আমি কিন্তু নারীবাদি…

প্রবাসিনী এর ছবি
লিখেছেন প্রবাসিনী [অতিথি] (তারিখ: রবি, ৩১/০১/২০১০ - ১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[আমি ফেমিনিসম নিয়ে আগে বাংলায় লেখিনি কখনো, তাই আজকে আমার ভাষা কিছুটা choppy]

কয়েকদিন ধরে ফেমিনিসম, বিশেষ করে একাডেমিক ফেমিনিস্ম নিয়ে কানাডায় বেশ হইচই হচ্ছে। সিবিসির রেডিওর একটা টক শো থেকে মোটামুটি এক সব শুরু হলো। কয়েকদিন আগে ন্যাশনাল পোস্টে এই নিয়ে একটা প্রবন্ধও ছাপা হলো। ইংরেজিতে লেখা, কপি করে দিচ্ছিঃ

National Post editorial board: Women's Studies is still with us
Posted: January 26, 2010, 10:00 AM by NP Editor

Editorial
If the reports are to be believed, Women’s Studies programs are disappearing at many Canadian universities. Forgive us for being skeptical. We would wave good-bye without shedding a tear, but we are pretty sure these angry, divisive and dubious programs are simply being renamed to make them appear less controversial.
The radical feminism behind these courses has done untold damage to families, our court systems, labour laws, constitutional freedoms and even the ordinary relations between men and women.
Women’s Studies courses have taught that all women — or nearly all — are victims and nearly all men are victimizers. Their professors have argued, with some success, that rights should be granted not to individuals alone, but to whole classes of people, too. This has led to employment equity — hiring quotas based on one’s gender or race rather than on an objective assessment of individual talents.
Executives, judges and university students must now sit through mandatory diversity training. Divorcing men find they lose their homes and access to their children, and must pay much of their income to their former spouses (then pay tax on the income they no longer have) largely because Women’s Studies activists convinced politicians that family law was too forgiving of men. So now a man entering court against a woman finds the deck stacked against him, thanks mostly to the radical feminist jurisprudence that found it roots and nurture in Women’s Studies.
The equality protection before and under the law, granted to all Canadians regardless of race, sex, creed or origin, has been eroded because feminist legal scholars convinced the Supreme Court to permit preferential treatment for “traditionally disadvantaged groups,” chief among whom, they contend, are women.
Over the years, Women’s Studies scholars have argued all heterosexual sex is oppression because its “penetrative nature” amounts to “occupation.” They have insisted that no male author had any business writing novels from women’s perspectives; although, interestingly, they have not often argued the converse — that female writers must avoid telling men’s stories.
They have pushed for universal daycare and mandatory government-run kindergarten, advocated higher taxes to pay for vast new social entitlements and even put forward the notion that the only differences between males and females are “relatively insignificant, external features.” All other differences are said to be the result of patriarchal brainwashing. So the only way to ensure gender equality is to turn over all education to the state, where professionals can ensure only unbiased instruction.
In sum, there would be little of rational worth left even if Women’s Studies were to disappear. Yet despite all the handwringing by the programs’ supporters, are the worst elements of Women’s programs really disappearing or just being renamed? Are the professors different? Has the basic philosophy behind the program changed? Has the curriculum been altered?
In most cases the answer is no. Little has changed but the nomenclature.
While we’d like to cheer and say “Good riddance,” we’re certain such celebration would be premature.


আমি কি ভাবি এই সব নিয়েঃ

১। এই প্রবন্ধতে ফেমিনিসম আর ওমেন’স স্টাডিস ঠিকমত প্রকাশিত হয়নি আর ফেমিনিসম আর ওমেন’স মুভমেন্টের অনেক কাজ, অনেক কীর্তি-কলাপ উপেক্ষীত হয়েছে। ওমেন’স মুভমেন্টের জন্য যারা ঐতিহাসিক ছাপ রেখে গেছেন (নারী এবং পুরুষ) তাদের অবদানকে কোন দামই দেয়া হয়নি।

২। Employment equity নিয়ে Justice Rosalie Abella, head of the Royal Commission on Employment Equity, বলবেন Employment equity is not about “hiring quotas based on one's gender or race.” It is ultimately connected with justice, social equality, and practices that make good business sense. As the Commission puts it, not doing anything to address the under-representation of women, aboriginals, racial and ethnic minorities, and people with disabilities in the workplace deprives our society of a big talent pool and costs us billions of dollars in lost productivity. It is also tantamount to “inactivity [as] an acceptance of inequality.”

৩। ওমেন স্টাডিস মানেই যে র‌্যাডিকাল ফেমিনিসম তা কিন্তু না। ওমেন স্টাডিসে অনের ধরনের ফেমিনিসম নিয়ে আলোচনা করা হয় (First wave feminism, second wave feminism, third wave feminism, liberal feminism, black feminism, post-colonial feminism, third world feminism, standpoint feminism, environmental feminism, queer feminism etc etc). ফেমিনিসমের এইটা একটা বেশ বড় ফিচার, it allows for different ideas, ideologies, methods, methodologies to exist.

৪। সময়ের সাথে সাথে যে কোন অন্য বিষয়ের মত ফেমিনিসম আর ওমেন’স স্টাডিসের কারিকুলাম পরিবর্ত্ন হয়েছে আর হবেও। কারণ গবেষনার ধারা, বিষয়, diverse গবেষক এই emerging fieldকে shape করছে।
আর আমি?

আমি কিন্তু নারীবাদি। কিন্তু তার মানে এই না যে I hate men. Nor does it mean than I am a lesbian and yes, I do wear a bra [Trust me, প্রায়শই এই ধরনের প্রশ্নের মুখোমুখি হই]।

আমি কিন্তু নারীবাদি। কারণ আমি চাই যে সবাই (and I mean সবাই, regardless of sex, gender, sexual orientation, age, race, religious, ethono-religious/cultural background)যেন নিজেদের মৌলিক চাহিদার পূরণ করার সুযোগ পায়। সবাই যেন সম্মানজনক জীবন কাটাতে পারে।

আমি কিন্তু নারীবাদি।নারীবাদি মানে এই না যে সব সমস্যার জন্য পুরুষদের দায়ি করি। আমরা সামাজিক পরিবর্ত্ন আনতে চাই। সেই সামাজিক পরিবর্তনের ফসল সবাই উপভোগ করবে।

আমি কিন্তু নারীবাদি, কিন্তু আমি ওতটা খারাপ না, সব সময় ঝগড়াও করি না।আমি বিয়ে শাদি, ঘর সংসারেরও বিরুদ্ধে না।


মন্তব্য

নাশতারান এর ছবি

আরেকটু বেশি বাংলা হলে ভালো হতো না? ইয়ে, মানে...

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

প্রবাসিনী এর ছবি

হয় তো। কিন্তু বাংলায় ফেমিনিসম নিয়ে আগে বেশি চিন্তা করিনি, তাই নিজেকে বুঝাতে বেশ কষ্ট হয়।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

সিরাত এর ছবি

সাজিয়া,

এইভাবে ইংরেজি ঢালাও না দেয়াই ভাল। বরং তুমি এক কাজ করতে পারো - আমি নিজে করি - আর্টিকেলটা পড়ি, তারপর ফালায় দেই, তারপর নিজে মাথায় যা থাকে তা লিখি। মাথায় না থাকে মানে বাকি তথ্যের দরকার নাই।

ওই জিস্টটা বলে তারপর তোমার বিশ্লেষণ দাও। এই। হাসি

তোমার সব লেখাই পড়ি, মন্তব্য করি না। আজকে চামে একটু উপদেশ দিয়ে দিলাম আর কি। চোখ টিপি

প্রবাসিনী এর ছবি

উপদেশের জন্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটা দিয়েছি কনটেক্সট বোঝানোর জন্য।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

রেশনুভা এর ছবি

আমি কিন্তু নারীবাদি। কিন্তু তার মানে এই না যে I hate men.

তাহলে সাধারণভাবে কী নারীবাদীরা পুরুষ ঘৃণা করেন?
তোমার মূল বক্তব্যটা ধরতে পারি নাই; সেটা আমার ব্যর্থতা।
----------------------------------------------

আমার যত অগোছালো চিন্তাগুলি,
রয়ে যাবে এইখানে অযতনে ।।

নাশতারান এর ছবি

"নারীবাদীরা পুরুষকে ঘৃণা করে" এটা একটা ভুল ধারণা। নারীবাদের প্রতিপক্ষ পুরুষতন্ত্র। উত্তরাধিকারসূত্রে পুরুষতন্ত্রের বহুবিধ সুবিধা পুরুষেরা বুঝে অথবা না বুঝে ভোগ করে থাকেন। তাই ঘৃণার খানিকটা ভাগ তাঁরাও পেয়ে থাকেন। তবে নারীরাও বহুলাংশে পুরুষতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষণ করে থাকেন। পুরুষ মাত্রই পুরুষতন্ত্রের ধ্বজাধারী ভেবে নেয়া ভুল। ব্যক্তিগতভাবে আমি পুরুষদের ভালবাসি। দেঁতো হাসি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

প্রবাসিনী এর ছবি

আমিও দেঁতো হাসি
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

স্পর্শ এর ছবি

আমি কিন্তু নারীবাদি…

ইয়ে, মানে...

আপনার জন্য এই হাসি
http://plato.stanford.edu/entries/feminism-topics/
(লিঙ্ক এবং হাসিমুখ) দুটিই।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

প্রবাসিনী এর ছবি

থাঙ্কস।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

হাসিব এর ছবি

নারীবাদিদের মধ্যে অনেক তরিকা আছে । আপনি কোন তরিকা ফলো করেন ?

প্রবাসিনী এর ছবি

আমি স্ট্যান্ড-পয়েন্ট আর পোস্ট কোলোনিয়ালের মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি (আপাতত)।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

হাসিব এর ছবি

এই পোস্টকলোনিয়ালদের ব্যাপারটা কি ? রাস্তাঘাটে পচুর কথাবার্তা শুনি যে এইটা-ঐটা ইত্যাদি হৈলো কলোনির ফল । বুঝি না ব্যাপারটা । কলোনি আমাদের মধ্যে কি বৈশিষ্ট্য আনলো যেইটা কলোনি না থাকলে হৈতো না ?

প্রবাসিনী এর ছবি

এখানে দেখুন
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

যে কেউ চাইলে উইকির পোস্টকলোনিয়ালিজম পড়তে পারেন। সেটার লিঙ্ক দেখানো কোন কিছুই মীন করে না।

আপনার স্ট্যাণ্ডটা কোন জায়গার ওপর সেটাই জানতে চাই। এবং একটু ব্যাখ্যা সহ। হাসিব্বাই ও বোধ হয় সেটাই জানতে চান।

উইকির লিঙ্ক দেখানোর জন্য আপনার দ্বারস্থ হবার দরকার আছে বলে মনে করি না।

প্রবাসিনী এর ছবি

আমার স্ট্যান্ড কই সেইটা আগেই বলেছি...ব্যাখ্যা বাংলায় করতে পারবো না মনে হয়। আর ইংরেজি আরো কিছু লিখতে মাইর খাওয়া খালি বাকি থাকবো দেঁতো হাসি । তাই উইকির লিঙ্ক দিয়েছিলাম।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

পুষ্টের ইংরেজীর পরিমান দেইখা ডরায়া একহাতে লুঙ্গিটা ধইরা লৌড় পারছি লেখা ত্থিক্কা চোখ টিপি, কেউ অনুবাদ কইরা দিলে আইসা পইড়া যাইয়াম।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রবাসিনী এর ছবি

ইয়ে, মানে...
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

দুর্দান্ত এর ছবি

ভালো বিষয়, তবে লেখাটা বাংলায় পড়তে চাই। একতারা।

প্রবাসিনী এর ছবি

হুমম।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

দুর্দান্ত এর ছবি

হুমম এর অর্থ কি এই যে, আপনি কি আমার সাথে একমত হয়ে খুব তাড়াতাড়ি এই লেখাটা অন্তত ৮০% বাংলায় পুনঃপোস্ট করছেন?
---
অনুন্নত বিশ্বে লিংগ বৈষম্য এতই বেশী, যে শক্ত নারীবাদ ছাড়া গতি নেই। সেখানে সবার সমান অধিকার বলে দিলে পুরুষেরাই সবকিছু দখল করে নেবে। তাই সমতা না আসা পর্যন্ত নারীর বিশেষ অধিকার থাকতেই হবে।

প্রবাসিনী এর ছবি

নাহ। আমার বাংলা এতো ভাল না যে অনুবাদ করলে সুন্দর কিছু বের হবে। হুম্ম মানে হলো আমি আপনা কমেন্টটা দেখেছি এবং আপনি খুব ভালো একটা কথা বলেছেন।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

দুর্দান্ত এর ছবি

আমি পরিস্কার করে বোঝাতে পারিনি।
আপনি নিয়মিত সচলে আসলে জেনে থাকবেন যে অপ্রয়োজনে অন্য ভাষার ব্যাবহার নিয়ে এই কিছুদিনে আগেই এখানে কথাবার্তা হয়েছে। সেখানেও 'বাংলা লিখতে পরিনা' ধরনের আহ্লাদ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল, এবং মডারেটরা সেটাকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রনে এনেছে। ভাল বাংলা না জানলে ভুল লিখুন, সচলদের মধ্যে সেই ভুল সুধরে দেবার আগ্রহের কমতি হবে না। তবুও বাংলা লেখায় যে আপনার আগ্রহ আছে সেটা কাজে প্রকাশ করুন।

আমি জানিনা কোন মডারেটরের হাত গলে কি বিবেচনায় আপনার এই লেখা এখানে ছাড়া পেয়েছে, আমি সেই মডুকে ঘুম থেকে জাগার অনুরোধ জানাচ্ছি। আপনার লেখায় আপত্তি প্রকাশ করে গেলাম।

বেগুনী-মডু এর ছবি

আমি জানিনা কোন মডারেটরের হাত গলে কি বিবেচনায় আপনার এই লেখা এখানে ছাড়া পেয়েছে, আমি সেই মডুকে ঘুম থেকে জাগার অনুরোধ জানাচ্ছি।

লেখাটি প্রকাশের পেছনে দুইটি কারণ ছিল।

১. লেখাটি রচনাশৈলীতে পূর্ণ না হলেও একে ঘিরে একটি প্রাসঙ্গিক আলোচনার সুযোগ আছে।

২. লেখিকা অনভ্যাসজনিত কারণে বাংলায় দুর্বল হলেও তিনি ভাষাকে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করে থাকেন। যেটুকু অযত্ন আছে, তা সমালোচনার আলোকে ভবিষ্যতে শুধরে নেওয়া সম্ভব।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

দুর্দান্ত এর ছবি

এই লেখায় লেখক নিজের কথা বাংলায় লেখার চেষ্টা কোথায় করলেন সেটা আমাকে দেখিয়ে দিন। তিনি তো সরাসরি বললেন, তিনি পারবেন না।
লেখিকাকে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করতেও আপনি কোথায় দেখলেন? স্নিগ্ধা ও রিয়াজুদ্দিন দয়া করে মন্তব্য না করলে এই পোস্টের আলোচনাটা শুধু পোস্ট কলোনিয়ালিজম নিয়ে লেখিকার লিঙ্কগুলোতেই সীমাবদ্ধ থাকতো।

না, জনাব/জনাবা বেগুনী মডু আমি আপনার সাথে একমত নই। এই লেখাটি সচলে কেন ছাড়া পেতে পারে, এ বিষয়ে আমি আপনার আরেকজন সহকর্মীর মতামত জানতে চাইছি।

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমি কিন্তু নারীবাদি, কিন্তু আমি ওতটা খারাপ না, সব সময় ঝগড়াও করি না।আমি বিয়ে শাদি, ঘর সংসারেরও বিরুদ্ধে না।

ইয়ে, প্রবাসিনী, হয়তো খেয়াল করেন নি বা এভাবে বলতে চান নি, কিন্তু কথাটার মানে দাঁড়াচ্ছে -

The radical feminism behind these courses has done untold damage to families, our court systems, labour laws, constitutional freedoms and even the ordinary relations between men and women.
এই কথাটার মতোই হাসি

আর ন্যাশনাল পোস্টের ওই প্রবন্ধটা পড়ে বেশ মজা পেয়েছি, রাগ হয় নি একটুও! মনে হয়েছে - আহারে!!!

প্রবাসিনী এর ছবি

উদ্ধৃতি

আমি কিন্তু নারীবাদি, কিন্তু আমি ওতটা খারাপ না, সব সময় ঝগড়াও করি না।আমি বিয়ে শাদি, ঘর সংসারেরও বিরুদ্ধে না।

এই কথাগুলো লিখেছি কিছু বন্ধু মানুষের সাথে কথা বলার পর। নারীবাদিতা নিয়ে ওদের খুবই নেগাটিভ ধারণা।

ইংরেজি উদ্ধৃতির সাথে কোন যোগাযোগ খুজে পাচ্ছি না...
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

স্নিগ্ধা এর ছবি

ইংরেজি উদ্ধৃতির সাথে কোন যোগাযোগ খুজে পাচ্ছি না...

রিয়াজ উদ্দীনের মন্তব্যের উত্তরে লেখা আমার বক্তব্য পড়লে হয়তো কিছুটা পরিষ্কার হবে .........

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

আপনি হয়ত পোস্টদাতাকে এপলোজেটিক ধরে নিয়ে এই মিলটা নির্দেশ করলেন। সহজ ভাষায় হয়ত ব্যপারটাকে এভাবে দেখতে পারেনঃ
নারীবাদি মানসিকতার সাথে যে সব কোনোটেশন দেখান হয়েছে তার সাথে প্রবাসিনী একমত নন বলেই তিনি বলছেন -
আমি নারীবাদি কিন্তু আমি ........ নই।
অর্থাৎ তিনি বলতে চাচ্ছেন নারীবাদিদেরকে যেই চিত্রে উপস্থাপন করা হচ্ছে এই ইংরেজি নিবন্ধে সেটার সাথে তিনি একমত পোষন করেন না।
আমার বোঝার ভুল হতে পারে।
তবে একটা কথা সত্যি যে প্রবাসিনী নিজের অবস্থানের পক্ষে তেমন যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেননি। এটা থাকলে পোস্টটির মান অনেক বাড়ত।

স্নিগ্ধা এর ছবি

পোস্টদাতার ওই লাইনগুলো এপলোজেটিক শোনাচ্ছিলো - হয়তো তার অজান্তেই - যেটা পোস্টদাতা যে নন তা তার পোস্ট থেকে অনুমান করা যায়, এবং আমার বক্তব্যটা ছিলো সেটাই।

এর আগে অন্যান্য কয়েকটা ধারণার ক্ষেত্রে প্রবাসিনী স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দিয়েছিলেন যে ওইসব প্রশ্ন নারীবাদিদের শুনতে হয়। আমি যে প্যারাটা উদ্ধৃত করেছি সেটা পড়ে ওগুলো যে তারই কিছু বন্ধুর নারীবাদিদের সম্পর্কে 'নেগেটিভ' ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে বলা - সেটা বোঝা কি সম্ভব ছিলো? থাকলেও, আমি অন্তত বুঝতে পারি নি (স্পষ্টতই), বরং মনে হচ্ছিলো নারীবাদকে যে ধরনের অভিযোগ শুনতে হয় - যেটা ওই ইংরেজী কলামে রয়েছে - প্রবাসিনী নারীবাদি হয়েও ঐ একই খাতে অভিযুক্ত হবার মতো যে কিছু করেন না, সেটাই স্পষ্ট করছেন।

আর এক ভাবে দেখলে - প্রবাসিনীর নাকি কিছু বন্ধু মানুষের নারীবাদ সম্পর্কে খুব নেগেটিভ ধারণা, এবং তারা ঝগড়া করা, বিয়ে/সংসারের বিপক্ষে থাকা ইত্যাদিকে নারীবাদির সাথে এসোশিয়েট করেন। তো, একইভাবে ন্যাশনাল পোস্টের এডিটরিয়াল কলাম লিখিয়েও তো ঠিক সেটাই করেছে? তার নারীবাদকে অমুক, অমুক কারণে দায়ী মনে হয়েছে, সেটাই বলেছে।

নারীবাদ কোন একটা একক মতবাদ নয়, সোশ্যাল সায়েন্সের অনেকগুলো শাখার অনেকগুলো তত্ত্ব বা মতাদর্শের ওপর এটা দাঁড়ানো। এবং, ব্যক্তি বা তাত্ত্বিকবিশেষে সেই বিভিন্ন মতবাদের কম্বিনেশনও বিভিন্ন হয়। এমন নারীবাদি থাকতেই পারেন যারা হয়তো ব্যক্তি হিসেবে অতীব নম্র এবং মৃদুভাষী, কিন্তু সংসার করাকে পুরুষতন্ত্রের কন্টিনিউয়েশন মনে করেন, বা বিয়ে নামক সামাজিক প্রতিষ্ঠানটিকে পুরুষতন্ত্রের একটা অস্ত্র মনে করে এর বিরোধিতা করেন। তাতে ব্যক্তিগতভাবে আমার কোন সমস্যা নেই, যার যা মতবাদ। কিন্তু, আমার সমস্যাটা ছিলো - প্রবাসিনীর কথাগুলো শোনাচ্ছিল (আমার কাছে) যেন উনি ওগুলোকে অভিযোগ হিসেবে মেনে নিয়ে বলছেন যে তিনি ওই কাজগুলো করেন না, সেখানটায়।

যাই হোক, মন্তব্যটা অনর্থক লম্বা করলাম। নারীবাদের মত স্পর্শকাতর এবং কনট্রোভার্সিয়াল বিষয় নিয়ে একটু সাবধান হয়ে না লিখলে ভুল ইন্টারপ্রিটেশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে, এটাই আসলে বোঝাতে চাচ্ছিলাম।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

যাই হোক, মন্তব্যটা অনর্থক লম্বা করলাম

মোটেও না। আপনার কাছে এই বিষয়ে আরো বিশদ মন্তব্য আসলে আমার মত পাঠক উপকৃতই হয়।

নারীবাদের মত স্পর্শকাতর এবং কনট্রোভার্সিয়াল বিষয় নিয়ে একটু সাবধান হয়ে না লিখলে ভুল ইন্টারপ্রিটেশনের সম্ভাবনা বেশি থাকে, এটাই আসলে বোঝাতে চাচ্ছিলাম।

সহমত। এটা অবশ্যই দরকারি একটা পয়েন্ট। একদিকে আছে রাজনৈতিক শুদ্ধতার প্রয়োজন। অন্যদিকে রয়েছে বিষয়টির জটিলতাকে আগ্রাহ্য করার ভুলের সম্ভাবনা। এখানে স্টেরিওটাইপিং এর ফাদে পরা খুবই সহজ।

আমার আগের মন্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল আমি কিভাবে বুঝেছি সেটা বলা। আর আপনি যেই অর্থটা বলেছেন সেটাও খুব সম্ভব। নাক গলানর জন্য দুঃখিত।
(মন্তব্য একটু সংশোধিত)

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

The radical feminism behind these courses has done untold damage to families, our court systems, labour laws, constitutional freedoms and even the ordinary relations between men and women.

এইরকম বক্তব্য এই রাজনৈতিক শুদ্ধতার যুগে কি করে আসল সেটা ভাবছি। তবে এখানে ফেমিনিসম শব্দটির আগে র‌্যাডিকাল শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এটা কি এই বক্তব্যটিকে কিছুটা গ্রহনযোগ্যতা দেয়? যেহেতু নারীবাদের নানা ওয়েভ বা ভার্সন রয়েছে র‌্যডিকাল ফেমিনিসম ব্যপারটা সেক্ষেত্রে ঠিক কি বোঝায়?

সমাজবিজ্ঞানে আজকাল ট্রাস্ট বা বিশ্বাস একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হিসাবে ধরা হয়। এখানে উপরের আর্টিকেলের আলোকে কি এমনটা ভাবার সুযোগ আছে যে র‌্যাডিকাল ফেমিনিসম পারিবারিক পর্যায়ে ট্রাস্ট সিস্টেমকে দুর্বল করে দিয়ে সামাজিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করছে? স্পর্শকাতর হলেও বিষয়টা সম্পর্কে একটা স্বচ্ছ ধারনার আশাতেই আপনার কাছে প্রশ্ন করছি। কারন এই বিষয়ে আপনার বেশ পড়াশোনা আছে বলে মনে হয়েছে।

একটা সিনেমা দেখেছিলাম। chaos যদি দেখে থাকেন তাহলে মনে হতে পারে ভীষন একপেশে। কিন্তু আমার মনে হয়েছিল। নারীবাদ বোঝার ক্ষেত্রে এটা গল্পটি বেশ সাহায্য করতে পারে। বিশেষ করে নারীরা নিজেদের অবস্থানের সম্পর্কে বা প্রাপ্য মর্যাদা সম্পর্কে পুরষতান্ত্রিকতার প্রভাবে অনেক ক্ষেত্রেই একটা প্রেজুডিস হয়ত ধারন করেন। আমি যেটা বুঝেছি এই ব্যপারে সচেতনতার জন্য উপরের মুভিটা সাহায্য করতে পারে হয়ত। যদিও সেটা ভীষন ভাবে একপেশে যেমনটা ছিল বেগম রোকেয়ার নারীবাদি কল্পকাহিনী। এই বিপরীত চিত্রটার একটা শক্তিশালী ডিকন্সট্রাক্টিং শক্তি আছে বলে মনে হয় আমার।

স্নিগ্ধা এর ছবি

ঠিক পলিটিক্যালি ইনকারেক্ট লাগছে না, কড়া একটা নারীবাদবিরোধী বক্তব্য মনে হচ্ছে। র‌্যাডিকাল ফেমিনিজমেরও যদ্দূর জানি একাধিক শাখা আছে তবে মোটা দাগে বলতে গেলে, এই মতবাদ পুরুষতন্ত্রকে সরাসরি আঘাত করে, সমাজে প্রচলিত কিছু পুরুষতান্ত্রিক নর্মকে সরাসরি অস্বীকার করে, নারীবাদকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। ব্রা পোড়ানো, ট্র্যাডিশনাল জেন্ডার রোল পালটে ফেলার আন্দোলন ইত্যাদি কিছু জিনিষ এই মতবাদের আওতায় পড়ে। অন্যদিকে স্ট্যান্ডপয়েন্ট বা পোস্টকলোনিয়াল সে তুলনায় অনেক বেশি তাত্ত্বিক বা এনালিটিক্যাল। এই এপ্রোচগুলো কিছু তত্ত্বের (যেমন মার্ক্সিস্ট থিওরি, ফুকো'র ডিসকোর্স থিওরি) ভিত্তিতে কীভাবে সমাজের বিভিন্ন আইন, রীতি, অথবা প্রথার উৎপত্তি আসলে পুরুষতন্ত্র থেকে, এবং কীভাবে সেগুলো পুরুষতন্ত্রকে বজায় রাখতে সাহায্য করে - সেটা ব্যাখা করে। সেগুলোর প্রায়োগিক দিকও আছে অবশ্যই, কিন্তু সেটা র‌্যাডিকেল ফেমিনিজমের মতো ততটা লড়াকু এপ্রোচ নয়।

সমাজবিজ্ঞানে ট্রাস্টের ইদানিংকালের গুরুত্বের ব্যাপারটা আমি ঠিক জানি না, তাই সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারলাম না। কিন্তু, ওপরের ওই বক্তব্যের মানে ট্রাস্ট নষ্ট করে অস্থিতিশীলতার সৃষ্টি করা নয়। নারীবাদ যেহেতু যুগ যুগ ধরে চলে আসা বিভিন্ন জিনিষকে চ্যালেঞ্জ করতে শেখায়/সাহায্য করে - স্বভাবতই সেটা স্থিতিশীলতাকে নাড়া দেয়। পরিবারের সেক্সুয়াল ডিভিশন অফ লেবারের ক্ষেত্রেও ঝামেলা শুরু হয়। নারীরা গৃহের বাইরে বেরিয়ে আসাতে তাদের জেন্ডার রোল যেমন বদলেছে, তেমনি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য প্রতিদ্বন্দীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। আবার ব্যাপারটা এখনও ঠিক ততটাই পরিপক্ক হয় নি যে মেয়েদের কোটা বা বিশেষ সুবিধা প্রদানের যে কিছু ক্ষেত্র আছে সেটার আর প্রয়োজনীয়তাই থাকবে না। ফলে, অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা পুরুষদের তুলনায় একটু বেশিই সুবিধা পাচ্ছে।

কিন্তু নারী পুরুষের সম্পর্কের যে সমীকরণ ছিলো, সেটা অনেকখানিই বদলে গেছে। আমার ধারণা ট্র্যাডিশনাল সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বদলটাই এখানে untold damage হিসেবে বলা হচ্ছে। ক্যাওস দেখি নি।

প্রবাসিনী এর ছবি

চলুক
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

হিমু এর ছবি

আমাকে কিছু নারীবাদী মেয়ে [বয়স শ্রেণী ২৫-৪০] সেক্সিস্ট বলে। কেন বলে জিজ্ঞেস করলে নানা উত্তরাধুনিক জার্গন ঝেড়ে প্রসঙ্গ পাল্টায়। আমি বুঝি না কেন আমাকে সেক্সিস্ট বলা হয় মন খারাপ । তবে মনে হয় এটা একটা খারাপ কথা। নারীবাদী কর্ণারে আমার করুণ আবেদন, ঠিক কী লক্ষণ দেখে একজন সেক্সিস্ট চেনা যায়? কোনো নারীও কি সেক্সিস্ট হতে পারেন?



বুকে BOOK রেখে বন্ধু চলো আজ যাবো বরাহশিকারে মোরা ধার ধার ধার দিও বল্লমে ♪♫

হাসিব এর ছবি

নারিবাদ শব্দটাই তো সেক্সিস্ট । নাকি ভুল বললাম ?

প্রবাসিনী এর ছবি

নারীবাদি মানে ফেমিনিস্ট। সেক্সিস্টের মানে পাবেন এইখানে
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

নারিবাদ শব্দটাই তো সেক্সিস্ট

দারুণ জিনিস বের করলেন। হাসি

--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~

প্রবাসিনী এর ছবি

সেক্সিস্ট কিংবা সেক্সিস্ম নিয়ে জানতে চাইলে, এখানে দেখুন।

আর মেয়েরাও সেক্সিস্ট হতে পারে।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

ব্লগের টার্মগুলো এখনো পুরাপুরি আয়ত্তে আসেনি - "সেক্সিস্ট" আর "লুল" কি একই জিনিস?

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

যদিও আমাকে জিজ্ঞেস করেননি আমি মডেল টেস্টের মত করে একটা উত্তর দিয়ে রাখি। ভুল হইতে পারে।

উত্তরঃ
মনে হয় না। আমি যেমন বুঝি একজন ব্যক্তি (পুরুষ বা মহিলা) যদি মনে করেন মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে (অথবা উল্টোটা) বুদ্ধিমত্তায় পিছিয়ে বা অন্যকোন ভাবে এধরনের কোন স্টেরিওটাইপ করা হয় (যেমন মেয়েরা হিংসুটে, ঝগড়াটে ইত্যাদি) তাহলে তাকে বলা হবে সেক্সিস্ট আচরন। যেমন মেয়েরা কেন বিজ্ঞান বা কারিগরি পেশায় ছেলেদের চেয়ে সংখ্যায় কম সেটার ব্যাখ্যায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট লরেন্স সামার কয়েকটি কারন দেখিয়েছেন যার একটি হচ্ছে
""the different availability of aptitude at the high end"
অর্থাৎ তিনি বলতে চাচ্ছেন মেয়েরা এই ক্ষেত্রে একেবারে শীর্ষে যেতে পারেনা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যের জন্য। এটা একটা সেক্সিস্ট মন্তব্য।

আর লুল ব্যপারটার অর্থ আমি ঠিক জানি না। ব্যবহার দেখে যেটুকু বুঝেছি সেটা হল যৌনতা জনিত চরিত্রিক দুর্বলতা বোঝান হয় বোধ হয় এই মন্তব্য দিয়ে। ভুল হতে পারে।

ওয়াইল্ড-স্কোপ [অতিথি] এর ছবি

রিয়াজ উদ্দীন: সচলে বা গুগুলে সার্চ দেন - "লুল" খাইছে প্রায় সব ব্লগেই এইটা একটা জনপ্রিয় লোল-সাহিত্য সংক্রান্ত টার্ম - ব্লগারদের জানা আবশ্যক চোখ টিপি

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

এই টার্মটা আমি দেখছি অনেক যায়গায় কিন্তু অর্থটা অনুমান থেকে বলা। ব্লগশনারি জাতীয় কিছু একটা থাকলে মন্দ হইত না।

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

একটা প্রাসঙ্গিক কথা মনে পড়ল। কেউ যদি নৈর্ব্যক্তিকভাবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করে এই বিষয় নিয়ে, তারপর বের করে কেন নারীরা পিছিয়ে, সেটার কোনো কোনো ফলাফল কি সেক্সিস্ট হতে পারে? নাকি গবেষণা সেক্সিজমের আওতায় পড়বে না?

--------------------------------
~পর্যবেক্ষণ-অসাধ্য তত্ত্ব অর্থহীন~

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি

এটা সম্ভবত নির্ভর করছে গবেষনার পেছনে বা সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত নর্ম এর ওপর। অর্থাৎ আপনি যদি একটা সমাজের ভেতরের ক্ষমতা কাঠামোকে বিবেচনায় না নিয়ে কেবল বিজ্ঞানের ভিত্তিতে গবেষনা করে দেখান যে মেয়েরা স্বভাবতই মেধাগত ভাবে দুর্বল তাহলে সেটাকে হয়ত সেক্সিস্ট বলা যেতে পারে। তবে পদ্ধতিগত ভাবে যদি নির্ভুল উপায়ে যদি গবেষনা করা হয় এবং দেখা যায় নারীরা বা পুরুষেরা আসলেই বুৎপত্তির দিক দিয়ে এগিয়ে বা পিছিয়ে সেটাকে সেক্সিস্ট বলা যাবে কিনা জানি না। কিন্তু এই ধরনের গবেষনা যদি করা হয় তবে তার পদ্ধতিগত ব্যপারে প্রশ্ন ওঠার সম্ভাবনা অনেক বেশি বলে মনে করি। সেক্ষেত্রে গবেষক যদি সব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে না পারেন সে ক্ষেত্রে এট দা এন্ড অব দ্যা ডে তাকে লোকে সেক্সিস্ট বলতেই পারে।

তবে আমি মনে করি না আপনার প্রশ্নের পুর্নাঙ্গ উত্তর হলো। এর আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ মাত্রা আছে বলে মনে হয়। নর্মেটিভ আর পসিটিভ গবেষনার ক্ষেত্রকে আলাদা করা এখন অনেক কঠিন। আপাত দৃষ্টিতে পসিটিভ গবেষনা মনে হলেও অনেক বিচারেই একটি গবেষনা আদতে নর্মেটিভ প্রমানিত হতে পারে। তখন সেই সেক্সিজমের ফাঁদে পরার সম্ভাবনা ব্যপক।

হাসিব এর ছবি

বিষয়টা হলো সেক্সিস্ট, রেসিস্ট ইত্যাদি শব্দের দু'রকম অর্থ আপনি পাবেন লিটারেচারে । একদল সেক্সকেন্দ্রিক যাবতীয় নেতিবাচক প্রপঞ্চকে সেক্সিস্ট বলেন । আরেকদল সেক্সভিত্তিক যেকোন কিছুকেই সেক্সিস্ট বলেন । আমি এই বিষয়টা নিয়ে একটু আলোচনা আগাতে চাচ্ছিলাম যে এই বিষয়ে নারীবাদিদের আলাদা কোন ডিসকোর্স আছে কিনা । তবে পোস্ট লেখক আমার দুটো প্রশ্নের উত্তরের উইকির লিংক দিলেন । গুগল নামে একটা সাইট আছে এবং সেটাতে কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করতে সবাই জানে এই আস্থাটা মনে হয় উনি সবার ওপর রাখতে পারছেন না ।

যাই হোক, যারা গুগল সার্চ করতে জানে না তাদের জন্য একটা টিপস দিলুম চোখ টিপি

প্রবাসিনী এর ছবি

উইকির লিংক দিয়েছি কারণ ঐখানকার কন্টেন্ট বেশ রীডার ফ্রেন্ডলি আর মোটামুটি বেশ ভালই সামারী থাকে।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

হরেকৃষ্ন এর ছবি

নারীবাদী প্রসঙ্গে এই http://porshi.com/_arc_news_details.php?nid=235&rd=y&did=9 লেখাটি পড়ে দেখতে পারেন।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

লেখা পড়ে আপনার নিজের ধারণা পরিষ্কার বুঝতে পারলাম না।

জ্যাক জোনসের গানটা শুনলে বুঝতে পারবেন সেক্সিস্ট কেন একটা গালি হিসেবে ব্যবহার হয়।

উদ্ধৃতি
আমি স্ট্যান্ড-পয়েন্ট আর পোস্ট কোলোনিয়ালের মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি (আপাতত)।

কি বলতে চেয়েছেন বুঝতে পারি নাই।

প্রবাসিনী এর ছবি

আমার নিজের ফেমিনিস্ট ideology সময়ের সাথে সাথে আর পড়াশোনার সাথে সাথে পরিবর্তন হচ্ছে আর হয়তও হতেও থাকবে। তাই বলেছি আমি স্ট্যান্ড-পয়েন্ট আর পোস্ট কোলোনিয়ালের মাঝামাঝি একটা জায়গায় আছি (আপাতত)।
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

এখন পর্যন্ত আপনার কাছে যেটুকু পরিষ্কার হয়েছে সেটা আমাদের বলেন। স্ট্যাণ্ডপয়েণ্ট ও পোস্ট-কলোনিয়ালিজমের মাঝামাঝির ব্যাখ্যাটা চাচ্ছি। দয়া করে না লিঙ্কিয়ে আপনার ভাষায় বোঝান। বাংলা না ইংরাজি সেটা ব্যাপার না।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- পুরাই উড়াধুড়া অবস্থা দেখি!

(তাফসীরঃ সবকিছু মাথার উপর দিয়া উড়িয়া চলিয়া গেলো বলিয়া মন্তব্যকারী এইখানে এই মন্তব্য করিয়াছেন।)
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রাফি এর ছবি

পুরো লেখার বেশিরভাগ অংশ ইংরেজি এবং যতটুকু বাংলা আছে তাতে অসংখ্য বানান ভুল এবং টাইপো।
এ ধরণের লেখা দেয়ার আগে নিজের লেখা নিজে না পড়ার জন্য একতারা।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

মূলত পাঠক এর ছবি

একবার উর্দূ নিয়ে পাঠককুলের স্পর্শকাতরতা দেখে বাংলাভাষার প্রতি ভালোবাসার কথা মনে হয়েছিলো, এবং সে হিসেবে ব্যাপারটা খারাপ লাগে নি। তবে সেই হিসেবে এই লেখাটি প্রকাশযোগ্য মনে হয় না (প্রবাসিনী, যদি সম্ভব হয় তো মাইন্ড করবেন না দয়া করে)। ভাষা মূলত ইংরিজি, তাও কপি-পেস্ট। যৎসামান্য মন্তব্য রয়েছে বাংলায়, লেখক নারীবাদের প্রথিতযশা পণ্ডিত কেউ হলে সে সব মন্তব্যের গুরুত্ব থাকতে পারতো, কিন্তু তা না হলে সাথে ঘাটতি পূরণের জন্য একটু সযত্নলিখিত বর্ণনা থাকতে হয়। না হলে পাঠকের জন্য কিছুই পড়ে থাকে না। পাঠকদের মন্তব্যগুলোই বরং সাগ্রহে পড়লাম।

লেখায় বাংলিশ হলে আমরা যেমন অপছন্দ করি, ইংরিজি হলে তেমনটা করি না কেন, অন্ততঃ বাংলাভাষার ব্লগে?

প্রবাসিনী এর ছবি

যেহেতু আমি এখনো অতিথি লেখক, লেখার প্রকাশ যোগ্য কিনা সেটা মডুরা দেখেন...তাহলে ওদের জানানোই বেশি ভাল না?

আমার কাছে সচলায়তন শুধু বাংলা ভাষার জন্য না...সচলায়তন হচ্ছে বিভিন্ন মতামত পোষন করার ফোরাম। অন্যান্য বাংলা ব্লগের তুলনায় সচলায়তন অনেক বেশি লিবেরাল...তাই আমি এইখানে লিখি। আর এটাও বুঝি যে এইটা একটা বাংলা ভাষার সাইট। কিন্তু একেক জনের ভাষার আয়ত্ব একেক রকম। বাংলায় নিজেকে কিছু কিছু বিষয়ে প্রকাশ করতে অসুবিধা হয় বলে কি, আমি কিছুই বলবো না? নাকি সেই সোনালি দিনের জন্য অপেক্ষা করবো যখন পুরা লেখাটুকু বাংলায় লিখতে পারবো?
________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

________________________________________________

হইয়া আমি দেশান্তরী, দেশ-বিদেশে ভিড়াই তরী রে

মূলত পাঠক এর ছবি

আমার মন্তব্যে আপনি যে রেগেমেগে খেপচুরিয়াস হয়ে যান নি দেখে ভালো লাগলো। সহিষ্ণুতা ক্রমেই দুর্লভ হয়ে উঠছে।

আমার উদ্দেশ্য নালিশ ঠুকে দেওয়া নয়। তাছাড়া সচলে যদিও মডুরাই মডারেশন করেন, পাঠকেরা কিন্তু তাঁদের মতামত খোলাখুলিই জানিয়ে থাকেন, অন্ততঃ ভয়শূন্য চিত্তের প্রতিশ্রুতিটা সে কথাই বলে। মুক্ত মতামত প্রকাশের জায়গা সচল অবশ্যই, তবে তার আগে এটি বাংলাভাষার ব্লগ। আলোচনার ফোরাম অন্য ভাষায় আরো অনেক আছে, কিন্তু রুচিশীল বাংলা আলোচনার ফোরাম সুদুর্লভ। সে জন্যই আমাদের সবার দায়িত্ব সে বিষয়টা মনে রাখা। তবে ভাষা ছাড়াও কথা আছে।

গল্প কবিতা না হলে সম্পূর্ণ মৌলিক লেখা কমই হয়, অনেক সময়ই আমরা কিছু পড়ে তার ভিত্তিতে নিবন্ধ লিখি। কিন্তু সরাসরি তুলে দিলে সেক্ষেত্রে পাঠকের লাভটা কতটুকু হয় সেকথাটাও ভাবার মতো। তার চেয়ে অন্য পথ কি কিছু নেই? উপরে সিরাতের মন্তব্যটা দেখতে পারেন, একটা চমৎকার পথের সন্ধান রয়েছে সেখানে।

আশা করি আমার বক্তব্যটা কিছুটা হলেও বোঝাতে পারলাম। ভালো থাকুন। লেখা থামাবেন না, তবে রোদজল নিয়ে তার সালোকসংশ্লেষটুকু করে দিন, কথা দিচ্ছি লোকে মাছমাংস ছেড়ে খাবে সে সব।

জি.এম.তানিম এর ছবি

লেখাটিতে ইংরেজির পরিমাণ কম হলে বুঝতে সহজ হতো। ৩য় পয়েন্টে অনেক ধরনের ফেমিনিজমের কথা বলা হয়েছে কিন্তু সেগুলোর ব্যাখ্যা অথবা সংজ্ঞা উল্লেখ থাকলে সেটাও আলোচনা বোধগম্য করতে সাহায্য করতো। ৪র্থ পয়েন্ট দেখে মনে হয়েছে এখানে নারীবাদের বিপক্ষে যেসব মতামত আছে তার যুক্তিখণ্ডন করা হয়েছে, কিন্তু সেসব মতামতগুলো আগে বিস্তারে উদ্ধৃত করলে ভালো হতো।

মন্তব্য পড়ে আশা করি কিছু মনে করবেন না। লেখাটির আরও পাঠকস্পর্শী হওয়ার সম্ভাবনা ছিল দেখেই কথাগুলো বলা। ভালো থাকুন।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অমিত আহমেদ এর ছবি

প্রবাসিনী, ভাষা বিষয়ক আপনার সমস্যাটা বুঝতে পারছি কারণ সম্প্রতি এই ঝামেলা আমারো হয়েছে।

ক'হপ্তা আগে স্টুডেন্ট কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে একটি এন্টিওপ্রেশন ট্রেনিং-এ অংশ নিতে হলো। সেখানে হুট করে আমাকে মাইক ধরিয়ে দিয়ে বলা হলো বর্ণবাদ নিয়ে কিছু বলতে। আমি বিজ্ঞানের লোক। বিজ্ঞান নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা প্যাচাল পাড়তে পারি কিন্তু সামাজিক বিজ্ঞানের এই ক্ষেত্রে রুম ভর্তি সবাই তাদের পরিভাষায় কী বললেন, আমিই বা কী বললাম তা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। তবে তাই বলে হাল ছেড়ে দিলে তো হবে না। জানি, কষ্ট হবে। যা লিখতে হয়তো আধা ঘন্টা লাগতো, সেটা লিখতে হয়তো দু'দিনই লাগবে। কিন্তু এভাবেই শেখা হবে। যে জার্গন/টার্মগুলোর বাংলা জানেন না বা বাংলা নেই সেগুলো ইংরেজিতেই রাখেন। এটা একদিক থেকে ভালোই, কারণ পরে বিস্তারিত পড়তে চাইলে সুবিধে হয়।

সেই ট্রেনিং এর পর থেকেই সেক্সিজম, রেসিজম, হোমোফোবিয়া, ইত্যাদি নিয়ে আগ্রহ জন্মেছে। এবং পড়ার চেষ্টা করছি। পক্ষে কিংবা বিপক্ষে - অনলাইন ভর্তি যেসব লেখা পাই তার একটি বড় অংশ আমার কাছে একচোখা ও এক্সট্রিম মনে হয়েছে। কিছু কেসস্টাডি দেখেছি যেগুলোতে শুরু থেকেই অন্যপক্ষের দোষ ধরে নিয়ে গল্প বলা হয়েছে। যে ট্রেনিং-এর কথা বললাম সেখানেও দেখলাম অন্যমত শুনতে কেউই রাজী নয়।

তাই আপনারা যারা এসব নিয়ে ধারণা রাখেন, লেখাপড়া করেন, আপনাদের লেখায় হয়তো নিরপেক্ষ একটা ছবি আমরা দেখতে পেতাম। তাই আশা করবো আপনি এ বিষয়গুলো নিয়ে লিখবেন। না হয় একটু সময় নিয়ে, কষ্ট করে, বাংলাতেই।


ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।