কৈশোরে চেপে ধরে সুনীল গাঙ্গুলী

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বিষ্যুদ, ০২/০৭/২০০৯ - ১১:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইইউটিতে আমার নোংরা বিছানার পাশে একটা নোংরা দেয়াল আছে। সেই নোংরা দেয়ালে পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে কয়েকটা লাইন লেখা। "আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ!"
অথচ নিখিলেশ নামের আমার কোন বন্ধু নেই। এমনকি খানিকটা চেনা জানা যেসব মুখ আমার- তাদের কারো পরিচয় নিখিলেশ নামে না! তবুও যখন বুঝি- অনন্ত পতন। তখন নোংরা বিছানার পাশে নোংরা দেয়ালে মলিন হয়ে আসা লাইনগুলোর দিকে তাকাই। মনে মনে বলি, আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা।

সুনীল গাঙ্গুলীর সাথে পরিচয় বড় রহস্যময় একটা সময়ে। যে সময়ের নাম 'কৈশোরকাল'। বড় রহস্যময় সেই কাল। রাস্তার পাশে রঙিন পোস্টারের সবকিছু- কিংবা সেই মেয়েটা, সুনীলের কবিতা পড়ে যার নাম দিয়েছিলাম 'নীরা'। সব রহস্যের একেকটা মহাকাব্য।

এর মাঝে একদিন যখন পড়লাম, "নারীর বুকে দাঁত বসানো কী শারীরিক আক্রমণ?" কিংবা,
আমি স্বপ্নের মধ্যে বাবুদের বাড়ির ছেলে
সেজে গেছি রঙ্গালয়ে, পরাগের মতো ফুঁ দিয়ে উড়িয়েছি দৃশ্যলোক।"
আমি এক নতুন রহস্যের সামনে এসে হাজির হই। আমার মনে হয়- একদিন বুঝি আমিও শ্মশানে গিয়ে মরে যাবার বদলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিংবা আমার ভেতর থেকে অন্য একজন উঠে এসেছিল, যে কীনা রিকশার হুড তুলে তার কিশোরী প্রেমিকার চিবুক ছুঁয়ে বলেছিল, "তুই দেখতে ঠিক নীরার মতন! অথবা তুই তোর করমচা রঙের হাতটা বিকেলের দিকে মেলে ধর্। সূর্য'র আবার যুবক হতে সাধ হবে। "

এরপর এমন হলো- তার মনে হতো কবিতা বোধহয় একা পাঠ করতে নেই। নইলে তারা দুজন কেন চলে যাবে রিকশায় চড়ে- কোচিং ফাঁকি দিয়ে 'নুপুর মার্কেট'- যেখানে সস্তায় পুরনো বই পাওয়া যায়?
নইলে কেন, তারাও অংকের খাতার মাঝখানে আনাড়ী হাতে কবিতা লিখে বলবে, 'এটা তোর জন্য।" ?
কেনইবা তারা চশমা বদল করবে ক্ষণিকের জন্য, শুধু একটু শিহরণের আশায়?

আমার ভেতর থেকে উঠে আসা লোকটা একদিন ঝুম বৃষ্টিতে নীরার বাড়ি গ্যালো। খুলশীর পাহাড় ঘেঁষা এক বাড়ির সামনে- এক বারান্দা- তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তার কিশোরী প্রেমিকা- যার নাম দেয়া হয়েছিলো নীরা- তাকে বললো, "তুই রূপালী মানবী! আমি এখানে বৃষ্টির নীচে দাঁড়িয়ে দেখবো- তোর একা বসে থাকা। বৃষ্টিতে না ভেজা।"

এরপর পড়লাম পূর্বপশ্চিম। তার নাম দিলাম অলি। অতীন মজুমদারকে খুন করার সেই ইচ্ছাটা আমার এখনো রয়ে গেলো।
পড়লাম 'একা এবং কয়েকজন'। আমার সূর্য হতে ইচ্ছে হলো।
পড়লাম 'সেই সময়'। হীরামণির জন্য কাঁদলো কিশোর।
পড়লাম 'প্রথম আলো'। রবি কিংবা কাদম্বরী দেবীকে দেখতে মন চাইলো।

আরো পরে পড়া হলো, 'অর্ধেক জীবন'। মধ্যরাতে কলকাতা শাসন করে চারজন যুবক। দীপক ট্রামরাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। প্রত্যেকটা ট্রাম যাবার সময় বাইরে থেকে ডাকে, 'সুনীল, সুনীল'। দীপক জানে, যে কোন একটা ট্রামে সুনীল থাকবেই!

এরপর সময় গ্যালো। গাঢ় অভিমানে মানুষ কিংবা মানুষের মতন আর যা কিছু আছে- বুক চিরে দেখলাম। জানলাম- সেই করমচা রঙের হাতের কিশোরী- আমার ভেতর থেকে উঠে আসা একজন যার নাম দিয়েছিল নীরা- তার বুকে মাংসের গন্ধ- সে তখন যে কোনো নারী!

কিন্তু কৈশোরকাল দূর হলো না!

বললো- দেয়ালের চুন-ভাঙা দাগটিও বড় প্রিয়!


মন্তব্য

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আপনার এই লেখা আমার অনেকদিন মনে থাকবে। চলুক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অমিত এর ছবি

বিপ্লব

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আচ্ছা হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

"চে, তোমার মৃত্যু আমাকে অপরাধী করে দেয়।
আমি এখনো প্রস্তুত হতে পারিনি, আমার অনবরত দেরী হয়ে যাচ্ছে।"- সুনীল গাঙ্গুলীর এই লাইন দুটো আমার ভীষণ প্রিয়।

পরিবর্তনশীল, আপনার লেখাটা অবিশেষণযোগ্য হয়েছে।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সুনীল গাঙ্গুলীর এই লাইনগুলা আমারও ভাল্লাগে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নিবিড় এর ছবি

মাঝখানে তোর আগের লেখা গুলো পড়ছিলাম তাই এই লেখাটা পড়ার সময় একটা জিনিস স্পষ্ট চোখে পড়ল, তোর লেখা আজকাল আগের তুলনায় অনেক পরিণত।

সুনীল আমাকে প্রথম মুগ্ধ করেছিল পূর্ব-পশ্চিমে তারপর আর অনেকবার অনেকভাবে।


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আগের লেখা গুলা পড়তে গেলি ক্যান? এইগুলা তাও একটু দেখা যায়- কিন্তু ঐগুলা তো একেবারে অখাদ্য।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

এই লেখার প্রশংসা করার ভাষা নাই। সুনীলের উপন্যাস বেশ কয়েকটা পড়লেও কবিতা খুব বেশী পড়িনি। তারপরও এই লেখা মনের মধ্যে যে ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করেছে, কবি হলে তা লিখে বোঝাতে পারতাম।

নিবিড় এর ছবি

অ্যাঁ ভ্রাত তোমারো কবি হইতে ইচ্ছে করে চিন্তিত


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমিও চিন্তাইতেছি... চিন্তিত
শিক্ষানবিশ কয় কী !! অ্যাঁ

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আশ্চর্য হলেও সত্যি- বুঝে গেছি। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ফারুক হাসান এর ছবি

চলুক গোল্ডেন ফাইভ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

থ্যাংকু। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তুলিরেখা এর ছবি

আহা সেই সময়, আহা নবীন কুমার!
এখনকার সুনীলকে পড়লে এত খারাপ লাগে যে পালিয়ে যাই নীললোহিতের দিকশূন্যপুরে, সেখানে আমার মৌরীফুল অহনা দিদি আছে। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ঠিক। এখনকার সুনীল আর পড়া যায় না। তবে- আগের অসংখ্য লেখা বারবার পড়া যায়। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জিফরান খালেদ এর ছবি

ঐটা দীপক না, বুঢঢা।

ভাল লাগলো খুব। অতীনরে মাইরা ফেলনের ইচ্ছার সাথে আমারটাও মিশা।

তবে, আমি আত্মপ্রকাশ, যুবক-যুবতীরা, স্বপ্ন-লজ্জাহীন, ত্রিস্তান-ঈসল্ট্রে নিয়া বইটা, (সোনালী দুঃখ) - এইগুলার ভক্ত বেশি। আর, ছবির দেশে কবিতার দেশে। মার্গারিটরে ভুলতে পারি নাই। শালার...

নীললোহিতের 'সুদূর ঝর্ণার জলে' অসাধারণ আরেকটা বই ওর... আর, কবিতার বইগুলা...

বাদ দিই। পরিবর্তনশীল তুই মইরা যা। আর লিখনের কাম নাই।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ভুল হয়ে গ্যাসে।

স্বপ্ন লজ্জাহীন পড়া হয় নাই।

সুনীলের 'নীললোহিত' ছদ্মনামে লেখাগুলো সবচে অদ্ভূত লাগতো। 'রূপালী মানবী' নামে একটা উপন্যাসও ছিলো বোধহয়।

আর মার্গারেটের কথা কী ভোলা যায়?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জিফরান খালেদ এর ছবি

ভুল হইলে ঠিক কইরা দে। দীপক আর বুঢঢার গুরুত্ব বা এমনকি প্রভাবও তো তার জীবনে, যাকে বলে, আকাশ পাতাল। দীপক হইলো ওর এক্কেরে কৈশোর পেরুনো প্রথম কবি বন্ধু। দুইজনে মিলে মনে হয় একবার সিগনেট প্রেসের মালিকের বাসায় গেসিলো (নাম খায়া ফেলসি), বইটই ছাপাবে।

আর, ঐ সিগনেট প্রেসের মালিকবংশেরই একজন হইলো বুঢঢা, সুনন্দ গুহঠাকুরতা। (এইটাই তো নাম মনে হয়)। ১৮টা নাকি ২৮টা ভাষা লিখতে ও বলতে পারতো। এই লোকের প্রভাব সুনীলের উপর নাকি খারাপ আসিলো না, ওর বয়ানমতো। আর, এদের দুইজনের বন্ধুত্বও অমানবিক কিসিমের আসিলো। ঐটারই একটা নিদর্শন আসিলো ঐ বাসের ঘটনাটা। সুনীল এক জায়গায় কইসিলো, বুঢঢারে লয়া একটা বায়োগ্রাফি লিখবো। জানি না লেখসে কিনা। কারো খোঁজ থাকলে কয়েন।

দুর্দান্ত এর ছবি

ভাল লেগেছে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

লগ-ইন করে শুধু আমার ভালো লাগার কথাটি জানিয়ে গেলাম। খুবই সুন্দর।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

চমৎকার লাগলো চলুক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অনিকেত এর ছবি

অনেকখন ধরে লেখাটার দিকে তাকিয়ে আছি।
এই লেখাটা নিঃসন্দেহে তোমার সেরা লেখাগুলোর একটা।
এই লেখা--তোমার 'জাত' চেনানো লেখা।

শুভেচ্ছা----

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আপনার মত বড় ভাইয়ের উৎসাহ সবসময় পথ দেখায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মামুন হক এর ছবি

পরিবর্তনশীল আমাকে ইদানিং প্রায়ই কাঁপিয়ে দিচ্ছেন, তার লেখার ধার ও ভারে।
সুনীল বাবুর গদ্যের আমি বিরাট ভক্ত, যেগুলো কথা লিখেছেন তার সব কয়টাই পড়া হয়েছে, এখন আবার পড়তে ইচ্ছা করছে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

শক্তি একবার বলেছিলেন, "আমি বাদে আর কেউ কবিতা লিখতে পারে না। ও না না। সুনীল পারে।"

কিন্তু আফসোস- সেই সুনীল হারায়ে গেলো।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মামুন হক এর ছবি

হ ভাই , বড়ো আফসোস, ঐটা আমি আসলে বলতে চাই নাই, আপনিই বলে দিলেন হাসি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

না বললোও হয় অবশ্য। এত ভালো লেখা লিখছেন আগে- তাই মাফ করে দেয়া যায় হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মামুন হক এর ছবি

আমি একমত হাসি

পথে হারানো মেয়ে এর ছবি

আপনার জন্য আজ অনেকদিন পরে আবার সুনীল পড়া হল। লেখাটা কেমন লাগলো তা আর না বলি!
ওহ্‌, স্বপ্ন লজ্জাহীন পারলে পড়ে নিয়েন। দর্পণে কার মুখ পড়া না থাকলে—সেটাও।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

জিফরান ভাইও বলছিলো স্বপ্ন লজ্জাহীনের কথা।
পাঠ্যবইয়ের বাইরে পড়া আমার প্রথম কবিতা ছিলো- দুটি অভিশাপ।

সুনীল গাংগুলী আমাকে কবিতা পড়তে শিখিয়েছিলো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ভুতুম এর ছবি

রেটিং দিতারি না, আরলে ফাঁচের উফরে সোয়া ফাঁচ দিতাম।

খুব ভালো লেগেছে।

-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

রেটিংএ কী আসে যায়?
ভালো লাগছে জেনেই খুশি হই। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

গুরু গুরু
এখন আস্তে আস্তে 'একা এবং কয়েকজন' পড়ছি।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কোনটা? গদ্যটা নাকি পদ্যটা?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

গদ্যটা।
আপনার এই লেখা প্রিয়তে রাখতে ইচ্ছা করলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কল্পনা আক্তার এর ছবি

নিঃসন্দেহে এটি আপনার শ্রেষ্ঠ লেখা......

........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সিরাত এর ছবি

আমি আপনার লেখায় যে রেটিং দিলাম, তার সমান ভাগীদার আপনি এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় দুইজনই। সুনীলদাই বেশি।

বাংলায় আমার প্রিয় লেখক। আর কিছু বলার নেই।

আমার খুব ইচ্ছা ওনাকে নিয়ে লেখার। দেখি, কবে হয়ে ওঠে!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তাড়াতাড়ি লিখে ফ্যালেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

তোর কিছু কিছু লেখা পড়ার পর মনে হয় দুনিয়াসুদ্ধ সব মানুষকে ডেকে ডেকে এনে পড়াই..

---------------------------------

তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্‌ পাটুস্‌ চাও?!

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

শুনিয়া বড়ই আমোদ পাইলাম হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তীরন্দাজ এর ছবি

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই সময় পড়েই লেখালেখি করার সাধ জেগেছিল। আপনার লেখাটি দারুন ভালো লেগেছে!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আমার ক্ষেত্রেও তাই।
ধন্যবাদ তীরুদা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

শরীরের ভেতর দিয়ে কয়েক হাজার ভোল্টের কারেন্ট গেলে তো মানুষের মরে যাবারই কথা! আমি লেখাটা পড়লাম, কিন্তু মরলাম না .... .. ... তার মানে, আপনার লেখাটায় একই রকম ক্ষমতার অন্য কিছু (?) আছে যেটা মারে না, আরোও বেশী করে বাঁচিয়ে তোলে!

... কি জানি কি লিখলাম! অনেক বেশী ভালো লাগার অনুভূতি ব্যক্ত করা দুষ্কর!
ভালো থাকুন।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী লিখছেন জানিনা!
তবে এই মন্তব্য আমার মনে থাকবে। ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

বিপ্লব রহমান এর ছবি

লেখাটি খুব অন্যরকম ভালো। চলুক


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ বিপ্লবদা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ফাউল লেখা প্রচুর। গদ্যের তুলনায় কবিতাগুলি টেনেছিল বেশী ঐ বয়সে। ঐতিহাসিক উপন্যাসগুলির মধ্যে প্রবলভাবে টেনেছিল সেই সময় আর একা এবং কয়েকজন। সেই সময়টা উপন্যাস হিসেবে বেশী ভালো হয়েছে প্যাক্টনেসের কারণে। সুনীলের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে খুব বড় ক্যানভাসে কাজ শুরু করে মাঝপথে খেই হারানো। একা এবং কয়েকজনে সেটা খুব চোখে পড়ে। ১৯৪৭ পর্যন্ত দুর্দান্ত। কিন্তু এর পরে এসে ঝুলে গেছে। নীললোহিতগুলি ধুনফুন লেগেছে। কাকাবাবু ১৯৯৫ পর্যন্ত প্রায় সবই পড়েছি। কাকাবাবু ভালো লাগতো। ১৯৯৬-৯৭ এর পরে আবার যখন সুনীল পড়া শুরু করলাম তখন মনোযোগ পুরোটাই কবিতার উপরে ছিল। বিশেষ করে কৃত্তিবাস যূগের কবিতাগুলি।



অজ্ঞাতবাস

দময়ন্তী এর ছবি

বড় প্রেক্ষাপট নিয়ে শুরু করে, শেষে ছড়িয়ে ফেলা সম্পর্কে আপনার বক্তব্যের সাথে একমত৷

একটা ছোট সংশোধনী: "কীর্ত্তিবাস' নয়, "কৃত্তিবাস' ৷ পত্রিকাটি এখনও বেরোয়৷ ওয়েবসাইটও আছে একখানা৷
--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

সুমন চৌধুরী এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

এটার একটা কারণ হইতে পারে বিভিন্ন পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে উপন্যাস লেখা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কনফুসিয়াস এর ছবি

সুনীল একসময় বড় ভাল লাগতো, গদ্য কবিতা দুটাই। এখনও পুরনো লেখাগুলা উল্টে পাল্টে পড়তে ভাল লাগে।
কিন্তু তোমার এই লেখাটা দুর্দান্ত হয়েছে। চলুক

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

পুরান একটা লেখা মানে- সেই লেখাটা যখন প্রথম পড়ছি- সেই সময়ের সাথে একটু ইটিশ পিটিশ করা আর কী! হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আহমেদুর রশীদ [অতিথি] এর ছবি

খুবই ছুঁয়ে যাওয়া লেখা...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আরে, প্রকাশক সাহেব নাকি? ধইন্যবাদ। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

বিপ্রতীপ এর ছবি

লেখায় উত্তম জাঝা!

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ফাউল লেখা প্রচুর।

সুনীল সম্পর্কে আমার মনোভাব ছিল এরকমই। প্রথম আলো, সেই সময় আর পূর্ব-পশ্চিম পড়ার পর মনে হয়েছে এই লেখককে আরো হাজারখানেক ফাউল লেখার জন্য ক্ষমা করে দেয়া উচিত।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর

পরিবর্তনশীল এর ছবি

উচিত না। করতেই হবে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

সেই সময়
প্রথম আলো
একা এবং কয়েকজন
ছবির দেশে কবিতার দেশে
পূর্ব পশ্চিম
অর্ধেক জীবন

শুধু এই বইগুলির জন্যই সুনীল সারাজীবন আমার প্রিয় লেখ হয়ে থাকবেন ... কৈশোরে কাকাবাবু পড়ে যে মজাটা পাইতাম সেটা তো বাদই রইলো ...

লেখাটা দারূণ হইসে চলুক
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কাকাবাবু আমার পড়া হয় নাই মন খারাপ
এখন পড়তে গ্যালেও বোধহয় লাভ হবে না। বড় হয়ে গেছি তো মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দময়ন্তী এর ছবি

অতি ভাল লেখা৷

-----------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অতি বড় ধন্যবাদ হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রণদীপম বসু এর ছবি

আমাদের বয়ঃসন্ধির কালে কিংবা আমরা যখন তাজা কৈশোর থেকে তুখোড় তারুণ্যে পা দিচ্ছি, আবিষ্কার করলাম সুনীলের কবিতাই মুখে মুখে ফিরছে বেশি। কবি হবার অভিশপ্ত বাসনায় পেয়ে বসলো। তারপর আরো অনেকগুলো বছর পর একদিন (সম্ভবত ১৯৯৭ কোলকাতা বইমেলা সংখ্যা) পূর্ণেন্দু পত্রী'র আঁকা প্রচ্ছদ নিয়ে বেরুনো কোলকাতার একটা ম্যাগাজিনে সুনীলের সাথে বাংলাদেশি কবি হিসেবে আমারও একটা কবিতা ছাপা হলে সেদিন আনন্দে মরে যেতে ইচ্ছে হযেছিল। এখন আর আবেগের তীব্রতা এতোটা আসে না। কারণ সুনীলের পরবর্তী কবিতাগুলো আমাকে আর খুব একটা কাছে টানেনি।
অনেকের মতো আমিও প্রথম 'সেই সময়' পড়েই একজন গবেষকধর্মী পরিশ্রমী লেখক হিসেবে সুনীলের খুব ভক্ত হয়ে পড়ি।
সুনীলের ইদানিংকালের লেখা পড়া হয় না কিংবা খোঁজও রাখি না। তবে পরিবর্তনশীলের লেখাটা খুব নাড়া দিয়ে আমাকে প্রথম প্রেমের মতোই সেই পুরনো সুনীলের কথা মনে করিয়ে দিলো।
ধন্যবাদ পরিবর্তনশীল, দারুণ হয়েছে লেখাটা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পরিবর্তনশীল এর ছবি

রণদা- আপনি তো তাইলে অনেক বড় কবি। একটা ঘটনা মনে পড়ে গ্যালো আপনারটা পড়ে। বুদ্ধদেব বসুর সম্পাদিত কবিতার একটা পত্রিকায়, সুনীলদের যখন তরুণ বয়স- প্রথম কবিতাটা ছিল বুড়া রবি'র আর শেষেরটা ছিল সুনীল গাংগুলীর।

সেই সময় আসলেই অদ্ভূত। এক দেড়শ বছর আগের একটা সময় মানুষ কিভাবে লিখে চোখের সামনে নিয়ে আসতে পারে? এইটা পড়েই ঐতিহাসিক কিংবা ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাসের পোকা হয়ে গেছিলাম।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রণদীপম বসু এর ছবি

কী রে ভাই ! ইমোশনাল হইয়া না হয় একটু অতীত-পাগলামীর কথা কইলামই ! তাই বইলা প্রথম লাইনেই গালাগালি করবেন !
নাহ্, আপনে পরিবর্তন হইয়া গেছেন গা....!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আরে বস্, খেপলেন নাকি? হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দ্রোহী এর ছবি

লেখাটার মধ্যে কী যেন আছে!! বুকের ভেতর কোথায় গিয়ে কী যেন একটা ছুঁয়ে দিলো!!!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দ্রোহীদাও দেখি আবেগে ইমোশনাল হয়ে গ্যালো। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

লেখা টা ভালো লাগলো কেন জানি।
আমি সুনীলের তেমন বড় পাঠক না......তবু ভালো লাগলো।

অচেনা প্রার্থনা।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ অচেনা প্রার্থনা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সোহানা এর ছবি

সুনীলের লেখা ভালো লাগে খুব তবে কখনো তার বিশাল ভক্ত হওয়া হয়ে ওঠেনি...
আপনার লেখাটা ভাবালো...পেছনে ফিরে তাকাতে হলো।
ভালো থাকবেন।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

দেখুন পুরনো কয়েকটা লেখা পড়ে। ভালো লেগেও যেতে পারে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রানা মেহের এর ছবি

আমি অবশ্য সুনীলের খুব বিশাল ভক্ত নই
আপনার লেখাটা ভালো লাগলো ভাইয়া
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ রানাপু। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুমন সুপান্থ এর ছবি

একবার কোথায় জানি, চ্যাটে, তোমার সঙ্গে এই কথাগুলো বলছিলাম,আর যা ভাবছিলাম; নিবিড়ও দেখি সেটা খুব খেয়াল করেছেন, বললেন- মাঝখানে তোর আগের লেখা গুলো পড়ছিলাম তাই এই লেখাটা পড়ার সময় একটা জিনিস স্পষ্ট চোখে পড়ল, তোর লেখা আজকাল আগের তুলনায় অনেক পরিণত।
আমি এটা কি করে জানি জেনেছিলাম!

শুধু গদ্যভঙ্গি, শব্দ-নির্বাচন হিসেবে ধরলে (তোমার যতোগুলো আমি পড়েছি) এটা সন্দাহাতীত ভাবে সেরা। ঈর্ষাজাগানিয়া ।

অভিবাদন ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ সুমন ভাই।
সেদিন আপনার বলা কথাগুলো কাজে দিচ্ছে মনে হয়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কাজী আসিফ হোসেন [অতিথি] এর ছবি

ভালো লাগলো....

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মূলত পাঠক এর ছবি

সুনীলের 'আত্মপ্রকাশ' আর 'যুবকযুবতীরা' অসাধারণ, ঐ দুখানা লিখে থেমে গেলেও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি থাকতে পারতেন। 'ছবির দেশে, কবিতার দেশে' পড়েই প্যারিস আমার অবশ্যগন্তব্য হয়ে যায়, সেখানের পথে পথে তিনিও আমার সাথে সাথে হঁেটেছিলেন নিশ্চয়ই। এখন পুরোপুরি উচ্ছন্নে গেছেন, লেখায় ও মতাদর্শে, কিন্তু অতীত তো আর বদলায় না।

'সেই সময়' নিয়ে একটা বিতর্ক আছে, ঐতিহাসিক উপন্যাসে লেখকের স্বাধীনতা কত দূর হতে পারে তাই নিয়ে। কালীপ্রসন্ন সিংহের আদলে চরিত্র বানালে তাকে জারজ করে দেওয়া যেতে পারে কি স্রেফ গল্পের প্রয়োজনে? এ নিয়ে নারায়ণ সান্যালের একটি চমৎকার প্রবন্ধ আছে যা তাঁর অবিস্মরণীয়া/অনির্বচনীয়া গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত। আগ্রহী পাঠক পড়ে দেখতে পারেন।

ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

নারায়ণ সান্যালের প্রবন্ধটা কী নেটে পাওয়া যাবে ?

দময়ন্তী এর ছবি

তাই ? আমার যেন মনে হচ্ছে বইটার নাম "আবার সে এসেছে ফিরিয়া'
--------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'

-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'

জিফরান খালেদ এর ছবি

এই দুইটা বইতেই তো সত্যিকারের আধুনিক ডিকশনটা ও লয়া আনে... আমি নিজে 'একা এবং কয়েকজন'কে বাদ দিবো না। তবে, এই দুইটা উপন্যাসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব আসে অন্যরকম।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হুম। পড়ে দেখবো্।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কীর্তিনাশা এর ছবি

একরাশ মুগ্ধতা চলুক

অভিভুত হয়ে গেলাম লেখাটা পড়ে। গুরু গুরু

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অমানবিক রকম ভালো লাগল লেখাটা চলুক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অমানবিক রকম ভালো লাগাটা পজিটিভ না নেগেটিভ? হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তিথীডোর এর ছবি

♪♫ 'শৈশবে ভাল লাগে ক্যারাম- ডাঙ্গুলি
কৈশোরে চেপে ধরে সুনীল গাঙ্গুলী....'♪♫

এই লেখাটা যে এ নিয়ে কতবার পড়লাম!!!

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অতিথি লেখক এর ছবি

বোকার মত একটা প্রশ্ন করি।
'একা ও কয়েকজন' কি কবিতা না উপন্যাস?

অতিথি লেখক এর ছবি

বোকার মত একটা প্রশ্ন করি।
'একা ও কয়েকজন' কি কবিতা না উপন্যাস?

অতিথি লেখক এর ছবি

বোকার মত একটা প্রশ্ন করি।
'একা ও কয়েকজন' কি কবিতা না উপন্যাস?

কালো কাক এর ছবি

উপন্যাস

তিথীডোর এর ছবি

'একা ও কয়েকজন' নামে সুনীলের একটি কবিতার বইও আছে। হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মহাস্থবির জাতক এর ছবি

আমি এক নতুন রহস্যের সামনে এসে হাজির হই। আমার মনে হয়- একদিন বুঝি আমিও শ্মশানে গিয়ে মরে যাবার বদলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কিংবা আমার ভেতর থেকে অন্য একজন উঠে এসেছিল, যে কীনা রিকশার হুড তুলে তার কিশোরী প্রেমিকার চিবুক ছুঁয়ে বলেছিল, "তুই দেখতে ঠিক নীরার মতন! অথবা তুই তোর করমচা রঙের হাতটা বিকেলের দিকে মেলে ধর্। সূর্য'র আবার যুবক হতে সাধ হবে। "

এরপর এমন হলো- তার মনে হতো কবিতা বোধহয় একা পাঠ করতে নেই। নইলে তারা দুজন কেন চলে যাবে রিকশায় চড়ে- কোচিং ফাঁকি দিয়ে 'নুপুর মার্কেট'- যেখানে সস্তায় পুরনো বই পাওয়া যায়?
নইলে কেন, তারাও অংকের খাতার মাঝখানে আনাড়ী হাতে কবিতা লিখে বলবে, 'এটা তোর জন্য।" ?
কেনইবা তারা চশমা বদল করবে ক্ষণিকের জন্য, শুধু একটু শিহরণের আশায়?

আমার ভেতর থেকে উঠে আসা লোকটা একদিন ঝুম বৃষ্টিতে নীরার বাড়ি গ্যালো। খুলশীর পাহাড় ঘেঁষা এক বাড়ির সামনে- এক বারান্দা- তার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো। তার কিশোরী প্রেমিকা- যার নাম দেয়া হয়েছিলো নীরা- তাকে বললো, "তুই রূপালী মানবী! আমি এখানে বৃষ্টির নীচে দাঁড়িয়ে দেখবো- তোর একা বসে থাকা। বৃষ্টিতে না ভেজা।"

এই লাইনগুলো লিখে আপনি আমার কষ্টগুলো কতটা বাড়ালেন, তা আপনি জানেন না বলেই আপনাকে ক্ষমা করলাম।

এত কম লেখেন কেন?
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!

(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

আয়েশ করে বসতে না বসতেই লেখাটি শেষ হয়ে গেল। শেষ হলো কেন? চমৎকার লেখা

তারেক অণু এর ছবি
হিল্লোল এর ছবি

অসাধারণ একটা লিখা। সুনীল আমাকেও কাঁপিয়ে গিয়েছিলেন সেই কৈশোরে। মার্গারেট কিংবা ভূমিসুতার কাঁটা দাগ এখনো রয়ে গেছে মনের গভীরে।

পাঠক এর ছবি

লেখাটি পড়ে অব্যক্ত এক ভাললাগায় আচ্ছন্ন হলাম।

ধন্যবাদ তিথীডোর, আপনার একটি মন্তব্য থেকেই এই লেখারটির লিঙ্কটি পেলাম।

প্রৌঢ়ভাবনা

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

১৭ নং এর সাথে আমি আর একটা নাম যোগ করতে চাই, নীললোহিত নিয়ে আমার প্রথম পড়া বই "মনে আছে? মনে থাকবে?"
আর লেখকের কথা কী বলব? অসাধারণ, মনে হচ্ছিল বুকের ভেতর থেকে কথাগুলো উঠে আসছে। অসাধারণ!

পাঠক এর ছবি

ভালো লাগলো ভীষন....

নীরা

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফ্লাইন) এর ছবি

কী অসাধারণ!!! আপনারা ফিরে আসবেন আবার সেই স্বপ্ন দেখি...........

guesr_writer rajkonya এর ছবি

''ছবির দেশে কবিতার দেশে'' পড়ে আমি নিজেই হয়ে গেলাম মার্গারেট ম্যাতিউ। হাসি

নৈষাদ এর ছবি

তিথীডোর এবং সুহানের চমৎকার লেখাগুলোর সাথে আমার প্রিয় পুরানো এই লেখাটার কথাও মনে হল।

তিথীডোর এর ছবি

ইয়ে, এদের সঙ্গে আমার নাম নিলে বড় বিব্রত হয়ে পড়ি।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।