ভিনদেশকে সমর্থনের নামে সার্বভৌমত্বের অপমান: প্রতিরোধ এখনই

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: বুধ, ০৫/০৩/২০১৪ - ৫:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমরা চেয়েছিলাম এই বাংলার আকাশে চাঁদতারা নয়; বরং লাল-সবুজের একটি পতাকা মাথা উঁচু করে উড়বে। এই পতাকাটির জন্য আমরা বছরের পর বছর ধরে সংগ্রাম করেছি। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর ৪ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে লাল সবুজের এই পতাকাটি আমাদের হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একটি পতাকার জন্য এমন চরম মূল্য দেয়ার নজির দ্বিতীয়টি নেই।

আমাদের মুক্তির যুদ্ধে আমরা জয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাদের পতাকা, আমাদের জাতীয় পরিচয়, আমাদের অস্তিত্বের বিপরীতে অবস্থান নেয়া একাত্তরের পরাজিত শক্তি বসে নেই, তারা এখনো সক্রিয়। এই ২০১০ এও মুক্তিযোদ্ধার নামে ঢাকার রাস্তার নামকরণ করা হলে পাকিস্তান তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় (১)। এই ২০১৩তেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি দিলে সেটার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাব ওঠে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে(২)! তাদের এদেশীয় এজেন্টরা এখনো কুষ্টিয়া-পাবনায় শহীদ মিনার ভাঙ্গে, তারা এখনো চাঁদপুরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় আগুন দেয়। চাঁদতারা মার্কা যে পতাকাটিকে আমরা ৩০ লাখ জীবনের বিনিময়ে প্রতিস্থাপন করেছি লাল-সবুজের পরিচয় দিয়ে, এই স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে বসে এখনো তারা সেই পরাজিত পাকিস্তানের পতাকা উঁচিয়ে উল্লাস প্রকাশের কোনো সুযোগকেই হাতছাড়া করে না।

চাইলেই কি বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো যায়? চাইলেই কি ভিনদেশের, বিশেষ করে যে পতাকার বিরুদ্ধে আমাদের রক্ত ঝরেছে, সে পতাকা নিয়ে উল্লাস করা যায়? বাংলাদেশের পতাকা আইন (৩) অনুসারে এটা করা অপরাধ। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কিভাবে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে, তা স্পষ্টভাবে বলা আছে পতাকা আইনে। এই ক্ষেত্রগুলো ছাড়া পতাকা যথেচ্ছভাবে ব্যবহার করা যাবে না। আর অন্যান্য সব দেশের মতোই বাংলাদেশের মাটিতেও খুবই সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র ছাড়া বিদেশের পতাকা ব্যবহার করা যাবে না।

বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশের পতাকা উড়ানোর এই ক্ষেত্রগুলো সেসব দেশের দূতাবাস ভবন, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীদের গাড়িতে বাংলাদেশে সফরকালে ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে কোথাও বিদেশি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতির দরকার হবে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আইন অনুসারে,

“Except as stated in the above Rules, the flag of a Foreign State shall not be flown on any car or building in Bangladesh without the specific permission of the Government of the People’s Republic of Bangladesh.” (People’s Republic of Bangladesh Flag Rules, article 9.IV)

সুতরাং কারো ইচ্ছা হলেই বিদেশি পতাকা গায়ে জড়িয়ে বাংলাদেশের স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশের রাজপথে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ কিংবা ‘জয় হিন্দ’ শ্লোগান দিবে, এটা আইনত অপরাধ।

বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ৩০ লাখ বাঙালির খুনীদের পতাকা হাতে ‘নামে বাংলাদেশের নাগরিক, কামে মনেপ্রাণে পাকিস্তানী’ এজেন্টদের উল্লাস দেখতে চাই না। আমরা ফেলানি হত্যার ন্যায়বিচার পাইনি। ফেলানির রক্তে ভেজা বাংলাদেশের মাটিতে আমরা ভারতের পতাকা হাতে ভারতপ্রেমীর উল্লাস দেখতে চাই না।

আমরা এমন দেশে বাস করি যেখানে চাঁদে সাইদীকে দেখার বিভ্রমে ভোগে শত শত মানুষ, জামাত ইসলাম আর ইসলামকে গুলিয়ে প্রোপাগান্ডা চলে হরদম। খেলায় রাজনীতি মেশাবেন না তত্ত্বকে প্রচার প্রসারে খেলার পাতার দুই তৃতীয়াংশ পাকি বন্দনায় মত্ত হয় সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলো। খুব সূক্ষ্মভাবে রিকনসিলিয়েশন থিওরির আড়ালে পাকিপ্রোপাগান্ডা চালায়, ভাষা আন্দোলন নিয়ে দুনিয়া কাঁপানো ত্রিশ মিনিটের কর্পোরেট ভণ্ডামি করে, উর্দু শিরোনামে সংবাদ ছাপে, “সব ম্যাচ কা বাপ!(৪)” স্বাধীনতার মাসে, বাঙালি জাতির গণহত্যার মাসে মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকি পতাকা হাতে বাংলাদেশের শত্রুর উল্লাসের বিষবাস্প ভেসে যায় মিরপুর বধ্যভূমির বাতাসে।

আমরা আশাকরি, বাংলাদেশের আলো-হাওয়ায় বড়ো হওয়া এই কুলাঙ্গারদের অনেকেই একদিন ভুল বুঝতে পারবে, তারাও পাকিস্তানী কিংবা ভারতীয় না হয়ে বাঙালি ও বাংলাদেশি হওয়াকেই গৌরবের মনে করবে। কিন্তু কবে তাদের সেই চেতনার জন্ম হবে, সেজন্য অপেক্ষা করে করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও দেশের সার্বভৌমত্বকে পদদলিত হতে দেয়ার কোনো যুক্তি নেই। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ ছাগুপনা প্রতিরোধের এখনি সময়।

এক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বাংলা কমিউনিটি ব্লগ অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকারকে অবশ্যই অন্তত নিচের যৌক্তিক কাজগুলো করতে হবে:

১। জাতীয় পতাকা আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং এ আইন লঙ্ঘনকারীদেরকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।

২। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে বাংলাদেশের মাটিতে অন্যদেশের পতাকা নিয়ে উল্লাস করাকে পতাকা আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ববিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে চিহ্নিত করে স্পষ্ট আইন প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।

৩। পতাকার এই উন্মাদনা প্রধানত দেখা যায় বাংলাদেশের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলোতে। বর্তমানে আইসিসির নির্দেশ অনুযায়ী দর্শক সাথে করে অস্ত্র ও ঝুঁকিপূর্ণ দ্রব্যের পাশাপাশি ব্যাঙ্গাত্মক পোস্টার বা ব্যানার নিতে পারে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ভিনদেশের জাতীয় পতাকাকেও এই তালিকায় যোগ করতে হবে।


তথ্যসূত্র:

১) http://www.samakal.net/print_edition/details.php?news=14&view=archiev&y=2010&m=05&d=15&action=main&menu_type=&option=single&news_id=65608&pub_no=336&type=

২) http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article715751.bdnews

৩) http://lib.pmo.gov.bd/legalms/pdf/national-flag-rules.pdf

৪) http://www.prothom-alo.com/sports/article/159109


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

চলুক একমত

হিমু এর ছবি

বাংলাদেশের মাটিতে কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের হাতে পাকি পতাকা দেখতে চাই না। সরকারকে অবিলম্বে পতাকা আইন প্রয়োগের ব্যাপারে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানাই। এ প্রয়োগ দেখতে চাই এশিয়া কাপ ফাইন্যালেই।

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

দীনহিন এর ছবি

এ প্রয়োগ দেখতে চাই এশিয়া কাপ ফাইন্যালেই।

একমত হিমু ভাই। বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন, এই স্বাধীনতার মাসে আর অপমান হতে দিয়েন না আমাদের তিরিশ লক্ষ শহীদকে, যারা তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল এদেশকে মুক্ত করতে! পাকি জারজগুলাকে পাকিস্তানে যদি ফেরত নাও পাঠাতে পারেন, অন্তত পাকি পতাকার নাপাকি প্রদর্শন তো বন্ধ করতে পারেন, স্টেডিয়ামে নিষিদ্ধ করতে পারেন পাকি রঙ মেখে সঙ সাজা এই আজন্ম বেজন্মাগুলাকে!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

অতিথি লেখক এর ছবি

পরিপূর্ণ সহমত।
চলুক

সুবোধ অবোধ

ফকির দরবেশ  এর ছবি

বাংলাদেশের সাথে অন্য দেশের খেলা হইলে বাংলাদেশে জন্মাইছে বা বড় হইছে এমন কেউ কেমনে অন্য দেশ সাপোর্ট করে এই ব্যাপারটা মাথায় ঢুকে না। গবেষনার বিষয়।

ফকির দরবেশ

মেঘলা মানুষ এর ছবি

আয়োডিনের অভাব

দীনহিন এর ছবি

আয়োডিনের অভাব

যথার্থ বলেছেন। আসলে এদের ঘিলু সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। পাকি মেহনের মোহ এদের কখনই ছাড়ে না।

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

চরমভাবে একমত।

আমরা যে যেখানে আছি সেখানে থেকেই সাধ্যমত প্রতিবাদ করে যাই। আর যদি সুযোগ আসে, সম্মিলিত প্রতিবাদও জানাতে চাই।

____________________________

সাকিন উল আলম  এর ছবি

চলুক চলুক

সহমত পোষন করলাম ।

দেব প্রসাদ দেবু এর ছবি

সহমত

স্পর্শ এর ছবি

সহমত!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

একমত চলুক

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

আইন তো আছেই, এবার আইনের প্রয়োগ চাই।
দারুণ প্রস্তাব!

মেঘলা মানুষ এর ছবি

সহমত।
জনসচেতনতায় আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া যায়:
১। পত্রিকায় তথ্যমন্ত্রণালয় বিজ্ঞাপণ দিতে পারে।
২। এফএম রেডিওতে এটা নিয়ে কথা বলা যায়।
৩। বিটিআরসি'র অনেক এসএমএস তো মোবাইল অপরেটররা গ্রাহকদের পাঠায়। এবিষয়টা সবাইকে জানিয়ে এসএম এস পাঠাতে পারে।

শুভেচ্ছা হাসি

আয়নামতি এর ছবি

সহমত! সহমত!! সহমত!!!

সাম্য এর ছবি

লোকজন যে রকম বেহায়া, দেখা যাবে নিজেকে পাকি পরিচয় দিয়ে হলেও ঐ পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকবে।

--------------------------------
বানান ভুল থাকলে ধরিয়ে দিন!

সাফিনাজ আরজু এর ছবি

চলুক চলুক
একমত!

__________________________________
----আমার মুক্তি আলোয় আলোয় এই আকাশে---

অতিথি লেখক এর ছবি

পাকিস্তানকে তো রীতিমত চাষ করা হয়ে আশি'র দশক থেকে। বিটি বেগুনের মত জেনেটিক পাকিস্তানী সব। এটা দূর করা একটু কঠিন বটে।

কিন্তু, সামনে জুন মাসে আসছে ব্রাজিল বিশ্বকাপ। বাড়িতে বাড়িতে উড়বে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানী, ইতালি'র পতাকা। বিশাল ভিনদেশি পতাকার নিচে ছোট্ট একটা বাংলাদেশী পতাকা ঝোলানো হবে। হলবাসীরা ২০০-৩০০ফুট পতাকা বানাবে।
দেশের পতাকা বানানোর সময় ১২ রকম সবুজের সাথে ১৫ রকম লাল কম্বিনেশন হবে। লাল বৃত্ত ডানে-বামে-উপরে-নিচে থাকবে। কিন্তু আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের পতাকা হবে জ্যামিতিক মাপে। এইতো আমরা।

----ইমরান ওয়াহিদ

দিগন্ত এর ছবি

বাংলাদেশের মাটিতে বিদেশের পতাকা উড়ানোর এই ক্ষেত্রগুলো সেসব দেশের দূতাবাস ভবন, তাদের রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রীদের গাড়িতে বাংলাদেশে সফরকালে ব্যবহারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এর বাইরে কোথাও বিদেশি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ অনুমতির দরকার হবে।

আমার কাছে আইন সঠিক বোধগম্য হল না। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ হবে - সেখানে কি আর্জেন্টিনার সমর্থকেরা তাদের জাতীয় পতাকা নিয়ে আসতে পারবে না? সামনে বিশ্ব টি-২০ টুর্নামেন্টে এতগুলো দেশের সমর্থকদের কি হবে?


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই বিষয়টা স্পষ্ট করে আইন করতে হবে। যেমন, পাকিস্তান বা ইন্ডিয়ার ম্যাচে পাকিস্তানী বা ইন্ডিয়ান দর্শক পতাকা হাতে মাঠে এলে সেটা দৃষ্টিকটু না; কিন্তু বাংলাদেশের নাগরিক কাজটা করলে দৃষ্টিকটু। আর প্রতিপক্ষ যদি বাংলাদেশ হয়, তাইলে বিষয়টা বাংলাদেশের বিপক্ষে অবস্থান নেয়া হয়। এই কারণেই ইন্ডিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান সমর্থন করা ভারতের ৬৭ জন ছাত্রকে তল্পিতল্পাসমেত বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে

পতাকা একটা গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচে পাকিস্তানী পতাকা হাতে বাংলাদেশের নাগরিক পাকিস্তানী পতাকা দুলিয়ে উল্লাস করলে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত। আর পাকিস্তানের সাথে ইতিহাসের কারণে এটা আরো কঠিন অপরাধ হওয়া উচিত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

দিগন্ত এর ছবি

সেটাই - আইনের স্বচ্ছতা আগে দরকার।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

অতিথি লেখক এর ছবি

পোস্টের ভেতরে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা আইনের যেটুকু উদ্বৃত করা হয়েছে, তাতে "গাড়ি ও ভবন" এই ২টার সুনির্দিষ্ট উল্লেখ আছে দেখতে পাচ্ছি। এর ওপর ভিত্তি করে "বিদেশী পতাকা গায়ে জড়ানো ............ আইনত অপরাধ" বলা যায় কি?

---দিফিও

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

এই অস্পষ্টতার জন্যই আইনটা আরো স্পষ্ট করতে হবে। শুধুমাত্র গাড়ি ও বাড়ি ছাড়া অন্যত্র যথেচ্ছভাবে বিদেশি পতাকা টাঙায়া রাখা যাবে - আমি যতোদূর বুঝলাম ব্যাপারটা এরকম না। কোথাও টানানো যাবে না, এক্সসেপ্ট এই অ্যালাউড ক্ষেত্রগুলো ছাড়া - এভাবে মেইকস সেন্স।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

ফাহিম হাসান এর ছবি

সহমত। পাকিস্তানী পতাকা নিয়ে বাংলাদেশী কাউকে উল্লাস করতে দেখলে চরম ঘৃণা হয়।

সন্দেশের পোস্টটা ভাল্লাগছে চলুক

গৃহবাসী বাউল এর ছবি

দুর্দান্ত ভাবে সহমত জানিয়ে গেলাম। আমার তো মনে হয় দেশে পাকিপতাকা হাতে দেশী কাউরে দেখা গেলেই তার বিচারের ভার জনগনের উপর ছেড়ে দেওয়া হোক- এমন আইন করা দরকার।

-----------------------------------------------------------
আঁখি মেলে তোমার আলো, প্রথম আমার চোখ জুড়ালো
ঐ আলোতে নয়ন রেখে মুদবো নয়ন শেষে
-----------------------------------------------------------

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক সহমত। পাকিস্তানের পতাকা হাতে কেউ উল্লাস করছে বাংলাদেশে বসে এরচেয়ে বেদনাদায়ক দৃশ্য আর কি হতে পারে?

বিশ্বকাপে স্টেড়িয়ামে পতাকা হাতে যাওয়া যেতে পারে কিন্তু ঘরের ছাদে জাতীয় পতাকা উড়ানো টা কে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। বিশ্বের কোন উন্নত রাষ্ট্রে আপনি দীর্ঘদিন ভিন দেশের জাতীয় পতাকা উড়াতে পারবে না। অথচ আমাদের দেশে বিশ্বকাপ আসলেই পুরো শহর ঢেকে যায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, জার্মানী, ফ্রান্স কিংবা স্পেনের পতাকায়। এটি বন্ধ করা উচিত।

মাসুদ সজীব

এক লহমা এর ছবি

"জাতীয় পতাকা আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং এ আইন লঙ্ঘনকারীদেরকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।" - চলুক

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

শুধুমাত্র সরকারের উপর ভরসা করে লাভ নাই, আমরা খুব ভাল মতই জানি সরকার যদি কোন পদক্ষেপ নেয়ও, ফাইনালের আগে কিছু আশা না করাই ভাল। তবুও যেভাবে সম্ভব সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত, এছাড়া এমন কিছু করা কি সম্ভব:

১। আদালতে রীট আবেদন করা যাতে বাংলাদেশীদের জন্য ভিনদেশী পতাকা প্রকাশ্যে বহন করা নিষিদ্ধ করা হয়।
২। নেম এন্ড শেম: ফেসবুক আর স্টেডিয়ামে এদের চিহ্নিত করা এবং এদের ছবি অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়া যাতে পাবলিক এইসব শূকরছানাদের ভালমত চিনে নিতে পারে।
৩। ফাইনালের দিন এটা করতে পারলে খুব ভাল হয়: স্টেডিয়ামের প্রবেশ পথের বাইরে অবস্থান নেওয়া এবং যাদেরই পাকি পতাকা হাতে নিয়ে বা হাতে-মুখে লাগিয়ে ঢুকতে দেখা যাবে, অন্ততঃপক্ষে আইন-শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাতে এই জারজদের মনে কিছুটা হলেও ভয় ঢুকে, আর জায়গায় দাড়ায়া গদাম দিতে পারলে তো কথাই নেই। হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনার সাথে একমত । অবিলম্বে স্টেডিয়ামে বাংলাদেশীদের দ্বারা বিদেশী পতাকা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা হোক ।

ননস্টপ

অতিথি লেখক এর ছবি

ঠিক বলছেন ভাই।দ্রুত এই আইন তৈরী এবং সাথে সাথে বাস্তবায়ন করা হোক। আর এইসব নামধারী বাঙ্গালীদের মুখে জুতার বাড়ি মারা উচিত।

kashmir  এর ছবি

কাশ্মীরের ছাত্রগুলোকে গালি দেয়ার আগে, কাশ্মীরে কি হয়েছে এবং হচ্ছে, এইসব একটু নজর দেয়া দরকার ছিল... দেশপ্রেম আর ভারতের কাশ্মীর পলিসিকে সমর্থন করা সমার্থক না

হিমু এর ছবি

তাহলে বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে কী হয়েছিলো সেটাও একটু ভালোমতো নজর দিয়ে এসে এই পোস্ট পড়েন।

স্যাম এর ছবি

চলুক

kashmir  এর ছবি

সেটা জেনেই তো বলছি। কাশ্মীরের ছাত্রদের মধ্যে যে ভারত-দ্বেষ কাজ করছে, সেটা কি ম্যারি-মি-আফ্রিদিদের পাকি-প্রেমের সাথে সমতুল্য? ম্যারি মি-দের তিরস্কার করতে গিয়ে কাশ্মিরীদের গালি দেয়া কি প্রয়োজনীয়?

হিমু এর ছবি

১। কাশ্মিরীদের কোথায় গালি দেওয়া হয়েছে সেটা কোট করে দেখান।
২। কাশ্মিরী ছাত্রদের ভারত-দ্বেষ আর কাশ্মিরী ছাত্রদের পাকিস্তান-প্রেম সমার্থক কেন, একটু বুঝিয়ে বলেন।

দীনহিন এর ছবি

কাশ্মিরী ছাত্রদের ভারত-দ্বেষ আর কাশ্মিরী ছাত্রদের পাকিস্তান-প্রেম সমার্থক কেন, একটু বুঝিয়ে বলেন।

চলুক
এজন্যই আপনার বকা খেয়েও আপনার ফ্যান!

.............................
তুমি কষে ধর হাল
আমি তুলে বাঁধি পাল

kashmir  এর ছবি

- গালি দেয়া না হলেও তাদের সাজাকে সমর্থন দেয়া হয়েছে।
- কাশ্মীরীরা কাদের ভালবাসবে বা ঘৃণা করবে, সেটা কাশ্মীরীদের হাতে ছেড়ে দেয়াই ভালো। ওদের ইতিহাস আর আমাদের ইতিহাস এক না।

স্বদেশী ম্যারি-মিদের পাকি-প্রেমটা ফোকাস ছিল, সেখানেই ফোকাস থাকা উচিত।

হিমু এর ছবি

তাহলে কে কার সাজাকে সমর্থন করবে, সেটা লেখকের হাতে ছেড়ে দিয়ে ভালো থাকুন।

দিগন্ত এর ছবি

http://en.wikipedia.org/wiki/Jammu_Kashmir_Liberation_Front
স্বাধীন কাশ্মীরের পতাকা বলে একটা বস্তু আছে - সেটা উইকিতে পেয়ে যাবেন।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

কড়িকাঠুরে এর ছবি

চলুক

"জাতীয় পতাকা আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে এবং এ আইন লঙ্ঘনকারীদেরকে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিতে হবে।"

ঈয়াসীন এর ছবি

সহমত

------------------------------------------------------------------
মাভৈ, রাতের আঁধার গভীর যত ভোর ততই সন্নিকটে জেনো।

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখজনক

Hudai deshpremi এর ছবি

ওই সব আবাল বাংলাদেশীদের,যারা পাকিস্তান/ভারত সাপোর্ট করে বা পাকিস্তানি/ভারতীয় পতাকা নিয়ে খেলা দেখতে যায় তাদেরকে পাকিস্তানে/ভারতে পাঠিয়ে পুটু মারালে তবে তারা তাদের ভুল বুঝবে।তখন তারা বুঝবে খেলা আর রাজনীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

Hudai deshpremi

zahid এর ছবি

দিলটা কেবল পাকিস্তানি!

জানি জানি ঠিকই জানি
একাত্তরের হিস্ট্রিখানি।
পাকিস্তান ও দুষ্টু দেশ এক
তোমার এমন কথাও মানি।
কিন্তু এসব ব্যাড পলিটিক্স
খেলার মাঝে নাই বা টানি।
বাই দ্যা ওয়ে, আফ্রিদিটা
এত্ত কেন কিউট, ফানি!

এদের যতই শোনান বানী
লাভ তাতে নেই একটুখানি
এদের সবাই বাংলাদেশি
দিলটা কেবল পাকিস্তানি।

By: Jihad Tarofdar

অতিথি লেখক এর ছবি

বাংলাদেশের মাটিতে কোনো বাংলাদেশী নাগরিকের হাতে পাকি পতাকা দেখতে চাই না।

তাহসিন রেজা

খন্দকার আলমগীর হোসেন এর ছবি

কারো হৃদয় পাকিস্তানি, পাকির দালাল স্বীকৃত,
কেউ গোপনে ভারত-প্রেমী, ওদের কাছে বিক্রিত,
দুই তরফই আমজনতার তীব্র ঘৃণায় ধিকৃত।

আমজনতার সব স্বার্থ এই দেশেতেই বান্ধা যে,
চিনতে ওদের ভুল করোনা, দোষ দিওনা আন্দাজে,
বন্ধ করে দিবেই ওরা বিদেশ প্রেমের ধান্দা যে।।

____________________________________________________________________
ইতিহাস পড়ি না, জন্মলগ্ন থেকে বাংলাদেশকে প্রতিদিন যেভাবে দেখেছি, সেটাই বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

যে কোন প্রিয় দলের প্রতি প্রেম ভালোবাসা স্বাভাবিক। আমাদের দেশে পাক ভারত থেকে শুরু করে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা পর্যন্ত নানান ধরণের সমর্থক আছে। খেয়ে না খেয়ে এরা দলের জন্য প্রাণপাত করে। ব্যাপারটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।

কিন্তু ব্যাপার যখন পাকিস্তান নিয়ে, তখন আমার দুইখান কথা আছে। পাকিস্তান দেশটা আমার রক্তে রক্তে ঘৃণার বিন্দু নিয়ে অবস্থান করে। পাকিস্তান আমার ভাইয়ের বাবার হত্যাকারী, আমার মায়ের বোনের ধর্ষণকারী। সুতরাং আমার স্নায়ুতে যদি চেতনা বলে কিছু থাকে আমি কখনো পাকি পতাকা আমার মাথার উপরে তুলবো না। আর যদি আমার স্নায়ূতে পাকি বিদ্বেষ না থাকে তাহলে আমি চরম নির্বোধ। এরকম নির্বোধদের জন্য পাকি পতাকা বহন আইন করে নিষিদ্ধ করাই উচিত।

হ্যাঁ, শুধু পাকি পতাকার জন্য।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মিজান, পিষে ফ্যালো

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

অতিথি লেখক এর ছবি

এসব জাতীয় চেতনা গুলো আসলে মাল্টিভিটামিন ট্যাব্লেট না। একটা দেশের পতাকা কীভাবে অসম্মানিত হচ্ছে, কারা অসম্মান করছে কারাইবা ইন্ধণ দিচ্ছে সেগুলো আসলে বুঝার ব্যাপার। কেনো একটা টূর্ণামেন্ট আসলেই আমরা সজাগ হচ্ছি? কেনো আগে নয়? কেনো এই টুর্ণামেন্টের পরেই ভুলে যাব? আসলে এগুলো সবই কাঁচা বয়সে শেখার ব্যাপার। জাতীয় পতাকার ব্যবহার বিধি আমি এইবারই প্রথম দেখলাম। একটা বিধি বিধান আছে তাও জানতাম না। এর একটাই কারণ আমাকে শেখানো হয়নি। শেখাতে হবে বাচ্চাদের। আগামির প্রজন্মদের। তাহলে আজ থেকে বছর দশেক পরে খেলা দেখতে গেলেও মাথায় ফেটি, হাতে পতাকা থাকবেনা। আমার মতে এগুলোর দিকে সবার দৃষ্টি দেয়া দরকার।
shah waez
shah waez

সচল জাহিদ এর ছবি

সহমত পোষণ করছি।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

রানা মেহের এর ছবি

সহমত ১০০%

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

তানিম এহসান এর ছবি

সহমত।

হিমু এর ছবি

বিবিসির খবর শুনে মনে হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের কানে পানি গেছে।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

যথারীতি পাকিস্তানের সাবেক ম্যাচ ফিক্সারদের গায়ে জ্বলুনি শুরু হইছে। এবং তাদের এদেশীয় রিকনসিলিয়েশন প্রতিনিধি সুবহে সাদিকও তাদের প্রতিক্রিয়া লাখো লাখো বাংপাকির কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।

বিসিবির পতাকা নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ভারত-পাকিস্তানে

এখানে টুইস্ট হলো, নিউজের প্রত্যেকটা লাইনে আগে ভারতকে টান দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিক্রিয়া সবই সাবেক মার্খোর ম্যাচফিক্সারদের। ভারতের কিছু টুয়েন্টিফোর পত্রিকায় বিষয়টা এসেছে মাত্র।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অতিথি লেখক এর ছবি



আয়োডিনের অভাব

এইসব ‌‌অন্ধ পাকিপ্রেমীদের পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।