আমাদের সভা-ভাস্কর

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: রবি, ০৬/১২/২০০৯ - ২:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক কালে রাজা-বাদশাহ্‌দের দরবারে নিয়োগপ্রাপ্ত কবি, বিদূষক, পণ্ডিত, জ্যোতিষ ইত্যাদি থাকতেন। রাজতন্ত্র আছে এমন কিছু দেশে এখনো কোন কোন কবিকে “সভাকবি”র পদে সম্মানসূচক নিয়োগ দেয়া হয়। তবে কোন নিয়োগ পান বা না পান কোন কোন কবি নিজ রচনার যোগ্যতায় সংশ্লিষ্ট শহরের, বা দেশের, বা ভাষার নামের সাথে যুক্ত হয়ে যান। এর উদাহরণ দেবার দরকার নেই - সবাই জানেন। আবার কোন কোন কবি আছেন যাঁদের রচনা ভাষা বা কালের গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। সেসব মহাপুরুষরা সারা দুনিয়ার জন্য, সর্বকালের জন্য। এরও উদাহরণ দেবার দরকার নেই।

কবিদের বিপরীতে ভাস্করদের কাজ যদি দেখি তাহলে তার কিছু সুবিধা আর কিছু অসুবিধা দেখতে পাই। সুবিধা হচ্ছে এই যে, ভাস্কর্য ভাষার গণ্ডিতে আবদ্ধ নয়। এর ভাষা সার্বজনীন, সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য। অসুবিধা হল এই যে ভাস্কর্যকে সাধারণতঃ স্থানান্তর করা যায় না। যেখানে ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে সেই রাজ্য জয় করে তাকে লুট না করলে, প্রদর্শনী বা জাদুঘর থেকে চুরি না করলে, অথবা কারো কাছ থেকে কিনে না নিলে ভাস্কর্য, ভবন আর গাছের চলাচল একই প্রকার। তাই সিংহভাগ মানুষকে ভাস্কর্যের ছবি দেখেই সাধ মেটাতে হয়।

ভাস্কর্যের এই জাড্যতার জন্য প্রাচীন সব সভ্যতার আর মধ্যযুগ থেকে আধুনিক ইউরোপের খ্যাত-অখ্যাত সব ভাস্করের শিল্পকর্মের ছবি দেখতে দেখতে আমার জীবনটা গেল, কিন্তু আজো তার কিছুই দেখার সুযোগ পেলাম না। পিয়েতার ছবির গায়ে হাত বুলিয়ে তার পেলবতা বোঝার চেষ্টা করি। বাড়ির কাছের আরশীনগরে থাকা রামকিঙ্কর বেইজের কাজও ছবি দেখেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। অশ্বত্থামার মত পিঁটুলিগোলা খেয়েই দুধ খাবার আনন্দে নেচে যাচ্ছি।

ভাস্করদের কাজের স্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই তাঁদের নামকে একটি বিশেষ শহর বা দেশের নামের সাথে যুক্ত করে দেয়। অন্ততঃ এটা আশা করা যায় যে ঐ দেশ বা ঐ শহরে গেলে তাঁর শিল্পকর্ম নিশ্চিত ভাবেই দেখতে পাওয়া যাবে। যেমন আমরা জানি রোমে বা ফ্লোরেন্সে গেলে কার কার কাজ দেখতে পাওয়া যাবে। অথবা শান্তিনিকেতনে গেলে কার কাজ দেখতে পাওয়া যাবে। তারসাথে আমরা এও জানি যে হেনরী মুরের কাজ সারা দুনিয়ার অনেক শহরে পাওয়া গেলেও আসলে তাঁর শহর কোনটি। শহর বা দেশের সাথে ভাস্করদের নাম এভাবে যুক্ত হয় শিল্পীর নিজের কর্মের মুন্সীয়ানায়, নিজের বৈশিষ্ট্যগুণে, বৈচিত্রে, মাধুর্যে। কোন নগর বা কমপ্লেক্সে ভাস্কর্য স্থাপনের সময় তাই খোঁজার চেষ্টা করা হয় সেই সব শিল্পীদের যাঁরা স্বীয় শিল্পমাহাত্যে নিজের নাম ঐ নগরের নামের সাথে সমার্থক করে তুলতে পেরেছেন।

একটা সময় ছিল যখন ঢাকায় খুব বেশি ভাস্কর্য ছিলনা, সুন্দর সুন্দর কিছু সড়কদ্বীপ ছিল। ভাস্কর্য বিরোধী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন বাড়লেও ঢাকায় এখন সড়কে, পাবলিক প্লেসে, নানা ধরণের ভবনে-কমপ্লেক্সে ভাস্কর্যের সংখ্যা বেড়েছে। এলাকা বিচারে সবচে’ বেশি ভাস্কর্য আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। তবে দুঃখের বিষয় এই যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার অধিকাংশ ভাস্কর্যই স্মৃতি ভাস্কর্য - অর্থাৎ কোন না কোন হত্যাকাণ্ডের ইতিহাসের সাথে জড়িত। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন, আনন্দের জন্য, মনের তৃষ্ণা মেটাবার জন্য ভাস্কর্য এই শহরে খুব বেশি নেই।

তবে আজকাল সড়কদ্বীপ বা রাস্তার পাশে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপের মাধ্যমে নানা ধরণের ভাস্কর্য স্থাপন করা হচ্ছে। এই PPP ভাস্কর্য বলুন আর স্মারক ভাস্কর্য বলুন ঢাকার ইদানিংকালে সরকারী উদ্যোগ জড়িত আছে এমন সব ভাস্কর্যের ভাস্কর দেখবেন একই ব্যক্তি - মৃণাল হক। জনাব হকের এই উত্থানের শুরু পতিত স্বৈরাচার এরশাদের আমল থেকে। ফ্রেস্কো দিয়ে সরকারী কাজে সূঁচ হয়ে ঢুকে আজ তিনি অ্যাটম বোমা হয়ে বের হয়েছেন। বিগত বিশ বৎসরে সরকারী উদ্যোগে করা ঢাকার সিংহভাগ ভাস্কর্য তার করা। আজকের ঢাকার ডাইনে-বাঁয়ে তাই তারই শিল্পকর্মের সমারোহ। ঢাকার বাইরে নারায়ণগঞ্জেও তিনি মহাপ্রতাপে বিদ্যমান।

আমার অবুঝ প্রশ্ন, মৃণাল হক কি ঢাকার মাইকেল এঞ্জেলো বা হেনরী মুর? যদি তিনি অমন যোগ্যতাসম্পন্ন হন তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে তাকে স্বীকৃতি দেয়া হোক যে, “মৃণাল হক ঢাকার সভা-ভাস্কর”। আজ থেকে ঢাকার সরকারী সব ভাস্কর্য বিনা প্রশ্নে তাকে দিয়েই করাতে হবে। যদি তা না হয় তাহলে দেশের প্রথিতযশা ভাস্কররা কেন রাজধানীকে সাজানোর সুযোগ পাননা? কেন তাঁদের শিল্পকর্ম ঢাকার রাস্তায় বা সরকারী ভবনে শোভা পায় না?

সরকারের তরফ থেকে এই প্রশ্নের একটা উত্তর এমন হতে পারে যে, সরকারী কাজ টেন্ডার ডেকে করতে হয়। টেন্ডারে যে যোগ্য বিবেচিত হয় তাকেই কাজ দেয়া হয়। এখন মৃণাল হক যদি “ফেয়ার” ভাবে টেন্ডারে অংশ নিয়ে কাজ পান তাহলে তা নিয়ে কথা উঠবে কেন? হক্‌ কথা। তবে কথা হচ্ছে কী ভাস্কর্য আর ব্রীজ-কালভার্ট তো এক জিনিষ নয়, তাই সেগুলো বানানোর-স্থাপনের পদ্ধতিও এক হতে পারে না। যে যুক্তিতে সরকারী টেন্ডার ডেকে একুশে পদক দেয়া যায় না, সেই একই যুক্তিতে শহরের পাবলিক প্লেসগুলোতে টেন্ডার ডেকে ভাস্কর্য স্থাপন করা যায় না। ভাস্কর্যের স্ট্রাকচারাল কাজের জন্য টেন্ডার ডাকা ঠিক আছে, তবে ভাস্কর বাছাই করার জন্য টেন্ডার ডাকাটা কোন শিল্পীর জন্যই সম্মানসূচক নয়। আর সরকারী টেন্ডারে অংশগ্রহন, কাজ পাওয়া, বিল তোলা ইত্যাদি সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন একজন শিল্পীর পক্ষে সেই যজ্ঞ সামাল দেয়া সম্ভব নয়। তার জন্য যথেষ্ঠ চালাক-চতুর, বৈষয়িক, হিসেবী ও ধূর্ত হতে হবে।

আজকে থেকে দুইশত বা পাঁচশত বৎসর পর আমাদেরই পরবর্তী প্রজন্ম অথবা তখন অন্য দেশ থেকে বেড়াতে আসা পর্যটক ঢাকা শহর ঘুরলে ধারণা হবে “ঢাকা মৃণাল হকের শহর”; এবং মৃণাল হকই হচ্ছেন বিংশ ও একাবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে সেরা ভাস্কর - আমাদের যুগের সভা-ভাস্কর। প্রিয় পাঠিকা-পাঠক, আপনার কাছে নিজের এই পরিচয়টা কেমন লাগছে?


মন্তব্য

হাসিব এর ছবি

ভাস্কর বাছাই করার জন্য টেন্ডার ডাকাটা কোন শিল্পীর জন্যই সম্মানসূচক নয়।

টেন্ডারের পরিবর্তে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে নকশা আহবান করা যেতে পারে ।

হিমু এর ছবি

সচলের ফোটোগ্রাফাররা কি ঢাকার ভাস্কর্যের ওপর একটা ফোটোব্রজে বেরোবেন নাকি?



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

নৈষাদ এর ছবি

ইন্টারেস্টিং একটা বিষয়!! এভাবে তো কখনও ভেবে দেখা হয়নি।

সপ্তাহের পাঁচ দিন আসা-যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রীর অফিসের উল্টোদিকে নতুন রাস্থার সংযোগ-স্থলে মৃণাল হকের নাম দেখি। অবশ্য জনাব হকের নাম প্রথমে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্রিকায় আলোচিত জেলখানার একটি ম্যূরাল নিয়ে। তারপরেই জানার চেষ্টা করি এই শিল্পীকে।

খুব জানতে ইচ্ছে হয় আসলে কিভাবে সরকারী খরচে করা এসব শিল্পকর্মের শিল্পী বাছাই করা হয়। সরকারী কাজ টেন্ডারের মাধ্যমেই করতে হবে, কিন্তু প্রক্রিয়াটাকে (টেননিক্যাল অংশকে) অবশ্যই কাস্টোমাইজ করে সম্মানসূচক এবং এধরনের শিল্পকর্মের জন্য প্রযোজ্য একটা প্রক্রিয়ার পরিবর্তন করা যায়।

এখনের প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না জেনে মন্তব্য করা ঠিক না, কিন্তু হতে পারে প্রাগৈতিহাসিক টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় সবকিছুকে ইক্যুয়েলি ট্রিট করা হয়...। কিন্তু আপনি যে ইস্যুটা তুলেছেন, সেটা গূরুত্বপূর্ণ।

নাশতারান এর ছবি

আপনার কাছে নিজের এই পরিচয়টা কেমন লাগছে?

বুঝতে চেষ্টা করছি। নিজের সম্ভাব্য এ পরিচয়টি জানা ছিলনা।
জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বিমানবন্দর চত্ত্বরে বাউল ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে আমরা যখন রাস্তায় নামলাম, তখন নিজের মধ্যে এটুকু দ্বিধা ছিলো, এতে আসলে কার লাভ হবে? শিল্পের না মৃনাল হকের?
আমরা আসলে মৃনাল হকের পক্ষে বা কোনো একটি ভাস্কর্য ভাঙ্গার বিরুদ্ধে দাঁড়াই নাই, অবস্থান ছিলো মৌলবাদী গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে।

মৃণাল হক একচেটিয়া রাজত্ব করতে করতে এখন এমন অবস্থায় গেছে যে এখন আর কেউ এই কাজ করার কথা ভাবেই না। সরকার এখন প্ল্যান করে না, তিনি নিজেই প্ল্যান করে মন্ত্রণালয় থেকে পাশ করিয়ে নেন (শোনা কথা)। আর পুরো শহর এখন ভরে গেছে মৃণাল হকে।

এরশাদ আমলে শুরু করলেও মূলত বিএনপিই তারে ব্যাকাপ দিছে। মাঝের আওয়ামীলীগ আমল তিনি প্রবাসেই কাটাইছেন। কিন্তু এখন মনে হয় সবকিছু ম্যানেজ হয়ে গেছে...
এখন তিনি একমেবিদ্বিতীয়ম...

পুরো শহর মৃণাল হকের ভাস্কর্যে ভরে গেলে আমার কোনো আপত্তি ছিলো না, যদি তিনি দুয়েকটা ভালো কাজ করতেন। অধিকাংশই নকল কাজ আর নিম্নমানের কাজ। কেউ যদি এগুলো দেখে দেশের শিল্প প্রতিভার বিচার করতে যান, তাইলে খবরাছে...

এর আগে ফুলার রোডের মাথায় শামীম শিকদার বানিয়েছেন একটা 'অবাক হয়ে দেখার মতো জিনিস'।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এনকিদু এর ছবি

কেউ যদি এগুলো দেখে দেশের শিল্প প্রতিভার বিচার করতে যান, তাইলে খবরাছে...

কিন্তু অন্য ভাষ্করদেরকে কিভাবে সামনে আনা যায় ? সরকারী উদ্যোগ ছাড়া কি ভাষ্কর্য তৈরী হতে পারেনা ?


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

হিমু এর ছবি

ভাস্কর্য তো বেশিরভাগ সময় তৈরি হয় সরকারী জমির ওপরে। অথবা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জমির ওপর। সরকার অনুমোদন না দিলে কীভাবে হবে?

মৃণাল হক দেখি তাঁর নিজস্ব ক্ষেত্রে পুরাই আ'নাল হক হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

বাকি ভাস্করদের মৌন আচরণের হেতু বুঝলাম না। মৃণাল হক সব কায়গায় সিস্টেম করে ফেলছেন, বাকীরা কোন আওয়াজ তোলেন না কেন? বাংলাদেশে মোট কতগুলো ভাস্কর্য আছে? আর সেগুলোর ভাস্করদের তালিকা কেউ এই পোস্টে দিতে পারলে ভালো হয়।

পুরা নগরী যে অদ্ভুত উপায়ে গড়ে উঠছে তার সাথে মৃণাল হক বেমানান নন। দেশ জাতির সিস্টেমগিরির খাসিলত বোঝার জন্য নগরী চক্কর দিলেই কাফি।

এই পোস্টের জন্য - জয়তু পাণ্ডবদা।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

মৃণাল হকের ভাস্কর্য ভাল্লাগে না। কথাটা ঠিক হইলো না। লাগে খুবই বাজে। শামীম শিকদারের ভাস্কর্যও ভাল্লাগে না তেমন। সারা দেশে যে কয়টা ভাস্কর্য দেখেছি তার মধ্যে খুব দুয়েকটা বাদে আর কোনটাই ভালো লাগে নাই।

[r]
অজ্ঞাতবাস

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

@ এনকিদু আর শুভাশীষদা...
ঢাকায় এখন সেই অর্থে বলতে গেলে ভাস্কর্য হচ্ছে না। সড়কদ্বীপ বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সম্মুখে... এরকম প্রচুর কাজ হচ্ছে। এগুলোর জন্য কোয়ালিটি বা অন্য যে কোনো কিছুর আগে দরকার যোগাযোগ। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আর টেন্ডারবাজি নিয়া নতুন করে কিছু বলার নাই।
এই বন্ধুর পথ পুরোটাই মৃণাল হক একলাই দখল করে রাখছেন। এখানে শিল্পীর চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয়টাই মূখ্য হওয়ার কথা।
মৃণাল হক চিহ্নিত বিএনপির লোক। গত আওয়ামীলীগ আমলে তিনি চুপ ছিলেন, তখন দেশে ভাস্কর্য নিয়ে কাজ হইছে খুবই কম। আশা ছিলো এবার আওয়ামীলীগ সরকার এসে হয়তো অবস্থা পাল্টাবে। হয়তো মৃণাল হক থেকে অন্তত মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু আমলাতন্ত্রে তার বিস্তার এমনই, এখনো পর্যন্ত সেরকম কিছু দেখা যাচ্ছে না।

এর আগে দেশে মূলত রাস্তায় রাজত্ব করতেন নিতুন কুণ্ডু। সার্ক ফোয়ারার সবগুলোই তাঁর করা। এই নিয়াও অনেক কথা উঠছিলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আর সরকারী উদ্যোগ ছাড়া ভাস্কর্য অবশ্যই তৈরি হতে পারে, কিন্তু টাকা কে দিবে? এখন ঢাকায় যতোগুলা হচ্ছে তার সবই বিভিন্ন ব্যাঙ্ক বা সেলফোন কোম্পানি স্পন্সর করছে। এগুলোও হচ্ছে মূলত সরকারী উদ্যোগেই। জমিগুলোও সরকারী। সরকার ছাড়া কিছুই করার নাই আসলে। উদ্যোগ নিলে সরকারকেই নিতে হবে।

তাই শুধু না, গত জোট সরকার আমলে বিমানবন্দর থেকে পুরা রাস্তা জুড়ে যে ডেকোরেশন প্ল্যান, টাঙ্গাইল থেকে কোটি কোটি টাকা খরচা কইরা আস্ত খেজুড় গাছ তুলে এনে একরাতে ঢাকা শহররে সৌদি আরব বানায়া দেওয়া হইছিলো, সেইটা কার পরামর্শে করা হইছিলো?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সবচেয়ে মজা লাগে ভাস্কর্যর বুক জুড়ে যখন গ্রামীন ফোন বা ঢাকা ব্যাঙ্কের লোগো থাকে। গুলশান মোড়ের ভাস্কর্যটা চিন্তা করেন...
এইগুলা হইলো বালের ভাস্কর্য...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সচল জাহিদ এর ছবি

সানা ভাই ( রফিকুল্লাহ সানা) একবার বুয়েট ডিসির আয়োজনে এক বিতর্কে বলেছিলেন রবীন্দ্রনাথ এই যুগে জন্মালে তাকেও পণ্যায়িত হয়ে হত। পান্ডবদা, প্রতিভাও এখন পণ্য, আশাটাও এখন পণ্য, কই যাবো বলতে পারেন ?

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সানারে আমরা ছানা কইতাম... হা হা হা...
ছানা আমার খুব ভালো বন্ধু ছিলো একসময়... আমার কলেজমেট
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমি মাঝে মাঝে ভাবি নজরুলের সাথে দুনিয়ার কার পরিচয় নাই! আমার দেড়গুণ বয়সী নারায়ণগঞ্জের এক বড় ভাই (আরিফ বুলবুল) - সে দেখি নজরুলের বন্ধু। আবার হাঁটুর বয়সী অনুজপ্রতিম এ এস এম রফিকুল্লাহ্‌ (রোমেল/সানা) - সেও দেখি নজরুলের বন্ধু। নজরুল নিজেই একটা জীবন্ত ফেসবুক!!



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

এই যে, দিলেন তো পঁচানি...
আরিফ বুলবুল ভাই মূলত আমাদের পাভেল ভাইয়ের বন্ধু। তার মাধ্যমেই পরিচয়। লোকটারে আমার হেভি জোশ লাগে। পুরা আউলা। আমরা একটা প্রজেক্টে একসাথে কিছুদিন লেখছিলাম।
আর সানা আমার কলেজবন্ধু। একসাথে পড়ছি, ঢাবিতে আমি না পড়লেও ঢাবির কোনা কাঞ্চিতে তার লগে আমার অনেক আড্ডা আছে। তো এইগুলা আমার দোষ?

কোনো একদিন হয়তো দেখা যাইবো কেউ আইসা বলতেছে আপনের লগে আমার পরিচয় কেম্নে সেইটা একটা বিস্ময়, তাইলে এখন আমি কই যামু?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

হাসি
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

গৌতম এর ছবি

অবাক ব্যাপার হলো, আমার-আপনার পরিচিত হাচল নূপুর ভাবী আর মেয়ে নিধীর সাথেও নজরুল ভাইয়ের পরিচয় আছে। দেঁতো হাসি

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ফকির লালন এর ছবি

বিনা ভাস্কর্যের চেয়ে কিছু তো ভালো, যারই হোক।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বস্‌, দৃষ্টিসুখের ব্যাপারে আপনার মত মানা যায়। কিন্তু ভাস্কর্য যখন ইতিহাসের অংশ বা সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ বা রুচিবোধের পরিচয় হয় তখন কীভাবে আপোষ করা যায় বলুন?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

ঐ কিছুটাই যদি নতুন প্রতিভাধরদের দিয়ে হত, তাহলে সুখ পেতাম।
তার চাইতে না থাকাটাই ভাল। মৃনালের টাকা যশ তো অনেক হল। আর কত?

তানবীরা এর ছবি

আমরা ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে শুধু দেখবো, যারা তরতর করে সাতার কেটে এগিয়ে যাবে তাদেরকে।
ষষ্ঠদা খুব ভালো একটা বিষয় নজরে এনেছেন।

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

কেউ নিজের বাসার কম্পাউন্ডে বা নিজের অফিসে কার, কী ভাস্কর্য লাগালো তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যথা নেই। কিন্তু সরকারী জায়গায় মূলতঃ সরকারের উদ্যোগে জনগণের টাকায় বা PPP-তে যে ভাস্কর্য করা হয় তা নিয়ে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে। বস্তুতঃ জনগণ কথা না বললে, চিৎকার না করলে দায়িত্বে থাকা কারো কানে কোন কথা ঢোকে না, কারো চিন্তায়ও অসঙ্গতিগুলো ধরা পড়ে না।

শামীম সিকদার - নিতুন কুণ্ডু - মৃণাল হক এদের প্রতিভা যাই থাকুক না কেন সরকারী কাজের ব্যাপারে তাদের অবস্থান এক। এরা সবাই এক এক সময় এক এক সরকারকে সিস্টেম করতে পেরেছেন। গোটা ঢাকা জুড়ে তার সাক্ষ্য আছে। ক্ষমতায় বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগ নাকি জাতীয় পার্টি এই ব্যাপারগুলো মূখ্য নয়। কারণ সিস্টেমটা হয় আমলাতন্ত্রের একটা অংশ দিয়ে।

এই ভাস্কর্যগুলো যদি ঢাকার সড়কদ্বীপ বা সড়ক বিভাজকগুলির মত হয় তাহলে চিন্তা নেই। কয়েক বৎসরের মধ্যে হয়তো মৃণাল হকই এসে নতুন বাজেটের আওতায় পুরনোগুলো ভেঙ্গে নতুন ভাস্কর্য তৈরি করা শুরু করে দেবেন। কিন্তু কাজ যদি মৃণাল হক না পেয়ে অন্য কেউ পান তাহলেই বিপদ! সেক্ষেত্রে শিল্পকর্ম রক্ষার নামে মৃণাল হক আন্দোলন শুরু করে দিতে পারেন। হুজুগে পড়ে অনেকে সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েও ফেলতে পারেন।

শিল্পবোধ, রুচিবোধ, ভবিষ্যতের ভাবনা, ইতিহাসে নিজেদের অবস্থান এই বিষয়গুলো শিখতে গেলে পর পর কতগুলো প্রজন্মকে শিক্ষিত হতে হয়?



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দুর্দান্ত এর ছবি

শামীম সিকদারের একমাত্র প্রতিভা সে সিরাজ সিকদারের অনুজা।
আমার আপনার বোন হলে এই মানের কাজ করে এমন জায়গায় ঠাই পেত না।

হিমু এর ছবি

ফুলার রোডের মাথায় শামীম সিকদারের করা ভাস্কর্যটা ভয়ঙ্কর কদর্য। একটা রাস্তার টোকাই ওরচে ভালো ভাস্কর্য গড়তে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রুচিবোধসম্পন্ন ব্যক্তি উপাচার্যের দায়িত্ব পেলে ঐ ভাস্কর্যটি কামলা লাগিয়ে গুঁড়া গুঁড়া করে ঐ জায়গাটায় নতুন কিছু করার ব্যবস্থা করবেন, এই আশা রাখি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মামুন হক এর ছবি

এই মৃণাল হক কিন্তু আমার খুবই কাছে আত্মীয়। কিন্তু তারে নিয়া বড়গলা করার কোন সুযোগ নাই। কারণ ব্যক্তিগত। তার ভাস্কর্য চলনসই লাগে আমার কাছে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বেশ দরকারী একটা জিনিসে আলোকপাত করছেন পাণ্ডবদা'।
এইগুলা নিয়ে চিন্তা হয়, বলা হয় না। সম্যক জ্ঞানের অভাবও একটা কারণ সেই না-বলার জন্য। সাথে সাথে আবার এই ক্লান্তিও আছে, যে- কী আর হয়!
এই সিস্টেমের ফেরেই তো আছে সব। কোন্ সেক্টরটাই বা বাকি এইখানে! মন খারাপ

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

হিমু এর ছবি

ঢাকা অপরিকল্পিতভাবে বেড়ে উঠেছে বলে শহরটায় চত্বরের সংখ্যা একেবারেই কম। ভাস্কর্য থাকতে হবে বড় কোনো চত্বরের মাঝে, বা তার একটি নাভিতে, তাকে ঘিরে মানুষের সমাগম হবে। আমাদের ভাস্কর্যগুলি সড়কদ্বীপে, যাকে ঘিরে দর্শনার্থীদের সম্মিলিত হবার কোনো সুযোগ নেই। শহরের নতুন সড়কগুলির নকশা এমনভাবে করা উচিত, যেন সড়কদ্বীপগুলি চত্বরের আকার পায়, সেখানে আখাম্বা একটি ভাস্কর্য তৈরি না করে ছিমছাম ভাস্কর্য এবং তাকে ঘিরে মানুষ বসার-দাঁড়াবার ব্যবস্থা করা উচিত।

ধানমণ্ডির রবীন্দ্রসরোবরের মাঝে একটি দ্বীপ তৈরি করে ভাস্কর্য তৈরি করা যেতে পারে। গুলশান "লেক" সংরক্ষণের কোনো প্রকল্প নেয়া হলে সেখানেও এমন কিছু করা যায়। তরুণ ভাস্করদের হাতে নকশা প্রণয়নের দায়িত্ব দেয়া হোক।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

রবীন্দ্র সরোবর আর গুলশান লেকে ভাস্কর্যের আইডিয়াটা দূর্দান্ত...
নতুন হচ্ছে হাতির ঝিল, এখানেও পরিকল্পনায় কোনো ভাস্কর্য নেই।

আর এগুলোও যাবে মৃণাল হকদের কাছেই। তরুণ ভাস্কররা এসব কাজ পাবে না। এখানে অনেক টাকার টেন্ডারবাজী আছে। নানারকম সিস্টেম করার ব্যাপার আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি

মৃণাল হক কীভাবে সমগ্র ঢাকা জুড়ে দখলদারিত্ব পেয়ে গেলেন তা মৃণাল হককে নিয়ে একটা গবেষণাচিত্র না বানানো পর্যন্ত বুঝা মুশকিল।

মৃণাল হককে নিয়ে তার পরিবার বা ঘনিষ্ঠজনরাও খুব একটা বুক ফুলাতে পারেন না। উপরে মামুন হকের মন্তব্যে তা বুঝা যায়। আমার এক কলিগ-বন্ধুর খালাতো ভাই তিনি। তার মূল্যায়নও অনেকটা মামুন হকের মতই।

কিন্তু যে দেশে ৮০ দশকে শিশু একাডেমির সামনে দূরন্ত নামের ভাষ্কর্য ভাঙা হয়েছে, অপরাজেয় বাংলাসহ অন্যান্য ভাষ্কর্য ভাঙার জন্য মোল্লারা প্রায়ই হুমকি দিত সেই দেশে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাষ্কর্য বানানোতে আগ্রহ দেখাতো না। তা ছাড়া বাজেটের সমস্যা তো ছিলই। মৃণাল হক মূলত: পরিকল্পনা থেকে শুরু অর্থ জোগাড় সবক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করতেন। এমনকি অনেকক্ষেত্রে ঐ প্রতিষ্ঠানের কোনো অর্থই ব্যয় করতে হতো না। মৃণাল হকই নানারকম স্পন্সর জোগাড় করে আনতেন।

তবে লালন ভাষ্কর্য নিয়ে তিনিও পড়েছেন হুমকির মুখে।

তবে দেশের সব জায়গায় তো আর মৃণাল হক ভাষ্কর্য বানিয়ে ফেলেন নাই। অন্যরা এগিয়ে আসতেই পারেন। মৃণাল হক বরং এক অর্থে প্রশংসাই পেতে পারেন যেমন প্রশংসা পেতে পারেন ইমদাদুল হক মিলনরা - বাংলাবাজারের 'বেহেশতের কুঞ্জি' বইয়ের প্রকাশকদের হাত দিয়ে বাংলা উপন্যাস বের করার উদ্যোগ নিয়ে। মৃণাল হক সেরকম উদ্যোক্তা ভাষ্কর। মন্দের ভালোই বলা যায়।
-----------------------------------------------
সচল থাকুন... ...সচল রাখুন

-----------------------------------------------
মানুষ যদি উভলিঙ্গ প্রাণী হতো, তবে তার কবিতা লেখবার দরকার হতো না

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ঢাকার ভাস্কর্য নিয়ে আমার মনে অনেক দুঃখ আছে।
ভোঁতা কাজ আমার কখনোই ভালো লাগে না। রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের চরিত্ররাও কেমন যেন ভোঁতা ভোঁতা, ঐ ভাস্কর্যের মধ্যে যে আন্দোলনটা আছে, সেটা হারিয়ে গেছে ঐ সূক্ষ্নতাহীন মুখগুলোর কারণে। অথচ অপরাজেয় বাংলার মতো দুর্দান্ত ভাস্কর্যের উদাহরণ আছে হাতের কাছেই।
গাজীপুরের চৌরাস্তায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক যে ভাস্কর্যটা আছে, সেটাও আমার দারুণ লাগে। নামটা ভুলে গেছি সেই ভাস্কর্যের।
বছরখানেক আগে গিয়েছিলাম চাঁদপুর মতলবের এক স্কুলমাঠেই দেখেছিলাম ভারী চমৎকার ভাস্কর্য।
আর পাণ্ডবদা, আমাদের দেশ নিয়ে ভবিষ্যতের মানুষরা যখন গবেষণা করতে বসবে, ভাস্কর্য নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবে না বোধহয়, গবেষণা করার জন্য তাদের হাতে থাকবে আমাদের রাশি রাশি কুকীর্তি! সেগুলো পেরিয়ে ভাস্কর্যে যেতে অনেক সময় লাগবে। তার মানে এই না যে, হক মাওলাদের হাতেই আমাদের বন্দি হয়ে থাকতে হবে!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

গৌতম এর ছবি

ঢাকা শহরের কোন কোন ভাস্কর্য মৃণাল হকের করা, তা জানা নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ও বনানী নেভি অফিসের সামনের ভাস্কর্যদুটো দেখলে খুবই মন খারাপ হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে যে ঝিনুকের ভাস্কর্য আছে, এই ঝিনুক আমাদের দেশের না। মৃণাল হক কি পারতেন না আমাদের দেশের ঝিনুককে উপজীব্য বানাতে?

নেভির সামনের ভাস্কর্য নিয়ে কিছু বলার নেই। ওই যে, আমরা কথায় কথায় বাঁশ দেওয়ার কথা বলি না, ওইটা দেখলে মনে হয় একদল ডলফিনকে মৃণাল হক বাঁশ দিয়ে খাড়া করে রেখেছেন।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতিথি লেখক এর ছবি

দেশের প্রথিতযশা ভাস্কররা দেশে কাজ করার সুযোগ পান ও প্রতিভা দেখাবার সুযোগ পান বিদেশে তাদের কাজের মর্যাদা পাবার আগে - এই প্রার্থনা ।

দিশা___

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।