বিটিআরসির ব্লগার সংক্রান্ত তথ্য অনুসন্ধান বিষয়ে

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: সোম, ২৫/০৩/২০১৩ - ১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রিয় সচল, অতিথি লেখক এবং পাঠকবৃন্দ,

আপনারা অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের প্ররোচনায় বর্তমান সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন ব্লগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগার অজুহাতে ব্লগ বন্ধ সহ ব্লগাদের তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বিটিআরসি কর্তৃপক্ষ। খবরটি পাওয়ামাত্র আমরা হতবাক, মর্মাহত এবং ভীষণ হতাশ হয়েছি।

একটি লেখক সমাবেশ হিসেবে সচলায়তনে বক্তব্যের পরিমিতবোধ বজায় রাখার জন্য মডারেশন চালু থাকলেও এবং কিছু বিষয় প্রকাশে নিয়ম প্রণয়ন করে থাকলেও সচলায়তন বরাবরই বাকস্বাধীনতার সপক্ষে থেকেছে। সচলায়তন মনে করে একটি প্লাটফরম, দল বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্লাটফরমে কী ধরনের বক্তব্য প্রকাশ করবে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে পারলেও একটি দেশ তার নাগরিকদের কণ্ঠরোধ করতে পারে না। একটি দেশের এগিয়ে যাবার জন্য সব ধরনের আলোচনার বা মতামত প্রকাশের প্রয়োজন রয়েছে।

দ্বিতীয়ত ধর্মীয় অনুভূতির আঘাতের অজুহাতে যদি এ ধরনের খড়গ নামানো হয় তাহলে অন্য যেকোনো অনুভূতির আঘাতে এরকম বিধিনিষেধ আরোপ করার সুযোগ তৈরি হয়। ফলাফল স্বরূপ বাকস্বাধীনতা প্রকাশে দেশটিতে একটি অস্বাভাবিক ধস নামতে পারে।

সচলায়তনে লেখকদের নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস এবং প্রকাশিত পোস্টের আইপি অ্যাড্রেস ছাড়া আর কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। কিন্তু আমরা লেখক এবং পাঠকসহ সংশ্লিষ্টদের এটুকু আশ্বাস দিতে চাই যে সচলায়তন সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যক্তিগত তথ্য খুব গুরুত্বের সাথে সংরক্ষণ করে এবং বেআইনি কোনো অনুরোধ বা হুমকিতে সচলায়তন এই তথ্য উন্মুক্ত করবে না।

তবে, যদিও সচলায়তন বাংলাদেশের বাইরের একটি সার্ভার থেকে পরিচালিত হয়, সচলায়তন বাংলাদেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সচলায়তন এ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো নোটিশ না পেলেও, আইনগত নিয়মের মধ্যে থেকে সচলায়তনে যদি এ ধরনের কোনো চিঠি পাঠানো হয় তাহলে সচলায়তন আলোচ্য ব্লগার, সচলায়তনের আইনজ্ঞ এবং সরকারি আইনজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করবে।

কিন্তু যদি আইন বহির্ভূত পন্থায় সচলায়তনকে কোনো পোস্ট সরাতে বলা হয় কিংবা ব্লগারের তথ্য জানতে চাওয়া হয় তাহলে সচলায়তন এ ব্যাপারে কোনো সাহায্য করতে সম্মত বা প্রস্তুত নয়। বরং এ ব্যাপারে পাল্টা আইনি ব্যবস্থা আনতে সচলায়তন বাধ‌্য হবে।

মুক্ত চিন্তার জয় হোক। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্র মুক্ত থাকুক।

ধন্যবাদ।


মন্তব্য

চরম উদাস এর ছবি

চলুক

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক
মুক্ত চিন্তার জয় হোক। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্র মুক্ত থাকুক।

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

হাসিব এর ছবি
মুহিত হাসান এর ছবি

ঠিকাছে

সাফি এর ছবি

সচলায়তনে লেখকদের নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস এবং প্রকাশিত পোস্টের আইপ অ্যাড্রেস ছাড়া আর কোনো তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না। কিন্তু আমরা লেখক এবং পাঠকসহ সংশ্লিষ্টদের এটুকু আশ্বাস দিতে চাই যে সচলায়তন সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যক্তিগত তথ্য খুব গুরুত্বের সাথে সংরক্ষণ করে এবং বেআইনী কোনো অনুরোধ বা হুমকিতে সচলায়তন এই তথ্য উন্মুক্ত করবে না।

চলুক

নাজনীন খলিল এর ছবি

সচলায়তনের এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন ।
কারো ব্লগ বাতিলের ব্যাপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ছাড়া অন্য কারো হস্তক্ষেপ কাম্য নয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

আন্তর্জাতিক ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী বিটিআরসি'র এধরনের চিঠি বেআইনী। সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ব্লগারদের গোপনীয়তা রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য।

আমারআমি

সইতে পারি  না, তাই কইতে হয়। এর ছবি

চলুক

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

চলুক

ধন্যবাদ, সচলায়তন ।

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি
সাওন হোসাইন এর ছবি

আমাদের সংবিধান কিন্তু তা বলে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। সর্বচ্চো শাস্তি যাবজ্জীবন।
এইটা আইন যেমন লেখক দের ওপর বরতায়, তেমনি প্রকাশকদের ওপর ও বর্তায়।
বাক স্বাধীনতা মানে এটা নয় যে, আপনাকে আরেকজনের বিশ্বাসে নোংরাভাবে আঘাত হানার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

হিমু এর ছবি

সংবিধানের কোন ধারায় আপনার কথাগুলি বলা আছে, একটু লিঙ্ক দেন।

আপনি যাতে সংবিধান পড়ে দুই চার কথা শিখতে পারেন সেজন্য সংবিধানের লিঙ্ক দিয়ে গেলাম। এইখান থেকে আপনার কথাগুলি খুঁজে বের করে ধারাটা বলে যাবেন।

সাইদ এর ছবি

@সাওন হোসাইন- তো যখন অন্য ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় অনুভুতিতে প্রকাশ্যে নৃশংস আঘাত চালানো হয় আর এটার কোন শাস্তি হয় না। তখন এর দায়ভার কার উপর বর্তায়।

সাওন হোসাইন এর ছবি

আমি খুবই অবাক হলাম। আমি কোথাও বলি নাই, ইসলামের ওপর আঘাত হানাই শুধু অপরাধ। আমার "ধর্মীয় আঘাত" শব্দের এরকম অপব্যখ্যা দিচ্ছেন কেন?

হিমু এর ছবি

আপনি পিছলাচ্ছেন জনাব হোসাইন। বাংলাদেশের সংবিধানে আপনার বলা কথাগুলো কোন ধারায় আছে আমাদের একটু বলেন।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

আপ্নে একজন মুমিন'কে ছাই দিয়ে চেপে ধরেছেন! আপ্নে নাস্তিক!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সাওন হোসাইন এর ছবি

জাক, অন্তত একজন আমাকে সরাসরি মুমিন বলল দেঁতো হাসি
দেরি হওয়ার জন্য দুঃখিত।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এর ধারা ২, ১২, ৩৮, ৩৯ ও ৪১:

রাষ্ট্রধর্ম প্রসঙ্গে:

২ক। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।

সূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, প্রথম ভাগ (প্রজাতন্ত্র), ধারা ২ক

ধর্ম নিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:

১২। ধর্ম নিরপেক্ষতা নীতি বাস্তবায়নের জন্য

(ক) সর্ব প্রকার সাম্প্রদায়িকতা,

(খ) রাষ্ট্র কর্তৃক কোন ধর্মকে রাজনৈতিক মর্যাদা দান,

(গ) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ধর্মীয় অপব্যবহার,

(ঘ) কোন বিশেষ ধর্ম পালনকারী ব্যক্তির প্রতি বৈষম্য বা তাহার উপর নিপীড়ন,

বিলোপ করা হইবে।

সূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, দ্বিতীয় ভাগ (রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি), ধারা ১২

সংগঠনের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:

৩৮। জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতার স্বার্থে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধা-নিষেধ সাপেক্ষে সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকিবেঃ

তবে শর্ত থাকে যে, কোন ব্যক্তির উক্তরুপ সমিতি বা সংঘ গঠন করিবার কিংবা উহার সদস্য হইবার অধিকার থাকিবে না, যদি-

(ক) উহা নাগরিকদের মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করিবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়;

(খ) উহা ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষ, জন্মস্থান বা ভাষার ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করিবার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়;

(গ) উহা রাষ্ট্র বা নাগরিকদের বিরুদ্ধে কিংবা অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী বা জঙ্গী কার্য পরিচালনার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়; বা

(ঘ) উহার গঠন ও উদ্দেশ্য এই সংবিধানের পরিপন্থী হয়।

সূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, তৃতীয় ভাগ (মৌলিক অধিকার), ধারা ৩৮

চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক্-স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:

৩৯। (১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল।

(২) রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, জনশৃঙ্খলা, শালীনতা ও নৈতিকতার স্বার্থে কিংবা আদালত-অবমাননা, মানহানি বা অপরাধ-সংঘটনে প্ররোচনা সম্পর্কে আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ-সাপেক্ষে

(ক) প্রত্যেক নাগরিকের বাক্ ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতার অধিকারের, এবং

(খ) সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার

নিশ্চয়তা দান করা হইল।

সূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, তৃতীয় ভাগ (মৌলিক অধিকার), ধারা ৩৯

ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রসঙ্গে:

৪১। (১) আইন, জনশৃঙ্খলা ও নৈতিকতা-সাপেক্ষে

(ক) প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে;

(খ) প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।

(২) কোন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কোন ব্যক্তির নিজস্ব ধর্ম-সংক্রান্ত না হইলে তাঁহাকে কোন ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ কিংবা কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা উপাসনায় অংশগ্রহণ বা যোগদান করিতে হইবে না।

সূত্র: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান, তৃতীয় ভাগ (মৌলিক অধিকার), ধারা ৪১

মন্তব্য: সংবিধানের উল্লিখিতি ধারাসমূহ থেকে ধর্মীয় অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। ধর্ম পালন, ধর্মীয় শিক্ষাগ্রহণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কোনো বৈষম্য করা হবে না বলে উল্লেখ করা হয়। অনুরূপভাবে ধর্মকে অবমাননাকারী সংগঠন তৈরীর অধিকার কারো নেই বলে উল্লেখ করা হয়। তাছাড়া বাক-স্বাধীনতাকে জনশৃঙ্খলা ও মানহানিসহ বিভিন্ন বাধানিষেধের সাথে সীমিত করা হয়েছে। এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।

দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারা ২৯৫, ২৯৬, ২৯৭ ও ২৯৮:

CHAPTER XV – OF OFFENCES RELATING TO RELIGION
Injuring or defiling place of worship, with intent to insult the religion of any class

295. Whoever destroys, damages or defiles any place of worship, or any object held sacred by any class of persons with the intention of thereby insulting the religion of any class of persons or with the knowledge that any class of persons is likely to consider such destruction, damage or defilement as an insult to their religion, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both.

Deliberate and malicious acts intended to outrage religious feelings of any class by insulting its religion or religious beliefs

295A. Whoever, with deliberate and malicious intention of outraging the religious feelings of any class of the citizens of Bangladesh, by words, either spoken or written, or by visible representations insults or attempts to insult the religion or the religious beliefs of that class, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both.

Disturbing religious assembly

296. Whoever voluntarily causes disturbance to any assembly lawfully engaged in the performance of religious worship, or religious ceremonies, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to one year, or with fine, or with both.

Trespassing on burial places, etc

297. Whoever, with the intention of wounding the feelings of any person, or of insulting the religion of any person, or with the knowledge that the feelings of any person are likely to be wounded, or that the religion of any person is likely to be insulted thereby, commits any trespass in any place of worship or on any place of sepulture, or any place set apart for the performance of funeral rites or as a depository for the remains of the dead, or offers any indignity to any human corpse, or causes disturbance to any persons assembled for the performance of funeral ceremonies, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to one year, or with fine, or with both.

Uttering words, etc, with deliberate intent to wound religious feelings

298. Whoever, with the deliberate intention of wounding the religious feelings of any person, utters any word or makes any sound in the hearing of that person or makes any gesture in the sight of that person or places any object in the sight of that person, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to one year, or with fine, or with both.

মন্তব্য: দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর উল্লিখিত ধারাসমূহে ধর্মীয় স্থাপনার অবমাননা ও ধ্বংস, ধর্মীয় অবমাননার উদ্দেশে কৃত যে কোনো ইচ্ছাকৃত কর্ম, ধর্মীয় সংগঠনের অবমাননা, ধর্মকে আঘাত করে দেয়া বক্তব্য, লেখা বা যে কোনো আওয়াজ উঠানোর দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থদন্ড বা কারাদন্ড বা উভয়টি, একবছর বা দু’বছর, কর্মভেদে দন্ড উল্লেখ করা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর ধারা ৫৭:

ইলেক্ট্রনিক ফরমে মিথ্যা, অশ্লীল অথবা মানহানিকর তথ্য প্রকাশ সংক্রান্ত অপরাধ ও উহার দণ্ড

৫৭৷ (১) কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷

(২) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ করিলে তিনি অনধিক দশ বত্সর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হইবেন৷

মন্তব্য: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ এর উল্লিখিত ধারায় অনলাইনে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন যে কোনো কিছু প্রকাশ, লেখা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনধিক দশ বত্সর কারাদণ্ডে এবং অনধিক এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দন্ড দেয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে।

হিমু এর ছবি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন বাদে আপনার উল্লেখ করা সবকিছুই বস্তুত অপ্রাসঙ্গিক।

এইবার আপনি এই মন্তব্য কপি করে দৈনিক আমার দেশ অথবা মাহমুদুর রহমানের ফেসবুক পেইজে গিয়ে পেস্ট করে দিয়ে আসেন।

সম্পূরক পর্যবেক্ষণ: আইনে ব্যবহৃত টার্মগুলির একটা সংজ্ঞা থাকে আইনের শুরুতে। আপনি কি একটু কষ্ট করে দেখবেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ এর শুরুতে "ধর্মীয় অনুভূতি" বা "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত" এর সংজ্ঞা কী ?

সাওন হোসাইন এর ছবি

দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারা ২৯৫, ২৯৬, ২৯৭ ও ২৯৮:

CHAPTER XV – OF OFFENCES RELATING TO RELIGION টা অপ্রাসঙ্গিক কেন বললেন, বুঝলাম না। সম্ভবত পড়েন নি।
আমি ধর্ম সংক্রান্ত সম্পূর্ণ আইন টুকু দেয়ার চেষ্টা করেছি। আপনার পছন্দ হবে না, জানতাম
আমি আইনের ছাত্র না, আমার দেশের কলামিস্ট ও না। আমি জানি, যারা ওপরে আছেন, তারা এগুলা অনেক ভাল জানেন।
অপেক্ষায় আছি। বিচার যখন দেশে শুরু হয়েছে, তখন সব বিচার ই হবে।

হিমু এর ছবি

মন দিয়েই পড়েছি। "ধর্মীয় অনুভূতি"র কিছু দণ্ডবিধির উল্লিখিত ধারায় পাই নাই, সেজন্য অপ্রাসঙ্গিক বললাম, কারণ প্রসঙ্গ শুরুই হয়েছে আপনার "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া" নিয়ে। ধর্মীয় অনুভূতির আইনী সংজ্ঞা পারলে একটু দেন।

সাওন হোসাইন এর ছবি

পিছলানো মন্তব্য তো আপনি করছেন এখন জনাব হিমু। ভাল কোন ভাষাবিদ ধরে, তাকে
"ধর্মীয় অনুভূতি" বা "ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত" এর সংজ্ঞা জিজ্ঞাসা করবেন আশা করি। আমাদের ও জানাবেন।

হিমু এর ছবি

ভালো কোনো ভাষাবিদ যদি বলে, ধর্মীয় অনুভূতি একটা বায়বীয় জিনিস, এটাতে আঘাত দেওয়া সম্ভব না?

হাসিব এর ছবি

কিন্তু সংবিধানে তো কিছু বলা নাই দেখলাম। আর সচলায়তনতো বাংলাদেশের বাইরে হোস্টিত ও পরিচালিত। বাংলাদেশের কোন আইন কানুন মেনে চলতে সচলায়তন বাধ্য নয়।

সাওন হোসাইন এর ছবি

সচলায়তনে যারা লিখেন, সবাই কিন্তু বাংলাদেশী। তারা অবশ্যই আইন মানতে বাধ্য।

হিমু এর ছবি

উহু, সবাই বাংলাদেশী নন। ভিনদেশের নাগরিকও আছেন নানা সূত্রে।

সাওন হোসাইন এর ছবি

(ভিনদেশী লিখেন, আমি জানতাম না, আমি মোটামুটি যাদের চিনি , তারা দেশী) ভিনদেশী নাগরিক দের বিচার করার কোন অধিকার কোন সরকারেরই নেই।
তাদের কথা বাদ রাখুন। আমার কমেন্ট টা তাহলে পরুন
" যারা বাংলাদেশী হিসেবে সচলায়তনে লিখেন "

হাসিব এর ছবি

খুবই বিপদের কথাতো তাহলে! একটু আগে সকালে অফিসে যাবার ব্যাগ গুছাচ্ছিলাম। ব্যাগের ভিতরে পাতলা পলিথিনে মুড়ে কিছু চকোলেট নিয়েছি। পাতলা পলিথিন বহন করে আমি বেআইনি কাজ করছি বলতে চাইছেন?

সাওন হোসাইন এর ছবি

পলিথিন আইন আমার জানা নেই। আপনি একটু ঘেঁটে দেখতে পারেন দেঁতো হাসি

হাসিব এর ছবি

আমি একটা উদাহরণ দিলাম। আশা করেছিলাম আপনি ধরতে পারবেন। বাংলাদেশি হলেও বিদেশে আমি বাংলাদেশের আইন মেনে চলতে বাধ্য না। বাংলাদেশে পাতলা পলিথিন ব্যবহার শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দেশের বাইরে এইটা শাস্তিযোগ্য না। কারণ জুরিসডিকশন ভিন্ন।

সাওন হোসাইন এর ছবি

সংবিধান অনুসারে ধর্মীয় অনুভূতি আঘাতের সংজ্ঞা
"295A. Whoever, with deliberate and malicious intention of outraging the religious feelings of any class of the citizens of Bangladesh, by words, either spoken or written, or by visible representations insults or attempts to insult the religion or the religious beliefs of that class, shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to two years, or with fine, or with both"

হিমু এর ছবি

জনাব হোসাইন, আপনি একটা আইন খুলে নিয়ে বসেন, দেখবেন শুরুতে আইনে ব্যবহৃত টার্মের একটা আলাদা সংজ্ঞা থাকে। আপনি আইনের ধারা কপি পেস্ট করে সেটাকে আইনে ব্যবহৃত টার্মের সংজ্ঞা বানানোর ধান্দায় আছেন। আপনার চোখে যেটা আউটরেজিং দ্য রিলিজিয়াস ফিলিং, সেটা আপনার ধর্মের আরেকজনের চোখে নাও হতে পারে। এই কারণেই আইনী সংজ্ঞা থাকে আইনের শুরুতে। এটা আপনাকে যেমন বুঝতে হবে, আইনপ্রণেতাদেরও বুঝতে হবে।

আজকে আমি "হিমু ধর্ম" চালু করে যদি বলি, সাওন নামটা আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়, এটা কোথাও লিখলে বা বললে আমার ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয়, আপনি কি এই নাম লেখা বন্ধ করে দিবেন? নাকি লিখলে ফৌজদারি অপরাধ করবেন?

সাওন হোসাইন এর ছবি

আপনি বললে বলতে পারেন যে আমার নামটা আপনার অনুভূতিতে আঘাত দিচ্ছে। তাতে কিছু যায় আসে না।
আপনি আমার নামে মামলাও করতে পারেন, তাতেও কিছু যায় আসে না।
যাবে আসবে, যখন বিচারক বিচার করবেন। উনি নিশ্চয় সংজ্ঞা জানেন। সুতরাং সংজ্ঞা নিয়ে আপনি এত বিব্রত বোধ করবেন না। আশা করি যারা আইন লিখেছেন, কিংবা যারা বিচার করেন, তারা সংজ্ঞা জানেন।

হিমু এর ছবি

আপনার নাম আমার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিলে কিছু যায় আসে না, এটাই তো আপনি বলছেন?

এইবার আপনার এক্কেবারে শুরুর মন্তব্য কোট করি।

আমাদের সংবিধান কিন্তু তা বলে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা শাস্তি যোগ্য অপরাধ। সর্বচ্চো শাস্তি যাবজ্জীবন।
এইটা আইন যেমন লেখক দের ওপর বরতায়, তেমনি প্রকাশকদের ওপর ও বর্তায়।
বাক স্বাধীনতা মানে এটা নয় যে, আপনাকে আরেকজনের বিশ্বাসে নোংরাভাবে আঘাত হানার অনুমতি দেয়া হয়েছে।

সাওন হোসাইন এর ছবি

হুম, আমার কিছু যায় আসে না বুঝিয়েছি। আপনি এই মর্মে মামলাও করতে পারেন, এটাও বলেছি। কারন আমি জানি , নামের মামলায় কিছু হবে না।

কিছু হবে না, এই টার্ম টা কিন্তু সবার জন্য না। কারন সবাই নামের মামলা খাবে না। তাদের যায় আসবে।
আপনি এর সাথে প্রথম কমেন্ট ত্যাগ করলেন দেখে খুশি হলাম। মানে আপনি আমার বিষয় টা যেভাবেই হক , সামনে আনলেন ( হোক সেটা আমার দিকে ঘুরিয়ে)

হিমু এর ছবি

"নামের মামলায় কিছু হবে না" কথাটার অর্থ হচ্ছে আপনি বলছেন, হাইপোথেটিক্যাল 'হিমু' ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের কোনো আইনী প্রতিকারে আপনার আস্থা নাই। যদিও দণ্ডবিধি বলছে আপনাকে মিনিমাম এক দুই বছর জেল খাটতে হবে।

কমেন্ট ত্যাগ করে কীভাবে আমি জানি না। কিছু ত্যাগও করিনি, আপনি কেন খুশি হলেন হু নৌজ। কিন্তু আপনার বিষয়টা আপনার সামনে না আনলে আপনি বুঝবেন কীভাবে যে আপনি নিজেই নিজেকে কনট্রাডিক্ট করছেন?

সত্যপীর এর ছবি

সাওন, অবিশ্রান্তভাবে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী দেলু সাইদীর যাবজ্জীবন হয়নি কেন?

..................................................................
#Banshibir.

সাওন হোসাইন এর ছবি

আপনি সুযোগ পেলে কোন মন্ত্রি কে আইনের ধারা গুলা দেখিয়ে জিজ্ঞাসা করবেন, আশা করি।
শুভ রাত্রি হাসি

সত্যপীর এর ছবি

ফাইজলামি করার জায়গা পাননা? জামাত ব্লগ কন্ট্রোল করতে আসলে লুঙ্গিতে সংবিধান নিয়া ঝাঁপায় পড়েন আর দেলুর কথা জিজ্ঞেস করলে মন্ত্রী দেখান? আপনের মতন একচোখা আবালদের জন্যই জামাত করে খাইতেসে। অন্য ধর্মের কিছু হইলে আর গায়ে লাগেনা আপ্নেদের।

..................................................................
#Banshibir.

সাওন হোসাইন এর ছবি

দেখুন, আমি এখানে কারো বিচার করতে আসি নি। কোন ধর্মের কথা তো বলি নাই ই। তারপরেও আমার ওপর বিচারের দায়ভার চাপাচ্ছেন কেন? আপনি আমাকে একচোখা বললেন ই বা কেন? আমি কি বলেছি , আপনার ধর্মের অবমাননা হলে, এ আইন বলবত হবে না?শুধু শুধু রাগবেন না।
আমি একটা কমেন্টেও দেখুন এগ্রেসিভ কিছু লিখি নাই। কিন্তু আমি কমেন্ট করার পর থেকেই, এ ধরনের মন্তব্য করে যাচ্ছেন। কারন, আমার মন্তব্য সহ্য হচ্ছে না।

অন্য ধর্মের কিছু হইলে আর গায়ে লাগেনা আপ্নেদের।

আমি আমার ধর্মের কথা কোথায় উল্লেখ করলাম, দেখান।
আর আপনি কিন্তু একটা ধর্মের কথাই বলে যাচ্ছেন, আমার ধর্মের কথা বললেন না একবার ও।কিন্তু আমাকে বললেন একচোখা। ভেবে দেখুন। সুন্দর রিপ্লাই দিন।

সত্যপীর এর ছবি

একবারে গোড়া থেকে বুঝায় বলতে হবে? আচ্ছা আবালের পাল্লায় পড়লাম। জামাতিরা ব্লগ কন্ট্রোল করতে চাপ দিচ্ছে আর সরকার মহানবীর বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীর ইনফো চেয়ে সমন পাঠাচ্ছে, এই অবস্থায় সচলায়তন যখন বলল কোন তথ্য দেয়া হবেনা অমনি আপনি হাজির হলেন লুঙ্গির তলে সংবিধান নিয়ে। হিন্দু ধর্মের কটুক্তিকারীদের বিপক্ষে আপনি কোথাও কখনো আওয়াজ তোলেননি এটা আমি মোটামুটি নিশ্চিত। লিঙ্ক দিয়ে দেখান কোথায় কখন আপনি অন্য ধর্মের কটুক্তিকারীদের বিপক্ষে এরকম সংবিধান নিয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন।

আমি জামাতবান্ধবদের গালিই দিয়ে থাকি। সুন্দর রিপ্লাইয়ের জন্য আপনি সোনা ব্লগ ক্লোজড সো টুডে ব্লগ ট্রাই করেন।

..................................................................
#Banshibir.

সুমাদ্রী এর ছবি

সাওন, ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞাটা কি সংবিধানের কোন ধারায় উল্লেখ করা আছে? এটা জানা তো আসলেই দরকার যে ধর্মীয় অনুভূতিটা আসলেই কী? এই শব্দটা কি যথেষ্ট অস্বচ্ছ নয়? আমি অনেক আগে একটা লেখায় লিখেছিলাম এরকম কিছু কথা- আমাদের দেশে যেহেতু বহু ধর্মের এবং সংস্কৃতির লোকের বাস, এবং মুসলমানের কাছে শূকরের মাংস খাওয়া হারাম, হিন্দুর কাছে গরুর মাংস খাওয়া নিন্দনীয়, বৌদ্ধের কাছে জীবহত্যাই পাপ সুতরাং প্রকাশ্যে বাজারে, রাস্তায় গরু কাটলে, মাংস বিক্রি করলে, হোটেলে রান্না করলে হিন্দুর ধর্মীয় অনুভূতিতে তা তো আঘাত দেওয়ার কথা; আবার একই ভাবে বাংলাদেশে বাজারে যদি শূকরের মাংস কেজিতে কেজিতে বিক্রি করা হয় তবে তা মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেবে কি, আর একজন বৌদ্ধের ধর্মীয় অনুভূতিও কি আহত হবেনা যদি সে চারপাশে এই প্রাণিহত্যা দেখতেই থাকে? কেউ কিছু বললে বা লিখলেই যদি কোন অনুভূতি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে যায় এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র শাস্তি বিধান করে রাখে তবে এত সুন্দর করে গনতন্ত্র শব্দটি উচ্চারণ করাই বা কেন, কেন বা বলা বাক স্বাধীনতার কথা? তবে তো যে কারও কথায় যে কেউই আহত হয়ে মামলা ঠুকে দিতে পারে। পত্রিকায় কারও সমালোচনা করে কিছু লেখা যাবেনা, ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকা যাবেনা, সূর্য্য যে মহাবিশ্বের কেন্দ্র নয় বা পৃথিবীর চারিদিকে যে ঘুরেনা এটা বইয়ে লেখা যাবে না, কারণ এতে কারও না কারও বিভিন্ন অনুভূতিতে বারি পড়তে পারে। আর সত্যপীরের প্রশ্নের উত্তরটা আপনার কাছ থেকে জানতে চাই। এই যে সারা দেশে ওয়াজ মাহফিলে, বিভিন্ন খুতবায় অন্য ধর্মগুলো এবং তাদের অনুসারীদের সম্পর্কে আমাদের দিগগজ মোল্লারা প্রতিনিয়ত অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে যায় তাতে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগেনা? এই যে সারাদেশে হিন্দুদের, বৌদ্ধদের, খ্রীস্টানদের, আহমদিয়াদের প্রার্থণালয় পোড়ায়, তাদের জানমালের ক্ষতি করে উগ্র ধার্মিক গোষ্ঠি তাতে কি ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয়না? নাকি ধর্মীয় অনুভূতিতা শুধু বিশেষ কিছু মানুষের পৈতৃক সম্পত্তি?

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সত্যপীর এর ছবি

এই যে সারাদেশে হিন্দুদের, বৌদ্ধদের, খ্রীস্টানদের, আহমদিয়াদের প্রার্থণালয় পোড়ায়, তাদের জানমালের ক্ষতি করে উগ্র ধার্মিক গোষ্ঠি তাতে কি ধর্মীয় অনুভূতি আহত হয়না?

সাওন ভাই মন্ত্রীদের জিগাইতে কৈছে। অন্য ধর্ম হইলে সংবিধান উনি আবার লুঙ্গির তলে নিয়ে যান উনার কোন মাথাব্যথা নাই, সেসব মন্ত্রীদের মাথাব্যথা।

..................................................................
#Banshibir.

সাওন হোসাইন এর ছবি

সংবিধানে দেখতে চাইলে আপনি দন্ডবিধি, ১৮৬০ এর ধারা ২৯৫(ক) ২৯৮ ধারাটি দেখতে পারেন। এখানে বলা আছে, কখন ধর্মীয় আঘাত হিসেবে আপনার আচরণ বিবেচিত হবে।

হিমু এর ছবি

আপনার কী মনে হয়? সাঈদীর ওয়াজে কি দণ্ডবিধি লঙ্ঘিত হয়? আপনি কী মনে করেন সেটাই জানতে চাইছি। মন্ত্রী-সংবিধান-ভাষাবিদ-মামলা-বিচারক প্রভৃতি দেখায়েন না জনাব হোসাইন।

কাজি মামুন এর ছবি

আপনার চোখে যেটা আউটরেজিং দ্য রিলিজিয়াস ফিলিং, সেটা আপনার ধর্মের আরেকজনের চোখে নাও হতে পারে। এই কারণেই আইনী সংজ্ঞা থাকে আইনের শুরুতে। এটা আপনাকে যেমন বুঝতে হবে, আইনপ্রণেতাদেরও বুঝতে হবে।

অসাধারণ যুক্তি, হিমু ভাই। আর মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে যে ডিবেট যুদ্ধটি করলেন, তার জন্য ভীষণ কৃতজ্ঞ! মুক্ত চিন্তা ও মতের জয় হোক।

মহান স্বাধীনতা দিবসে সচল পরিবারকে জানাই শুভেচ্ছা।

সাওন হোসাইন এর ছবি

@হিমু

আপনার চোখে যেটা আউটরেজিং দ্য রিলিজিয়াস ফিলিং, সেটা আপনার ধর্মের আরেকজনের চোখে নাও হতে পারে। এই কারণেই আইনী সংজ্ঞা থাকে আইনের শুরুতে। এটা আপনাকে যেমন বুঝতে হবে, আইনপ্রণেতাদেরও বুঝতে হবে।

সব কিছুর একটা স্ট্যান্ডার্ড থাকে। আপনি যাকে তাকে ধরে এনে বলবেন, এই দেখুন, আপনার প্রফেট কে গালি দিছে, অথচ ইনার তো কিছু মনে হয় নাই, তাহলে আপনি মনে করবেন কেন। এটা খুবই খোঁড়া যুক্তি। সানি লিওন দিল্লী টাইমস এ এক সাক্ষাতকারে বলেন,

রেপ ইজ নট এ ক্রাইম, ইটস এ সারপ্রাইজ সেক্স

তার মানে কি? সানি লিওন ও তো নারী। তাই বলে, তার কথায়, রেপ সারপ্রাইজ সেক্স হয়ে যাবে নাকি? আবোল তাবোল যুক্তি দেখাবেন না।
আপনারা সবাই মিলে যেভাবে ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞায়িত করতে চাচ্ছেন, নিজেদের মত করে, এরকম প্রতিটা অপরাধই ত্যানা পেচিয়ে দেয়া যায়।
একজন ডাকাতি করলে, আপনি বলে বসবেন, "ওইটা উনার পেশা, আপানার চখে এইটা অপরাধ, কিন্তু দাকাতের চখে এইটা কিছু না"
কমেন্টটি অনুগ্রহ করে প্রকাশ করবেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একটা আইনের কনটেক্সটে যে ডেফিনেশন ব্যবহৃত হয় সেটা সেই আইনের শুরুতে থাকে। হিমু এটা বলতে চেয়েছে। কিন্তু আপনি আসলে কি বলতে চেয়েছেন সেটা বুঝি নাই।

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয় কাঠবলদামির সীমা এই সাওন হোসাইন অতিক্রম করে গেছে। সাঈদীর ওয়াজে দণ্ডবিধি লঙ্ঘিত হয় কি না, সেই প্রশ্নের উত্তর না দিলে এর পরবর্তী কোনো মন্তব্য প্রকাশ না করার জন্য মডারেটরদের কাছে অনুরোধ করলাম।

Emran এর ছবি

আইনে কিন্তু রেপ এবং ডাকাতির সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে; "ধর্মীয় অনুভূতি"-র সুনির্দিষ্ট/অনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নাই, অন্ততঃ আপনি দেখাতে পারেন নাই। এই একটা কারণে "সবাই মিলে ধর্মীয় অনুভূতির সংজ্ঞায়িত করতে চাচ্ছেন, নিজেদের মত করে"। আর আপনি যখন এত চুলচেরা যুক্তিবাদী লোক, ধরে নিচ্ছি যুক্তিশাস্ত্রে আপনার গভীর পারদর্শিতা আছে। যুক্তিশাস্ত্র (Logic) এবং বিজ্ঞানের অন্যতম মৌলিক কনসেপ্ট কিন্তু "সংজ্ঞা"। যে বস্তু/প্রপঞ্চের সংজ্ঞা দেয়া সম্ভব না, অথবা সংজ্ঞা নাই, সেই বস্তু/প্রপঞ্চ লজিক এবং বিজ্ঞানের আওতাবহির্ভূত বিষয়। "ধর্মীয় অনুভুতি"-র যেহেতু কোন সংজ্ঞা নাই, সে কারণে এইটাকে লজিক দিয়ে বিচার করা সম্ভব না। আপনি এখানে লজিক ছাড়াই আইন কপচাতে আসছেন। আর লজিক আর আইনের মধ্যে সম্পর্ক যদি আপনি না জানেন, কোন বিচারক/উকিলরে জিজ্ঞেস কইরে জানবেন। অন্যের যুক্তিকে "আবোল তাবোল" বলার আগে নিজের যুক্তি ঠিক করেন।

হিমু এর ছবি

ধর্মীয় অনুভূতির উকিল হয়ে সানি লিওন সম্পর্কে এতো খোঁজখবর রাখেন দেখে বিমলানন্দ পেলুম।

শুভায়ন এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি দেঁতো হাসি কোলাকুলি

সত্যপীর এর ছবি

এই ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাতের জন্য যাবজ্জীবনের ব্যাপারটা কি সকল ধর্মের জন্য প্রযোজ্য? অবিশ্রান্তভাবে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী দেলু সাইদীর যাবজ্জীবন হয়নি কেন?

..................................................................
#Banshibir.

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

@সাওন হোসাইন: ধর্মীয় অনুভূতি বলতে কি আপনি কেবল মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতিকে বোঝেন? যদি তা না হয়, তাহলে দেশে এত মন্দির/প্যাগোডা ভাঙ্গা হলো তখন এই অনুভূতি কোথায় ছিল? তাদের বিচার চাইলে সোচ্চার হতে দেখা যায় না কেন?

আর সংবিধানের কোন ধারায় বলা আছে, সেটা আশা করি দেখিয়ে দিয়ে যাবেন। সংবিধান যদি আগে পড়ার সুযোগ না হয়ে থাকে, তাহলে হিমু ভাইয়ের শেয়ার করা লিঙ্ক দিয়ে পড়ে দেখতে পারেন।

সাওন হোসাইন এর ছবি

আমি কখনই ধর্মীয় অনুভূতি বলতে শুধু মুসলিম ধর্মীয় অনুভূতি বুঝাচ্ছি না।
আর আপনি যেগুলার কথা বললেন, তা তো স্পষ্ট ক্রাইম এর মধ্যে পড়ে। ধর্মীয় আইনের দরকার ই নাই (আমি আইনের ছাত্র না, সাধারণ সেন্স থেকে বললাম)

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

সাধারণ ক্রাইম তো বটেই, তার পাশাপাশি সেটা কি ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করছে কিনা সেটা জিজ্ঞেস করছিলাম। ধরুন, মাদারীপুরে একটা মন্দির ভাঙ্গা হলো, সেটা রাজশাহীর একজন হিন্দুকেও আঘাত করতে পারে। সেক্ষেত্রে হিন্দুরা সংখ্যা লঘু বলে চুপ থাকে। আইনও তাদের পাশে থাকে না।

যাইহোক, আপনি সংবিধানের ধারা ফেইসবুকে পাঠিয়েছেন। কিন্তু স্পষ্ট করে ধারা নির্দিষ্ট করে দিলেন না। ঠিক কোন ধারা বা উপধারা তে আপনি মনে করেন ব্লগে লেখালেখি হলেই সেটা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করবে? সচলায়তনের ঠিক কোন লেখাটা ওমন লেগেছে? বিস্তারিত বললে আলোচনা এখানে চলতে পারে।

সাব্বির রহমান এর ছবি

@ সাওন হোসাইন কে
একটা প্রশ্ন করার ছিল , সেই সুবর্ণ সুযোগ কি এখনো আছে ? হাসি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

"সর্বোচ্চ" ও "বর্তায়" শব্দ দুটির বিকৃতিতে আমার বাংলানুভূতি তে আঘাত লেগেছে... সংবিধান মোতাবেক আমি কি করতে পারি??

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় সচলায়তন বিটিআরসি'র সাথে একটু রসিকতা করতে পারতো, যেইসব ব্লগার বাইরের দেশের নাগরিক তাদের আই.পি এড্রেস দিয়া বলা যাইতো এদের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নেন তারপর আরো দিতাছি.... কিংবা আইপি এড্রেস হিসেবে ইউ.এস এ্যাম্বেসির একটা এড্রেস দিয়া দিলেও জটিল মজা হইতো...

আমি নিশ্চিত এই পুরা জিনিষটা ঘটছে আবুলের বুদ্ধিতে, তিনিতো আবার প্রযুক্তি মন্ত্রী এখন।

কাল্পনিক ক্যাবিনেট কথোপকথোন:
সরাষ্ট্র মন্ত্রী: আপা শুনছেন নাকি হেফাজত বলছে নাস্তিক ব্লগার ধরতে ঢাকা মেলা দিবো, আমার কাছে গোপন খবর আছে, ঢাকা আইসা তারা ম্যাডামের জন্য চেয়ার চুরি করার ধান্ধা করতাছে।
আপা: কসকি মুমিন। ওগো আটকা।
সরাষ্ট্র মন্ত্রী: ক্যামনে কি! জামাত-বিএনপি পিটাইয়া কূল পাইনা আবার হেফাজত...
আপা: এহন কি করু
আবুল: আপা একটা বুদ্ধি আছে, নাস্তিক ব্লগারগো ধইরা হেফাজতের কাছে পাঠাইয়া দেই, কি কন?

অত:পর মন্ত্রী>সচিব>সহকারী সচিব>উপসচিব>সহকারী উপসচিব>উপ সহকারী অপসচিব>টাইপিস্ট>কম্পিউটার অপররেটর> চিঠি

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

সচল জাহিদ এর ছবি

চলুক


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রংতুলি এর ছবি

চলুক

আহমেদ বাওয়ানী এর ছবি

সম্পুর্ন একমত। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী বিটিআরসি'র এধরনের চিঠি বেআইনী। আর বেআইনী যে কনো বিষয়ে সচলায়তনের অবস্থান আমাদের উৎসাহ দেয়, আস্থা যোগায়। এই বিষয়ে সচলায়তনের আবস্থান ধন্যবাদ যোগ্য। চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

চলুক

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

অতিথি লেখক এর ছবি

সবগুলো ব্লগের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরী।সবচে গুরুত্বপূর্ণ হল, ব্লগারের লেখার অধিকার ব্লগকেই নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি নিয়ে মত প্রকাশ করা যায় না। দেশের বাইরে থেকে যে ব্লগগুলো পরিচালিত হয় সেগুলো হয়তো কিছু আইনের আওতায় আসবে না, কিন্তু দেশ থেকে পরিচালিত ব্লগগুলো সেক্ষেত্রে আইনি জটিলতায় পড়বে। আর দেশে এখনও আইন সরকারের ইচ্ছানুযায়ী চলে। ফলে দেখা যাবে সরকারের বিভিন্ন মর্জিতে অনেক ব্লগ স্থবির হয়ে যাবে। সুতরাং আইনিভাবে এটাকে মোকাবেলা করা যেমন তার চেয়ে জরুরী একটা প্রবল "নৈতিক" চাপ সরকারকে দেয়া।

সৈকত
মস্কো,রাশিয়া।

হাসিব এর ছবি

নিরাপদ থাকতে অপারেশনস দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যায়। ব্লগ কর্তৃপক্ষ যদি পরিচয় গোপণের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিব্ধ হন তাহলে ব্লগার বেনামে নিরাপদে লিখতে পারেন ইচ্ছে করলে।

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

সরকার কুন উটের পিঠে চড়ছে এইডাই রহস্য! কোথায় জামাত-শিবির কীভাবে ২৮ ফেব্রু থেকে ৭ দিন দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চালাইলো সেইটা নিয়া কুনো তদন্ত নাই! অথচ এখন আইছে প্রগতিশীলতার কণ্ঠরোধ করতে!

সাকী এর ছবি

আমি সচলায়তনের কোন মেম্বার নই, এই ব্লগের একজন নিয়মিত পাঠক মাত্র। সচলায়তনের এমন বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। মুক্তচিন্তা ও বাকস্বাধীনতার জয় হোক।

নাশতারান এর ছবি

চলুক
ধন্যবাদ

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সুমাদ্রী এর ছবি

সচলায়তনের প্রতি ভালবাসা আরো বেড়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

সাবেকা  এর ছবি

চলুক

মেঘা এর ছবি

চলুক

মুক্ত বুদ্ধির জয় হোক সর্বদা!

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

ডাক্তার আইজুদ্দিন এর ছবি

ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি - মুক্ত ব্লগ গুলোর মধ্যে যোগাযোগের জন্য একটা ফেসবুক গ্রুপ থাকা উচিত কিংবা ইমেইল গ্রুপ তাহলে এ ধরনের সময়ে একটি কোঅর্ডিনেটেড সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ! ভেবে দেখতে পারেন যারা সব ব্লগ পরিচালকরা! আপনরা সবাই এক সিদ্ধান্ত নিলে বিটিআরসি হুমকি দেবার আগে দু'বার ভাববে!

মৃত্যুময় ঈষৎ(অফলাইন) এর ছবি

চলুক

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একমত। আজই খুলছি একটা গ্রুপ।

সন্ধ্যাতারা  এর ছবি

সাধুবাদ জানাচ্ছি এই সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য।
কারও কারও সাথে একটু গুতাগুতি করার ইচ্ছা হচ্ছে-
সাওন সাহেব, আফ্রিকা মহাদেশে অনেক উপজাতীয়রা আছে, যারা পরিপূর্ণ নগ্নভাবে জীবনযাপন করে। নগ্নতার দায়ে কি এদের দলবেঁধে মেরে ফেলা উচিত? নগ্নতা কে প্রাধান্য দেয়া উচিত, নাকি মানবতাকে? মানুষ হিসেবে নিজের অধিকারকে?
আপনার সম্ভাব্য সকল যুক্তিতর্ক আমার বোঝা হয়ে গেছে। আমার কথার জবাবে কি কি লিখবেন, আমি মনে হয় খানিকটা জানিও। তাই কথা বাড়াব না, শুধু এইটুকু বলার আছে- চিন্তাভাবনা আধুনিকায়নের স্বর্ণযুগ এসে গেছে। এইধরনের সংকীর্ণতাকে ধারণ করে বেঁচে থাকলে খুব বেশিদিন আমাদের মত মানুষের মাঝে টিকে থাকতে পারবেন না। সচলায়তন মুক্তচিন্তার মানুষদের জায়গা, বেশি খারাপ লাগলে এই সাইটে আসার দরকার কি?
খারাপ লাগলো, না? অনুভূতিতে আঘাত করেছি? এবার সংবিধানের উর্ধ্বে উঠে 'মানবিক অনুভূতি' কে জাগ্রত করার চেষ্টা করুন, কেমন?

তিথীডোর এর ছবি

সিদ্ধান্তে চলুক

চিত্ত যেথা ভয়শূন্য...
ধন্যবাদ সচলায়তন।

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

সাকিন উল আলম ইভান  এর ছবি

এই সিদ্ধান্তের প্রতি আমার পুর্ণ সমর্থন রইলো, ধন্যবাদ সচলায়তন ।

একুশ তাপাদার  এর ছবি

আমারব্লগের পর বিটিআরসি'র অনায্য খবরদারির প্রতিরোধ করল সচলায়ন । ধন্যবাদ আপনাদের ।
সবার সম্মিলিত প্রতিরোধ হলে আমরা অবশ্যই যাবতীয় রক্তচক্ষু উপেক্ষা করতে পারব ।

জয় হোক বাংলা ব্লগের। জয় হোক মুক্তমতের ।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

বুঝলাম কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মানছি সরকার বা বিটিআরসি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে সেরকম দুষ্ট লোকদের শায়েস্তা করতে চায়। মহা আনন্দের কথা।

কিন্তু কেউ যখন সাধারণ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে দিনের পর দিন প্রকাশ্যে পত্রিকার পাতায় মিথ্যাচার করে দেশব্যাপী নারকীয় তাণ্ডবের পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, কোটি মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তোলে, ধ্বংস করে রাষ্ট্রীয় শত শত কোটি টাকার সম্পদ, সেই মানুষ সরকারের কোন আইনের আওতায় আসে না, কী বিস্ময়ের দেশ বাংলাদেশ!! আরো তাজ্জব মাহমুদুর রহমান নামক ভয়ংকর দানবটি এখনো সরকারের আইনের আওতায় পড়েনা !!

আসলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ব্যাপারটাই একটা ভ্রান্ত ধারমা!

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

ফারহানা আহমেদ এর ছবি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৭৷ (১) ধারা দেখলাম, সখানে বলা হয়েছে "কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷"

-----উপরে বোল্ড করা শব্দগুলোর সবগুলোই vague term, সবার কাছে অশ্লীলতা বা ভাবমূর্তির সংগা এক নয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর কোথাও এই সব কথামালার কোন সংগা প্রদান করাও হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন? একটা আইন যখন তৈরি হয়, তখন অনেক চিন্তাভাবনা করেই দীর্ঘ সময় নিয়েই তা করা হয়। তাহলে এইরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা আইনে ব্যাখ্যা ছাড়া এমন সব শব্দ কেন সংযোজন করা হলো, যা কনফিশনের জন্ম দেবে? আমার মনে হয়, আইনে এইধরনের লুপহোল ইচ্ছে করেই রখা হয়, এইসব টার্মিনোলজি থাকলে আইনটা নিজের মত ইন্টারপ্রেট করে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করা যায়, বিপদের সময় সরকার এই লুপহোলগুলো ব্যবহার করে ভিন্নমত দমানোর কাজে।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

লুপহোলগুলো আসলে কতোটা কার্যকর সেটা বোঝা যাবে এই পয়েন্টে মামলা হলে পরে। তখন আসামী পক্ষ যদি হেভিওয়েট উকিল নিয়ে আসে তাহলে সংজ্ঞার্থ আসামীর সুবিধা অনুযায়ী তৈরি হবে। আবার সরকার যদি কাউকে হয়রানী করতে চায় তাহলে থালাবাসন চুরি, ঘড়ি চুরি, ক্যামেরা চুরির ঐতিহাসিক মামলাগুলোর মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারবে। মাঝে মাঝে ভাবি কোন সে কারিগর যে আইনের মধ্যে এমন বেসিক ফাঁক-ফোকরগুলো রেখে দেয়!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

আরাফাত এর ছবি

"... এটাও লক্ষনীয় যে এই সম্প্রদায়ের (আইন ব্যবসায়ী) নিজস্ব একটি অদ্ভুত বুলি বা অপভাষা আছে যেটা তাঁরা নিজেরা ছাড়া আর কোনো মানুষের বোঝার সাধ্য নেই; ওঁদের সমস্ত আইন এই ভাষাতেই লেখা, খুব যত্ন করে তার অসংখ্য ব্যাখ্যা করেন এঁরা, তার ফলে সত্যমিথ্যা ন্যায়-অন্যায়ের সারমর্মটি এমন গুলিয়ে যায় যে আমার ছয় পুরুষের বাপ-ঠাকুরদার কাছ থেকে যে খেতটি আমি পেয়েছি, সেটি আমা্র না তিনশো মাইল দুরের একজন অচেনা লোকের, সেটা স্থির করতেই ত্রিশ বছর লেগে যায়... "

লীলা মজুমদার অনূদিত গালিভার'স ট্রাভেলস থেকে। ফারহানা আহমেদ ও ষষ্ঠ পান্ডবের কথায় মনে পড়ে গেল।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলায়তনের অবস্থানের সাথে সহমত।

* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *

সচলায়তন কি কোন বাংলাদেশী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/সংগঠন? বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সচলায়তন কোন বাংলাদেশী কোম্পানী তো নয়ই, এটি কোন ক্লাব বা সামাজিক সংগঠনও না। তাহলে সচলায়তনের ওপর বাংলাদেশী আইনের বাধ্যবাধকতার অবকাশটি কোথায়? সেক্ষেত্রে বিটিআরসি'র কোন হুকুম মানতে সচলায়তনের আদৌ কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি?

সচলায়তনে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার নিচে স্পষ্টভাবে বলা আছে,

প্রকাশিত লেখা ও মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট লেখক বা মন্তব্যকারীর, সচলায়তন কর্তৃপক্ষ এজন্য কোনভাবেই দায়ী নন

সুতরাং প্রকাশিত লেখার জন্যও সচলায়তনকে দায়ী করার কোন সুযোগ নেই।

বাকি থাকে শুধু ব্যক্তি ব্লগার/লেখক। সচলায়তনের লেখকদের একটা অংশ প্রবাসী বাংলাদেশী যাদের একটা অংশ আবার ঐ দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন। এছাড়া বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকগণ তো আছেনই। এভাবে ঝাড়াই-বাছাই করার পর বাকি থাকে কেবল বাংলাদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশের নাগরিক ব্লগার/লেখক। নিকের আড়ালের আসল মানুষটি কে সেটি প্রমাণ করা কি সহজ কাজ? তাহলে মামলাটি কীভাবে হবে? আর এই মামলার place of occurrence কী হবে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

মর্ম এর ছবি

সত্যি কথা বলতে কী, সরকারই হোক আর বিরোধী দল, বাংলাদেশে যে 'রাজনীতি'র চল, দুপক্ষের কেউই কখনো চাইবে না, এমন একটা শক্ত মাধ্যম তৈরি হয়ে যাক যেখানে সাধারণ মানুষ কথা বলবে যা তাঁদের 'বিপদ'-এ ফেলতে পারে।

আমরা যেভাবেই দেখি, একটা 'শাহবাগ', ফেসবুক আর ব্লগ থেকেই ছড়িয়েছে এবং মনে হয় না রাজনীতিবিদরা এতে খুব স্বস্তিতে আছেন। ভবিষ্যতের 'শাহবাগ'গুলোকে 'প্রতিরোধ' করার জন্য যা যা 'টিকা' নেবার তা তাঁরা নেবেন।

আইন করেই হোক আর যেভাবেই হোক, সাধারণ মানুষের শক্তির এই জায়গাটা হারিয়ে যাওয়া হবে দুর্ভাগ্যজনক।

'সচলায়তন' শুধু নয়, টিকে থাকুক সাধারণ মানুষের শক্তির জায়গা হয়ে গড়ে উঠতে থাকা পুরো প্লাটফর্মটুকু।

'সচলায়তন'-এর উদ্যোগটুকুকে স্বাগত জানাই। সত্যি কথা বলতে কী, এ সমর্থনটুকু বা অবস্থানটুকু প্রত্যাশা করি বলেই 'সচলায়তন'-এ এতদিন ধরে আছি।

'সচলায়তন'-এর পেছনের মানুষগুলোকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

mamun এর ছবি

চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬-এর ৫৭৷ (১) ধারা দেখলাম, সখানে বলা হয়েছে "কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইটে বা অন্য কোন ইলেক্ট্রনিক বিন্যাসে এমন কিছু প্রকাশ বা সম্প্রচার করেন, যাহা মিথ্যা ও অশ্লীল বা সংশ্লিষ্ট অবস্থা বিবেচনায় কেহ পড়িলে, দেখিলে বা শুনিলে নীতিভ্রষ্ট বা অসত্ হইতে উদ্বুদ্ধ হইতে পারেন অথবা যাহার দ্বারা মানহানি ঘটে, আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে বা ঘটার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, রাষ্ট্র ও ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বা করিতে পারে বা এ ধরনের তথ্যাদির মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে উস্কানী প্রদান করা হয়, তাহা ইহলে তাহার এই কার্য হইবে একটি অপরাধ৷"

এই ধারার প্রতিটা লাইনে, প্রতিটা শব্দে আমারদেশ পত্রিকার অনলাইন ভার্সন আর এর সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা এবং প্রমাণ করা যায়। বিটিআরসি সেটা না করে ব্লগের উপর লাফিয়ে পড়লো ক্যান? ব্লগ থাকলে কার যে কোনদিক দিয়ে জ্বলুনি হয়, সেইটা বুঝা বড়ই দায় আজকাল!

স্যাম এর ছবি

চলুক

দ্রোহী এর ছবি

আবার্জিগায়!

চোখের সামনে দিয়া হাতি পার হয়ে গেলে খবর থাকে না কিন্তু পাশের বাড়ির উঠানে বিলাই দেখে হাউকাউ না করলে কি বিটিআরসির মানইজ্জত থাকে?

কল্পনা আক্তার এর ছবি

চলুক চিত্ত যেথা ভয় শুন্য উচ্চ যেথা শির!


........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

mahbub shahriar এর ছবি

মন খারাপ

সজল এর ছবি

মত প্রকাশের স্বাধীনতার ব্যাপারে কোন আপোষ চাই না। শক্ত অবস্থানের জন্য সচলায়তনকে ধন্যবাদ।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

সচলায়তনের অবস্থানের সাথে সহমত।

* * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * * *

সচলায়তন কি কোন বাংলাদেশী ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান/সংগঠন? বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সচলায়তন কোন বাংলাদেশী কোম্পানী তো নয়ই, এটি কোন ক্লাব বা সামাজিক সংগঠনও না। তাহলে সচলায়তনের ওপর বাংলাদেশী আইনের বাধ্যবাধকতার অবকাশটি কোথায়? সেক্ষেত্রে বিটিআরসি'র কোন হুকুম মানতে সচলায়তনের আদৌ কোন বাধ্যবাধকতা আছে কি?

সচলায়তনে প্রকাশিত প্রতিটি লেখার নিচে স্পষ্টভাবে বলা আছে,

প্রকাশিত লেখা ও মন্তব্যের দায় একান্তই সংশ্লিষ্ট লেখক বা মন্তব্যকারীর, সচলায়তন কর্তৃপক্ষ এজন্য কোনভাবেই দায়ী নন

সুতরাং প্রকাশিত লেখার জন্যও সচলায়তনকে দায়ী করার কোন সুযোগ নেই।

বাকি থাকে শুধু ব্যক্তি ব্লগার/লেখক। সচলায়তনের লেখকদের একটা অংশ প্রবাসী বাংলাদেশী যাদের একটা অংশ আবার ঐ দেশের নাগরিকত্ব গ্রহন করেছেন। এছাড়া বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকগণ তো আছেনই। এভাবে ঝাড়াই-বাছাই করার পর বাকি থাকে কেবল বাংলাদেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশের নাগরিক ব্লগার/লেখক। নিকের আড়ালের আসল মানুষটি কে সেটি প্রমাণ করা কি সহজ কাজ? তাহলে মামলাটি কীভাবে হবে? আর এই মামলার place of occurrence কী হবে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

দ্রোহী এর ছবি

চলুক

 সাম্পানওয়ালা এর ছবি

আসল ঝামেলা জড়ানো তথ্য প্রযুক্তি আইনে। সেখানে বেশিরভাগ টার্মই সঞগাহিন অথবা অস্পষ্ট। সচলায়তনকে তার শক্ত অবস্থান ব্যক্ত করার জন্য ধন্যবাদ।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

'জয়তু সচলায়তন'

নীল আকাশ এর ছবি

চলুক

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

সচলায়তনের বলিষ্ঠ অবস্থানকে আন্তরিক অভিনন্দন এবং সমর্থন জানাই।

মনি শামিম এর ছবি

চলুক

-মনি শামিম

আচার্য এর ছবি

সচলায়তনের অবস্থানের সাথে সহমত।

============================
কত আর রবে দেশ রাহু গ্রাস কবলে?
সমূলে উপড়ে ফেলি দূর্নীতি সবলে।

মুহিত হাসান এর ছবি

পোস্ট স্টিকি হোক

ঈয়াসীন এর ছবি

মাভৈ

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অনিকেত এর ছবি

চলুক

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ধন্যবাদ সচলায়তন এই অবস্থানের জন্য

০২

মুক্ত চিন্তার জয় হোক। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্র মুক্ত থাকুক।

আয়নামতি এর ছবি

বিরক্ত এবং লজ্জিত হলাম সরকারের এমন কোমরভাঙ্গা অবস্হা দেখে! হেফাজত নামের এক আচানক(!) আশ্বডিম্বের উপর আস্হাশীলতার সতীপনা দেখাতে বাংলাব্লগের উপর খড়গহস্ত হওয়াটা শুধু বোকামীই না হাস্যকর। এমন আচরনের নিন্দাবাদের সাথে সাথে প্রিয় সচলায়তনের শক্ত অবস্হানের প্রতি পূর্ণ সহমত জানালাম।

মুক্ত চিন্তার জয় হোক। মানুষের মত প্রকাশের ক্ষেত্র মুক্ত থাকুক।

অ:ট: সন্দেশের প্রতি , পোস্ট শুরুতেই 'আপনার' শব্দটি সংশোধনের অনুরোধ থাকলো।

দ্রোহী এর ছবি

১.
কিছুদিন আগে টিভির খবরে জামায়াত-শিবিরের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ বাড়িতে পুড়ে যাওয়া কোরআন শরীফ দেখেছিলাম। ৯০% মুসলিমের দেশে কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেওয়া নিশ্চয়ই ধর্মানুভূতিতে আঘাত দেওয়ার সামিল? কিন্তু আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করলাম কোরআন শরীফ পোড়ানোর প্রতিবাদে দেশের কোথাও কোন মিছিল, মিটিং, আন্দোলন হয়নি! তার মানে নিশ্চয়ই কোরআন শরীফ পোড়ালে ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে না!

সমস্যা হচ্ছে বছর দুয়েক আগে আমেরিকার গোঁড়া খ্রিস্টান অঙ্গরাজ্য ক্যানসাসের ওয়েস্টবরো ব্যাপটিস্ট চার্চের প্যাস্টর ফ্রেড ফেল্পস যখন কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল তখন পুরো পৃথিবীর মুসলিমরা উত্তেজিত হয়ে প্রতিবাদ করেছিল। এই ঘটনায় প্রমাণ হয় যে কোরআন শরীফ পোড়ালে মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে।

একই যাত্রায় দুই ফল দেখে তাই মনে প্রশ্ন জাগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে কি লাগেনি তা নিরুপণ করা হবে কীভাবে?

২.
সচলায়তনসহ অন্যান্য যেসব বাংলা ব্লগের সার্ভারের অবস্থান বাংলাদেশের বাইরে তাদের উপর বাংলাদেশের আইন কতটুকু কার্যকর? উদাহরণ হিসাবে সচলায়তনের কথাই ধরি। সচলায়তনের সার্ভার যেহেতু আমেরিকায় অবস্থিত সেহেতু প্রশ্ন জাগে সচলায়তন বাংলাদেশের আইন দ্বারা পরিচালিত হবে নাকি আমেরিকার আইন? এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীসের ভিত্তিতে জুরিসডিকশন নির্ধারিত হয়? ভাষার ভিত্তিতে জুরিসডিকশন নির্ধারণ করতে গেলে বাংলার উপর বাংলাদেশের পাশাপাশি পশ্চিম বঙ্গেরও অধিকার চলে আসে আর সার্ভারের অবস্থানের ভিত্তিতে জুরিসডিকশন নির্ধারণ করতে গেলে বেশিরভাগ বাংলা কমিউনিটি ব্লগই বাংলাদেশের আইনের আওতায় পড়ে না।

তাই কোন কমিউনিটি ব্লগকে ব্লগারদের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে সহায়তা করার জন্য ঠিক কীভাবে বৈধ উপায়ে চাপ প্রয়োগ করতে পারে সরকার?

-------
আমি এই দুটো সমস্যার সমাধান জানতে আগ্রহী। কেউ কি এই সমস্যা দুটোর আইনি ব্যাখ্যা জানেন?

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে কি লাগেনি তা নিরুপণ করা হবে কীভাবে

দর্শকশ্রোতার চামড়ার পুরুত্ব দায়ী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ভেদে কমে বাড়ে কিনা সেই ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক গবেষণা হওয়া দরকার

দ্রোহী এর ছবি

আমারো তাই ধারণা।

রামুর বৌদ্ধরা কোরান অবমাননা করছে শুনলে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার আগেই হাজারখানেক লোক দৌড় দেয় বৌদ্ধদের মারার জন্য। আর জামাতে ইসলামীর লোকজন কোরান শরীফ পোড়ালে সেইটা কোল্যাটেরাল ড্যামেজ। তার জন্য ধর্মানুভূতি আহত হয় না।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এত্ত চিন্তা করেন ক্যা? জামাতিরা পুড়াইলে হালাল... (দলীয় নামের শেষে ইসলাম আছে না, সাত খুন মাপ) আর বাকিরা পুড়াইলে পাপ... বিধর্মী হইলে তো মহাপাপ...

হাসিব এর ছবি

দুইটা দিক এর,
১। কোথায় হোস্টেড
২। কোথা থেকে পরিচালিত হয়
বাংলাদেশের আইন যারা বানায় তারা এইসব জটিলতা বোঝে না বলে আইনে এগুলোর উল্লেখ নেই। তবে বাংলাদেশের আইনে আপনাকে আমেরিকায় অপরাধী করা যাবে না এটা সাধারণ জ্ঞান।

কোথায় হোস্টেড কোথায় পরিচালিত এই জিনিসটা কীভাবে জুরিসডিকশনে প্রভাব ফেলে ওটা দেখতে আপনি উইকিলিকস, পাইরেটবে' কেন সুইডেনে হোস্টেড সেটা ঘেটে দেখতে পারেন। সুইডেন হোস্টেড হলে সুইডেনের জুরিসডিকশনে পড়ে বলে আপনার সাইট আমেরিকার হাত থেকে নিরাপদ। দেশ হিসেবে সুইডেন বেছে নেবার কারণ হলো এরা অত্যন্ত উচু মাত্রার ওয়েব বাক স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হোস্ট হবার বিষয়টিও এখন আরও জটিল হয়ে পড়েছে। যেমন সচলায়তন কনটেন্ট ডেটা নেটওয়ার্ক (সিডিএন) ব্যবহার করে, যেটা পৃথিবীর নানা দেশ জুড়ে ছড়িয়ে। যেমন, বাংলাদেশ থেকে সচলায়তনে ঢুকলে কনটেন্ট আসবে সিঙ্গাপুরের সার্ভার থেকে, আমেরিকা থেকে ঢুকলে আমেরিকার সার্ভার থেকে। সচলায়তনের শতকরা ৮০-৯০ ভাগই এভাবে ডিস্ট্রিবিউট করা হয়। তাই বিষয়টি তুলনামূলকভাবে অনেকখানি ভিন্ন।

দ্রোহী এর ছবি

ডিস্ট্রিবিউটেড সিস্টেমের ক্ষেত্রে কি সাইটের রেজিস্ট্রেশনের স্থানকে সাইটের অরিজিন হিসাবে ধরা হবে নাকি কনটেন্টের অবস্থান যে সার্ভারে সেটাকে অরিজিন হিসাবে ধরা হবে?

মরুদ্যান এর ছবি

চলুক

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

তারেক অণু এর ছবি
কৌস্তুভ এর ছবি

হাঁয়েস!

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চলুক
মুক্তচিন্তার জয় হোক
জয় বাংলা

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আন্তর্জাতিক ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইন অনুযায়ী বিটিআরসি'র এধরনের চিঠি বেআইনী।
সচলায়তন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ব্লগারদের গোপনীয়তা রক্ষার ব্যাপারে তাদের স্পষ্ট অবস্থান প্রকাশের জন্য।

বিজন কথক

নিটোল এর ছবি

(‌‌Y)

_________________
[খোমাখাতা]

তাপস শর্মা এর ছবি

'মুক্ত চিন্তার জয় হোক' চলুক

সচলায়তনের রিয়েকশান এবং সিদ্ধান্ত অবশ্যই সচলীয় হয়েছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।