শিক্ষিত মধ্যবিত্তের অগ্যস্ত যাত্রা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: মঙ্গল, ১৯/০৮/২০০৮ - ৪:১৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়ে বের হবার দশ বৎসর পর আমাদের ব্যাচের মধ্যে একটা জরীপ হয়েছিল।জরীপে দেখা যায় আমাদের মাত্র ১২% জন বাংলাদেশে বাস করছেন। ৬৫% জনের বেশী বাস করেন উত্তর আমেরিকায় (প্রধাণতঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে)। বাকীরা অস্ট্রেলিয়া, নিউজীল্যান্ড বা ইউরোপে। সেই ১২%-এর মধ্যে মাত্র একজন আমেরিকা ফেরত। বাকীরা কেউ আর ফেরেননি। দশ বৎসর পার হবার পর আরো দুই বৎসর কেটে গেছে। এখন জরীপ করলে দেখা যাবে ১২% কমে ১০%-এর নীচে নেমে গেছে। অবশ্য গত পঁচিশ বৎসরে গণহারে মহাপ্রস্থাণের ব্যাপারে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। একে ভিত্তি ধরে গোটা দেশের হিসেব করা যাবে না। তাই দেশের মোটমাট চেহারাটি এতটা অবাক হবার মত নয়, কিন্তু হেলা-ফেলা করার মতও নয়।

আমাদের থেকে বারো-পনের বৎসর আগের ব্যাচগুলোতে দেশত্যাগের এমন মহামারী রূপ দেখা যায়না। কিন্তু তারপর যতই দিন গেছে, দেশত্যাগের ব্যাপারটা ততই আবশ্যিক বা অবশ্যম্ভাবী হয়ে গেছে। ৯/১১ পর, অর্থাৎ আমাদের পাঁচ-ছয় ব্যাচ পর থেকে মার্কিন মুলুকে যাওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়লেও দেশত্যাগের হার কমেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জায়গা দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা বা ইউরোপ। বাংলাদেশী ডাক্তারদের তীর্থভূমি যুক্তরাজ্যও এখন আর তাদের বা সিলেটি ভাইদের একচেটিয়া নয়। অন্যরাও সমান তালে সেখানে ঠাঁই গাড়ছেন।

ধারনা করা হয় প্রায় এক কোটি বাংলাদেশী এখন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে আছেন। কূপমন্ডুকতার বদনাম ঘুঁচিয়ে বাংলাদেশীরা এখন পূর্বে জাপান থেকে পশ্চিমে হাওয়াই পর্যন্ত বসতি গাড়ছেন। যেসব দেশে কেউ কখনো পড়তে যাবার কথা ভাবেন নি সেসব দেশ যেমন গণচীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তুরস্ক বা গ্রীসে আমাদের অনুজরা স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়তে যাচ্ছেন। এই পড়তে যাবার অবশ্যম্ভাবী পরিনতি হচ্ছে দেশে না ফেরা। সম্ভব হলে যেখানে পড়তে গেছেন সেখানে থেকে যান অথবা তার থেকে বেশী সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন দেশে চলে যান।

আজকের বাংলাদেশের মেধাবী, যোগ্যতাসম্পন্ন প্রায় সবার প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য লক্ষ্য হচ্ছে যে কোন উপায়ে দেশত্যাগ। এমনকি দেশে যারা যথেষ্ঠ ভাল অবস্থায়, ভাল অবস্থানে আছেন তারাও জীবনের একটা পর্যায়ে সামাজিক নিরাপত্তাসম্পন্ন দেশে চলে যাবার চেষ্টা করেন। এবং তাদের খুব কমজনই বিফল হন। ব্যক্তিগতভাবে গত দশ বৎসর যাবত এই অধম পান্ডব তার আত্মীয়-পরিচিতজনদের সাথে দেখা হলেই “এখনো কেন বিদেশ চলে যাচ্ছ না” এই প্রশ্নটি অবধারিতভাবে শুনে আসছে।

আমি এই “না-ফেরাদের” অবশ্যই ফিরে আসার পক্ষপাতী নই। কারন এদের খুব কমজনকেই আমরা অ্যাকোমোডেট করতে সক্ষম। এদের দলে দলে ফিরে আসা দেশে বেকার-হতাশ-ম্রিয়মান শিক্ষিত লোকের সংখ্যা বাড়াবে। বরং দেশের বাইরে থেকে তারা নিজের জন্য, পরিবার-পরিজনদের জন্য বা দেশের জন্য অনেক কিছু করতে পারেন। এই অনেক কিছু মূলতঃ আর্থিক। দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অত্যাবশকীয় মেধার সাপোর্ট দিতে তারা অক্ষম। এই অক্ষমতা অসামর্থ্যতার জন্য নয়, ভৌত দূরত্বের জন্য। তথ্য বা যোগাযোগ প্রযুক্তিতে যতই উন্নতি হোক না কেন কিছু কিছু বিষয় যেমন, ব্যবস্থাপণা, তত্ত্বাবধায়ণ, প্রশিক্ষণ, নেতৃত্ব ইত্যাদি বিষয় টেলিফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে খুবই সীমিত আকারে করা সম্ভব।

“না-ফেরাদের” অধিকাংশ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর। আমরা যতই “শিক্ষিত মধ্যবিত্ত”দের গালাগালি করি না কেন অবকাঠামোগত উন্নয়নে, রাজনৈতিক নেতৃত্বে, শিক্ষা কাঠামোয় তাদের ঐতিহাসিক ভূমিকাকে অস্বীকার করতে পারি না। শিক্ষিত মধ্যবিত্তদের একটা অংশের দেশত্যাগের ফলে, এবং তারচেয়ে বড় অংশের দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার ফলে দেশ এর মধ্যেই অদক্ষ আমলা, দুর্বৃত্ত রাজনীতিক আর অযোগ্য শিক্ষকে ভরে উঠছে।

শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণীর রাজনীতি তথা দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবার ফলে গোটা দেশের ভবিষ্যতই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে পড়েছে। নতুন নেতা তৈরী হবার, দক্ষ কর্মী বাহিনী গড়ে ওঠার আর পথ থাকছেনা। নেতাদের বা দক্ষ-নিবেদিত প্রান কর্মীদের হঠাৎ দেশত্যাগ বিপুল পরিমান সাধারণ কর্মীদের মধ্যে গভীর হতাশা নিয়ে আসছে।

দেশ পরিচালনা, জাতি গঠণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সর্বোপরি জন-মানুষের কল্যানের জন্য রাজনীতির কোন বিকল্প হতে পারে না। এটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে বা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে চলতে পারে না। জনসংলগ্নতা না থাকলে তা কোন কার্যকর ফলও দিতে পারে না। আজকাল দেশ থেকে গা ঢাকা দেয়া রাজনীতিকরা যোগাযোগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের পেটোয়া বাহিনীকে যেভাবে নিয়ন্ত্রন করছেন তাতে দেশের রাজনীতির একটা অংশ যে মাফিয়া-বাণিজ্যে পরিনত হয়েছে তা বোঝা যায়।

দেশ ছাড়ার অল্প সময় পরই যারা দেশত্যাগ করেছেন (তা যে উদ্দ্যেশ্যেই হোক), তাদের নিজের দেশ সম্পর্কে নতুন বোধোদয় হয়। তারা দেশ সম্পর্কে গভীর মমতাবোধ করেন। দেশের প্রবাসী/পর্যটক পরিচিত/অপরিচিত যে কারো সাথে দেখা বা কথা হলে তাদের সে আকুতি ফুটে ওঠে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার উপায় থাকে না।

এই পর্যায়ে এসে আমাদের অসহায়বোধ করা ছাড়া গতি থাকেনা। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত রাজনীতিতে না আসলে রাজনীতির গুনগত বা বস্তুগত উন্নয়ন হয় না। আবার অপেক্ষাকৃত ভাল সুযোগ পাবার সম্ভাবনা থাকলে তাদের দেশত্যাগ করতে না বলারও কোন যৌক্তিকতা নেই। আমরা বরং মধ্যবর্তী একটা পথের কথা ভাবতে পারি, যেখানে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না, তা তিনি দেশেই থাকুন বা বিদেশে থাকুন। তারা রাজনীতি থেকেও মুখ ফেরাবেন না। যাতে পরিনতিতে দেশে বা বিদেশে নিজের দেশ সম্পর্কে খারাপ কিছু শুনতে না হয়। দেশের রাজনৈতিক অধঃপতন হলে “ব্যর্থ রাষ্ট্র”, “বিপদজনক রাষ্ট্র”, “ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র” এই বিশেষনগুলো সংখ্যায় কেবল বাড়তেই থাকবে। তাতে বিদেশে বাস করাও আরামদায়ক হবে না। প্রতি নিয়ত বঞ্চনা, অপমান, অবিচার আর হতাশার মুখোমুখি হতে হবে।

তাই দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের শারিরীক নয় মানসিক “অগ্যস্ত যাত্রা” ঠেকাতে হবে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

"অগস্ত্য যাত্রা" হবে বোধহয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

প্রিয় হিমু, উচ্চ শিক্ষার্থে আপনাকে এর মধ্যেই দেশ ছাড়তে হয়েছে। এরপর জীবিকার প্রয়োজনে হয়তো আপনাকে বিদেশেই থাকতে হবে। তারপরও দূরে থেকেও যদি দেশের টেকসই উন্নয়ন বা গণমানুষের কল্যানের জন্য কিছু করেন বা কিছু করার কথা ভাবেন, অন্যকে উদ্ধুদ্ধ করেন তাহলে আর যাত্রাটা "অগ্যস্ত যাত্রা" হবে না।

যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন। শুধু দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না প্লিজ।

=================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দৌবারিক এর ছবি

আমার ছোটবেলার চার ঘনিষ্ঠ বন্ধু বউসমেত লন্ডনে।
সবাই যদি চলে যায় তবে বাংলাদেশকে পাহারা দিবে কে? তাই আমি দৌবারিক।

সৌরভ এর ছবি

আমি নিজেই একটা ট্রানজিশন সময়ে আছি। সেই জন্যে জানি, এই পর্যবেক্ষণ কতোটা সত্যি।

দেশে খুব ভালো চাকুরি করে, এরকম বন্ধু চিরতরে চলে যাবার প্রস্তুতি নিতে থাকে অস্ট্রেলিয়ার কোন জনমানবহীন প্রদেশে। কিংবা, এক বছরের জন্যে কোথাও যাচ্ছে, আসলে ফেরার ইচ্ছেটাই নেই শুরুর থেকে। এই গল্পগুলো প্রতিদিন দেখছি।

ফিরতেই তো চাই, কিন্তু কীভাবে?


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

খুব কম জনেরই ফেরার উপায় থাকে। এই বাস্তবতাটিকে আমাদের মেনে নিতে হবে। আমিও কিন্তু তাদের ফিরে আসার কথা বলিনি। যারা চলে যেতে চাইছেন বা বাধ্য হচ্ছেন তাদেরকেও ঠেকাতে বলছিনা। শুধু একটাই মিনতি করছি, দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন না। আমাদের প্রজন্মের দেশের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাকানো, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে দেশে থাকার বা দেশে ফেরার পথ করে দেবে।

=================================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভালো একটা বিষয় উত্থাপন করেছেন। আমাদের ব্যাচের পোলাপানও ধুমায়া বাইরে চলে যাচ্ছে। একজন আমেরিকায়। বাকি সব কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইটালি সহ বিভিন্ন দেশে। জানি না এরা ফিরবে কিনা।

তাই দেশের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের শারিরীক নয় মানসিক “অগস্ত্য যাত্রা” ঠেকাতে হবে।

একমত।

দিগন্ত এর ছবি

মেধাবী ছেলেপুলে দেশ ছাড়া মানেই যে দেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ভবিষ্যতে দেশে উন্নতি হলে দেশে দক্ষ শ্রমিকের অভাব ঘটবে না, কারণ দেশে ফেরার কিছু লোক পাওয়া যাবে। ব্রেন-ড্রেন এতকাল ভারতেরও সমস্যা ছিল, এখন আর অতটা নেই - বরং অনেকেই কিছুদিন বিদেশে কাটিয়ে দেশে ফিরে আসছে। তারা দেশের অর্থনীতির জন্য ভালই টাকা-পয়সা আনছে ... বাংলাদেশেও তো প্রবাসীদের থেকে অনেক টাকাপয়সা আসে ... সেই দিক গুলোও ভেবে দেখা দরকার ...


হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

একজন এর ছবি

Digonto
বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ের ১০% পাঠায় শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী। বাকীটা আমাদের unskilled labor রা।
ভারতে ঠিক উল্টা ঘটনা ঘটে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার লেখাটি চিন্তাউদ্রেককারী।
সমস্যা হচ্ছে এই ধরনের লেখা যাদের পড়ার কথা অর্থাৎ নীতিনির্ধারকদের, তাদের কাছে এগুলো পৌছায় না। তাদের কাছেই পৌছানোটা দরকার।

অবশ্য আমরা যে আমলাতান্ত্রিকতার মধ্যে বাস করি, তাতে পৌছালেও কোনো সমাধান পাওয়া যাবে কিনা কে জানে।

অনিশ্চিত

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

করুণ সত্য মন খারাপ


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি নিজেও পাস করে বাইরে চলে যাওয়ার কথা ভাবতেছি!! মন খারাপ

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি নিজেও পাস করে বাইরে চলে যাওয়ার কথা ভাবতেছি। মন খারাপ
-----------------
উদ্ভ্রান্ত পথিক

নাশতারান এর ছবি

বেকার আছি দীর্ঘদিন। মাস্টার্স করতে বাইরে যাব? ভয় হয়। ফিরতে পারব তো? ফিরে এসে কি কাজ পাব? এখনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া চাকরি পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়েছে। কাল কী হবে জানিনা। আমি তো দেশে থাকতে চাই।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিদেশে থাকলে মানুষের মনে হয়, আমিতো সাময়িকভাবে বিদেশে থাকছি, ওই ওই কাজগুলো শেষ হলেই দেশে ফিরে যাব। বাস্তবে ওই ওই কাজগুলোর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়তে থাকে, আর দেশে ফেরার পথ একটু একটু করে বন্ধ হতে থাকে। এটা একটা কষ্টকর সত্য।

বাইরে গিয়ে ফিরে এসেছেন খুব কম জন। যারা ফিরেছিলেন তাদের বড় অংশই আবার চলে গেছেন। এটা আরো কষ্টকর সত্য।

তবে দেশে থাকতে চাইলেই থাকতে পারা যায়। তবে সেক্ষেত্রে দেশে থাকতে চাই, এবং থাকতে পারবো - এই বিশ্বাস থাকাটা জরুরী।

দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকার কথা না। কেন কথা না, সেটা এখানে বলতে চাই না। কখনো সুযোগ হলে সামনাসামনি বলব।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।