জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!

সুমন চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন সুমন চৌধুরী (তারিখ: সোম, ১৫/০৯/২০০৮ - ৭:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.কিছুই অচেনা নয়
রাষ্ট্রের জৈবিক অবস্থান শেষ বিচারে নির্যাতনকারীর পক্ষে, এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। ইতিহাসে রাষ্ট্রকে যতবার গণমূখী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে তার প্রতিটাই কোন না কোন গণবিপ্লবের ফসল হিসেবে।

১৯৯৮/৯৯ সালে প্রশাসন আংশিক পরাজিত হয়ছিল প্রবল ছাত্রঅভ্যুত্থানের মুখে। ১৯৯৯ এর ২ আগস্ট ধর্ষণকারীরা ছাত্রজনতার ধাওয়ার মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়ছিল। তাদের পক্ষ হয়ে প্রশাসন দেড় মাসের মাথা ক্যাম্পাস বন্ধ করে অন্য একটি আন্দোলনের ফাঁদে ফেলে আন্দোলনকারীদের উপর প্রতিশোধ নেয়। দুমাস ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল সেবার। তাতে আন্দোলনকারীদের কৌশলগত ব্যর্থতা ছিল। তবে তাতে প্রশাসনের অসাধুতা হালাল হয় না। আমার স্পষ্ট মনে আছে সেবার প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল ছাত্রলীগ আর ছাত্রদলের পেটোয়া বাহিনি। কেন এসেছিল? এসেছিল দুদিন আগে জনতার ধাওয়া খাওয়ার ঝাল মেটাতে।

আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে দেখা যৌন নিপীড়ন বিরোধী আরেক আন্দোলন, যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক অভিযুক্ত ছিলেন, সেখানেও দেখেছি আন্দোলন দমন করতে আওয়ামী-বিএনপি পেটোয়াবাহিনির বৃহত্তর কোয়ালিশন। ঢাকা আর জাহাঙ্গীরনগরে প্রকাশ্য রাজনীতি নিশিদ্ধ থাকায় শিবির সামনে না এলেও আন্দোলন বিরোধী প্রচারণায় তাদের দার্শনিক অবস্থান আওয়ামী লীগ-বিএনপি থেকে অভিন্ন।

দশ বছর পরে আমি প্রবাসে বসে যখন পত্রিকার খবর আর মাঠে থাকা বন্ধুদের কাছে আন্দোলনের বর্ননা শুনি, চোখের সামনে ইতিহাসের হোমোজিনিয়াস সজ্জাই দেখতে পাই। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের দুই বৃহত্তম রাজনৈতিক জায়গীরদার আওয়ামী লীগ আর বিএনপি অবশ্যই একমত হতে পারে, তবে শুধুমাত্র গণপ্রতিরোধের বিরুদ্ধে, নির্যাতনকারীর পক্ষে।

২. গণপ্রতিরোধই সভ্যতার চৈতন্য, মানুষ ইতিহাসের নির্মাতা

১৯৯৮ সালের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের সপ্তাহ দুয়েক পরে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের উদ্যোগে আন্দোলনকারী সাধারণ ছাত্রঐক্যের সকল শরীক সংগঠণ এবং নির্দলীয় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে জাবি ক্যাফেটেরিয়াতে একটি আন্দোলন পর্যালোচনা সভা হয়েছিল। অনেক তর্কবিতর্কে সেদিন সভা শেষ হয়। তবে যে কিউইডিতে মোটামুটি সকলে একমত হয়েছিল তা হলো, যৌন নিপীড়ন ক্ষমতা কাঠামো থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। ধর্মের বা জনগণের বিপরীতে থাকা রাজনৈতিক শ্রেণীর চাপিয়ে দেওয়া প্রতিক্রিয়াশীল নৈতিকতা নয়, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করা জনগণের প্রকৃত প্রতিপক্ষ হচ্ছে রাষ্ট্র। ধর্ষণকারী যে পুরুষতান্ত্রিক চৈতন্য ধারণ করেন তা নির্যাতনকারী রাষ্ট্রের চৈতন্য। জনগণের এই লড়াই তাই চট করে শেষ হবার নয়। যৌন নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা হতে পারে এই লড়াই এর একটি বিরাট মাইল ফলক, তবে শেষ কথা নয়।

যৌন নিপীড়নসহ সকল প্রকার নির্যাতনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ চলছে চলবে। সকল সুস্থ মানবিক বোধ সম্পন্ন মানুষ এই প্রতিরোধের সমর্থনে আছে, থাকবে।

জনতার জয় হোক!


মন্তব্য

অভিজিৎ এর ছবি

যৌন নিপীড়নসহ সকল প্রকার নির্যাতনের বিরুদ্ধে যে গণপ্রতিরোধ চলছে তার প্রতি অঙ্গীকারাবদ্ধতা।

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!



পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

রায়হান আবীর এর ছবি

একাত্মতা পোস্টের সাথে।

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!

=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!

স্নিগ্ধা এর ছবি

একাত্মতা!

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

নিপাত যাক !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পোস্টের সাথে আমিও একাত্মতা প্রকাশ করছি।
_______________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

অতিথি লেখক এর ছবি

ঘৃণা, ঘৃণা , ঘৃণা, ঘৃণা, ঘৃণা , ঘৃণা.................. জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন এর জন্য ।
নিবিড়

ঝরাপাতা এর ছবি

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

যূথচারী এর ছবি

জাহাঙ্গীরনগরের আন্দোলনে "ব্যর্থতা", "আংশিক ব্যর্থতা", ইত্যাদির কারণ আমার কাছে মনে হয় জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষকদের মেরুদন্ডহীনতা। সুমন ভাইয়ের কাছে প্রশ্ন- জাহাঙ্গীরনগরের একটা মেরুদন্ড সোজা মাস্টারের নাম বলেন। একটাও নাই। এমন একটা টিচার-ও খুঁজে পাবেন না, যে একবার এই গ্রুপ একবার ঐ গ্রুপ না করছে। ৯৮-এ যে ২৫ টা মাস্টারকে আলাউদ্দিন নিয়োগ দিছিলো, তার সুবিধাভোগী আজকের ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের সপক্ষের শিক্ষক বলে পরিচিত শিক্ষকরাও আছে, তাই না? আপনি তো ঐ সময় ক্যাম্পাসে ছিলেন, তাই ঐ মাস্টারগো নাম বলার দরকার দেখতেছি না।
এইটা এমন একটা আনকালচারড ক্যাম্পাস, যেখানে ঘোর আওয়ামী মাস্টারকেও আমি দেখেছি, ২০০১-এ যখন বিএনপি-জামাত ক্ষমতায় এলো, তখন ২ মাস্টার ঝগড়া করতেছে। আমার বিভাগের দুই টিচারের রুমে গেলাম, একজন বললো- "দেখো জাফর আমি বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে বিএনপি-তে যোগ দিছি, আর অমুক মাস্টার সারা জীবন আওয়ামী লীগ করে, এখন বলে সে নাকি বিএনপি।" ঐ টিচারের রুমে গেলাম, উনি বললেন, "দেখো, আমি ৬ মাস আগে বিএনপি-তে যোগ দিছি, আর তমুক মাস্টার সারা জীবন আওয়ামী লীগ করে, এখন বলে সে নাকি বিএনপি।" মেরুদন্ড বলে কোনো তরল পদার্থ-ও এদের নাই।
এমন কমপক্ষে ১০ জন মাস্টারের নাম আমার এখন মনে পড়তেছে, যারা একসময় বামপন্থী ছিলেন, কিন্তু সুবিধামতো সময়ে জামাতপন্থীও হয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি বা বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগ এটা তো সাধারণ ঘটনা।
সানিকে বরখাস্ত করা হতো, যদি সে মোস্তফার মতো আওয়ামী লীগের হতো, অথবা তানভীরের মতো দলনিরপেক্ষ হতো। সানি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একটা রাজনীতির অংশ যেখানে আগামী সিন্ডিকেট নির্বাচনে ৫-৬টা ভোট আছে। জাহাঙ্গীরনগর এমন একটা আনকালচারড জায়গা, যেখানে ৫-৬টা ভোটের জন্য ৪টা মেয়ের সম্ভ্রমহানিকেও এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষকগুলা এতোটাই মেরুদন্ডহীন যে, এই মেয়েগুলো তাদের নিজের মেয়ে, বোন বা মা হলেও তারা এই একই কাজ করতো।


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

সুমন চৌধুরী এর ছবি

এগুলি তো সবই জানি। তারপরো পোলাপান আন্দোলন করে। আরো করবে। আর কী কমু? তুমি যা কইছ ঠিকই কইছ তোমারে তেমন কিছু আর বলার নাই।



অজ্ঞাতবাস

যূথচারী এর ছবি

জানলে একটা নাম বলেন, (অতিকল্পনে দুই একটা ব্যতিক্রম থাকতে পারে, সাধারণ আলোচনায় তা প্রাসঙ্গিক না)


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...


চোখের সামনে পুড়ছে যখন মনসুন্দর গ্রাম...
আমি যাই নাইরে, আমি যেতে পারি না, আমি যাই না...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন পশুদের বিচরণ ক্ষেত্র হওয়ার জন্য উপযুক্ত। সভ্যতা আর সভ্য মানুষদের স্থান সেখানে ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। পিতা-মাতারা তাঁদের সন্তানদের সেখানে পড়তে পাঠানোর আগে অন্তত দশবার চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।
কারণ-
০১. মেয়েটিকে পড়তে পাঠালে সে ধর্ষিতা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৮.৫%
০২. ছেলেটিকে পড়তে পাঠালে সে লম্পট হওয়ার সম্ভাবনা ৭৫.৫%
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুমন চৌধুরী এর ছবি

জুলিয়ান সিদ্দিকী,

আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত আপত্তিকর। আপনি একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগরের সমগ্র শিক্ষার্থী এবং বিশেষ করে নারী-ছাত্রদের অপমান করেছেন। আপনি যা বললেন হুবহু সেই কথা গুলি ধর্ষণকারীদের সমর্থকেরা বলে থাকেন।

সারাদেশের নারীরা যখন প্রবলভাবে প্রতিক্রিয়াশীল চক্রের যৌন নিপীড়নের শিকার তখন এই জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরাই প্রথমবারের মতো সাহস করে ধর্ষকদের সাথে এবং ধর্ষকদের পৃষ্ঠপোষক প্রশাসনের সঙ্গে লড়াই করেছে। ধর্ষণ বিরোধী যৌন নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনগুলি একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রদের এবং বাংলাদেশের ছাত্রসমাজের গৌরব। আপনি যা বললেন তার অর্থ দাড়ায় জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রীরা গণহারে ধর্ষিতা এবং ছাত্ররা গণহারে লম্পট। এই কথা শুধু আওয়ামী লীগ-বিএনপি নয় বিশেষভাবে বলে থাকেন চরম প্রতিক্রিয়াশীল অন্যএকটি ধর্মীয় ফ্যাসীবাদী দলের কর্মী-সমর্থকরা যাদের প্রবেশ জাহাঙ্গীরনগরে নিশিদ্ধ।

এই জঘন্য মন্তব্যের জন্য আপনার ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।



অজ্ঞাতবাস

জুলিয়ান সিদ্দিকী (অনলাইন মন্তব্যের কোটা শেষ) এর ছবি

উদ্ধৃতি
আপনার মন্তব্যটি অত্যন্ত আপত্তিকর। আপনি একই সঙ্গে জাহাঙ্গীরনগরের সমগ্র শিক্ষার্থী এবং বিশেষ করে নারী-ছাত্রদের অপমান করেছেন। আপনি যা বললেন হুবহু সেই কথা গুলি ধর্ষণকারীদের সমর্থকেরা বলে থাকেন।

প্রিয় সুমন চৌধুরী,
আমি বিতর্ককে ভয় পাই। এবং সাধারণত: এটিকে এড়িয়ে চলতে ভালোবাসি। কিন্তু আপনার আপত্তিকর এবং অন্যায় অভিযোগের কারণেই লিখতে বাধ্য হলাম।

দেখুন, আমার বক্তব্যে কোনো ছলচাতুরী বা রাখ-ঢাক নেই। যা বলার পরিষ্কার করেই বলেছি। এখানে নারী বা শিক্ষার্থীদের অপমানের কোনো প্রশ্নই আসে না।
যেখানে শিক্ষক ও প্রশাসনের প্রশ্রয়ে এবং রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় সেঞ্চুরি মানিকদের মত ছেলেদের জন্ম হয়। এ তো গেল একজন মানিকের কথা। ধরাপড়লে চোর আর না ধরা পড়লে সাধু। সেই প্রবাদের আলোকে আরো কতজন ছেলে ধর্ষক হিসেবে অন্ধকারে রয়ে গেছে তার কোনো পরিসংখ্যান বা প্রমান নেই।

আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, মেয়েরা তার নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে চাইলেও পরিবার এবং সামাজিক অবস্থান ও ভবিষ্যতের বিয়ের সম্বন্ধের সম্ভাব্যতা যাচাই করে অনেক মেয়েকেই মুখ বুঁজে থাকতে হয় বা ঘটনার কথা চেপে যেতে বাধ্য করা হয়। সেই মেয়েদেরও কোনো পরিসংখ্যান আমরা জানি না।


আপনি যা বললেন তার অর্থ দাড়ায় জাহাঙ্গীরনগরের ছাত্রীরা গণহারে ধর্ষিতা এবং ছাত্ররা গণহারে লম্পট।

এখানে কাল তিনপ্রকার। অতীত বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পয়োগবিধি লক্ষ্যনীয়। আমি ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা বলেছি। পিতা-মাতাকে ভাবতে বলেছি। আপনি সেটাকে অতীত আর বর্তমানে গুলিয়ে নিয়ে ভবিষ্যতের কথাটি চেপে গিয়েছেন বা ভাবতে চাননি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে বা অতীতে যে আন্দোলনগুলো হচ্ছে বা হয়েছে- সবসময়ই প্রশাসন একটি ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিবেশের সৃষ্টি করে আন্দোলনের পরিবেশ নস্যাত করে দিয়েছেন। এই যে সাম্প্রতিক কালে অনশনরত চেলে-মেয়েগুলোকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে নিবৃত্ত করা হলো- তার কি হবে? এমন মিথ্যাবাদী-প্রতারক আর স্বার্থান্ধ শিক্ষকদের কাছ থেকে ছেলে-মেয়েরা কী শিখবে। তারা কি অনুপ্রাণিত হবে না?

সুমন চৌধুরী, আমি খুব সাদা-সিধে কথা বলেছি আপনি সেটাকে কোথায় নিয়ে গেলেন বুঝতে পারলাম না। আবারও অনুরোধ করছি যে, আমার পূর্বোক্ত মন্তব্যটি আবার একবার পড়ুন। কারণ এটি মডারেটরদের চেকপোস্ট পার হয়েছে। আপত্তিকর নয় বিধায় এবং বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর বিশইবদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে বলেই ছাড়পত্র পেয়ে সচলের পাতায় এসেছে। আপনি যদি ভুল বুঝে থাকেন তাহলে আমার কিছু করার নেই।

বি:দ্র: আমার মন্তব্যের কোটা ফুরিয়ে গেছে বলে অফলাইনের সুযোগটা নিতে বাধ্য হলাম।

সচলায়তন এর ছবি

প্রিয় জুলিয়ান সিদ্দিকী,

কারণ এটি মডারেটরদের চেকপোস্ট পার হয়েছে। আপত্তিকর নয় বিধায় এবং বর্তমান জাহাঙ্গীরনগর বিশইবদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষে বলেই ছাড়পত্র পেয়ে সচলের পাতায় এসেছে।

আপনার এ ধারণাটি মৃদু ত্রুটিপূর্ণ। সচলে অতিথিদের দৃষ্টিভঙ্গিদের সাথে সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্যে মন্তব্য প্রকাশিত হয়। যেসব মন্তব্যে অশোভন শব্দ, অমূলক উস্কানিবাচক বক্তব্য বা অর্থহীন বক্তব্য থাকে, কেবল সেগুলোকেই মডারেটররা আটকে দেন, বাকিগুলি প্রকাশিত হয়। আপনার কোন মন্তব্য প্রথম পাতায় প্রকাশিত হওয়ার অর্থ এই নয় যে সেটি কারো কাছে আপত্তিকর হতে পারবে না।

ধন্যবাদ।

________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

_________________________________
সচলায়তন.COM কর্তৃপক্ষ

সুমন চৌধুরী এর ছবি

প্রিয় জুলিয়ান সিদ্দিকী,

মন্তব্য না পড়ে প্রতিমন্তব্য করার বদনাম বাংলাব্লগ জগতে যাদের সবচাইতে কম আমি সম্ভবত তাঁদের দলে পড়ি। আপনার মন্তব্যটি ছাড়া হয়েছে, এখনো অতিথি স্ট্যাটাসে থাকলেও আপনি নিয়মিত সচলে লিখে যাচ্ছেন, মন্তব্য করে যাচ্ছেন, আপনার এই অবস্থানটিকে সন্মান করে।

তারপরেও আপনার মন্তব্যটি আমি আরো একবার পড়লাম। প্রতিমন্তব্যটিও পড়লাম। আমার মনে হচ্ছে না আমি এতটুকু ভুল বুঝেছি।

আপনি জাহাঙ্গীরনগরে পাঠাবার পূর্বে পিতামাতাদের যে ভাবনার কথা বলছেন সেটাই আপত্তিকর। সবচাইতে আপত্তিকর হচ্ছে আপনি যে সম্ভাবনার গণিত দেখিয়েছেন সেখানে। এই মন্তব্য টাইপ করার সময় আপনার মনে কোন অমোঘ ভাবনা ছিল সেটা সম্ভবত আমার জানার কথা নয়। যে ব্যাখ্যা আপনি দিলেন আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্ক সেটাও আপনার মতো করে বুঝতে পারছে না। ভবিষ্যতের কোনভাবনা ভাবতে বলছেন আপনি? প্রতিবাদের ধারা থেকে সরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিক্রিয়াশীল জানোয়ারদের অভয়ারণ্য কীভাবে বানানো যায় সেই ভাবনা? কীভাবে সমাজে নারী নির্যাতনকে স্থায়ী করা যায় সেই ভাবনা? আপনি বলেছেন,

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন পশুদের বিচরণ ক্ষেত্র হওয়ার জন্য উপযুক্ত। সভ্যতা আর সভ্য মানুষদের স্থান সেখানে ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসছে। পিতা-মাতারা তাঁদের সন্তানদের সেখানে পড়তে পাঠানোর আগে অন্তত দশবার চিন্তা-ভাবনা করা উচিত।
কারণ-
০১. মেয়েটিকে পড়তে পাঠালে সে ধর্ষিতা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৮.৫%
০২. ছেলেটিকে পড়তে পাঠালে সে লম্পট হওয়ার সম্ভাবনা ৭৫.৫%

ঠিক এই কথাগুলিই ১৯৯৮ সালের প্রথম ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের সময়ে আমরা ধর্ষণকারীদের সমর্থক শিবিরকে বলতে শুনেছি। তারা এই কথাগুলি বলার সময় সমাজে প্রচলিত পুরুষতান্ত্রিক বিকৃত মনোভাবাপন্নদের পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করেছেন।

আমার মনে হয় এই জাতীয় মন্তব্য করার বিষয়ে আপনার সতর্ক থাকা প্রয়োজন।



অজ্ঞাতবাস

সবজান্তা এর ছবি

মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারলাম না। এ ধরণের ঢালাও মন্তব্য অনুচিত, অসত্য এবং বোধ করি অনেককেই আহত করবে।


অলমিতি বিস্তারেণ

জুলিয়ান সিদ্দিকী (অনলাইন মন্তব্যের কোটা শেষ) এর ছবি

সবজান্তা বলেছেন:

মন্তব্যের সাথে একমত হতে পারলামনা।
এ ধরণের ঢালাও মন্তব্য অনুচিত, অসত্য
এবং বোধ করি অনেককেই আহত করবে।

যদি আমার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আপনার এমন মন্তব্য হয়ে থাকে। তাহলে দয়া করে একটু গুছিয়ে বলবেন কি?

সবজান্তা এর ছবি

আমার যা বলার ছিলো নিচের মন্তব্যে অরূপ ভাই তা বলে দিয়েছেন। আপনার স্ট্যাটিসটিকস নিয়ে দ্বিমত থাকলেও, সেটাকে বাদ দিয়ে মূল আপত্তি হচ্ছে এই প্রকাশভঙ্গি জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক-বর্তমান ছাত্রদের আহত করবে।


অলমিতি বিস্তারেণ

জুলিয়ান সিদ্দিকী (অনলাইন মন্তব্যের কোটা শেষ) এর ছবি

তথাস্তু চলুক

কেমিকেল আলী এর ছবি

জুলিয়ান সিদ্দিকীর মন্তব্যে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি।

তানবীরা এর ছবি

মেয়েদেরকে পড়তে পাঠানোর নিরাপদ প্রতিষ্ঠান কোনটা বাংলাদেশে কেউ কি বলতে পারেন? স্কুল থেকেইতো আরম্ভ হয়, হুজুর মাস্টার কে বাদ যান?

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

আলমগীর এর ছবি

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় এখন পশুদের বিচরণ ক্ষেত্র হওয়ার জন্য উপযুক্ত।

এখান থেকেই আপনার বক্তব্যটা পরিষ্কার। একমততো নইই, ভালও লাগল না।

শিক্ষানবিস এর ছবি

সম্পূর্ণ একাত্মতা প্রকাশ করছি।

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটা ক্লিশে মন্তব্য করতে বাধ্য হচ্ছি। যতদিন পর্যন্ত না রাষ্ট্রের মূল চরিত্রটি পরিবর্তিত হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এমন সব ঘটনা চলতেই থাকবে।

ছাত্র-ছাত্রীদের বয়স অল্প বা আপোষের মানসিকতা কম বলে এসব নিয়ে কিছু আন্দোলন হয়। নতুবা প্রতি নিয়ত দশটা জাহাঙ্গীরনগরের ঘটনা ঘটছে গার্মেন্টস কারখানাগুলোতে, ছোট-খাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে, সরকারী-বেসরকারী অফিসগুলোতে। ছাত্রীদের মত অল্প বয়সী, দুর্বলরাই নয়, অধিক বয়সী, উচ্চ পদস্থ নারীরাও প্রতি নিয়ত নানা ধরনের যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।

নিবর্তনমূলক রাষ্ট্র পুরুষতান্ত্রিক চৈতন্য ধারন করবে সেটাই স্বাভাবিক। এধরনের সমস্যার মূলোৎপাটন করতে হলে তাই নিবর্তনমূলক রাষ্ট্রেরই মূলোৎপাটন করতে হবে।

ছোট-খাট মুভমেন্টগুলো আপাত কিছু লাভ দিতে পারে হয়তো তবে তার স্থায়ীত্ব খুবই কম। সেগুলো নিয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভোগারও কোন মানে হয় না। ভবিষ্যতে টাইম পিরিয়ডটি দশ বৎসর থেকে কমে দশ মাস বা দশ সপ্তাহ হয়ে যেতে পারে।

সচেতন মানুষদের তাই এখনই ঠিক করা উচিত তারা কোন কৌশল অবলম্বন করবেন যাতে রাষ্ট্রের চরিত্রটিকে গণমূখী করা যায়।

যারা আন্দোলন করছেন বা আন্দোলন সমর্থন করছেন তাদের সদিচ্ছাকে কোন ভাবে খাটো করার কোন অভিপ্রায় আমার নেই। তবে প্রিয় মানুষগুলোর নিঃস্বার্থ পরিশ্রম আশু হতাশার পথে যাচ্ছে দেখতে ভালো লাগে না।

===============================
তোমার সঞ্চয় দিনান্তে নিশান্তে পথে ফেলে যেতে হয়


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আপনার কমেন্টে মোটামুটি একমত। তবে এটাও সত্যি যে এই আন্দোলনগুলিই বিভিন্নমাত্রায় রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অ্যান্টি থিসিস হিসেবে দেখা দিচ্ছে। এগুলিকে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত করতে না পারার যে ব্যর্থতা তার কারণ অনেক গভীরে। সেই দুষ্টচক্র থেকে বের হবার পথ খুঁজে বার করতে হবে। এই জন্য যা প্রয়োজন তার ভাবনা নিবর্তনবিরোধী সবাইকেই ভাবতে হবে।



অজ্ঞাতবাস

সবজান্তা এর ছবি

আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

আজ দুপুরে ভুলে গিয়েছিলাম টি এস সি র কথা, নাহলে সেখানে যাওয়ারও প্ল্যান ছিলো।


অলমিতি বিস্তারেণ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নাহ... ভাবতেছি আবার মানুষের কাতারে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

আর কতদিন আমাদের এভাবে কষ্ট সয়ে যেতে হবে ?
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

রানা মেহের এর ছবি

আন্দোলনের সাথে একাত্মতা।

জুলিয়ান সিদ্দিকী যা বলেছেন, বিশ্বাস করি,
বলেছেন তার ক্ষোভ থেকে, অসহায়তা থেকে।

কিন্তু এরকম সময়ে এরকম মন্তব্য বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।
অভিভাবকদের নিরুতসাহিত করতে পারে
সন্তানকে জাহাঙ্গীরনগরে পাঠাতে।
সবচেয়ে ভয়ের কথা সেখানকার নারী শিক্ষার্থীরা
হতে পারেন বিব্রত অথবা বিব্রত অবস্থার মুখোমুখি।

তাই জুলিয়ান সিদ্দিকীর কাছে ক্ষমা চেয়ে
মডারেটরদের অনুরোধ করছি
মন্তব্যটি মুছে দেয়ার
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

একাত্মতা।‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

মূলত পাঠক এর ছবি

আচ্ছা আমি একটা নেহাৎ সাদামাটা মন্তব্য পাঠালাম অনেকক্ষণ আগে, সেইটে কি যথেষ্ট বিতর্কিত নয় বলে বাদ গেলো?
হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

পোস্টের সাথে একাত্মতা ।

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পরশপাথর এর ছবি

সুমন চৌধুরী র লেখার সাথে একম্ত, আপনি রাষ্ট্রের জৈবিক অবস্থান কে দায়ী করেছেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি জাতিগত চরিত্র গঠনে আমাদের ব্যরতা কে কি স্পষ্ট করেনা? যেখানে রাষ্ট্রের লাগাম টি এখন বাছাইকৃত "ভাল মানুষ" দের হাতে!

দ্রোহী এর ছবি

০১. মেয়েটিকে পড়তে পাঠালে সে ধর্ষিতা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৮.৫%
০২. ছেলেটিকে পড়তে পাঠালে সে লম্পট হওয়ার সম্ভাবনা ৭৫.৫%

প্রিয় জুলিয়ান সিদ্দিকী যে পরিসংখ্যান দিলেন তা কি নিতান্তই মনগড়া? নাকি কোথাও কোন কতৃপক্ষ জরিপ করে বের করেছে। যদি মনগড়াই হয়ে থাকে তাহলে এ ধরনের পরিসংখ্যান না দেবার জন্যই অনুরোধ জানাই। একটি সংখ্যা দেখতে যতই সামান্য হোক না কেন তার ফলাফল সবসময়ই অসামান্য হয়।

পোস্টের বক্তব্যের সাথে সহমত।

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!


কী ব্লগার? ডরাইলা?

বিপ্লব রহমান এর ছবি

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...


একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...

মাহবুব লীলেন এর ছবি

একমত পোস্টের সাথে

কেমিকেল আলী এর ছবি

যৌননিপীড়ক শিক্ষকের বিচার চাই

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রতিটি ক্যাম্পাস হোক নিরাপদ , শুধু জাহাঙ্গীরনগর নয় ।
এই জন্যই নিপীড়ন বিরোধী নীতিমালা তৈরী ও তার ব্যবহার নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আওয়াজ তুলতে হবে ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

জনতার জয় হোক!

মুজিব মেহদী এর ছবি

দু'দিন আগে-পরে নিপীড়নবিরোধী চলমান এ আন্দোলনে জয় হবে আন্দোলনকারীদেরই।
................................................................
তোমার হাতে রয়েছি যেটুকু আমি, আমার পকেটে আমি আছি যতটা, একদিন মনে হবে এটুকুই আমি, বাকি কিছু আমি নই আমার করুণ ছায়া

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

সবুজ বাঘ এর ছবি

আমি বুজলাম না জুলিয়ান সিদ্দিকী এইডা কী কইল? তাউ আবার সচলায়নের প্যাটের মইদ্যে বইয়া! আমার কিন্তু ভালো লাগতাছে না।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্রচেত্য : বাবা-মায়ের পরই শিক্ষকের অবস্থান, এভাবে শিক্ষকরা তাদের নিজস্ব অবস্থান ভুলুন্ঠিত করেছেন দেখে বিষ্ময়বোধ প্রকাশটাই প্রশ্নবিদ্ধ ?

আমাদের প্রশাসন তথা তৃণমূল থেকে সার্বিক স্তরে কতটা অসহায় আর দুর্বল তা আর বারবার প্রমানিত হবার দরকার নেই, অনেক হয়েছে এবারও তাই হল।

পলাশ দত্ত এর ছবি

সানি কি এভাবেই পার পেয়ে যাবেন শেষ পর্যন্ত?

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

রিনি এর ছবি

বেশ কদিন আগে একজন so called eligible bachelor er কাছ থেকে শুনেিছলাম সে জাহাঙ্গীরনগরের কোন মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না, কারন সে মেয়েটি ভাল মেয়ে হবে না.......may be she is already raped
জুলিয়ান সিদ্দিকীর comment শুনে সেটা মনে হলো...কি strange আমাদের মানসিকতা

মুনীর শামীম এর ছবি

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!
১০০% সহমত
.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম

.................................
মুনীর উদ্দীন শামীম

নজমুল আলবাব এর ছবি

জাহাঙ্গীরনগরের যৌননিপীড়ক শিক্ষকসহ তার রক্ষক প্রশাসন নিপাত যাক!

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

অতিথি লেখক এর ছবি

আপনাদের মন্তব্য প্রতিমন্তব্য পড়লাম।প্রত্যেকের মন্তব্য থেকেই কিছুনা কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।আমি যখন

ঢাবি ও জাবি তে একই সাথে ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলাম তখন আমার বাবার চোখে আমি ভয় দেখেছি ,

কারণ আমি চাইলে বাবা আমাকে জাবিতে পড়তে না করবেন না কিন্তু তিনি সেঞ্চুরি মানিকের কথা

জানতেন।আমি বিশ্বদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে জাবি সম্পূর্ণ ঘুড়ে দেখতে গিয়েছিলাম।ওখানে আমার

রিকশা ওয়ালার কাছ থেকে এমন কিছু তথ্য পাই যেগুলো আমাকে ওখানে ভর্তি না হওয়ার ব্যপারে সিদ্ধান্ত

নিতে বাধ্য করে।আমার বন্ধু দের কাছ থেকেও প্রতি নিয়ত এমন কিছু তথ্য এখনো পাচ্ছি যা আমাদের

সামনে আসেইনা।আমার ব্যপারটা এমন নয় যে ঢাবিতে ভর্তি হোয়ার সুযোগ পেয়েছি বলে জাবিতে ভর্তি হব

না। আমি যে বিষয়ে ঢাবিতে পড়ছি জাবিতে সেই বিষয়ে আরো ভালো পড়াশোনা হয় ও তাড়াতাড়ি অনার্স

শেষ করা যায়।কিন্তু আমি যখন রিকশায় করে ঘুড়ছিলাম তখন মনে হয়েছে এখানে কেউ যদি চায় আমাকে

ধর্ষন করবে,তার ইচ্ছা পূরণ অসম্ভব কিছু নয় আর আমি এখানে নিজেকে রক্ষা ও করতে পারবনা।ওখানের

পরিবেশটাই কেন যেনো কামাসক্তদের অনূকূল মনে হয়েছে।জাবিতে ডিনের বাসভবন দেখে মনে হয়েছে

কত ন্যয় বিচারের আশায় কত ঘেরাও হয়েছে এখানে কিন্তু ন্যয় বিচার কে পেয়েছে?অবশেষে জাবি থেকে

বের হয়ে আসার সময় জবির গেট এর পাশে মুদির দোকানে থাকা জন্ম নিয়ন্ত্রনের সামগ্রী দেখে মনে হচ্ছিল

এগুলো যেনো আমাকে উপহাস করছে।এখানে ভর্তি হওয়ার সময় অন্যান্য চিন্তার সাথে বিশেষ করে

মেয়েদের নিজের সম্ভ্রম রক্ষার কথা একবার হলেও ভাবনার মধ্যে চলে আসে।আমার শুধু প্রশ্ন এ কেমন

বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে মেয়েদের পড়াশোনা করে নিজেকে গড়ার আগে নিজের সম্ভ্রম রক্ষার ভয় চলে

আসে??জাবিতে পড়তে না পারার শূন্যতা আমার ভেতর আজীবন থাকবে কিন্তু আমার বাবা কন্যা লাঞ্ছিত

হওয়ার ভয় থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়েছেন এটাই যা সান্তনা.......................

(জয়িতা)

হিমু এর ছবি

আপনার অনুসন্ধিৎসা আসলেই প্রশংসার দাবিদার। রিকশাওয়ালার কাউন্সেলিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেছে নেয়া (বা না নেয়া) আসলেই একটি অভিনব কৌশল। সেই রিকশাওয়ালার কাছে আমাদেরও কৃতজ্ঞতার শেষ নেই, যে আপনাকে এমন কিছু অসামান্য তথ্য দিয়ে একগাদা "কামাসক্ত"দের হাত থেকে রক্ষা করেছে। আপনার অনুসন্ধিৎসু চোখেরও জয় হোক। যেভাবে আপনি মুদি দোকানে জন্মনিয়ন্ত্রণের সামগ্রী শনাক্ত করতে পেরেছেন, তা-ও প্রশংসার দাবিদার।

আপসোস, আপনার মতো সৌভাগ্য হয়নি গত চারদশকে জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা হাজার হাজার ছাত্রীদের। তাঁদের কথা ভেবে আমার রীতিমতো চিন্তা হচ্ছে এখন। তাঁদের আমলে কি ঐ রিকশাচালক ডিউটিতে ছিলেন না?


হাঁটুপানির জলদস্যু

সবজান্তা এর ছবি

পরিবেশটাই কেন যেনো কামাসক্তদের অনূকূল মনে হয়েছে।

আপনার দৃষ্টিশক্তি, বিচারবোধ আর রুচিবোধের তারিফ না করে পারছি না দেঁতো হাসি


অলমিতি বিস্তারেণ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব চিটাগাং খুব সুন্দর ক্যাম্পাস করেছে কুমিরা'র ওদিকে, মেয়েদের জন্য আলাদা হোস্টেল, জল ফোয়ারা। শ্রুতি আছে - সৌদি ফান্ডিং ব্যাপক। কিন্তু ছাত্রী নাই। কথিত নিরাপত্তার অভাব। দিনে দিনে বাসে করে এনে আবার শহরে দিয়ে আসার ব্যবস্থা হবে শুনেছি। হয়তো চলছেও সেভাবে। হয়তো সৌদি মোতাওয়ালিরা এঁসে পাহারাদার জিম্মাদার নিয়োগ করলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হবে, এখন নিরাপদ।

জা বি নিয়ে জয়িতা যা বললেন, তা ভীষণ একপেশে। মনে হতে পারে, সেটা বাংলাদেশের বিক্ষিপ্ত এক দ্বীপ, আতংকাঞ্চল। এবং জয়িতার কথাগুলো অগ্রহণযোগ্যও বটে।

নানান সমস্যার মধ্যেই বাংলাদেশে আমাদের জীবন, দরজা খোলা রাখলে চোর ঢুকতে পারে, রাস্তায় ছিনতাই হতে পারে, নিয়ত বাস এক্সিডেন্ট হচ্ছে, এখন এইসব ভয়ে রাস্তায় বের না হয়ে 'ভয় থেকে মুক্তির' জন্য পলায়নপর পন্থা নিয়ে বদ্ধ ঘরে 'সান্ত্বনা' খুঁজলে - ঈশ্বর উড়ে এসে আর রক্ষা করবেন না।

ইতিহাস বলে, মানুষকেই এগিয়ে আসতে হয়; সেটা জয়িতা না বুঝলে বোঝানোর উপায় নেই।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ক্লিনটন আর এরশাদ তো চিল্লাপাল্লা লাগায়া দিব এই টিচারের বিচার না করলে... এইটা কি কর্তৃপক্ষ ভাইবা দেখেন নাই? ভাইবা না দেখলে এখনো সময় আছে... পরে কিন্তু আবার কইয়েন না আমরা সময়মতো মনে করায়া দেই নাই... হো হো হো
--------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

সবুজ বাঘ এর ছবি

জয়িতা@ নিশ্চয়ই রিকশালার নাম আলী?
যার ট্যাকায় কিনা কোক কুনো এক অজানা ম্যাডামের প্যাট কাটলে এহনো পাউয়া যাইব। তাইলে কি জয়িতার প্যাটেউ আলীর কোক পাউয়া যাইবে?

সুমন চৌধুরী এর ছবি
nodi এর ছবি

প্রচলিত সমাধান : ঐ মাষ্টারের ছুটি এক বছরের ( পারলে পদোন্নতিসহ )। কারন আমাদের মেমোরি বড়ই শর্ট ।মুক্তিযুদ্ধই মনে থাকেনা । সেখানে এইসব ...

ইতিহাস : তারপরও সংশপ্তকের জন্ম হবে । সিংহরুপী তেলাপোকা লুকাবে বাথরুমের কমোডে ।

পুতুল এর ছবি

যৌন নিপিড়ন পৃথিবীর কোথায় নেই! কিন্তু যেখানেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে সাধারণত তার বিচার হয়। আমাদের দেশে হয় না। তার কারণ অনেক। সেগুলো আলোচনার করে লাভ নেই এখানে। আমরা কম বেশী সবাই তা জানি।
সব চেয়ে বড় সমস্যঅ হল, সামাজিক। কোন মেয়ে এধরনের নিপিড়নের শীকার হয়ে বিচার চাইলে লোকে উল্টো মেয়েটাকে দোষ দিয়ে বলে: তুমি ওখানে গেলে কেন?
তার পর সমাজে মেয়েটির মুখ দেখানোই কঠিন। যেন মেয়েটিই অপরাধী। এ সব কারণে অনেক আত্ম ঘাতী ঘটানাও ঘটে (মেয়েদের পক্ষ থেকে)।
চাত্রলীগ, ছাত্রদল, এরশাদের সর্মথিত ছাত্র সংগঠন গুলো শুরু থেকে পেটোয়া বাহীনি টাইপের। জোর করেই সেখানে নেতা হতে হয়। উপর মহল থেকে এই জোরকেই উৎসাহিত করা হয়। নেতারা হয়ে উঠে সন্ত্রাসী। তো তাদের পক্ষে ঐ সুন্দরী মেয়েটাকে যেভাবেই হোক পেতে হবে। সে ক্ষেত্র জোরটাই খুব কাজে লাগে।
প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়েও শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পাওয়া যায় না। ঐ লম্পট ছাত্র সংগঠন গুলোর নেতাদের কদমবুচী করে এত ভাল শিক্ষকরা নিয়োগ লাভ করে (অবশ্যই কথাটা সবার বেলায় প্রযোজ্য নয়)। ক্ষমতার যথেচ্ছা ব্যাবহারের ফলে শিক্ষকরা ক্ষমতাশীন দলের অনুগ্রহের আশায় তাকে। কারণ প্রতিভা বা মেধার চেয়ে পদ লেহনে কাজ বেশী হয়।
কাজেই ন্যাযনীতির চেয়ে (আমার মনে হয় না যে জাবির শিক্ষকরা আমার কাছ থেকে শিখতে হবে ন্যায় কোন পদক্ষেপটা জাবির আজকের প্রেক্ষিতে), নিজের পেটনীতিই তাদের কাছে বড়।
জাবির প্রাকৃতিক পরিবেশ এত সুন্দতর! অথচ দু একটা লম্পটের লাম্পট্যে পুরো পরিবেশটা নিয়ে এখন কথা উঠছে।
আশার কথা হলো জাবির ছাত্রীরা এখন রুখে দাড়িয়েছে। তাদের সাথে যুক্ত হয়েছে অনেক ছাত্রদের প্রতিবাদী কন্ঠ। একটা গনতান্ত্রিক আন্দোলন খুব সহজ নয়। কিন্তু অন্য যে কোন পদক্ষেপ খুবই হঠকারী হতো। ছাত্রী এবং ছাত্রদের এই সুচিন্তিত পদক্ষেপ সাধুবাদ পাবার দাবী রাখে। এবং এর একটা সুদূরপ্রশারী ভূমিকা আমাদের সমাজে অবশ্যই পড়বে।
মন্দিরে কুকুর মলত্যাগ করলে তা অর্ঘ্যদানের অযোগ্য হয়ে যায় না। যারা জাবির আজকের পরিবেশ দেখে নাক শিটকাচ্ছেন তারা কখনো সমাজের অনিয়ম দূর করার কাজে এগিয়ে যায়না। যারা শাড়ীর আঁচল কোমরে পেচিয়ে ঝাড়ু হাতে জাবির আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন করতে মাঠে নেমেছে, কোন পরিবর্তণ কেবল তাদের দারাই সম্ভব।
আমার মত হরিদাস পালের কিছুই করার নেই, তবে একটু গর্ব করতে পারি এই ভেবে যে; আমার বোনেরা রুখে দারাতে শিখেছে।
জয় কবে হবে তা আমরা কেউ জানিনা, কিন্তু এই রুখে দারানোটার একটা বিরাট মর্যাদা আছে। একদিনে সমাজ বদল হয়নি কোথাও, হয়তো জাবিতেও হবে না। কিন্তু তার প্রকৃয়াটা শুরু হয়ে গেছে। সেটা বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষিতে অবশ্যই একটা যুগান্তকারী ঘটনা।
জাগো নারী জাগো....

**********************
কাঁশ বনের বাঘ

**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!

জোবায়ের বিন ইসলাম [অতিথি] এর ছবি

যৌন নিপীড়ন ছাড়াও শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো অনেক নিপীড়ন আছে. সেগুলা নিয়ে কেউ কথা বলেনা কেন?

আমি মনে করি টিচার রা একচেটিয়া. তারা যা ইচ্ছা করতে পারে, complain করে student কে Discipline committee তে পাঠাতে পারে এবং পাঠালে সেই student dismiss হয়ে যাবে এটা প্রায় নিশ্চিত.

কিন্তু একজন টিচার ক্লাস্ এ সময়মত আসল কিনা এবং এসে কি পড়াল না পড়াল সেটা তদারকি করার জন্য কোন committe নাই কেন?

একবার কোন টিচার এর সাথে কোন student এর ঝামেলা হলে সেই student কে বেয়াদব বলা হয় এবং তার পিছনে সব টিচার লেগে যায় যেন সে পাশ্ করতে না পারে. (Architecture department এর কথা বলছি. অন্য department এর কথা জানিনা.)কিন্তু কি কারনে সে তথাকথিত বেয়াদবি করতে বাধ্য হল তা কি জানার চেস্টা করা হয়?

There should be a "Teacher's activity obserbation committe" in every University and if possible then also in the school.

অতিথি লেখক এর ছবি

এই সব থেকে সবার সাবধান হওয়া উচিত।

আলমগীর এর ছবি

এ সমস্যা কেবল জাবির না।
চট্টগ্রাম, রাজশাহীর অবস্থা অনেকটা একরকম।
নতুন আইন প্রয়োজন, তার প্রয়োগ প্রয়োজন।

কেউ না ঠেকলে শেখে না, মনজারাউলের একটা এন্টিগল্প ছিল ট্রাফিক পুলিশকে নিয়ে, অনেকটা সেরকম। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কারো কোন ক্ষতি না হলে তাদের চোখে খুব সহজে কিছু পড়ে না।

পোস্টের সাথে, আন্দোলনের সাথে একাত্বতা।।

কুহেলি এর ছবি

নিচের মন্তব্য গুলো অপরিণত, অসত্য, অগ্রহণযোগ্য এবং আপত্তিকর।

"জাহাঙ্গীরনগরের একটা মেরুদন্ড সোজা মাস্টারের নাম বলেন। একটাও নাই।"

"০১. মেয়েটিকে পড়তে পাঠালে সে ধর্ষিতা হওয়ার সম্ভাবনা ৯৮.৫%
০২. ছেলেটিকে পড়তে পাঠালে সে লম্পট হওয়ার সম্ভাবনা ৭৫.৫%"

"একজন so called eligible bachelor er কাছ থেকে শুনেিছলাম
সে জাহাঙ্গীরনগরের কোন মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না, কারন সে মেয়েটি ভাল মেয়ে হবে না
.......may be she is already raped"

"ওখানে আমার রিকশা ওয়ালার কাছ থেকে এমন কিছু তথ্য পাই যেগুলো আমাকে ওখানে ভর্তি না হওয়ার ব্যপারে
সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।"

"ওখানের পরিবেশটাই কেন যেনো কামাসক্তদের অনূকূল মনে হয়েছে।"


জাবি এত সুন্দর যে, যারা এখানে জীবনের কিছুটা অংশ কাটিয়েছেন তাদের কিছুতেই ভোলা সম্ভব নয়। তবে জাবি-র শিক্ষার্থীরা এর পুরো সদ্ব্যবহার করতে পারে না। কারণ, জাবি তে যেটা অদৃশ্য, সেটা হল পড়াশোনার পরিবেশ। এখানে যে কোনো ইস্যুরই পরিণতি একটাই - ক্লাস বন্ধ আর পরীক্ষা পেছনো অথবা ঢাকা আরিচা রোড অবরোধ। অন্যায় অবিচার কোথায় নেই? কিন্তু তার জন্য প্রতিবাদ করা যেতেই পারে। সেটা কোনোভাবেই পরীক্ষা পিছিয়ে নয়। পরীক্ষা পিছিয়ে ক্ষতিটা কার? দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনের না বিবেকবান ছাত্রদের? আমার জানা মতে, জাবির শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা পেছনোর জন্য মেডিক্যাল সেন্টারে গিয়ে ডাক্তারদের ওপর জুলুম করে পছন্দমত পেস্ক্রিপশন লিখিয়ে নিতে আর পরে তা পরীক্ষা পেছনোর অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে।

জাবি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। সেখানেও অনেক সুস্থ-মানসিকতার শিক্ষক-অধ্যাপক আছেন যারা পূর্ণোদ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার ধারা জারি রাখতে উদ্যোগী। এমনকি, সরকার-নিযুক্ত জামাতী ভিসির আমলেও এখানে শিবির অবাঞ্ছিতই ছিল। তাই, সব শিক্ষকদের একইভাবে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হল না।

আমার একটা প্রশ্ন হল - সুস্থ-অসুস্থ, ঠিক-বেঠিক প্রসঙ্গে রাজনীতি কি ভাবে এতটা জড়িয়ে থাকে?

গোপাল ভাঁড় এর ছবি

একমত

--------------------------------------------
<ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত, ঘ্যাচাত> - আমার সিগনেচার

--------------------------------------------
বানান ভুল হইতেই পারে........

সৌরভ এর ছবি

কর্তৃপক্ষ কেন সবসময় সন্ত্রাসী, ধর্ষকদের রক্ষার চেষ্টা করে?


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

রিনি এর ছবি

to কুহেলি
আমার মন্তব্য টি quoteকেন করা হল জানি না.... আমি sarcastically বলেছিলাম। সত্য,অসত্য বেপার না, আমাকে এটা শুনতে হয়েছিল bcoz i'm from JU. How painful and insulting it was hope you can understand. এটা একজনের মন্তব্য, কোন general statement না।
to জয়িতা
আপনার মন্তব্য শুনে বুঝতে পারিছলাম না আপনি কিসের গালপো বললেন.... আমার life এর সবচেয়ে beautiful ৫ বছর JU তে কাটিয়ে এসছি। কি একপেশে মন্তব্য!! আমি ভেবে পাই না, না জেনে বুঝে কেও কি করে এরোম মন্তব্য করতে পারে!!!how pathetic!!

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

এই লেখার আরও দশ বছর পরে, আজ একটা দাবি জানিয়ে যাচ্ছি ১৯৯৮-১৯৯৯ সময়কালে জাবি'তে (আজকাল দেখি জানবিবি-ও বলে) অধ্যয়নরত ও যৌননিপীড়নবিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্তদের কাছে। ঐ সময়ে দেশের বুদ্ধিজীবিদের একাংশ সেঞ্চুরিয়ানদের পক্ষে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। তারা পেপার-পত্রিকায় লেখা-বিবৃতি দিয়ে তো বটেই খোদ জাবি'তে গিয়েও আন্দোলনকারীদের নিরত করতে নানা কায়দায় ওয়াজ নসিহত করে এসেছিলেন। 'মানী লোকের মান যাবে' অথবা 'এতদিন পর এইসব বিষয় টেনে আনার কী দরকার' বলে মুখ ফিরিয়ে না রেখে দয়া করে ঐসব বুদ্ধিজীবির নামের তালিকা প্রকাশ করুন। তাদের কুকীর্তির প্রমাণসহ। আরও দশ বা বিশ বছর পরে হলেও ধর্ষকদের সমর্থক-অ্যাপোলজিস্ট এইসব নরকের কীটদের তাদের উপযুক্ত পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।