ে যায়, আমি আশিষবাবুদের বাড়ির পেছনটায় এসে দাঁড়ায়, যেখানে মালতীদি দাঁড়িয়ে থাকে। আমার দিকে তাকিয়ে হাসে- হাওয়ায় যেখানে বিগত বর্ষায় ছুটে যাওয়া চুল উড়ে উড়ে যায়।

যখন আমি কথাটা বলে ফেলি সেদিনও চুড়ির রিনঝিন ঝনঝন শব্দ হয়- বুকের মধ্যখান থেকে মালতীদি খাম বের করে আনে। সেদিন আমার চোখ থেকে পানি পড়ে টুপটাপ। বলি, "মালতীদি, তুমি আমাকে আর চিঠি নিয়ে যেতে দিওনা। আমি খুব খারাপ ছেলে।"

মালতীদি অবাক হয়ে তাকায় আমার দিকে। রিনঝিন শব্দ থেমে আসে বুঝি! "কী আশ্চর্য! ট্যাপা তুই কাঁদিস কেন?"

এবার আমার টুপটাপ বৃষ্টি বাঁধ ভেঙে দেয়। "আমি খুব খারাপ মালতীদি!"

"কেন কী করেছিস? চিঠি পড়ে ফেলেছিস নাকি?" আমি অবাক হয়ে দেখি মালতীদি হাসে- চোখের পানির মাঝ দিয়ে মালতীদিকে কেমন লাগে? "ধূর গাধা। এ জন্য কাঁদতে হয়। " মালতীদি আমাকে কাছে টেনে নেয়। ওড়না দিয়ে আমার চোখ মুছে দেয়। মালতীদি'র ওড়না আমাকে মধ্যরাতের আঁচলের ছোঁয়া দেয় তবুও-

তবুও আমি সে খামের গন্ধ পাই। এবার আরো তীব্র। আমার মনে হয়- শিউলিদের বাগানে আমি যেন এই গন্ধ পেয়েছিলাম। মনে হয়- গত বর্ষায় মালতীদির কাছ থেকে রাশেদ ভাইয়ের জন্য খাম নিতে গিয়ে এই ঘ্রাণ পেয়েছিলাম।

অনেক দিন পর আমি এক দালান্দের বারান্দায় - সামনের দালানের ছাদে প্রেমেলিপ্ত দুটো পাখি এসে বসে। ওরা প্রেম করে পরস্পরের খুব কাছাকাছি যায়। পুরুষ পাখি নারী পাখিকে ঠোঁট দিয়ে ঠুকরে দেয় ভালোবেসে।

আমি কী সেদিন মালতীদি'র খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম আশিষবাবুদের বাড়ীর পেছনটায়? যেদিন আমি বলেছিলাম, মালতীদির হাতের চুড়ির শব্দে রিনঝিন- ঝনঝন- লাল নীল সবুজ- বিগত বরষার মতন চুলের ওড়াউড়ি দেখে-

"তোমার গায়ের গন্ধ আমার এত ভালো লাগে কেন, মালতীদি!"


মন্তব্য

রেনেট এর ছবি

শিরোনামে ০১ দেখে ধরে নিচ্ছি গল্পটি আরো অগ্রসর হবে।
অগ্রসর হলে ঠিক আছে।
অগ্রসর না হলে ঠিক নাই।
এতদিন পর পর লিখেন ক্যান? পিটানি খাইসেন?
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

ভাবতেসি পরের পর্বে কি আসতেসে ?
লেখাটা পড়ে মনটা কেমন জানি আউলা হয়ে গেল।
ভাল লিখেছ সেটা তো আর বলতে হবেনা।
------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

জি.এম.তানিম এর ছবি

আহা!হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

কীর্তিনাশা এর ছবি

এত দিন কোথায় ছিলেন ......... ?

না বনলতা সেন না, আমিই জিগাইতাসি আপনারে। দেঁতো হাসি

গল্পটা কি অসম্পূর্ন? যাউকগা গল্পে আপনাকে পাঁচতারা.......

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

অসাধারণ! আপনার হাতের যাদূ!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ফাটিয়ে দিয়েছ পরিবর্তনশীল। সিলেটি মেয়ে না খুঁইজা মালতিদি'র গায়ের ঘ্রাণটা আর একটু বেশি করেই নাও। আর আমরা এ রকম জাদুমাখা লেখা উপভোগ করি।

কল্পনা আক্তার এর ছবি

অসাধারণ লিখেছেন! অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়লাম হাসি

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

স্পর্শ এর ছবি

অনেক দিন পরে আবারো তোমার লেখা পেলাম।
লেখা দিন দিন আরো পরিণত হচ্ছে।
বই চাই এবার। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

চলুক

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শিক্ষানবিস এর ছবি

ভাল লাগলো। কালকেই নতুন পর্ব চাই।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

কেন যে এভাবে হারিয়ে যান বারবার... মন খারাপ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

নিবিড় এর ছবি

চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতিথি লেখক এর ছবি

অতিথি হিসেবে ঢুকে প্রথমেই সুন্দর একটা লেখা পড়লাম।

লুৎফর রহমান রিটন এর ছবি

আপনার পরিকল্পনা কি জানি না, গল্পটার এখানেই সমাপ্তি টানা ভালো।
...
টানটান আপনার গদ্য । এক কথায় চমৎকার।

হাবু বেশ বড়সড়,গাবুটা তো পিচ্চি
হেরে গিয়ে হাবু বলে--উৎসাহ দিচ্ছি!

মুস্তাফিজ এর ছবি

একটানে পড়ে ফেলার মত

...........................
Every Picture Tells a Story

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

দারুণ পদার্পণ!

কনফুসিয়াস এর ছবি

আমিও ভাবছিলাম, এখানে থেমে গেলেই একেবারে ছোট গল্পের সবরকম বৈশিষ্ঠ্য নিয়ে বেঁচে থাকবে গল্পটা।
ভাল লাগলো।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পরিবর্তনশীল ইজ ব্যাক!

তানবীরা এর ছবি

মারাত্বক। আমিও এই গল্পের এখানেই শেষ দাবী করছি

---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বিপ্রতীপ এর ছবি

অনেকদিন পরে লিখলা...বরাবরের মতোন...চলুক
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এই পোলাপানগুলো এরকম ম্যাচিউরড লেখা লেখে কিভাবে চিন্তিত

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সবাইকে ধন্যবাদ।
পদার্পণ আরো আছে ০২-০৩-০৪....
কিন্তু পরেরগুলো এটার ধারাবাহিক না।
প্রত্যেকটা আলাদা গল্প।
কিন্তু শিরোনাম এক। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

দ্যাটস কুউউউল, ড্যুড!! চলুক

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

চিন্তার বিষয়। চিন্তিত
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।