রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন কেন জরুরী?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: শনি, ১৬/১১/২০১৩ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশে মোট রাজনৈতিক দলের সংখ্যা কত? এই প্রশ্নের উত্তর বোধকরি বাংলাদেশের কেউ দিতে পারবেন না। তবে সেটা বোধকরি দুইশ’-এর কম না। ১৯৮৮ সালে পতিত সামরিক স্বৈরাচার জেনারেল এরশাদ যে সংসদ নির্বাচন আয়োজন করেছিল সেখানে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল। এরশাদ তখন নির্বাচনে অনেক দল অংশ নিচ্ছে এমনটা দেখানোর জন্য বিপুল সংখ্যক নামসর্বস্ব দল আমদানী করে। সেই নির্বাচনে এরশাদের গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে পরিচিত আ স ম আবদুর রব সম্মিলিত বিরোধী দল (কপ) নামে একটা জোট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেয়। কপে দলের সংখ্যা প্রথমে নাকি ছিল ৭৮টি। পত্রিকায় ৭৮ সংখ্যাটি জানা যাবার পর অন্য আরো অনেক দুধভাত পার্টি তারাও কপ-এ আছে বলে কান্নাকাটি জুড়ে দেয়। ফলে শেষমেশ কপ-এ কতগুলো দল ছিল সেটা একটা গবেষণার বিষয় হয়ে যায়। এই কথাটা মনে পড়ায় দেশে মোট রাজনৈতিক দলের সংখ্যা দুইশ’-এর মতো বলে ধারণা করছি। যদি নির্বাচনে কমিশনে খোঁজ নেন তাহলে জানতে পারবেন যে, দেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাওয়ায় নিবন্ধিত দলের সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯টিতে।

তাহলে বাকী ১৬০ বা তারও বেশি রাজনৈতিক দল কারা? তাদের নিবন্ধনই বা নেই কেন? প্রথম প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব না। কেন সম্ভব না সেটা আগের অনুচ্ছেদে ব্যাখ্যা করা আছে। দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরটা বরং খুঁজে দেখা যাক। Representation of the People Order, 1972 (P.O No.155 of 1972)-এর Article 94-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন উক্ত Order-এর Chapter VIA-এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা ২০০৮ নামে যে বিধিমালা প্রনয়ণ করেছেন তার বিধি ৬-এ উল্লেখিত দরখাস্তের সাথে আবশ্যকীয় দলিলাদী সংযুক্তিকরণ শীর্ষক অনুচ্ছেদের (ঞ) উপ-অনুচ্ছেদে বলা আছে যে,

(অ) বাংলাদেশ স্বাধীন হইবার পর হইতে দরখাস্ত দাখিল করিবার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোন একটিতে দলীয় নির্বাচনী প্রতীক লইয়া কমপক্ষে একটি আসন লাভের সমর্থনে প্রামাণিক দলিল; অথবা

(আ) বাংলাদেশ স্বাধীন হইবার পর হইতে দরখাস্ত দাখিল করিবার তারিখ পর্যস্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোন একটিতে দরখাস্তকারী দল কর্তৃক নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত নির্বাচনী এলাকায় প্রদত্ত মোট ভোট সংখ্যার শতকরা পাঁচ ভাগ ভোট লাভের সমর্থনে কমিশন বা তদ্কর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র; অথবা

(ই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ, উহা যে নামেই অভিহিত হউক না কেন, একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর; অন্যূন এক তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় কার্যকর জেলা দপ্তর এবং অন্যূন একশতটি উপজেলায় বা, ক্ষেত্রমত, থানায় অনূন্য দুইশত ভোটার সদস্য হিসাবে দলের তালিকাভূক্ত থাকিবার সমর্থনে প্রামাণিক দলিল।

- নিবন্ধনের আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

আমাদের আলোচিত উপরোক্ত ১৬০ বা তারও বেশি রাজনৈতিক দলের মধ্যে সিংহভাগের পক্ষে এই তিনটি শর্তের কোনটিই প্রতিপালন করা সম্ভব নয়। ফলে তারা নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের ঝামেলাতে যান নাই। এখন কোন রাজনৈতিক দলের বয়স পাঁচ বছর বা তারচেয়ে কম হলে সে এইসব শর্ত পালনে ব্যর্থ হবার কথা। কিন্তু যেসব দলের বয়স দশ বছর বা তারও বেশি সেসব দলের কোনটি এই শর্ত তিনটির একটিও পালনে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের বিলুপ্তি ঘোষণা করা দরকার। একই সাথে ঐসব রাজনৈতিক দল সংশ্লিষ্ট সকলকে পরবর্তী অন্তত পাঁচ বছর যেকোন পর্যায়ের নির্বাচনে যোগদানের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা দরকার। নয়তো এ’সব আগাছার দল ভবিষ্যতে দেশের কোন এক দুর্দিনে আরেকটা ১৯৮৮ সফল করতে সহায়তা করবে। এই আলোকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালাতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা যেতে পারে।

কিছু কিছু রাজনৈতিক দল বলে যে তারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের বিধি মানতে বা তার প্রদত্ত শর্ত মেনে নিবন্ধন করতে তারা বাধ্য নয়। এই কথাটা আপাতদৃষ্টিতে আইনসিদ্ধ মনে হলেও এর অন্তর্নিহিত অর্থটি অনুধাবন করার প্রয়োজন আছে। একটি রাজনৈতিক দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে এই কথাটি স্পষ্টভাবে থাকা উচিত যে তারা সরকার গঠনে বা সরকার গঠনে অংশ নিতে আগ্রহী কিনা। যদি আগ্রহী হয়, তাহলে তারা কী প্রক্রিয়াতে সরকার গঠনে বা সরকার গঠনে অংশ নিতে চায় সেটারও উল্লেখ থাকা উচিত। বস্তুত বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হওয়া ছাড়া সরকার গঠনে বা সরকার গঠনে অংশ নেবার কোন সুযোগ নাই। এর বাইরে সরকার গঠনের যে কোন ধরনের প্রচেষ্টা সংবিধানবহির্ভূত ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজনৈতিক দলগুলো যখন বিশেষ কোন সরকারকে হঠানোর চেষ্টা করে তখন কিন্তু তারা ঐ সরকারের পদত্যাগই দাবী করে — তাদেরকে বলপূর্বক হঠানো বা হত্যা করার ঘোষণা কেউ দেয় না। কেউ যদি অমন ঘোষণা দেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা যায়।

কিছু বাম ও ইসলামী দল আছে যারা নিজস্ব ধারার বিপ্লবে বিশ্বাসী। তাই তারা কখনো নির্বাচনে অংশ নেয় না। নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকা একটা রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু নির্বাচন ভিন্ন অন্য কোন কায়দায় সরকার পরিবর্তনের রীতিতে বিশ্বাসীরা সরাসরি সংবিধানবিরোধী, নৈরাজ্যবাদী। দেশে যদি রাজনৈতিক দল করার ক্ষেত্রে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হতো তাহলে এইসব নৈরাজ্যবাদী দলকে চিহ্নিত ও বিলুপ্ত করা সম্ভব হতো। একটি রাষ্ট্রব্যবস্থায় তার মৌলিক ভাবনার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে থাকা সংগঠনের কোন বৈধতা থাকা সম্ভব নয়। এই বিষয়টি কেন জরুরী সেটা একটা উদাহরণ দিলে স্পষ্ট হবে।

সাম্প্রতিককালে, দেশে, বিশেষত ঢাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত হিজবুত তাহরীরের তৎপরতা চোখে পড়ছে। তাদের সাঁটানো পোস্টারের উপরে লেখা আছে, “হাসিনা-খালেদা নিপাত যাক, দেশবাসী মুক্তি পাক”। এই কথার অর্থ দাঁড়ায় দেশের বৃহত্তম দুই রাজনৈতিক দলের প্রধান অথবা দেশের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয়া বিরোধী দলীয় নেত্রীকে নির্মূল করলে দেশবাসী মুক্তি পাবে। এই বক্তব্য সরাসরি হত্যার হুমকিমূলক ও আইনতঃ দণ্ডনীয়। সেখানে তারা আরও বলছে,

হাসিনা-খালেদার সংলাপ হোক কিংবা সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হোক কিংবা একদলীয় নির্বাচন হোক- জনগণের জীবনে কোন প্রকৃত পরিবর্তন আসবে না। প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য পুরো শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করতে হবে। যার জন্য প্রয়োজন সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদের দেশের জনগণের পক্ষে অবস্থান নেয়া।

এবং

আওয়ামী বিএনপি শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করে হিযবুত তাহরীর-এর নেতৃত্বে খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সামরিক বাহিনীর নিষ্ঠাবান অফিসারদের নিকট দাবি তুলুন এবং এ দাবিতে রাজপথে নেমে আসুন।

এখানে তারা তাদের অবস্থান আরো স্পষ্ট করেছে। তারা নির্বাচনে বিশ্বাসী নয়, তারা শাসকগোষ্ঠীকে অপসারণ করায় বিশ্বাসী, তারা এই কাজে সামরিকবাহিনীকে ব্যবহার করতে চায় এবং সামরিকবাহিনীকে চাপ প্রয়োগ করার জন্য দেশের সাধারণ জনগনকে দিয়ে অস্থির অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়। এটি যে কী পরিমান দেশের আইন, সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী সেটি ব্যাখ্যার অপেক্ষা রাখে না। বস্তুতঃ হিজবুত তাহরীর বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী হবারও কথা না। তারা একটি আন্তুর্জাতিক সংগঠনের স্থানীয় শাখা মাত্র।

বলতে পারেন, এসব কারণেই তো হিজবুত তাহরীর নিষিদ্ধ। ঠিক! একইভাবে রাষ্ট্র, শৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তা বিরোধী কার্যকলাপের জন্য পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি, পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, শ্রমজীবি মুক্তি আন্দোলন নামের চরমপন্থী বাম দলগুলোও নিষিদ্ধ। আশংকার কথা হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত নয় এমন আরো রাজনৈতিক দল আছে যারা হিজবুত তাহরীর বা সর্বহারা পার্টির মতো নৈরাজ্যেই বিশ্বাস করে। তারা কিন্তু ঠিকই প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে কোন বিশেষ পরিস্থিতে জননিরাপত্তার জন্য ব্যাপক হুমকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন বাধ্যতামূলক এবং নিবন্ধন ব্যতীত কোন সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত।

প্রাসঙ্গিক বিবেচনায় আরো একটি বিষয় উল্লেখ করছি। কিছু কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা রাজনৈতিক কর্মসূচী দেয়, রাজনৈতিক বিবৃতি দেয় কিন্তু রাজনৈতিক দল গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় না, কোন কমিটিও গঠন করেনা। এটি একটি অতি স্বল্পকালীন ঘটনা হলে গ্রহনযোগ্য হতো। কিন্তু বাস্তবে দশকের পর দশক চলে যায় কিন্তু তারা রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা আর দেয় না। এই দলগুলো আসলে রাজনৈতিক এনজিও ছাড়া আর কিছু না। সাধারণ এনজিওগুলোকে সরকারের কাছে নিবন্ধন করতে হয়, অডিট করাতে হয়, দাতাদের কাছে অফিসিয়ালি টাকাপয়াসা আর টার্গেট পূরণের ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হয়। কিন্তু এই রাজনৈতিক এনজিওগুলোর কোথাও কোন নিবন্ধন নেই, তাদেরকে অডিট করাতে হয় না। হয়তো তাদের অদৃশ্য দাতাদের কাছে টাকাপয়াসা আর টার্গেট পূরণের ব্যাপারে জবাবদিহী করতে হয়। দাতা যখন অদৃশ্য থাকে আর তার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীও নিজের পরিচয় নিয়ে ঢাক ঢাক গুর গুর করে তখন বুঝতেই হবে এই চক্রের উদ্দেশ্য অশুভ। এই ধরনের রাজনৈতিক এনজিও চলতে দেয়া মানে অশুভ চক্র আর তার কার্যক্রমকে বাড়তে দেয়া। তাই রাজনৈতিক দল ব্যতীত অন্য কোন সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচী দেবার ও রাজনৈতিক বিবৃতি দেবার সুযোগটি রহিত করা দরকার। নতুবা আইনের এই ফাঁক দিয়ে নৈরাজ্যবাদীরা তাদের কার্যক্রম চালিয়ে দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে হুমকির সন্মূখীন করতে পারে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

খোদ খালেদা জিয়াই তো ২৪ মার্চ, ২০১৩ তারিখে বগুড়ায় সেনাবাহিনীকে উসকানি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আর হিজভূত তেহারি তো কোন ছার।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

বিএনপি'র কাছ থেকে এই জাতীয় বক্তব্য আসা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এদের শুরুটাই হয়েছিল একজন সামরিক শাসকের শাসনকে বৈধতা দেয়ার উদ্দেশ্যে। কিন্তু বিএনপি জানে নির্বাচন করে জিতে ক্ষমতায় যাবার সক্ষমতা তাদের আছে, যেটা এর আগে আরো দুই বার প্রমাণিত হয়েছে। সাথে এটাও জানে অন্য কিছু ঘটলে সেখানে এরশাদ বা মঈন উ'র মতো কারো ঘরে লাভ যাবে। তাই তাদের ক্ষেত্রে ক্ষমতা লাভের জন্য শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহন করা ছাড়া কোন গতি নেই। পক্ষান্তরে হিজবুত তাহরীর জানে তাদের পক্ষে নির্বাচন করে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয় তাই নৈরাজ্য সৃষ্টি ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাবার ভিন্ন রাস্তা নেই।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

দাতা যখন অদৃশ্য থাকে আর তার এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীও নিজের পরিচয় নিয়ে ঢাক ঢাক গুর গুর করে তখন বুঝতেই হবে এই চক্রের উদ্দেশ্য অশুভ। এই ধরনের রাজনৈতিক এনজিও চলতে দেয়া মানে অশুভ চক্র আর তার কার্যক্রমকে বাড়তে দেয়া।

দেশের ফিরে যেয়ে কী করা যায় এমন বিষয়ে চলা এক আড্ডায় এক ডক্টরেটধারী ভদ্রলোক এমন রাজনৈতিক এনজিও দেয়ার কথা বলেছিলেন।

দায়দায়িত্ব নেই, হিসেব-কিতেব নেই তেমন। চারপাশে লাভই লাভ।

যেকোন ধরনের প্লাটফর্মকেই নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার। তা নাহলে ফাঁক-ফোকর থেকেই যায়।

শব্দ পথিক
নভেম্বর ১৬, ২০১৩

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতা সেটা যেমন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে থাকা দরকার তেমনই সেটা রাষ্ট্রের কাছেও থাকা দরকার। রাষ্ট্রকে পাশ কাটালে জবাবদিহীতার জায়গাটাতে আর দেশের জনগণ থাকে না, সেটা ভীন দেশে চলে যায়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসিব এর ছবি

এইখানে দুইটা বিষয় আছে,

১। রাজনৈতিক দল যারা জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চায়
২। রাজনৈতিক দল যারা নির্বাচনে অংশ না নিতে পারলেও রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে আগ্রহী

এখন ধরা যাক দ্বিতীয় পক্ষটা যারা আকারে ছোট কিন্তু রাজনীতি করতে ইচ্ছুক তারা আইনে উল্লেখিত তিনটি শর্ত পূরণ করতে না পারলে বছর দশেক পরে যদি তাদের বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে সেটা দেশের অনেক প্রান্তিক রাজনৈতিক ইস্যু জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসার সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে। এই প্রান্তিক রাজনৈতিক ইস্যুগুলো আমাদের প্রধান দুই দল পাত্তা দেয় না। এরা সবসময় নিজের মতো করে এইসব ইস্যুকে কেন্দ্র করে ফায়দা লোটার কাজটা করে।

একটা উদাহরণ দেয়া যাক, ধরা যাক দবির তার গ্রামের নেতা। গ্রামে কোন এক অবিচার অনাচারের বিরুদ্ধে সে জনমত সংগঠিত করে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করে। সেই রাজনৈতিক কার্যকলাপে আওয়ামী বিএনপি ক্ষমতাকাঠামোর সমস্যা হয়। এখন সে একটা আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল খুলতে চায় যেটা অপারেট করবে দুই তিনটা পাশাপাশি জেলা নিয়ে। এমতাবস্থায় সে আসলে কী করবে? এক নাম্বার অপশন স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী দাঁড় করানো। দুই নাম্বার অপশন আনুষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি করে রাজনৈতিক দল গঠন। প্রথমটা দিয়ে প্রাথমিক অবস্থায় কিছুদিন কাজ করা যাবে। কিছুদিন পরে সংগঠনের অস্তিত্বের অভাব অনুভুত হবে এবং শেষপর্যন্ত একটা রাজনৈতিক দল করা লাগবে। এদের মেয়াদ দশ বছরে বেঁধে দেয়া কি ঠিক হবে?

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই আলোচনাটা (এখানে আপনি ও নিচে লীলেন যা করেছেন) চাইছিলাম। আমার যা ভাবনা সেটাকে পারফেক্ট ভাবার কোন কারণ নেই। আলোচনার মাধ্যমে আমরা সঠিকটার আরো কাছকাছি পৌঁছাতে পারবো।

বড় আকারের দেশে (ভৌগলিক বিচারে ও জনসংখ্যা বিচারে) এই জন্য স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দলের বিধানে পার্থক্য থাকে। পাশের ভারতের দিকে তাকালে এর একটা ফরম্যাট আমরা দেখতে পাই। স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য জাতীয় নির্বাচনকে মাপকাঠি না ধরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোকে (ইউপি, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশন) মাপকাঠি ধরা যেতে পারে। এখন পর্যন্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচন কাগজে কলমে অরাজনৈতিক, বাস্তবে ঘোরতর রাজনৈতিক। এই ব্যবস্থাটা পালটে সর্ব পর্যায়ের নির্বাচন রাজনৈতিক করা যেতে পারে। স্থানীয় পর্যায়ের দলগুলো শক্তিশালী হলে আখেরে সেটা ঐ অঞ্চলের জন্য সুফলই বয়ে আনবে। কারণ, স্থানীয় দলগুলো তখন জাতীয় পর্যায়ের দলগুলোর সাথে নানা বিষয়ে বার্গেইনিং করার মতো অবস্থায় চলে যাবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

হাসিব এর ছবি

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাটা রাজনৈতিক হবে এবং সেটা দেশের হেজেমোনিক ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে থাকবে (বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও এ্যান্টি আওয়ামী লীগ এই দুই হেজেমোন ক্রিয়াশীল) এরকমই হবার কথা। এটার কারণ হলো রাষ্ট্রিয়ভাবে ক্ষমতাশীনদের গুডবুকে থাকলে বা তাদের সাথে থাকা অর্থ হলো আর্থিক ও সামাজিক প্রতিপত্তির সাথে সংযোগ থাকা। এই কারণে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী হলেও এই ক্ষমতাকাঠামোর খুব পরিবর্তন হবে এমনটা বলা যায় না।

একটা কাজ হতে পারে প্রশাসন ও সেই প্রশাসনের বাজেট স্থানীয় সরকার পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা। প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ হলে একজন রাজনৈতিক সংগঠক দলীয় না হয়েও এলাকায় নির্বাচিত হয়ে ভূমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু এখানে সমস্যা হলো আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারগুলো বাজেট প্রশ্নে স্বনির্ভর নয়। বাজেটের জন্য কেন্দ্রের নির্ভরতা থাকাতে একজন নির্দলীয় ব্যক্তি এলাকার উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ পাবার সময় সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। উন্নয়ন কাজে বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে কম থাকা মানে হলো জনপ্রিয়তায় টান পড়া। এটা দীর্ঘমেয়াদে নির্দলীয় ব্যক্তিকে পুনরায় নির্বাচিত হবার অন্তরায় হিসেবে কাজ করবে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটু দ্বিমত করছি। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা রাজনৈতিক হলে সেটা দুনিয়ার যে কোন দেশেই জাতীয় রাজনীতির হেজেমোনিক কর্তৃত্ব কাঠামোর মধ্যে থাকার কথা, ক্ষমতা কাঠামো না। ভারতের রাজ্যপর্যায়ের দলগুলোকে দেখুন, তারা এনডিএ-ইউপিএ হেজেমোনের মধ্যেই ঘোরাফেরা করে। তবে সেটা কর্তৃত্ব সম্পর্ক, ক্ষমতা সম্পর্ক নয়। ক্ষমতা কিন্তু স্থানীয় দলগুলোর হাতে। তাই স্থানীয় দল ডিএমকে/এআইডিএমকে অথবা এসপি/বিএসপি'র মতো শক্তিশালী হলে কর্তৃত্বকারী এনডিএ-ইউপিএ'র হর্তাকর্তারাও তাদের সমঝে চলে।

বাংলাদেশে বাজেটের ব্যাপারে তো পুরো এককেন্দ্রিক ব্যবস্থা প্রচলিত। অঘোষিত সকল ক্ষমতা অর্থ মন্ত্রণালয়ের হাতে। তাই অন্য মন্ত্রণালয় নীতি ও পরিকল্পনা প্রনয়ণ করলেও বা বাজেট প্রনয়ণ করলেও বরাদ্দ পেতে ধর্ণা দিতে হয়। জেলা পর্যায়ের বাজেটের ব্যাপারটা এখনো কাগজে-কলমেই রয়ে গেছে। স্থানীয় সরকারকে স্বীয় রাজস্ব ও রাজস্ববহির্ভূত আয়ের একটা নির্দিষ্ট অংশ বাজেটের জন্য বরাদ্দ দেয়া থাকলে বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতিটি পদক্ষেপের জন্য কেন্দ্র ও তার ক্ষমতায় থাকা জাতীয় দলগুলোর দিকে হা করে তাকিয়ে থাকতে হবে না। এই বরাদ্দের ব্যাপারটার শতকরা হার অঞ্চলভেদে পরিবর্তন করা যেতে পারে।

আমি নির্বাচনে নির্দলীয় ব্যক্তির প্রার্থীতাকে সমর্থন করি না। যে পর্যায়েই হোক, যিনি সরকার পরিচালনায় যুক্ত হবেন তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় স্পষ্ট থাকা উচিত। অস্পষ্ট রাজনৈতিক পরিচয়ের মানুষকে আস্থায় আনা বিপদজনক।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমার হিসাবে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ইলেকশন কমিশনে বোধহয় থাকা উচিত না; সেটা সংসদ সচিবালয় কিংবা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে থাকাই বোধহয় ভালো। যেখান থেকে তারা তাদের আদর্শ উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে দেশে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর জন্য নিবন্ধন নেবে

ইলেকশন কমিশনে বড়োজোর নির্বাচনী প্রতীকের নিবন্ধন থাকতে পারে; নিবন্ধিত দলগুলো নির্বাচনের জন্য ইলেকশন কমিশনে তাদের স্থায়ী প্রতীক নিবন্ধন করবে

০২
ইলেকশন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের মোড়ল বানানোর পক্ষে কোনোদিন্ও আমি না

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনার ভাবনার সাথে আমার বিশেষ দ্বিমত নেই। অন্য আরো অনেক প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের মতো এটা রাষ্ট্রের হাতে, যেমন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (স্থানীয় পর্যায়ের দলের জন্য) ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের (জাতীয় পর্যায়ের দলের জন্য) কাছে ন্যস্ত করা যেতে পারে। নিবন্ধন মানেই রেগুলেটরি বডি'র হাতে মোড়লী তুলে দেয়া নয়। রাজনীতি করতে হলে দেশের সংবিধান ও আইন মেনেই করতে হবে। সুতরাং সেটা পর্যবেক্ষণ ও নিশ্চিতকরণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাতে থাকা বাঞ্ছনীয়। বিদ্যমান যার যা খুশি করার মতো ব্যবস্থা কাম্য নয়। নির্বাচন কমিশন নিয়ে কিছু অসন্ত্বোষ থাকা বিচিত্র কিছু নয়। সেখানে পরিবর্তন প্রয়োজন হলে সেটা নিয়ে আমাদেরকেই কথা বলতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আব্দুল্লাহ এ.এম. এর ছবি

আমাদের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সময় ও সুযোগ মত বলে- হরতাল একটি গণতান্ত্রিক অধিকার! সেই অধিকারের স্বরুপ দিনকে দিন এমন দানবীয় হয়ে উঠছে যে গণতন্ত্র নিজেই যেন প্রশ্নের মুখোমুখী। রাজনৈতিক বিধান বোঝার সক্ষমতা এবং তা মেনে চলার সৎ মানসিকতা না থাকলে এসব বিধি বিধান কোন কাজে লাগবে বলে তো মনে হয় না।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আপনি যা বললেন সেটা রাজনৈতিক সংস্কৃতি'র প্রশ্ন। সেটা নিয়ে ভিন্ন আলোচনা হতে পারে। আমার অমন আলোচনার সূত্রপাত করার ইচ্ছে আছে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সহমত।

মাসুদ সজীব

অমি_বন্যা এর ছবি

খুব দরকারি লেখা। চলুক

এক লহমা এর ছবি

আপনার উল্লেখিত সমস্যা, তার সমাধানে আপনার দেওয়া প্রস্তাব, সাথে হাসিবের বক্তব্য, সেই পরিপ্রেক্ষিতে আপনার প্রস্তাবের প্রয়োজনীয় পরিমার্জন/পরিবর্ত্তন/পরিবর্ধন এ সবই বাংলাদেশের বর্ত্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে খুবই প্রাসঙ্গিক। এই পর্যন্ত বলে নেওয়ার পর আমার আর যা বলতে ইচ্ছে করছে তা হোল -
(১) বহু ক্ষেত্রেই নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দল বা গোষ্ঠী তাদের দীর্ঘকালীন কর্মকান্ড চালাতে পারে যখন কোন না কোন ভাবে বড়, প্রকাশ্য, প্রতিষ্ঠিত দলগুলি থেকে তারা তাদের ছাড় এবং/অথবা সোৎসাহ উস্কানি সংগ্রহ করে নিতে পারে।
(২) রাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা যে কোন রকম অর্থ-প্রবাহের স্বচ্ছতা রাষ্ট্রের নজরের গোচরে থাকা এবং নিরাপত্তার প্রশ্নে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা রাষ্ট্রের সার্বভৌম অস্তিত্বের জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় বলেই মনে করি।

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। আসলে নৈরাজ্যবাদীরা অন্য দলগুলোতে infiltrate করে ফেলে। অন্য দলগুলো এই infiltration-এর ব্যাপারে সচেতন না থাকলে নৈরাজ্যবাদীরা তেল-মশলা সেখান থেকে যোগাড় করে ফেলে।

২। রাষ্ট্রীয় কাজে তো বটেই ব্যক্তির আয় ও ব্যয়ের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা ও রাষ্ট্রীয় নজরদারী থাকাটা জরুরী। অন্যায় ব্যক্তিপর্যায় থেকেই শুরু হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রথম প্রশ্ন- যদি নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দেয়ার এখতিয়ার রাখে তবে তার নিবন্ধন ছাড়া দলীয় প্রতিক লইয়া তার অধিনে কিভাবে দল নির্বাচনে অংশ নেয় আর যদি নিয়ে নুন্যতম একটি আসনে জয়লাভ করে তবে তা তার গেজেটভুক্ত হয় কিভাবে?
এটা রেজিস্ট্রি ছাড়া বিয়ে করে সিটি কর্পরেশনে জন্মনিবন্ধনের মত হলনা।
তার চেয়ে নিবন্ধন করে তারপর নির্বাচন করাটা বেশি যৌক্তিক নয়কি?

দ্বিতীয় প্রশ্ন- ধরি যদি কোন দল নির্বাচনে অংশগ্রহন না করতে চায় তবে সেটা তার গনতান্ত্রিক অধিকার কিন্তু সেই দল নিবন্ধন করতে চায় তবে প্রথম দুটিধারা যদি বাদও দেই তবে তাকে তৃতীয় ধারা মানতে হবে সেক্ষেত্রে ঐ একই প্রশ্ন নিবন্ধন ছাড়া কিভাবে একটা দল জেলা বা উপজেলা বা থানায় দলিয় দফতর প্রতিসঅঠা করবে?
এটা ট্রেডিং লাইসেন্স ছাড়া বৈধ ব্যাবসা করার মত হলনা।
তার চেয়ে নিবন্ধন করে শাখা-প্রশাখা প্রতিসঠা করাটা বেশি যৌক্তিক নয়কি?

অভিমন্যু .
________________________
সেই চক্রবুহ্যে আজও বন্দী হয়ে আছি

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১। প্রদত্ত শর্তগুলি ২০০৮ সালের পর অর্থাৎ এই আইন প্রনীত হবার পর কোন দলের নিবন্ধন আবেদনের জন্য প্রযোজ্য। যেহেতু তার আগে আরো ৯টি জাতীয় নির্বাচন হয়ে গেছে তাই ব্যাপারটা এমন একটু গোলমেলে মনে হচ্ছে।

২। এই আইনটি নির্বাচন করতে চাওয়া দলের জন্য প্রযোজ্য। নির্বাচন করতে না চাইলে এই আইনের বাধ্যবাধকতা থাকে না। আইনটির এই প্রকার সীমাবদ্ধতার consequence-গুলো ভেবেই এই পোস্টের অবতারণা।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চলুক

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।