আগের পর্বঃ অন্নপুর্না বেস ক্যাম্প ট্রেক-১
(বিশেষ সতর্কীকরনঃ এটি বর্ননা সহ অসঃখ্য ছবিযুক্ত বৃহত পোষ্ট। নিজ দায়িত্বে পড়বেন আর বোর হবেন- অচিন পাখি)
স্কুলগুলোতে ডিবেট সোসাইটি আছে, কুইজ ক্লাব আছে, সাইন্স ক্লাব আছে, আছে স্কাউট গার্লস গাইডও... তাহলে স্কুলগুলোতে এমন একটা ক্লাব বা প্রতিষ্ঠান কেন থাকবে না, যেখানে স্কুলের শিশুরা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানবে?
এমন একটা ভাবনা থেকেই শুরু 'অবিনাশী সত্তা'র।
এ কি সোনার আলোয় জীবন ভরিয়ে দিলে, ওগো বন্ধু, পিঠে থেকো, পিঠে থেকো
ক: আপনার পলিটিক্সে এত আগ্রহ কেন? মেয়েদের মধ্যে তো পলিটিক্স নিয়ে এত আগ্রহ দেখা যায় না।
আমিঃ বলেন কি? কোন দেশের মেয়েদের কথা বলছেন? বাংলাদেশ নাকি আমেরিকার?
কঃ সব দেশের মেয়েদের কথাই। স্পেশালি বাংলাদেশের মেয়েদের কথা বলছি।
আমিঃ তাই নাকি? যে দেশে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী থেকে শুরু করে স্পীকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এমনকি কৃষি মন্ত্রীও মহিলা ...আর আপনি বলছেন রাজনীতি নিয়ে সেই বাংলাদেশের মেয়েদের আগ্রহ নাই?
কঃ আপনি তো যারা রাজনীতি করে তাদের কথা বলছেন। আমি বলছি আপনার মত রাজনীতিতে আগ্রহ নিয়ে যারা সময় নষ্ট করে তাদের কথা।
আমিঃ হুমম...তা যেই মেয়েরা রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামায় সময় নষ্ট করে না তারা কিভাবে সময় কাজে লাগায়?
কঃ সংসার দেখা শুনা করে, কিম্বা ধরেন সোসালাইজেশান করে। যাই বলেন মেয়েদের রাজনীতিতে আগ্রহ থাকলে সংসারে অশান্তি হয়।
আমিঃ বলেন কি? কোন মেয়ের রাজনীতি বিষয়ে আগ্রহ থাকায় তার সংসারে অশান্তি হল?
কঃ আমি পার্টিকুলার কোন মেয়ের কথা বলছি না ... ইনজেনেরাল আরকি।
আমিঃ ও। বুঝলাম। কিন্তু আপনার মতে তো গুটি কয়েক মেয়ের রাজনীতিতে আগ্রহ, সে ক্ষেত্রে তো বাকি দের তাহলে সুখের সংসার হওয়ার কথা। তাকি হয়? আপনিই সেদিন বলছিলেন যে আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলার টপিক পান না কারন সে শাড়ি গয়না আর অন্যের সাথে নিজের অবস্থার তুলনা ছাড়া আর কিছু নিয়ে আগ্রহ দেখায় না। আর এইগুলার প্রতি আপনার স্ত্রীর ফ্যাসিনেশানের কারনে নানান অশান্তি সংসারে।
কঃ আপনি তো পার্সোনাল লেভেলে চলে গেলেন।
বাবার এত মন খারাপ হল কেন বুঝতে পারলাম না। অবশ্য মন খারাপ না মেজাজ খারাপ তাও ঠিক ধরা যাচ্ছে না। কি যে মুশকিল। এদিকে আজ বিকালে যে থান্ডার-ক্যাটস আছে, সেদিকে কারো খেয়ালই নেই।
সবই তো ঠিকমত করলাম আজকে। শুক্রবারের ছুটির দিনটায় একটুও গড়াগড়ি না করে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। দাঁত মাজলাম ভাল মত। তারপর বাড়ির কাজ সব শেষ করেছি। ট্রান্সলেশন অবশ্য ভুল হয়েছে দুইটা। কিন্তু গুণগুলোতো সব ঠিক হয়েছে নাকি!
খোলা শার্সি দিয়ে ঘোর লাগা চোখে দূরের দিগন্তে বহুক্ষণ তাকিয়ে ছিলেন আজাদ সাহেব। সম্বিত ফিরল বাসের হেল্পারের ডাকে। ‘হায়রে বুড়া মানুষটা কানে কম শুনে মনে হয়!’ ছেলেটার দিকে কটমট করে তাকাতেই হেসে ফেলল সে। আবার বলল
-চাচা কখন থেইকা বলতেসি জানলাটা বন্ধ করেন, ভিইজা গেলেন তো! দেখি আপনে সরেন, আমি জানলাটা লাগায়ে দেই। বলেই বেরসিকের মত শার্সিটা টেনে দিল ছেলেটা।
মাস দুয়েক আগে ট্রেকিং করতে গিয়েছিলাম রেমা-কালেঙ্গা বন্যপ্রানী অভয়ারন্যে দুই সঙ্গী সহ। অফিসের এক ঘেয়েমি কাজ আর জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকার বাইরে যাবার জন্য প্রানটা ত্রাহি ত্রাহি করছিলো। চট জলদি যাওয়া যায় এমন একটি জায়গা খুজতে গিয়ে হঠাৎ মাথায় এলো এ জায়গাটির কথা। বছর দশেক আগে বেশ ক’বার যেতে হয়েছিলো একাডেমিক প্রয়োজনে, জীব-বৈচিত্রের উপর একটি গবেষনা কাজের জন্য। যারা জাঙ্গল ট্রেকিং আর ওয়াইল্ড লাইফ পছন্দ করেন
দৃশ্যপট ১
আমার এক বন্ধুর আত্মীয় রাতের বেলায় প্রচণ্ড মাথাব্যাথায় মোটামুটি অতিষ্ঠ হয়ে একটা মাথা ধরার ট্যাবলেট আর একটা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ঘুমিয়ে থাকল। পরের দিন সকালে তার আর সকাল হয়নি, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ঘুমের মাঝেই মারা যায় সে।
দৃশ্যপট ২
১.
অফিসের কাজগুলো গুছিয়ে দুপুরে ইন্টারনেটে ক্লিক করতেই বিরক্ত লাগলো। হোমপেজ এরর। আবারো গেছে নাকি? দুদিন পরপর এ এক হ্যাপা। কখনো ফাইবার কেটে যায়, কখনো আইএসপির ইউপিএস জ্বলে গেছে, কখনো সার্ভার ডাউন। আইটিতে ফোন করলাম। আইটির ছেলেটা এসে দেখে বললো, আপনার হোমপেজ সমস্যা। হোমপেজে ফেসবুক ছিল। ফেসবুক নাকি কোথাও খুলছে না। ওটা বদলে হোমপেজ গুগল করে দিল। এবার খুলছে। আমি তেমন রেগুলার ফেসবুকার নই। তাই পাত্তা দিলাম না ব্যাপারটাকে।
১) অলিখিত তবে প্রচলিত নিয়মের কারণে অথবা বলতে পারি, প্রকৃতির একটা খেলা হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকা বন্ধুদের এড়িয়ে চলতে হয়। আমার বাসা থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে আমার যে বেকার বন্ধুটি থাকে তাকে আমি ঐ নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়ে স্বভাবত এড়িয়ে চলি। আজ দুপুরে যখন বাসা থেকে বের হলাম ঠিক তখন হতচ্ছাড়া কোথা থেকে এসে হাজির হয়ে ধুম করে পিঠে ঘুষি বসিয়ে দিল। পিঠে ব্যথা উপশম করতে করতে কী খবর, আমি একটু