স্মরণীয় চলচ্চিত্র-- ডোরাকাটা পোশাকের বালক

তারেক অণু এর ছবি
লিখেছেন তারেক অণু (তারিখ: বুধ, ১১/০৭/২০১২ - ১১:০৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

movieposter

(সতর্কীকরণ—এখানে প্রিয় কিছু চলচ্চিত্রের গল্প বলার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়েছি মাত্র, এটা কোন মুভি রিভিউ নয়, কারণ এমন চলচ্চিত্র নিয়ে রিভিউ লেখার জ্ঞান বা প্রজ্ঞা কোনটাই আমার নেই, এটি স্রেফ ধারা বিবরণী। কাজেই যাদের চলচ্চিত্রটি এখনো দেখা হয় নি, তারা আগে দেখে ফেললেই ভাল হয়, নতুবা সব ঘটনা জানলে হয়ত আগ্রহ কিছুটা কমে যাবে। এমন লেখার ব্যাপারে সকল ধরনের পরামর্শ স্বাগতম। )

নাৎসি অধিকৃত জার্মানির কাহিনী, এক উচ্চপদস্থ সেন কর্মকর্তা বদলী হয়ে আসল শহর থেকে অনেক অনেক দূরে নিরিবিলি এক গ্রামে, মূল দায়িত্ব সেখানকার কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প অর্থাৎ ইহুদী নিধন শিবিরের তত্ত্বাবধান করা। সাথে তার স্ত্রী, ১২ বছরের কিশোরী মেয়ে গ্রেটেল আর ৮ বছরের ছোট্ট ছেলে ব্রুনো।

বন্ধুদের ছেড়ে এই অজ জায়গায় এসে কিছুতেই মন বসাতে পারছিল না ছোটরা, ব্রুনো তো প্রায়ই একা একা আপন মনে খেলতে খেলতে হারিয়ে যায় সুমসাম প্রকৃতির মাঝে, সমবয়সী সাথীর খোঁজে তৃষিত হয়ে ওঠে তার মন।

জানালা দিয়ে আবছা দেখা যায় বন্দী শিবিরের কাঁটাতারের বেড়া। কৌতূহলী শিশুমনে প্রশ্ন জাগে কি আছে সেই বেড়ার ওপারে। বাবা উত্তর দেয়- পশুপালনের এলাকা সেটা, পশুদের আটকে রাখার জন্যই এই বেড়া! এমন ভাবে নাৎসি ভাবে পরিবারের সকলের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখেনসেই দমন পীড়নের কাহিনী আর শিশুদের পড়ানোর দায়িত্বে নিয়োগ করে সে উগ্র জাতীয়তাবাদী এক বুড়ো শিক্ষককে যার একমাত্র কাজ ছিল শিশুমনে নাৎসি বর্ণবাদের মূল রোপণ করা। তার শিক্ষকতায় গ্রেটেলও হয়ে ওঠে এই মতবাদের অন্ধ সমর্থক আর চরম ইহুদী, বিদেশি, জিপসি, তথা অনার্য বিরোধী।

কিন্তু এতে ঠিক মন মানাতে পারে না ব্রুনো, তার কচি মনে প্রশ্ন আসে মানুষে মানুষে এত ভেদাভেদ হয় নাকি! এমন ভাবেই পরিবারের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও একদিন খেলতে খেলতে বনের বেশী গভীরে চলে যায় সে, পরিচয় হয় তারই সমবয়সী এক শিশু স্মুলের সাথে, কিন্তু সে ছিল বেড়ার অন্য পাশে আর গায়ে ছিল সাদা-কালো ডোরাকাটা পোশাক। জমে ওঠে তাদের বন্ধুত্ব, কিন্তু স্মুলে মুখে সবসময়ই দেখা যায় বিষাদের গাঢ় ছায়া, বন্দী শিবিরে ঘণ্টা বেজে উঠলেই ভীরু খরগোশের মত দৌড়ায় সে শাস্তির ভয়ে, ৮ বছরের শিশু হলেও পাথর পরিবহনের কঠোর কাজটি করতে হয় তাকে।

দুই শিশুর আলাপনে ফুটে ওঠে বড়দের অদ্ভুত পৃথিবীর প্রতি তাদের বিস্ময় ও তাচ্ছিল্য। ব্রুনো বলে তাদের রান্নাঘরের যে লোকটি আলুর ছিলকে ছোলার কাজ করে, সেই পাভেল এক সময়ে ছিল ডাক্তার, আজব মানুষ, কেউ কি আলু ছোলার জন্য ডাক্তারি ছেড়ে দেয় (ব্রুনোর জানা নেয় পাভেল এক ইহুদী যুদ্ধ বন্দী), স্মুলও জানায় তার ক্যাম্পের বড়দের অদ্ভুত কদর্য আচরণের কথা। এইসব হৃদয় ছোঁয়া যুদ্ধ বিরোধী সংলাপের মধ্য দিয়ে এগোতে থাকে তাদের বন্ধুত্ব, এর মাঝে ঘটতে থাকে নানা ঘটনা।

স্মুলের ডোরাকাটা পোশাকের উপর খুব লোভ ব্রুনোর, সে সবসময়ই চাই এমন একটা পোশাক পড়তে। একদিন স্মুলের বাবাসহ কয়েক জন নিখোঁজ হয়ে যায়, তার দুঃখ ভারাক্রান্ত মুখ দেখে ব্রুনো আশ্বাস দেয় তারা পরদিন দুই জন মিলে তন্ন তন্ন করে গোটা এলাকা খুজে বাহির করবে স্মুলের বাবাকে।

কথামত পরদিন কাঁটাতারের বেড়ার এক পাশ খুঁড়ে সেই নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করে ব্রুনো, দুই বন্ধু প্রথমেই পোশাকের ভাঁড়ারে যেয়ে সাদা-কালো ডোরার পোশাক পড়ে নেয়, শুরু হয় বাবার খোঁজে একের পর এক ঘর খোঁজা।

সেই সময়ই চলছিল ক্যাম্পের এক বিশেষ এলাকার সমস্ত বন্দী নিধন, বরাবরের মতই গ্যাস চেম্বারে জ্যান্ত মানুষ ঢুকিয়ে চলছিল এই পাশবিক অত্যাচার। আমাদের এই গল্পের সেই দুই দেব শিশু নানা ডামাডোলে পড়ে অংশ হতে গেল সেই ভিড়ের, অন্ধ কুটিরে তাদের ঢুকিয়ে নিয়ে চালু করা হল বিষাক্ত পদ্ধতি, নেমে এল অন্ধকার।

ব্রুনোর পরিবার যখন সন্দেহবশে সেখানে উপস্থিত তখন সব শেষ, তার বাবা বুঝতে পারে বিশ্বের সব মানুষেরই স্বজন হারানোর বেদনা সমান।

২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া ব্রিটিশ পরিচালক মার্ক হেরমানের এই অনন্য করুন অসাধারণ চলচ্চিত্রে দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেই কালো অধ্যায়ের সময়কার শিশু জগৎ আর বড়দের ক্ষমতা লোভী মানসিকতা। সিনেমার সেরা আকর্ষণ ব্রুনোর ভূমিকায় আসা বাটারফিল্ড এবং স্মুলের ভূমিকায় জ্যাক স্কাললনের অনবদ্য সরল অভিনয়।


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

এইটা একটা ভালো ছবি।

না দেখে থাকলে God on trial টাও দেখে নিয়েন।

তারেক অণু এর ছবি

ওকে

ZaHu  এর ছবি

I wish, some day, someone would make a similar film on Bangla genocide ( not for showing artistic genius but for showing the world, how these Paki's committed some of the worst war crimes). (**sorry - i can not type bangla).

তারেক অণু এর ছবি

আশা করছি---

দ্রোহী এর ছবি

কী কন? আমাদের যুদ্ধ ও ভালোবাসার ছবি মেহেরজানোয়ার দেখেন নাই? কতগুলা ডাউনলোডেবল পুরষ্কার পাইলো ছবিটা!

তারেক অণু এর ছবি

নাহ

কড়িকাঠুরে এর ছবি

সব মানুষেরই স্বজন হারানোর বেদনা সমান। চলুক

তারেক অণু এর ছবি
ক্রেসিডা এর ছবি

চলুক গুরু গুরু

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

তারেক অণু এর ছবি
সুহান রিজওয়ান এর ছবি

বহু বহু আগে এই সচলেই আমি আমিও একটা মুভি রিভিউ লিখেছিলাম এই মুভি নিয়ে, আপনার সাথে অনেকটাই মিলে গেলো হাসি

তারেক অণু এর ছবি

এখনই পড়ছি!

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

সৌরভ কবীর

তারেক অণু এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

সংগ্রহে আছে কিন্তু দেখা হয়ে ওঠেনি !! দেখতে হচ্ছে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

অবশ্যই ---

মেঘা এর ছবি

সতর্কীকরণ পড়ে ফিরে যাচ্ছি ইয়ে, মানে...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

সিনেমা দেখে ফেরত এসেন !

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

দুষ্টলোকেরা ইউটিউবে তুলে দিয়েছে

তারেক অণু এর ছবি

পুরোটাই! নিশ্চয়ই ইয়াহুদি- নাসারাদের চক্রান্ত।

মেঘা এর ছবি

আমার নেটের স্পিড দিয়ে দেখতে গেলে বাফারিং শেষ হবার আগে আমার মৃত্যু হবে নিশ্চিত ইয়ে, মানে...

--------------------------------------------------------
আমি আকাশ থেকে টুপটাপ ঝরে পরা
আলোর আধুলি কুড়াচ্ছি,
নুড়ি-পাথরের স্বপ্নে বিভোর নদীতে
পা-ডোবানো কিশোরের বিকেলকে সাক্ষী রেখে
একগুচ্ছ লাল কলাবতী ফুল নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছি

তারেক অণু এর ছবি

হুম্ম, তাহলে অন্য পন্থা!

অরফিয়াস এর ছবি

বাংলালায়ন এর শক্তিতে গর্জে উঠুন !! আমার আজকাল ভালোই গর্জাচ্ছে !! দেঁতো হাসি

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি
অরফিয়াস এর ছবি

আরে বাংলালায়ন এর নেট কানেকশন। ভালো স্পিড। বাফার সাথে সাথেই হয়।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

তাহলে এটাই ব্যবহার করতে হবে দেশে থাকার সময়---

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমি জিপির খ্যাতাপুড়ে শেষপর্যন্ত বাংলালায়নেই ঠাই নিয়েছি। খুলনা গেলেও চরম স্পীড পাই এমনকি সাতক্ষীরাতেও নেটওয়ার্ক পেয়েছি। তা'ও তো মাঝারী স্পীডের সাফারী প্যাকেজ নিয়েছি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

সিসটেম কি ? মানে যত ব্যবহার তত খরচ নাকি ২৪ ঘণ্টা একই বিল?

কড়িকাঠুরে এর ছবি

প্রিপেইড- পোস্টপেইড দুই ধরণেরই আছে । যে একটু হিসেব করে ব্যবহার করতে চায় সে সাধারণত প্রেপেইড নেয় । কার্ড রিচার্জ- আগে যেমন সেলফোন এ ছিল । আর পোস্টপেইড মিনিমাম ৪.৫জিবি থেকে আনলিমিটেড... ব্যবহার বেশি তো খরচও বেশি... হুম বাংলালায়ন আসলেই ভাল- বাংলাদেশে লায়ন না থাকলেও...

অরফিয়াস এর ছবি

পোস্টপেইডে একটু বেশি সুবিধা। আমি "সাফারি ১৪" এই প্যাকেজ ব্যবহার করি। ১৪ জি.বি ডাউনলোড লিমিট। দারুন স্পিড। আমি ধুমাইয়া ব্যবহার করার পরেও আমার লিমিট শেষ হয়না। এই প্যাকেজটা সাশ্রয়ীও আছে। মাত্র ১০০০ টাকা কার্ডে রিচার্জ করলেই হয় প্রতিমাসে। লাইন কাটেনা সময় শেষ হওয়ার ৭দিন পর্যন্ত। আর মডেম কেনার সময় এককালীন ১৫০০ টাকা লাগে। তবে আমি অফারে আরও কমে পেয়েছি। অফার কদিন পরে পরেই থাকে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

ওয়্যারেলেস কি? মাসে ১০০০ টাকা শুনে তো ভালই মনে হচ্ছে।

অরফিয়াস এর ছবি

হ্যাঁ, ইউএসবি মডেম। ছোট আরামসে বহন করা যায় পকেটে।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

বস, ১৩৮০ টাকা দিয়ে কিং নেন। ৩৮০ টাকা বেশী আপনার প্যাকেজ থেকে। আনলিমিটেড ডাউনলোড। FUP বলে, কিন্তু সেরকম কিছু নাই। আমি তো ল্যাপটপ বন্ধই করি না, খালি মুভি ডাউনলোড দিয়ে রাখি। ৪০-৫০জি.বি নেমে যায় মাসে।

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

অরফিয়াস এর ছবি

ঢাকার নেটওয়ার্ক আসলেই ভালো। আবহাওয়া খারাপ থাকলেও কোনো সমস্যা হয়না।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

তারেক অণু এর ছবি

রাজশাহীর আর রাঙ্গামাটির!

অরফিয়াস এর ছবি

বাংলালায়ন ওয়াইমেক্স এর ওয়েবসাইট এ গেলে ওদের নেটওয়ার্ক ম্যাপ দেখা যায়। ওদের সিস্টেমটা বেশ ভালো দেখলাম, চেক করে নিও ম্যাপ থেকে সার্ভিস কিরকম।

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

ক্রেসিডা এর ছবি

ওই ম্যাপ দেখে লাভ নেই ভাই। আবুল হোটেল এর কাছে (মালিবাগ চৌধুরীপাড়া) তে বাংলালায়ন নেটওয়ার্ক কাজ করে না। মাঝে মাঝে ফ্রেন্ড এর বাসায় থাকি। তখন নিয়ে যাই মন খারাপ বারান্দায় বসে তখন কাজ করি তাও সামান্য নেটওয়ার্ক পাই মন খারাপ এন্ড স্লো..

__________________________
বুক পকেটে খুচরো পয়সার মতো কিছু গোলাপের পাঁপড়ি;

ইমা এর ছবি

লিঙ্কটার জন্য ধন্যবাদ মুর্শেদ ভাই।

তারেক অণু এর ছবি

দেখে জানান, পারলে লিখেও ফেলেন !

সজল এর ছবি

সিনেমাটা ভালো লেগেছিলো।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

তারেক অণু এর ছবি

খুব ছুয়ে যায়।

সচল জাহিদ এর ছবি

দেখিনি, এই সপ্তাহান্তে দেখব। ধন্যবাদ অণু।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তারেক অণু এর ছবি

দেখে জানিয়েন কেমন লাগল।

সচল জাহিদ এর ছবি

আজ রাতে দেখলাম, চোখ ভিজে আসছিল শেষে। বিশেষ করে ব্রুনো আর স্মুলের অভিনয় অসাধারণ হয়েছে, সেই সাথে পাভেলের বিষাদ মাখা কথাগুলো, কষ্টের হাসি, দারুন অভিনয়। দারুন একটা ছবি দেখলাম।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

তারেক অণু এর ছবি
প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

আসলেই বাংলাদেশে নেটের স্পিড স্লো। ইউ টিউবে ঠক মতো দেখা যাবেনা। তাই আপনার ধারা বিবরণীটাই পড়ে ফেললাম।

তারেক অণু এর ছবি

অন্যভাবে দেখে ফেলেন সম্ভব হলে।

সুমাদ্রী এর ছবি

নিজের খুব কাছের বা আপন কিছু না হারানোর আগ পর্যন্ত মানুষের এই বোধটুকু হয়ত আসেনা যে ঐ দূরে উদাস চলতে থাকা মানুষটিও আসলে সেই। প্রতিদিন, প্রতিরাত কেবল শুনছি আমি তোর চেয়ে ভাল, আমিই পাব অমরত্বের আরক, তোর জন্য আছে রক্ত-পুঁজ-কীট; আমার ডাকেই কাছে আসবে কোকিল, তুই ডাক দিলে আসবে হয়ত কর্কশ-কণ্ঠী কাক, ওফ! দেখতে হবে ছবিটা।

অন্ধকার এসে বিশ্বচরাচর ঢেকে দেওয়ার পরেই
আমি দেখতে পাই একটি দুটি তিনটি তারা জ্বলছে আকাশে।।

তারেক অণু এর ছবি
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

মুভিটা দেখেছিলাম রিলিজের সাথে সাথেই। অসাধারণ লেগেছিল। কিছু স্মৃতিও আছে এই মুভি দেখা নিয়ে। আসলে, সেসব স্মৃতি নিয়ে একটা লেখা দাঁড় করাচ্ছি কয়েকদিন ধরে। আর সে কারণেই লেখাটা দেখে আমার মাথায় হাত! ওঁয়া ওঁয়া যাক, ওটা আপাতত ড্র্যাফ্ট হয়েই পড়ে থাকুক। পরে কোন এক সময় পোস্ট করবো।

তারেক অণু এর ছবি

এখনই পোস্ট করেন না কেন!

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

এখন থাক, একই টপিকে দুটো পোস্ট ভালো দেখায় না। আগামী মাসে দেব।

তারেক অণু এর ছবি

আগামী বছর চলে আসল নিয়াজ ভাই! পোস্ট কোথায়?

অমি_বন্যা এর ছবি

ডাউনলোড দিলাম । সংগ্রহে নিয়ে নিচ্ছি তড়িৎ । আজই দেখে ফেলবো ।
লেখা হয়েছে বেশ অনু দা । চলুক

তারেক অণু এর ছবি

দেখে ফেলেন জলদি

জুন এর ছবি

দেখেছি। সিনেমার ভাল খারাপের কথা সত্যি তখন মনে হয়নি। মনটা এত খারাপ হয়ে গিয়েছিল। মন খারাপ আপনে আবারও মনে করায় দিলেন।

যদি ভাব কিনছ আমায় ভুল ভেবেছ...

তারেক অণু এর ছবি
মন মাঝি এর ছবি

চলুক

****************************************

তারেক অণু এর ছবি
অমি_বন্যা এর ছবি

ছবিটি শেষ করলাম। কোন চরিত্র নিয়ে কিছু বলার নেই শুধু একটাই প্রশ্ন কি অপরাধ ছিল ওই নিরপরাধ মানুষদের ! তারা জিউস এই কি তাদের মহা পাপ!
ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার নেই ওই বর্বর , পৃথিবীর কালো ইতিহাসের ওই খলনায়ক কে শুধু এই টুকুই বলতে চাই ' হে পৃথিবী তুমি কিভাবে এসব মুখ বুজে সহ্য করেছিলে
কিভাবে মেনে দেখেছিলে এই নারকীয়তা ।'

শুধু অশ্রু রেখে গেলাম অনু দা !

তারেক অণু এর ছবি

কোন অপরাধ ছিল না তাদের, ছিল কিছু দানবের হত্যাযজ্ঞ মন খারাপ

রিয়েল ডেমোন এর ছবি

চমৎকার বর্ননা।

তারেক অণু এর ছবি
মুস্তাফিজ এর ছবি

এই মাত্র কয়েকদিন আগেই মাতিস কে নিয়ে ছবিটা দেখেছিলাম। সেদিন রাতে মাতিস কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়েছিলো।

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি
বন্দনা এর ছবি

আজকে বাসায় ফিরেই দেখবো, ইউটিউবে খুঁজে পেলাম। আপনার রিভিউ করা মুভিগুলা সাধারনত বেশ ভাল হয়। তাই আপনি রিভিউ করলেই আমি খুঁজেপেতে দেখি ফেলি।

তারেক অণু এর ছবি

বিশাল উৎসাহ দিলেন, এবং মহাভুল করে ফেললেন! দিব এখন আরও বেশী করে মুভির গল্প।

সত্যপীর এর ছবি

ভালৈসে, নাৎসি ব্যাটার চোখ খুলসে। এন্ডিং এ শান্তি পাইলাম।

..................................................................
#Banshibir.

তারেক অণু এর ছবি

খুললেই হবে না, যদি কাজ হয় তাহলে হয়ত কিছু কাজ হত---

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

ছবিটা দেখে এত মন খারাপ হয়েছিল আমার, বোঝাতে পারব না। মন খারাপ

তারেক অণু এর ছবি

মর্মস্পর্শী

অতিথি লেখক এর ছবি

আসলেই সুন্দর বর্ণনা হয়েছে। ভাল লাগলো।

যাযাবর নাবিক

তারেক অণু এর ছবি
নিরবতা এর ছবি

চলুক

তারেক অণু এর ছবি
পদ্মজা এর ছবি

খুব ভালো লেগেছিল ছবিটা। চলুক

তারেক অণু এর ছবি

আসলেই--

শান্ত এর ছবি

দেখতেই হবে।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

তারেক অণু এর ছবি

দেখে ফেলেন।

রু এর ছবি

লোভ সামলাতে পারলাম না, পড়ে ফেললাম। যত জলদি পারি দেখে ফেলবো।

তারেক অণু এর ছবি

দেখে জানিয়েন---

রু এর ছবি

দেখলাম। শেষটা কী হবে জানতাম, তাই বাচ্চাগুলার প্রত্যেকটা দৃশ্যে মনে হচ্ছিল আর না দেখি, খুব বেশি খারাপ লাগছিল। এই সিনেমাটার কথা আগে জানতাম না। ধন্যবাদ আপনাকে।

তারেক অণু এর ছবি

শুভেচ্ছা---

ইমা এর ছবি

লিষ্টে রাখলাম। পারলে আজই দেখে ফেলব। হাসি

তারেক অণু এর ছবি
ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

একটু লাইনের বাইরে বলি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে (ফিলিপিনস্‌, ইন্দোনেশিয়াসহ) জাপানীদেরকৃত গণহত্যা আর অত্যাচারের উপর কোন মুভির নাম কি কেউ সাজেস্ট করবেন? চীনা আর কোরীয় কিছু মুভি ছাড়া জাপানীদের দ্বারা কোটি হিসেবে মানুষ খুন করার ওপর ইংরেজী, ফরাসী, হিস্পানী ইত্যাদি ভাষায় কী পরিমাণ মুভি তৈরী হয়েছে? এমন কোন বই বা মুভির নাম কি কেউ বলতে পারেন যেখানে ঐ সময়ে সম্রাট হিরোহিতোর প্রকৃত ভূমিকাটি দেখানো হয়েছে?


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

তারেক অণু এর ছবি

অপেক্ষা করছি তথ্যের, যে দুয়েকটি দেখছি সবই চীনে। কেউ জানলে অনুগ্রহ করে জানান--

তানিম এহসান এর ছবি

অপেক্ষায় থাকলাম। পান্ডবদা’কে ধন্যবাদ এই বিষয়টা তুলে আনার জন্য।

তারেক অণু এর ছবি

পান্ডবদা রকস!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমি অনেকদিন আগে জাকার্তার সুকর্ন-হাতা এয়ারপোর্ট থেকে বেশ চড়া দামে একটা বই কিনেছিলাম ইন্দোনেশিয়ার ইতিহাস নিয়ে। সেখানে জাপানীদের নৃশংসতার ব্যাপক বর্ণনা আছে। বইটা হয়তো বাসার কোথাও আছে। খুৎজে পেলে তোমাকে ধার দেবো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

জানিয়েন, প্লিজ

রাজিব মোস্তাফিজ এর ছবি

The Bridge on The River Kwai ?

----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!

তারেক অণু এর ছবি

দেখেছিলাম, কিন্তু অন্য ঘরানার।

মুস্তাফিজ এর ছবি

এই মুহূর্তে নীচের কয়টার নাম মনে পড়লো।
The Children of Huang Shi
Women in Jinling
The Rape of Nanking
City of Life and Death
এর মাঝে শুধু প্রথমটা মাতিসকে দেখিয়েছি।

...........................
Every Picture Tells a Story

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ। পরে কিছু মনে পড়লে জানিয়েন ভাই

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পাণ্ডব, তোমার এই মন্তব্য পড়ার পর কয়েকজন ইন্দোনেশিয়ান বন্ধুকে বার্তা পাঠিয়েছিলাম। সুইজারল্যান্ড প্রবাসী এক ইন্দোনেশিয়ান বান্ধবীর বার্তা এ্যাপেন্ড করে দিচ্ছি-

In 1972 Director Herman nagara made a movie called romusha, it is about a soldier, rota, being captured by japanese soldier and sent to concentration camp, called romusha, the story is about how cruel the japanese soldier treated rota in the camp... actually the movie pass the cencor examine but the indonesian government had forbid to distribute the movie while at those time between indonesia and japan had a very good diplomatic relationship, at the end the director had received Financial compensation of the whole film cost including the interest without knowing who had paid the compensation because everything was disclosed and the movie was just dismiss, i am not sure if you still can get those movie, the romusha, maybe your friend has better access to get it? If yes he can get this movie, could you pls tell him to make a copy for me? I would love to see the movie as well.

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পাণ্ডব, কিছু লিংক দিলাম- অনেককিছুই পাবা।

১. Jugun Ianfu - Part I
২. Jugun Ianfu - Part II
৩. Pengkhianatan G 30 S-PKI [Full]
৪. এই পাতায় সেসময়কার অনেকগুলো ডকুমেন্টরির লিংক পাবা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি
সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আমি যুদ্ধের ছবিগুলো সাধারণত এড়িয়ে চলি।
কিন্তু আপনার লেখা মন ছুঁয়ে গেলো খুব।

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

তারেক অণু এর ছবি

যুদ্ধের ছবি নিয়ে বেশী লেখা হচ্ছে নাকি !

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ইউটিউব থেকে টিভিতে স্ট্রিমিং করে সবাই মিলে ছবিটা দেখলাম কাল রাতে। হৃদয়ছোঁয়া দুঃখজনক ছবি সন্দেহ নেই। কিন্তু গল্প খুঁজে পাইনি তেমন। মানে মেমোরেবল না অতটা।

তারেক অণু এর ছবি

হুম্ম

শোয়েব মাহমুদ সোহাগ এর ছবি

ভেবেছিলাম দেখবো। কিন্তু গল্প না থাকলে তো জমবেনা।

তারেক অণু এর ছবি

দেখেই ফেলেন, কি আছে জীবনে!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দেখার ইচ্ছে জাগলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

ফিরেছেন দেশে?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

এখন লেখা আর ছবি দেন, বইস্যা আহেন কিল্লাই !

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দেখুম দেখুম

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

তারেক অণু এর ছবি
অতিথি লেখক এর ছবি

দুর্দান্ত চলচ্চিত্র, কয়েকজন বন্ধু মিলে একসাথে দেখেছিলাম। মুভি শেষ হওয়ার পরে সবাই কিছুক্ষণ চুপচাপ ছিলাম। রিভিউ আরেকটু বড় করলে পারতেন কিন্তু, আপ্নে তো আর আমাগোর মতো আইলসা না খাইছে

হিল্লোল

তারেক অণু এর ছবি

খাইছে পরে বড় আকারে লিখব

নৈষাদ এর ছবি

প্রিয় একটা ছবি। হার্ড ডিস্কে ছিল, কিছু অংশ আজ আবার দেখলাম।

তারেক অণু এর ছবি
bondona kabir এর ছবি

সব মানুষেরই স্বজন হারানোর বেদনা সমান।

তারেক অণু এর ছবি
অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

খুবই পছন্দের একটা সিনেমা। আরেকবার দেখতে হবে।

তারেক অণু এর ছবি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।